বিকাল ৩:১৯
রবিবার
২৮ শে এপ্রিল ২০২৪ ইংরেজি
১৫ ই বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
১৯ শে শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী
spot_img

রোনালদো তদন্তের মুখে!

য়্যুভেন্তাস ছেড়ে ইংলিশ জায়ান্ট ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডে পাড়ি দেওয়া ক্রিস্টিয়ানো রোনালদোকে তদন্তের মুখে পড়তে হতে পারে। তুরিনের ক্লাবটিতে গত সপ্তাহে পুলিশের অভিযানের পর এ তথ্য উঠে এসেছে ইতালিয়ান সংবাদ মাধ্যম লা গাজেতা দেলো স্পোর্টের প্রতিবেদনে।

এ বছরের ২৭ আগস্ট রোনালদোকে কেনার কথা জানায় ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড। অভিযোগ উঠেছে, দল ত্যাগের আগে রোনালদো য়্যুভেন্তাসের সঙ্গে যে সম্মতিতে পৌঁছেন সেখানে রয়েছে গড়মিল। ফেয়ার প্লের নীতির ঝামেলা এড়াতে তথ্য গোপন করে তুরিনের বুড়িরা। তাই ওল্ড লেডিদের ডেরায় হানা দিয়েছে পুলিশ। এখন রোনালদোকে ঘিরে তদন্ত শুরুর অপেক্ষা, পর্তুগিজ তারকাকে বিভিন্ন প্রশ্ন করবে তদন্তকারীরা!

স্প্যানিশ সংবাদ মাধ্যমের তথ্যমতে, তদন্ত সংশ্লিষ্টরা রোনালদোর দল বদলের ব্যাপারে সবিস্তার জানতে খুবই আগ্রহী। করোনাভাইরাসের সময়টাতেও নাকি পর্তুগিজ তারকাকে নীতির বাইরে গিয়ে অর্থ যোগান দিয়েছে য়্যুভেন্তাস। এখন তাই তোপের মুখে রয়েছে সিরি আয় সর্বোচ্চ লিগ জয়ী ক্লাবটি।

উল্লেখ্য, গত ২৭ আগস্ট দুই বছরের চুক্তিতে ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডে যোগ দেন রোনালদো। এর আগেও ম্যানইউতে পদধূলি পড়েছে তার। ১৮ বছর বয়সেও আরেকবার ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডে যোগ দিয়েছিলেন তিনি। ওই মেয়াদে ইংলিশ ক্লাবটির জার্সিতে ২৯২ ম্যাচে ১১৮ গোল করেছিলেন পর্তুগিজ মহাতারকা। জিতেছিলেন ৯টি শিরোপা।

রোনালদোকে দলে ভেড়ানোর ইঙ্গিতটা প্রথম দিয়েছিলেন ইউনাইটেডের সদ্য সাবেক কোচ ওলে গানার সোলশায়ার। বলেছিলেন, লাল দূর্গে পেতে চান সিআর সেভেনকে। এজেন্ট হোর্হে মেন্ডিস নয়, ক্রিস্টিয়ানোর সঙ্গে নাকি সরাসরি মধ্যস্থতা করেছেন তারই স্বদেশি ব্রুনো ফার্নান্দেজ। সোলশায়ার বলেন, রোনালদোর সঙ্গে আমাদের সবসময়ই দারুণ সম্পর্ক ছিল। ব্রুনো ওর সঙ্গে যোগাযোগ করছে। রোনালদো জানে আমরা ওর ব্যাপারে কি ভাবছি।

ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড থেকে রিয়াল মাদ্রিদ হয়ে য়্যুভেন্তাসে যান রোনালদো। ২০১৭ সালে স্প্যানিশ ক্লাব রিয়াল মাদ্রিদ ছেড়ে য়্যুভেন্তাসে পাড়ি জমান রোনালদো। ইতালির ক্লাবটির হয়ে ঘরোয়া শিরোপা জিতলেও চ্যাম্পিয়ন্স লিগ জয় করতে পারেননি।

এসএইচ-২০/০৪/২১ (স্পোর্টস ডেস্ক)

ক্ষমা না চাইলে পাকিস্তানের সাথে কূটনৈতিক সম্পর্ক রাখা অর্থহীন

বাংলাদেশের সঙ্গে কূটনৈতিক সম্পর্ক ধরে রাখতে হলে পাকিস্তানকে গণহত্যার জন্য আনুষ্ঠানিকভাবে ক্ষমা চাইতে হবে৷ নয়তো ওই দেশের সঙ্গে কূটনৈতিক সম্পর্ক ধরে রাখার দরকার নেই বলে মনে করেন বিশ্লেষকরা৷

১৯৭১ সালের মহান মুক্তিযুদ্ধের সময় বাংলাদেশে ভয়াবহ গণহত্যার দায় স্বীকার করে পাকিস্তান এখনো ক্ষমা চায়নি৷ বাংলাদেশের পাওনা সম্পদও ফেরত দেয়নি৷ বরং অনেক বিষয়ে এখনো বাংলাদেশের বিরুদ্ধেই দেশটির অবস্থান৷ যুদ্ধাপরাধী ও স্বাধীনতাবিরোধী শক্তিকে প্রকাশ্যেই মদত দিয়ে যাচ্ছে৷ বাংলাদেশে পাকিস্তান দূতাবাসের বিরুদ্ধে জঙ্গি তৎপরতায় সহায়তার অভিযোগও আছে৷

১৯৭৪ সালে বাংলাদেশকে স্বীকৃতি দেয় পাকিস্তান, তারপর দেশটির সঙ্গে বাংলাদেশের কূটনৈতিক সম্পর্ক স্থাপিত হয়৷ তবে কূটনীতিক, আন্তর্জাতিক সম্পর্কের বিশ্লেষক ও মুক্তিযোদ্ধার সন্তানদের অভিমত এই পাকিস্তানের সঙ্গে কূটনৈতিক সম্পর্ক রাখার কোনো মানে হয় না৷ তবে দেশটি যদি গণহত্যার দায় স্বীকার করে সেদেশের যুদ্ধাপরাধীদের বিচারে সহায়তা ও একাত্তরের জন্য বাংলাদেশের কাছে ক্ষমা প্রার্থনা করে সত্যিকার অর্থে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্কে আগ্রহ দেখায় তাহলে আলাদা কথা৷

বাংলাদেশ সরকার বার বার একাত্তরের গণহত্যার জন্য পাকিস্তানকে প্রকাশ্যে ক্ষমা চাওয়ার আহ্বান জানিয়েছে৷ দেশে ও দেশের বাইরে বাংলাদেশি নাগরিকরাও বার বার এই দাবি তুলছেন। এমনকি পকিস্তানের নাগরিকদের একাংশও বাংলাদেশের কাছে ক্ষমা চাইতে তাদের সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে৷

গত ৭ জানুয়ারি বাংলাদেশের পক্ষ থেকে পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলম পাকিস্তানকে আবারো আনুষ্ঠানিকভাবে ক্ষমা চাইতে বলেন৷ ঝুলে থাকা দ্বিপাক্ষিক বিষয়গুলোরও সুরাহা করতে বলেন৷ বাংলাদেশে পাকিস্তানের নবনিযুক্ত রাষ্ট্রদূত ইমরান আহমেদ সিদ্দিকী পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রীর সাথে সৌজন্য সাক্ষাৎ করতে গেলে তিনি এই বিষয়গুলো তুলে ধরেন৷

সর্বশেষ টি-টোয়েন্টি সিরিজের অনুশীলনের সময় বাংলাদেশের মাঠে পাকিস্তানের ক্রিকেটাররা কোনো অনুমতি ছাড়াই তাদের জাতীয় পতাকা উত্তোলন করেন৷ বিষয়টি বাংলাদেশে ব্যাপক প্রতিক্রিয়ার সৃষ্টি করে৷ ‘মুক্তিযুদ্ধ মঞ্চ’ নামে মুক্তিযোদ্ধাদের সন্তানদের একটি সংগঠন এর প্রতিবাদে নানা কর্মসূচি পালন করে৷ সংগঠনটির সভাপতি আমিনুল ইসলাম বুলবুল বলেন, ‘‘আমরা পাকিস্তারের সাথে কূটনৈতিকসহ সব ধরনের সম্পর্ক ছিন্ন করার দাবি জানিয়ে আসছি৷ আমরা ৩০ লাখ মুক্তিযোদ্ধার রক্ত, দুই লাখ মা-বোনের সম্ভ্রমের বিনিময়ে স্বাধীনতা পেলাম৷ কিন্তু সেই পরাজিত পাকিস্তান এখনো বাংলাদেশের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র চালিয়ে যাচ্ছে৷ তারা এখনো বাংলাদেশকে মেনে নিতে পারছে না৷ এই দেশে তাদের সহযোগীরা এখনো আছে৷ তাদের সাথে মিলে ষড়যন্ত্র চালিয়ে যাচ্ছে৷’’

বাংলাদেশ স্বাধীন হওয়ার পর পাকিস্তান নানাভাবে মুসলিম বিশ্বকে দেশ হিসেবে বাংলাদেশকে স্বীকৃতি না দেয়ার জন্য প্রভাবিত করেছে৷ তারা বিভিন্ন আন্তর্জাতিক ফোরামে বাংলাদেশের বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়েছে৷ সাম্প্রতিক বছরগুলোতে বাংলাদেশে জঙ্গি তৎপরতায় জড়িয়ে পড়েছিলেন পাকিস্তান দূতাবাসের দুই কূটনীতিক৷ শহীদ বুদ্ধিজীবী ডা. আলিম চৌধুীর কন্যা ড. নজুহাত চৌধুরী বলেন, ‘‘বাংলাদেশের পাকিস্তান দূতাবাস পাকিস্তানি গোয়েন্দা আইএসআই-এর অফিসে পরিণত হয়েছে৷ তারা এখানে বসে নানা অপতৎপরতা চালাচ্ছে৷ বাংলাদেশে পাকিস্তনি দূতাবাস রাখার কোনো মানে হয় না৷ দুটি দেশের সাথে কূটনৈতিক সম্পর্ক থাকবে এটাই স্বাভাবিক৷ কিন্তু পাকিস্তানের কথা আলাদা৷ তারা এই দেশে জেনোসাইড-এর জন্য দায়ী৷ তাই তাদের সবার আগে ক্ষমা চাইতে হবে৷ কিন্তু তারা তো ক্ষমা চায়নি৷ তারা প্রতিশ্রুতি দিয়েও পাকিস্তানি সেনাবাহিনীর যারা এই জেনোসাইডে জড়িত তাদের বিচার এখনো করেনি৷ উল্টো বাংলাদেশের বিরুদ্ধে কাজ করছে৷ এ ধরনের দুষ্ট রাষ্ট্রের সাথে কোনো ধরনের সম্পর্ক রাখার বিরোধী আমি৷’’

বাংলাদেশে যুদ্ধপরাধের বিচার শুরু হওয়ার পর পাকিস্তান সেটা বানচালের নানা ষড়যন্ত্র করেছে৷ তারা তাদের এদেশীয় দোসরদের বাঁচাতে পাকিস্তানের পার্লামেন্টে নিন্দা প্রস্তাব এনেছে৷ শুধু তাই নয়, সেখানকার রাস্তায় যুদ্ধাপরাধীদের সমর্থনে মিছিলও হয়েছে৷

একাত্তরের ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটির নির্বাহী সভাপতি ও মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক গবেষক শাহরিয়ার কবির মনে করেন, ‘‘পাকিস্তানের সঙ্গে পাকিস্তানি যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের জন্য সীমিত পর্যায়ে কূটনেতিক সম্পর্ক রাখা প্রয়োজন৷ কিন্তু বাংলাদেশে তাদের এত বড় দূতাবাসের কোনো দরকার নেই৷’’

তিনি বলেন, ‘‘গণহত্যার প্রধান অপরাধী পাকিস্তান৷ পাকিস্তান এখনো তাদের বিচার করেনি৷ কিন্তু আমরা পারি৷ মানবতাবিরোধী অপরাধের বিচারের জন্য আমাদের যে আন্তর্জাতিক ট্রাইব্যুনাল আছে, সেখানে তাদের বিচার করা যায়৷ আর পাকিস্তানকে আমাদের ক্ষমা চওয়ার জন্য চাপ দিতে হবে৷ গণহত্যার স্বীকৃতি আদায় করতে হবে৷ আমাদের পাওনা সম্পদ এখনো তারা ফেরত দেয়নি৷ সেটা ফেরত দিতে হবে৷’’

শাহরিয়ার কবির আরো বলেন, ‘‘এসব না করে উল্টো তারা (পাকিস্তান) বাংলাদেশবিরোধী তৎপরতায় লিপ্ত৷ তাদের দূতাবাস জঙ্গিদের মদত দেয়৷ স্বাধীনতাবিরোধী এবং যুদ্ধাপরাধীদের পক্ষে কাজ করে৷’’

বাংলাদেশ বার বার আহ্বান জানালেও পাকিস্তান এখনো ক্ষমা না চাওয়ার ব্যাপারে অনঢ়৷ ২০০৯ সালে পকিস্তানের দূত আলী বাসার খান দেখা করতে এলে তখনকার পররাষ্ট্রমন্ত্রী ডা. দীপু মনির সাথে পাকিস্তানকে আনুষ্ঠানিকভাবে বাংলাদেশের কাছে ক্ষমা চাইতে বলেন৷ কিন্তু আলী বাসার বলেন, ‘‘পকিস্তান ক্ষমা চাইবে না৷’’

গত অক্টোবরে ঢাকায় পাকিস্তান দূতবাসের ওয়েবসাইটে বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস বিকৃত করে একটি ভিডিও প্রচার করা হয়৷ ৯ অক্টোবর ঢাকায় পাকিস্তান রাষ্ট্রদূতকে ডেকে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এর প্রতিবাদ জানালে তারা ভিডিওটি সরিয়ে ফেলে৷

২০১৯ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে পাকিস্তানের একটি অফিসিয়াল ওয়েবসাইটে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে নিয়ে কটুক্তি করা হয়৷

গণহত্যার জন্য বিশ্বের বিভিন্ন দেশ ক্ষমা চাইলেও একাত্তরের গণহত্যার জন্য পাকিস্তানের এখনো ক্ষমা না চাওয়ার বিষয়ে সাবেক পররাষ্ট্র সচিব মো. তৌহিদ হোসেন বলেন, ‘‘পাকিস্তানের সব ধরনের পাঠ্যপুস্তকে বাংলাদেশের অভ্যুদয় এবং মুক্তিযুদ্ধকে বিকৃতভাবে উপস্থাপন করা হচ্ছে, অপব্যাখ্যা দেয়া হয়েছে৷ ফলে সেখানকার যারা নতুন প্রজন্ম, তারা বাংলাদেশ সম্পর্কে একটি ভুল ধারণা নিয়ে বড় হচ্ছে৷’’

তিনি বলেন, ‘‘তারা যদি সত্যিকার অর্থে ক্ষমা প্রার্থনা করতো, অনুতপ্ত হতো, তাহলে এই কাজগুলো করতো না৷ জাপানিরা ক্ষমা চেয়েছে৷ জার্মানি অহরহ ইহুদিদের ওপর অত্যাচারের জন্য ক্ষমা প্রার্থনা করে যাচ্ছে৷ ক্ষমা চাইলে কেউ ছোট হয়ে যায় না৷ এটা পাকিস্তানিদের বোঝানো কঠিন৷’’

তিনি মনে করেন, ‘‘এখন আওয়ামী লীগ ক্ষমতায়৷ আওয়ামী লীগের একটি নীতিগত জায়গা আছে৷ সেখানে তারা ছাড় দেবে না৷ পাকিস্তানকে ক্ষমা চাওয়ানোর ব্যাপারে তারা অনঢ়৷’’

আন্তর্জাতিক সম্পর্কের অধ্যাপক ড. ইমতিয়াজ আহমেদ মনে করেন, ‘‘পাকিস্তান সরকার এখন বাংলাদেশের নানা ধরনের উন্নয়নের প্রশংসা করলেও আসল জায়গায় তাদের মনোভাবের পরিবর্তন আসেনি৷ তারা এখনো আনুষ্ঠানিকভাবে ক্ষমা চায়নি৷ বাংলাদেশে যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের সময় তারা তাদের পার্লামেন্টে হইচই করলো৷ তবে তাগিদ বা প্রয়োজন পাকিস্তানের৷ আমাদের তেমন কোনো প্রয়োজন নেই৷ তাই পাকিস্তান যদি চায় তাহলে তাদের মনোভাবে পরিবর্তন আনতে হবে৷’’

তিনি বলেন, ‘‘তারা আমাদের পাওনাও ফেরত দেয়নি৷ আমরা কিন্তু স্বাধীনতার পর যুক্তরাষ্ট্রের খাদ্য সহায়তা বাবদ ঋণের আমাদের অংশ ফেরত দিয়েছি৷’’

পাকিস্তান সরকারের ওপর তারপরও চাপ প্রবল হচ্ছে৷ আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের কাছে দাবি জানানো হচ্ছে পাকিস্তান যাতে বাংলাদেশে গণহত্যার জন্য আনুষ্ঠানিকভাবে ক্ষমা চায়৷ চলতি মাসেই নেদারল্যান্ডসের হেগ শহরে আয়োজিত একটি সম্মেলন থেকে এই দাবি জানানো হয়৷ ইউরোপভিত্তিক প্রবাসী বাংলাদেশিদের সংগঠন ইউরোপিয়ান বাংলাদেশ ফোরাম (ইবিএফ) সুইজারল্যান্ড মানবাধিকার কমিশন বাংলাদেশের সহযোগিতায় আয়োজিত সম্মেলনে একাত্তরের গণহত্যার জন্য বাংলাদেশের জনগণের কাছে নিঃশর্ত ক্ষমা চাইতে পাকিস্তান সরকারকে চাপ দিতে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের কাছে দাবি জানানো হয়৷ সম্মেলনে বক্তারা বলেন, একাত্তরের গণহত্যাকে স্বীকৃতি দিয়ে ৩০ লাখ শহিদ ও তাদের পরিবারের সদস্যদের প্রতি সম্মান প্রদর্শন একান্ত প্রয়োজন৷ মানবাধিকার লঙ্ঘনমুক্ত বিশ্ব গঠন এবং বিশ্বজুড়ে পরবর্তী প্রজন্মের নিরাপত্তার জন্য গণহত্যার স্বীকৃতি অপরিহার্য৷ বিশ্ব সম্প্রদায় যদি কোনো অপরাধকে অপরাধ হিসেবে স্বীকৃতি না দেয়, তাহলে ভবিষ্যতে সেই অপরাধ পুনরায় ঘটানোর দরজা খোলা থাকে৷

এদিকে স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তীতে বিশ্বের ৫০টি দেশের পাকিস্তান দূতাবাসে ১৯৭১ সালের মহান মুক্তিযুদ্ধে গণহত্যার জন্য ক্ষমা চাওয়ার দাবি জানিয়ে পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানকে স্মারকলিপি দিয়েছে বিশ্বব্যাপী প্রবাসীদের সংগঠন বাংলাদেশ প্রবাসী অধিকার পরিষদ৷

পাকিস্তানকে ক্ষমা চাওয়ার জন্য মুক্তিযোদ্ধা মঞ্চ ঢাকায় এই ডিসেম্বরে নিয়মিত কর্মসূচি পালন করছে৷

এসএইচ-১৯/০৪/২১ (হারুন উর রশীদ স্বপন, ডয়চে ভেলে)

বাংলাদেশ থেকে নিরাপত্তারক্ষী নেবে মালয়েশিয়া

বাংলাদেশ থেকে নিরাপত্তারক্ষী নিয়োগ করতে যাচ্ছে মালয়েশিয়া। নেপালের পর এই খাতে দ্বিতীয় দেশ হিসেবে দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার দেশটিতে কর্মী পাঠাতে যাচ্ছে বাংলাদেশ।

বৃহস্পতিবার কুয়ালালামপুরে বাংলাদেশ হাইকমিশনে বাংলাদেশের সেনা কল্যাণ সংস্থা এবং মালয়েশিয়ান সিকিউরিটি ইন্ডাস্ট্রি অ্যাসোসিয়েশন (পিআইকেএম) এ বিষয়ে একটি সমঝোতা স্মারক (এমওইউ) সই করেছে।

পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের একজন কর্মকর্তা গতকাল শুক্রবার দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, ‘২০১৮ সালেই একটি সমঝোতা স্মারক সই হয়েছিল। কিন্তু তখন বাংলাদেশ থেকে নিরাপত্তারক্ষীদের মালয়েশিয়ায় নিয়োগ করা যায়নি। কারণ তৎকালীন মাহাথির মোহাম্মদের নেতৃত্বাধীন সরকার বাংলাদেশ থেকে কর্মী নিয়োগের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছিল।’

তিনি জানান, নিরাপত্তারক্ষীর অভাবে থাকা মালয়েশিয়া বাংলাদেশ, ইন্দোনেশিয়া ও ফিলিপাইন থেকে এই খাতে কর্মী নিয়োগ দিতে চায়। প্রশিক্ষণ ও দক্ষতা দেখে পিআইকেএম বাংলাদেশকে বেছে নেয়।

তিনি আরও জানান, সেনা কল্যাণ সংস্থার প্রশিক্ষণ ও নিয়োগের কাজ দক্ষতার সঙ্গে পরিচালনার জন্য প্রশিক্ষণ সুবিধা এবং আন্তর্জাতিক নিয়োগ সংস্থা হিসেবে লাইসেন্স রয়েছে।

নিয়োগ পদ্ধতি, সুবিধা এবং নিয়োগ শুরুর সময় এখনও চূড়ান্ত হয়নি। তবে মালয়েশিয়ায় নিরাপত্তারক্ষীর তীব্র ঘাটতি থাকায় শিগগির নিয়োগ শুরু হবে বলে জানান তিনি।

পিআইকেএম সভাপতি রামলি ইউসুফ মালয়েশিয়ার অনলাইন নিউজ পোর্টাল মালয়েশিয়াকিনিকে বলেছেন, মালয়েশিয়ার স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সম্প্রতি বলেছে যে তারা বাংলাদেশ, ইন্দোনেশিয়া এবং ফিলিপাইন থেকে গার্ড আনার বিষয়ে বিবেচনা করতে পারে।

পিআইকেএম শুধুমাত্র বাংলাদেশের নাম সুপারিশ করে। এর কারণ হিসেবে রামলি বলেন, ‘যখন সেখানে (বাংলাদেশে) ট্রেনিং স্কুল দেখতে গিয়েছিলাম, আমরা দেখেছি কীভাবে তারা ৩ মাস ধরে প্রশিক্ষিত হয়েছে। আমাদের মনে হয়েছে তারাই সেরা।’

রামলি জানান, পিআইকেএম মালয়েশিয়া সরকারকে দ্রুত অনুমোদন দিতে আহ্বান জানিয়েছে। কারণ, গত বছর করোনা মহামারি শুরু হওয়ার পর থেকে অনেকেই চাকরি ছেড়ে দেওয়ায় নিরাপত্তারক্ষীর ঘাটতি রয়েছে।

তিনি আরও জানান, নেপালি নিরাপত্তারক্ষীদের এখানে ১০ বছর পর্যন্ত কাজ করার অনুমতি দেওয়া হয়েছে। তাদের মধ্যে অনেকেই বাড়িতে ফিরে যেতে চাইছেন এবং নতুন করে অভিবাসী শ্রমিক আসার ওপর নিষেধাজ্ঞায় পরিস্থিতি অবনতি হয়েছে।

তিনি বলেন, ‘আমাদের প্রায় ৪০ হাজার নেপালি নিরাপত্তারক্ষী ছিল। এই সংখ্যা ১০ হাজার থেকে ১৫ হাজারে নেমে এসেছে।’

‘আমরা চাই এই শূন্য পদগুলোতে সরকার বাংলাদেশি নিরাপত্তারক্ষী আনুক।’

নেপাল ও বাংলাদেশ থেকে যে নিরাপত্তারক্ষী নেওয়া হচ্ছে তাদের জন্য তুলনামূলক খরচ সম্পর্কে জানাতে অস্বীকৃতি জানান রামলি। তিনি জানান, এটি একটি ‘বিষয়ভিত্তিক বিষয়’, যা এখনও আলোচনাধীন।

তিনি আরও জানিয়েছেন, তাদের নাগরিকরা এই শূন্যপদে যোগ দিতে আগ্রহী নয়।

মালয়েশিয়াকিনির প্রতিবেদন মতে, অন্যান্য ‘নোংরা, বিপজ্জনক এবং কঠিন’ কাজের মতোই এই খাতেও অভিবাসী শ্রমের ওপর নির্ভর করতে চাচ্ছে দেশটি।

এসএইচ-১৭/০৪/২১ (প্রবাস ডেস্ক)

অমিক্রন নিয়ে আতঙ্কিত হওয়ার কিছু নেই, বলছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা বলছে করোনাভাইরাসের নতুন ভ্যারিয়েন্ট অমিক্রনের বিষয়ে আতঙ্কিত হওয়ার কিছু নেই, তবে এটি মোকাবেলার জন্য প্রস্তুত থাকতে হবে।

সংস্থাটির শীর্ষ বিজ্ঞানী সৌম্য সোয়ামীনাথন শুক্রবার এক সম্মেলনে বলেছেন, এখনকার পরিস্থিতি এক বছর আগের চেয়ে একেবারেই ভিন্ন।

খবরে বলা হচ্ছে বিশ্বের প্রায় ৪০টি দেশে অমিক্রন পাওয়া গেছে।

নতুন এই ভ্যারিয়েন্ট অনেক বেশি পরিবর্তিত হলেও এটি আগেরগুলোর চেয়ে বেশি সংক্রমণশীল এবং কোভিড টিকাকে ফাঁকি দিতে পারে কি না – এসব বিষয়ে এখনও পরিষ্কার হওয়া যায় নি।

এই ভাইরাসটি দক্ষিণ আফ্রিকায় প্রথম শনাক্ত করা হয়। দেশটির বিজ্ঞানীরা এর পরই এই ভ্যারিয়েন্টের ব্যাপারে বিশ্বকে সতর্ক করে দেন।

প্রাথমিক বিশ্লেষণে বলা হয় – কোভিড-১৯ প্রতিরোধে মানবদেহের যে ক্ষমতা, নতুন এই অমিক্রন ভ্যারিয়েন্ট তাকে হয়তো অকার্যকর করে দিতে পারে। তবে বিশেষজ্ঞরা একথাও উল্লেখ করেছিলেন যে এই বিশ্লেষণের ব্যাপারে তারা নিশ্চিত নন।

ড. সোয়ামীনাথন দক্ষিণ আফ্রিকার তথ্য বিশ্লেষণ তুলে ধরে বলেন এই ভ্যারিয়েন্ট “অতি সংক্রমণশীল” এবং সারা বিশ্বে এই ভ্যারিয়েন্ট প্রাধান্য বিস্তার করতে পারে- যদিও এসব আগে থেকে ধারণা করা কঠিন।

তিনি বলেন, সারা বিশ্বে বর্তমানে যেসব সংক্রমণ ঘটছে তার ৯৯%-জন্য দায়ী ডেল্টা ভ্যারিয়েন্ট।

“আমাদের কতোটা উদ্বিগ্ন হওয়া উচিত? আমাদের প্রস্তুত ও সতর্ক থাকা প্রয়োজন, আতঙ্কগ্রস্ত হওয়ার কারণ নেই। কারণ আমরা এখন এক বছর আগের চেয়ে ভিন্ন অবস্থানে আছি,” বলেন তিনি।

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার জরুরি কার্যক্রমের পরিচালক মাইক রায়ান বলেছেন, কোভিড-১৯ মোকাবেলায় বর্তমানে যেসব টিকা রয়েছে সেগুলো “অত্যন্ত কার্যকর” এবং এখন আমাদের সারা বিশ্বে আরো বিস্তৃতভাবে টিকা সরবরাহ করার ব্যাপারে মনোযোগ দিতে হবে।

নতুন ভ্যারিয়েন্ট অমিক্রনের কারণে এসব টিকাতে পরিবর্তন ঘটাতে হবে – এমন ধারণার পক্ষে কোনো তথ্য প্রমাণ নেই।

অমিক্রন ভ্যারিয়েন্ট মোকাবেলায় বিশ্বের অনেক দেশ ইতোমধ্যে আফ্রিকার দক্ষিণাঞ্চলীয় কয়েকটি দেশের ওপর ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে।

যুক্তরাষ্ট্রের কর্মকর্তারা সব আন্তর্জাতিক যাত্রীদের সেদেশে প্রবেশের ক্ষেত্রে ভ্রমণের আগের একদিনের মধ্যে কোভিড টেস্ট বাধ্যতামূলক করেছে। নতুন ভ্যারিয়েন্ট মোকাবেলায় ভ্রমণের ওপর কঠোর বিধিনিষেধ আরোপের মধ্যেই যুক্তরাষ্ট্র এই সিদ্ধান্তের কথা ঘোষণা করেছে।

এর মধ্যেই যুক্তরাষ্ট্রের ছ’টি রাজ্যে অমিক্রনের সংক্রমণ শনাক্ত করা হয়েছে। সংক্রমণের অন্তত দুটো ঘটনা ঘটেছে ভারতেও।

ভারতীয় কর্মকর্তারা বলছেন, তাদের একজন দক্ষিণ আফ্রিকার নাগরিক যিনি সেদেশ থেকে ভারতে এসেছিলেন এবং ইতোমধ্যে ভারত ছেড়ে চলেও গেছেন। আরেকজন দক্ষিণাঞ্চলীয় শহর বেঙ্গালুরুর একজন ডাক্তার। তিনি কোথাও গিয়েছিলেন কি না সেবিষয়ে কোনো তথ্য নেই।

নতুন ভ্যারিয়েন্ট আসার সাথে সাথে ইউরোপের দেশগুলোতেও সংক্রমণ বেড়ে গেছে।

জার্মানিতে যারা এখনও টিকা নেয়নি তাদের চলাচলের ওপরে কিছু বিধিনিষেধ আরোপ করা হয়েছে। যারা টিকা নিয়েছেন কিম্বা কোভিড থেকে সম্প্রতি সেরে উঠেছেন শুধুমাত্র তারাই রেস্তোরাঁ, সিনেমা এবং অনেক দোকানপাটে যেতে পারবেন।

জার্মান চ্যান্সেলর আঙ্গেলা মের্কেল বলেছেন, টিকা নেওয়াকে ফেব্রুয়ারি মাসের মধ্যে বাধ্যতামূলক করা হতে পারে।

প্রতিবেশি দেশ অস্ট্রিয়াতে ১লা ফেব্রুয়ারি থেকে টিকা নেওয়া বাধ্যতামূলক করা হয়েছে। বেলজিয়াম ও নেদারল্যান্ডসেও ভাইরাসের বিস্তার ঠেকাতে বেশ কিছু বিধিনিষেধ আরোপ করা হয়েছে।

এই পরিস্থিতিতে যুক্তরাজ্যের স্বাস্থ্য কর্মকর্তারা বুস্টার টিকা দেওয়ার গতি আরো দ্রুত করার ওপর জোর দিচ্ছেন। তারা বলছেন, জানুয়ারি মাসের মধ্যেই প্রাপ্তবয়স্ক সবাইকে বুস্টার টিকা দেওয়া হবে।

এসএইচ-১৭/০৪/২১ (অনলাইন ডেস্ক, সূত্র : বিবিসি)

নিউজিল্যান্ড সফরে যাবে বাংলাদেশ, খেলতে চান না সাকিব

আসন্ন নিউজিল্যান্ড সফরে ছুটি চেয়েছেন সাকিব আল হাসান। শনিবার এক সংবাদ সম্মেলনে এই তথ্য জানিয়েছেন বিসিবি সভাপতি নাজমুল হাসান পাপন।

বিসিবি বস বলেন- মৌখিকভাবে নয়, আনুষ্ঠানিকভাবে ছুটি চাইতে হবে সাকিবকে। এরপর বোর্ড এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত জানাবে।

এর আগে, বছরের শুরুতেও নিউজিল্যান্ড সফরে ছিলেন না সাকিব। ইনজুরি ও পিতৃত্বকালীন ছুটিতে থাকায় মার্চে তিনটি করে ওয়ানডে ও টি-২০ ম্যাচের সিরিজে ছিলেন না তিনি।

এ ছাড়া হ্যামস্ট্রিংয়ের ইনজুরির কারণে টি-২০ বিশ্বকাপের শেষ দুটি ম্যাচ মিস করেছেন অভিজ্ঞ এ ক্রিকেটার। খেলতে পারেননি পাকিস্তানের বিপক্ষে প্রথম টেস্টও। ইনজুরি কাটিয়ে দ্বিতীয় টেস্টের দলে ফিরেছেন। তবে এই একটি টেস্ট পর আবারো সাকিবকে পাওয়া যাবে না।

আগামী ৮ ডিসেম্বর শেষ হবে ঢাকা টেস্ট। এরপরের দিনই নিউজিল্যান্ডের উদ্দেশে যাত্রা করবে টাইগাররা। নিউজিল্যান্ড সফরের দুটি ম্যাচই টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের অন্তর্ভুক্ত।

নিউজিল্যান্ড সবসময় কঠিন সফর। যেখানে কোনো জয় নেই বাংলাদেশ দলের। এবার তামিম-সাকিবের অনপুস্থিতিতে টেস্টে বড় চ্যালেঞ্জই অপেক্ষা করছে মুমিনুলদের জন্য। মাহমুদউল্লাহ রিয়াদও বিদায় বলে দিয়েছেন টেস্টকে।

এসএইচ-১৬/০৪/২১ (স্পোর্টস ডেস্ক)

বিচ্ছেদের ঘোষণা স্বামীর, পূজা বলছেন-কিছু জানেন না

কণ্ঠশিল্পী বাঁধন সরকার পূজা ও মডেল অর্ণব অন্তু ভালোবেসে বিয়ে করেন ২০১৭ সালের ১ ফেব্রুয়ারি। দু’জনের দাম্পত্য জীবন ভালো-মন্দ মিলিয়ে ঠিকই চলছিল। কিন্তু আচমকাই বিচ্ছেদের ঘোষণা দিলেন অন্তু।

শুক্রবার ফেসবুকে অন্তু লেখেন, ‘মহানের কাছে সুস্থ এবং সুন্দর জীবনের কামনা করে আমাদের সাংসারিক যাত্রা আমার পক্ষ থেকে এখানেই ইতি টানলাম। ভালো থেকো।’

কিন্তু অবাক করার বিষয়, এ বিষয়ে কিছুই জানেন না গায়িকা পূজা। শুধু তাই নয়, দুজনের মধ্যে ঝামেলা কিংবা বিচ্ছেদ সংক্রান্ত কোনো আলাপও হয়নি। গতকালও তাদের স্বাভাবিক কথা হয়েছে বলে দৈনিক আমাদের সময় অনলাইনকে জানান পূজা।

তিনি বলেন, ‘ভার্চুয়ালি কোনো স্ট্যাটাস দিলেই সেটা সত্য হয়ে যায় না। বাস্তব জীবনে এর কোনো সত্যতা নেই। গতকাল সন্ধ্যায়ও ওর সঙ্গে আমার কথা হয়েছে। আমি এগুলো কিছু জানি না। শুধু আমিই না, আমার বা ওর পরিবারের কেউও জানে না।’

সম্প্রতি দুজনের মধ্যে কোনো ঝামেলা বা কথা কাটাকাটি হয়েছে কিনা জানতে চাইলে পূজা বলেন, ‘ঝামেলার প্রশ্নই আসে না। কিছু দিন আগেও তো ওর মিউজিক ভিডিওতে আমি ছিলাম। এখন ও কেন এমন স্ট্যাটাস দিল আর ওর মনের মধ্যে কী চলছে; আমি জানি না। হয়তো ও (অন্তু) এরকম কিছু চাচ্ছে, কিন্তু আমাকে বলতে পারছে না। কিন্তু স্ট্যাটাস দিলেই তো সব সমাধান হয়ে যায় না।’

পূজা আরও বলেন, ‘আমি এখনো পর্যন্ত বিবাহিত। আমাদের মধ্যে কিছুই হয়নি। আর এখন যদি ও থাকতে না চায়, তাহলে পারিবারিকভাবে বসুক। আইনগতভাবে সব শেষ হোক।’

পূজা জানান, ফেসবুকে স্ট্যাটাস দেওয়ার পর থেকে নিজের মোবাইল ফোন বন্ধ করে রেখেছেন অর্ণব অন্তু। এমনকি পূজাও তার সঙ্গে আর যোগাযোগ করতে পারছেন না।

এসএইচ-১৫/০৪/২১ (বিনোদন ডেস্ক)

নিয়মিত চড় খেলে বাড়বে ত্বকের সৌন্দর্য!

ত্বকের সৌন্দর্য বাড়াতে গিয়ে নাজেহাল অনেকেই। কেউ প্রাকৃতিক উপায়ে ত্বক কোমল ও নমনীয় রাখার চেষ্টা করেন। আবার কেউ ময়েশ্চারাইজিং ক্রিম বা প্রসাধনী ব্যবহার করেন। অনেক সময় তাতেও কাজ হয় না। বিভিন্ন রকমের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়াও হয়। তবে ত্বকের এই সৌন্দর্য বৃদ্ধির একটি নতুন কৌশলের কথা বলছেন বিশেষজ্ঞরা।

তাদের মতে, নিয়মিত চড় খেলেই নাকি বাড়বে ত্বকের সৌন্দর্য। এই কৌশলের নাম দেওয়া হয়েছে ‘স্ল্যাপ থেরাপি’ বা চড় থেরাপি। এটি ব্যাপক জনপ্রিয় কোরিয়ায়।

এই থেরাপির শুরু কোরিয়াতেই। তবে চড় খুব বেশি জোরে মারা যাবে না। প্রয়োজন অনুযায়ী, নার্ভ বুঝে মারতে হবে। এজন্য হাতের তালু দিয়ে চড় মারতে হবে। তবেই কাজ হবে।

কিন্তু এই চড় থেরাপিতে আসলেই কাজ হয় কিনা- সে প্রশ্ন অনেকেরই। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এভাবে মৃদু চড় খেলে রক্ত সঞ্চালন ভালো হয়। এতেই ত্বকের সৌন্দর্য বাড়ে।

শুধু চড় নয় হালকা চিমটি কাটাও ভালো। এতে ত্বক টানটান থাকে। কুঁচকে যায় না। অনেকে এই থেরাপি ‘অ্যান্টি এজিং ট্রিটমেন্ট’ হিসেবে ব্যবহার করেন। এখন আর শুধু কোরিয়ায় এই থেরাপি সীমাবদ্ধ নয়। বিশ্বে এটি ছড়িয়ে পড়েছে। অনেকেই এ পদ্ধতি অবলম্বন করছেন।

সৌন্দর্য বজায় রাখা মোটেও সহজ কাজ নয়। এর জন্য অনেক কিছুই করতে হয়। কেউ পার্লারের দ্বারস্থ হন, কেউ আবার ঘরোয়াভাবে চেষ্টা করেন। এক্ষেত্রে চড় থেরাপি ব্যবহার করলে অবশ্যই সতর্ক থাকতে হবে।

এসএইচ-১৪/০৪/২১ (অনলাইন ডেস্ক)

সাকিবকে নিয়েই নিউজিল্যান্ড সফরের দল ঘোষণা

নিউজিল্যান্ড সফরে দুই টেস্ট ম্যাচের জন্য ১৮ সদস্যের দল ঘোষণা করেছে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি)।

আসন্ন এই সফরে বাংলাদেশ দল থেকে বাদ পড়েছেন সাইফ হাসান ও রেজাউর রহমান রাজা। তবে ছুটি চাইলেও এই সফরের দলে রাখা হয়েছে সাকিব আল হাসানকে।

যদিও সাকিব খেলতে কি না সে বিষয়ে পরে সিদ্ধান্ত নিবে বোর্ড।

শনিবার বিকেল সাড়ে পাঁচটার দিকে এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে দল ঘোষণা করে বোর্ড। দলে ডাক পেয়েছেন ইনজুরি থেকে ফেরা পেসার শরিফুল ইসলাম।

নিউজিল্যান্ড সফরের দল :

মমিনুল হক (অধিনায়ক), সাদমান ইসলাম, নাজমুল হোসেন শান্ত, মুশফিকুর রহিম, সাকিব আল হাসান, লিটন দাস, নুরুল হাসান সোহান, ইয়াসির আলী রাব্বি, মেহেদি হাসান মিরাজ, তাইজুল ইসলাম, তাসকিন আহমেদ, আবু জায়েদ চৌধুরি রাহী, এবাদত হোসেন, শরিফুল ইসলাম, সৈয়দ খালেদ আহমেদ, শহিদুল ইসলাম, মাহমুদুল হাসান জয় ও নাঈম শেখ।

এসএইচ-১৩/০৪/২১ (স্পোর্টস ডেস্ক)

রোববার ভিন্ন রকম আন্দোলন শিক্ষার্থীদের

সড়কে মৃত্যু ও অব্যবস্থাপনার প্রতিবাদে ঢাকার রামপুরায় লাল কার্ড প্রদর্শন করে আন্দোলন করেছে শিক্ষার্থীরা। আজ শনিবার তারা এ কর্মসূচি পালন করে।

এ সময় রোববার ভিন্নরকম কর্মসূচির ঘোষণা দেওয়া হয়। কর্মসূচি অনুযায়ী সড়কে ব্যঙ্গচিত্র প্রদর্শন করবে তারা।

শিক্ষার্থীরা জানায়, সড়কে মৃত্যু, অব্যবস্থাপনা ও দুর্নীতির বিরুদ্ধে তাদের এই কর্মসূচি। আন্দোলনে নেতৃত্ব দেওয়া খিলগাঁও মডেল কলেজের শিক্ষার্থী সোহাগী সামিয়া বলে, ‘কাল দুপুর ১২টায় রামপুরা ব্রিজের ওপর মানববন্ধন করব। মানববন্ধনে আমরা সড়কের অব্যবস্থাপনার সঙ্গে যারা সংশ্লিষ্ট, তাদের প্রতি ব্যঙ্গচিত্র প্রদর্শন করব। এ ছাড়া আমাদের অভিভাবকসহ সব মানুষকে আমরা আহ্বান জানাচ্ছি, কালকের কর্মসূচিতে একাত্মতা প্রকাশ করার জন্য।’

গত ২৯ নভেম্বর রাত পৌনে ১১টার দিকে রাজধানীর রামপুরা এলাকায় অনাবিল পরিবহনের বাসের চাপায় মাইনুদ্দিন নামে এক শিক্ষার্থী নিহত হয়। এ ঘটনায় রাতে সড়ক অবরোধ করে উত্তেজিত জনতা।

এ সময় বেশ কয়েকটি বাসে আগুন দিয়ে ভাঙচুর করা হয়। এ ঘটনায় বাসচালক সোহেলকে গণপিটুনি দিয়ে পুলিশে সোপর্দ করে স্থানীয়রা। পরে বাসের সুপারভাইজার ও হেলপারকেও গ্রেপ্তার করা হয়।

এসএইচ-১২/০৪/২১ (ন্যাশনাল ডেস্ক)

ফুলের শুভেচ্ছায় সিক্ত হলেন মেয়র লিটন

জাতীয় চার নেতার অন্যতম শহীদ এ.এইচ.এম কামারুজ্জামানের সুযোগ্যপুত্র রাজশাহী সিটি কর্পোরেশনের মেয়র এ.এইচ.এম খায়রুজ্জামান লিটন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য মনোনীত হওয়ায় সিটি কর্পোরেশনের পক্ষ থেকে বর্ণিল আয়োজনে বরণ ও ফুলেল শুভেচ্ছা জানানো হয়েছে।

আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য মনোনীত হওয়ার পর শনিবার সকালে নগর ভবনে আসেন সিটি মেয়র। এ সময় সিটি কর্পোরেশনের কাউন্সিলর ও কর্মকর্তারা রাসিক মেয়র এ.এইচ.এম খায়রুজ্জামান লিটনকে আনুষ্ঠানিভাবে বরণ করে নেন। এরপর কাউন্সিলর, কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের পক্ষ থেকে পৃথক পৃথকভাবে ফুলেল শুভেচ্ছা জানানো হয়। নগর ভবনের প্রধান ফটকে ফুলেল শুভেচ্ছা জ্ঞাপনের পর গান আর নৃত্যের তালে তালে নগর ভবনের ভেতরে নিয়ে যাওয়া হয় সিটি মেয়রকে।

এরপর মেয়র দপ্তরকক্ষে সিটি কর্পোরেশনের সকল বিভাগ ও শাখার কর্মকর্তা-কর্মচারীদের ফুলেল শুভেচ্ছায় সিক্ত হন রাসিক মেয়র খায়রুজ্জামান লিটন। সচিবালয় বিভাগ, প্রকৌশল বিভাগ, স্বাস্থ্য বিভাগ, রাজস্ব বিভাগ, হিসাব বিভাগ, পরিচ্ছন্ন বিভাগ ও সকল শাখার কর্মকর্তা-কমচারীরা পৃথক পৃথকভাবে সিটি মেয়রকে ফুলেল শুভেচ্ছা জানান। এরপর সেখানে এক সংক্ষিপ্ত মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়।

অনুষ্ঠানে আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য ও সিটি মেয়র এ.এইচ.এম খায়রুজ্জামান লিটন বলেন, সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ট বাঙালি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের হাতে গড়া দল বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ। উপমহাদেশের অন্যতম প্রাচীন ও বৃহত্তম দল। দলটি শাখা প্রশাখা বিস্তার করে সারাদেশে আনাছে কানাছে ছড়িয়ে পড়েছে। স্বাধীন একটি দেশ উপহার দিতে জাতির পিতা দলটি তিলে তিলে গড়ে তুলেছিলেন, তাঁরই কন্যা আওয়ামী লীগ সভাপতি ও মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনার হাতে আজকে আরো শাখা-প্রশাখা বিস্তার করে পুরো দেশে ছড়িয়ে পড়েছে। হয়তো উত্তরাঞ্চলের নেতৃত্বের শূণ্যতা পূরণ করায় জন্য মাননীয় প্রধানমন্ত্রী আমাকে সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য মনোনীত করেছেন। আমি দলীয় সভাপতি মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর প্রতি ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি।

তিনি আরো বলেন, আমার পিতা শহীদ এ.এইচ.এম কামারুজ্জামান বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের শীর্ষ দুটি পদে ছিলেন। স্বাধীনতার পূর্বে নিখিল পাকিস্তান আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ছিলেন। স্বাধীনতার পরে ১৯৭৪ সালে তাঁকে আওয়ামী লীগের সভাপতি করেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। আমার পিতা শহীদ এ.এইচ.এম কামারুজ্জামান অনেক উপরে যেতে পেরেছিলেন। তিনি তাঁর মেধা, যোগ্যতা, প্রজ্ঞা, দেশপ্রেম ও ভালোবাসা দিয়ে পুরো উত্তরাঞ্চসহ দেশের অনেক জায়গার মানুষের অন্তরে স্থান করে নিয়েছিলেন।

মেয়র আরো বলেন, রাজশাহী মহানগরীর ব্যাপক উন্নয়ন কাজ চলমান আছে। প্রায় তিন হাজার কোটি টাকার সমন্বিত নগর অবকাঠামো উন্নয়ন প্রকল্পের আওতায় ইতোমধ্যে এক হাজার কোটি টাকার কাজের টেন্ডার সম্পন্ন হয়েছে। আরো অনেক কাজ বাকি আছে, সেগুলো করতে হবে। নগরীতের প্রশস্ত সড়ক, ওয়ার্ডের অলি-গলি-পাড়ায় মহল্লায় রাস্তা ও ড্রেন নির্মাণ কাজ চলছে। উন্নয়ন কাজ শেষ হলে রাজশাহী হবে দেখার মতো একটি শহর।

তিনি আরো বলেন, গতকাল রাজশাহীতে শিক্ষামন্ত্রী এসেছিলেন। রাজশাহীতে কৃষি বিশ^বিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার বিষয়ে উনার সাথে কথা হয়েছে, এরআগে শিক্ষামন্ত্রীকে ডিও লেটার দেওয়া আছে। মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর কাছ থেকে অনুমোদন নিয়ে কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার ব্যাপারে উনাকে আবারো অনুরোধ জানিয়েছি। আশা করছি সেটি বাস্তবায়ন হবে। রাজশাহীতে মেডিকেল বিশ^বিদ্যালয়ের কাজ চলছে, বিসিক শিল্পনগরী-২ এর কাজ শেষ পর্যায়ে। কর্মসংস্থান ও শিল্পায়নে আমার প্রচেষ্টা অব্যাহত রেখেছি। আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য হওয়ায় রাজশাহীসহ উত্তরাঞ্চলের মানুষের কল্যানে আরো বেশি করে কাজ করার সুযোগ হলো। এ অঞ্চলের উন্নয়ন আরো বেশি তরান্বিত হবে আশা করি।

সভার সঞ্চালনা করেন রাজশাহী সিটি কর্পোরেশনের প্যানেল মেয়র-১ ও ১২নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর সরিফুল ইসলাম বাবু। অন্যদের মধ্যে বক্তব্য দেন ৫নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর মোঃ কামরুজ্জামান, ১৩নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর আব্দুল মমিন, প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা ড. এবিএম শরীফ উদ্দিন, রাসিকের কর্মচারী ইউনিয়নের সভাপতি দুলাল শেখ। অনুষ্ঠানে সিটি কর্পোরেশনের কাউন্সিলরবৃন্দ, কর্মকর্তা,কর্মচারীবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।

এদিকে নগর ভবনে দিনভর বিভিন্ন শ্রেণীপেশার মানুষের ফুলেল শুভেচ্ছা আর অভিনন্দনে সিক্ত হন আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য ও সিটি মেয়র এ.এইচ.এম খায়রুজ্জামান লিটন।

এসএইচ-১১/০৪/২১ (নিজস্ব প্রতিবেদক)