সকাল ৯:৪১
শুক্রবার
১৭ ই মে ২০২৪ ইংরেজি
৩ রা জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
৯ ই জ্বিলকদ ১৪৪৫ হিজরী
spot_img

আ‘লীগের দণ্ডপ্রাপ্তরা বৈধ হলে বিএনপির কেন নয়

বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক রুহুল কুদ্দুস তালুকদার দুলু প্রশ্ন রেখে বলেছেন, হাজি সেলিম, পঙ্কজ দেবনাথ সাজাপ্রাপ্ত আসামি। তারা আওয়ামী লীগের প্রার্থী হিসেবে মনোনয়ন পান, নির্বাচনে অংশগ্রহণ করতে পারেন, তাহলে বিএনপির প্রার্থীরা কেন করতে পারবেন না?

মঙ্গলবার ঢাকার আগারগাঁওয়ে নির্বাচন কমিশনে নিজের মনোনয়নপত্র বাতিলের বিরুদ্ধে আপিল করতে এসে এসব কথা বলেন তিনি।

রুহুল কুদ্দুস তালুকদার দুলু নাটোর-২ আসনে মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছিলেন। মামলা সংক্রান্ত জটিলতায় রিটার্নিং কর্মকর্তা সেটি বাতিল করেছেন।

দুলু বলেন, হাজি সেলিম সাহেব ১৩ বছরের সাজা নিয়ে যদি নির্বাচন করতে পারেন, পঙ্কজ দেবনাথ আমার সঙ্গে দুদকের মামলায় প্রায় দুই-আড়াই বছর জেলে ছিলেন। দুদকের মামলায় তারও ১২ বছরের জেল আছে। পঙ্কজ দেবনাথ, হাজি সেলিম যদি নির্বাচন করতে পারেন তাহলে রুহুল কুদ্দুস তালুকদার দুলু, ইকবাল হাসান টুকুসহ বিএনপি নেতারা কেন নির্বাচন করতে পারবেন না? পরিকল্পিতভাবে বিএনপির অনেকেরই মনোনয়নপত্র বাতিল করা হয়েছে।

আপনার মনোনয়নপত্র কেন বাতিল করা হয়েছে- এমন প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, আমার বিরুদ্ধে অভিযোগ, আমার নাকি মামলা আছে। আমি দণ্ডপ্রাপ্ত আসামি। কিন্তু গত এক বছর আগে আমি এটা সাসপেনশন করিয়েছি এবং সাসপেনশন করলে নির্বাচন করতে কোনো সমস্যা থাকে না।

তিনি আরও বলেন, আমি মনে করি, সরকার আমাদের আত্মপক্ষ সমর্থনের কোনো সুযোগই দেয়নি। রিটার্নিং অফিসারের কাছে আমরা যখন কাগজ জমা দিতে গেছি, আমরা জানতে চেয়েছি, কী কারণে আমাদের মনোনয়নপত্র বাতিল করা হলো? তারা বললো, আপনারা আপিলে গিয়ে এই কথাগুলো বলুন।

বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক বলেন, নির্বাচন কমিশন অবশ্যই তদন্ত করে দেখে আমাদের মনোনয়নপত্র বহাল রাখবেন। প্রার্থিতা বাতিল হতে পারে এ কারণে আমাদের দল বিভিন্ন এলাকায় দু-তিনজন করে প্রার্থী দিয়েছে। ওই সময় নিশ্চয়ই আপনারা আশ্চর্য হয়েছিলেন। এর পেছনের কারণ ছিল এটা। আমরা আশঙ্কা করেছিলাম, বিএনপির প্রার্থীদের প্রার্থিতা বাতিল করা হবে।

নির্বাচন কমিশন (ইসি) সূত্র অনুযায়ী, একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে মনোনয়নপত্র বাছাইয়ে ২ হাজার ২৭৯ জনের বৈধ এবং ৭৮৬ জনের মনোনয়নপত্র বাতিল করেন রিটার্নিং কর্মকর্তারা। তবে যাদের মনোনয়নপত্র বাতিল হয়েছে গতকাল সোমবার থেকে তারা নির্বাচন কমিশনে এসে আপিল করছেন। ইসি আবদনের ওপর শুনানি করে পরবর্তী সিদ্ধান্ত জানাবে।

মঙ্গলবার সকাল থেকে দ্বিতীয় দিনের মতো আগারগাঁওয়ের নির্বাচন কমিশন ভবনে আপিল আবেদন জমা দেন প্রার্থীরা। সেখানে আপিল গ্রহণের জন্য আটটি বুথ রয়েছে।

প্রতিটি বিভাগের জন্য আলাদা আলাদা বুথ রাখা হয়েছে। প্রার্থী বা তার মনোনীত প্রতিনিধিরা কমিশন চত্বরের বুথে আপিল দায়ের করছেন।

রিটার্নিং কর্মকর্তার সিদ্ধান্তে সংক্ষুব্ধ ব্যক্তিরা প্রধান নির্বাচন কমিশনার বরাবর অভিযোগ দাখিল করতে পারবেন। এটা করতে হবে আগামী ৫ ডিসেম্বরের মধ্যে। কমিশন প্রার্থীদের অভিযোগ আমলে নিয়ে ৬, ৭ ও ৮ ডিসেম্বর শুনানি করে সিদ্ধান্ত দেবেন। এক্ষেত্রে নির্বাচন কমিশনই আপিল কর্তৃপক্ষের ভূমিকা পালন করবেন।

বিএ-০৩/০৪-১২ (ন্যাশনাল ডেস্ক)

ক্ষমা চাইলেন ভিকারুননিসার প্রধান শিক্ষক

পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করতে না দেয়া এবং স্কুলে ডেকে বাবা-মাকে অপমান করায় ছাত্রী অরিত্রি অধিকারী (১৫) আত্মহত্যার বিষয়ে দুঃখ প্রকাশ করে দেশবাসী ও ছাত্রীর বাবা-মায়ের প্রতি ক্ষমা চেয়েছেন ভিকারুননিসা স্কুল অ্যান্ড কলেজের প্রধান শিক্ষক নাজনীন ফেরদৌস।

মঙ্গলবার সকালে গণমাধ্যম কর্মীরা বেইলিরোডের স্কুল প্রাঙ্গনে তার কার্যালয়ে গেলে সবার সামনে হাত জোর করে ক্ষমা চান তিনি।

নাজনীন ফেরদৌস বলেন, বিষয়টি অনাকাক্ষিত। ঘটনাটি এতদূর গড়াবে তা অনুধাবন করতে পারিনি। এরই মধ্যে তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। রিপোর্ট হাতে পাওয়ার পর কি ব্যবস্থা নেওয়া হবে তা মন্ত্রণালয় নির্ধারণ করে দেবে। আত্মহত্যার ঘটনায় আমি সবার কাছে ক্ষমা চাচ্ছি।

তিনি বলেন, আমাদের স্কুলে কিছু নিয়মকানুন আছে, এই নিয়মকানুন মেনেই বাবা-মা এ স্কুলে আসে। তার বাবা-মা শাখাপ্রধানের কাছে এসে সরি বলেন। এ ছাড়া শাখাপ্রধান বলেছেন-আমাদের নিয়মকানুন আছে, সেটি আপনাকে মানতে হবে। তার পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করার সুযোগ নেই; আর সেটি উনারা মানতে পারেননি।

এর আগে সকালে শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ ভিকারুননিসা স্কুল পরিদর্শনে গিয়ে শিক্ষক-শিক্ষার্থী ও অভিভাবকদের সঙ্গে কথা বলেন। প্রায় এক ঘণ্টাঅবস্থান করে শেষে বের হয়ে তিনি সাংবাদিকদের বলেন, এ ঘটনায় তিন সদস্যবিশিষ্ট একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে।

আগামী তিনদিনের মধ্যে প্রতিবেদন জমা দিবে। প্রতিবেদন পাওয়ার পর স্কুল কর্তৃপক্ষের কোনো ত্রুটি পেলে,স্কুল কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। এসময় শিক্ষার্থীদের তোপের মুখে পড়েন শিক্ষামন্ত্রী।

বিএ-০২/০৪-১২ (শিক্ষা ডেস্ক)

তোপের মুখে শিক্ষামন্ত্রী

ভিকারুননিসা নূন স্কুলের নবম শ্রেণির শিক্ষার্থী অরিত্রি অধিকারীর আত্মহত্যার পর ওই স্কুলে গিয়ে বিক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীদের তোপের মুখে পড়েছেন শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ।

মঙ্গলবার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে ভিকারুননিসা নূন স্কুলে গেলে শিক্ষার্থীদের তোপের মুখে পড়েন তিনি। স্কুলে পৌঁছানোর পর মন্ত্রী শিক্ষার্থীদের বোঝানোর চেষ্টা করেন। তবে শিক্ষার্থীরা এ সময় মন্ত্রীর কথা না শুনে প্রিন্সিপালের পদত্যাগ দাবি করতে থাকে।

স্কুলে যাওয়ার আগে মন্ত্রী সংবাদ মাধ্যমকে বলেছিলেন, শিক্ষার্থীর মৃত্যুর ঘটনায় শিক্ষা মন্ত্রণালয় থেকে তিন সদস্যের একটা কমিটি গঠন করা হয়েছে।

তিনি আরও বলেছিলেন, ‘অভিভাবকরা মিছিল-টিছিল করছেন, বিষয়টা জটিল হয়ে গেল। আমি সেখানে যাচ্ছি। গতকাল শুনেই আমি যথাসম্ভব তথ্য নিয়েছি। এরপর আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সঙ্গে আমি কথা বলেছি। আমি তাদের বলেছি, আপনারা আইনগত দিকটা দেখেন, কারণ এরমধ্যে ক্রিমিন্যাল ব্যাপার আছে একটা। আর আমরা আমাদের বিষয়টা দেখব।’

সোমবার দুপুরে ঢাকার শান্তিনগরের নিজ বাসায় ফ্যানের সঙ্গে গলায় ফাঁস দেয় অরিত্রি। মুমূর্ষু অবস্থায় উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেল (ঢামেক) কলেজ হাসপাতালে নিলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

অরিত্রির আত্মহত্যার কারণ সম্পর্কে সোমবার তারা বাবা দিলীপ অধিকারী বলেছিলেন, অরিত্রির স্কুলের বার্ষিক পরীক্ষা চলছিল। গতকাল রোববার সমাজবিজ্ঞান পরীক্ষা চলার সময় তার কাছে একটি মোবাইল ফোন পাওয়া যায়। এজন্য স্কুল কর্তৃপক্ষ আমাদের ডেকে পাঠায়।

সোমবার স্কুলে গেলে স্কুল কর্তৃপক্ষ আমাদের জানায়, অরিত্রি মোবাইল ফোনে নকল করছিল, তাই তাকে বহিষ্কারের (টিসি) সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। স্কুল কর্তৃপক্ষ আমার মেয়ের সামনে আমাকে অনেক অপমান করে। এই অপমান এবং পরীক্ষা আর দিতে না পারার মানসিক আঘাত সইতে না পেরে সে আত্মহত্যার পথ বেছে নেয়। বাসায় ফ্যানের সঙ্গে গলায় ফাঁস দেয় অরিত্রি।

বিএ-০১/০৪-১২ (ন্যাশনাল ডেস্ক)

দীর্ঘদিন পিল খেলে কি পরে সন্তান হয় না? (ভিডিও)

দীর্ঘদিন পিল খেলে

জন্মনিয়ন্ত্রণ পদ্ধতির ব্যবহার নিয়ে আমাদের সমাজে কিছু ভুল ধারণা আছে। অনেকের ধারণা দীর্ঘদিন জন্মনিয়ন্ত্রণ পদ্ধতি অনুস্মরণ করলে পরবর্তীতে সন্তান নিতে চাইলেও গর্ভধারণ হয় না। পিল কিংবা কনডমের ব্যবহার-দুটির ক্ষেত্রেই এমনটি হয় বলে অনেকে মনে করেন।

আসলে তা না। দীর্ঘদিন জন্মনিয়ন্ত্রণ পদ্ধতি অবলম্বন করলে কখনো কখনো হয়তো গর্ভধারণে একটু দেরী হয়। কিন্তু সন্তান গর্ভধারন পুরোপুরি বন্ধ করে দেবে বা সন্তান ধারন ক্ষমতা নষ্ট করে দেয় বিষয়টি কিন্তু এমন নয়।

আমাদের দেশে ভুল ধারনা আছে `পিল` নিয়ে। বিয়ের পরে মা ও শ্বাশুরী বলেন, পিল খেওনা। পিল খেলে কখনো বাচ্চা হবে না।

ফলে তারা (মেয়েরা) পিল খাওয়া বন্ধ করে দেয়। যার ফলে কনসিভ করে। কনসিভ করার পর তারা ভাবে আমরা এখনো পড়াশুনা করছি। সন্তান নেওয়ার জন্য প্রস্তুত না। ফলে বাচ্চাটা আমরা চাচ্ছি না। তখন তারা এমআর করায় বা অ্যাবরশন করায়। ফলে তার জরায়ুতে একটা চিরস্থায়ী ইনফেকশন হয়।

পরবর্তীতে তার প্র্যাগনেন্সির চান্স পুরোপুরি চলে যায়। কিন্তু সে যদি পিলটা খেত তাহলে মাসে মাসে তার পিরিয়ডের সাইকেল ঠিক থাকতো। জরায়ুতে ইনফেকশনের চান্স ছিল না।

একটা অপ্রত্যাশিত গর্ভধারন হতো না। ও যখন সন্তান চাইতো, পিল বন্ধ করে দেওয়ার তিন মাসের মধ্যে প্র্যাগনেন্সি হয়ে যেতো। জন্মনিয়ন্ত্রন পদ্ধতি মানলে সন্তান হবে না, এটা সম্পূর্ণ ভুল ধারনা।

আমাদেরকে এই অবস্থা থেকে বেরিয়ে আসতে হবে। যদি সে ডিটারমাইন্ড হয় যে, আমি দু`বছর সন্তান নেব না, তাহলে তাকে অবশ্যই জন্মনিয়ন্ত্রণ পদ্ধতি মানতে হবে। যদি নবদম্পতি হয়, তাহলে তাদেরকে আমরা `পিল` খেতে বা `কনডম` ব্যবহারে উৎসাহী করে থাকি।

আরএম-০৪/০৪/১২ (স্বাস্থ্য ডেস্ক, তথ্যসূত্র: একুশেটিভি)

নির্বাচনী হলফনামা : মমতাজ কত টাকার মালিক জানেন?

মমতাজ কত টাকার

একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে মানিকগঞ্জ-২ আসনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী হিসেবে মনোনয়ন পেয়েছেন কণ্ঠশিল্পী ও ব্যবসায়ী মমতাজ বেগম। নির্বাচনে দেয়া হলফনামা থেকে জানা যায় তার দুটি বাড়ির দাম ৭ কোটির টাকার ওপরে। দুটি গাড়ির দাম এক কোটি টাকারও বেশি।

নির্বাচনী হলফনামায় মমতাজ  ও তার স্বামীর সম্পত্তির যে পরিমাণ উল্লেখ করা হয়েছে তা হলো-

বাৎসরিক আয়

কৃষি খাতে এক লাখ ২০ হাজার, বাড়ি/এপার্টমেন্ট/দোকান বা অন্যান্য ভাড়া বাবদ ছয় লাখ ৭৫ হাজার, শেয়ার/সঞ্চয়পত্র/ব্যাংক আমানত দুই লাখ ৮৮ হাজার ৬৫১ টাকা, পেশা থেকে আয় ৪ লাখ ৮৫ হাজার টাকা, সংসদ সদস্য ভাতা ৬ লাখ ৬০ হাজার, সংসদ সদস্য হিসেবে আনুসঙ্গিক পারিতোষিক ভাতা ১৬ লাখ ৫৫ হাজার ৬২৫ টাকা।

মমতাজের নগদ হাতে আছে ৫ লাখ টাকা। ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানে জমাকৃত অর্থ ৮৬ লাখ ৯৯ হাজার ১৯৭ টাকা, মধু উজালা কোল্ড স্টোরেজ লি. এর তিন লাখ ৫০ হাজার ৭০০ শেয়ার ১০০ টাকা করে আয় হয় তিন কোটি ৫০ লাখ ৭০ হাজার।

গাড়ি

ল্যান্ড ক্রজার জিপ ৬৫ লাখ ৬ হাজার ২৫০ টাকা মূল্যের ব্যক্তিগত গাড়ি ও ভি-৮, ঢাকা মেট্রো-ঘ ১৭-৩৮৭৭- দুটি দাম ৪৬ লাখ ২০ হাজার টাকা। চার লাখ ৩৫ হাজার টাকা মূল্যের ৩৫ ভরি স্বর্ণ। তিন লাখ ২০ হাজার টাকার আসবাবপত্র এবং ইলেট্রনিক সামগ্রী দুই লাখ ৫০ হাজার টাকা। ১৩০০ সিসি ফান কার্গো গাড়ি দাম ৮ লাখ টাকা রয়েছে।

জমির পরিমাণ

কৃষি জমির পরিমাণ ও অর্জনকালীন সময়ে আর্থিক মূল্য ৯০০ শতাংশ ভূমি দাম ৪৪ লাখ দুই হাজার ৭৩৪ টাকা। এক হাজার ২০০ শতাংশ অকৃষি জমি অর্জনকালীন সময়ের দাম এক কোটি ২৯ লাখ ১৬ হাজার ৭৭০। রাজধানীর মহাখালীতে ৫ তলা বাড়ি আর্জনকালীন সময়ের মূল্য ছয় কোটি ৯৯ লাখ ৯৮ হাজার ৫০০ টাকা ও জয়মন্টপ সিংগাইর এ দুইতলা বাড়ি ৫৭ লাখ ৫ হাজার ৪৪০ টাকা।

ব্যাংক হিসাব

মমতাজ দায় হিসেবে দেখিয়েছে ইনভেস্টমেন্ট কর্পোরেশন অব বাংলাদেশ ও মধুমতি ব্যাংক লি: থেকে যথাক্রমে ব্যবসায়িক ও ব্যক্তিগত ঋণ (তিন কোটি ২৬ লাখ ৪৬ হাজার + সাত লাখ ৬৫ হাজার ৪৬৪) মোট তিন কোটি ৩৪ লাখ ১১ হাজার ৪১৬ টাকা।মমতাজের স্বামীর নামে নগদ দুই লাখ টাকা, ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানে জমাকৃত অর্থ ২০ লাখ টাকা।

আরএম-০৩/০৪/১২ (বিনোদন ডেস্ক)

ব্যালন ডি’অর জেতা প্রথম নারী আদা হেগেরবার্গ

প্রথম নারী ফুটবলার হিসেবে ব্যালন ডি’অর জিতেছেন অলিম্পিক লিঁওর নরওয়ের ফরোয়ার্ড আদা হেগেরবার্গ।

ফুটবলে নারীদের সমান সুযোগ সৃষ্টির লক্ষ্যে এবারই প্রথম বর্ষসেরার পুরস্কার চালু হয়েছে।

সোমবার প্যারিসে এক জমকালো আয়োজনের মধ্য দিয়ে ঘোষণা করা হয় ২০১৮ সালের ব্যালন ডি’অর জয়ীদের নাম।

পুরুষ বিভাগে মেসি-রোনালদোর রাজত্বের অবসান ঘটিয়ে পুরস্কার জিতে নেন ক্রোয়েশিয়ান তারকা লুকা মদ্রিচ।

নারী ফুটবলে গেল মৌসুমটি অসাধারণ কাটিয়েছেন। লিঁওর হয়ে জিতেছেন ফ্রেঞ্চ শিরোপা।

এদিকে ফরাসি তরুণ ফুটবলার কিলিয়ান এমবাপেও প্রথমবারের মতো সেরা উদীয়মান তরুণের পুরস্কার।

এসএইচ-১০/০৪/১২ (স্পোর্টস ডেস্ক)

আইপিএলের নিলাম ১৮ ডিসেম্বর

ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগের (আইপিএল) আসছে আসরের নিলামের দিনক্ষণ চূড়ান্ত হয়েছে। ২০১৯ আসরের নিলাম অনুষ্ঠিত হবে জয়পুরে, ১৮ ডিসেম্বর। ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ড বিসিসিআই সোমবার বিষয়টি চূড়ান্ত করেছে।

নিলামে ৫০জন ভারতীয় ক্রিকেটার ও ২০ জন বিদেশি ক্রিকেটারের নাম উঠবে। নিলামের জন্য দলগুলোর বাজেটের পরিমাণ সবমিলে ১৪৫.২৫ কোটি ভারতীয় রুপি।

জয়পুরে ভারতীয় সময় বিকেল তিনটায় শুরু হবে নিলাম। চলবে রাত সাড়ে ৯টা পর্যন্ত। ওই দিন অস্ট্রেলিয়া ও ভারতের মধ্যে পর্থ টেস্টের পঞ্চম দিন চলবে।

নিলামের আগেই নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে দলগুলো তাদের পুরোনো খেলোয়াড়দের অনেককেই ধরে রেখেছে। আবার অনেক খেলোয়াড়কেই ছেড়ে দিয়েছে দলগুলো।

বল টেম্পারিং কাণ্ডের জড়ানোয় যেমন আসছে আইপিএলে খেলা হবে না স্টিভেন স্মিথ ও ডেভিড ওয়ার্নারের। ওদিকে কিংস ইলেভেন পাঞ্জাব ছেড়ে দিয়েছে ২০১১ বিশ্বকাপের সেরা খেলোয়াড় যুবরাজ সিংহকে।

দিল্লি ডেয়ারডেভিলস ধরে রাখেনি গৌতম গম্ভিরকে। জেপি ডুমিনি, প্যাট কামিন্স ও মোস্তাফিজুর রহমানের মতো তারকাকে ছেড়ে দিয়েছে মুম্বাই ইন্ডিয়ান্স।

এসএইচ-০৯/০৪/১২ (স্পোর্টস ডেস্ক)

‘এসব করলে তো তোমাকে কেউ বিয়ে করবে না’

এসব করলে তো

বর্তমান সময়ে সমাজিক মাধ্যমে জনপ্রিয়তার তুঙ্গে রাবা খান।মনের আনন্দে নিজে নিজেই ভিডিও করে সেটা পোস্ট করে দেন । অার সেই ভিডিও গুলো মুহুর্তের মধ্যে ছড়িয়ে যায় সোশ্যাল মিডিয়ায়। সবচেয়ে ফেসবুকের টাইমলাইনে পাওয়া যায় রাবা’র ভিডিও।বলা যায় তরুণদের কাছে দারুণ জনপ্রিয় তিনি।

এমন ভিডিও গুলো নিয়ে মা রাবাকে বলেন, সেগুলো হচ্ছে ভাঁড়ামো। এই ভাঁড়ামো করে গেলে নাকি তার বিয়ে হবে না।আজ শুক্রবার বাংলা একাডেমিতে ছিল আন্তর্জাতিক সাহিত্য উৎসবের দ্বিতীয় দিন। বিকালে উৎসবের কসমিক টেন্টে ছিল রাবা খান ও ফারিহা পান্নির অধিবেশন ‘উইমেন অ্যান্ড উইট’।এ অধিবেশনে একটি আসনও খালি ছিল না। এমনকি দাঁড়িয়েও অধিবেশন উপভোগ করেছেন অনেক অংশগ্রহণকারী।

রাবা বলেন, ‘অনেকে ভাঁড়ামো আর রসের ব‍্যবধান করতে পারেন না। সারা বিশ্বে কমেডিয়ান হিসেবে পুরুষের পাশাপাশি নারীরাও জায়গা করে নিচ্ছে। সেটা রসবোধের কারণে। আমাদের দেশে এ রসবোধ বিষয়টিকে ভালোভাবে নেওয়া হয় না। আমার মা বলেন, ’যেসব ভিডিও বানাও, এসব করলে তো বিয়ে হবে না’।আজকের এ অধিবেশনে বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তর দেন রাবা খান।

অধিবেশন প্রসঙ্গে উৎসবের অন্যতম পরিচালক আহসান আকবর বলেন, এটি এ বছরের নতুন সংযোজন।নারীর কমেডিয়ান হিসেবে অবস্থান ও গ্রহণযোগ্যতা বিশ্বব‍্যাপী বাড়ছে।সামনে আরও বেড়ে যাবে মেয়েরা কেন পিছিয়ে থাকবে । তবে সবাই এটাকে ভাল ভাবে নেয় না বলেই অনেক প্রতিভাবানরা হারিয়ে যাচ্ছেন ।

আরএম-০২/০৪/১২ (বিনোদন ডেস্ক)

নির্বাচনি আচরণবিধির কার্যকারিতা নিয়ে প্রশ্ন

জাতীয় নির্বাচনকে সামনে রেখে আচরণবিধি লঙ্ঘনের অভিযোগ উঠছে৷ আর এই অভিযোগ প্রধানত সরকারি দলের সম্ভাব্য প্রার্থীদের বিরদ্ধেই বেশি৷ এ নিয়ে নির্বাচন কমিশনের ভূমিকার সমালোচনা হচ্ছে৷

জাতীয় সংসদ নির্বাচন হবে ৩০ ডিসেম্বর৷ আর নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করা হয় ৮ নভেম্বর৷ তফসিল ঘোষণার পর থেকেই আচরণবিধি কার্যকর হয়ে যায়৷ প্রচার-প্রচারণা শুরু করা যায় নির্বাচনের ২১ দিন আগে থেকে৷ এরই মধ্যে মনোনয়ন দাখিল শেষ হয়েছে, বাছাই করা হয়েছে ২ ডিসেম্বর রোববার৷ ৯ ডিসেম্বর প্রার্থিতা প্রত্যাহারের শেষ দিন৷ ১০ ডিসেম্বর প্রতীক বরাদ্দের পর থেকেই নির্বাচনে প্রচার-প্রচারণা শুরু হবে৷ চলবে নির্বাচনের দিন, অর্থাৎ ৩০ ডিসেম্বরের ৪৮ ঘণ্টা আগ পর্যন্ত৷ কিন্তু মনোয়নপত্র বাছাই এরই মধ্যে প্রশ্নের মুখে পড়েছে৷

নির্বাচনের আচরণবিধি শুধু প্রচার-প্রচারণার মধ্যেই সীমাবদ্ধ নয়৷ এর সম্পর্ক পুরো নির্বাচন প্রক্রিয়ার সঙ্গে৷ এক্ষেত্রে প্রশাসনের ভূমিকা কী হবে? সরকারের আচরণ কেমন হবে? কারা সরকারি সুবিধা ভৈাগ করতে পারবেন? কারা পারবেন না? প্রার্থীদের আচরণ, দলগুলোর আচরণ, সংসদ সদস্য, মন্ত্রিসভার সদস্য– সবার ব্যাপারেই এই আচরণবিধি প্রযোজ্য৷ নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা থেকে নির্বাচন প্রক্রিয়া শেষ না হওয়া পর্যন্ত নির্বাচন সংশ্লিষ্ট সরকারের যেকেনো সংস্থা, প্রতিষ্ঠান, সিদ্ধান্ত সবই নির্বাচন কমিশনের অধীনে থাকে৷ নির্বাচন কমিশন তার সিদ্ধান্তে এগুলো নিয়ন্ত্রণ করে৷

এ সংক্রান্ত মোট ১৯টি সুনির্দিষ্ট আইন আছে৷ আর তাতে নির্বাচন, নির্বাচনি প্রচার,সরকারি সুযোগ-সুবিধা, বক্তব্য-বিবৃতি সব কিছু কেমন হবে তা বলে দেয়া আছে৷ এসব আইনের লংঘন হলে শাস্তিসহ আরো কী ব্যবস্থা নেয়া যাবে তারও উল্লেখ আছে৷

নির্বাচন কমিশনের পক্ষ থেকে এরই মধ্যে নির্বাচনি তথ্যকনিকা-৯ নামে একটি প্রচারপত্রের মাধ্যমে রাজনৈতিক দল ও প্রার্থীর আচরণবিধিমালা তুলে ধরা হয়েছে৷ তাতে স্পষ্ট করেই বলা হয়েছে, নির্বাচনের তিন সপ্তাহ আগে কোনো প্রচার-প্রচারণা চালানো যাবে না৷

আরো যা বলা হয়েছে, তার মধ্যে রয়েছে রকারি রেস্ট হাউজ, ডাকবাংলো, সার্কিট হাউজ কোনো দল বা প্রার্থীর পক্ষে-বিপক্ষে প্রচারের জন্য ব্যবহার করা যাবে না৷ সরকারি যানবাহন ব্যবহার করা যাবে না৷ প্রচারণায় সবাই সমান সুযোগ পাবে৷ রাস্তাঘাট বন্ধ করে প্রচারসভা করা যাবে না৷ প্রচারসভা বা র‌্যালির জন্য ২৪ ঘণ্টা আগে অনুমতি নিতে হবে৷ কোনো প্রকার উসকানিমূলক বক্তব্য দেয়া যাবে না৷

কিন্তু প্রধান দুই রাজনৈতিক দল আওয়মী লীগ ও বিএনপি তফসিল ঘোষণার পর থেকেই নির্বাচনি আচরণ বিধি লংঘন করছে বলে অভিযোগ৷ এই অভিযোগ শাসক দল আওয়ামী লীগের বিরুদ্ধেই বেশি৷ মনোনয়ন পত্র বিক্রি, মনোনয়নের চিঠি বিতরণ এবং নির্বাচন কমিশনে মনোনয়নপত্র দাখিল সবক্ষেত্রেই দেখা গেছে শো-ডাউন৷ এ নিয়ে সংঘাত-সংঘর্ষের ঘটনাও ঘটেছে৷

নির্বাচন কমিশন মনোনয়নপত্র দাখিলের সময় সর্বোচ্চ সাত জনকে একসঙ্গে যাওয়ার নির্দেশ দিলেও দুই প্রধান দলের সম্ভাব্য প্রার্থীরা কেউ এটা মেনেছেন বলে তথ্য নেই৷ বরং তাঁরা এই নীতি ভাঙতে কৌশলী হয়েছেন৷ কেউ কেউ সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে বলেছেন,‘‘আমার সঙ্গে সাত জনই এসেছেন৷ বাকি যারা এসেছেন তাদের আমি চিনি না৷”

সংবাদ মাধ্যমে প্রতিদিনই এখন সম্ভাব্য প্রার্থীদের গণসংযোগ ও প্রচার-প্রচারণার প্রচুর খবর চোখে পড়ছে৷ অথচ আইন অনুযায়ী প্রচার-প্রচারণা শুরু হওয়ার কথা ১০ ডিসেম্বর প্রতীক বরাদ্দের পর থেকে৷ শুধু তাই নয়, এখনো যেহেতু প্রার্থী চূড়ান্ত হয়নি, জোটের আসন ভাগাভাগি ঠিক হয়নি, তাই এক আসনে এক দলের একাধিক প্রার্থী আছেন৷ তাঁরা তাঁদের অবস্থান শক্ত করতে প্রতিদিনই নিজ এলাকায় শো-ডাউন করছেন৷ বর্তমান সংসদ সদস্য যাঁরা আবারো নির্বাচন করছেন, তাঁরা সরকারি সব সুযোগ-সুবিধা নিয়েই এলাকা চষে বেড়াচ্ছেন৷

বিএনপির পক্ষ থেকে প্রশাসনিক কর্মবর্তাসহ সরকারে মন্ত্রী, এমপিদের বিরুদ্ধে আচরণবিধি লংঘনের একাধিক অভিযোগ করা হয়েছে৷ তবে নির্বাচন কমিশন এখনো ওইসব অভিযোগের সত্যতা পায়নি৷

ঢাকাসহ সারাদেশে নির্বাচনি পোস্টারে ভরে গেছে৷ দেয়ালগুলো সেই সাক্ষ্যই দিচ্ছে৷ তফসিল ঘোষণার পর পোস্টার সরিয়ে ফেলার নির্দেশ দেয়া হলেও তাতে সাড়া মেলেনি৷ কেউ দোয়া ও ভোট চাওয়ার ওইসব পোস্টার বা প্রচারপত্রের দায়িত্ব নিচ্ছেন না৷

নির্বাচন নিয়ে কাজ করা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উন্নয়ন ও অধ্যয়ন বিভাগের অধ্যাপক কাজী মারুফুল ইসলাম বলেন, ‘‘আমরা আশা করি, সবাই আচরণবিধি মানবেন৷ কিন্তু আমাদের দেশে সেটা হয় না৷আর আচরণবিধি রাজনৈতিক দল, প্রার্থী সবার জন্য৷ এটা তফসিল ঘোষণার পর থেকেই কার্যকর৷ নির্বাচনি প্রচার-প্রচারণার নিয়ম এই আচরণবিধির মধ্যেই আছে৷ কিন্তু এবার তফসিল ঘোষণার পর থেকেই যেন কেউ আচরণবিধির তেমন তোয়াক্কা করছেন না৷”

তিনি বলেন, ‘‘নির্বাচন কমিশনের ভূমিকা শুরু থেকেই প্রশ্নবিদ্ধ৷ বাংলাদেশে সবার জন্য সমান সুযোগ দিয়ে একটি অংশগ্রণমুলক ও গ্রহণযোগ্য যে নির্বাচন আয়োজনের কথা, আমরা এখন পর্যন্ত নির্বাচন কমিশনের ভূমিকায় সে সম্পর্কে নিশ্চিত হতে পারছি না৷ নির্বাচন কমিশন বিভিন্ন অভিযোগের ব্যাপারে কার্যকর আইনি পদক্ষেপ নিচ্ছে না৷ আর যা নিচ্ছে, তাতে সরকারি দলের প্রতি পক্ষপাতিত্বের অভিযোগ উঠছে৷”

তিনি আরো বলেন,‘‘নির্বাচন কমিশনকে আরো শক্ত, সতর্ক এবং নিরপেক্ষ হতে হবে৷ যদি এখনকার অবস্থা চলতেই থাকে, তাহলে নির্বাচন প্রশ্নবিদ্ধ হবে৷”

ব্রতী’র নির্বাহী পরিচালক শারমীন মুরশীদ বলেন,‘‘শুরুতেই নির্বাচনি আচরণবিধির মৌলিক জায়গায় লঙ্ঘন হয়েছে৷ নির্বাচনে খরচের তো একটা সীমা বেঁধে দেয়া থাকে, তা কি মানা হচ্ছে? তফসিল ঘোষণার আগে থেকেই তো নির্বাচনি প্রচার-প্রচারণা শুরু হয়ে গেছে৷ আর সরকারি দলের অনেকে পদে থেকেও তো প্রচারণা চালাচ্ছেন৷ নির্বাচন কমিশনের এটা আরো ভালোভাবে দেখা উচিত৷ তারা এটা করছেন না৷”

তিরি বলেন, ‘‘নির্বাচন কমিশনের এখন পুলিশকে নিয়ন্ত্রণে আনা উচিত৷ তারা এত যে গ্রেপ্তার করছে, তাতে নির্বাচনের পরিবেশ অন্যরকম করে দিচ্ছে৷ নির্বাচন কমিশন যে এগুলো আমলে নিচ্ছে না, সেটা তো সবাই বলছে৷ স্বাভাবিভাবেই এগুলো নিয়ে প্রশ্ন উঠছে৷”

এদিকে এবার সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম নির্বাচনি প্রচারণায় বড় জায়গা দখল করে আছে৷ সেখানে প্রচার-প্রচারণা চলছে পুরো মাত্রায়৷ নিয়ম নীতি মানছে না কেউই৷

এসএইচ-০৮/০৪/১২ (হারুন উর রশীদ স্বপন, ডয়চে ভেলে)

আদালতে যাচ্ছেন হিরো আলম!

আদালতে যাচ্ছেন

সোশ্যাল মিডিয়ায় সবচেয়ে আলোচিত ব্যক্তি হিরো আলম। আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বগুড়া-৪ আসনের সতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে মনোনয়নপত্র কিনে ছিলেন আলোচিত এই মডেল ও অভিনেতা। মনোনয়নপত্র যাচাই বাছাই করে তা বাতিল করেছেন বগুড়া জেলা রিটার্নিং কর্মকর্তা ফয়েজ আহমেদ। এর পরিপ্রেক্ষিতে নির্বাচন কমিশনের মনোনয়ন বাতিলের আদেশের বিপরীতে আপিল করেছেন তিনি।

সোমবার (৩ ডিসেম্বর) নির্বাচন কমিশনে মনোনয়নপত্র বাতিলের সিদ্ধান্তকে চ্যালেঞ্জ করে আপিল করেন তিনি। আপিলের পর যদি প্রার্থিতা ফিরে না পান তাহলে আদালতের দ্বারস্থ হবেন বলে জানান হিরো আলম।

আপিল দাখিল শেষে তিনি সংবাদ মাধ্যমকে বলেন, নির্বাচন কমিশন থেকে অভিযোগ করা হয়েছে আমি সমর্থকের ভুয়া স্বাক্ষর জমা দিয়েছি। এটা সত্য নয়। এটা আমাকে নিয়ে ষড়যন্ত্র। নির্বাচন কমিশন পুরোপুরি সত্যটা যাচাই করতে পারেনি।

‘আমি নির্বাচনে দাঁড়ানোর পর থেকে আমাকে নিয়ে আলোচনা-সমালোচনা চলছেই। আমি কেন নির্বাচনে এলাম, আমার মতো লোক কেন নির্বাচনে এলো? জাতীয় পার্টি রেখে আমি স্বতন্ত্রতে দাঁড়ালাম তাতেও বাঁধা। এরা সবাই আমার সঙ্গে ষড়যন্ত্র করে আমার মনোনয়নপত্র বাতিল করেছে। আমি হাল ছাড়বো না। আমি আপিল করবো, শেষ পর্যন্ত কী হয় দেখবো।’

এ সময় তিনি আরও বলেন, রাজারা কখনো চায় না, প্রজারা রাজা হোক। তাই এই দেশের মন্ত্রী এমপিরা চায় না সাধারণ কোনো মানুষ এমপি মন্ত্রী হোক। এরা সবসময় চায় তাদের পরিবারের লোকজনই এমপি মন্ত্রী হোক। তাই আমার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করা হয়েছে এবং প্রার্থিতা বাতিল করা হয়েছে।

এদিকে হিরো আলম তার ফেসবুকে বেশ কিছু ছবি পোষ্ট করেছেন। পোস্টের ক্যাপশনে তিনি লিখেছেন, ‘লড়াই না করে পরাজয় মানবো না’।

উল্লেখ্য, নিজের বানানো মিউজিক ভিডিও দিয়ে সোশ্যাল মিডিয়ায় আলোচনায় আসে হিরো আলম। এরপর দেশে ও বলিউডে ছবিতে কাজ করা নিয়ে ফের আলোচনায় আসেন তিনি। সর্বশেষ তিনি আলোচনায় আসে জাতীয় সংসদ নির্বাচনে মনোনয়নপত্র কিনে।

আরএম-০১/০৪/১২ (বিনোদন ডেস্ক)