সন্ধ্যা ৭:২২
রবিবার
৫ ই মে ২০২৪ ইংরেজি
২২ শে বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
২৬ শে শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী
spot_img

খালেদা জিয়ার বিগত নির্বাচনের ফলাফল কি বলে?

২০১৮ সালের সংসদ নির্বাচনে বিএনপি চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়া অংশ নিতে পারবেন না – বিষয়টি এখন অনেকটাই নিশ্চিত।

খালেদা জিয়ার রাজনৈতিক ইতিহাসে এ প্রথমবারের মতো তিনি নির্বাচনে অযোগ্য হলেন।

বাংলাদেশে সংসদীয় গণতন্ত্র ফিরে আসার পর থেকে খালেদা জিয়াকে ছাড়া কোন নির্বাচনে বিএনপি অংশ নেয়নি।

খালেদা জিয়া নিজ দলের নেতৃত্বে যেমন দিয়েছেন, তেমনি নির্বাচনের মাঠেও তাঁর সাফল্য শতভাগ।

বাংলাদেশে ১৯৯১ সাল থেকে যতগুলো নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছে, তার মধ্যে একটি ছাড়া বাকি সবগুলো নির্বাচনে অংশ নিয়েছেন বিএনপি চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়া।

২০১৪ সালের ৫ জানুয়ারি অনুষ্ঠিত ১০ম জাতীয় সংসদ নির্বাচন বয়কট করেছিল বিএনপি ।

গত প্রায় তিন দশক ধরে বাংলাদেশের নির্বাচনে খালেদা জিয়া অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ একজন ব্যক্তি হিসেবে পরিচিত হয়ে উঠেছেন।

নির্বাচনে খালেদা জিয়া কখনোই পরাজিত হননি।

গত ২৮ বছরের মধ্যে এ প্রথমবারের মতো খালেদা জিয়া নির্বাচনে অযোগ্য বিবেচিত হয়েছেন।

খালেদা জিয়া নির্বাচনে অংশ নিতে পারবেন কি না সেটি নিয়ে গত কয়েকমাস ধরেই বিতর্ক চলছিল।

কিন্তু তারপরেও বিএনপির তরফ থেকে খালেদা জিয়ার পক্ষে মনোনয়নপত্র দাখিল করা হয়েছিল।

শেষ পর্যন্ত সুপ্রিম কোর্ট জানিয়ে দিয়েছে যে দুর্নীতির মামলায় দুই বছরের বেশি সাজা হলে সাজাপ্রাপ্ত ব্যক্তি নির্বাচনে অংশ নিতে পারবেন না।

১৯৯১ সাল থেকে শুরু করে ২০০১ সাল পর্যন্ত তিনটি সংসদ নির্বাচনে খালেদা জিয়া প্রতিবারই পাঁচটি আসনে প্রার্থী হয়েছেন এবং সবগুলো আসনে তিনি জয়লাভ করেছেন।

এর মধ্যে ১৯৯৬ সালের ১৫ই ফেব্রুয়ারি বিতর্কিত একতরফা নির্বাচনেও খালেদা জিয়া প্রার্থী ছিলেন।

এরপর ২০০৮ সালে খালেদা জিয়া তিনটি আসনে প্রতিন্দ্বন্দ্বিতা করে তিনটিতে জয়ী হন।

২০০৮ সালের নির্বাচনে সবচেয়ে খারাপ ফলাফল করেছিল বিএনপি।

সে নির্বাচনে বিএনপি মাত্র ৩০টি আসন পেলেও খালেদা জিয়া নির্বাচনে জয়লাভ করতে কোন অসুবিধা হয়নি।

২০১৮ সালের নির্বাচনেও খালেদা জিয়া তিনটি আসনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে চেয়েছিলেন।

এসব আসন হচ্ছে – ফেনী ১. বগুড়া ৬ ও বগুড়া ৭। কিন্তু দুর্নীতির মামলায় দণ্ডিত হবার কারণে নির্বাচনে অযোগ্য হয়ে পড়েন তিনি।

খালেদা জিয়ার অতীত নির্বাচনগুলো পর্যালোচনা দেখা যায়, তিনি বগুড়া, ফেনী, লক্ষ্মীপুর এবং চট্টগ্রামের আসন থেকে বেশি প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছেন।

এছাড়া ১৯৯১ সালে ঢাকার একটি আসন থেকে এবং ২০০১ সালে খুলনার একটি আসন থেকে ভোটে লড়েছেন তিনি।

নির্বাচনের ফলাফল পর্যালোচনা করে দেখা যায়, শুধু জয়লাভ করাই নয়, প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীদের সাথে খালেদা জিয়ার ভোটের ব্যবধানও ছিল বেশি।

এসএইচ-২১/০২/১২ (অনলাইন ডেস্ক, তথ্য সূত্র : বিবিসি)

পটুয়াখালীতে জাপা মহাসচিবসহ ১১ জনের মনোনয়ন বাতিল

পটুয়াখালীতে জাতীয় পার্টির মহাসচিব এবিএম রুহুল আমিন হাওলাদার ও বিএনপিতে যোগ দেওয়া গোলাম মাওলা রনিসহ ১১ জনের মনোনয়ন বাতিল করা হয়েছে।

আজ রোববার সকাল থেকে বিকেল সাড়ে ৪টা পর্যন্ত জেলার চারটি সংসদীয় আসনে মনোনয়নপত্র বাছাই শেষে এ তথ্য জানান রিটার্নিং কর্মকর্তা ও জেলা প্রশাসক মো. মতিউল আলম চৌধুরী।

পটুয়াখালী-১(সদর-মির্জাগঞ্জ-দুমকী): ঋণ খেলাপি হওয়ায় পটুয়াখালী-১ আসনের সংসদ সদস্য ও জাতীয় পার্টির মহাসচিব এবিএম রুহুল আমীন হাওলাদারের মনোনয়ন বাতিল করা হয়েছে। এ আসনে এনপিপির সমুন সন্নামত, জাকের পার্টির আবদুর রশীদ, স্বতন্ত্র আবুল কালাম আজাদ, খবির উদ্দীন ও রেজা হাওলাদারের মনোননয়ও বাতিল করা হয়েছে।

পটুয়াখালী-২ (বাউফল) : এ আসনে বিএনপির শহিদুল আলম তালুকদার, স্বতন্ত্র ড. শফিকুল ইসলাম মাসুদ, মিজানুর রহমান খান ও আবু নাঈম মল্লিকের মনোনয়নপত্র বাতিল করা হয়েছে।

পটুয়াখালী-৩ (গলাচিপা-দশমিনা) : এ আসনে আলোচিত সাবেক সংসদ সদস্য সদ্য বিএনপিতে যোগ দেওয়া গোলাম মাওলা রনি ও বিএনপির শাহজাহান খানের মনোনয়নপত্র বাতিল করা হয়েছে।

পটুয়াখালী-৪ (কলাপাড়া-রাঙ্গাবালী) : এই আসনে কোনো প্রার্থীর মনোনয়ন বাতিল করা হয়নি।

পটুয়াখালীর চারটি আসনে ৩৭ জন প্রার্থী মনোনয়ন দাখিল করেছিলেন।

বিএ-১৫/০২-১২ (আঞ্চলিক ডেস্ক, তথ্যসূত্র: এনটিভি)

আ.লীগের বিদ্রোহীসহ ৫ জনের মনোনয়ন বাতিল

চাঁপাইনবাবগঞ্জের তিনটি সংসদীয় আসনে ২৫ জনের মধ্যে পাঁচজনের মনোনয়ন বাতিল করা হয়েছে। এর মধ্যে আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী দুই প্রার্থীও রয়েছেন।

রোববার সকাল ১০টা থেকে জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে জেলা রিটার্নিং কর্মকর্তা জেলা প্রশাসক এজেডএম নূরুল হক মনোনয়নপত্র বাছাই শেষে এ ঘোষণা দেন।

প্রয়োজনীয় ভোটার তালিকা জমা না দেয়া ও স্বাক্ষর ত্রুটির কারণে চাঁপাইনবাবগঞ্জ-১ (শিবগঞ্জ) আসনের স্বতন্ত্র প্রার্থী নবাব মো. শামসুল হুদা, চাঁপাইনবাবগঞ্জ-২ আসনের আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী মুহা. গোলাম মোস্তফা বিশ্বাস ও খুরশিদ আলম বাচ্চু, স্বতন্ত্র প্রার্থী তৈয়ব আলী ও স্বতন্ত্র প্রার্থী (জামায়াত) ইয়াহিয়া খালেদের মনোনয়ন বাতিল হয়েছে।

জেলা রিটার্নিং কর্মকর্তা ও জেলা প্রশাসক এজেডএম নূরুল হক জানান, দলীয় চিঠি দেখাতে ব্যর্থ হওয়ায় আওয়ামী লীগের মুহা. গোলাম মোস্তফা বিশ্বাস ও খুরশিদ আলম বাচ্চুর মনোনয়ন বাতিল করা হয়েছে।

তিনি আরও জানান, মুহা. গোলাম মোস্তফা বিশ্বাস বিকেল সাড়ে ৪টা পর্যন্ত সময় নিলেও দলীয় চিঠি দেখাতে ব্যর্থ হওয়ায় তার মনোনয়নপত্র বাতিল করা হয়েছে।

মনোনয়নপত্র বাছাইকালে স্থানীয় সরকার বিভাগের উপ-পরিচালক ড. চিত্রলেখা নাজনীন, অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট দেবেন্দ্র নাথ উঁরাও, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) এ. কে. এম তাজকির-উজ-জামান, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) মাশরুবা ফেরদৌস, জেলা নির্বাচন অফিসার মো. আরিফুল হক, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মোহাম্মদ মাহবুব আলম খান, সদর উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা কায়ছার মোহাম্মদসহ সংশ্লিষ্ট সহকারী রিটার্নিং অফিসার ও প্রার্থীরা উপস্থিত ছিলেন।

উল্লেখ্য, চাঁপাইনবাবগঞ্জের তিনটি আসনে ২৫ জন মনোনয়ন দাখিল করেন। এরমধ্যে চাঁপাইনবাবগঞ্জ-১ আসনে সাতজন, চাঁপাইনবাবগঞ্জ-২ আসনে ১০ জন এবং চাঁপাইনবাবগঞ্জ-৩ আসনে আটজন।

বিএ-১৪/০২-১২ (উত্তরাঞ্চল ডেস্ক)

জামায়াত সেক্রেটারির বৈধ, ঋণখেলাপিতে বাতিল কায়সার হামিদ

ঢাকা-১৫ আসনে ধানের শীষ প্রতীকের প্রার্থী হিসেবে মনোনয়নপত্র জমা দিয়ে আলোচনায় আসেন ডা. শফিকুর রহমান। তিনি নিবন্ধন বাতিল হওয়া জামায়াতে ইসলামীর সেক্রেটারি জেনারেল।

রোববার ঢাকা জেলা রিটার্নিং কার্যালয়ের যাচাই-বাছাইয়ে তার মনোনয়নপত্র বৈধ ঘোষণা করা হয়েছে।

তিনিসহ এই আসনে ১৩ জনের মনোনয়ন বৈধ ঘোষণা করা হয়েছে। তারা হলেন, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের হেমায়েত উল্লাহ, আওয়ামী লীগের এমপি কামাল আহমেদ মজুমদার, বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টির (সিপিবি)আহমেদ সাজিদুল হক, জেএসডির শামসুল ইসলাম, পিডিপির শামসুল আলম, বিএনপির প্রার্থী ড. আসাদুজ্জামান রিপন, মামুন হাসান (১৬৪টি মামলা আছে) ও জামায়াত সেক্রেটারি ডা. শফিকুর রহমান, বিকল্পধারার এইচএম গোলাম কায়সার, বাংলাদেশ জাতীয় পার্টির সাইফুল ইসলাম, জাতীয় পার্টির আব্দুল মান্নান মিয়া ও শামসুল হক এবং বিএনএফের এসএম ইসলাম।

আর তিন প্রার্থীর মনোনয়ন বাতিল করা হয়েছে। তারা হলেন, জাতীয় পার্টির মো. মুকুল আমিন (ঋণখেলাপি), স্বতন্ত্র মো. সলিমুদ্দিন (ভোটারদের ভুয়া স্বাক্ষর) ও আব্দুর রহিম (ভোটারদের ভুয়া স্বাক্ষর)।

ঢাকা-১৪ আসনে ৮ জনকে বৈধ এবং ৫ জনের মনোনয়ন বাতিল করা হয়েছে।

বৈধ ঘোষণা করা প্রার্থীরা হলেন, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের আবু ইউসুফ, সিপিবির রিয়াজউদ্দিন, জেএসডির কামাল উদ্দিন পাটোয়ারী, আওয়ামী লীগের এমপি আসলামুল হক, জাপার মুস্তাকুর রহমান, বিএনপির সাবেক ফুটবলার আমিনুল হক ও মুন্সি বজলুল বাসিত আঞ্জু এবং বাংলাদেশ ন্যাশনালিস্ট ফ্রন্টের মো. আনোয়ার হোসেন।

আর বাতিল ৫ জন হলেন, বাংলাদেশ ইসলামিক ফ্রন্টেরশাহাজাদা সাইফুদ্দিন (হলফনামায় স্বাক্ষর), আজমীরা সুলতানা (জামানত দেননি), বিএনপির সৈয়দ আবু বকর সিদ্দিক (ঋণখেলাপি) এবং জাকের পার্টির সাবেক ফুটবলার কায়সার হামিদ (ঋণখেলাপি)।

বিএ-১৩/০২-১২ (ন্যাশনাল ডেস্ক)

অ্যাপলকে টপকিয়ে মাইক্রোসফট শীর্ষে

প্রযুক্তি বিশ্বে অ্যাপল কোম্পানিকে টপকিয়ে আবার শীর্ষে উঠে এসেছে মাইক্রোসফট।

জে গোল্ড অ্যাসোসিয়েটস’র প্রযুক্তি বিশ্লেষক জ্যাক গোল্ড বলেন, এই মুহূর্তে মাইক্রোসফট সকল প্রতিযোগীকে পেছনে ফেলে শীর্ষ অবস্থানে রয়েছে।

মাইক্রোসফট তার ব্যবসা বহুমুখী করাসহ সফটওয়ার, উইন্ডোজ ও পিসি থেকে বিপুল আয় করছে।

২০১০ সালের পরে এই প্রথম অ্যাপলকে ছাড়িয়ে গেল মাইক্রোসফট ।

শুক্রবার ক্যাপিটাল মার্কেটে মাইক্রোসফট এর সম্পদের পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ৮৫১.২ বিলিয়ন ডলার, অ্যাপলের সম্পদ ৮৪৭.৪ বিলিয়ন ডলার,আমাজানের সম্পদ ৮২৬ বিলিয়ন ডলার এবং গুগল প্যারেন্ট অ্যালফাবেট’র সম্পদের পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ৭৬৩ বিলিয়ন ডলার।

এসএইচ-২০/০২/১২ (প্রযুক্তি ডেস্ক)

গোপালগঞ্জে শেখ হাসিনার মনোনয়নপত্র বৈধ, বিএনপির বাতিল

একাদশ সংসদ নির্বাচনে অংশগ্রহণকারী প্রার্থীদের মনোনয়নপত্র বাছাইয়ের কাজ সম্পন্ন হয়েছে। গোপালগঞ্জ-৩ আসনে আওয়ামী লীগ সভানেত্রী ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ ১৬ প্রার্থীর মনোনয়নপত্র বৈধ এবং বিএনপি, জাতীয় পার্টি ও স্বতন্ত্র প্রার্থীসহ ৩ জনের মনোনয়ন বাতিল ঘোষণা করেছেন জেলা রিটার্নিং অফিসার ও জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ মোখলেসুর রহমান সরকার।

রোববার সকাল ১০টায় গোপালগঞ্জের জেলা প্রশাসক ও রিটার্নিং অফিসারের সম্মেলন কক্ষে এই যাচাই বাছাই অনুষ্ঠিত হয়।

এ সময় কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের ধর্ম বিষয়ক সম্পাদক শেখ মোহাম্মদ আব্দুল্লাহ, বিএনপির প্রার্থী সেলিমুজ্জামান সেলিম, এফ. ই শরফুজ্জামান জাহাঙ্গীর, সিরাজুল ইসলাম সিরাজসহ অন্যপ্রার্থী ও তাদের প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন।

গোপালগঞ্জ জেলার ৩টি আসনেরই মনোনয়নপত্র বাছাই সম্পন্ন হয়েছে।

গোপালগঞ্জ-১ আসনে ৭ জন প্রার্থীর মধ্যে স্বতন্ত্র প্রার্থী সামছুল আলম খান চৌধুরীর মনোনয়ন বাতিল হয়েছে। গোপালগঞ্জ-২ আসনে ৫ জন প্রার্থীর সবারই মনোনয়নপত্র বৈধ হয়েছে।

অন্যদিকে, গোপালগঞ্জ-৩ আসনে আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনাসহ ৫ জন প্রার্থীর মনোনয়নপত্র বৈধ হয়েছে। এ আসনে বিএনপি প্রার্থী এস এম জিলানী ও জাতীয় পার্টি প্রার্থী এ জেড অপু শেখে মনোনয়নপত্র বাতিল হয়েছে।

জেলা প্রশাসক ও রিটার্নিং অফিসার মোহাম্মদ মোখলেসুর রহমান সরদার জানিয়েছেন, গোপালগঞ্জ-১ আসনে স্বতন্ত্র প্রার্থী সামছুল আলম খান চৌধুরীর মনোনয়নপত্রে দাখিল করা ভোটারদের স্বাক্ষর ঠিক না থাকায় তার মনোনয়ন বাতিল করা হয়।

গোপালগঞ্জ-৩ আসনে বিএনপি প্রার্থী এস এম জিলানীর মনোনয়নপত্রে স্বাক্ষর না থাকা ও প্রয়োজনীয় কাগজপত্র না থাকায় এবং একই আসনে এ জেড অপু শেখের প্রস্তাবক ও সমর্থনকারী এ জেলার ভোটার না হওয়ায় তার মনোনয়নপত্র বাতিল বলে ঘোষণা করা হয়েছে।

গোপালগঞ্জ জেলার তিনটি সংসদীয় আসনে আওয়ামী লীগ সভানেত্রী ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ ১৯ জন প্রার্থী তাদের মনোনয়নপত্র দাখিল করেছিলেন। এরমধ্যে আওয়ামী লীগের ৩ জন, বিএনপির ৬ জন, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ এর ৩ জন, জাতীয় পার্টির ২ জন, বাসদের ১ জন, এলডিপির ১ জন এবং স্বতন্ত্র প্রার্থী ৩ জন।

বিএ-১২/০২-১২ (আঞ্চলিক ডেস্ক)

যৌনকর্মীর কষ্টের কথা শুনে বিল গেটসের চোখে পানি

প্রাণঘাতী রোগ এইডস প্রতিরোধ কর্মসূচিতে অংশ নিতে একাধিকবার ভারতে এসেছিলেন মার্কিন সফটওয়্যার জায়ান্ট প্রতিষ্ঠান মাইক্রোসফটের প্রধান বিল গেটস ও তার স্ত্রী মেলিন্ডা গেটস। এইডসের আক্রান্তের ঝুঁকিতে থাকা যৌনকর্মীদের সঙ্গে দেখা করেন তারা। শোনেন তাদের জীবনের দুঃখগাঁথা। এক যৌনকর্মী বলেছিলেন, কেন তার মেয়ে আত্মহত্যার পথ বেছে নিয়েছে। সেকথা শুনে চোখের পানি ধরে রাখতে পারেননি বিল গেটস।

বিল গেটসের এইডস প্রতিরোধ প্রকল্প আবাহনের সাবেক প্রধান অশোক আলেকজান্ডারের লেখা এক বইয়ে উঠে এসেছে এসব তথ্য। অশোক আলেকজান্ডার দীর্ঘ ১০ বছর ধরে আবাহনের প্রধান ছিলেন।

তিনি ‘এ স্ট্রেনজার ট্রুথ : লেসনস ইন লাভ, লিডারশিপ অ্যান্ড কারেজ ফ্রম ইন্ডিয়াস সেক্স ওয়ার্কারস’ বইয়ে ভারতের যৌনকর্মীদের জীবনের নানা কাহিনী, কীভাবে তাদের মধ্যে এইডস মহামারী রোধ করা সম্ভব হয়েছে, তাদের জীবন থেকে তিনি নিজে কী শিখেছেন সেসব তথ্য তুলে এনেছেন।

অশোক আলেকজান্ডার লিখেছেন, ভারত সফরের সময় বিল গেটস বাইরের কোনো বিষয় নিয়ে মাথা ঘামাতেন না। কেবল যৌনকর্মীদের সমস্যার কথা শুনতেন। তাদের বাড়িতে গিয়ে, ঘরের মধ্যে হাঁটু মুড়ে বসতেন।

যৌনকর্মীরা শোনাত, কীভাবে জীবনের নানা ক্ষেত্রে প্রত্যাখ্যানের শিকার হয়েছে, কী ভীষণ দারিদ্রের মধ্যে তারা জীবন কাটায় এবং তার মধ্যেও কেন আশা ছাড়ে না। অশোক আলেকজান্ডারের সিদ্ধান্ত, তাদের কথাগুলো নিষ্ঠুর সত্য; এতে সভ্যতার ছোঁয়া নেই।

২০০০ সালে ভারতে এসেছিলেন বিল গেটস। এসময় এক যৌনকর্মী বিল গেটসকে বলেন, তিনি মেয়ের কাছে লুকিয়ে রেখেছেন তার আয়ের কথা। মেয়ে স্কুলে পড়ত। কিন্তু হাইস্কুলে সহপাঠীরা একদিন জেনে যায় সে যৌনকর্মীর মেয়ে।

প্রত্যেকদিন স্কুলে তাকে নিয়ে ঠাট্টা করতো সহপাঠীরা। কেউ তাকে খেলতে নিতো না। একদিন ওই যৌনকর্মী বাড়িতে ফিরে দেখেন, মেয়ে গলায় দড়ি দিয়ে ঝুলছে। সে চিঠিতে লিখে গেছে, সহপাঠীদের বিদ্রুপ আর সহ্য হচ্ছে না।

অশোক আলেকজান্ডার লিখেছেন, ওই যৌনকর্মী যখন মেয়ের গল্প বলছে, তখন আমি দেখলাম, বিল গেটস মাথা নামিয়ে নিঃশব্দে কাঁদছেন। ২০০৩ সালে খুব দামি চাকরি ছেড়ে আবাহনে যোগ দেন আলেকজান্ডার। এরপরে নতুন এক জগতের সঙ্গে পরিচয় হয় তার।

তিনি লিখেছেন, এটা হলো এমন এক জগৎ যেখানে ৫০ টাকায় নারী শরীর বিক্রি হয়। ১৪ বছরের কিশোরীরা মাদক ইঞ্জেকশন নেয়। এখানে ট্রান্সজেন্ডার ও তরুণ সমকামীরা আসা যাওয়া করে। আর আসে ট্রাক-ড্রাইভাররা। এখানে বেঁচে থাকার জন্য প্রতিনিয়ত সাহসের সঙ্গে লড়াই করতে হয়।

এসএইচ-১৯/০২/১২ (আন্তর্জাতিক ডেস্ক)

চাঁদের উল্টো পিঠে মানুষ পাঠাচ্ছে চীন

চীন এবার চাঁদের উল্টো পিঠে মানুষ পাঠাচ্ছে। সেখানের মাটি, বরফের পুরু স্তর ইত্যাদি সম্পর্কে জানতেই এই অভিযান।

শীঘ্রই চীনা ল্যান্ডার ‘শাঙ্গে-৪’-এ করে মহাকাশে যাবেন গবেষকেরা। এর সঙ্গে যাবে একটি রোভারও।

চাঁদের যে দিকটি আমরা দেখতে পাই না, সেদিকের একটি কক্ষপথে ঘুরছে একটি চীনা উপগ্রহ। যার নাম- ‘শেকিয়াও’। কক্ষপথ থেকে এই উপগ্রহই নজর রাখবে ‘শাঙ্গে-৪’র ওপর।

চীনের ‘ন্যাশনাল স্পেস অ্যাডমিনিস্ট্রেশন’র (সিএনএসএ) গ্রাউন্ড স্টেশন আর ‘শাঙ্গে-৪’র মধ্যে বার্তা বিনিময় করবে।

উপগ্রহটির নাম রাখা হয়েছে চীনা দেবী ‘শেকিয়াও’র নামে।

এসএইচ-১৮/০২/১২ (আন্তর্জাতিক ডেস্ক)

সোমবার থেকে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে নজর রাখবে ইসি

আসন্ন একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে কেন্দ্র করে প্রশাসনের পাশাপাশি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের ওপর নজরদারি শুরু করছে নির্বাচন কমিশনও (ইসি)।

বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন (বিটিআরসি), পুলিশ, গোয়েন্দা সংস্থাসহ সংশ্লিষ্টদের নিয়ে এক বৈঠক শেষে রোববার এ তথ্য জানান ইসি সচিব হেলালুদ্দীন আহমদ।

হেলালুদ্দীন আহমদ বলেন, সোশ্যাল মিডিয়া যেন নির্বাচনককেন্দ্রিক ব্যবহার না হয়। কোনও প্রোপাগান্ডা যেন কেউ না চালাতে পারে, এজন্য প্রশাসন ইতোমধ্যে ২৪ ঘণ্টা মনিটরিং শুরু করেছে। আমরাও সোমবার থেকে মনিটরিং করবো।

তিনি বলেন, এজন্য ইসির তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি শাখার (আইসিটি) কর্মকর্তাদের সমন্বয়ে একটি নিজস্ব মনিটরিং টিম করা হবে। এই টিম প্রশাসনের টিমের পাশপাশি কাজ করবে; গোয়েন্দা নজরদারিও থাকবে।

ইসি সচিব আরও বলেন, আমরা সিদ্ধান্ত নিয়েছি, কেউ যেন নির্বাচন নিয়ে কোনও ফেক নিউজ না করতে পারে, তা প্রচার করা হবে। জাতীয়-আন্তর্জাতিকভাবে কেউ যেন ফেক নিউজ না করে। ফেক নিউজের বিরুদ্ধেও আমরা ব্যবস্থা নেবো।

লালুদ্দীন আহমদ বলেন, ডিজিটাল সিকিউরিটি আইন ও অন্যান্য আইনে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়া হবে। অপপ্রচার রোধে জনসচেতনতা সৃষ্টির ব্যবস্থা নেওয়া হবে। এজন্য আমরা বিজ্ঞাপনও প্রচার করব।

একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের ঘোষিত তফসিল অনুযায়ী, রোববার মনোনয়নপত্র যাচাই-বাছাই হয়েছে; ৯ ডিসেম্বর প্রার্থিতা প্রত্যাহারের শেষ দিন, ১০ ডিসেম্বর প্রতীক বরাদ্দের পর প্রচার শুরু করবেন প্রার্থীরা আর ভোটগ্রহণ হবে ৩০ ডিসেম্বর।

বিএ-১১/০২-১২ (ন্যাশনাল ডেস্ক)

প্রার্থীরা ইসিতে আপিল করতে পারবেন ৩ দিন

আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনে মনোনয়নপত্র বাতিল হওয়া প্রার্থীরা আগামী ৩, ৪ ও ৫ ডিসেম্বর নির্বাচন কমিশনে আপিল করতে পারবেন।

আপিলের ওপর শুনানি হবে ৬, ৭ ও ৮ ডিসেম্বর।

নির্বাচন কমিশনের উপসচিব আতিয়ার রহমান জানান, নির্বাচন কমিশন যদি আপিল বাতিল করে তবে সেই প্রার্থী আদালতেও যেতে পারবেন।

৩০ ডিসেম্বর জাতীয় নির্বাচনে ভোট গ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে। তফসিল অনুযায়ী মনোনয়নপত্র জমার শেষ দিন ছিল ২৮ নভেম্বর।

আর রোববার ছিল মনোনয়ন যাচাই–বাছাই।

বিএ-১০/০২-১২ (ন্যাশনাল ডেস্ক)