সন্ধ্যা ৭:১৯
শুক্রবার
২৬ শে এপ্রিল ২০২৪ ইংরেজি
১৩ ই বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
১৭ ই শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী
spot_img

অবসর নেননি, মজা করেছেন গেইল

টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে শনিবার অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে ব্যাট করে যেভাবে তিনি মাঠ ছেড়েছিলেন, তাতে অনেকেই ধরে নিয়েছিল দেশের জার্সিতে হয়তো শেষ ম্যাচটিই খেলে ফেললেন ‘ইউনিভার্স বস’ ক্রিস গেইল।

অজিদের বিপক্ষে বিশ্বকাপে নিজেদের শেষ ম্যাচে ক্রিস গেইল ৯ বলে করেন ১৫ রান করে আউট হওয়ার পর ড্রেসিংরুমে ফেরার সময় ব্যাট উঁচিয়ে ধরেন। দর্শকদের উদ্দেশেও হাত নাড়ান গেইল।

সে সময় অনেকেই ধরে নিয়েছিলেন অবসরেই যাচ্ছেন ৪২ বছর বয়সী এই তারকা। ধারাভাষ্যকাররাও বলছিলেন, দেশের হয়ে শেষ ম্যাচটিই হয়তো খেলে ফেললেন গেইল। তার বয়সটাও যে এখন ৪২ পেরিয়ে ৪৩ চলছে। এ ছাড়া এই ম্যাচ দিয়েই উইন্ডিজদের হয়ে শেষবারের মতো জাতীয় দলের জার্সিতে খেলেন ডোয়াইন ব্রাভো।

তবে ক্যারিবিয়ান এই ব্যাটিং দানব জানালেন, এখনই অবসর নিতে চান না। দেশের হয়ে আরও একটি ম্যাচ খেলতে চান তিনি। আইসিসির এক ফেসবুক লাইভে গেইল বলেন, ‘আমি অবসরের ঘোষণা দেইনি, জ্যামেইকায় ঘরের মাঠের দর্শকদের সামনে একটা ম্যাচ খেলতে চাই। তাদের বলতে চাই, তোমাদের অনেক অনেক ধন্যবাদ।’

অবসরের ঘোষণা না দিলে সবশেষ ম্যাচে কেন এমনভাবে ব্যাট উঁচিয়ে ধরেছিলেন গেইল? তার জবাব, দর্শকদের সঙ্গে মজা করেই এমন করেছি। সবসময় তাদের আনন্দ দিতেই খেলি। দর্শকদের মজা দিতে না পারলে কষ্ট পান বলেও জানান তিনি।

ওয়েস্ট ইন্ডিজের জার্সিতে তিনি ১০৩টি টেস্ট, ৩০১টি ওয়ানডে ও ৭৯টি টি-টোয়েন্টি খেলেছেন। টেস্টে ৭ হাজার ২১৫, ওয়ানডেতে ১০ হাজার ৪৮০ ও টি-টোয়েন্টিতে এক হাজার ৮৯৯ রান করেছেন।

তিন ফরম্যাট মিলিয়ে তিনি সেঞ্চুরি করেছেন ৪২টি। এর মধ্যে ক্রিকেটের অভিজাত সংস্করণে ১৫টি, ওয়ানডেতে ২৫টি ও টি-টোয়েন্টিতে ২টি শত রানের ইনিংস রয়েছে তার।

এদিকে, ক্রিস গেইল অবসর না নিলেও ক্রিকেটকে বিদায় বলে দিয়েছেন তারই সতীর্থ ডোয়াইন ব্রাভো। অবসরের ঘোষণা দিয়ে ব্রাভো বলেন, ‘আমার মনে হয় সময়টা এসে গেছে। ক্যারিয়ারজুড়ে অনেক উত্থানপতন ছিল, তবে তারপরও ওয়েস্ট ইন্ডিজকে ১৮ বছর প্রতিনিধিত্ব করেছি। এই অঞ্চল ও ক্যারিবীয় মানুষের প্রতিনিধিত্ব করতে পেরে আমি কৃতজ্ঞ।’

উইন্ডিজদের হয়ে ৯১ টি-টোয়েন্টি খেলে ব্রাভো ব্যাট হাতে করেছেন ১২৪৫ রান। এ ছাড়া বল হাতে শিকার করেছেন ৭৮টি উইকেট।

এসএইচ-০৫/০৭/২১ (স্পোর্টস ডেস্ক)

পথশিশুদের নামে টাকা তুলে আত্মসাৎ, ধর্ষণ করা হতো কর্মীদের

পথশিশুদের সাহায্যের নামে টাকা তুলে করা হতো আত্মসাৎ। রাজধানীর ৬০ থেকে ৭০টি স্পট থেকে প্রতিদিন দেড় থেকে দুই লাখ টাকা উঠানো হতো। তবে এ টাকার ৭৫ ভাগ চলে যেতো প্রতিষ্ঠানটির চেয়ারম্যান আর মহাসচিবের পকেটে। বাকিটা স্বেচ্ছাসেবকদের।

অবশেষে গোয়েন্দা জালে ধরা পড়েছে প্রতিষ্ঠানটির দুই শীর্ষ কর্মকর্তা। শিশু কল্যাণের কথা বলে সাত বছর ধরে এমন প্রতারণা করে আসছিল প্রথম অক্ষর ফাউন্ডেশন।

অসহায় ও সুবিধাবঞ্চিত পথশিশুদের খাবারের জন্য অর্থ সহায়তা চাইছেন তরুণ রফিকুল আজাদ। প্রথম অক্ষর ফাউন্ডেশন নামের একটি সংগঠনের স্বেচ্ছাসেবক তিনি। একটি দলে থাকে চার থেকে পাঁচজন। শপিং মল, ট্রাফিক সিগনাল কিংবা বিভিন্ন সড়কে পথচারীদের কাছ থেকে টাকা তুলতে দেখা যায় তাদের।

২০১৪ সালে যাত্রা শুরু সংগঠনটির। উদ্দেশ্য ছিল পথশিশুদের তিনবেলা খাবার জোগানো। পরিকল্পনা অনুযায়ী শুধু রাজধানীতেই প্রায় ৬০০ স্বেচ্ছাসেবক নিয়োগ দেয় তারা। গুরুত্বপূর্ণ ৬০ থেকে ৭০টি স্পটে বিভিন্ন শ্রেণিপেশার মানুষের কাছ থেকে তোলেন টাকা।

প্রতিষ্ঠানটিতে কাজ করা স্বেচ্ছাসেবকদের দাবি, প্রতিদিন তাদের সংগৃহীত টাকার পরিমাণ প্রায় ২ লাখ। তবে এ টাকার এক পয়সাও খরচ হয় না পথশিশুদের পেছনে। প্রতিষ্ঠানটির চেয়ারম্যান ও মহাসচিবের পকেটে চলে যায় দুই তৃতীয়াংশ। বাকি টাকা ভাগ করে দেওয়া হয় স্বেচ্ছাসেবকদের।

এক তরুণ জানান, একেকটা বক্সে তিন থেকে চার হাজার টাকা কালেকশন হয়। সেখান থেকে আমরা অর্ধেক টাকা নিতাম। আবার সেখান থেকে অক্ষর ফাউন্ডেশনের মহাসচিব টাকা রেখে দিতেন।

তাদের দাবি, প্রতারণার বিষয়টি বুঝতে পেরে যারা সরে যেতে চেয়েছেন তাদের ওপরই নেমে এসেছিল নির্যাতনের খড়গ। প্রতিষ্ঠানটির চেয়ারম্যান ইমন চৌধুরী নারী স্বেচ্ছাসেবকদের মাসের পর মাস জোর করে অনৈতিক সম্পর্ক করতে বাধ্য করতেন।

অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে প্রথম অক্ষর অফিসে অভিযান চালিয়ে চেয়ারম্যান ও মহাসচিবকে গ্রেফতার করেছে গোয়েন্দা পুলিশ। কেউ তাদের চ্যালেঞ্জ করলে করা হতো মারধর। এ রকম কিছু ভিডিও এসেছে পুলিশের কাছে।

ঢাকা উত্তর গোয়েন্দা বিভাগের অতিরিক্ত উপ-পুলিশ কমিশনার কায়সার রিজভী কোরায়শী বলেন, নারী স্বেচ্ছাসেবক অনেকে ধর্ষণের অভিযোগ তুলেছেন। অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে ধর্ষণ ও চাঁদাবাজির মামলা হবে।

সাত বছরে কোটি কোটি টাকা পথশিশুদের নামে আত্মসাত করেছে কথিত প্রতিষ্ঠানটি। তাদের সম্পদের খোঁজে নেমেছে গোয়েন্দারা।

এসএইচ-০৪/০৭/২১ (ন্যাশনাল ডেস্ক)

নারী ইউএনওরাও যৌন হয়রানির শিকার

ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ (টিআইবি)-র করা এক জরিপে উঠে এসেছে, নারী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তারা (ইউএনও) দায়িত্ব পালন করতে গিয়ে অসহযোগিতা ও নানা প্রতিবন্ধকতা ছাড়াও যৌন হয়রানিরও শিকার হয়েছেন৷

তথ্যটি প্রকাশ করা হয় ‘স্থানীয় পর্যায়ে সুশাসন প্রতিষ্ঠায় উপজেলা নারী নির্বাহী কর্মকর্তার চ্যালেঞ্জ ও করণীয়’ শীর্ষক গবেষণা প্রতিবেদনে৷ বিভিন্ন দায়িত্ব পালনের সময় ৫ দশমিক ৭ শতাংশ ইউএনও যৌন হয়রানির শিকার হয়েছেন বলে জানায় টিআইবি৷

প্রতিবেদনটি ভার্চুয়াল সংবাদ সম্মেলনে উপস্থাপন করেন টিআইবির গবেষণা ও পলিসি বিভাগের প্রাক্তন ডেপুটি প্রোগ্রাম ম্যানেজার নাহিদ শারমীন৷

২০২০ সালের জুন মাসের তথ্যের ভিত্তিতে দেশের ৪৮৫টি উপজেলার মধ্যে ১৪৯টি উপজেলায় কর্মরত নারী ইউএনওকে জরিপের জন্য ইমেলে প্রশ্নপত্র পাঠানো হয়৷ তাদের মধ্যে ৪৫ জন জরিপে অংশ নেন৷ গুণগত তথ্য সংগ্রহ করার জন্য মুখ্য তথ্যদাতা হিসেবে নারী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা, জেলা প্রশাসক, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক, উপজেলা পর্যায়ে অন্যান্য সরকারি অফিসের কর্মকর্তা এবং প্রশাসন ক্যাডারের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের সরাসরি সাক্ষাৎকার নেওয়া হয় বলে সম্মেলনে জানান নাহিদ শারমীন৷

গবেষণার ফলাফলে দেখা যায়, উপজেলা পরিষদে সাচিবিক সহায়তা দিতে বেশিরভাগ ক্ষেত্রে নারী ইউএনওরা নির্বাচিত জনপ্রতিনিধি ও স্থানীয় রাজনীতিবিদদের কাছ থেকে আসা ‘অবৈধ আর্থিক সুবিধার’ কারণে অনুমোদন সংক্রান্ত চ্যালেঞ্জের মুখে পড়েন৷ ত্রাণ সামগ্রী বিতরণে অনিয়ম করতে চাপের মুখে পড়ার কথা জানিয়েছেন জরিপে অংশ নেওয়া ৩৪ দশমিক ৩ শতাংশ ইউএনও এবং ২০ শতাংশ জানিয়েছেন, অতিরিক্ত ত্রাণ সামগ্রীর জন্য সুপারিশ করতে বাধ্য করার কথা৷

এছাড়া ৩১ দশমিক ৪ শতাংশ উত্তরদাতা বিভিন্ন মহল থেকে ব্যয়ের যথার্থতা যাচাই না করার চাপ আসার কথা জানিয়েছেন৷ ২৮ দশমিক ৬ শতাংশ নারী ইউএনও ভুয়া ব্যয়ের বিল অনুমোদন এবং ২৫ দশমিক ৭ শতাংশ নারী ইউএনও উপজেলা পরিষদের ক্রয় সংক্রান্ত কাজে অনিয়ম করতে বাধ্য করার কথা বলেছেন৷

২৩ দশমিক ৫৪ শতাংশ নারী ইউএনও দায়িত্ব পালনে সহকর্মীদের পক্ষ থেকে এবং ৪০ দশমিক ৫ শতাংশ উপজেলা চেয়ারম্যানের ‘অসহযোগিতার’ সম্মুখীন হওয়ার কথা জানিয়েছেন জরিপে৷ এছাড়াও দুর্নীতিবিরোধী কাজের ক্ষেত্রে ‘প্রতিবন্ধকতা’ ‘অনৈতিক কাজের জন্য চাপ’, উপজেলা পরিষদের বিভিন্ন জনসেবামূলক কাজে বাধার সম্মুখীন হওয়া, সরকারের বিভিন্ন বিভাগের দপ্তরের সাথে সমন্বয়হীনতা ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনী থেকে অসহযোগিতা, জেলা প্রশাসন থেকে যথাসময়ে সহযোগিতা না পাওয়া, স্থানীয় সংসদ সদস্য, মন্ত্রী বা সচিবের ‘প্রভাব খাটানোর’ সহ নানা অভিযোগ করেছেন জরিপে অনেক ইউএনও৷

টিআইবির জরিপ বলছে, দুর্যোগ মোকাবিলায় চ্যালেঞ্জের সম্মুখীন হয়েছেন ৯৮ শতাংশ ইউএনও৷ করোনা পরিস্থিতি মোকাবেলায় চ্যালেঞ্জের সম্মুখীন হয়েছেন ৯১ শতাংশ নারী৷

এছাড়াও দুর্নীতির বিরদ্ধে পদক্ষেপ নিতে গেলে স্থানীয় প্রভাবশালী ব্যক্তি বা রাজনীতিবিদদের চাপের মুখে পড়েছেন ৪৮ দশমিক ৫ শতাংশ ইউএনও৷ ৫৯ দশমিক ৫ শতাংশ ইউএনও উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান, এমনকি সাংবাদিকের মাধ্যমেও চ্যালেঞ্জের সম্মুখীন হওয়ার কথা জানিয়েছেন জরিপে৷

আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর অসহযোগিতার কারণে ৫০ শতাংশ, স্থানীয় রাজনীতিবিদদের কারণে ৪৭ দশমিক ৬ শতাংশ , উপজেলা পরিষদের অন্যান্য সরকারি কর্মকর্তার দ্বারা ৪০ দশমিক ৫ শতাংশ, জেলা প্রশাসকের কারণে ৩৮ দশমিক ১ শতাংশ, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসকের কারণে ৪ দশমিক ৮ শতাংশ ও সাধারণ জনগণের কারণে ২৮ দশমিক ৬ শতাংশ ইউএনও চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি হওয়ার কথা উঠে এসেছে জরিপে৷

স্থানীয় পর্যায়ে সুশাসন প্রতিষ্ঠার ক্ষেত্রে নারী ইউএনওদের ভূমিকা আরও কার্যকর করতে আট দফা সুপারিশ করেছে টিআইবি৷

নারী ইউএনওদের প্রতি নেতিবাচক মনোভাব দূর করার জন্য উপজেলা পরিষদের জনপ্রতিনিধি ও উপজেলা পরিষদের অন্যান্য সরকারি কর্মকর্তাদের নিয়ে নারীর প্রতি সংবেদনশীল আচরণের ওপর প্রশিক্ষণের আয়োজন করা এবং সরকারি কর্মকর্তাদের এসিআরে জেন্ডার সংবেদশীলতাকে একটি সূচক হিসেবে রাখা দরকার৷

উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যানকে সাচিবিক সহায়তা দেওয়ার কাজে চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করার জন্য স্থানীয় সরকার বিভাগ থেকে ইউএনও এবং চেয়ারম্যানদের নিয়ে ওরিয়েন্টেশনের আয়োজন৷

দুর্নীতি প্রতিরোধে পদক্ষেপের জন্য নারী ইউএনওদের জেলা পর্যায়ে সম্মানিত করা এবং পুরস্কারের ব্যবস্থা রাখতে হবে৷ সংবাদমাধ্যমগুলোকে স্থানীয় পর্যায়ে সুশাসন প্রতিষ্ঠার জন্য যথাসাধ্য সঠিক সংবাদ প্রচারের মাধ্যমে ইউএনওর কার্যক্রম সম্পাদনের ক্ষেত্রে সহযোগিতা দিতে হবে৷

টিআইবির নির্বাহী পরিচালক ইফতেখারুজ্জামান সংবাদ সম্মেলনে বলেন, ‘‘দেশে কর্মরত উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাদের এক তৃতীয়াংশ নারী৷ আমাদের প্রশাসনিক, সামাজিক এবং রাজনৈতিক পরিবেশ জেন্ডার সংবেদনশীল নয়, বরং কোনো কোনো ক্ষেত্রে নারীর প্রতি বৈষম্যমূলক৷ নারী ইউএনওকে একজন মানুষ বা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা হিসেবে না দেখে মূলত নারী হিসেবে দেখার প্রবণতা প্রশাসনিক ও রাজনৈতিক মহলে পুরুষতান্ত্রিক মানসিকতার বহিঃপ্রকাশ৷”

নারী ইউএনওরা সাংবাদিকদের কারণেও কোনো কোনো ক্ষেত্রে চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি হন বলে টিআইবির গবেষণায় উঠে এসেছে৷

কিছু ক্ষেত্রে স্থানীয় সাংবাদিকরা প্রভাবশালী মহলের সাথে যোগসাজশে অনৈতিক কাজে লিপ্ত হয়ে থাকেন বলে মনে করেন ইফতেখারুজ্জামান৷

এসএইচ-০৩/০৭/২১ (অনলাইন ডেস্ক, ডয়চে ভেলে)

মুরগি উঠানে আসায় প্রতিবেশীকে পিটিয়ে হত্যা!

তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নাসিরনগরে প্রতিবেশীর মারধরে রহিমা আক্তার (৬৫) নামে এক বৃদ্ধা নিহত হয়েছেন।

শনিবার উপজেলার পূর্বভাগ ইউনিয়নের বেলুয়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। নিহত রহিমা আক্তার ওই এলাকার সোলেমান হোসেনের স্ত্রী।

নিহত রহিমার ভাতিজা বেলাল আহমেদ জানান, নাসিরনগর উপজেলার পূর্বভাগ ইউনিয়নের বেলুয়া গ্রামের সোলেমান হোসেনের পরিবারের সাথে তাদের প্রতিবেশী মহুর ইসলামের পরিবারের দ্বন্দ্ব চলে আসছিল।

শনিবার সোলেমানের স্ত্রী বৃদ্ধা রহিমা আক্তার তার বাড়ির হাস মুরগিগুলোকে বাড়ির উঠানে ছেড়ে দেয়। এ সময় একটি মুরগি মহুর ইসলামের বাড়ির উঠানে চলে যায়।

পরে এ নিয়ে প্রথমে রহিমার সাথে মহুর ইসলামের স্ত্রীর বাগ্বিতণ্ডা ও হাতাহাতি হয়। পরে দুপুরে সোলেমান হোসেন বাড়িতে গেলে মহুর ইসলামের সাথে হাতাহাতির এক পর্যায়ে মহুর ইসলামের পরিবারের লোকজন রহিমা আক্তারকে মারধর করলে মাটিতে পড়ে যান।

আহত অবস্থায় তাকে নাসিরনগর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে সেখানে কর্তব্যরত চিকিৎসক রহিমাকে মৃত ঘোষণা করেন। পরে পুলিশ মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য ব্রাহ্মণবাড়িয়া ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালের মর্গে পাঠায়।

নাসিরনগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা হাবিবুল্লাহ সরকার জানান, খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছিল। প্রাথমিকভাবে মনে হয়েছে ওই নারী স্ট্রোক করে মারা গেছেন। ঘটনাটি রহস্যজনক মনে হচ্ছে। তাই ময়নাতদন্ত রিপোর্ট আসার আগ পর্যন্ত এ নিয়ে কোনো মন্তব্য করা যাবে না।

ময়না তদন্তের পরই জানা যাবে ঘটনাটি স্ট্রোকজনিত মৃত্যু নাকি অস্বাভাবিক মৃত্যু। এর পরই এ ব্যাপারে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে বলেও জানান ওসি।

এসএইচ-০২/০৭/২১ (আঞ্চলিক ডেস্ক)

বিএনপিতে বিরোধী বলয়ের প্রাধান্য!

বরিশাল বিএনপির রাজনীতিতে দলের যুগ্ম মহাসচিব মজিবর রহমান সরোয়ারের ৩০ বছরের রাজত্ব ভেঙে দেওয়া হয়েছে। নতুন কমিটির মাধ্যমে ক্ষমতা চলে গেছে মজিবর রহমানের বিরোধী বলয়ের হাতে। টাঙ্গাইল জেলার দায়িত্ব পেয়েছেন দলের ভাইস চেয়ারম্যান আহমেদ আযম খান। সেখানেও নতুন কমিটিতে প্রাধান্য পেয়েছেন বিরোধী বলয়ের নেতারা।

দলের অনেক নেতা মনে করেন, শুধু বরিশাল কিংবা টাঙ্গাইল নয়, যে ৪৪টি জেলায় আহ্বায়ক কমিটি করা হয়েছিল, সব জায়গায় পুরনো বলয় ভেঙে দেওয়া হয়েছে। ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান তার মতো করে কমিটি করেছেন। ফলে তার পছন্দের লোকজনই প্রাধান্য পেয়েছেন।

তবে অনেক ত্যাগী এবং সক্রিয় নেতা ছিটকে পড়ছেন। এ অবস্থায় সাংগঠনিক শক্তি কতটা বাড়ছে, তা নিয়েও দলের মধ্যে মিশ্র প্রতিক্রিয়া রয়েছে। আবার এ অভিযোগও রয়েছে যে, দায়িত্বপ্রাপ্ত নেতারা তারেক রহমানকে ভুল তথ্য দেওয়ায় কমিটি গঠনে অনেক অসঙ্গতি তৈরি হচ্ছে।

ঢাকা মহানগরেও বিএনপির দুটি বলয়। একটি বলয়ের কেন্দ্রে আছেন অবিভক্ত ঢাকা সিটি করপোরেশনের মেয়র মির্জা আব্বাস। আরেক বলয় গড়ে উঠেছে প্রয়াত সাদেক হোসেন খোকাকে কেন্দ্র করে। গত শুক্রবার খোকার স্মরণসভায় বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস বলেন, ‘কয়েকদিন আগে একটি কমিটি দেখলাম। আমার দুঃখ লেগেছে, যাদের কোনো অবদান নেই, তারা নেতা হয়েছে, আর যাদের অবদান আছে তারা নেতা হতে পারেনি। এর কারণ কী জানেন? ব্যক্তিগত রেষারেষি; এই রেষারেষিতে আমাদের দল ক্ষতিগ্রস্ত হবে, হচ্ছে এবং আন্দোলনও ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে।’

তিনি আরও বলেন, ‘যারা নতুন করে কমিটি করছেন, যাদের দায়িত্ব দেওয়া হচ্ছে; তারা নিজেদের পছন্দের লোক আগে নিয়ে আসছেন, এটি ভালো না।’

সম্প্রতি দলের সাংগঠনিক সম্পাদক ও সহসাংগঠনিক সম্পাদকদের সঙ্গে ভার্চুয়াল বৈঠক করেন তারেক রহমান। ওই বৈঠকে সিদ্ধান্ত হয়, আগামী ৩১ ডিসেম্বরের মধ্যে দলের তৃণমূল পর্যায়ের সব মেয়াদোত্তীর্ণ কমিটি ভেঙে নতুন কমিটি করা হবে। ব্যতিক্রম ছাড়া মেয়াদোত্তীর্ণ হলেও এখনো যেসব সাংগঠনিক জেলায় আহ্বায়ক কমিটি হয়নি; সেখানেও আহ্বায়ক কমিটি দিতে হবে। এই আহ্বায়ক কমিটির মূল কাজ হচ্ছে প্রথমে ওয়ার্ড, ইউনিয়ন, থানা, উপজেলা ও পৌর কমিটি গঠন করা। এর পর জেলা বা মহানগরে সফল সম্মেলন করে বিদায় নেওয়া।

দলের এই সিদ্ধান্তের কয়েকদিন পর গত বুধবার জেলা বরিশাল মহানগর, উত্তর ও দক্ষিণ এবং চুয়াডাঙ্গা কমিটি ঘোষণা করা হয়। একই দিন জেলা কমিটি ভেঙে নতুন আহ্বায়ক কমিটি দেওয়া হয় টাঙ্গাইলেও। এই কমিটি ঘোষণার পর অনেকেই হতাশা প্রকাশ করেন।

দলের ঘনিষ্ঠ সূত্রে জানা যায়, নতুন কমিটিতে বিলুপ্ত বরিশাল মহানগর কমিটির সভাপতি মজিবর রহমান সরোয়ার ও তার অনুসারীরা স্থান পাননি। একই সঙ্গে বিলুপ্ত কমিটির দক্ষিণের সভাপতি এবায়দুল হক চান এবং সাধারণ সম্পাদক আবুল কালাম শাহীন, উত্তরে সাবেক সংসদ সদস্য মেজবাহউদ্দিন ফরহাদ ও আকন কুদ্দুসুর রহমানকেও বাদ দেওয়া হয়েছে।

এ প্রসঙ্গে মজিবর রহমান সরোয়ার বলেন, ‘যেখানে দল বলছে যে সম্মেলনের মাধ্যমে কমিটি হবে। আমি তো সেই আশাতেই ছিলাম। রাজনীতিতে সম্মেলন গুরুত্বপূর্ণ। এই কমিটিতে সক্রিয় নেতারা বাদ পড়েছেন।’

বরিশাল মহানগর কমিটিতে মনিরুজ্জামান খান ফারুককে আহ্বায়ক, আলী হায়দার বাবুলকে ১ নম্বর যুগ্ম আহ্বায়ক ও মীর জাহিদুল কবিরকে সদস্য সচিব, দক্ষিণে মজিবর রহমান নান্টুকে আহ্বায়ক ও আকতার হোসেন মেবুলকে সদস্য সচিব, উত্তরে দেওয়ান মোহাম্মদ শহীদুল্লাহকে আহ্বায়ক ও মিজানুর রহমান মুকুলকে সদস্য সচিব করা হয়েছে। এদের মধ্যে মেবুল ও জাহিদুল শালা দুলাভাই।

দলের ঘনিষ্ঠ সূত্রে জানা যায়, দলের শীর্ষপর্যায়ের সিদ্ধান্ত ছিল মজিবর রহমান সরোয়ারকে আর বরিশাল মহানগরের নেতৃত্বে রাখা হবে না। সরোয়ারও শেষ পর্যন্ত তা বুঝে গিয়েছিলেন। কিন্তু তিনি সম্মেলনের মাধ্যমে বিদায় নিতে চেয়েছিলেন। সেই সুযোগও তাকে দেওয়া হয়নি। শুধু তাই নয়, তার কোনো অনুসারীকেও নতুন কমিটিতে রাখা হয়নি। সরোয়ারকে বিদায় করতে গিয়ে এবায়দুল হক চান, সাবেক মেয়র আহসান হাবিব কামাল, সাবেক সংসদ সদস্য মেজবাহ উদ্দীন ফরহাদ ও আকন কুদ্দুস সবাইকেই বরিশালের পদ-পদবির রাজনীতি থেকে বিদায় দিয়ে দেওয়া হয়েছে।

দলীয় সূত্রে জানা গেছে, ২০১৪ সালের ২৭ এপ্রিল অহিদুল ইসলাম বিশ্বাসকে আহ্বায়ক এবং মাহমুদ হাসান খান বাবুকে ১ নম্বর যুগ্ম আহ্বায়ক করে চুয়াডাঙ্গা জেলা বিএনপির ৫১ সদস্যের আহ্বায়ক কমিটি ঘোষণা হয়। ২০১৯ সালের ৩ এপ্রিল অহিদুল ইসলাম বিশ্বাসকে আহ্বায়কসহ সব পদ থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়। এরপর ভারপ্রাপ্ত আহ্বায়ক করা হয় মাহমুদ হাসান খান বাবুকে।

খোঁজ নিয়ে জানা যায়, চুয়াডাঙ্গা জেলা বিএনপির নেতাকর্মীরা পাঁচটি বলয়ে বিভক্ত। এসব বলয়ের নেতৃত্বে আছেন দলের ভাইস চেয়ারম্যান শামসুজ্জামান দুদু, অহিদুল ইসলাম বিশ্বাস, মাহমুদ হাসান খান বাবু, শরীফুজ্জামান শরীফ ও প্রকৌশলী টিপু তরফদার। এদের মধ্যে গত বুধবার মাহমুদ হাসান খান বাবুকে আহ্বায়ক ও শরীফুজ্জামান শরীফকে সদস্য সচিব করে আংশিক কমিটি ঘোষণা করা হয়। এই কমিটি নিয়ে বঞ্চিতদের মধ্যে ক্ষোভ রয়েছে।

এদিকে ২০১৭ সালের ২৬ মে শামসুল আলম তোফাকে সভাপতি ও ফরহাদ ইকবালকে সাধারণ সম্পাদক করে টাঙ্গাইল জেলা বিএনপির কমিটি করা হয়। ২০১৮ সালে জাতীয় সংসদ নির্বাচনের পর সভাপতি শামসুল আলম তোফা সপরিবার স্থায়ীভাবে কানাডা চলে যান। পরে ছাইদুল হককে ভারপ্রাপ্ত সভাপতির দায়িত্ব দেওয়া হয়। কিন্তু গত বুধবার আহমেদ আযম খানকে আহ্বায়ক ও সদস্য সচিব করা হয় মাহমুদুল হককে। মওলানা আবদুল হামিদ খান ভাসানীর নাতি মাহমুদুল হক দুবার দলীয় মনোনয়ন নিয়ে টাঙ্গাইল পৌরসভায় মেয়র পদে নির্বাচন করেছেন।

দলের ভাইস চেয়ারম্যান আহমেদ আযম খানকে টাঙ্গাইল জেলার আহ্বায়ক করে দলীয় গঠনতন্ত্রও লঙ্ঘন করা হয়েছে। এক নেতার এক পদ- এই বিষয়টি স্পষ্টভাবে গঠনতন্ত্রে উল্লেখ রয়েছে। খন্দকার ছাইদুল হকের নেতৃত্বে গত বৃহস্পতিবার টাঙ্গাইল প্রেসক্লাবে বিক্ষুব্ধ নেতাকর্মীরা সদ্য ঘোষিত আহ্বায়ক কমিটি প্রত্যাখ্যান করেছেন। লিখিত বক্তব্যে সাইদুল হক দাবি করেন, আহ্বায়ক কমিটির ৮-১০ জন ছাড়া সবাই দীর্ঘদিন ধরে বিএনপির কর্মকাণ্ডে জড়িত ছিলেন না। কমিটির অধিকাংশ সরকারদলীয় নেতাকর্মীদের সঙ্গে সম্পর্ক রেখে ব্যবসাবাণিজ্যসহ নানা প্রকার সুযোগসুবিধা ভোগ করেছেন।

ঢাকা বিভাগের সাংগঠনিক টিমের অন্যতম সদস্য ও দলের সহসাংগঠনিক সম্পাদক আব্দুস সালাম আজাদ  বলেন, ‘কমিটি গঠনে বিতর্ক এড়ানোর সুযোগ নেই। একটি পদের বিপরীতে একাধিক নেতা। একজন পদ পেলে অন্যরা ক্ষুব্ধ হন। সাথে সরকারের নানা নির্যাতন ও বাধা। এই অবস্থায়ও শতকরা আশি শতাংশ কাজ করা গেলেই আমরা সন্তুষ্ট।’

থানাপর্যায়েও একই অবস্থা। নাটোর-১ আসনে লালপুর, বাগাতিপাড়া উপজেলা ও গোপালপুর পৌর বিএনপির কমিটি তুলে দেওয়া হয়েছে প্রয়াত ফজলুর রহমান পটলের পরিবারের অনুসারীদের হাতে। এ কাজ করতে গিয়ে দায়িত্বপ্রাপ্তরা মৃত, অরাজনৈতিক, মাদকাসক্ত ও নিষ্ক্রিয়দের আহ্বায়ক কমিটিতে স্থান দেওয়া হয়েছে।

সম্প্রতি ঘোষণা করা হয়েছে রাজশাহী জেলা ও মহানগর যুবদলের আহ্বায়ক কমিটি। অনভিজ্ঞ ও অনিয়মিতদের দিয়ে ওই কমিটি করা হয়েছে বলে গত বৃহস্পতিবার মহানগরীর মালোপাড়া দলীয় কার্যালয়ের সামনে বিক্ষোভ করেছে বিক্ষুব্ধরা। এই কমিটি বাতিলের দাবিতে দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের কাছে স্মারকলিপিও দিয়েছেন তারা।

খোঁজ নিয়ে জানা যায়, বিএনপির সহসাংগঠনিক শাহীন শওকত ও রাজশাহী মহানগর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক শফিকুল ইসলাম মিলন অনুসারীদের দিয়ে এই কমিটি করা হয়েছে। এক সময় রাজশাহীতে কবির হোসেন, মিজানুর রহমান মিনু ও নাদিম মোস্তফার শক্ত বলয় ছিল। সেই বলয় ভাঙতে গিয়ে রাজশাহী বিএনপি এখন সাংগঠনিকভাবে দুর্বল থেকে দুর্বল হয়েছে বলে দলের কেন্দ্রীয় ও স্থানীয় নেতাদের মূল্যায়ন।

দলীয় সূত্রে জানা গেছে, জেলায় আহ্বায়ক হয়েছেন সদ্য বিলুপ্ত কমিটির ২৪ নম্বর সহসভাপতি মাসুদুর রহমান সজন। আর সদস্য সচিব করা হয়েছে রেজাউল করিম টুটুলকে। তিনি জেলা ছাত্রদলের বর্তমান সভাপতিও। তিনি এখনো ওই কমিটি থেকে পদত্যাগ করেননি।

মহানগর কমিটিতে আবদুল কাদের বকুলকে আহ্বায়ক, শরিফুল ইসলাম জনিকে সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক ও রফিকুল ইসলাম রবিকে সদস্য সচিব করা হয়েছে। শরিফুল জেলা ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক ও রফিকুল মহানগর ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক। তারাও ওই কমিটি থেকে এখনো পদত্যাগই করেননি। আবদুল কাদের রাজনীতিতে অনিয়মিত।

এসএইচ-০১/০৭/২১ (অনলাইন ডেস্ক)

‘দ্বিতীয় বিবাহ জগতে এটাই প্রথম না, আলহামদুলিল্লাহ’

অভিনেত্রী নাফিজা জাহান অনেক ধরেই শোবিজে তাকে দেখা যায় না। বর্তমানে যুক্তরাষ্ট্রে অবস্থান করছেন তিনি, সেখান থেকেই সুখবর দিলেন তিনি। জানা গেছে, গতকাল শুক্রবার যুক্তরাষ্ট্র প্রবাসী বাংলাদেশি রাজিব হাসানকে বিয়ে করেছেন তিনি। এর আগে, ৪ নভেম্বর তাদের গায়ে হলুদ হয়।

বিয়ে করার বিষয়টি নাফিজা নিজেই জানিয়েছেন ফেসবুকে। পাশাপাশি তার দ্বিতীয় বিয়ে করা নিয়ে কথা ওঠা এর জবাব দিয়েছেন এই লাক্স তারকা।

শুক্রবার ফেসবুকে ঘোমটা টানা লাজুক হাসির একটি ছবি পোস্ট করে নাফিজা ক্যাপশনে লিখেন, ‘তোমার সঙ্গে দেখা না হলে, ভালবাসার দেশটা আমার দেখা হত না…।’ বিষয়টি নিয়ে গুঞ্জন ছড়ালে- যুক্তরাষ্ট্র থেকে তার ঘনিষ্ঠরা গণমাধ্যমকে জানান, নাফিজা সম্প্রতি বিয়ের আনুষ্ঠানিকতা সেরেছেন।

পরে আজ শনিবার নতুন স্বামীর সঙ্গে আরও একটি ছবি পোস্ট করেন এই অভিনেত্রী। সেখানে স্পষ্ট করেই জানান তার বিয়ের কথা। তিনি লিখেছেন, ‘পূর্বের সংসারে দীর্ঘ সময় পূর্ব থেকে ভংগুর সম্পর্ক টিকিয়ে রাখার জন্য আমার পক্ষের প্রচেষ্টা কেউ দেখতে পায়নি। আমার প্রতিদিনের সকালের শুরুটাও কেউ দেখেনি, আর সারাদিনের অক্লান্ত পরিশ্রম শেষে গভীর রাতে ঘুমাতে যাওয়ার দৃশ্যটাও কেউ দেখেনি।’

‘সবকিছু সবাই দেখতে পায় না, এমনকি আমরা ইচ্ছা করেও সব কিছু প্রকাশ্যে আনিনা সমাজের লোকেদের মন্তব্যের ভয়ে। বেঁচে থাকার জন্য সবাই সংগ্রাম করে আর আমিও ব্যতিক্রম নই। সুতরাং যারা সবার বেলায় মনগড়া মন্তব্য করেন তারা আমার স্থানে নিজেকে বসিয়ে একবার চিন্তা করবেন আশা রাখি। দ্বিতীয় বিবাহ জগতে এটাই প্রথম না। আলহামদুলিল্লাহ।’

উল্লেখ্য, লাক্স সুন্দরী প্রতিযোগিতার মাধ্যমে শোবিজে নাফিজা জাহানের যাত্রা শুরু হয়। ছোট পর্দার বেশ পরিচিত মুখ তিনি, কিন্তু ২০১৩ সালের মাঝামাঝিতে হঠাৎ অভিনয় ছেড়ে পাড়ি জমান যুক্তরাষ্ট্রে। এর আগে, ২০১৫ সালে সংগীতশিল্পী এস আই টুটুল ও অভিনেত্রী তানিয়া আহমেদের ভাগ্নে দীপকে বিয়ে করেছিলেন।

এসএইচ-২৭/০৬/২১ (বিনোদন ডেস্ক)

ভিডিও আপলোড করার পর, বিমান দুর্ঘটনায় গায়িকার মৃত্যু

মারিলিয়া ব্রাজিলীয় গায়িকা। দেশীয় ঘরানার গান গেয়ে বিখ্যাত হন তিনি। মারিলিয়া ২০১৯ সালে লাতিন গ্র্যামি পুরস্কারও পান ।

শুক্রবার রাতে একটি গানের অনুষ্ঠান ছিল মারিলিয়ার। ব্রাজিলের গোইয়ানিয়া থেকে মিনাস জেরাইস যাওয়ার পথে ঘটে যায় দুর্ঘটনা।

মারিলিয়া বিমানে উঠে ইনস্টাগ্রামে ভিডিও দিয়েছিলেন। কে জানে এটাই হবে তার শেষ ভিডিও। ঘণ্টাখানেক পরে দুর্ঘটনায় বিমান। তাতেই মৃত্যু হলো ২৬ বছরের গায়িকার। প্রয়াত তার ম্যানেজার, সহকারী, বিমানচালক এবং সহকারী বিমানচালকও। ছোট বিমানটিতে গানের অনুষ্ঠানে যোগ দিতে যাচ্ছিলেন মারিলিয়া।

গায়িকার দপ্তরের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, বিমানযাত্রীদের কাউকেই বাঁচানো যায়নি। ইনস্টাগ্রামে দেওয়া শেষ ভিডিওতে গিটার হাতে বিমানে ওঠার আগমুহূর্তও যেমন ধরা পড়েছে, তেমনই দেখা গেছে বিমানে বসে মারিলিয়া খাবার খাচ্ছেন।

এরই মাঝে তদন্ত শুরু হয়েছে কেন দুর্ঘটনা হয়েছে। বিমানের চাকা মাটি ছোঁয়ার আগে একটি বৈদ্যুতিক তারে ধাক্কা খায় বলে জানা যায়। এ কারণে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ফেলেন পাইলট। আর তাতেই মাটিতে আছড়ে পড়ে বিমানটি।

এসএইচ-২৬/০৬/২১ (বিনোদন ডেস্ক)

যে কারণে ভারতের একটি গ্রামের সব পুরুষ দু’টি বিয়ে করেন

বিয়ে নিয়ে প্রায়ই কিছু অদ্ভূত রীতি ও প্রথার কথা শোনা যায়। যেমন ভারত-পাকিস্তান সীমান্তের কাছে রয়েছে রাজস্থানের বাড়মের জেলার অন্তর্গত দেরাসর গ্রামের প্রত্যেক পুরুষ দু’টি করে বিয়ে করেন। বিষয়টি শুনতে যতটা অদ্ভুত লাগছে তার চেয়েও কয়েকগুণ বেশি অদ্ভুত লাগবে এই রীতির নেপথ্য কারণ জেনে।

বড়জোর ৬০০ জনের বসবাস দেরাসর গ্রামে। সেখানে প্রতিটি পুরুষের অন্তত দু’জন করে স্ত্রী রয়েছে! গ্রামের বাসিন্দাদের বিশ্বাস, প্রথম স্ত্রী গর্ভে নাকি কোনও স্বামীরই সন্তান হবে না। সন্তানের মুখ দেখতে গেলে নাকি দ্বিতীয় বিয়ে করতেই হবে। এই অদ্ভুত বিশ্বাস থেকেই দ্বিতীয় বিয়ে করেন গ্রামের তারা।

জানা গেছে, এমন রীতির সূত্রপাত অতীতের একটি ঘটনা থেকে। গ্রামের এক ব্যক্তির নাকি কিছুতেই সন্তান হচ্ছিল না। পরে তিনি দ্বিতীয় বিয়ে করতেই সন্তানলাভ করেন। পরে বিষয়টি রীতিতে পরিণত হয়। দেখা যায়, যখনই এমন অভিজ্ঞতার সম্মুখীন হতেন গ্রামের কোনো পুরুষ, তার দ্বিতীয় বিয়ে দেয়া হতো। আর তাতেই নাকি মিলত ফল। যদিও এখন ওরকম সমস্যা ছাড়াই দুই বিয়ে করেন সেখানের পুরুষরা।

এছাড়া দুই বিয়ের আরো একটি কারণ- ওই গ্রামের তীব্র পানির সঙ্কট। অন্তত পাঁচ কিলোমিটার হেঁটে পরিবারের নারীদের পানি আনতে হয় নারীদের। তাই অন্তঃসত্ত্বা হলে কোনো নারীর পক্ষেই হেঁটে পানি আনা সম্ভব নয়। সে কারণেও দ্বিতীয় বিয়ে করে থাকেন পুরুষরা।

দুঃখজনক হলেও সত্য, প্রথমস্ত্রীকে কোনো অধিকারই দেয়া হয় না। তারা বরং বাড়ির পরিচারিকার মতো জীবন কাটিয়ে থাকেন। প্রথম স্ত্রীকে বলা হয় ‘জল স্ত্রী’। সন্তানধারণের অধিকারও পান না তারা। কোনো পুরুষ যদি এই রীতির বিরোধিতা করেন তা হলে তার বিরুদ্ধে পুরো গ্রাম একজোট হয়।

রীতি না মানলে নিজের পরিবারও পরিত্যাগ করে বাড়ির কর্তাকে। গ্রাম থেকেই বিতাড়িতও করা হয় তাকে। এছাড়া দ্বিতীয় স্ত্রীও যদি সন্তানধারণ না করে থাকেন সে ক্ষেত্রে স্বামীকে আরো একটি বিয়ে করতে হয়। উপার্জনকারী স্বামীকে পরিবারের পুরো দায়িত্ব নিতে হয়।

এসএইচ-২৫/০৬/২১ (অনলাইন ডেস্ক)

আরিয়ানকাণ্ডে নতুন মোড়!

মাদক মামলায় বলিউড বাদশাহ শাহরুখপুত্র আরিয়ান খান কারামুক্ত হওয়ার পর এবার নতুন তথ্য সামনে এসেছে! আরিয়ানকাণ্ডের মূল নিয়ন্ত্রক এবং চক্রী সুনীল পাটিল। এমন অভিযোগ করেছে ভারতীয় জনতা পার্টি (বিজেপি)।

শনিবার মহারাষ্ট্র বিজেপি নেতা মোহিত কাম্বোজ সংবাদ সম্মেলনে এ অভিযোগ আনেন। খবর আনন্দবাজারের।

বিজেপির এই নেতা জানান, বিজেপিকে বদনাম করার জন্যই সুনীলকে ঢাল হিসেবে ব্যবহার করেছে মহারাষ্ট্র রাজ্যের আঞ্চলিক রাজনৈতিক দল জাতীয়তাবাদী কংগ্রেস পার্টির (এনসিপি) নেতারা।

মোহিত কাম্বোজ বলেন, গেরুয়া শিবিরকে বদনাম করতে ষড়যন্ত্র করা হচ্ছে। সুনীল পাটিলকে সামনে রেখে ষড়যন্ত্র করছে মহারাষ্ট্রের যেসব মন্ত্রী, তাদের জবাবদিহি করতে হবে।

রাজ্যের বেশ কয়েকজন মন্ত্রীর ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন মোহিত। বলেন, মন্ত্রীরা কি মাদক মাফিয়াদের সমর্থন করছেন, নাকি একজন কর্মকর্তাকে নিশানা করতে চাইছেন? তবে রাজ্যেরই এক সাবেক মন্ত্রীকে দাউদ ইব্রাহিম ঘনিষ্ঠ মাদক মাফিয়ার সঙ্গে দেখা গিয়েছিল বলেও দাবি মোহিতের।

কম্বোজ বলেন, দীর্ঘ ২০ বছর ধরে এনসিপি নেতাদের সঙ্গে সুনীলের ওঠাবসা রয়েছে। মহারাষ্ট্রের সাবেক মন্ত্রী অনিল দেশমুখের ছেলে হৃষিকেশ দেশমুখের সঙ্গে তার ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক। সরকারি দপ্তরে কাকে কোথায় বদলি করা হবে, তার একটা চক্র চালাতেন সুনীল।

বিজেপি নেতা আরও বলেন, এই মামলার অন্যতম সাক্ষী কিরণ গোসাভিও সুনীলের লোক। বিজেপির বিরুদ্ধে এটা একটা বড় ষড়যন্ত্র। সুনীলের সঙ্গে তাদের কী সম্পর্ক, তা স্পষ্ট করতে হবে এনসিপি নেতাদের। একটি বড় হোটেলের ঘর ভাড়া করেছিলেন সুনীল। সেখানে কোন কোন এনসিপি নেতা এসেছিলেন, তার জবাব দিতে হবে এনসিপি নেতা নবাব মালিককে।

তার বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগের পাল্টা জবাব দেন নবাব। বলেছেন, সমীর ওয়াংখেড়ের ব্যক্তিগত দলের এক সদস্য সংবাদ সম্মেলন করে বিভ্রান্ত ছড়াতে চাইছেন। সত্যকে চাপা দিতে আসল বিষয়টির ওপর থেকে নজর ঘুরিয়ে দিতে চাইছেন। রোববার সত্যটা সামনে আনব।

এসএইচ-২৪/০৬/২১ (বিনোদন ডেস্ক)

পরপর ৭ জনকে পিষে দিল গাড়ি!

ভারতের পশ্চিমবঙ্গের কলকাতার চিংড়িঘাটায় ঘটে গেল ভয়াবহ দুর্ঘটনা। নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে একটি গাড়ি রাস্তার ধারে দাঁড়িয়ে থাকা একজন সাইকেল আরোহীসহ পরপর ৭ জনকে পথচারীকে ধাক্কা মেরে চলে যায়। ইতোমধ্যে একজনের মৃত্যু হয়েছে। বাকিদের অবস্থা আশঙ্কাজনক। গাড়ির চালককে গ্রেফতার করা হয়েছে।

পুলিশ সূত্রে খবর, শনিবার ভোর সাড়ে ৪টা নাগাদ গাড়িটি রুবি হাসপাতাল থেকে উল্টোডাঙার দিকে যাচ্ছিল। সেসময় রাস্তা পারাপারের জন্য কয়েকজন পথচারী চিংড়িঘাটা ক্রসিংয়ে দাঁড়িয়েছিল।

সিগন্যাল না মেনে গাড়িটি মুহূর্তের মধ্যে রাস্তার ধারে দাঁড়িয়ে থাকা পথচারীদের ধাক্কা দিয়ে চলে যায়।

খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছোয় বিধাননগর দক্ষিণ থানার পুলিশ। সঙ্গে সঙ্গে আহতদের হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়। হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া মাত্রই একজনের মৃত্যু হয়। বাকিদের অবস্থা আশঙ্কাজনক। আহকদের মধ্যে একজন নারীও রয়েছেন। তাদের চিকিৎসা চলছে।

জানা গেছে, গাড়ির মধ্যে চালকের পরিবারের লোকেরাও ছিল। প্রাথমিকভাবে মনে করা হচ্ছে, যান্ত্রিক ত্রুটির কারণে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ফেলেছিল গাড়িটি। এ কারণে এই মর্মান্তিক দুর্ঘটনা ঘটেছে।

এসএইচ-২৩/০৬/২১ (আন্তর্জাতিক ডেস্ক)