দুপুর ২:২৭
বৃহস্পতিবার
১৬ ই মে ২০২৪ ইংরেজি
২ রা জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
৮ ই জ্বিলকদ ১৪৪৫ হিজরী
spot_img

কয়েনের বদলে ক্রিকেট ব্যাট দিয়ে টস!

টসের জন্য মাঠে দুই অধিনায়ক। রয়েছেন থার্ড আম্পায়ার। তবে কোনও কয়েন নয়, আকাশে ব্যাট ছুড়ে দিলেন এক দলের অধিনায়ক। হ্যাঁ…এমনই হতে চলেছে ভবিষ্যতের ক্রিকেট ম্যাচের টস। অন্তত অস্ট্রেলিয়ার বিগ ব্যাস লিগে এমনই হতে চলেছে।

ক্রিকেটে নতুন নতুন বিষয় শুরু করার জন্য নাম রয়েছে বিগ ব্যাস লিগ (বিবিএল)-এর। এর আগে জিং স্ট্যাম্প প্রথম এখানেই চালু হয়েছিল।

জিং স্ট্যাম্প অর্থাৎ, উইকেটের স্ট্যাম্পে বল লাগলেই আলো জ্বলবে। এই একই স্ট্যাম্প এখন আইপিএল এবং আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে ব্যবহার করা হয়। এবার সময় ব্যাট দিয়ে টস করার।

জানা গেছে, যে দেশের মাটিতে খেলা, সেই দেশের অধিনায়ক টসের সময় ব্যাটটি আকাশে ছুড়ে দেবেন। বিরোধী অধিনায়ক উঁচু (mountain) বা সমতল (plain) ডাক দেবেন।

ঠিক যেভাবে হেড বা টেল বলা হয়। বাকি পদ্ধতি একই। ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়ার প্রধান কিম ম্যাককইন বলেন, বিবিএল’ই এটা করে দেখাতে পারে।

এসএইচ-২৩/১০/১২ (স্পোর্টস ডেস্ক, তথ্য সূত্র: এই সময়)

আটক ২৯৬ বাংলাদেশিকে ফেরাতে তৎপর দূতাবাস

অনুপ্রবেশের দায়ে মালয়শিয়ার বিভিন্ন কারাগার ও ক্যাম্পে আটক থাকা বাংলাদেশীদের সুনিদ্দিষ্ট কোনো হিসাব নেই ঢাকার কাছে। আটকৃতদের বেশিরভাগই অবৈধভাবে মালয়েশিয়ায় প্রবেশ কিংবা অবৈধভাবে থাকার কারণে গ্রেফতার হয়েছেন।

দেশটির সিমুনিয়া, লেঙ্গিং, জুরুত, তানাহ মেরায়, মাচাম্বু, পিকে নানাস, আজিল, কেএলআইএ সেপাং ডিপো, ব্লান্তিক, বুকিত জলিল ও পুত্রাজায়া ক্যাম্পে আটক রয়েছেন ২৯৬ জন। তাদেরকে ফেরাতে তৎপরতা শুরু করেছেন দূতাবাস কর্মকর্তারা।

দূতাবাস জানায়, আটক ২৯৬ জনের মধ্যে ৪ ডিসেম্বর ৪০ জন ও ৬ ডিসেম্বর ১৮ জন ফের এসেছে। এ ছাড়া ১৩ ডিসেম্বর ৩১ জন বন্দী দেশে ফেরত আসার অপেক্ষায় রয়েছেন। পরিবারের সঙ্গে যোগাযোগ করে নিজ খরচে ফিরছেন বন্দিরা। যারা পরিবারের সঙ্গে যোগাযোগ ও বিমান ভাড়া দিতে পারেনি তাদের দেশে ফেরার প্রক্রিয়া দির্ঘ্য হচ্ছে। শুধু যাদের কেউ নেই অথবা টিকিটের ব্যবস্থা করতে একদমই অপারগ তাদের জনহিতৈশী কাজে নিয়োজিতদের সহযোগিতায় দেশে পাঠানোর ব্যবস্থা করা হচ্ছে।

বাংলাদেশিদের ফেরাতে গত সপ্তাহে হাইকমিশনার শহীদুল ইসলাম সিমুনিয়া ইমিগ্রেশন ক্যাম্প পরিদর্শণে যান। ক্যাম্প কমান্ডার ও ডেপুটি কমান্ডারের সঙ্গে বৈঠকে তিনি বাংলাদেশি বন্দিদের কোন অসুবিধা না হয় সেদিকে খেয়াল রাখার বিষয়টি জানিয়ে বন্দিদের দ্রুত বাংলাদেশে পাঠানোর পরামর্শ দেন। এ ছাড়া বন্দিদের সঙ্গেও কথা বলেন শহীদুল ইসলাম এবং তাদের মাঝে খাবার বিতরণ করেন।

হাইকমিশন থেকে অস্থায়ী ট্রাভেল পাশ ইস্যু করে তাদেরকে দেশে পাঠানো হচ্ছে জানিয়ে কাউন্সিলর (শ্রম) মো. সায়েদুৃল ইসলাম বলেন, অবৈধ অভিবাসীদের ধরতে ইমিগ্রেশন ও অন্যান্য বিভাগের প্রতিদিনের মেগা-থ্রি অভিযানে বাংলাদেশিসহ অবৈধ অভিবাসীদের আটক করে দেশটি।

পাসপোর্ট, ভিসা না থাকা, সমুদ্র-স্থলপথে অনুপ্রবেশ করার জন্যই মুলত আটক রয়েছেন বাংলাদেশিরা। বন্দি শিবিরে যারা আটক রয়েছেন তাদের দ্রুত দেশে পাঠানোর সবরকম ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।

এসএইচ-২২/১০/১২ (আন্তর্জাতিক ডেস্ক)

হার্শেল গিবস ভারতীয় নারী দলের কোচ হতে চান

সদ্যসমাপ্ত আইসিসি মহিলা টি-২০ বিশ্বকাপের সেমিফাইনালে ইংল্যান্ডের কাছে হেরে বিদায় নিয়েছিল ভারতীয় দল। সিনিয়র ক্রিকেটার মিতালি রাজকে ওই ম্যাচে বাদ দেওয়া হয়েছিল। যা নিয়ে বিতর্কে জড়িয়ে পড়েন কোচ রমেশ পাওয়ার ও অধিনায়ক হরমনপ্রীত কৌর। রমেশ পওয়ারের চুক্তি আর নবীকরণ হয়নি।

ফলে ভারতীয় মহিলা ক্রিকেট দলের জন্য নতুন কোচ নির্বাচন করতে এখন নেমেছে ভারতীয় ক্রিকেট কন্ট্রোল বোর্ড (বিসিসিআই)। দেশ-বিদেশের বেশ কয়েকজন ক্রিকেটার ও কোচ ভারতীয় দলের কোচ হওয়ার দৌড়ে রয়েছেন। তবে সেই তালিকায় দক্ষিণ আফ্রিকার প্রাক্তন ক্রিকেটার হার্শেল গিবসের নাম নিয়েই ক্রীড়ামহলে বেশি চাঞ্চল্য।

দক্ষিণ আফ্রিকার হয়ে ৯০ টেস্ট, ২৪৮ ওয়ানডে এবং ২৩ টি-২০ ম্যাচ খেলেছেন গিবস। যদিও কোনও বড় দলকে কোচিংয়ের অভিজ্ঞতা নেই তার। এর আগে কুয়েত জাতীয় দলের কোচ ছিলেন। সদ্যসমাপ্ত আফগানিস্তান প্রিমিয়ার লিগের দল ‘বালখ লেজেন্ডস’কেও কোচিং করিয়েছেন। ২০০০ সালে ভারতের বিরুদ্ধে ইচ্ছাকৃত ভাবে খারাপ খেলার জন্য অভিড়–ক্ত হয়েছিলেন। ছয় মাসের জন্য নির্বাসিতও হয়েছিলেন তিনি।

গিবস যে কোচ হতে চেয়ে আবেদন করেছেন, বিসিসিআইয়ের তরফে সেই খবরের সত্যতা স্বীকার করা হয়েছে। গিবস নিজেও তার টুইটারে জানিয়েছেন এই কথা।

এছাড়াও ভারতীয় দলের প্রাক্তন তারকা মনোজ প্রভাকর, বেঙ্কটেশ প্রসাদ, অস্ট্রেলিয় তারকা টম মুডি বা কোচিংয়ের দীর্ঘ অভিজ্ঞতা সম্পন্ন ডাভ হোয়াটমোর ভারতীয় মহিলা দলের কোচ হতে চেয়ে আবেদন করেছেন বলে সূত্রের খবর। প্রভাকর দীর্ঘদিন দিল্লির রঞ্জি টিমের কোচ হিসেবে কাজ করেছেন। সদ্যই আইপিএলের দল কিংস ইলেভেন পাঞ্জাবের বোলিং কোচের পদ ছেড়ে দিয়েছেন প্রসাদও। টম মুডি বা ডাভ হোয়াটমোরের কোচিং অভিজ্ঞতা দীর্ঘ ও বেশ বর্ণময়।

ভারতীয় মহিলা দলের কোচ নির্বাচনের জন্য অংশুমান গায়কোয়াড সহ আরও কয়েকজন প্রাক্তন ক্রিকেটারকে নিয়ে একটি প্যানেল গঠনের কথা জানিয়েছে বিসিসিআই। সুতরাং গিবসের কাজটা যে খুব সহজ হবে না, তা বলাই যায়।

এসএইচ-২১/১০/১২ (স্পোর্টস ডেস্ক)

নির্বাচনে ধানের শীষ নেওয়ার কারণ জানালেন মান্না

আগামী একাদশ জাতীয় সংষদ নির্বাচনে ধানের শীষ প্রতীক বরাদ্দ পেয়েছেন বগুড়া-২ (শিবগঞ্জ) আসনে জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের প্রার্থী নাগরিক ঐক্যের আহ্বায়ক মাহমুদুর রহমান মান্না।

সোমবার জেলা রিটার্নিং কর্মকর্তা মাহমুদুর রহমান মান্নার প্রধান নির্বাচনী এজেন্ট শিবগঞ্জ থানা বিএনপির সভাপতি মীর শাহ আলমের হাতে প্রতীক তুলে দেন। প্রতীক বরাদ্দ পেয়েই নির্বাচনী প্রচারণা শুরু করেন মান্না।

বিকেলে শিবগঞ্জ উপজেলার কিচক বন্দরে নির্বাচনী পথসভায় ঐক্যফ্রন্ট নেতা বলেন, আগে আমি আওয়ামী লীগ করতাম। কিন্তু ৫ বছর আগে ৫ জানুয়ারি নির্বাচন আমার পছন্দ হয়নি। তাদের অবৈধ কর্মকাণ্ড আমার পছন্দ হয়নি। তাই আমি তাদের ছেড়ে আসি।

মান্না বলেন, এই অবৈধ সরকার মিথ্যা মামলা দিয়ে আমাকে গত ২ বছর জেলে রেখেছিল। ইনশাল্লাহ আমি আপনাদের দোয়ায় বেঁচে আছি।

তিনি বলেন, এ সরকার বিগত ১০ বছরে জনগণের ভোটাধিকার কেড়ে নিয়ে গণতন্ত্রকে হত্যা করেছে। শুধু তাই নয়, মিথ্যা মামলা দিয়ে, মিথ্যা অজুহাতে বিএনপির চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়াসহ সারাদেশের নেতা কর্মীদের জেলে ঢুকিয়েছে। এই অবৈধ সরকারের ক্ষমতাকে ভেঙে দিতে ও বেগম জিয়াকে মুক্ত করতে আপনাদের মূল্যবান ভোট ধানের শীষ প্রতীকে দিতে হবে। তাহলে এদেশের গণতন্ত্র ফিরে আসবে।

শিবগঞ্জ থানা বিএনপির সভাপতি মীর শাহে আলমের সভাপতিত্বে পথসভায় আরও বক্তব্য রাখেন থানা বিএনপির সাবেক সভাপতি এবিএম কামাল সেলিম, দলের সাধারণ সম্পাদক তাজুল ইসলাম, জেলা বিএনপির আইন সম্পাদক অ্যাডভোকেট আব্দুল বাছেদ, ভাইস চেয়ারম্যান বিউটি বেগম, বিএনপিতে মাহবুবুর রহমান, দোজা ফকির, অধ্যক্ষ আব্দুল আলীম প্রমুখ।

বিএ-২৫/১০-১২ (উত্তরাঞ্চল ডেস্ক)

মরিচা দূর করতে ব্যয় ২১’শ কোটি ডলার

মার্কিন অস্ত্রশস্ত্রে মরিচা বড় এক মাথা ব্যথার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে পেন্টাগনের। ট্যাঙ্ক, সাঁজোয়া যান, জাহাজ, ব্যালেস্টিক মিসাইল, পারমানবিক অস্ত্র কিংবা বিমান যাই হোক না কেন এতে প্রাকৃতিকভাবে রাসায়নিক বিক্রিয়ায় যে মরিচা ধরে তা দূর করতে রীতিমত গলদঘর্ম হচ্ছে মার্কিন প্রতিরক্ষা বিভাগ।

বছরে গুণতে হচ্ছে ২১ বিলিয়ন ডলার। এমনকি এসব দামি অস্ত্রশস্ত্রের রক্ষণাবেক্ষণের অভাব হলে অচল হয়ে যাওয়ার ভীতিও রয়েছে এবং তা ঠিক রাখতে এর একতৃতীয়াংশ খরচ ব্যয় করতে হচ্ছে মরিচা দূর করতে।

এধরনের সমস্যা সবচেয়ে বেশি শুরু হয় ২০০২ সাল থেকে। ডিফেন্স ওয়ান

মার্কিন সরকারের জবাবদিহি বিভাগ থেকে বলা হচ্ছে অস্ত্রশস্ত্রের মরিচা দূর করার কার্যকর সঠিক দিকনির্দেশনা এখনো প্রণয়ন করা হয়নি। গত বছর মার্কিন সেনাবাহিনী ও নৌবাহিনী এধরনের সমস্যা নিরসনে কংগ্রেস বিপাকে পড়ে ঠিক কি পরিমান অর্থ বরাদ্দ দেয়া হলে মরিচা সমস্যা দূর হবে তা নিয়ে।

একই বছরে মার্কিন সেনাবাহিনী ২.৪ মিলিয়ন ডলার, বিমান বাহিনী ৩ মিলিয়ন ও নৌবাহিনী ২ লাখ ২০ হাজার ডলার চাইলে তা বরাদ্দ দেয়া হয়। কারণ এ বরাদ্দ দেয়া না হলে অনেক অস্ত্রশস্ত্র অচল হয়ে গেলে তা আর ব্যবহার করা যাবে না বলেও সতর্ক করা হয়েছিল।

এসএইচ-২০/১০/১২ (অনলাইন ডেস্ক)

“জাতীয় পার্টি নৌকায় উঠলে মহাজোটে বিদ্রোহী প্রার্থী থাকত না”

একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগের নেতৃত্বাধীন মহাজোটের তিনশ আসনে প্রার্থীর চূড়ান্ত তালিকা দেওয়া হয়েছে। এরমধ্যে ১৪ দলের শরিকদের ১৫টি ও মহাজোটের জাতীয় পার্টিকে দেওয়া হয়েছে ২৬টি। কিন্তু জাতীয় পার্টি লাঙ্গলে দলীয় মনোনয়ন দিয়েছে ১৩২টি।

এতে করে মহাজোটের মধ্যে দেখা দিয়েছে আস্থার সংকট। ফলে মহাজোটের শরিক জাতীয় পার্টির প্রার্থীর বিপরীতে একাধিক স্থানে রয়েছে আওয়ামী লীগের প্রার্থী। তাই জাতীয় পার্টি লাঙ্গলের বদলে নৌকায় উঠলে আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী থাকত না বলে মনে করেন আওয়ামী লীগের শীর্ষ নেতাকর্মীরা।

শরিক দল ১৫ টি আসনে নৌকা প্রতীক নিয়ে নির্বাচন করার ঘোষণা দেয়ার পরেও বেশির ভাগ আসনে বিদ্রোহী ছিল। তবে দলের হেভিওয়েট প্রার্থীদের নিয়ে নির্বাচন পরিচালনা বিশেষ টিম গঠন করে বিদ্রোহীদের মনোনয়ন প্রত্যাহার করার নির্দেশ দিলে অনেক-ই প্রত্যাহার করেছে।

রোববার জাতীয় পার্টি মহাজোটের বাইরে নিজস্ব প্রতীকে নির্বাচনের করার জন্য ১৩২ আসনে ঘোষণা দেয়। এতে করে আওয়ামী লীগ ও জাতীয় পার্টি একই আসনে একাধিক প্রার্থী প্রতিযোগিতা করবে। তাতে ভোট কমার আশঙ্কা আছে আওয়ামী লীগ ও মহাজোট প্রার্থীর।

আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক জাহাঙ্গীর কবির নানক বলেন, আমাদের সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী দুই থেকে তিনজন বিদ্রোহী প্রার্থী ছিল তারা মনোনয়ন প্রত্যাহার করে নিয়েছে। আমাদের দলীয় প্রধান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার খোলা চিঠির আহ্বানে সবাই সাড়া দিয়েছেন। এই নির্বাচনে আওয়ামী লীগের কোনও বিদ্রোহী প্রার্থী থাকবে না। একই আসনে মহাজোটের একাধিক প্রার্থী থাকায় ভোটে কোনো প্রভাব পড়বে না।

আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক আ ফ ম সম্পাদক বাহাউদ্দিন নাছিম বলেন, মহাজোটের অন্যতম শরিক জাতীয় পার্টি নৌকা প্রতীকে নির্বাচন করলে ভাল হতো। এতে করে কোনো বিদ্রোহীর আশঙ্কা থাকতো না। সবাই মিলে নৌকার পক্ষে কাজ করতো।

বিএ-২৪/১০-১২ (অনলাইন ডেস্ক)

অভিনেতা শামীম এ কি বললেন?

‘আমাদের অনেক সমস্যা। সবচেয়ে বড় সমস্যা হচ্ছে সাধ আছে কিন্তু সাধ্য নেই। অনেক কিছুই করার ইচ্ছে করে কিন্তু সাধ্যের অভাবে পারি না। আমরা মানুষকে বিনোদন দেই অথচ মানুষ আমাদের দেখলেই ওপেনলি মজা নেয়। কিন্তু আমরা কি সেই মজার লোক? মানুষ ভাবে আমরা চিড়িয়াখানার বান্দর। পারলে একটু ঢিল মারতে চায়। এরকম আমি অনেক পড়ছি অনেক দেখছি। সিনিয়র নাই জুনিয়র নাই, বড় ছোট নাই সবাই এমন করে। আমি যেটা জানি এবং মানি সেটা হচ্ছে শিল্পীদের কখনো উচ্চস্বরে কথা বলতে নেই। কিন্তু শুটিং সেটে কার কী ক্ষমতা সেটা দেখানোর চেঁচামেচি সবসময়ই চলে। ভালো হতো সেটা যদি অভিনয় দক্ষতা বা যোগ্যতা দেখানোর জন্য হতো।

আমার তো সাধারণত অভিনয় শেখা নাই, দেখে দেখে শেখা আর কি। সেই অর্থে আমি থিয়েটার কি বুঝি না। যখন বুঝলাম তখন যারা থিয়েটার করা মানুষ তাদের দেখলে নত হয়ে যাই। তাদের কাছ থেকে শেখার চেষ্টা করি। কখনো গোপনে, কখনো বা প্রকাশ্যে। আমি যখন একটি কাজে অংশ নেই তখন এটা মনে করি যে আমার উপর ওই কাজের ডিরেক্টর, প্রডিউসারের সম্মান নির্ভর করছে। বাজে অভিনয় করলে আমার তো হবেই, তাদেরও বদনাম হবে। আমি কাজ পাবো না সেটা একক সমস্যা। কিন্তু একজন নির্মাতা বা প্রযোজক আমার জন্য ভোগান্তিতে পড়লে সেটা কিন্তু অনেককে প্রভাবিত করে। তাই সচেতন থাকি।

রোগ বালাই যাই হোক, ক্যামেরার সামনে থাকলে নিজে যা জানি তার সেরাটা দেওয়ার চেষ্টা করি’- এভাবেই বলছিলেন অভিনেতা শামীম আহমেদ। তার আসল নাম শামীম হোসেন হলেও অনেকেই তাকে শামীম আহমেদ নামেই চেনেন বা জানেন। ১৭ বছরের ক্যারিয়ারে এক হাজারেরও বেশি নাটক এবং ২৬টিরও বেশি সিনেমায় কাজ করেছেন এ অভিনেতা। নাটক কিংবা সিনেমাতে তাকে কমেডিয়ান চরিত্রেই বেশি দেখা যায়। বিডি২৪লাইভের বিনোদন বিভাগের সঙ্গে নিজের ক্যারিয়ার, পেছনের গল্প নিয়ে কথা বলেন কমেডিয়ান এই অভিনেতা।

ক্যারিয়ার শুরুর দিক নিয়ে তিনি বলেন, ‘আমি ১৯৮৬ সালের দিকে মহিলা সমিতি অফিসের পিওন ছিলাম। সেখানে ক্যান্টিনে থাকতাম। আর অভিনয়টা আসলে আমি শিখি হুমায়ূন ফরিদী ভাইকে দেখে দেখে। অভিনয় করার ইচ্ছা আমার কখনোই ছিলো না। করার আগ্রহও জাগে নাই তখন। কিন্তু দেখার আগ্রহ ছিল অনেক। তাই তখন উনার অভিনয় মন ভরে দেখতাম। পরে যখন অভিনেতা হলাম উনার অভিনয় আমাকে প্রভাবিত করলো। আমি শিষ্য হলে উনারই হতাম। অভিনয়ে আরেকজন ম্যাজিশিয়ান আছে আমাদের। এটিএম শামসুজ্জামান। আমার খুব প্রিয় নানা। তার কথা যদি বলি তবে মন খারাপ হয়ে আসে। প্রায় ষাট বছরেরও বেশি সময় ধরে তিনি এই লাইনে। কী না করেছেন।

অভিনয়, লেখা, পরিচালনা, প্রযোজনা। কী তার মন-মানসিকতা। বিরাট বটবৃক্ষ। এই লোকটা ২০-৩০ হাজার টাকা পায় এখন নাটকে। সেটাও কতো কাহিনি করে। এই দেশে অভিজ্ঞতার দাম নেই। গ্ল্যামার আর নায়ক-নায়িকা হওয়াটাই বড় কথা। নইলে যেখোনে নতুন একটা ছেলেমেয়ে হুট করেই এসেই দিনে ৩০ করে পারিশ্রমিক নেয় সেখানে ষাট বছর ধরে অভিনয় করা একজন মানুষের পারিশ্রমিক তার চেয়ে কম কী করে হয়! তার নাম নিলেই তো ৫০ বলা উচিত। এসব সিস্টেম নেই বলেই এই দেশে নাটকের মান বাড়ে না। তবে আমার মন খারাপ হলেও একটা বিষয় ভেবে শান্তি পাই। যারা দিতে পারে আর নিতে পারে এটা তাদের ব্যাপার। কিন্তু আমরা কম খাবো, বেশি দিন বাঁচবো। বেশি খাওয়ার জন্য ঠাস করে পড়ে যাবো না। ১৭ বছরে গ্ল্যামার কম দেখলাম না। অনেককে আজকাল দূরবীন দিয়েও মিডিয়াতে দেখা যায় না। আমি ছোট মানুষ, করে খাচ্ছি এখনো।’

শামীম আহমেদের অভিনয়ের পথচলার শুরু ১৯৯৯ সালে ‘বন্ধন’ ধারাবাহিক নাটকের মাধ্যমে। শামীমের ভাষায়, ‘বন্ধন নাটকের প্রোডাকশন ম্যানেজার ছিলাম আমি। শামীমা আপা ছিলেন পরিচালক। আমার একটা সবচেয়ে বড় গুণ ছিলো, কোন কোন আর্টিস্ট কখন ওষুধ খাবে, কোন আর্টিস্ট কখন ডায়াবেটিসের ইনসুলিন নেবে আর নেওয়ার কতক্ষণ পর সে খাবে, কোন নায়ক কখন খাবে এই বিষয়গুলো মনে রাখতে পারতাম। আর কাজটা ঠিকমত করতাম। আমি খুব পরিছন্ন ছিলাম। ওই নাটকে আফসানা মিমি আপা ছিলেন। এই নাটকে একটা চরিত্র ছিল ‘লোকমান’। লোকমান চরিত্রটা করার জন্য যে ছেলেটাকে সিলেক্ট করা হয়েছিলো দুইদিন শুট করার পর সে আর আসেনি। কারণ তার কী একটা পরীক্ষা চলছিল।

দুইদিনে ওই চরিত্রের তেমন কিছু করা হয়নি। ওই সময় উচ্ছ্বাস, সোহান ওরা মামুনূর রশীদ স্যারের অন্য নাটকে শুটিং করছিলো। পনের দিনের মধ্যে ফ্রি হতে পারবে না। ঠেকার কাজটা চালানোর জন্য হইলেও চরিত্রটা দাঁড় করাতে হবে এমন অবস্থা। তখন সেদিন রাতে মিমি আপা, পান্থ ভাই, অম্লান বিশ্বাস, অমিতাভ ভাই, মুরাদ ভাই এরা ছিলেন একসঙ্গে। হঠাৎ মিমি আপা আমাকে ডেকে বলল, শামীম তুই লোকমান ক্যারেক্টারটা পড়ছস? আমি কইছি, হ পড়ছি। অথচ কিচ্ছুই পড়ি নাই। দুষ্টামি করে বলছিলাম। কারণ, তারা জানেন যে আমি নিয়মিতই স্ক্রিপ্ট পড়ি। নিজেরও পড়িনি বলে লজ্জা পাবো তাই বললাম পড়েছি।

মিমি আপা জানতে চাইলেন, ‘কি পড়ছস? আমি কইলাম, ওই যে যা পড়ছি, তাই পড়ছি। তখন আপা কইল, তুই এই দুইটা সিন পড়ে রাখ, এই দুইটা তুই করবি। আমি কইলাম মাথা খারাপ! আমি অভিনয় করমু? আমি অনেক অনেক বড় অভিনেতা চোখের সামনে দেখেছি। উনাদের দেখে দেখে একটা জিনিস বুঝেছিলাম অভিনয় জিনিসটা আসলে এত সহজ না। উপরওয়ালা যদি স্বয়ং নিজে হাত না দেয় তাহলে কখনো সম্ভব না। তাই ভয় পাচ্ছিলাম। কিন্তু সবাই অনেক বলার পর, সাহস দেয়ার পর চরিত্রটা আমি করি। আমার প্রথম দৃশ্যটা এক টেকে ওকে হয়ে গিয়েছিলো। এরপর এভাবে ২০ পর্ব পর্যন্ত আমরা শেষ করি। বাকিটুকু ইতিহাস।’

কিছুটা আবেগতাড়িত হয়ে শামীম স্মৃতি হাতড়ে বলেন, ‘ওই নাটকটা করতে গিয়ে আমার বড় অভিজ্ঞতা হল যে, নাটক দেইখাও যে পুরস্কার পাওয়া যায় জানলাম। মাছরাঙা প্রোডাকশন হাউজের মালিক অঞ্জন চৌধুরী পিন্টু স্যার আমাকে ২০ হাজার টাকা দিলেন। এরপর তুষার ভাই দিলেন আরও ৫ হাজার টাকা শুধুমাত্র একটা দৃশ্য করার জন্য। এরপরও আমি আর আর অভিনয় করব না জানিয়ে দিয়েছিলাম। কিন্তু পিন্টু স্যারের কথায় আবারো শুরু করি এবং তারপর থেকেই নিয়মিত। আসলে আমার ভাগ্য এখানে ছিলো।’

শামীম বলে যান, ‘মানুষ পিছনের কথা বলে না কখনো। আমি সবসময় সত্যবাদী। পিন্টু স্যার একবার আমাকে ১০ হাজার টাকা দিয়েছিলেন আমার সত্যবাদীতার জন্য। কারণ একদিন আমি আমার ইতিহাস জানাতে গিয়ে উনাকে বলেছিলাম যে আমি পকেটমার ছিলাম, রিক্সা চালাইছি শহরে শহরে। আমি অভাবী ঘরের মানুষ। অভাব ছিলো। সঙ্গদোষে নানা পথে গিয়েছি। মূল কথা হলো আমি সব মন্দা কাটিয়ে নিজেকে একটা ভালো পথে চালিত করতে পেরেছি। পরিশ্রম করে, নিজের মেধা ও সৃষ্টিশীলতা দেখিয়ে হালাল পয়সায় বেঁচে আছি। এটা আমাকে শান্তি দেয় খুব। লুকিয়ে রাখলে রাখতে পারাতাম। চাপে মেরে বলতে পারতাম আমার বাবা জমিদার ছিল। আমি দেখেছি সত্য শুনে মানুষ অবাক হলেও সেটাকে সবাই খুব সহজে গ্রহণ করে ও মেনে নেয়। সম্মান করে সত্যকে।’

সিনিয়রদের সঙ্গে অভিনয়ের অভিজ্ঞতা জানিয়ে এই অভিনেতা বলেন, ‘অনেক সিনিয়রদের সাথে যখন অভিনয় করি তখন আমার সারা শরীর কাঁপতে থাকে। একবার মামুনুর রশীদ স্যারের সাথে আমার একটা সিন ছিল। উনাকে দেখে আমার শরীর কাঁপা শুরু করে দিল। তখন স্যার বললো কিরে তর শরীর কাঁপে কেন? আমি কইলাম, আপনার সাথে অভিনয় করমু তো, কাঁপবো না! তখন আমাকে বলল, মনে কর তর শত্রু তর সামনে বন্দুক তাক করছে, তুইও করছস। তখন কি তুই বন্দুক ছেড়ে দিবি? আমি কইলাম, না! তখন বলল, তাহলে ওইটাই কর। বন্ধুক চালা। এই বন্ধুক অভিনয়ের। এভাবেই প্রত্যেকটা সিনিয়র মানুষ আমাকে কাজের জায়গা থেকে সহযোগিতা করেছেন।’

শামীম আহমেদ এক হাজারেরও বেশি নাটকে কাজ করেছেন। প্রায় ২৬টা চলচ্চিত্রেও দেখা গেছে তাকে। তার প্রথম সিনেমা ছিল ‘জীবন মরণের সাথী’। শাকিব খানের বন্ধু চরিত্রে কাজ করেছিলেন। এরপর একে একে শাকিবের সঙ্গে আরও অনেক ছবিতে কাজ করেছেন। শাকিব খানে সঙ্গে অভিনয়ের অভিজ্ঞতায় শামীম বলেন, ‘শাকিব খানের সাথে অনেক ছবি আমি ছেড়ে দিছি। ‘মাই নেইম ইজ সুলতান’ ছবির জন্য আমি ২৫ দিন শিডিউল দিয়েছি। দেখা গেলো আমার শিডিউল নিলো ভালো কথা আজ শাকিব অসুস্থ, কাল মাথা ব্যাথা, পরশু আসতে দেরি হলো এই করতে করতে চলে যায়।

আজকাল করে শিডিউল নিয়ে ঠিকমত কাজটা হয় না। পরিচালক ফোন দিয়ে বলে আজ তো হচ্ছে না, কাল আসো। কোনো প্রশ্ন আর করতে পারি না। করলে বলে, বোঝোই তো হিরো। এটাতেও শাকিবের বন্ধু চরিত্র ছিল। এর জন্য নিজেকে প্রস্তুতও করেছিলাম। কিন্তু হলো না। তৃপ্তির জায়গাটা পেলাম না। এ কারণে শাকিব খানের সাথে আমি ছবি এখন আর করি না। আজ ব্যাংকক, কাল মালয়েশিয়া, আজ ঢাকা তো সেটে আসবে ৩টার পর। এভাবে করে তো কাজ করা যায় না। আমি গরীব মানুষ। আমাকে কাজ করতে হয় নিয়মিত। অন্যের শিডিউলের উপর জীবন আমার চলবে কেমন করে।’ ছোট শিল্পী হিসেবে মূল্যায়িত হয়ে নানা আক্ষেপের কথা জানান শামীম।

তিনি বলেন, ‘আমার মতো আরও অনেকেই আছেন যাদেরকে পরিচালকরা একটু দুর্বল চোখে দেখেন। পরিচালকদের বলি ভাই, আমাদের ডেটের বিষয়টা ১৫-২০ দিন আগে জানায়েন। আসলে আমারা তো আর নায়ক না, তাই পরিচালকরা আমাদের এতটা গুরুত্ব দেয় না। মনে করে যখন খুশি চাইলেই ডেট পাওয়া যাবে। এমন করে কত ডেট যে খেলো কতজন ঠিক নাই। তারপর আমাদের টাকা দিতে গিয়েও তাদের কত সমস্যা। টাকা চাইলেই বলে, তোমরা তো নিজেদের লোক পেয়ে যাবা। অথচ নিজেদের লোক হলে তো আগে পাওয়ার কথা। কিন্তু তার আর খবর থাকে না। বলতে থাকি, ভাই আমাদেরও তো পরিবার আছে, বউ বাচ্চা আছে। অভিনয় করেই তো খাই। অন্যকিছু তো করি না। তাহলে আমাদের সাথেই কেন এমন করা হবে।

শুটিং শেষ করে যখন অনেক রাতে বাড়ি ফিরি মাঝপথে ছিনতাইকারী ধরলেও কিছু বলতে পারি না। পরিবারের চিন্তাটাতো আছে। অরা কিছু বলার আগেই আমি বলি, ভাই যা আছে সব নিয়ে যান, আমি দিয়ে দিচ্ছি কোনো টেনশন নিয়েন না। কিন্তু কেন এটা করি! আমার কিছু হয়ে গেলে আমার পরিবারের কি হবে। কিছুদিন আগেই এমনটা হল, আমার মোবাইলসহ অনেক কিছুই নিয়ে গেল। নিজে সুস্থ আছি এটাই শুক্কুর আলহামদুলিল্লাহ।’

এসএইচ-১৯/১০/১২ (বিনোদন ডেস্ক)

দীপিকা না চাইলেও রিসেপশনে গিয়েছিলেন ক্যাটরিনা

দীপিকা না চাইলেও তার রিসেপশনে গিয়েছিলেন ক্যাটরিনা কাইফ। রণবীর সিং ব্যক্তিগত ভাবে আমন্ত্রণ জানিয়েছিলেন ক্যাটরিনাকে। আমন্ত্রণ অগ্রাহ্য করেননি নায়িকা। সেই রিসেপশনের পরেও কেটে গিয়েছে বেশ কিছু দিন। রিসেপশনে গিয়ে আদৌ কি অভ্যর্থনা পেয়েছিলেন ক্যাটরিনা? এতদিনে মুখ খুললেন তিনি।

সম্প্রতি ক্যাটরিনা সাংবাদিকদের জানিয়েছেন, দীপিকা-রণবীরের রিসেপশনে খুব ভাল সময় কাটিয়েছেন তিনি। নবদম্পতিকে দেখতেও খুব ভাল লাগছিল। অন্তত ক্যাটরিনার দিক থেকে কোনও মনোমালিন্যের চিহ্ন আর নেই।

আনন্দবাজার পত্রিকার খবরে বলা হয়, রিসেপশনে যাওয়ার পর সোশ্যাল মিডিয়ায় ক্যাটরিনাকে ফলো করা শুরু করেছেন দীপিকা। তাহলে কি নতুন কোনও বন্ধুত্বের জার্নি শুরু হল বলিউডে?

কিন্তু ক্যাটরিনাকে কেন নিজের রিসেপশনে আমন্ত্রণ জানাতে চাননি দীপিকা? শোনা গিয়েছিল, এই দুই নায়িকার ব্যক্তিগত রসায়ন একেবারেই ভাল নয়। একটা সময় রণবীর কাপুরের সঙ্গে ডেট করতেন দু’জনেই। দু’জনেই রণবীরের সাবেক গার্লফ্রেন্ড। আর রণবীরের কারণেই তাদের সম্পর্কে চিড় ধরে।

তবে রণবীর সিংয়ের আমন্ত্রণে কি দীপিকা-ক্যাটরিনা সম্পর্কের বরফ গলবে? উত্তর খুঁজছে বলিউড।

এসএইচ-১৮/১০/১২ (বিনোদন ডেস্ক)

এবার বিএনপির চাদরে নিজেদের ঢেকে নিলো জামায়াত!

যুদ্ধাপরাধীর সন্তান থেকে জামায়াতের হেভিওয়েট নেতা, সব প্রার্থীর পরিচয় এখন বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল বিএনপি। যুদ্ধাপরাধের দায়ে নিবন্ধন বাতিল হওয়া এই সন্ত্রাসী সংগঠনটির প্রার্থীদের মার্কা ধানের শীষ। অনেক দর-কষাকষির পর সংসদ নির্বাচনে বিতর্কিত সংগঠন জামায়াতে ইসলামীকে ২২টি আসন ছাড়লো বিএনপি।

বিএনপির ধানের শীষের ছায়াতলে এখন জামায়াত ও ঐক্যফ্রন্ট। জামায়াতের সঙ্গে সম্পর্ক থাকবে না এমন ঘোষণা দিয়ে ড. কামালের নেতৃত্বে বিএনপিসহ ছোট কয়েকটি দলের সমন্বয়ে জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট যাত্রা শুরু করলেও এখন যুদ্ধাপরাধী জামায়াতের সঙ্গে কাঁধে-কাঁধ মিলিয়ে ধানের শীষ নিয়ে নির্বাচন করছে ঐক্যফ্রন্ট।

নির্বাচন কমিশন মুক্তিযুক্তের বিরোধিতাকারী দলটির নিবন্ধন বাতিল করায় ২০ দলীয় জোটের অন্য শরিক ঐক্যফ্রন্টের মতো ধানের শীষ প্রতীকে নির্বাচন করতে হচ্ছে তাদেরও। সংসদ নির্বাচনে রাজধানী ঢাকায় জামায়াত প্রার্থীরা সব সময় জামানত হারিয়েছেন। ১৯৯১ ও ১৯৯৬ সালে সংসদ নির্বাচনে রাজধানীর সব আসনে প্রার্থী দিয়ে জামানত হারিয়েছিলো জামায়াত। এরপর ২০০১ এবং ২০০৮ সালের জোটবদ্ধ নির্বাচনে জামায়াতে ইসলামী ঢাকায় প্রার্থী দেবার চেষ্টা করলেও বিএনপি রাজি হয়নি।

তবে এবার জামায়াতের শক্তিশালী লবিংয়ে ঢাকা-১৫ আসনে যুদ্ধাপরাধীদের সংগঠন জামায়াতের সেক্রেটারি জেনারেল ডা. শফিকুল ইসলাম প্রার্থী হয়েছেন। সেনানিবাসের পাশে স্পর্শকাতর এলাকায় জামায়াতের মতো সন্ত্রাসী দলের পলাতক নেতা ধানের শীষ প্রতীকে, এনিয়ে সাধারণ ভোটারদের মধ্যে ক্ষোভ।

নগরবাসি জানায়, যুদ্ধের সময় এই যুদ্ধাপরাধীরা কত মানুষকে হত্যাসহ অনেক বড় ধরনের ক্ষতি করেছে। কাজেই এদের যে মনোনয়ন দেয়া হলো, তারা পরবর্তীতে আবার মানুষের ক্ষতি করবে না এর নিশ্চয়তা কী আছে?

ধানের শীষ প্রতীকে নির্বাচনে আছে, বিএনপি জামায়াতের চিহ্নিত যুদ্ধাপরাধীর সন্তান কিংবা আত্মিয়। যুদ্ধাপরাধের দায়ে আমৃত্যু কারাদ-ে দ-িত দেলোয়ার হোসেন সাঈদীর ছেলে শামীম বিন সাঈদী পিরোজপুর-১ আসনে নির্বাচন করছেন।

এছাড়া কুমিল্লা, সাতক্ষীরা, রংপুর, খুলনা, দিনাজপুর ও ঢাকাসহ চট্টগ্রাম, কক্সবাজার প্রতিটি বিভাগে কোনো না কোনো আসনে সুরা সদস্য ও হেভিওয়েটদের ধানের শীষ প্রতীকে দাঁড় করিয়েছে জামায়াত। যুদ্ধাপরাধে নিষিদ্ধ হওয়ার পরও এবারের নির্বাচনে বিএনপির চাদরে নিজেদের ঢেকে নিলো জামায়াত।

বিএ-২৩/১০-১২ (অনলাইন ডেস্ক)

এবারের নির্বাচনে জাপাকে ‘প্রকৃত অবস্থা’ উপলব্ধি করাতে চায় আ.লীগ

সমাঝোতার বাইরে গিয়ে জাতীয় পার্টির বাড়তি প্রার্থী দেওয়াকে খুব একটা আমলে নিচ্ছে না আওয়ামী লীগ। এ নিয়ে অসন্তুষ্টি থাকলেও মহাজোটের নেতৃত্বাধীন দলটির নেতারা বলছেন, জাতীয় পার্টি জনসমর্থন অনুয়ায়ী যে পরিমাণ আসন পেতে পারে, তেমন সংখ্যক আসনই বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। তারপরও তারা অনেক আসনে অহেতুক প্রার্থী দিয়েছে। এতে মহাজোটের প্রার্থীর কোনও সমস্যা হবে না দাবি কারে আওয়ামী লীগ নেতারা বলছেন, এত প্রার্থী নিয়ে নির্বাচনে নেমে জাতীয় পার্টি তাদের প্রকৃত অবস্থা উপলব্ধি করবে।

অবশ্য আওয়ামী লীগের সঙ্গে আলোচনা করেই জাতীয় পার্টি বাড়তি প্রার্থীদের নাম ঘোষণা করেছে। কিন্তু এসব আসনে তাদের উল্লেখযোগ্য ভোট নেই। আর নির্বাচনের মাঠে সেটা প্রমাণ হবে বলেই মনে করছে আওয়ামী লীগ।

অসন্তুষ্টি, মান-অভিমান, অভিযোগ-অনুযোগ থাকলেও ১৪ দলীয় জোট শরিকদের সঙ্গে আসনবণ্টনে দৃশ্যত সমাঝোতা হয়েছে আওয়ামী লীগের। ১৪ দলের শরিকরা ১৩টি আসন পেয়েছেন। বেশি প্রত্যাশা থাকলেও তিনটি আসন পেয়ে আওয়ামী লীগের সঙ্গে জোটবদ্ধ হয়ে নৌকা নিয়ে নির্বাচনের মাঠে নেমেছে নির্বাচনি শরিক যুক্তফ্রন্ট তথা বিকল্পধারা বাংলাদেশ। দলটির পক্ষ থেকে সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বাড়তি আসন দাবি করা হলেও আর উচ্চবাচ্য হয়নি।

তবে আরেক নির্বাচনি শরিক জাতীয় পার্টির সঙ্গে আওয়ামী লীগের নির্বাচনি সমাঝোতা হয়েছে ‘আংশিক’। দলটি ২৬টি আসন বরাদ্দ পেলেও খুশি হতে পারেনি। তারা আওয়ামী লীগের প্রার্থী আছে— এমন কিছু আসনে প্রার্থী দিয়েছে। ১৪ দলের শরিকরা বরাদ্দ পেয়েছে— এমন অন্তত দুটি আসনেও প্রার্থী দিয়েছে জাতীয় পার্টি।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক আওয়ামী লীগের সংসদীয় মনোনয়ন বোর্ডের একজন সদস্য বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, ‘সমাঝোতার বাইরে যেসব আসনে জাতীয় পার্টি প্রার্থী দিয়েছে সেসব আসনে তাদের খুব একটা ভোট নেই। আর মহাজোটের প্রার্থীরা নির্বাচন করবেন নৌকায় যেখানে জাতীয় পার্টির প্রার্থীরা নির্বাচন করবেন লাঙ্গল প্রতীকে। জাতীয় পার্টি নির্বাচন করতে চায়, করুক। এতে মহাজোট ক্ষতিগ্রস্ত হবে না, বরং জাতীয় পার্টি তাদের প্রকৃত অবস্থা বুঝতে পারবে।’

প্রার্থীতা বিশ্লেষণ করে দেখা যায়, আওয়ামী লীগের প্রার্থী আছে— এমন অর্ধেকের বেশি আসনে প্রার্থী আছে জাতীয় পার্টির। আবার ১৪ দলের শরিক ওয়ার্কাস পার্টিকে ছেড়ে দেওয়া ঢাকা-৮, ঠাকুরগাঁও-৩ এবং বরিশাল-৩ আসনেও জাতীয় পার্টি প্রার্থী দিয়েছে। দলগুলোর নেতারা বলছেন, এসব আসনে উম্মুক্ত নির্বাচন হবে।

জানতে চাইলে আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য মোহাম্মদ নাসিম বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, ‘জাতীয় পার্টির সঙ্গে কিছু আসনে সমাঝোতা হয়েছে। আবার তারা আরও কিছু আসনে প্রার্থী দেবে বলে আওয়ামী লীগকে জানিয়েছে। কিন্তু অহেতুক এসব প্রার্থী দেওয়ার কোনও মানে হয় না। কেননা যেসব আসনে তাদের জেতার মতো প্রার্থী এবং ভোট আছে— সেসব আসন তাদের ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। আবার সমাঝোতার ভিত্তিতে কিছু আসন উম্মুক্তও রাখা হয়েছে। কিন্তু এর বাইরে যেহেতু তারা বাড়তি আসনে প্রার্থী দিয়েছে, নির্বাচনের মাঠে গিয়ে জাতীয় পার্টির নিজের অবস্থা বুঝতে পারবে তাদের সত্যিকারের অবস্থা।’

প্রসঙ্গত, গতকাল রবিবার (৯ ডিসেম্বর) জাতীয় পার্টির সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, মহাজোট থেকে তাদের ২৯ জন প্রার্থী হচ্ছেন। কিন্তু আওয়ামী লীগের প্রার্থী তালিকা পাওয়ার পর দেখা যায় তারা পেয়েছে ২৭ আসন। জাতীয় পার্টির দাবি করা ২৯টির মধ্যে দুটি আসনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী দেওয়া হয়েছে।

এদিকে সোমবার জাতীয় পার্টির মহাসচিব মসিউর রহমান রাঙ্গা বলেন, ‘জাতীয় পার্টি মহাজোটের হয়ে ২৯টি এবং উম্মুক্তসহ ১৭৪টি আসনে নির্বাচন করবে। উন্মুক্ত নির্বাচনে মহাজোটের কোনও ক্ষতি হবে না। কারণ, মহাজোটভুক্ত যে প্রার্থী শক্তিশালী, তাকেই সমর্থন দেওয়া হবে। উন্মুক্ত নির্বাচনে পার্টির নেতাকর্মীদের মাঝে উৎসাহ সৃষ্টি হবে।’

ওয়ার্কাস পার্টির নেতারা তাদের বরাদ্দকৃত আসনে জাতীয় পার্টির প্রার্থী দেওয়ার বিষয়টি সহজভাবে না নিলেও তারাও খুব একটা আমলে নিচ্ছেন না বিষয়টিকে। দলটির পলিটব্যুরোর সদস্য কামরুল আহসান বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, ‘নৌকার বিপরীতে লাঙ্গলের প্রার্থী দিয়েছে জাতীয় পার্টি। হয়তো দলীয় বাধ্যবাধকতার কারণেই দিতে হয়েছে। জাতীয় পার্টি নির্বাচন করুক, আমরা নির্বাচন করবোই। ফলাফলে দেখা যাবে জাতীয় পার্টির প্রার্থী কত ভোট পায়।’

বিএ-২২/১০-১২ (ন্যাশনাল ডেস্ক)