সন্ধ্যা ৭:০৩
শনিবার
১৮ ই মে ২০২৪ ইংরেজি
৪ ঠা জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
১০ ই জ্বিলকদ ১৪৪৫ হিজরী
spot_img

জোড়া লাগানো যমজ শিশুর জন্ম

ভোলার লালমোহনে জোড়া লাগানো যমজ শিশুর জন্ম হয়েছে। মঙ্গলবার রাতে লালমোহন পৌরসভার বেসরকারি একটি ক্লিনিকে জোড়া লাগানো শিশু দুটির জন্ম হয়।

জানা গেছে, লালমোহন ফুলবাগিচা গ্রামের ৮ নং ওয়ার্ড নিবাসী রাজমিস্ত্রি বিল্লালের স্ত্রী মিতু বেগমের গর্ভে জোড়া লাগানো শিশু দুটির জন্ম হয়।

মঙ্গলবার দুপুরে মিতুর প্রসব বেদনা উঠলে তাকে লালমোহন ক্লিনিকে নেওয়া হয়। পরে তার স্বাভাবিক প্রসবে জটিলতা দেখে দায়িত্বরত চিকিৎসক মিতুর সিজার করেন। রাত সাড়ে ৮টায় পেটে জোড়া লাগানো যমজ শিশু দুটির জন্ম হয়।

যমজ দুই শিশুর বাবা বিল্লাল হোসেন জানান, এক বছর আগে মিতুকে বিয়ে করেন তিনি। শিশু দুটির ভবিষ্যৎ নিয়ে দু’জনই এখন দিশেহারা। আর্থিকভাবে অসচ্ছল হওয়ায় শিশু দুটিকে বাঁচাতে সরকার ও হৃদয়বান ব্যক্তিদের কাছে আর্থিক সহায়তা চেয়েছেন তিনি।

বর্তমানে মা ও যমজ সন্তান সুস্থ আছে। শিশু দুটিকে রাতেই শের-ই-বাংলা চিকিৎসা মহাবিদ্যালয় (শেবাচিম) হাসপাতালে উন্নত চিকিৎসার জন্য স্থানান্তর করা হয়েছে।

এসএইচ-০৬/১৩/২২ (আঞ্চলিক ডেস্ক)

রিজার্ভ চুরি: নিউইয়র্কে বাংলাদেশের মামলা খারিজ

রিজার্ভের চুরি যাওয়া অর্থের বড় একটি অংশ উদ্ধারে ২০২০ সালে দায়ের করা বাংলাদেশ ব্যাংকের মামলা খারিজ করে দিয়েছেন নিউইয়র্কের সুপ্রিম কোর্ট। রিজার্ভ চুরির বিষয়ে প্রয়োজনীয় ‘এখতিয়ারের অভাবে’ মামলাটি খারিজ করা হয়। ফিলিপাইন ডেইলি ইনকোয়ারার এ বিষয়ে একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে।

নিউইয়র্কের সুপ্রিম কোর্ট গত ৮ এপ্রিল এ রায় দেয় বলে ব্লুমবেরি রিসোর্টু কর্প সোমবার ফিলিপাইন স্টক এক্সচেঞ্জকে (পিএসই) অবহিত করেছে।

এ বিষয়ে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের মুখপাত্র সিরাজুল ইসলাম বলেছেন, তারা মামলার রায়ের বিষয়ে অবগত রয়েছেন এবং রায়ের অনুলিপি পেলে পরবর্তী পদক্ষেপ নেবেন।

২০১৪ সাল থেকেই বাংলাদেশের কেন্দ্রীয় ব্যাংকসহ কয়েকটি বাণিজ্যিক ব্যাংক নিয়ে অনলাইনে গবেষণা শুরু করে হ্যাকাররা। পরে ২০১৬ সালের ৪ ফেব্রুয়ারি ফেডারেল রিজার্ভ ব্যাংক অব নিউইয়র্কে রক্ষিত বাংলাদেশ ব্যাংকের অ্যাকাউন্ট থেকে ৮ কোটি ১০ লাখ ডলার সরিয়ে নেওয়া হয় ফিলিপিন্সের রিজল কমার্শিয়াল ব্যাংকে। ওই অর্থ স্থানীয় মুদ্রা পেসোর আকারে চলে যায় তিনটি ক্যাসিনোতে। এর মধ্যে একটি ক্যাসিনোর মালিকের কাছ থেকে দেড় কোটি ডলার উদ্ধার করে ফিলিপিন্স সরকার বাংলাদেশ সরকারকে বুঝিয়ে দেয়।

আর ছয় কোটি ৬৪ লাখ ডলার উদ্ধারে ২০২০ সালে এ মামলা করেছিল বাংলাদেশের কেন্দ্রীয় ব্যাংক। সোলারি রিসোর্ট অ্যান্ড ক্যাসিনো ও ম্যানিলা বে পরিচালনাকারী ব্লুমবেরি রিসোর্টু কর্প, রিজার্ভ চুরির সঙ্গে সংশ্লিষ্ট রিজল কমার্শিয়াল ব্যাংক কর্প (আরসিবিসি) এবং ১৮টি প্রতিষ্ঠানকে দায়ী করে নিউইয়র্কের আদালতে এ মামলা করা হয়।

বাংলাদেশ ব্যাংক এই মামলা দায়ের করার আগে ২০২০ সালের মার্চ মাসে নিউইয়র্কে আরেকটি মামলায় হেরেছিল। ব্লুমবেরি তার ২০২১ সালের বার্ষিক প্রতিবেদনে বলেছে, বাংলাদেশ ব্যাংক ইউএস কোর্ট অব আপিলের কাছে এই সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে আবেদন করেছিল, যা পরে প্রত্যাহার করা হয়।

এসএইচ-০৫/১৩/২২ (ন্যাশনাল ডেস্ক)

করোনা টিকা প্রদানের খরচে সরকারি-বেসরকারি হিসেবে ২২ হাজার কোটি টাকার ফারাক

বাংলাদেশে কোভিড-১৯ টিকা প্রদানের খরচের ক্ষেত্রে সরকারি হিসেব এবং বেসরকারি সংস্থা ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ বা টিআইবি’র এর হিসেবের মধ্যে প্রায় ২২ হাজার কোটি টাকার ফারাক দেখা যাচ্ছে।

বাংলাদেশের স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক গত মার্চ মাসে বলেছিলেন, কোভিড-১৯ টিকা ক্রয় এবং বিতরণের ক্ষেত্রে ৪০ হাজার কোটি টাকা খরচ হয়েছে।

কিন্তু মঙ্গলবার এক গবেষণা প্রতিবেদন উপস্থাপনের সময় টিআইবির পক্ষ থেকে বলা হচ্ছে, এই খরচ সর্বোচ্চ ১৮ হাজার কোটি টাকার বেশি হবার কথা নয়।

‘করোনাভাইরাস সংকট মোকাবেলায় সুশাসন: অন্তর্ভুক্তি ও স্বচ্ছতার চ্যালেঞ্জ’ শিরোনামে এই গবেষণা প্রকাশ করে টিআইবি।

স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেছিলেন, টিকা ক্রয়ে বাংলাদেশের খরচ হয়েছে ২০ হাজার কোটি টাকার বেশি।

এসব টিকা কত দামে কেনা হয়েছে তার বিস্তারিত কখনোই তুলে ধরেনি স্বাস্থ্য বিভাগ।

টিআইবি তাদের গবেষণায় বলছে, টিকা ক্রয়ের ক্ষেত্রে সাড়ে এগারো হাজার কোটি টাকার বেশি খরচ হবার কথা নয়।

তারা দাবি করছে, যেহেতু সরকারের তরফ থেকে টিকার দাম সম্পর্কিত কোন তথ্য তুলে ধরা হয়নি, সেজন্য টিআইবি বিভিন্ন সূত্র থেকে টিকার দাম সম্পর্কিত তথ্য জোগাড় করেছে।

তবে স্বাস্থ্য সেবা বিভাগের তথ্য ও জনসংযোগ কর্মকর্তা মো: মাইদুল ইসলাম প্রধান বিবিসি বাংলাকে বলেন টিকা ক্রয় এবং সার্বিক কার্যক্রম নিয়ে মন্ত্রী যে হিসেব তুলে ধরেছেন সেটি নিয়ে প্রশ্ন তোলার কোন সুযোগ নেই।

“তারা হিসেবটা কিভাবে করলো সেটা আমরা দেখি। এটা আমাদের উর্ধ্বতন কর্মকর্তারা সেটা দেখবেন। দেখে তারপর আমাদের হিসেবে সাথে মিলিয়ে দেখলেই হয়ে যাবে। এটা পানির মতো পরিষ্কার,” বলেন মি. প্রধান।

তিনি বলেন, কোন খাতে কত টাকা খরচ হয়েছে সেটি পরিষ্কারভাবে লিপিবদ্ধ আছে।

“এখানে আড়াল করার কিছু নেই। এবং মাননীয় মন্ত্রী মহোদয়ের তথ্য ভুল হবারও সুযোগ নেই,” বলেন মি. প্রধান।

গত জুলাই মাসে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় এক বিজ্ঞপ্তিতে বলেছিল টিকা প্রতি ব্যয় তিন হাজার টাকা।

অথচ টিআইবি বলছে, টিকা প্রতি খরচ সবোর্চ্চ খরচ হতে পারে ২২৫ টাকা।

টিআইবির গবেষক মোহাম্মদ জুলকারনাইন বলেন, কোভ্যাক্স রেডিনেস এন্ড ডেলিভারি ওয়ার্কিং গ্রুপ নিম্ন ও মধ্যম আয়ের দেশগুলোর টিকার পরিচালন ব্যয় সম্পর্কে একটি মডেল দাঁড় করিয়েছে।

এই মডেলের মাধ্যমে তারা দেখিয়েছে টিকা প্রতি খরচ কেমন হতে পারে।

গবেষণা প্রতিবেদন উপস্থাপনের সময়ে মি. জুলকারনাইন বলেন, “এখানে বলা হয়েছে টিকা প্রদানের সাথে যত খরচ সম্পৃক্ত – অর্থাৎ টিকা পরিবহন, সংরক্ষণ, টিকাকর্মী নিয়োগ এবং তাদের বেতন-ভাতাসহ সকল খরচ তিনটা বিষয়ের উপর তারা প্রাক্কলন করেছে।”

“টিকা কার্যক্রমের বিদ্যমান অবকাঠামো, জনবলের ব্যবহার এবং আউটরিচ কেন্দ্রের অনুপাত বিবেচনায় তারা প্রতি ডোজ টিকার ক্ষেত্রে পরিচালন ব্যয় ধরেছে ৭১ দশমিক ৪ টাকা থেকে ২২৪ দশমিক ৪ টাকা,” বলেন মি. জুলকারনাইন।

টিকা ক্রয় এবং দেবার ক্ষেত্রে সরকার যে হিসেব দিয়েছে সেখানে স্বচ্ছতার ঘাটতি আছে বলে উল্লেখ করেন টিআইবির নির্বাহী পরিচালক ড. ইফতেখারুজ্জামান।

তিনি বলেন, সরকার যেহেতু টিকা কার্যক্রমের খরচ নিয়ে বিস্তারিত এবং স্বচ্ছ হিসেব দেয়নি, সেজন্য তাদের নির্ভর করতে হয়েছে অন্যান্য নির্ভরযোগ্য বিভিন্ন সূত্রের উপর।

“সে বিশ্লেষণ করে আমরা দেখতে পাই, স্বাস্থ্যমন্ত্রী ৪০ হাজার কোটি টাকা ব্যয়ের যে কথা বলছেন তার তুলনায় বাস্তব ব্যয়, নির্ভরযোগ্য সূত্রের তথ্য অনুযায়ী অর্ধেকের মতো হয়েছে।”

তিনি বলেন, এই ঘাটতি বাস্তবে হয়েছে কিনা সেটি তাদের জানা নেই। যেহেতু সরকার সুনির্দিষ্ট তথ্য প্রকাশ করছে না বিভিন্ন নির্ভরযোগ্য সূত্র থেকে পাওয়া তথ্য বিশ্লেষণ করে দেখা যাচ্ছে ১৪ হাজার কোটি টাকা থেকে সতের হাজার কোটি খরচ হয়েছে।

“এই তারতম্যের কারণ হচ্ছে, তথ্য প্রকাশে ঘাটতি এবং গোপনীয়তার সংস্কৃতি।”

তিনি প্রশ্ন তোলেন, কোন দুর্নীতি সুরক্ষা করার জন্য অবাধ তথ্য প্রবাহে প্রতিবন্ধকতা তৈরি করা হচ্ছে কি না?

স্বাস্থ্য সেবা বিভাগের তথ্য ও জনসংযোগ কর্মকর্তা মো: মাইদুল ইসলাম প্রধান বলেন, চুক্তির শর্ত অনুয়ায়ী টিকা ক্রয়ের দাম প্রকাশ করা হয়নি।

” টিকা কেনার ক্ষেত্রে দামটা এমন থাকে যে প্রকাশ হয়ে গেলে এক দেশের সাথে আরেক দেশের দাম ভ্যারি (উঠানামা) করে। বিশেষ করে চায়নার সিনোফার্ম টিকা। তাদেরও একটা কন্ডিশন থাকে যে মূল্য প্রকাশ করা যাবে না,” বলেন মি. প্রধান।

টিআইবির গবেষণায় বলা হয়েছে, বাংলাদেশের ৪৬ শতাংশ মানুষ টিকা গ্রহণে দ্বিধান্বিত ছিল। পঁচাত্তর শতাংশ মানুষ পরিবার-আত্মীয় স্বজনের এবং প্রতিবেশীর কাছ থেকে টিকা বিষয়ে জেনেছে।

ছেষট্টি শতাংশ টিকা গ্রহীতাকে টাকার বিনিময়ে দোকান থেকে নিবন্ধন করতে হয়েছে।

এসএইচ=০৪/১৩/২২ (অনলাইন ডেস্ক, সূত্র : বিবিসি)

রমজানে আল্লাহর সন্তুষ্টি লাভে যা করবেন

রোজা মুসলমানদের তৃতীয় স্তম্ভ। রহমত, মাগফিরাত ও নাজাত- এই তিন ভাগে পালিত হয় পবিত্র রমজান মাস। পবিত্র এই মাসের আজ দশম দিন। রহমতের শেষ দিন। কাল থেকে শুরু হবে মাগফিরাত।

সুব্হে সাদিক থেকে সূর্যাস্ত পর্যন্ত মহান আল্লাহর সন্তুষ্টি লাভের জন্য সব ধরনের পানাহার থেকে বিরত থেকে বিভিন্ন ধর্মীয় বিধিবিধান পালন করার নামই রোজা। এ ধর্মীয় বিধিবিধানের মধ্যে রয়েছে কিছু গুরুত্বপূর্ণ আমল ও ইবাদত।

মহান আল্লাহ তার বান্দার নেক কাজে সবচেয়ে বেশি সন্তুষ্ট হন এবং বান্দার গুনাহ ক্ষমা করে দেন। যেকোনো কাজ, নেক আমলে পরিণত হওয়ার পূর্বশর্ত হলো নিয়ত ঠিক থাকা। নিয়তে গড়মিল হলে অনেক ক্ষেত্রে নেক আমলও গুনাহের কাজে পরিণত হয়। এজন্য আমরা যে কাজই করি, তাতে নিয়তকে পরিশুদ্ধ রাখতে হবে। লোক দেখানোর প্রবণতাকে অন্তর থেকে দূর করতে হবে। আল্লাহতায়ালা আমাদের সব আমলকে কবুল করুক।

রমজানে গুরুত্বপূর্ণ কিছু আমল ও কাজ

১. সম্পদের যাকাত আদায় করুন: ইসলাম ধর্মের পাঁচটি স্তম্ভের শেষ স্তম্ভ হচ্ছে যাকাত। মূলত রমজান মাসেই মানুষ যাকাত দিয়ে থাকে।

কোনো ব্যক্তির পুরো সম্পত্তি যার অর্থ নির্ধারণ করা যায়, সেটি যদি এক বছরের বেশি সময় ধরে তার অধিকারে থাকে, তাহলে সেই সম্পদ ও সম্পত্তির ওপর যাকাত দিতে হবে। সেই সম্পদের আড়াই শতাংশ হচ্ছে তার যাকাত। যাকাতের পরিমাণ হবে দৈনন্দিন প্রয়োজন পূরণের পর সাড়ে বায়ান্ন তোলা পরিমাণ রুপা অথবা সাড়ে সাত তোলা পরিমাণ স্বর্ণ থাকলে অথবা এর সমমূল্যের ব্যবসার মালিকানা থাকলে মোট সম্পদের আড়াই শতাংশ হারে যাকাত দিতে হবে। পবিত্র রমজান মাসে নিজ সম্পদের যাকাত আদায় করুন।

২. মসজিদ নির্মাণে সাহায্য করুন: মসজিদ মহান আল্লাহতায়ালার পবিত্র ঘর। তাই রমজান মাসে আল্লাহর ঘর মসজিদ নির্মাণে সাহায্য করা উচিত। নিজের সামর্থ্য অনুযায়ী মসজিদ নির্মাণে সাহায্য করলে আল্লাহর সন্তুষ্টি লাভ করা যায়।

৩. রাস্তা থেকে কষ্টদায়ক বস্তু সরিয়ে দিন: চলার পথে যদি রাস্তায় কোনো প্রতিবন্ধকতা চোখে পড়ে কিংবা কষ্টদায়ক কিছু থেকে থাকে তাহলে সে বস্তু সরিয়ে দিতে পারেন। এতে অন্য মানুষ তথা রোজাদার ব্যক্তিদের উপকার হবে।

৪. ক্ষুধার্তকে ইফতার কিংবা সাহরি দিন: রমজানে আপনার আশপাশে কোনো ক্ষুধার্ত কাউকে দেখলে তাকে ইফতার কিংবা সাহরি দিয়ে সাহায্য করুন। অনাহারকে আহার দেওয়া সওয়াবের কাজ। রমজান মাসে আল্লাহর সন্তুষ্টি লাভে বেশি বেশি ভালো কাজ করা উচিত। এতে আল্লাহ খুশি হন।

৫. রাস্তায় চলাচলের সময় ডান পাশ দিয়ে চলুন: রাস্তায় চলাচলের সময় ডান পাশ দিয়ে চলাচল করা উচিত। এতে অনেক বালা মসিবত থেকে রক্ষা পাওয়া যায়।

৬. পশু পাখিদের প্রতি দয়াশীল হোন: মানুষ সৃষ্টির সেরা জীব। তাই সৃষ্টির সেরা জীব হিসেবে জগতের অন্য জীবের প্রতি দয়া দেখানো উচিত। জীবে দয়া করো। জীবে দয়া একটি মহৎ গুণ।

৭. কেউ ভারী বোঝা উঠাতে না পারলে তাকে সাহায্য করুন: রমজান মাস আল্লাহর সন্তুষ্টি লাভের মাস। এ মাসে বেশি বেশি ভালো কাজ করা উচিত। তাই চলার পথে যদি কাউকে দেখেন ভারী বোঝা উঠাতে তার কষ্ট হচ্ছে সেক্ষেত্রে তাকে সাহায্য করুন।

৮. বাসে ট্রেনে বয়স্ক বা অসুস্থ কাউকে দেখলে তাদের বসতে দিন: বাসে বা ট্রেনে বয়স্ক বা অসুস্থ কাউকে দেখলে তাদের বসতে দিন। রমজান মাস আসেই নিজেকে পরিশুদ্ধ করার প্রয়াস নিয়ে। তাই বয়স্ক বা অসুস্থ কাউকে দেখলে তাদের সাহায্য করুন।

৯. লাইনে দাঁড়িয়েছেন কোথাও, সেখানে বয়স্ক বৃদ্ধদের আগে যেতে দিন: রমজান মাসে রোজা রাখা এমনিতেই কষ্টসাধ্য বিষয়। এ সময় বিভিন্ন কাজে আমাদের লাইনে দাঁড়াতে হয়। এক্ষেত্রে লাইনে যদি বয়স্ক বৃদ্ধদের দেখে থাকেন তাহলে তাদের আগে যেতে দিন। আল্লাহ খুশি হবেন। আর রমজান মাসে আল্লাহকে খুশি করাই বান্দার ইবাদত।

এসএইচ-০৩/১৩/২২ (ধর্ম ডেস্ক)

রমজানে মহানবী (সা.) যে কাজ বেশি বেশি করতেন

রমজান মাসে কোনো নেকির কাজ করলে অন্য মাসের তুলনায় ৭০ গুণ বেশি নেকি পাওয়া যায়। তাই কোনোভাবেই অবহেলা না করে রমজান মাসে যতটা সম্ভব নেকির কাজ করে যেতে বলা হয়েছে। রাসূল (সা.) রমজান মাসে যে কাজগুলো বেশি বেশি করতেন তার মধ্যে অন্যতম হলো, দান-সদকা৷

দানশীলতা মানব চরিত্রের মহৎ গুণ, যা মানুষের হৃদয়কে কৃপণতার অভিশাপ থেকে মুক্ত ও সতেজ রাখে।

ইসলামের নির্দেশনা হলো, ‘যে বা যারা অঢেল ধন-সম্পদ ও অর্থ সঞ্চয় করেছে, তারা যেন ইহজগৎ বা দুনিয়া ত্যাগ করার আগেই আল্লাহর নামে ‘ফি সাবিলিল্লাহ’ দান-সদকা করে যেতে থাকে।’

আমাদের মহানবী হযরত মুহাম্মাদ (সা.) এর কাছে কেউ কিছু চাইলে তার কাছে যা থাকত, তা-ই তিনি দান করে দিতেন। এমনকি নিজের অতি প্রয়োজনকে তুচ্ছ মনে করে পরিবার-পরিজনসহ অভুক্ত থেকেও গরিব, এতিম, মিসকিন ও অসহায়-অভাবী মানুষদের আহার করাতেন। এভাবে হযরত মুহাম্মাদ (সা.) দান-সদকার মাধ্যমে বিশ্বব্যাপী মানবতার সেবার এক উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত স্থাপন করেন।

অধিকাংশ মানুষ দান-খয়রাত করতে চান না। মনে করেন, এতে সম্পদ কমে যাবে। তাই সম্পদ সঞ্চিত করে রাখতেই সর্বদা সচেষ্ট থাকেন, এমনকি নিজের প্রয়োজনীয় ক্ষেত্রেও খরচ করতে কৃপণতা করেন।

রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন, মানুষ বলে আমার সম্পদ আমার সম্পদ অথচ তিনটি ক্ষেত্রে ব্যবহৃত সম্পদই শুধু তার। যা খেয়ে শেষ করেছে, যা পরিধান করে নষ্ট করেছে এবং যা দান করে জমা করেছে- তাই শুধু তার। আর অবশিষ্ট সম্পদ সে ছেড়ে যাবে, মানুষ তা নিয়ে যাবে। (মুসলিম)

ইবনে আব্বাস (রা.) থেকে বর্ণিত, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম ধন-সম্পদ ব্যয় করার ব্যাপারে সকলের চেয়ে দানশীল ছিলেন। রমজানে জিবরাঈল (আ.) যখন তার সঙ্গে সাক্ষাৎ করতেন, তখন তিনি আরও অধিক দান করতেন। রমজান শেষ না হওয়া পর্যন্ত প্রতি রাতেই জিবরাঈল (আ.) রাসুল (সা.) এর সঙ্গে একবার সাক্ষাৎ করতেন। আর নবী করীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তাকে কোরআন তেলাওয়াত করে শোনাতেন। জিবরাঈল (আ.) যখন রাসুল (সা.) এর সঙ্গে সাক্ষাৎ করতেন তখন তিনি রহমতসহ প্রেরিত বায়ুর চেয়ে অধিক ধন-সম্পদ দান করতেন। (সহিহ বুখারী, হাদিস নং ১৯০২)

পবিত্র রমজান মাসে যার যত ক্ষমতা সে ততটা দান করবেন। আসুন সবাই দান করার অভ্যাস গড়ি। আপনার দানের জন্য কারো জীবনে একটু সুখ আসতে পারে। আল্লাহ যেন আমাদের বেশি বেশি দান করার তৌফিক দান করেন।

এসএইচ-০২/১৩/২২ (ধর্ম ডেস্ক)

রহমত শেষে মাগফিরাত শুরু

পবিত্র মাহে রমজান মাসকে তিনটি ভাগে ভাগ করা হয়েছে। প্রথম ১০ দিন রহমতের, দ্বিতীয় ১০ দিন মাগফিরাতের এবং তৃতীয় ১০ দিন নাজাতের। রহমতের দশ দিনের আজ ছিল শেষ দিন। কাল থেকে শুরু হবে মাগফিরাতের দশ দিন। অর্থাৎ ১১ থেকে ২০ রোজা পর্যন্ত মাগফিরাত, যার অর্থ ক্ষমা।

রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, ‘রমজানের প্রথম ১০ দিন রহমতের, দ্বিতীয় ১০ দিন মাগফিরাত লাভের এবং তৃতীয় ১০ দিন জাহান্নাম থেকে মুক্তি লাভের।’ (মিশকাত)

এই মাসে যখন একজন রোজাদার সারা বছরের নেকি ও পুণ্যের ঘাটতি পূরণের জন্য আপ্রাণ চেষ্টা ও সাধনা চালিয়ে যান এবং মাগফিরাতের ১০ দিনও অতিবাহিত করেন, তখন আল্লাহ তার গুনাহ-খাতা মাফ করে দেন। মাহে রমজানে দিনরাতেই অনেক মানুষকে জাহান্নাম থেকে মুক্তি দেওয়া হয় এবং দোয়া কবুল হয়।

রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, ‘মাহে রমজানের প্রতি রাতেই একজন ফেরেশতা ঘোষণা করতে থাকেন- ‘হে পুণ্য অন্বেষণকারী! অগ্রসর হও। হে পাপাচারী! থাম, চোখ খোল।’

তিনি আরও ঘোষণা করেন, ‘ক্ষমাপ্রার্থীকে ক্ষমা করা হবে। অনুতপ্তের অনুতাপ গ্রহণ করা হবে। প্রার্থনাকারীর প্রার্থনা কবুল করা হবে।’

রমজান মাসের প্রথম ১০ দিন অর্থাৎ রহমতের বা দয়ার ১০ দিন সম্পন্ন হয়েছে। শুরু হয়েছে মাগফিরাতের ১০ দিন। রমজান মাসের মাগফিরাত সম্পর্কে কোরআন ও হাদিসে যা বলা হয়েছে, মাগফিরাত শব্দের অর্থ হলো ক্ষমা। মহান আল্লাহ রাব্বুল আল আমিনের অসংখ্য গুণাবলীর মধ্যে অন্যতম একটি গুণ হলো তিনি ক্ষমাশীল। এজন্য আল্লাহ তায়ালার অপর একটি নাম হলো ‘আল-গাফুর’। আর ‘গাফুর’ শব্দের বাংলা অর্থ হলো ‘ক্ষমাশীল’। বান্দা যেন তার সারা বছরের সব গুনাহ থেকে মুক্তি পেতে পারে, এ জন্য আল্লাহ রাব্বুল আল আমিন রমজান মাসের দ্বিতীয় দশককে মাগফিরাত তথা ক্ষমা লাভের দিন হিসেবে ধার্য করেছেন।

রমজানের দ্বিতীয় ১০ দিন অর্থাৎ মাগফিরাতের ১০ দিন আমাদের করণীয় হলো সর্বোচ্চ ক্ষমা প্রদর্শন করা। মহানবী (সা.) আরও বলেছেন, ‘সকল মানুষ ভুলকারী। আর ভুলকারীদের মধ্যে শ্রেষ্ঠ হলো যারা তওবাকারী।’ (বায়হাকি)

মহান আল্লাহ বলেন, ‘তুমি যদি পৃথিবী পরিমাণ গুনাহ নিয়ে আমার কাছে আসো এবং আমার সঙ্গে কোনো কিছুকে শরিক না করে থাকো, তাহলে আমিও সমপরিমাণ ক্ষমা নিয়ে তোমার কাছে আসব।’ (সুনানে তিরমিজি, হাদিস: ৩৫৪০)

এ মাসে আল্লাহর দরবারে মাগফিরাত কামনা করলে, গরিব-দুঃখীদের প্রতি দান-সদকার পরিমাণ বাড়িয়ে দিলে, নিজে সব ধরনের খারাপ কাজ পরিহার করলে, আল্লাহর সন্তুষ্টি অর্জনের জন্য ইবাদত-বন্দেগি, জিকির-আসকার, তাসবিহ-তাহলিল, কোরআন তিলাওয়াত ও দোয়া-ইস্তেগফার করলে, মহান আল্লাহ তা অবশ্যই কবুল করেন।

রাসূলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, এ মাসে চারটি কাজ অবশ্য করণীয়। দুটি কাজ এমন যে, তার দ্বারা তোমাদের প্রতিপালক সন্তুষ্ট হন। অবশিষ্ট দুটি এমন, যা ছাড়া তোমাদের কোনো গন্তব্যই নেই। এ চারটির মধ্যে একটি হলো কালেমায়ে শাহাদাত পাঠ করা, দ্বিতীয়টি হলো অধিক পরিমাণে ইস্তেগফার বা ক্ষমা প্রার্থনা করা। এ দুটি কাজ আল্লাহর দরবারে অতি পছন্দনীয়। তৃতীয় ও চতুর্থ হলো জান্নাত লাভের আশা করা ও জাহান্নাম থেকে পরিত্রাণের প্রার্থনা করা। এ দুটি এমন বিষয়, যা তোমাদের জন্য একান্ত প্রয়োজন। (ইবনে খুজাইমা)

মাতৃগর্ভ থেকে মানুষ যেভাবে নিষ্পাপ অবস্থায় ভূমিষ্ঠ হয়, মাহে রমজানের ৩০ দিন যথাযথভাবে রোজা পালন করলে তেমন নিষ্কলুষ হয়ে যাওয়ার সুযোগ রয়েছে।

মুমিন বান্দার মাগফিরাত ও নাজাতপ্রাপ্তি সম্পর্কে রাসূলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, ‘যারা রমজানের চাঁদের প্রথম দিন থেকে শেষ দিন পর্যন্ত রোজা রেখেছে, তারা সেদিনের মতোই নিষ্পাপ হয়ে যাবে, যেদিন তাদের মাতা তাদের নিষ্পাপরূপে জন্ম দিয়েছেন।’

তিনি আরো বলেছেন, ‘যে ব্যক্তি রমজান মাস পেয়ে নিষ্পাপ হতে পারল না, তার মতো হতভাগ্য এ জগতে আর কেউ নেই।’ সিয়াম সাধনার মধ্যে কোনো রকম ভুলত্রুটি হয়ে গেলে তৎক্ষণাৎ তওবা ও ইস্তেগফার করে নিজেদের সংশোধন করে নেওয়া দরকার।

অতএব, মুমিন বান্দাদের উচিত মাগফিরাতের দশ দিন আমল-ইবাদত, প্রার্থনা-মোনাজাতে কাটিয়ে আল্লাহ তায়ালার ক্ষমালাভে ধন্য হওয়া। মহান আল্লাহ তায়ালা আমাদের সবাইকে আমল করার তৌফিক দান করুন।

এসএইচ-০১/১৩/২২ (ধর্ম ডেস্ক)

পিসিবির ওয়েবসাইট থেকে সরানো হলো ইমরানের ছবি

ক্ষমতা কী জিনিস তা হাড়ে হাড়ে টের পাচ্ছেন পাকিস্তানের সদ্য সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান। প্রধানমন্ত্রী হিসেবে পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ডের প্যাট্টন-ইন-চিফের দায়িত্বে ছিলেন ইমরান। প্রধানমন্ত্রীত্ব হারাতেই পদও খোয়া গেছে। এবার পিসিবির ওয়েবসাইট ও অফিস থেকে তার ছবিও সরিয়ে ফেলা হয়েছে। খবর ক্রিকেট পাকিস্তানের।

এদিকে সোমবার পাকিস্তানের ২৩তম প্রধানমন্ত্রী হিসেবে শপথ নিয়েছেন মিয়া মোহাম্মদ শাহবাজ শরিফ। আর শপথ নেওয়ার একদিন পরই মঙ্গলবার (১২ এপ্রিল) পিসিবির প্যাট্টন-ইন-চিফ হিসেবে দায়িত্ব নিয়েছেন শাহবাজ শরিফ। সেই সঙ্গে ইমরানের ছবির স্থলে ওয়েবসাইট এবং অফিসে এখন শোভা পাচ্ছে নয়া প্রাইম মিনিস্টারের ছবি।

দেশটির সংবিধানের ২০১৯ সালের সংশোধনী অনুযায়ী, প্যাট্টন-ইন-চিফ পিসিবির চেয়ারম্যান হিসেবে দুই জনের নাম প্রস্তাব করবেন। যার মধ্য থেকে একজন দায়িত্বপ্রাপ্ত হবেন।

এদিকে রমিজ রাজাকে পিসিবির চেয়ারম্যান করার পেছনে সবটাই অবদান ছিল পাকিস্তানের সদ্য সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের! প্রধানমন্ত্রী হিসেবে তার পতন ঘটেছে। রমিজ রাজার তাহলে কী হবে? ঘটনার ধারাবাহিকতায় তার পরিণতিও কি খানের মতোই হবে? এমন প্রশ্নই এখন ঘুরপাক খাচ্ছে দেশটির ক্রিকেটাঙ্গনে।

যদিও পিসিবি চেয়ারম্যানের ঘনিষ্ঠ সূত্রের বরাত দিয়ে ক্রিকেট পাকিস্তানের রিপোর্টে এর আগে বলা হয়েছিল, দ্রুতই স্বেছায় পদত্যাগ করতে যাচ্ছেন রমিজ রাজা। তার জায়গায় পাকিস্তান ক্রিকেটের সর্বেসর্বা হয়ে ফেরার উজ্জ্বল সম্ভাবনা পিসিবির সাবেক চেয়ারম্যান নাজাম শেঠীর।

তবে এবার পাওয়া গেল নতুন খবর। রমিজের ঘনিষ্ঠ একটি সূত্র প্রখ্যাত দৈনিক ডনকে জানিয়েছে, নতুন প্রধানমন্ত্রী কী সিদ্ধান্ত নেন, সেই অপেক্ষাই করবেন পিসিবি চেয়ারম্যান। আপাতত নিজে থেকে দায়িত্ব ছাড়ার কোনো ইচ্ছা নেই তার।

তবে ইতিহাস বলছে, ক্ষমতা পরিবর্তনের সঙ্গে সঙ্গে পরিবর্তনের ঢেউ লাগে সবখানে। বিরোধী দলের নেতা ও সম্ভাব্য নতুন প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরিফের খুব কাছের লোক নাজাম শেঠী। ক্রিকেট বোর্ডের দায়িত্ব নিতে তিনি আগ্রহী এবং ইতোমধ্যেই এ নিয়ে প্রাথমিক আলোচনা চলছে।

৭৩ বছর বয়সী নাজাম শেঠী প্রথম দফায় ২০১৩ সালে পিসিবির চেয়ারম্যান হন কিন্তু এ জন্য তাকে আইনি লড়াই লড়তে হয় চৌধুরী যাকা আশরাফের সঙ্গে। ২০১৪ সালে তিনি দায়িত্বে ফেরেন কিন্তু শাহরীয়ার খানকে পিসিবির চেয়ারম্যান হিসেবে ঘোষণা করা হয় এবং শেঠীকে ক্ষমতাশালী নির্বাহী কমিটির দায়িত্ব দেওয়া হয়। পর্দার আড়ালে মূল ক্ষমতা তার হাতেই ছিল।

২০১৭ সালের আগস্টে তিনি পুনরায় পিসিবির সভাপতি হিসেবে নিয়োগ পান। কিন্তু এক বছর পর ইমরান খান ক্ষমতায় এলে তাকে পদ ছেড়ে দিতে হয়। ইমরান খান তার জায়গায় আইসিসির সাবেক প্রেসিডেন্ট এহসান মানিকে পিসিবির সভাপতির দায়িত্বে বসান।

নাজাম শেঠী পিসিবির দায়িত্বে ফিরে তার কিছু অপূর্ণ স্বপ্ন পূরণ করতে চান। রমিজের মতো তারও পাকিস্তান সুপার লিগ (পিএসএল) নিয়ে বড় পরিকল্পনা আছে। তিনি পিএসএলকে বড় ব্র্যান্ডে পরিণত করতে চান, যা তার হাত ধরেই শুরু হয়েছিল। তার কিছু কাছের লোকেরও সম্ভাবনা রয়েছে পিসিবিতে ফেরার।

এসএইচ-৩৭/১২/২২ (স্পোর্টস ডেস্ক)

জাল টাকা তৈরির কারখানার সন্ধান, গ্রেফতার ৪

রমজান মাস এবং ঈদকে সামনে রেখে জালনোট ব্যবসায়ীরা বেপরোয়া হয়ে উঠেছে। আগের তুলনায় এ সময় বাজারে জাল নোটের ছড়াছড়িও বেশি দেখা যাচ্ছে। তাই জালনোট রোধে মাঠে নেমেছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী।

মঙ্গলবার  গোয়েন্দা তথ্যের ওপর ভিত্তি করে রাজধানীর নবাবগঞ্জ বেড়িবাঁধ এলাকায় বাংলাদেশি জালটাকা ও ভারতীয় রুপি তৈরির কারখানায় অভিযান চালিয়ে চারজনকে গ্রেফতার করেছে ডিবি পুলিশ। এ সময় প্রায় ২০ লাখ বাংলাদেশি জালটাকা এবং দেড় লাখ ভারতীয় জালরুপি উদ্ধার করা হয়।

পুলিশ জানায়, জালটাকা ও রুপির একটি চালান সংগ্রহ করার জন্য মুদ্রা ব্যবসায়ী জাহাঙ্গীর আলম নাটোর থেকে ঢাকায় আসছে- এমন খবরে গোয়েন্দা পুলিশ মঙ্গলবার বেলা ১১টার দিকে নবাবগঞ্জ বেড়িবাঁধ এলাকায় অবস্থান নেয়। তাকে অনুসরণ করে ওই এলাকার নির্মাণাধীন একটি ছয়তলা ভবনের চারতলার একটি ফ্ল্যাটে অভিযান চালিয়ে গ্রেফতার করা হয় চক্রের চারজনকে। ফ্ল্যাটটি ৫-৬ মাস ধরে ভাড়া নিয়ে রেখেছিল এ চক্রটি।

গ্রেফতারকৃতরা হলেন- জাহাঙ্গীর আলম, আলী হায়দার, তাইজুল ইসলাম লিটন ও মহসিন ইসলাম মিয়া। এছাড়াও জালটাকা ও রুপি তৈরি করার জন্য ব্যবহৃত ল্যাপটপ, প্রিন্টার, বিভিন্ন রকমের কালি, স্ক্রিন ফ্রেইম, বিশেষ ধরনের কাগজ, কেমিক্যালস, স্ক্যানার মেশিন, কাটার ও স্কেল ইত্যাদি জব্দ করা হয়েছে।

পুলিশ জানায়, রমজান মাস এবং ঈদকে সামনে রেখে জালনোট ব্যবসায়ীরা বাজারে জালনোট ছড়িয়ে দিচ্ছে। তাই জালমুদ্রা কারবারিদের অবস্থান শনাক্ত করে গ্রেফতারের চেষ্টা চালাচ্ছে ডিবি পুলিশ।

গ্রেফতারকৃতদের বিরুদ্ধে জালটাকা তৈরি এবং বিক্রির একাধিক মামলা রয়েছে। তাদের বিরুদ্ধে লালবাগ থানায় মামলা রুজু প্রক্রিয়াধীন।

এসএইচ-৩৬/১২/২২ (ন্যাশনাল ডেস্ক)

চাহালকে ১৬ তলা থেকে ঝোলানো ক্রিকেটারের নাম প্রকাশ

সম্প্রতি রাজস্থান রয়্যালসের টুইটারে প্রকাশ করা এক ভিডিওতে নিজের সঙ্গে ঘটে যাওয়া ভয়ংকর এক অভিজ্ঞতার কথা জানান ভারতের স্পিনার যুজবেন্দ্র চাহাল। ২০১৩ সালে ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগে (আইপিল) মুম্বাই ইন্ডিয়ান্সের হয়ে খেলার সময় টিম হোটেলের ১৬ তলার বারান্দা থেকে তাকে ঝুলিয়েছিলেন এক বিদেশি ক্রিকেটার। ওই সময়ে অভিযুক্ত ক্রিকেটারের নাম চাহাল প্রকাশ না করা হলেও পরবর্তীতে জানা যায় তার নাম।

রাজস্থান রয়্যালসের টুইটারে ভিডিও প্রকাশের তিন পরই জানা যায় চাহালকে ঝোলানো ওই ক্রিকেটার আর কেউ নয়, তিনি ছিলেন নিউজিল্যান্ডের সাবেক ক্রিকেটার জেমস ফ্রাঙ্কলিন। বর্তমানে যিনি কাউন্টি ক্রিকেট ক্লাব ডারহামের কোচ। জেমস ফ্রাঙ্কলিন ২০১১ থেকে ২০১৩ সাল পর্যন্ত মুম্বাই ইন্ডিয়ান্সের হয়ে ২৫ ম্যাচ খেলেছিলেন। ২০১৩ সালে ফ্রাঙ্কলিনই চাহালকে ১৬ তলার বারান্দা দিয়ে বাইরে ঝুলিয়েছিলেন। এমনটাই জানাচ্ছে ক্রিকেট বিষয়ক ওয়েবসাইট ইএসপিএন ক্রিকইনফো।

এর আগে নিজের সঙ্গে ঘটে যাওয়া সে অভিজ্ঞতা প্রকাশ করে চাহাল বলেন, ‘আমি কখনো এই গল্প বলিনি। কেউ জানে না। কিন্তু আজ এই ঘটনা সবার সামনে তুলে ধরতে চাই। ২০১৩ সালে আমি যখন মুম্বই ইন্ডিয়ান্স দলে ছিলাম, তখনকার ঘটনা। বেঙ্গালুরুতে ম্যাচ শেষে পার্টি চলছিল। সেখানে একজন ক্রিকেটার প্রচণ্ড মদপান করেছিল। এতটাই পান করে ফেলেছিল যে আমার দিকে অনেকক্ষণ তাকিয়ে ছিল। তারপর সে আমাকে তার কাছে ডাকে এবং ছাদে নিয়ে যায়।’

এরপর তিনি যোগ করেন, ‘ছাদে নিয়ে গিয়ে পেছন থেকে আমার দুটো হাত শক্ত করে ধরে ছাদ থেকে ঝুলিয়ে দেয়। ১৫ তলা থেকে নিচে ঝুলিয়ে দেওয়া হয়েছিল আমাকে। সেই মুহূর্তে আমার হাত ফস্কে গেলে কোনোভাবেই কেউ বাঁচাতে পারত না। ভাগ্যক্রমে কয়েকজন সেই পরিস্থিতি দেখে ফেলে এবং আমাকে বাঁচাতে ছুটে আসে।’ সেই ঘটনার পরে বেশ কিছুক্ষণ অজ্ঞান হয়ে পড়েছিলেন চাহাল। পরে তার জ্ঞান ফেরে।

তবে চাহালকে ২০১৩ সালে ১৬ তলা থেকে ঝোলানোর দুই বছর আগে আরও ২০১১ সালেও তিনি নাকি একবার শারীরিকভাবে হেনস্তার শিকার হয়েছিলেন। এ বিষয়ে চাহাল এর আগে জানান, মুম্বাই ইন্ডিয়ান্সের হয়ে খেলা ফ্রাঙ্কলিন ও অ্যান্ড্রু সাইমন্ডস তার হাত-পা বেঁধেছিলেন। এরপর টেপ দিয়ে মুখও আটকে দেন। সেই অবস্থায় তাকে সারারাত রুমে ফেলে রেখে তারা পার্টি করেন। সকালে তাকে হোটেলের কর্মীরা উদ্ধার করে। ওই ঘটনার জন্য ফ্রাঙ্কলিন ও সাইমন্ডস তার কাছে ক্ষমা পর্যন্ত চাননি।

এদিকে ডারহাম জানিয়েছে তারা তাদের কোচের সঙ্গে চাহালকে শারীরিকভাবে হেনস্তা করার বিষয়ে কথা বলবে। এক বিজ্ঞপ্তিতে ডারহাম ক্রিকেট ক্লাব জানিয়েছে, ‘সম্প্রতি আমরা জানতে পেরেছি ২০১১ সালের একটি ঘটনার বিষয়ে। আমরা এও জানতে পেরেছি ওই ঘটনার সঙ্গে আমাদের দলের একজন স্টাফ জড়িত। যেহেতু বিষয়টি আমাদের কর্মীদের সঙ্গে জড়িত, তাই এই ব্যাপারে সংশ্লিষ্ট সকলের সঙ্গে কথা বলবে ক্লাব।’

মুম্বাই ইন্ডিয়ান্স ও রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরু হয়ে বর্তমানে চাহাল খেলছেন রাজস্থান রয়্যালসে। চলতি আসরে এখন পর্যন্ত চার ম্যাচে তার শিকার ১১ উইকেট।

এসএইচ-৩৫/১২/২২ (স্পোর্টস ডেস্ক)

ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রীকে জরিমানা

লকডাউন ভেঙে মদের আসর বসানোয় ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসনকে জরিমানা গুণতে হচ্ছে। মঙ্গলবার এ তথ্য নিশ্চিত করেছে ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রীর বাসভবন ১০নং ডাউনিং স্ট্রিট। তবে কত ইউরো জরিমানা করা হয়েছে তা উল্লেখ করেনি তারা।

করোনাভাইরাস মহামারির মধ্যে আরোপিত লকডাউনের বিধিনিষেধ লঙ্ঘন করে ২০২০ সালের মে মাসে সরকারি বাসভবন ১০ নম্বর ডাউনিং স্ট্রিটে বেশ কয়েকটি পার্টি করেছিলেন প্রধানমন্ত্রী বরিস। এ নিয়ে জনগণ ও বিরোধী রাজনীতিকদের তীব্র সমালোচনার মুখে পড়েন তিনি। এ জন্য তিনি ক্ষমাও চেয়েছেন।

এরই মধ্যে বিষয়টি নিয়ে তদন্তে নামে ব্রিটিশ পুলিশ স্কটল্যান্ড ইয়ার্ড। ডেইলি মেইল জানিয়েছে, প্রায় চার মাসের তদন্ত শেষে মঙ্গলবার বরিসকে জরিমানার সুপারিশ করেছে স্কটল্যান্ড ইয়ার্ড। বরিস ছাড়া জরিমানা গুণতে হবে অর্থমন্ত্রী ঋষি সুনাকসহ আরও অন্তত ৩০ জনকে।

ব্রিটিশ মেট্রোপলিটন পুলিশ বলছে, পার্টিতে অংশগ্রহণকারী অন্তত ৩০ জনকে ৫০ ইউরো করে জরিমানা করে নোটিশ পাঠানো হয়েছে। তবে বরিসকে ঠিক কত ইউরো জরিমানা করা হয়েছে সে ব্যাপারে বিস্তারিত কোনো তথ্য দেয়নি পুলিশ কিম্বা ১০ নং ডাউনিং স্টিটের কেউই।

করোনা বিধিনিষেধ ভেঙে মদপার্টির আয়োজন নিয়ে এমনিতেই বেশ চাপের মুখে আছেন প্রধানমন্ত্রী বরিস। বিরোধী এমনকি নিজ দলের মধ্য থেকেই তার পদত্যাগের দাবি উঠেছে। জরিমানার খবর তাকে চাপের মুখে ফেলবে বলে মনে করছেন বিশ্লেষকরা।

করোনা মহামারির কারণে আরোপ করা লকডাউনের মধ্যে আয়োজিত পার্টির যে দু’টি ঘটনা নিয়ে সবচেয়ে বেশি বিতর্কের সৃষ্টি হয়েছে সেটি ২০২০ সালের মে ও জুন মাসের। যুক্তরাজ্যজুড়ে সে সময় লকডাউন চলছিল। সংক্রমণ রুখতে জনসমাবেশ ও পার্টিসহ সবকিছুর ওপরই সেসময় নিষেধাজ্ঞা জারি ছিল।

করোনা সংক্রমণ রুখতে ব্রিটিশ সরকারের নিয়ম অনুযায়ী, সে সময় সর্বোচ্চ মাত্র দু’জন বাড়িতে মিলিত হতে পারতেন। ওই বছর ২০ মে ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রীর সরকারি বাসভবন ১০ নম্বর ডাউনিং স্ট্রিটে ৪০ জনকে নিয়ে গার্ডেন পার্টি করেছিলেন বরিস।

পার্টিতে অংশ নিতে ই-মেইলের মাধ্যমে আমন্ত্রণ জানানো হয় অতিথিদের। সেই ই-মেইলে ‘ব্রিং ইওর ওন অ্যালকোহল’ (নিজের মদ নিজে আনো) উল্লেখ করে গার্ডেন পার্টির আয়োজন করেছিলেন জনসন। এরপর একই বছরের জুন মাসে জন্মদিনের পার্টিও করেন তিনি। সেখানে ৩০ জন আমন্ত্রিত অতিথি উপস্থিত ছিলেন। তারা সবাই জনসনের জন্মদিনের হ্যাপি বার্থডে গানে সুর মেলান এবং পরে তাদের সবাইকে কেক পরিবেশন করা হয়।

জনসনের এই জন্মদিন পার্টির খবর ফাঁস করে স্থানীয় টিভি চ্যানেল আইটিভি। চ্যানেলটি জানায়, জন্মদিনের এই পার্টি যখন আয়োজন করা হয়েছিল জনসন তখনও ক্যারি সাইমন্ডসকে বিয়ে করেননি। ক্যারিই ২০২০ সালের ১৯ জুন জনসনের ৫৬তম জন্মদিনের পার্টির আয়োজন করেন। ৩০ জন কর্মী সেই পার্টিতে যোগ দিয়েছিলেন।

এসএইচ-৩৪/১২/২২ (অনলাইন ডেস্ক)