সন্ধ্যা ৬:২৯
বৃহস্পতিবার
৯ ই মে ২০২৪ ইংরেজি
২৬ শে বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
১ লা জ্বিলকদ ১৪৪৫ হিজরী
spot_img

স্বামীর চাইতে সম্পদে এগিয়ে শিরীন শারমিন চৌধুরী

জাতীয় সংসদের স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী তার স্বামী সৈয়দ ইশতিয়াক হোসেনের চেয়ে বাড়ি, গাড়ি, টাকা-পয়সা ও ডলারে অনেক বেশি সম্পদশালী। স্পিকারের দুটি গাড়ি থাকলেও স্বামীর একটিও নেই। প্রায় সব দলের অধিকাংশ প্রার্থীর বিরুদ্ধে মামলা থাকলেও তাদের দুজনের কারো বিরুদ্ধে কোনো মামলা হয়নি। তার স্বামী একজন ফার্মাসিউটিক্যাল কনসালটেন্ট। কাজ করছেন বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে।

অপরদিকে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয়ের গুরুত্বপূর্ন মন্ত্রী ওবায়দুল কাদের জানিয়েছেন তিনি স্ত্রীর ফ্ল্যাটে থাকেন। অন্য দিকে বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল আলমগীরের কোনো গাড়ি নেই। স্ত্রীর গাড়ি ব্যবহার করেন তিনি।

একাদশ সংসদ নির্বাচনে প্রার্থী হিসেব জমা দেয়া নিজ নিজ হলফনামা পর্যালোচনা করে এসব তথ্য পাওয়া গেছে। রংপুর -৬ (পীরগঞ্জ) আসন থেকে নির্বাচন করছেন স্পিকার। নির্বাচন কমিশনে জমা দেয়া হলফনামায় শিরীন শারমিন নিজেকে পিএইচডি (আইন) বলে উল্লেখ করেন। এ আসনে নির্বাচনের জন্য আওয়ামী লীগের সভানেত্রী ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাও মনোনয়ন তুলেছিলেন।

সংসদে জমা দেয়া স্পিকারের জীবনবৃত্তান্ত থেকে জানা যায়, তিনি নবম জাতীয় সংসদের স্পিকারসহ বাংলাদেশের ইতিহাসে প্রথম নারী স্পিকার হিসেবে ২০১৩ সালের ৩০ এপ্রিল নির্বাচিত হন। ৪৬ বছর বয়সে তিনি সর্বকনিষ্ঠ স্পিকাররূপে সাবেক স্পিকার ও বর্তমান রাষ্ট্রপতি আব্দুল হামিদের স্থলাভিষিক্ত হন। এর আগে তিনি মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করেন। ড. শিরীন ২০১৪ সালের ৯ সেপ্টেম্বর কমনওয়েলথ পার্লামেন্টারি এসোসিয়েশনের চেয়ারপার্সন নির্বাচিত হন।

হলফনামার তথ্য অনুযায়ী, স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীর নগদ ২৭ লাখ ৭২ হাজার ১৫৮ টাকা আর ৬ লাখ ৩০ হাজার টাকার (৭৭৮৪ ইউএস ডলার) সমপরিমাণ বৈদেশিক মুদ্রা রয়েছে। তার স্বামী ইশতিয়াকের কাছে কোনো বৈদেশিক মুদ্রা নেই। আর তার কাছে নগদ টাকা আছে ১০ লাখ ৮৯ হাজার ১৫৯ টাকা।

ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানে জমা রয়েছে ৭৭ লাখ ৯৩ হাজার ৭১১ টাকা। আর স্বামীর আছে মাত্র ৭ লাখ ১৩ হাজার ১৩৪ টাকা। তবে দুজনের একজনেরই কোনো ঋণ নেই। শিরীন শারমিন দুটি গাড়ির মালিক। যার মুল্য ৫৩ লাখ ৫০ হাজার টাকা। ইশতিয়াকের কোনো গাড়ি নেই।

পোস্টাল, সেভিংস সার্টিফিকেট বিভিন্ন সঞ্চয়পত্রসহ স্থায়ী আমানতে স্পিকারের বিনিয়োগ রয়েছে এক কোটি ১০ লাখ ২১ হাজার ৯৩৬ টাকা। আর স্বামীর রয়েছে ২১ লাখ ৭৫ হাজার।
আর ৩ লাখ ৪০ হাজার টাকার স্বর্ণালঙ্কার রয়েছে। স্বামীর ৩০ তোলা সোনা থাকলেও দাম জানা নেই বলে হলফনামায় উল্লেখ করা হয়েছে। এছাড়া স্পিকারের ইলেক্ট্রকিস সামগ্রীসহ আসবাবপত্র রয়েছে ১ লাখ টাকার। আর স্বামীর ৫০ হাজার টাকার।

স্পিকারের পাঁচটি বাড়ি/ফ্ল্যাট/এ্যাপার্টমেন্ট থাকলেও স্বামীর একটিও নেই। এছাড়া ওয়ারিশ সুত্র একটি বাড়ি ৫০ শতাংশের মালিক তিনি।

বছরে মোট ৭৩ লাখ ২১ হাজার ৭১০ টাকা আয় করেন। এর মধ্যে বাড়ি/এপার্টমেন্ট ভাড়া বাবদ আয় ৪৪ লাখ ২৫ হাজার টাকা, শেয়ার, সঞ্চয়পত্র ও ব্যাংক আমানতের সুদ বাবদ আয় ৩ লাখ ২০ হাজার ৮২৫ টাকা, পেশা (চারটি আয়ের খাত শিক্ষকতা, চিকিৎসা, আইন ও পরামর্শক) থেকে আয় ২৪ লাখ ৮৪ হাজার ২০ টাকা এবং অন্যান্য সুদ বাবদ খাতে আয় করেন ৯১ হাজার ৮৬৫ টাকা। হলফ নামায় স্বামীর এসব আয়ের ঘরে ‘নাই’ লেখা।

আগামী ৩০ ডিসেম্বর একাদশ সংসদ নির্বাচনের ভোট। এ নির্বাচনে মনোনয়নপত্র দাখিলের শেষ দিন ছিল ২৮ নভেম্বর। মনোনয়নপত্র বাছাই হচ্ছে আজ ৩ ডিসেম্বর। প্রার্থিতা প্রত্যাহার ৯ ডিসেম্বর আর প্রতীক বরাদ্দ ১০ ডিসেম্বর।

এসএইচ-১৭/০৩/১২ (অনলাইন ডেস্ক, তথ্য সূত্র : বিডি২৪লাইভ)

কোটা আন্দোলনকারীদের ‘তারুণ্যের ইশতেহার’

আসন্ন একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন উপলক্ষে সব রাজনৈতিক দলগুলোর উদ্দেশ্যে একটি ইশতেহার তৈরি করেছে কোটা আন্দোলনকানীদের সংসগঠন বাংলাদেশ সাধারণ ছাত্র অধিকার সংরক্ষণ পরিষদ।

সোমবার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদ ভবনের মুজাফফর আহমেদ চৌধুরী মিলনায়তনের সামনে ‘তারুণ্যের ইশতেহার ভাবনা-২০১৮’ প্রকাশনা অনুষ্ঠানে এ ইশতেহার ঘোষণা করা হয়।

ইশতেহারে প্রায় ৪৫টি দাবি রয়েছে। এরমধ্যে উল্লেখযোগ্য দাবিগুলো হচ্ছে-

তৃতীয় ও চতুর্থ শ্রেণির চাকরিতে কোটার যৌক্তিক সংস্কার আনতে হবে।

চাকরিতে আবেদনের বয়সসীমা ৩৫ করতে হবে। সবার জন্য অভিন্ন বয়সসীমা করতে হবে।

চাকরির আবেদনের ফি সম্পূর্ণ ফ্রি করতে হবে।

শিক্ষায় জিডিপির ৫ শতাংশ বা জাতীয় বার্ষিক বাজেটের ২০ শতাংশ বরাদ্দ দিতে হবে।

বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে সমন্বিত ভর্তি পরীক্ষা নিতে হবে। এছাড়া প্রশ্নফাঁসবিরোধী সেল গঠন করতে হবে।

বিশ্ববিদ্যালয়ে সান্ধ্যকালীন কোর্স বন্ধ করতে হবে। বিশ্ববিদ্যালয়ের বাজেটের ১০ শতাংশ গবেষণায় দিতে হবে, যার ৬ শতাংশ শিক্ষকদের জন্য এবং ৪ শতাংশ হবে ছাত্রদের জন্য।

উল্লেখ্য, সোমবার দুপুরেই বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে প্রস্তাবিত ইশতেহারটি হস্তান্তর করা হয়েছে। ক্ষমতাসীন দল আওয়ামী লীগ ও বিরোধী জোট জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের কাছেও শিগগিরই সেটি তুলে দেওয়া হবে বলে জানা গেছে।

বিএ-১২/০৩-১২ (ন্যাশনাল ডেস্ক)

ইসির বেঁধে দেয়া ব্যয়ের নিয়ম মানেন না প্রার্থীরা!

সংসদ নির্বাচনে প্রার্থীদের নির্বাচনি ব্যয় নির্ধারণ করা হয়েছে ভোটার প্রতি ১০ টাকা বা সর্বোচ্চ ২৫ লাখ টাকা৷ প্রজ্ঞাপনে এ কথা জানিয়েছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)৷ কিন্তু ইসির বেঁধে দেয়া এই ব্যয়ের নিয়ম কি প্রার্থীরা মানছেন?

নির্বাচন বিশ্লেষকরা বলছেন, এটা শুধুই লৌকিকতা৷ প্রার্থীরা যে হিসাব দেন, সেটাই মেনে নিচ্ছে নির্বাচন কমিশন বা ইসি৷ তাদের মনিটরিংয়ের কোনো ব্যবস্থাই নেই৷

ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ বা টিআইবির নির্বাহী পরিচালক ইফতেখারুজ্জামান বলেন, ‘‘প্রার্থীদের নির্বাচনি ব্যয় মূলত দু’ধরনের৷ একটা তাঁরা মনোনয়ন পাওয়ার পর যেটা খরচ করেন, সেটা চেষ্টা করলে মনিটরিং করা সম্ভব৷ আরেকটা হলো মনোনয়ন বাণিজ্য৷ বিপুল অংকের টাকা দিয়ে অনেক প্রার্থী মনোনয়ন কিনছেন৷ এটার হিসাব পাওয়া কঠিন৷ কারণ, যিনি টাকা দিচ্ছেন আর যিনি টাকা নিচ্ছেন – এর বাইরে কেউ তো সেটা জানতে পারছে না৷ ফলে এটা নিয়ে ধারণা করা যায়, কিন্তু নির্দিষ্ট করে বলা কঠিন৷ এটার পরিমাণ যে বিশাল, সেটা ধারণা থেকেই বলা যায়৷ এখন যেটা মনিটরিং করা সম্ভব, সেটাই তো করা হচ্ছে না৷’’

তিনি বলেন, ‘‘নির্বাচন কমিশন এখন পর্যন্ত এই ব্যয় নিয়ে কাউকে কখনো প্রশ্ন করেছে, এমন নজিরও নেই৷ টিআইবির পক্ষ থেকে এই ব্যয় নিয়ে প্রতি নির্বাচনের পরই রিপোর্ট তৈরি করা হয়৷ কিন্তু সেটাও যে নির্বাচন কমিশন গুরুত্বের সঙ্গে নেয়, তা-ও কিন্তু না৷ ফলে এখন প্রার্থীদের নির্বাচনি ব্যয়ের যে সীমারেখা দেয়া হয়েছে তা শুধুই লৌকিকতা মাত্র৷’’

সম্প্রতি রাজধানীতে ‘বাংলাদেশের রাজনৈতিক অর্থায়নে স্বচ্ছতা আনয়ন’ শীর্ষক এক গোলটেবিল আলোচনায় রাজনৈতিক নেতারা নির্বাচনি ব্যয় ২৫ লাখ টাকা থেকে আরো বাড়ানোর দাবি জানিয়েছেন৷ তাঁরা বলেছেন, নির্বাচন একটি উৎসব৷ সেই সঙ্গে ব্যয়বহুলও৷ প্রার্থী চাইলেও কম খরচ করতে পারেন না৷ এ কারণে সরকারের তরফ থেকেও নির্বাচনে প্রার্থীদের অনুদান দেয়ার দাবিও তোলেন অনেক রাজনীতিক৷ ইলেকশন ওয়ার্কিং গ্রুপ (ইডবিউজি) এই গোলটেবিলের আয়োজন করেছিল৷

ওই আলোচনায় আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুব-উল-আলম হানিফ বলেন, ‘‘নির্বাচন এখন ব্যয়বহুল৷ নির্দিষ্ট অর্থে নির্বাচন করা কঠিন৷ আমাদের যে নির্বাচনি ব্যয় বেঁধে দেয়া হয়েছে, তা পরিবর্তন করা দরকার৷’’ তিনি বলেন, ‘‘জাতীয় ঐকমত্য ছাড়া সরকারি অনুদানে নির্বাচন করা সম্ভব নয়৷ তাই ভালো উদ্যোগের ক্ষেত্রে দেশের সবার ঐকমত্য পোষণ করা উচিত৷’’

বিএনপির চেয়ারপার্সনের উপদেষ্টা, সাবেক শিক্ষামন্ত্রী ড. ওসমান ফারুক ওই আলোচনায় বলেন, ‘‘নির্দিষ্ট খরচ বেঁধে দিয়ে নির্বাচন হয় না৷ প্রার্থীর নির্বাচনি ব্যয় নির্ধারণ করে দিতে চাইলে অবশ্যই সেটা বাস্তবসম্মত হতে হবে৷ আমলারা এটা ঠিক করে দিলে হবে না৷ কারণ, তাঁরা রাজনৈতিক পরিমণ্ডলের খবর জানেন না৷’’ তিনি বলেন, ‘‘বাংলাদেশের নির্বাচন কমিশনে পর্যাপ্ত জনবল নেই৷ সে কারণে তারা যথাযথভাবে নির্বাচনি ব্যয় পর্যবেক্ষণ করতে পারেন না৷’’

জাতীয় পার্টি (জাপা)-র প্রেসিডিয়াম সদস্য জি এম কাদের বলেন, ‘‘নির্বাচনি ব্যয় ২৫ লাখ টাকা যৌক্তিক নয়৷ কোনো রাজনৈতিক দল নির্দিষ্ট খরচ দিয়ে দল পরিচালনা করতে পারে না৷ বিভিন্ন অনুদান নিয়েই দল পরিচালনা করতে হয়৷ নির্বাচনি খরচ হিসেব করে করা যায় না৷ এখানে অনেকগুলো বিষয় থাকে৷’’

রাজনৈতিক নেতারা যে এটা বাড়ানোর জন্য বলছেন এ সম্পর্কে জানতে চাইলে স্থানীয় সরকার বিশেষজ্ঞ ড. তোফায়েল আহমেদ বলেন, ‘‘এখনো তো বাড়ানো হয়নি৷ যতক্ষণ বাড়ানো হচ্ছে না, ততক্ষণ তো যেটা আছে সেটা মানতে হবে৷ আমি তো এটা কমানোর পক্ষে৷ কারণ, এখন নির্বাচনি খরচ এতই বেড়েছে যে, কোনো ভালো মানুষ, সৎ মানুষ নির্বাচনে আসতে সাহস করেন না৷ এটা একটা ব্যবসায় পরিণত হয়েছে৷ যে বেশি টাকা খরচ করতে পারবে, সে-ই মনোনয়ন পাবে – বিষয়টা এমন হয়েছে, যা কোনোভাবেই কাম্য নয়৷’’

জনাব আহমেদ পাল্টা প্রশ্ন করে বলেন, ‘‘এটা কেন দেয়া হয়? কে এটা মানে? কেনই বা মানবে? না মানলে কি কারো বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা নেয়া হয়? হয় না৷ তাই কেউ মানেন না৷ আর কেউ যদি এটা না মানেন, তাহলে সেটা ২৫ লাখই বা কি, ২৫ কোটিই বা কি? এখন পর্যন্ত নির্বাচন কমিশন থেকে প্রার্থীদের এটা মানানোর কোনো ব্যবস্থাও নেয়া হয়নি৷ এবারও কোনো উদ্যোগ নেই৷’’

আসলেই কি নির্বাচন কমিশন চাইলে প্রার্থীদের খরচ মনিটর করতে পারে? তাছাড়া কোনো প্রার্থীর পক্ষে আদৌ কি সম্ভব তাঁর খরচ ২৫ লাখ টাকার মধ্যে রাখা? পাশাপাশি নির্বাচন কমিশন তো বলছে, এত প্রার্থীকে মনিটরিংয়ের জন্য তাদের হাতে জনবল নেই৷ তাহলে কীভাবে তারা মনিটরিং করতে পারে?

এ সব প্রশ্নের জবাবে সাবেক নির্বাচন কমিশনার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) সাখাওয়াত হোসেন বলেন, ‘‘নির্বাচন কমিশনের হাতে জনবল নেই তো কী হয়েছে? সরকারের হাতে তো আছে৷ এখন যদি একটা জেলায় এডিসি রেভিনিউ-এর নেতৃত্বে আরো তিনজন দিয়ে দেন এবং একটি পরিপত্র জারি করে দেন যে, তাঁরা সব প্রার্থীর এজেন্টকে বলবে ‘ডিটেইলস’ হিসাব করে জানাতে হবে৷ এর জন্য আলাদা কোনো জনবলের প্রয়োজন নেই৷ একটা জেলায় ৩০-৩৫ জন ‘ফার্স্ট ক্লাস’ অফিসার আছেন৷

জেলা মৎস্য কর্মকর্তা, জেলা এগ্রিকালচার অফিসারসহ অনেক অফিসার আছেন৷ কেন তাঁদের কাজে লাগানো হচ্ছে না? এখন একটা টিম করতে হলে প্রয়োজনে উপজেলা থেকে অফিসার নিয়ে আসেন৷ আপনি চাইলে তো লোকের অভাব নেই৷ নির্বাচনে যে ৬ থেকে ১২ লাখ লোক লাগছে, সেটা কি নির্বাচন কমিশনের নিজস্ব জনবল? তারা তো সরকারের কাছ থেকেই এই জনবল নিচ্ছে৷ তাহলে এখানে সমস্যা কী?’’ তাই তিনি মনে করেন, প্রতিটি জেলায় ফাইনান্সিয়াল মনিটরিং টিম ছাড়া এটা কোনোভাবেই দেখভাল করা সম্ভব নয়৷

এবারও আগের মতোই প্রার্থীদের জামানত নির্ধারণ করা হয়েছে ২০ হাজার টাকা৷ নির্বাচন কমিশনের পক্ষ থেকে এটা ৫০ হাজার টাকা করার উদ্যোগ নিলেও শেষ পর্যন্ত বাস্তবায়ন হয়নি৷

নির্বাচন কমিশন থেকে পাওয়া তথ্য বিশ্লেষণ করে দেখা গেছে, এবার সার্বিক নির্বাচনি ব্যয় চার হাজার কোটি টাকা ছাড়িয়ে যাবে৷ প্রার্থীদের ন্যূনতম ব্যয়, ইভিএম প্রকল্পে বরাদ্দ, নির্বাচন কমিশন ও গোয়েন্দা সংস্থার ব্যয়, আনসারদের অতিরিক্ত ভাতা ও আনুষঙ্গিক কাজে বিপুল এ অর্থ খরচ হবে৷

সম্প্রতি ব্যয় প্রসঙ্গে নির্বাচন কমিশনের সচিব হেলালুদ্দীন আহমেদ সাংবাদিকদের বলেছেন, জাতীয় নির্বাচন পরিচালনা ও আইন-শৃঙ্খলার জন্য নির্বাচন কমিশন ৭৩২ কোটি টাকা ব্যয় অনুমোদন দিয়েছে৷ সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, ২০১৪ সালে এই ব্যয় ছিল ২৯৩ কোটি টাকা৷

সূত্র জানিয়েছে, ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিন (ইভিএম) প্রকল্পের আংশিক বাস্তবায়নে প্রায় ২ হাজার কোটি টাকা ব্যয় হবে৷ গোয়েন্দা সংস্থার প্রস্তুতিমূলক ব্যয় ৩০ কোটি টাকা, আনসারদের বর্ধিত ভাতায় ব্যয় হবে ২৪৩ কোটি টাকা৷

এছাড়া প্রার্থীদের দলীয় মনোনয়ন ফর্ম কিনতে ব্যয় হয়েছে ৩২ কোটি টাকা৷ এর মধ্যে আওয়ামী লীগ প্রার্থীদের খরচ হয় ১২ কোটি টাকা৷ দলটির ৪ হাজার মনোয়ন ফর্ম কিনেছেন প্রার্থীরা৷ সাড়ে ৪ হাজার ফর্ম কেনায় ১৩ কোটি টাকার বেশি ব্যয় হয়েছে বিএনপির প্রার্থীদেরও৷ জাতীয় পার্টির ফর্ম কিনেছেন ২ হাজার ৪১৮ জন প্রার্থী৷ এতে ব্যয় হয় প্রায় ৫ কোটি টাকা৷ এর বাইরে অন্য রাজনৈতিক দলের মনোনয়ন পেতে প্রার্থীদের ব্যয় হয়েছে দুই কোটি টাকার বেশি৷ এর বাইরেও প্রার্থীদের নির্বাচনি খরচ তো আছেই৷

এসএইচ-১৬/০৩/১২ (সমীর কুমার দে, ডয়চে ভেলে)

সনদ জমা না দিয়েও বৈধ মনোনয়নপত্র!

আসন্ন একাদশ জাতীয় নির্বাচনে প্রার্থীদের মনোনয়ন পত্র যাচাই-বাছাইয়ে বেশ সতর্ক ছিলেন প্রতিটি জেলার রিটার্নিং অফিসার। ঋণ খেলাপী, মনোনয়ন পত্র বা হলফ নামায় স্বাক্ষর না থাকা, ভোটারের সমর্থনে ভুয়া স্বাক্ষর, তথ্যগত ত্রুটি এবং মনোনয়ন যথাযথভাবে পূরণ না করার কারণে গণহারে প্রার্থীদের মনোনয়নপত্র বাতিল করেছেন নির্বাচন কমিশন।

মনোনয়ন যাচাইবাছাইয়ে বাতিল হওয়া প্রার্থীর তালিকায় সিংহভাগই ছিলেন বিরোধী দল, বিশেষ করে বিএনপি ও ঐক্যজোট প্রার্থী। তবে ক্ষমতাসীন দলের মহাজোটে থাকা বিকল্পধারার প্রার্থী শমসের মবিন চৌধুরী মতো ভাগ্যবান কয়েকজন মনোনয়ন পত্রে যথাযথ কাগজপত্র সংযোজন না করেও বহাল রয়েছেন।

দাখিলকৃত মনোনয়নপত্রে শমসের মবিন চৌধুরী শিক্ষাগত যোগ্যতা উল্লেখ করেছেন বিএ (সম্মান)। মনোনয়নপত্রে উল্লেখিত শিক্ষাগত যোগ্যতার সাথে সনদ সংযুক্ত করার নিয়ম থাকলেও তিনি সেটি সংযুক্ত করেননি। তবুও তার মনোনয়ন পত্র বৈধ হিসেবে গ্রহণ করেছে নির্বাচন কমিশন।

এর কারণ জানতে চাইলে সিলেটের রিটার্নিং অফিসার কাজী এমদাদুল ইসলাম গণমাধ্যমকে জানান, মনোনয়ন পত্রের সঙ্গে শিক্ষাগত যোগ্যতার সনদ যুক্ত করার বিধান থাকলেও শমসের মবিন চৌধুরী তা করেননি।

তবে সনদসনদ হারিয়ে গেছে এমন একটি জিডির কপি তিনি মনোনয়ন ফরমের সাথে যুক্ত করে দিয়েছেন। এরই ভিত্তিতে তার সনদ বৈধ হিসেবে গ্রহণ করা হয়েছে।

বিএ-১১/০৩-১২ (আঞ্চলিক ডেস্ক)

আপিল করতে এসে হিরো আলম যা বললেন

বগুড়া-৪ (কাহালু-নন্দীগ্রাম) আসনের স্বতন্ত্র প্রার্থী আশরাফুল ইসলাম আলম ওরফে হিরো আলম বলেছেন, এদেশের এমপি-মিনিস্টার চায় না আমরা পাবলিক এমপি মিনিস্টার হই। এরা অলটাইম চায়, এদের বউ, এদের ছেলে-মেয়ে এমপি হোক।

এরা আমাকে এমপি হতে দেবে না। এ জন্য ষড়যন্ত্র করে আমার মনোনয়নপত্র বাতিল করা হয়েছে। সোমবার নির্বাচন কমিশনে এসে আপিল দায়েরের পর সাংবাদিকদের তিনি এসব কথা বলেন।

হিরো আলম বলেন, আমার মনোনয়নপত্রে কোনো ভুল ছিল না। রিটার্নিং অফিসার বলেছেন ভোটারদের শতকরা ১ ভাগ ভোটারের দেয়া তথ্যতে ভুল আছে। তারা র‌্যানডমের ভিত্তিতে দশ জনকে বেছে নিয়েছিল। তাদের বিষয়ে খোঁজ-খবর নিয়ে রিটার্নিং কর্মকর্তা নাকি সাতজন রিয়েল পেয়েছে। তিনজন রিয়েল পায়নি। রাতের বেলায় যখন আমাকে কাগজ দেয় তাতে রিটার্নিং অফিসার লিখেছে ১০ ভোটারের দেয়া তথ্য সবই ভুল।

তিনি বলেন, আপনারা জানেন আমি জিরো থেকে হিরো। আর এই জায়গায় এসেছি আমি লড়াই করে। শেষ পর্যন্ত লড়াই করে যাব পাই বা না পাই। বীরের মতো লড়ব মাথা নত করব না।

প্রসঙ্গত, এইচ এম এরশাদের নেতৃত্বাধীন জাতীয় পাটির ‘লাঙ্গল’ মার্কার মনোনয়ন না পেয়ে বগুড়া-৪ আসনে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে মনোনয়নপত্র দাখিল করেন হিরো আলম। রোববার বগুড়ার রিটার্নিং কর্মকর্তা ও জেলা প্রশাসক ফয়েজ আহাম্মদ তাঁর মনোনয়নপত্র বাতিল করেন।

এসএইচ-১৫/০৩/১২ (বিনোদন ডেস্ক)

ধোনিকে ‘ছেড়ে গেলেন’ সাক্ষী!

ধোনিকে ছেড়ে চলে গেলেন সাক্ষী! শেষমেশ ধোনিকে সাক্ষীর পরিবর্তে হার্দিকের সঙ্গে ছবি তুলেই সন্তুষ্ট থাকতে হল। এমনই মজার ঘটনার সাক্ষী থাকল দীপবীরের বিয়ের মুম্বই রিসেপশন। দীপিকা পাডুকোন ও রণবীর সিংহ ইতালিতে গাটছড়া বাঁধার পর থেকেই সংবাদমাধ্যমের শিরোনামে।

দেশে ফিরেই একের পরে এক রিসেপশন পার্টিতে ব্যস্ত সেলেব যুগল। শনিবারেই ছিল দীপবীরের মুম্বই রিসেপশন পার্টি। সেখানে আমন্ত্রিত ছিলেন দেশের তাবড় সেলেব্রিটিরা। ধোনি, সচিন, হার্দিকের মতো তারকা ক্রিকেটারদের সঙ্গেই পার্টিতে দেখা গিয়েছে বলিউড দুনিয়ার শাহরুখ খান, অমিতাভ বচ্চনের মতো মহাতারকাদেরও।

যথারীতি, তারকাখচিত রাত্রে ধোনি অবশ্য আকর্ষণের কেন্দ্রবিন্দুতে ছিলেন। ফর্ম্যাল পোশাকে ধোনি ছিলেন মজার মেজাজে। এমন সময়েই চিত্রশিল্পীদের কাছ থেকে ধোনিকে পোজ দেওয়ার অনুরোধ করা হয়। ধোনির সঙ্গেই ছিলেন সাক্ষী ও হার্দিক।

তবে তিন জনে একসঙ্গে দাঁড়ানোর পরে সাক্ষীকে বলা হয়, তিনি ফ্রেমের বাইরে চলে যাচ্ছেন। হাসিমুখে এর পরে সকলকে অবাক করে দিয়েই সাক্ষী বেরিয়ে যান। বিস্মিত ধোনি ছবি তোলেন জাতীয় দলের সতীর্থ হার্দিকের সঙ্গে।

জাতীয় দলের সঙ্গে ওয়ান ডে’তে অস্ট্রেলিয়ায় খুব শীঘ্রই যোগ দেবেন মাহি। তার আগে দেশে প্রস্তুতিতে ব্যস্ত রয়েছেন তিনি। দীপিকার সঙ্গে ধোনির সম্পর্ক ছিল একসময়ে— দু’তারকাকে নিয়ে এমন জল্পনা এখনও রয়েছে। প্রাক্তন প্রেমিকার বিয়েতে গিয়েই কি না স্ত্রী-র কাছ থেকে এমন ‘ব্যবহার’!

এসএইচ-১৪/০৩/১২ (স্পোর্টস ডেস্ক, তথ্য সূত্র : এবেলা)

এবার আ.লীগ কার্যালয়ে কোটা আন্দোলনকারী নেতারা

রাষ্ট্র পুণর্গঠনের ইশতেহার নিয়ে বাংলাদেশ সাধারণ ছাত্র অধিকার সংরক্ষণ পরিষদের যুগ্ম আহব্বায়ক নুরুল হকের নেতৃত্বে ২৩ সদস্যে প্রতিনিধি দল আওয়ামী লীগের সভাপতির রাজনৈতিক কার্যালয়ে বিকাল চারটায় যাবেন।

এর আগে বিএনপি কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে সাধারণ ছাত্র অধিকার সংরক্ষণ পরিষদের যুগ্ম আহব্বায়ক ফারুক হাসনের নেতৃত্বে ১৮ সদস্য প্রতিনিধি দল ইশতেহারে তাদের দাবি গুলো নিয়ে আলোচনা করেন।

পরে প্রতিনিধি দলটি জাতীয় এক্যফ্রন্টের প্রধান ড.কামাল হোসেনের সাথেও সাক্ষাৎ করেন।

সাধারণ ছাত্র অধিকার সংরক্ষণ পরিষদের যুগ্ম আহব্বায়ক নুরুল হক নুরু এ প্রতিবেদক বলেন, এর আগে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদকে সাক্ষাৎ করার জন্য চিঠি দিয়েছি।

তার প্ররিপেক্ষিতে আওয়ামী লীগের সভাপতির রাজনৈতিক কার্যালয়ে যাচ্ছি। ধারাবাহিকভাবে আমরা সকল রাজনৈকিত দলের কাছে আমাদের দাবি তুলে ধরবো।

বিএ-১০/০৩-১২ (ন্যাশনাল ডেস্ক)

সাইফ পুত্র তৈমুরকে মুসলমান দানবের সঙ্গে তুলনা!

বোধশক্তি তৈরি হওয়ার আগেই স্পটলাইটে থেকে দমবন্ধ অবস্থা তৈমুর আলি খানের। যদিও তাকে নিয়ে যে এত হইচই, সে বিষয় তৈমুর অবহিত নয়। মাত্র দু’বছর বয়সেই ছেলের খ্যাতির বিড়ম্বনা নিয়ে কপালে ভাঁজ পড়েছে সাইফ আলি খান ও কারিনা কপূর খানের। এ বার সেই চিন্তা কয়েক গুণ বাড়িয়ে দিলেন ‘স্বরাজ্য’ নামক একটি ম্যাগাজিনের লেখিকা শেফালি বৈদ্য।

সম্প্রতি কেরলের একটি দোকানে বিক্রি হয় অবিকল তৈমুরের আদলে তৈরি একটি পুতুল। এমনকী, পুতুলটির সেই প্যাকেটেও তৈমুর নাম লেখা। তৈমুর পুতুলের জন্য ওই খেলনা প্রস্তুতকারক দোকানদারকে আইনি নোটিশ পাঠিয়েছেন সেফরিনা।

সেই পুতুলকে ঘিরেই হিন্দুত্ববাদী শেফালি বৈদ্য টুইট করেন, ‘‘এ ভাবেই এক মুসলমান ধর্মান্ধ দানবের ভাবমুর্তি পরিষ্কার করার চেষ্টা করা হচ্ছে।

যে এক সময়ে কোটি কোটি মানুষকে হত্যা করেছিল, মহিলা ও শিশুদের ধর্ষণ করেছিল এবং তাদের মাথার খুলি দিয়ে শুধুমাত্র বিনোদনের জন্য টাওয়ার তৈরি করত, তাকেই একটি মিষ্টি আদুরে পুতুলের রূপ দেওয়া হয়েছে। অবোধ ‘য়িন্দু’-রা (ব্যঙ্গ করে) এই পুতুল কিনে মেয়েদের দেবে। এখন এই পুতুলটি কলকাতার এক খেলনার দোকানে।’’

তৈমুরের নামকরণ হওয়ার পরেই কট্টর হিন্দুত্ববাদীরা সোশ্যাল মিডিয়ায় ছোট্ট শিশুকে বিঁধতে থাকে। আবারও তার পুনরাবৃত্তি দেখে চিন্তিত সেফরিনা।

প্রসঙ্গত, তৈমুর পুতুল নিয়ে বাড়াবাড়ি দেখে এবার শর্মিলা ঠাকুরও আসরে নেমেছেন। এক সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যমের প্রতিবেদন থেকে জানা গিয়েছে, এই বয়সে তৈমুরকে নিয়ে এত আলোচনা কীভাবে রোখা যায় তা নিয়ে চিন্তিত তিনি। শর্মিলা চান, আর পাঁচজন শিশুর মতোই বেড়ে উঠুক সে।

এসএইচ-১৩/০৩/১২ (বিনোদন ডেস্ক, তথ্য সূত্র : এবেলা)

বিএনপির কার্যালয়ে কোটা আন্দোলনের নেতা

তারুণ্যের ইশতেহার সকল রাজনৈতিক দলের কাছে হস্তান্তরের জন্য বাংলাদেশ সাধারণ ছাত্র অধিকার সংরক্ষণ পরিষদের প্রতিনিধি দল বিএনপি কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে গেছে। প্রতিনিধি দলের সকলেই বহুল আলোচিত কোটা আন্দোলনের নেতা।

সোমবার দুপুর পৌঁনে ২টায় কোটা আন্দোলনকারীর নেতা ও সাধারণ ছাত্র অধিকার সংরক্ষণ পরিষদের যুগ্ম আহবায়ক ফারুক হাসানের নেতৃত্বে ১৮সদস্যদের প্রতিনিধি দল নয়া পল্টনে যান।

কার্যালয়ে তারা এখন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর ও সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভীর সঙ্গে বৈঠক করছেন।

ফারুক হাসান এই প্রতিবেদককে জানান, আমরা বিএনপি কার্যালয় থেকে একটু পর ঐক্যফ্রন্ট কার্যালয়ের উদ্দেশ্যে রওনা হবো। পরে জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের প্রধান ড. কামাল হোসেনের সঙ্গে দেখা করব।

আমরা ইশতেহারে আমাদের দাবিগুলো তুলে ধরব।

বিএ-০৯/০৩-১২ (ন্যাশনাল ডেস্ক)

কামুক শিক্ষিকার ফাঁদে ক্লাসেরই ছাত্র

ক্লাসে কেউ না থাকলে আলাদা করে ছাত্রকে ডেকে নিয়ে যেতেন শিক্ষিকা। তার পরেই একান্তে ওই ছাত্রকে নিয়ে চলত লালসার খেলা। অবশেষে পুলিশি তদন্তেই বেড়িয়ে এল আসল সত্য।

আন্তর্জাতিক সংবাদসংস্থা ‘এপি’-তে প্রকাশিত একটি প্রতিবেদন অনুযায়ী, ছাত্রকে যৌন হেনস্থার অভিযোগে নর্থ ক্যারোলিনার বাসিন্দা এক শিক্ষিকাকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। অভিযুক্ত শিক্ষিকার নাম ব্রিয়ানা নিকোলা স্ট্যানলি।

অভিযোগ, দীর্ঘ দিন ভয় দেখিয়ে নিজের ক্লাসেরই বছর বারোর এক কিশোরের সঙ্গে যৌনতায় লিপ্ত হতেন ওই শিক্ষিকা।

ভয়ে ওই কিশোর প্রথমে কাউকে বলার সাহস না পেলেও, কয়েক দিন আগে বাড়িতে গোটা ঘটনাটি জানায়। ওই কিশোরের পরিবারের অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্তে নামে পুলিশ।

তদন্তে দোষী সাব্যস্ত হওয়ায়, বছর ২৩-এর ব্রিয়ানাকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। ইতিমধ্যে তাঁকে ওই স্কুল থেকেও বরখাস্ত করা হয়েছে। ঘটনার পরে থেকে প্রবল আতঙ্কে রয়েছে ওই কিশোরও।

এসএইচ-১২/০৩/১২ (অনলাইন ডেস্ক, তথ্য সূত্র : এবেলা)