রাত ২:২৩
সোমবার
২৯ শে এপ্রিল ২০২৪ ইংরেজি
১৫ ই বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
২০ শে শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী
spot_img

জরায়ুমুখের ক্যান্সারের লক্ষণ ও প্রতিরোধে করণীয়

জরায়ুমুখের ক্যান্সারের

জরায়ুমুখ ক্যান্সার বা জরায়ুর ক্যান্সার নারীদের জন্য একটি ভয়াবহ ব্যাধি এবং জরায়ুমুখ ক্যান্সার বিশ্বব্যাপী নারীদের মৃত্যুর অন্যতম প্রধান কারণ। জরায়ুমুখ ক্যান্সার ১৫-৪৫ বছর বয়সের নারীদের মধ্যে বেশি দেখা যায়, কিন্তু ক্যান্সারের লক্ষণ প্রকাশের প্রায় ২ থেকে ২০ বছর আগেই একজন নারী এ রোগের ভাইরাস দ্বারা আক্রান্ত হন।

তবে সচেতনতার মাধ্যমে এই রোগ প্রতিরোধ করা যায়। সাধারণত অনুন্নত ও উন্নয়নশীল দেশের নারীরা স্বাস্থ্য বিষয়ে সম্পূর্ণ সচেতন না বলে এই রোগের বিস্তার বেশি।

তবে উন্নত দেশের নারীরা এবিষয়ে সচেতন এবং উন্নত জীবনযাপনের কারণে অনেকটাই এই রোগ থেকে নিরাপদ। জরায়ু-মুখ ক্যান্সার শনাক্ত করার জন্য ‘পেপস স্মেয়ার টেস্ট’ রয়েছে, যা উন্নত দেশের নারীরা দ্বিধাহীনভাবে গ্রহণ করতে পারেন, যা অনুন্নত দেশে গ্রহণ করতে অনেক পারিবারিক ও সামাজিক বাধা রয়েছে।

এই ক্যানসারটিকে জরায়ুমুখের ক্যান্সার বলে কেন? জরায়ুর ক্যান্সার নয় কেন?

জরায়ু বা ইউটেরাস নামক অঙ্গটির ভেতরে আমরা প্রত্যেক মানুষ জন্ম নিই। পুরো জরায়ু থেকে জরায়ুমুখটি একটু ভিন্ন প্রকৃতির। যেহেতু এই অংশের ক্যান্সারটি নরীদের মধ্যে দ্বিতীয় অবস্থানে আছে, তাই একে চিকিৎসকরা আলাদা করে জরায়ুমুখের ক্যান্সার বলে থাকেন।

জরায়ুমুখের ক্যান্সারে একজন নারী আক্রান্ত হন যে কারণে

জরায়ুমুখের ক্যানসারে আক্রান্ত হওয়ার পেছনে কতগুলো আর্থসামাজিক এবং কিছু ব্যক্তিগত কারণ রয়েছে। আমাদের বাংলাদেশের মতো উন্নয়নশীল বা স্বল্পোন্নত দেশের বেলায় যেখানে, মানুষের আর্থসামাজিক অবস্থা বেশিরভাগই একটু নিম্ন পর্যায়ের থাকে, সেসব দেশে আমরা প্রধানত দায়ী করি বাল্যবিবাহকে।

খুব অল্প বয়সে যদি মেয়েদের বিয়ে হয় এবং অল্প বয়সে বিয়ে হওয়ার সাথে সাথে যদি সন্তান হয়, যদি বেশি সন্তান হয়, সন্তান ঘন ঘন হয়- তাহলে জরায়ুমুখের ক্যান্সার হওয়ার আশঙ্কা থাকে। এগুলো অন্যতম প্রধান কারণ। এর সাথে রয়েছে ব্যক্তিগত পরিচ্ছন্নতার অভাব। বিশেষ করে মাসিকের সময় ব্যবহার করার বিষয়গুলো যদি জীবাণুমুক্ত না হয় তবে সমস্যা হয়। এই ক্যান্সারের ক্ষেত্রে অপরিচ্ছন্নতাও দায়ী। এর সাথে আসে অপুষ্টি।

অপুষ্টি একটি বিষয় যেটা অন্য কারণগুলোকে উৎসাহিত করে। আরেকটি বিষয় রয়েছে, সেটি হলো নারী-পুরুষের অবাধ মেলামেশা। আরো স্পষ্ট করে বলতে গেলে একাধিক সঙ্গীর সাথে যে মেলামেশা- এটি একটি বড় কারণ। আমাদের মতো উন্নয়নশীল দেশে বিষয়টি আছে। তবে উন্নত বিশ্বে এই হারটা বেশি।

আরেকটি বিষয় খুবই গুরুত্বপূর্ণ, সেটি হলো, একটি ভাইরাস, হিউম্যান প্যাপিলোমা ভাইরাস ( এইচপিভি)। এই ভাইরাসকে বলা যায় প্রধান কালপ্রিট। অন্য যে কারণেই হোক না কেন এটি একটি প্রধান কারণ। এই ভাইরাসের সংক্রমণ যদি বারবার হয়, তাহলে জরায়ুমুখের ক্যান্সার হওয়ার ঝুঁকি সবচেয়ে বেশি।

জরায়ুমুখের ক্যান্সার প্রতিরোধে করণীয়

বাল্যবিবাহ জরায়ুমুখের ক্যান্সারের প্রধান কারণ। কাজেই কন্যাসন্তানকে অল্প বয়সে বিয়ে না দেওয়া। তাকে ঝুঁকির মধ্যে না ফেলা। এরপর অল্প বয়সে বাচ্চা না নেওয়া, বেশি সন্তান না নেওয়া—এসব বিষয়ে সতর্ক থাকতে হবে। পাশাপাশি পরিচ্ছন্নতার কথা চিকিৎসককে বলতে হবে। নারীদের ব্যক্তিগত পরিচ্ছন্নতা সম্পর্কে ধারণা দিতে হবে।

এটি প্রতিরোধের জন্য টিকা আবিষ্কার হয়েছে। সেই ভ্যাকসিন আমাদের দেশে পাওয়া যায়। সরকার চেষ্টা করছে, ইপিআইর মধ্যে বিষয়টিকে নিয়ে আসার জন্য। এখন বলি, কোন বয়সের মেয়েদের ক্ষেত্রে বিষয়টি বেশি প্রযোজ্য? সাধারণত ৮ থেকে ১৩ বছর সময়টা টিকা দেওয়ার জন্য বেশি প্রযোজ্য। অর্থাৎ বিয়ে হওয়ার আগে বা শারীরিক সম্পর্ক হওয়ার আগের সময়টায় এই ভ্যাকসিন দিলে সবচেয়ে বেশি কার্যকর হয়।

আরএম-১৯/০৬/১২ (স্বাস্থ্য ডেস্ক)

ব্রণ কী ও কেন? কী এর চিকিৎসা?

ব্রণ কী ও কেন

ব্রণ ত্বকের দীর্ঘস্থায়ী প্রদাহজনিত অবস্থা যা এর তেল গ্রন্থি বন্ধ হয়ে গেলে দেখা দেয়। সাধারণত বয়ঃসন্ধিকালে এটি হয়। তবে, এ নিয়ে চিন্তার কিছু নেই।

ব্রণ বেশি হয় তৈলাক্ত ত্বকে। ব্রণের ফলে মুখ, গলা ও কাঁধে কালো আঁচিল, ফুসকুড়ি দেখা দেয়।

ব্রণের কারণ কী?

ব্রণ দেখা দেয় তেলগ্রন্থি কার্যকলাপের ফলে এবং এ গ্রন্থি বন্ধ হওয়ায়। ব্রণের মূল কারণ হলো বয়ঃসন্ধিকালে হরমোনের মাত্রা বৃদ্ধি। খাবারের কারণে ব্রণ হয় না। ব্রণ রয়েছে এমন একজন ব্যক্তির ভাজা খাবার, চকোলেট বা অন্য কোনো খাবার এড়িয়ে যাওয়ার কোনো দরকার নেই। যৌন কার্যকলাপের কারণেও এটি হয় না। ময়লা থেকে সৃষ্টি হয় না আবার প্রায়ই মুখ না ধোয়ার কারণেও হয় না। বাতাসে তেলগ্রন্থির রাসায়নিক প্রতিক্রিয়ার কারণে ব্লাকহেডের ওপরটা কালো হয়। সাধারণত ২০ বছর থেকে ২৫ বছর বয়স পর্যন্ত ব্রণ স্থায়ী হয়।

ব্রণের ধরন

ব্রণ মূলত চার প্রকার। পিওরলি কমেডোনাল যেমন নন-ইনফ্লেমাটোরি, মিল্ড প্যাপুলার, স্কেয়ারিং প্যাপুলার এবং নডুলার বা স্কেয়ারিং।

চিকিৎসা

উপযুক্ত চিকিৎসায় ত্বকের ব্রণ নিয়ন্ত্রণে বা হালকা স্তরে আসতে পারে। দিনে দুইবার বিশেষ করে ব্যায়ামের পর কোমল সাবান দিয়ে ত্বক পরিষ্কার করতে হবে। ত্বক স্ক্রাবিং এড়াতে হবে। এটি ক্ষতিকর কারণ এটি তেল গ্রন্থিগুলোর মুখে অস্বস্তি সৃষ্টি হয় এবং একপর্যায়ে তা বন্ধ হয়ে যেতে পারে। মুখে তৈলাক্ত বা চটচটে কোনো পদার্থ ব্যবহার করা যাবে না। তৈলাক্ত এবং চটচটে পদার্থ তেলগ্রন্থি বন্ধ করে দেয় এবং ব্রণ দেখা দেয়।

যদি অপরিহার্য না হয়, জল-ভিত্তিক কভার-আপ প্রসাধনী ব্যবহার করুন এবং ঘুমের সময় তা ধুয়ে ফেলুন। প্রতিদিন চুলে শ্যাম্পু করুন। চুলের জন্য টনিক বা ক্রিম বিশেষ করে চটচটে উপাদান এড়িয়ে চলুন। চুল থেকে এসব পদার্থ মুখে ছড়িয়ে পড়তে পারে এবং হতে পারে ব্রণ। নখ বা কোনো কিছু দিয়ে খুঁচিয়ে ব্লাকহেড তুলে ফেলা যাবে না। নিয়মিত ব্যায়াম করতে হবে। কোনো ওষুধ ব্যবহার করলে তার কোর্স শেষ করতে হবে।

আরএম-১৮/০৬/১২ (লাইফস্টাইল ডেস্ক)

দ্রাবিড় আর পুজারার মিল কোথায়

অ্যাডিলেড টেস্টের প্রথম টেস্টের প্রথম দিনেই বিপর্যয়ে পড়েছে ভারত। অস্ট্রেলীয় বোলারদের দাপটের মুখে ৯ উইকেট হারিয়ে ফেলেছে তারা। তবে এই ধংসস্তুপে দাঁড়িয়ে একাই লড়াই করেছেন চেতেশ্বরা পুজারা। তার লড়াকু এক সেঞ্চুরির সুবাদে দিন শেষে ২৫০ রান তুলতে পেরেছে সফরকারীরা।

পুজারা ১২৩ রানের ইনিংসটি করেছেন ২৪৬ বল খেলে। তার এই ইনিংসটি মনে করিয়ে দেয় ভারতের সাবেক অধিনায়ক রাহুল দ্রাবিড়কে। ইতিহাসে যিনি বিখ্যাত ‘দ্য ওয়াল’ নামে। ভারতের বহু ব্যাটিং ব্যর্থতায় নির্ভরতা হয়ে একসময় ছিলেন দ্রাবিড়।

বড় ইনিংস খেলার সামর্থ্য, ধৈর্য মিলিয়ে পুজারাকে অনেকদিন ধরেই দ্রাবিড়ের সাথে তুলনা করা হচ্ছিল। কাকতালীয় ভাবে বৃহস্পতিবার অ্যাডিলেডে দ্রাবিড়কে স্পর্শ করেছেন ৩০ বছর বয়সী এই ব্যাটসম্যান।

এদিন টেস্টে ৫ হাজার রানের মাইলফলক অতিক্রম করেছেন পুজারা। আর এই মাইলফলক স্পর্শ করতে তার লেগেছে ১০৮ ইনিংস। বিস্ময়কর ভাবে দ্রাবিড়ও ৫ হাজার রানের মাইলফলক স্পর্শ করেছেন নিজের ১০৮তম ইনিংসেই।

তবে এখানেই শেষ নয় এই কাকতালীয় বিস্ময়। এর আগে পুজারার ৪ হাজার রানের মাইলফলক স্পর্শেও ছিল দ্রাবিড়ের ইতিহাসের পুনরাবৃত্তি। ভারতের বর্তমান যুব দলের কোচের টেস্টে ৪ হাজার রান করতে লেগেছিল ৮৪ ইনিংস। পুজারাও ৪ হাজার রান করেছেন সমান সংখ্যক ইনিংস খেলে।

তিন হাজার রানের মাইলফলকেও একই ঘটনা। দ্রাবিড়-পুজারা দুই জনই তিন হাজার রানের মাইলফলক স্পর্শ করেছেন ৬৭তম ইনিংসে এসে।

এসএইচ-২৪/০৬/১২ (স্পোর্টস ডেস্ক)

বোনের পর ৭ বছরের ভাইয়ের কৃতিত্ব

বোনের পর

মাত্র ৫ বছরের মারিয়া যুদ্ধবিধ্বস্ত সিরিয়ার জন্য অর্থ সংগ্রহে সুরা ইয়াসিন তেলাওয়াতের প্রতিযোগিতায় অংশ গ্রহণ করেন। ২০১৬ সালে লন্ডনের লোটন শহরের অধিবাসী ছোট্ট মারিয়া আসলাম মাত্র ৭ বছর বয়সে পবিত্র কুরআন মুখস্ত করে সমগ্র বিশ্বে আলোড়ন সৃষ্টি করে। বোনের ধারাবাহিকতায় কৃতিত্বের স্বাক্ষর রাখে ছোট ভাই ইউসুফ আসলাম।

বোন মারিয়ার পর ২ বছরের ব্যবধানে ৭ বছর বয়সী ভাই ইউসুফ আসলামও বোনের মতো পবিত্র কুরআনুল কারিম মুখস্তের মাধ্যমে উজ্জ্বল কৃতিত্বের স্বাক্ষর রাখে।

ইউসুফ আসলাম ২ বছরেরও কম সময়ে পবিত্র কুরআনুল কারিম মুখস্ত করতে সক্ষম হন। যদিও মারিয়া আসলাম দৈনিক ৫ ঘণ্টা কুরআনুল কারিম অধ্যয়ন করে ২ বছরে কুরআন মুখস্ত করেছিলেন।

মারিয়া আসলাম ও ইউসুফ আসলামের কুরআন হিফজের বিষয়টি তাদের বাবা-মায়ের কাছে একটি স্বপ্নের মতো।

ইউসুফ আসলামের মায়ের ভাষায়, ‘কখনো ভাবিনি এমন অর্জনের মালিক হতে পারবো। আল্লাহ তাআলার ইচ্ছায় এ অর্জন সম্ভব হয়েছে। দুই সন্তানকে শিক্ষা জীবনের শুরুতে কুরআনুল কারিমের হাফেজ বানানোর কোনো পরিকল্পনাও ছিল না।’

তিনি আরো বলেন, মারিয়া আসলামের মুখস্ত করার ক্ষমতা প্রথমে বুঝা না গেলেও অল্প সময়ের ব্যবধানে তা অনুধাবন করি। অতঃপর ইউসুফকে নিয়ে কুরআন পড়ানোর চেষ্টা করি। মারিয়ার চেয়ে ইউসুফ দ্রুত কুরআন মুখস্তে এগিয়ে যায়।

মারিয়া এবং ইউসুফ কুরআনুল কারিম মুখস্ত অংশ নিয়ে খেলায় মেতে ওঠে। মারিয়া হয়ে ওঠে ইউসুফের শিক্ষক। মারিয়া ভাই ইউসুফকে পবিত্র কুরআন শেখাতে থাকে।

হাফেজা মারিয়া আসলামের একান্ত উৎসাহে ২ বছরেরও কম সময়ে পরিপূর্ণ হাফেজ হয়ে ওঠেন ৭ বছরের ইউসুফ আসলাম। হাফেজ ইউসুফ আসলাম খুবই ভাগ্যবান যে হাফেজ মারিয়া আসলামকে বোন হিসেবে পেয়েছে।

ইউসুফ আসলাম কুরআন মুখস্ত করায় বাবা-মা উপহার হিসেবে মারিয়া ও ইউসুফকে নিয়ে ওমরা যাওয়ার পরিকল্পনা করছে। সবকিছু ঠিকঠাক থাকলে চলতি (ডিসেম্বর) মাসের শেষ দিকে পবিত্র ওমরা পালন করবে।

মুসলিম উম্মাহকে আল্লাহ তাআলা এমন সুন্দর সুন্দর পরিবার দান করুন। দুনিয়ার সব পরিবারকে কুরআন প্রেমিক হিসেবে কবুল করুন। হাফেজ মারিয়া ও ইউসুফকে কুরআনের সেবক হিসেবে কবুল করুন। আমিন।

আরএম-১৭/০৬/১২ (ধর্ম ডেস্ক)

যাদের ধন-সম্পদ কোনো উপকারে আসবে না

যাদের ধন-সম্পদ

মানুষের জীবন বিধান পবিত্র কুরআন। এখানে বর্ণনা করা হয়েছে জীবন পরিচালনার সব দিক ও বিভাগ। যে আলোকে মানুষ নিজেদের দুনিয়ার জীবন ও সংসার সাজাবে। যারা কুরআনের বিধান পালন করবে তারা পরস্পর নিজেদের সহযোগিতা করবে এবং উপকার লাভ করবে।

আর যারা কুরআনের বিধানকে অস্বীকার করবে, তারা কারো কোনো উপকার লাভ করবে না এমনকি নিজেদের সম্পদ ও সন্তান-সন্তুতিও তাদের কোনো উপকারে আসবে না। আল্লাহ তাআলা মানুষের সতর্কতার উদ্দেশ্যে সে বিষয়গুলো বার বার তুলে ধরেছেন। আল্লাহ তাআলা বলেন-

আয়াতের অনুবাদ

আয়াতের পরিচয় ও নাজিলের কারণ

সুরা আল-ইমরানের ১০নং আয়াতে আল্লাহ তাআলা মানুষকে এক দুঃসংবাদ দিয়ে নিজেদেরকে সতর্ক হওয়ার কথা বলেন। যারা আল্লাহকে অবিশ্বাস করবে, কুরআনের বিধান পালনে নিজেদের বিরত রাখতে তাদের সম্পদ ও সন্তান-সন্তুতি কোনো উপকারে আসবে না।

ইমাম রাজি রহমাতুল্লাহি আলাইহি তাঁর বিখ্যাত তাফসিরে উল্লেখ করেছেন, ‘সুরা আল-ইমরানের আগের আয়াতগুলোতে মুমিনদের কথা বর্ণনা করা হয়েছে এবং সে আয়াতগুলোর আলোকে নিজেদের পরিচালনা ও প্রতিষ্ঠিত থাকার দোয়াও শিখিয়েছেন। আর এ আয়াতে অবিশ্বাসীদের অবস্থা এবং তাদের ক্ষতি ও কঠোর শাস্তির বিবরণ ওঠে এসেছে।

এ আয়াত নাজিলের কারণ সম্পর্কে দু’টি বর্ণনা পাওয়া যায়-

> নাজরানের খ্রিস্টান দলের সম্পর্কে এ আয়াত নাজিল হয়। কেননা এ দলের আবু হারেসা ইবনে আল-কামা তার ভাইকে বলেছিল, আমি জানি ইনি (মুহাম্মাদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) সত্যিই আল্লাহর রাসুল। কিন্তু আমি যদি এ কথা প্রকাশ করি তবে রোমের বাদশাহ আমাকে যে ধন-সম্পদ ও পদ-মর্যাদা দিয়েছেন, তার সবই ছিনিয়ে নেবে। তাদের এ কথার জবাবে আল্লাহ তাআলা এ আয়াত নাজিল করে বলেন-

নিশ্চয় যারা অবিশ্বাসী, তাদের ধন-সম্পদ, সন্তান-সন্তুতি আল্লাহর কাছে কোনো উপকারে আসবে না। আর তারা হবে জাহান্নামের ইন্ধন।’

অর্থাৎ যারা কাফের অবিশ্বাস, অবাধ্য, বিদ্রোহী, যারা মুতাশাবিহ আয়াতের প্রতি বিশ্বাস স্থাপন করে না, যারা আল্লাহর একত্ববাদের প্রতি বিশ্বাসী হয় না, তাদের ধন-সম্পদ, সন্তান-সন্তুতি পরকালে আদৌ তাদের জন্য উপকারি হবে না, তাদেরকে আল্লাহর আজাব থেকে রক্ষা করতে পারবে না আর তারা হবে জাহান্নামের ইন্ধন।’ (তাফসিরে কবির)

> এ আয়াত সম্পর্কে দ্বিতীয় অভিমত হলো যে, তা শুধু নাজরানের খ্রিস্টানদের সম্পর্কেই নাজিল হয়নি বরং বনু কুরায়জা ও বনু নজির গোত্রের ইয়াহুদিদেরকেও সম্বোধন ও সতর্ক করা হয়েছে। হজরত আব্দুল্লাহ ইবনে আব্বাস রাদিয়াল্লাহু আনহুর মতে (তৎকালীন) আরবের পৌত্তলিকদের সম্পর্কেও বিশেষ হুশিয়ারি রয়েছে এ আয়াতে।’ (তাফসিরে রুহুল মাআনি)

কুরআনুল কারিমের এ আয়াত যুগ যুগ ধরে সব ইসলামের প্রতি সব অবিশ্বাসীর জন্যই প্রযোজ্য। যারাই ইসলাম ও আল্লাহর বিধানের বিরোধীতা করবে তারা তাদের ধন-সম্পদ ও সন্তান-সন্তুতি দ্বারা দুনিয়া ও পরকালের কোনো উপকার পাবে না। আর পরকালে তারা হবে জাহান্নামের আগুনের ইন্ধন।

আল্লাহ তাআলা মুসলিম উম্মাহকে উল্লেখিত আয়াত থেকে শিক্ষা গ্রহণ করে ইসলাম ও কুরআনের অবিশ্বাস থেকে নিজেদের বিরত রাখার তাওফিক দান করুন। কুরআনের বিধান অনুযায়ী জীবন পরিচালনার তাওফিক দান করুন। পরকালে সফলতা লাভের তাওফিক দান করুন। আমিন।

আরএম-১৬/০৬/১২ (ধর্ম ডেস্ক)

অস্ট্রেলিয়ার ২ তারকা আইপিএল নিলামে উঠছেন না

মাস কয়েক পরই শুরু হচ্ছে আইপিএলের ১২তম আসর। যেটি শেষ হতেই শুরু হয়ে যাবে ওয়ানডে বিশ্বকাপ। বিশ্বকাপের মতো বড় আসর, অস্ট্রেলিয়া-ইংল্যান্ডের মতো কয়েকটি দল তাই নিজেদের খেলোয়াড়দের আইপিএলে পুরো মৌসুম খেলতে দিতে নারাজ।

এর মধ্যে কয়েকজন তো আইপিএলে খেলতেই রাজি নন। আট দলের খেলোয়াড় বেচাকেনার কাজ হয়ে গেছে। বাকি আছে ৭০ জনের জায়গা। এর জন্য ১০০৩ জন খেলোয়াড় নিবন্ধন করা হয়েছে। যেখান থেকে চূড়ান্ত তালিকা করা খেলোয়াড় তোলা হবে ১৮ ডিসেম্বরের নিলামে।

তবে এই নিলামে উঠার দরকার নেই। এবারের আইপিএলে না খেলারই সিদ্ধান্ত নিয়েছেন অস্ট্রেলিয়ার দুই তারকা ক্রিকেটার গ্লেন ম্যাক্সওয়েল আর অ্যারন ফিঞ্চ। বিশ্বকাপের কথা মাথায় রেখেই টাকার ঝনঝনানিকে উপেক্ষা করার সিদ্ধান্ত তাদের।

বৃহস্পতিবার থেকে ভারতের বিপক্ষে টেস্ট সিরিজ দিয়ে শুরু হচ্ছে অস্ট্রেলিয়ার গ্রীষ্ম মৌসুম। এটা চলবে ১৮ জানুয়ারি পর্যন্ত। এরপর শ্রীলঙ্কাকে টেস্ট সিরিজে আতিথ্য দেবে অস্ট্রেলিয়া। পাঁচ ওয়ানডে আর দুই টি-টোয়েন্টির ফিরতি সিরিজ খেলতে তারা আসবে ভারতেও।

ফিঞ্চ আর ম্যাক্সওয়েল দুজনই অস্ট্রেলিয়ার বিশ্বকাপ পরিকল্পনার অংশ। তাই তারা এবার কিংস ইলেভেন পাঞ্জাবের হয়ে খেলতে অস্বীকৃতি জানিয়েছেন।

এসএইচ-২৩/০৬/১২ (স্পোর্টস ডেস্ক)

বাংলাদেশি হাফেজ আকমালের ভারত জয়

বাংলাদেশি হাফেজ

হাফেজ আকমাল আহমাদ। ভারতের আন্তর্জাতিক কুরআন প্রতিযোগিতায় ৩য় স্থান অধিকার করেছেন। ভারতের তামিলনাড়ু প্রদেশের অনুষ্ঠিত হয়েছে এ প্রতিযোগিতা। হাফেজ আকমাল আহমাদকে অভিনন্দন।

সিলেটের কৃতিসন্তান কিশোর হাফেজ আকমাল আহমাদ রাজধানীর যাত্রাবাড়িস্থ আন্তর্জাতিক হাফেজ ও ক্বারি তৈরির কারগর হাফেজ ক্বারি নাজমুল হাসান পরিচালিত তাহফিজুল কোরআন ওয়াস সুন্নাহ মাদরাসার ছাত্র।

উল্লেখ্য যে, হাফেজ আকমাল আহমাদ বেসরকারি টেলিভিশন চ্যানেল বাংলাভিশনে পরিচালিত কুরআনের আলো প্রতিযোগিতা ২০১৭-তে অংশগ্রহণ করে এবং প্রথম স্থান অধিকার করে।

হাফেজ আকমাল আহমাদের জন্য রইলো শুভ কামনা। আল্লাহ তাআলা তাকে কুরআনের খাদেম হিসেবে কবুল করুন। আমিন।

আরএম-১৫/০৬/১২ (ধর্ম ডেস্ক)

নৌকায় ভোট চাইছেন তারকারা

নৌকায় ভোট

আসছে ৩০ ডিসেম্বর অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন। এরইমধ্যে শুরু হয়েছে সবগুলো দলের প্রচারণা। প্রার্থিরা নেমেছেন মাঠে। চাইছেন ভোট ও সমর্থন।

সেই ধারাবাহিকতায় আওয়ামী লীগের হয়ে প্রচারণায় মাঠে নেমেছেন নানা অঙ্গনের একঝাঁক তারকা। তারা বিগত দশ বছরে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে দেশে সমৃদ্ধি ও উন্নয়নের জোয়ার বয়েছে বলে মনে করছেন।

তাই শেখ হাসিনার সরকারকে আবারও প্রয়োজন বলে মনে করেন তারকারা। সেজন্য দেশবাসীর কাছে নৌকার জন্য ভোট চাইছেন তারকারা।

ড. এনামুল হক, সুবর্ণা মুস্তাফা, ইমদাদুল হক মিলন, রিয়াজ, মাহফুজ আহমেদ, আফসানা মিমি, সাকিব আল হাসান, অপু বিশ্বাস, সাইমন সাদিক, বাঁধনকে দেখা যাচ্ছে ভিডিও বার্তায় ভোট চাইছেন। শিগগিরই প্রকাশ হবে আরও অনেক তারকার প্রচারণার ভিডিও।

সোশাল মিডিয়াতে ভাইরাল হয়েছে তারকাদের ভিডিওগুলো। আওয়ামী লীগের বিভিন্ন নেতাকর্মীদের ফেসবুকেও শোভা পাচ্ছে।

ভিডিও বার্তায় কেউ তুলে এনেছেন জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সোনার বাংলা গড়ার স্বপ্নে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সাফল্য, কেউ উল্লেখ করেছেন বিশ্ব মানচিত্রে বাংলাদেশকে উন্নত ও সমৃদ্ধ দেশ হিসেবে তুলে ধরতে শেখ হাসিনার সফল নেতৃত্ব, কেউ তুলে এনেছেন দেশের অর্থনীতি, কৃষি, বিদ্যুৎ, শিক্ষা, স্বাস্থ্য, নারীর ক্ষমতায়ন, শিল্প ও সংস্কৃতি, খেলাধুলাসহ নানা বিষয়ে আওয়ামী লীগের সাফল্যের কথা।

তারকারা নিজেরা মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় সমৃদ্ধ শেখ হাসিনা ও তার আওয়ামী লীগে আস্থা রেখে নৌকায় ভোট দেয়ার ইচ্ছেও প্রকাশ করেছেন।

এদিকে আসন্ন নির্বাচনে আওয়ামী লীগ থেকে মনোনয়ন পেয়েছেন বেশ ক’জন তারকা। তারা হলেন সংস্কৃতিমন্ত্রী ও অভিনেতা আসাদুজ্জামান নূর, চিত্রনায়ক ফারুক, কণ্ঠশিল্পী মমতাজ।

আরএম-১৪/০৬/১২ (বিনোদন ডেস্ক)

মন্ত্রীর সিনেমায় অভিনেতা মন্ত্রী

মন্ত্রীর সিনেমায়

আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক, সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদেরের লেখা উপন্যাস নিয়ে চলচ্চিত্র নির্মাণ হচ্ছে। উপন্যাসটির নাম ‘গাঙচিল’।

উপন্যাসের সঙ্গে মিল রেখে ছবিটির নাম ‘গাঙচিল’ চূড়ান্ত হয়েছে। ছবিটি পরিচালনা করবেন নঈম ইমতিয়াজ নেয়ামুল। এখানে জুটি হিসেবে দেখা যাবে ফেরদৌস-পূর্ণিমাকে।

এই সিনেমায় অভিনয় করবেন বলে জানিয়েছেন সংস্কৃতিমন্ত্রী, বিশিষ্ট অভিনেতা আসাদুজ্জামান নূর।

রোববার সকালে অভিনয় করার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন আসাদুজ্জামান নূর নিজেই।

এ বিষয়ে পরিচালক নঈম ইমতিয়াজ নেয়ামুল জানান, আসাদুজ্জামান নূরের দৃশ্যধারণের মধ্য দিয়ে শুরু হবে ‘গাঙচিল’ ছবির কাজ। সপ্তাহখানেকের মধ্যে যেকোনো একদিন সিনেমার শুটিংয়ের জন্য ক্যামেরার সামনে দাঁড়াবেন গুণী এই অভিনেতা।

‘গাঙচিল’ সিনেমায় অভিনয় নিয়ে আসাদুজ্জামান নূর বলেন, এই ছবিতে আমি অতিথি চরিত্রের শিল্পী। আমার তেমন কিছুই করার নাই। শুনেছি, আমার চরিত্রটি একজন রাজনৈতিক নেতার। ফলে আমার আর অভিনয় করার কিছু নাই, জীবন থেকে নেওয়া।

আসাদুজ্জামান নূর বলেন, ‘এই সিনেমার গল্পকার ওবায়দুল কাদের আমার রাজনৈতিক দলের সাধারণ সম্পাদক। সাধারণ সম্পাদক হওয়ার অনেক আগে থেকে তার সঙ্গে আমার ঘনিষ্ঠতা। রাজনৈতিক সহকর্মীর একটা উপন্যাস চলচ্চিত্রে রূপ দেওয়া হচ্ছে। তাছাড়া তিনি ব্যক্তিগতভাবে আমাকে অনুরোধ করেছেন। ফলে শত ব্যস্ততার মধ্যেও কাজটা করতে হবে।

মন্ত্রী আরও বলেন, এই ছবির পরিচালকের সঙ্গে ফোনে কয়েকবার আলাপ হয়েছে। চরিত্রটি নিয়ে বিস্তারিত কথা হয়নি। দু-এক দিনের মধ্যে হয়তো তা হয়ে যাবে। চরিত্রটিতে অভিনয়ের ব্যাপারে অভিনেতা ফেরদৌস (অভিনেতার পাশাপাশি ‘গাঙচিল’ ছবির প্রযোজকও তিনি) আমার সঙ্গে নিয়মিত যোগাযোগ করেছেন। তবে মহরতে অনুষ্ঠানে থাকার সুবাদে ছবিটি সম্পর্কে সেদিন কিছু ধারণা পেয়েছিলাম।

পরিচালক নঈম ইমতিয়াজ নেয়ামুল বলেন, আসাদুজ্জামান নূরের মতো গুণী শিল্পীকে নিজের ছবির একটি গুরুত্বপূর্ণ চরিত্রের অভিনেতা হিসেবে পাওয়ায় সম্মানিত বোধ করছি।

তিনি বলেন, কয়েক বছর ধরে নাটক আর বিজ্ঞাপনচিত্র বানালেও চলচ্চিত্রে আমি একেবারেই নতুন। আমার ছবিতে নূর ভাইয়ের (আসাদুজ্জামান নূর) মতো একজন শক্তিশালী অভিনেতা অভিনয় করতে রাজি হয়েছেন, এটা আমার সাহস বাড়িয়েছে। আমি অনুপ্রাণিত ও সম্মানিত বোধ করছি।

এ বছরের সেপ্টেম্বরে রাজধানীর ঢাকা ক্লাবে ‘গাঙচিল’ ছবির মহরত অনুষ্ঠিত হয়। এই ছবিতে ফেরদৌস সাংবাদিক আর পূর্ণিমা এনজিওকর্মীর চরিত্রে অভিনয় করবেন।

আরএম-১৩/০৬/১২ (বিনোদন ডেস্ক)

গাঁজা খেয়ে ঘুম তাড়ান ফিলিপাইন প্রেসিডেন্ট!

মাদকের বিরুদ্ধে ফিলিপাইনের প্রেসিডেন্ট রদ্রিগো দুতার্তের যুদ্ধে নিহত হয়েছের অন্তত পাঁচ হাজার সন্দেহভাজন মাদক ব্যবসায়ী। সেই দুতার্তেই সম্প্রতি জানালেন, ঘুম তাড়ানোর জন্য তিনি গাঁজা সেবন করে থাকেন। পরে অবশ্য এ কথা ফিরিয়ে নিয়ে সাংবাদিকদের তিনি বলেন, ওটা রসিকতা ছিল।

প্রেসিডেন্ট রদ্রিগো দুতার্তের ২০১৬ সালে ক্ষমতা গ্রহণের পর থেকে মাদকের বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা করেন। তার এ ঘোষণা থেকে হাজারও সন্দেহভাজন মাদক ব্যবসায়ী ও আসক্ত ব্যক্তি নিহত হয়েছেন। এজন্য দেশে ও বিদেশে চরম সমালোচনার মুখে পড়তে হয়েছে তাকে।

গত মাসে সিঙ্গাপুরের আসিয়ান সম্মেলন অংশ নেন দুতার্তে। সেখানে একের পর এক বৈঠকে অংশ নিতে হয় রদ্রিগো দুতার্তেকে। তবে ঘুমিয়ে পড়ায় কয়েকটি বৈঠকে উপস্থিত হতে পারেননি তিনি। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন তার মুখপাত্র স্যালভাদর পানেলো।সেই অভিজ্ঞতা বর্ণনা করে গত সোমবার ফিলিপাইনে এক অনুষ্ঠানে দুতার্তে বলেন, ‘আমার যাতে ঘুম না পায় সেজন্য গাঁজা টানি।’ অবশ্য বক্তব্যের পর তিনি এটাকে ‘রসিকতা’ হিসেবে অভিহিত করেন।

সিঙ্গাপুরের বৈঠকের পর গাঁজা সেবন প্রসঙ্গে ৭৩ বছর বয়সী দুতার্তে বলেন, ‘এটা অবশ্যই ধ্বংসাত্মক কার্যক্রম। আর আমার এ বয়সে এটা সেবন করা আরও কঠিন কিছু। অন্যদের পক্ষে এই বয়সে গাঁজা সেবন করা সম্ভব না। তবে চাপ থেকে মুক্ত থাকতে আমি গাঁজা সেবন করি।’

নিউইয়র্কভিত্তিক মানবাধিকার সংস্থা হিউম্যান রাইটস ওয়াচের গবেষক কার্লোস কন্ডে দুতার্তের রসিকতার সমালোচনা করে বলেছেন, এটা নিশ্চিতভাবেই (হতাহত ব্যক্তিদের) পরিবারকে আরও বিক্ষুব্ধ করে তুলবে। প্রেসিডেন্ট যা করার কথা স্বীকার করেছেন এবং এবং মাদকসেবীদের সঙ্গে তিনি যা করার ঘোষণা দিয়েছেন, তা সম্পূর্ণ সাংঘর্ষিক। প্রেসিডেন্ট যদি রসিকতা করতে গিয়েও সত্যি কথা স্বীকার করে ফেলেন, তাহলে পুরো বিষয়টিরই বিশ্বস্ততা নষ্ট হয়।

তবে দুতার্তের এ মন্তব্যের পক্ষ নিয়ে তার মুখপাত্র স্যালভাদর পানেলো বলেছেন, সবাই রসিকতা করতে পারেন। সেক্ষেত্রে প্রেসিডেন্ট রসিকতা করলে দোষ কী? তিনি মাঝে মধ্যে রসিকতা করেন, কারণ অনেক সময় ইভেন্টগুলো খুব বিরক্তিকর হয়ে থাকে। তাই বিরক্তি কাটাতেই মজা করেন তিনি। আর গাঁজা সেবন করলেই যে মানুষের ঘুম আসে তা শতভাগ সত্য নয়। এটা একটা ভ্রান্ত ধারণা। তিনি মজা করেছেন মাত্র।

প্রেসিডেন্টের এমন রসিকতা যুব সমাজের ওপর বিরুপ প্রভাব ফেলতে পারে-এমন আশঙ্কাকে উড়িয়ে দিয়ে মুখপাত্র বলেন, ‘প্রেসিডেন্টের একটা মাত্র রসিকতা প্রমাণ করে না যে, তিনি একজন খারাপ নেতা।’

এসএইচ-২২/০৬/১২ (আন্তর্জাতিক ডেস্ক, তথ্য সূত্র: আলজাজিরা)