বিকাল ৪:০৩
শুক্রবার
১৭ ই মে ২০২৪ ইংরেজি
৩ রা জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
৯ ই জ্বিলকদ ১৪৪৫ হিজরী
spot_img

আরব আমিরাতের পাসপোর্ট সবচেয়ে শক্তিশালী

শক্তিশালী পাসপোর্টের তালিকায় শীর্ষে উঠে এসেছে সংযুক্ত আরব আমিরাত। পাসপোর্ট মূল্যায়নবিষয়ক বিখ্যাত প্রতিষ্ঠান ‘পাসপোর্ট ইনডেক্সে’ এ তথ্য জানানো হয়েছে।

এর আগে শক্তিশালী পাসপোর্ট তালিকার শীর্ষে ছিল সিঙ্গাপুর ও জার্মানি।

পাসপোর্ট ইনডেক্স জানিয়েছে, প্রতিষ্ঠানটির প্রকাশিত তালিকা অনুযায়ী, আমিরাতের পাসপোর্টধারী ব্যক্তি ভিসা ছাড়াই বিশ্বের ১৬৭টি দেশ ভ্রমণ করতে পারবেন। এর মধ্যে ১১৩টি দেশে যেতে কোনো ভিসাই লাগবে না।

৫৪টি দেশে অন অ্যারাইভাল ভিসা বা পৌঁছানো মাত্র দেয়া হয় ভিসা প্রক্রিয়ায় ভ্রমণ করতে পারবেন আমিরাত পাসপোর্টধারী ব্যক্তি।

তালিকায় দ্বিতীয় ও তৃতীয় স্থানে রয়েছে যথাক্রমে সিঙ্গাপুর ও জার্মানি। এই দুটি দেশের পাসপোর্টধারীরা অগ্রিম ভিসা ছাড়া বিশ্বের ১৬৬টি দেশে ভ্রমণ করতে পারবেন।

এসএইচ-০৭/০৪/১২ (অনলাইন ডেস্ক)

আজও খোঁজ মেলেনি সাবেক কূটনীতিক মারুফের

ভিয়েতনামে বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত ছিলেন মারুফ জামান। গত বছর তিনি ঢাকা থেকে নিখোঁজ হন। তারপর এক বছর পেরিয়ে গেলেও তার খোঁজ মেলেনি। পরিবারের পক্ষ থেকে অভিযোগ উঠেছে যে পুলিশ প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিচ্ছে না।

সাবেক রাষ্ট্রদূতের মেয়ে শবনম জামান তার ক্ষোভ-হতাশা প্রকাশ করে বলেন, “এটি এখন এমন অবস্থায় গিয়েছে যে মনে হচ্ছে- আমার বাবার কখনোই কোনো অস্তিত্ব ছিলো না।”

এক ইমেল বার্তায় শবনম জানান, গত এক বছর ধরে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্য বা যাদেরই সঙ্গে কথা বলার চেষ্টা করেছি তারা কেউই কোনো অর্থবহ সহযোগিতা করেননি। কাউকে কাউকে তো পাওয়াই যায়নি। কেউ আবার যেনো বিরক্তও হয়েছেন।

মারুফকে খুঁজে বের করার বিষয়ে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যদের ‘নীরবতা’ পরিবারের মনে প্রশ্ন জাগিয়েছে- তাহলে কি তাকে তুলে গিয়ে যাওয়া হয়েছে? একজন কূটনৈতিকের বিষয়ে রাষ্ট্রের নীরবতা নিয়েও প্রশ্ন উঠেছে। কিন্তু, এসব প্রশ্নের পরও মারুফ এখনো ‘নিখোঁজ’ রয়েছেন। শবনম বলেন, “আমরা যা চাই তা হলো- আমাদের বাবা জীবিত অবস্থায় বাসায় ফিরে আসুক।”

৬২ বছর বয়সী মারুফ গত বছরের ৪ ডিসেম্বর থেকে নিখোঁজ রয়েছেন। সেদিন তিনি ব্যক্তিগত গাড়িতে চড়ে ধানমন্ডি বাসা থেকে হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে যাচ্ছিলেন তার ছোট মেয়ে সামিহা জামানকে নিয়ে আসার জন্যে।

সেদিন বিদেশ থেকে তার মেয়ের আসার কথা ছিলো সন্ধ্যা সাড়ে ৭টায়। সেই সময়ের কাছাকাছি মারুফ তার বাসার ল্যান্ড ফোনে ফোন করে কাজের লোককে জানান যে একজন এসে তার ল্যাপটপটা নিয়ে যাবে। তাকে যেনো তা দেওয়া হয়।– এই কথাগুলো মারুফের ভাই রিফাত আগেই সংবাদমাধ্যমকে বলেছিলেন।

ভালো পোশাক ও মাথায় ক্যাপ পড়া তিনজন লম্বা ব্যক্তি মারুফের বাসায় এসেছিলেন। তারা তার ল্যাপটপ, ডেস্কটপ এবং ক্যামেরা নিয়ে যান। তারপর থেকেই মারুফকে আর খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না বলে জানান রিফাত। তবে তার গাড়িটি বিমানবন্দর সড়কের পাশে খিলক্ষেত এলাকায় পরিত্যক্ত অবস্থায় পাওয়া যায়।

বাড়ির সিসিটিভির ফুটেজ দেখেও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা সেই তিন ব্যক্তিকে সনাক্ত করতে পারেনি।

ঢাকার ধানমন্ডি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আব্দুল লতিফ বলেন, তারা সাবেক রাষ্ট্রদূতের বিষয়ে এখনো কোনোকিছু খুঁজে পাননি। সেই তিন ব্যক্তির পরিচয়ও জানতে পারেননি তারা। তবে বলেন, “আমরা চেষ্টা করছি।”

গত বছরের আগস্টে যে ডজনখানেক ব্যক্তি নিখোঁজ হয়েছিলেন মারুফ তাদের একজন। তাদের মধ্যে অন্তত পাঁচজন ফিরে এসেছেন। পরে আরও তিনজনকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়। কিন্তু, মারুফ ও বাকিদের সম্পর্কে এখনো কোনকিছু জানা যায়নি।

মানবাধিকার সংস্থা আইন ও সালিশ কেন্দ্রের হিসাবে, দেশে গত ২০১০ সাল থেকে ২০১৮ সালের জুলাই পর্যন্ত কমপক্ষে ৫৪৪ জন গুমের শিকার হয়েছেন। তাদের মধ্যে ৩০০-র বেশি এখনো নিখোঁজ রয়েছেন।

এদিকে, বাংলাদেশের মানবাধিকার পরিস্থিতি ও মারুফের গুম হওয়ার বিষয়ে চলতি বছরের ১৫ নভেম্বর ইউরোপিয়ান পার্লামেন্ট একটি রেজুশেলন গ্রহণ করে। তারা বাংলাদেশে বিচার বহির্ভূত হত্যা, গুম, আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর ক্ষমতার বাড়াবাড়ি ইত্যাদি বিষয়ে নিরপেক্ষ তদন্তের দাবি জানায়।

মানবাধিকারকর্মী নূর খান লিটন বলেন, “গত এক বছরেরও আমরা মারুফের কোনো খোঁজ পেলাম না এটি খুবই দুঃখের বিষয়। আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর কোনো তৎপরতাও চোখে পড়লো না।”

রাষ্ট্রদূত বা আইনপ্রণেতাদের গুম হয়ে যাওয়ার ঘটনাগুলো দেশে আতঙ্কের পরিবেশ সৃষ্টি করেছে বলেও মত দেন এই মানবাধিকারকর্মী।

মারুফের নিখোঁজ হওয়ার বিষয়ে তার পরিবারের পক্ষ থেকে সরকারের কাছে আবারো আবেদন জানানো হয়েছে যে এই ঘটনার একটি নিরপেক্ষ তদন্ত করে দোষীদের বিচারের ব্যবস্থা করা হোক।

এসএইচ-০৬/০৪/১২ (রাফিউল ইসলাম, তথ্য সূত্র : দ্য ডেইলি স্টার)

ব্যালন ডি’অর মদ্রিচের হাতেই উঠল

বেশ কিছুদিন ধরে গুঞ্জন ছিল, এবার ব্যালন ডি’অর উঠতে যাচ্ছে লুকা মদ্রিচের হাতে। ফরাসি গণমাধ্যমগুলো একপ্রকার নিশ্চিত করেই বলছিল তা। অবশেষে গুঞ্জনই সত্যি হল। ব্যালন ডি’অরে লিওনেল মেসি ও ক্রিস্তিয়ানো রোনালদোর যৌথ রাজত্বের অবসান ঘটল। দীর্ঘ এক দশক পর এ দুই কিংবদন্তীর বাইরে কোন ফুটবলার জিতল ব্যালন ডি’অর। রিয়াল মাদ্রিদের ক্রোয়েশিয়ান তারকা মদ্রিচের হাতেই উঠল ফুটবল বিশ্বের সবচেয়ে সম্মানজনক এই পুরস্কারটি।

মেসি-রোনালদোর বাইরে সর্বশেষ ব্যালন ডি’অর জিতেছিলেন ব্রাজিলিয়ান ফরোয়ার্ড কাকা। সেটি ২০০৭ সালের কথা। তারপর থেকে গত দশ বছরের পুরস্কার হাত বদল হয়েছে মেসি ও রোনালদো মধ্যে। দুই জনই রেকর্ড ৫ বার করে ফরাসি সাময়িকী ‘ফ্রান্স ফুটবল’ –এর দেওয়া পুরস্কারটি জিতেছেন।

সোমবার স্থানীয় সময় সন্ধ্যায় পারিসে এক জমকালো অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে ২০১৮ সালের বর্ষসেরা এই পুরস্কার ঘোষণা করা হয়। রোনালদো ও আঁতোয়া গ্রিজমানকে পেছনে ফেলে এই পুরস্কার জিতলেন ক্রোয়েশিয়ার সোনালি প্রজন্মের এই তারকা।

চলতি বছর ফুটবলের বর্ষসেরা সবক’টি পুরস্কারই নিজের করে নিয়েছেন মদ্রিচ। অগাস্টে নির্বাচিত হন উয়েফার বর্ষসেরা ফুটবলার। পরের মাসে জেতেন ‘দ্য বেস্ট ফিফা মেনস প্লেয়ার’।

ফুটবল মাঠে চলতি বছর মদ্রিচের অর্জনও কম নয়। গত মৌসুমে ইতিহাসের প্রথম ক্লাব হিসেবে রিয়ালের টানা তৃতীয়বারের মতো চ্যাম্পিয়ন্স লিগ জয়ে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা ছিল মদ্রিচের। মাদ্রিদের ক্লাবটির হয়ে গত মৌসুমে উয়েফা সুপার কাপ, স্প্যানিশ সুপার কাপ ও ক্লাব বিশ্বকাপ শিরোপাও জেতেন তিনি। রাশিয়া বিশ্বকাপে ক্রোয়েশিয়াকে ফাইনালে তুলতে বড় অবদান রাখেন মদ্রিচ। জিতেছেন আসরের সেরা খেলোয়াড়ের পুরস্কার ‘গোল্ডেন বল’।

সেরা ত্রিশ :

প্রথম : লুকা মদ্রিচ (রিয়াল মাদ্রিদ, ক্রোয়েশিয়া)

দ্বিতীয় : ক্রিস্তিয়ানো রোনালদো (রিয়াল মাদ্রিদ/জুভেন্তাস, পর্তুগাল)

তৃতীয় : অঁতোয়া গ্রিজমান (আথলেতিকো মাদ্রিদ, ফ্রান্স)

চতুর্থ : কিলিয়ান এমবাপে (পিএসজি, ফ্রান্স)

পঞ্চম : লিওনেল মেসি (বার্সেলোনা, আর্জেন্টিনা)

ষষ্ঠ : মোহামেদ সালাহ (লিভারপুল, মিশর)

সপ্তম : রাফায়েল ভারানে (রিয়াল মাদ্রিদ, ফ্রান্স)

অষ্টম : ইডেন হ্যাজার্ড (চেলসি, বেলজিয়াম)

নবম : কেভিন ডি ব্রুইন (ম্যানচেস্টার সিটি, বেলজিয়াম)

দশম : হ্যারি কেইন (টটেনহ্যাম হটম্পার, ইংল্যান্ড)

একাদশ : এনগোলো কান্তে (চেলসি, ফ্রান্স)

দ্বাদশ : নেইমার (পিএসজি, ব্রাজিল)

ত্রয়োদশ : লুইস সুয়ারেজ (বার্সেলোনা, উরুগুয়ে)

চতুর্দশ : থিবো কোর্তোয়া (চেলসি/ রিয়াল মাদ্রিদ, বেলজিয়াম)

পঞ্চদশ : পল পগবা (ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড, ফ্রান্স)

ষোড়শ : সের্হিও আগুয়েরো (ম্যানচেস্টার সিটি, আর্জেন্টিনা)

যৌথভাবে সপ্তদশ : করিম বেনজেমা (রিয়াল মাদ্রিদ, ফ্রান্স), গ্যারেথ বেল (রিয়াল মাদ্রিদ, ওয়েলস)

যৌথভাবে উনবিংশ : রবের্তো ফিরমিনো (লিভারপুল, ব্রাজিল), ইভান রাকিতিচ (বার্সেলোনা, ক্রোয়েশিয়া) ও সার্জিও রামোস (রিয়াল মাদ্রিদ, স্পেন)

যৌথভাবে ২২তম : এদিনসন কাভানি (পিএসজি, উরুগুয়ে), সাদিও মানে (লিভারপুল, সেনেগাল) ও মার্সেলো (রিয়াল মাদ্রিদ, ব্রাজিল)

যৌথভাবে ২৫তম : আলিসন (রোমা/লিভারপুল, ব্রাজিল), মারিও মানজুকিচ (ইউভেন্তুস, ক্রোয়েশিয়া) ও ইয়ান ওবলাক (আতলেতিকো মাদ্রিদ, স্লোভেনিয়া)

২৮তম : দিয়েগো গদিন (আতলেতিকো মাদ্রিদ, উরুগুয়ে)

যৌথভাবে ২৯তম : ইসকো (রিয়াল মাদ্রিদ, স্পেন) ও উগো লরিস (টটেনহ্যাম হটস্পার, ফ্রান্স)

এসএইচ-০৫/০৪/১২ (স্পোর্টস ডেস্ক)

মেসি-রোনালদোর যুগ কি শেষ?

ফুটবলে ব্যক্তিগত পুরস্কার মানেই মেসি-রোনালদোর দ্বৈরথ। গত এক দশক ধরেই এটাই যেন নিয়ম হয়ে গিয়েছিল। গত ১০ বছরে বিশ্ব ফুটবলের সব ব্যক্তিগত বড় পুরস্কারই ভাগাভাগি করেছেন তারা দুজনে। এই দুই তারকার যৌথ রাজত্বে কে এসে হানা দিবে? অনেক দিন ধরেই চলছিল এরকম আলোচনা। সম্ভাব্য তারকা হিসেবে নাম উঠে এসেছিল নেইমার, কিলিয়ান এমবাপে, আঁতোয়া গ্রিজমানদের নাম। বাদ যায়নি মোহামেদ সালাহর নামও।

কিন্তু একা কেউ নন, মেসি-রোনালদোর সাম্রাজ্যে হানা দিয়েছেন ক্রোয়েশিয়ার উদ্বাস্তু শিবির থেকে উঠে আসা এক ফুটবলার। নাম লুকা মদ্রিচ। রিয়াল মাদ্রিদের এই তারকা চলতি বছর একে একে বগলদাবা করলেন ফুটবলের ব্যক্তিগত সব পুরস্কার। সর্বশেষ সোমবার ব্যালন ডি’অরেও মেসি-রোনালদোর যুগের শেষ টেনে দিলেন ৩৩ বছর বয়সী রিয়াল মাদ্রিদের এই তারকা। জিতে নিলেন ফরাসী সাময়িকীর দেওয়া সম্মানজনক এই পুরস্কার।

মদ্রিচের এই সাফল্য মেসি-রোনালদো কতটা মেনে নিয়েছেন, তা জানা যায়নি। কিন্তু বিশ্ববাসী যে মদ্রিচের শ্রেষ্ঠত্ব মেনে নিয়েছেন তাতে কোন সন্দেহ নেই। বিশ্বকাপ, উয়েফা বর্ষসেরা ও ফিফা বর্ষসেরা, মেসি-রোনালদোর রাজত্বে হানা দিয়ে এ বছরে এ পর্যন্ত দেওয়া ৩টি ব্যক্তিগত বড় পুরস্কারই জিতেছেন তিনি। গেল আগস্টে রোনালদো ও মোহাম্মদ সালাহকে পেছনে ফেলে উয়েফা বর্ষসেরা খেলোয়াড়ের পুরস্কার জিতেছিলেন মদ্রিচ। পরের মাসে ফিফা বর্ষসেরা ‘‘দ্য বেস্ট ফিফা মেনস প্লেয়ার’ ট্রফিও তিনি জিতে নেন ওই দুজনকে পেছনে ফেলে। গত মৌসুমে রিয়ালের হয়ে চ্যাম্পিয়নস লিগ জেতা ছাড়াও উয়েফা সুপার কাপ, স্প্যানিশ সুপার কাপ ও ফিফা ক্লাব বিশ্বকাপের শিরোপাও জেতেন তিনি। অবশেষে সর্বশেষ ব্যালন ডি’অরেও মেসি-রোনালদো যুগের ইতি টেনে দিলেন মদ্রিচ।

গেল মৌসুমে রিয়াল মাদ্রিদকে চ্যাম্পিয়ন্স লিগ জিতিয়ে রাশিয়ার বিশ্বকাপে গিয়েছিলেন মদ্রিচ। বিশ্বকাপে তার দল ক্রোয়েশিরার সর্বোচ্চ সাফল্য ছিল সেমি ফাইনাল পর্যন্ত। ১৯৯৮ সালে প্রথমবারের মতো ফ্রান্স বিশ্বকাপে অংশ নিয়েই সেমি ফাইনালে উঠেছিল ক্রোয়েশিয়া। এবার মদ্রিচরা সেই সাফল্য অতিক্রমের প্রত্যয় নিয়েই মাঠে নেমেছিলেন। দারুণ লড়াকু ফুটবলে দলকে ফাইনালে তুলেছিলেন তিনি। যদিও শিরোপা জেতা হয়নি। কিন্তু এর মধ্য দিয়ে নিঃসন্দেহে ক্রোয়েশিয়ার ফুটবলের নতুন অধ্যায়ের সূচনা করেছেন মদ্রিচরা। টুর্নামেন্ট জুড়ে অসামান্য পারফর্মেন্সের কারণে রিয়ালের এই ডিফেন্ডার জিতেছেন গোল্ডেন বল।

এবারের ব্যালন ডি’অরের দৌড়ে মদ্রিচের প্রতিদ্বন্দ্বী ছিলেন রোনালদো ও ফ্রান্সের আঁতোয়া গ্রিজমান। এবার যে মেসি-রোনালদোর আধিপত্য থাকবে না, তা আগে বোঝা গিয়েছিল। ফরাসি গণমাধ্যমগুলো ইঙ্গিতই দিয়ে রেখেছিল মদ্রিচ হতে যাচ্ছেন নতুন সম্রাট। হলোও তাই। ৭৫৩ পয়েন্ট নিয়ে ট্রফিটি জিতে নেন তিনি। দ্বিতীয় স্থানে থাকা রোনালদোর পয়েন্ট ৪৭৮। গ্রিজমানের পয়েন্ট ৪১৪। তিনি আছেন তৃতীয় স্থানে। এদিকে ২০০৭ সালের পর এই প্রথম শীর্ষ ৩ থেকে ছিটকে গেছেন আর্জেন্টাইন সুপারস্টার মেসি। তিনি আছেন ৫ নম্বরে।

ক্লাব ক্যারিয়ারে রিয়াল মাদ্রিদের হয়ে সম্ভাব্য সবকিছুই জিতেছেন। চ্যাম্পিয়ন্স লিগের শিরোপা জিতেছেন ৪ বার। জিতেছেন লিগ, স্প্যানিশ সুপার কাপ, উয়েফা সুপার কাপ, বিশ্ব ক্লাব বিশ্বকাপ- সবকিছুই।

মদ্রিচের জন্ম ১৯৮৫ সালের ৯ সেপ্টেম্বর। ক্রোয়টদের রীতি- গ্রাম বা পরিবারের পূর্বসূরিদের নামানুসারে রাখা হয় নাম। লুকার ক্ষেত্রে দুটো রীতিই মানা হয়েছে। তার দাদার নাম ছিল লুকা, গ্রামের নাম মদ্রিচি। দুটো মিলিয়েই তিনি লুকা মদ্রিচ। জন্মের কয়েক বছর পরই যাকে আশ্রয় নিতে হয় উদ্বাস্তু শিবিরে, ফুটবলার হওয়ার স্বপ্নের চারা লাগাতে গিয়ে শুরুতেই খেতে হয় অমানবিক ধাক্কা, শারীরিক আকৃতির কারণে যাকে দলে নিতে অস্বীকৃতি জানায় ক্লাব, সময়ের পথ বেয়ে সেই লুকা মদ্রিচ এখন বিশ্বসেরা। ফুটবল বিশ্বের দুই দানবিক প্রতিভা মেসি ও রোনালদো যুগের অবসান ঘটিয়ে নতুন যুগের সূচনা করলেন তিনি।

এসএইচ-০৪/০৪/১২ (স্পোর্টস ডেস্ক)

গাছ লাগালেই কর ছাড়

ভারতের কলকাতার নতুন মেয়র ফিরহাদ হাকিম। ফলাফল তৃণমূল ১২১, বিজেপি ৫। ১২১ জন তৃণমূল কাউন্সিলারই উপস্থিত ছিলেন। ৬৩ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলার সুস্মিতা চ্যাটার্জি শারীরিক অসুস্থতার কারণে নির্বাচনে উপস্থিত থাকতে পারেননি। তবে সবাইকে চমকে দিয়ে বেলা দেড়টার সময় পৌরসভায় উপস্থিত হন শোভন চ্যাটার্জি। দুপুর আড়াইটে নাগাদ শেষ হয় নির্বাচন। তারপর মেয়র হিসাবে ফিরহাদ হাকিমের জয় ছিল শুধু সময়ের অপেক্ষা। বিরোধীদের মধ্যে রয়েছে বামেদের ১৪টি, বিজেপি’‌র পাঁচটি এবং কংগ্রেসের দু’টি আসন। বাম এবং কংগ্রেস কাউন্সিলাররা অধিবেশনের পর ভোট শুরুর আগেই ওয়াকআউট করেন।

সোমবার মেয়র হিসাবে জয়লাভ করার পর তিনি বলেন, ‘‌দল আমাকে অনেক দায়িত্ব দিয়েছে। আমি সব দায়িত্ব সততার সঙ্গে পালন করতে চাই।’‌ বিরোধীদের উদ্দেশ্যে তাঁর জবাব, ‘‌আমার নাম, ধর্ম নিয়ে বিচার বিবেচনা করতে হবে না। আমার কাজটাই দেখো। বিজেপি’‌র নৈতিক পরাজয় হয়েছে। কারণ তারা বলেছিল ৫টি ভোট তাদের রয়েছে। তার থেকে একটি ভোট বেশি পেলেই তা হবে নৈতিক জয়। সেটা হয়নি। তাই নৈতিক পরাজয় হয়েছে তাদের।’‌

এদিন বাঙালির ঐতিহ্য মেনেই ধুতি পরে মেয়র হিসাবে শপথবাক্য পাঠ করেন ফিরহাদ হাকিম। ডেপুটি মেয়র হিসাবে অতীন ঘোষও শপথবাক্য পাঠ করেন। ফিরহাদ হাকিমের জয়ের পরই উচ্ছ্বাসে ফেটে পড়েন তৃণমূল কর্মী সমর্থকরা। শহরের নতুন মেয়রের বাড়ির সামনে এখন উৎসবের মেজাজ। শপথ নেওয়ার পর সাংবাদিক বৈঠকে নাগরিকদের পরিষেবা আরও বাড়ানোর কথা বলেছেন। তিনি জানান, ‘‌গাছ লাগালে ৯০ শতাংশ কর ছাড় দেওয়া হবে।

বহুতলের বর্জ্য থেকে সার তৈরি করলেও কর ছাড় দেওয়া হবে। কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে সবাই নাগরিক পরিষেবা অব্যাহত রাখব। এই নির্বাচনে জয়ের পর ফোন করে অভিনন্দন জানিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জি। তাই আমি দলের সৈনিক হিসাবে পরিষেবা পৌঁছে দেওয়াই প্রধান লক্ষ্য হবে আমাদের। মুখ্যমন্ত্রীও তাই চান। জল জমা থেকে দূষণ রোধ করা প্রাথমিক কাজ হবে।’‌ ‌‌

পৌরসভার এই নির্বাচনে উপস্থিত হয়ে প্রাক্তন মেয়র শোভন চ্যাটার্জি বলেন, ‘‌আমি আগেও বলেছি, এখনও বলছি যে কোনও সাহায্য লাগলে আমি তা করব। আমি দলের সৈনিক। দল যা বলবে আমি তা করব। আমাকে যদি কোনও কাজে লাগে তা আমি অবশ্যই করব।’‌

এসএইচ-০৩/০৪/১২ (অনলাইন ডেস্ক, তথ্য সূত্র : আজকাল)

শীত লাগেনি মুক্তিপাগল বাঙালীর গায়ে

বিজয় মাসের আজ চতুর্থ দিন। হাজার বছর ধরে স্বাধীনতাহীন বাঙালী জাতি স্বাধীন ও সার্বভৌম দেশ অর্জন করেছে এ মাসেই। আর এ অর্জনে দিতে হয়েছে এক সাগর রক্ত আর লাখো মা-বোনের সম্ভ্রম। যতদিন এ পৃথিবীর মানচিত্রে বাংলাদেশের অস্তিত্ব থাকবে ততদিন ডিসেম্বর বিজয়ের মাস হিসেবে উদযাপিত হবে। মহান মুক্তিযুদ্ধের পরাজিত শক্তি, ঘাতক দালাল রাজাকার, আলবদর, যুদ্ধাপরাধী ও তাদের দোসররা যুগ যুগ ধরে ভীষণ ভয়ে থাকবে, বাঙালীর তীব্র ঘৃণা ও ধিক্কার থেকে নিজেদের আড়াল করার চেষ্টা করবে এ মাসে।

৪ ডিসেম্বর, ১৯৭১। ডিসেম্বরে মুক্তিযুদ্ধ এক ভিন্ন মাত্রা পেতে শুরু করে। বর্ষা, শরত আর হেমন্ত পেরিয়ে শুরু হয় শীতের মৌসুম। গ্রামবাংলা জুড়ে শীত নামে। কিন্তু শীত নেই মুক্তিপাগল বাঙালীর। হানাদারবাহিনীকে পরাজিত করতে দেহের রক্ত যেন টগবগিয়ে ফুটছে। একাত্তরের রক্তক্ষরা এই দিনে চারিদিকে বীর বাঙালীর বিজয়, আর পাকহানাদার বাহিনীর পরাজয়ের খবর। দেশের বিভিন্নস্থানে পর্যুদস্ত হতে থাকে উর্দুভাষী হানাদাররা। ডিসেম্বর মাসের প্রতিটিদিনই শত্রুর পরাজয়ের ক্ষণ গণনা চলছিল। এক একটি দিনে রচিত হচ্ছিল বাঙালীর বীরত্বগাথার নিত্যনতুন ইতিহাস। স্বাধীনতার ৪৬ বছর পরও মহান মুক্তিযুদ্ধের সেসব বীরত্বগাথা ইতিহাস আমাদের নতুন করে বাঁচার আশা জাগায়।

ডিসেম্বরের শুরু থেকেই দখলদার পাকহানাদারদের পরাজয় অনিবার্য হয়ে ওঠে। নিশ্চিত পরাজয়ের মুখে পাকিস্তানীরা সশস্ত্র যুদ্ধের পাশাপাশি কূটনৈতিক যুদ্ধও শুরু করে। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র পাকিস্তানীদের ষড়যন্ত্রের দোসর হয়ে ওঠে। কিন্তু তৎকালীন সোভিয়েত ইউনিয়ন অকৃপণ সহযোগিতায় সব ষড়যন্ত্র ব্যর্থ হয়। ৪ ডিসেম্বর পূর্ব পাকিস্তানে যুদ্ধবিরতি কার্যকর করতে যুক্তরাষ্ট্র জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদে প্রশ্ন তোলে। কিন্তু ভারত ও সোভিয়েত ইউনিয়নের কারণে সেই ষড়যন্ত্র বাস্তবায়িত হয়নি।

একাত্তরে এই দিন সকালে নয়াদিল্লীতে প্রবাসী সরকার এবং ভারতীয় প্রতিরক্ষা দফতরের প্রধানরা আলোচনায় বসে দেখলেন যৌথ বাহিনী ঠিক ঠিকই এগিয়েছে। প্রথমত: তারা কোথাও শহর দখলের জন্য অগ্রসর হয়নি।

দ্বিতীয়ত: কোথাও শত্রু পাকিস্তানী ঘাঁটির সঙ্গে বড় লড়াইয়ে আটকে পড়েনি।

তৃতীয়ত: পাকিস্তানী সমরনায়করা তখনও বুঝতে পারেনি ভারতীয় বাহিনী ঠিক কোন দিক দিয়ে ঢাকায় পৌঁছতে চাইছে। বরং তখনও তারা মনে করছে ভারতীয় বাহিনী সীমান্তের মূল পাকিস্তানী ঘাঁটিগুলোর ওপর আক্রমণ চালাবে।

চতুর্থত: ব্যাপক বিমান এবং স্থল আক্রমণে শত্রুপক্ষকে একেবারে বিহ্বল করে দেয়া গিয়েছিল। পঞ্চমত: পাকিস্তানী বিমান বাহিনীকে অনেকটা ঘায়েল করে ফেলা হয়েছে। তাদের বিমান ঘাঁটিগুলোও বিধ্বস্ত।

ষষ্ঠত: পাকিস্তানের প্রধান নৌবন্দরগুলো অর্থাৎ চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, চালনা, চাঁদপুর ও নারায়ণগঞ্জে জাহাজ বা স্টিমার ভেড়ানোর ব্যবস্থাও অনেকটা বিপর্যস্ত এবং সপ্তমত: বাংলাদেশের সাধারণ নাগরিক এবং বাড়িঘরও মোটেও ক্ষতিগ্রস্ত হয়নি। সেনা, নৌ ও বিমানবাহিনী তাই যুদ্ধের দ্বিতীয় দিনেও একই লক্ষ্যে এগিয়ে চলল।

পশ্চিম দিক থেকে ভারতীয় সেনাবাহিনী ও মুক্তিফৌজের সব কয়টা কলাম সামনে এগিয়ে চলল। কিন্তু কোথাও তারা সোজাসুজি পাকিস্তানী ঘাঁটিগুলোর দিকে এগুলো না। মূল বাহিনী সর্বদাই ঘাঁটিগুলোকে পাশ কাটিয়ে এগিয়ে চলল এবং ঘাঁটিতে অপেক্ষমাণ পাকিস্তানী বাহিনী যাতে মনে করে যে, ভারতীয় বাহিনী তাদের দিকেই এগিয়ে আসার চেষ্টা করছে। সেজন্য প্রতি পাকিস্তানী ঘাঁটিতে অবিরাম গুলিবর্ষণও চলতে থাকল। এ উদ্দেশ্যে প্রতি পাকিস্তানী ঘাঁটির সামনে ভারতীয় গোলন্দাজ বাহিনীর কিছু কিছু সদস্য রেখে যাওয়া হলো।

মূল ভারতীয় বাহিনী ও মুক্তিবাহিনী যে পাশ কাটিয়ে এগিয়ে যাচ্ছে পাকিস্তানীরা তার খবরও পেল না। কারণ প্রথমত, তাদের সমর্থনে দেশের জনগণ ছিল না, যারা খবরাখবর দিতে পারে। দ্বিতীয়ত, তাদের বিমান বাহিনী তখন বিধ্বস্ত। তৃতীয়ত, বাংলাদেশে পাকিস্তানী সেনাবাহিনীর বেতারে খবরাখবরের ব্যবস্থাও ভাল ছিল না। সুতরাং নিজস্ব ব্যবস্থায়ও তারা খবরাখবর পেল না। তাই ভারতীয় বাহিনী যখন সোজাসুজি যশোর, হিলি, সিলেট, কুমিল্লা, ফেনী প্রভৃতি পাকিস্তানী বাহিনীর শক্ত ঘাঁটির দিকে না গিয়ে যে তারা সোজা চলে যাচ্ছে তা তারা কোনভাবেই বুঝতে পারল না।

বরং ভারতীয় গোলন্দাজ বাহিনীর গোলাবর্ষণের বহর দেখে তখনও তারা মনে করছে ভারতীয় বাহিনী তাদের দিকেই এগোনোর চেষ্টা করছে। সেজন্য তারা তখনও মূল সড়কগুলো আগলে বসে রইল। সীমান্তের কাছাকাছি পাকিস্তানী বাহিনী তখনও অধিষ্ঠিত একমাত্র কুষ্টিয়া ছাড়া। দর্শনা যে মুহূর্তে ৪নং পার্বত্য ডিভিশনের কামানের পাল্লার মধ্যে এসে গেল পাকিস্তানীরা অমনি শহর ছেড়ে আরও পশ্চিমে পালাল।

এদিকে ভারতীয় বিমান ও নৌবাহিনীর জঙ্গী বিমানগুলো বারবার ঢাকা, চট্টগ্রাম, চালনা প্রভৃতি এলাকায় সামরিক ঘাঁটিগুলোর ওপর আক্রমণ চালায়। ঢাকায় সেদিনও জোর বিমানযুদ্ধ হলো। কিন্তু সেদিনই প্রায় শেষ বিমানযুদ্ধ। অধিকাংশ পাকিস্তানী বাহিনী ঘায়েল হলো। বিমানবন্দরগুলোও প্রচন্ড ক্ষতিগ্রস্ত হলো।

এসএইচ-০১/০৪/১২ (অনলাইন ডেস্ক)

রাজশাহীতে যুবলীগ কর্মীকে হত্যায় ৯ জনের নামে মামলা

রাজশাহীর বাগমারা তাহেরপুর পৌর যুবলীগের সহসভাপতি ও উপজেলা হিন্দু, বৌদ্ধ, খ্রীষ্ঠান ঐক্য পরিষদের নেতা চঞ্চল কুমার (৪২) হত্যার দুইদিন পর ৯ জনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাত ব্যক্তিদের আসামি করে থানায় হত্যা মামলা দায়ের করা হয়েছে। মামলাটি দায়ের করেছেন নিহতের ছোট ভাই অমল কুমার।

এদিকে মনোনয়ন বিরোধকে কেন্দ্র করে ছুরিকাঘাতে নিহত যুবলীগ নেতা চঞ্চল কুমারের পরিবারের ব্যয়ভার বহনের ঘোষণা দিয়েছেন স্থানীয় এমপি ইঞ্জিনিয়ার এনামুল হক। এছাড়া তিনি ঘটনার সঙ্গে সম্পৃক্তদের আটক করে বিচারের কাঠগড়ায় দাঁড় করানোর জন্য ইতোমধ্যে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে নির্দেশ দিয়েছেন বলে জানান। তিনি নিহত চঞ্চলের স্ত্রী টপি রাণীকে এনাগ্রুপে চাকরি দেয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন।

অপরদিকে নিহত চঞ্চল কুমারের পরিবারের অভিযোগ, পৌর আ’লীগের যুগ্ম সম্পাদক মাহাবুর রহমান বিপ্লবসহ হত্যার সাথে জড়িতদের আসামি করে থানায় হত্যা মামলা করতে গেলে পুলিশ টালবাহনা শুরু করে।

মামলার এজাহারভুক্ত আসামি পৌর আ’লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহাবুর রহমান বিপ্লবকে বাদ দিয়ে পুলিশ মামলাটি এজাহার হিসেবে গন্য করে। একারণেই মামলাটি থানায় করতে বিলম্ব হয়েছে বলে নিহতের ভাই দাবি করেন।

প্রকৃত অপরাধীদের বাদ দিয়ে থানায় মামলা নেয়ায় এলাকার সাধারণ মানুষের মধ্যে আতংক বিরাজ করছে।

তাহেরপুর এলাকার লোকজন জানান, চঞ্চল হত্যাকারীদের গ্রেপ্তার করে আইনের আওতায় আনা না হলে বাগমারায় আইন শৃঙ্খলার ব্যাপক অবনতি হওয়ার সম্ভবনা রয়েছে। এলাকার লোকজন অবিলম্বে চঞ্চল হত্যাকারীদের গ্রেপ্তার করে আইনের আওতায় আনার দারি জানান।

তবে গতকাল স্থানীয় সংসদ সদস্য ইঞ্জিনিয়ার এনামুল হক, উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আলহাজ্ব জাকিরুল ইসলাম সান্টু, রাজশাহীর পুলিশ সুপার ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন। এসময় তারা প্রকৃত অপরাধীদের গ্রেপ্তারের মাধ্যমে চঞ্চল হত্যাকারীদের শাস্তি নিশ্চিত করার আশ্বাস দেন।

প্রসঙ্গত, শনিবার দুপুর ১২টার দিকে স্থানীয় আওয়ামী লীগের দুই গ্রুপে সংঘর্ষের সময় তাহেরপুর পৌরসভা যুবলীগের সহসভাপতি চঞ্চল কুমার ছুরিকাঘাতে আহত হলে তাকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ (রামেক) হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় বিকাল চারটায় তার মৃত্যু হয়।

বিএ-২৫/০৩-১২ (নিজস্ব প্রতিবেদক)

মন্ত্রিসভার শেষ বৈঠকে প্রধানমন্ত্রী বললেন ‘সকলে ভালো থাকবেন’

মন্ত্রিসভার শেষ বৈঠকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, আগামীতে জনগণ ভোট দিয়ে বিজয়ী করলে নতুন সংসদ গঠন হবে। এরপর নতুন মন্ত্রিসভা গঠন হবে। নতুন মন্ত্রিসভা গঠন হলে কারা সেখানে আসবেন, সেটি এখন বলাও সম্ভব হবে না। সকলে ভালো থাকবেন- এই কামনা করছি।

সোমবার ঢাকার তেজগাঁওয়ে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে বর্তমান সরকারের মন্ত্রিসভার শেষ বৈঠক এ কথা বলেন তিনি।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে বৈঠকে সব মন্ত্রী-প্রতিমন্ত্রী উপস্থিত ছিলেন। বৈঠকে সবাইকে শুভেচ্ছা জানিয়ে আনুষ্ঠানিকভাবে বিদায় নেন প্রধানমন্ত্রী। একাধিক মন্ত্রী-প্রতিমন্ত্রীর সাথে কথা বলে এ তথ্য জানা গেছে।

মন্ত্রিসভায় অনির্ধাতি আলোচনায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, আগামী ৩০ ডিসেম্বর একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। নির্বাচনে মন্ত্রী-প্রতিমন্ত্রীরা প্রার্থী হয়েছেন। এ কারণে সবাই নিজ নিজ নির্বাচনী এলাকায় ভোটের কাজে ব্যস্ত থাকবেন। আর মন্ত্রিসভার বৈঠক করা সম্ভব হবে না।

এটি ছিল বর্তমান বছরে মন্ত্রিসভার ৩০তম বৈঠক।

বিএ-২৪/০৩-১২ (ন্যাশনাল ডেস্ক)

রাজশাহীর রিটার্নিং কর্মকর্তার অপসারণ দাবি

রাজশাহীর জেলা ম্যাজিস্ট্রেট ও রিটার্নিং কর্মকর্তা এসএম আবদুল কাদেরের অপসারণ দাবি করেছেন সংক্ষুদ্ধ সাত প্রার্থী। রোববার যাচাই-বাছাইয়ে তাদের মনোনয়নপত্র বাতিল করে দেন রিটার্নিং কর্মকর্তা।

সোমবার সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত অপেক্ষা করেও আদেশের সার্টিফাইড কপি না পাওয়ার অভিযোগ করেন এরা। পরে রাত ৮টার দিকে এ নিয়ে সংবাদ সম্মেলন করেন রাজশাহী সিটি প্রেসক্লাবে।

প্রার্থীদের পক্ষে সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন, রাজশাহী-৫ (পুঠিয়া-দুর্গাপুর) আসনে বিএনপির প্রার্থী আবু বকর সিদ্দিক। যাচাই-বাছাইয়ে তারও প্রার্থীতা বাতিল হয়ে যায়।

আবু বকর সিদ্দিক অভিযোগ করেন, ছোট খাটো ভুলত্রুটিতেই রোববার রিটার্নিং কর্মকর্তা তাদের মনোনয়নপত্র বাতিল করেন। আপীলের জন্য ওই দিনই তারা আদেশের সার্টিফাইড কপি চেয়ে আবেদন জমা দেন।

সোমবার সকালে যথারীতি প্রার্থী ও তাদের প্রতিনিধিরা রিটার্নিং কর্মকর্তার দপ্তরে যান। কিন্তু ওই আদেশের কপি দিতে গড়িমশি শুরু করেন রিটার্নিং কর্মকর্তা।

সেটি না দিয়েই দুপুরবেলা তিনি দপ্তর ত্যাগ করেন। এর আগে সার্টিফাইড কপি চাইতে গেলে নিজ দপ্তরে প্রার্থীদের সাথে অসদাচরণ করেন রিটার্নিং কর্মকর্তা।

সংবাদ সম্মেলনে অভিযোগ করা হয়, প্রার্থীতা আটকাতেই রিটার্নিং কর্মকর্তা আওয়ামী লীগ সরকারের এজেন্ট হয়ে নির্দেশ পালন করছেন। তাদের নির্বাচন থেকে দূরে রাখতে এমন আচরণ-বলে অভিযোগ করা হয় সংবাদ সম্মেলনে। ৎ

একই সাথে রিটার্নিং কর্মকর্তার অধীনে সুষ্ঠু নির্বাচন সম্ভব নয় দাবি করে দ্রুত তার অপসারণ চান সংক্ষুদ্ধরাা।

সংবাদ সম্মেলনে রাজশাহী-৩(পবা-মোহনপুর) আসনে বিএনপির প্রার্থী একেএম মতিউর রহমান মন্টু ও সতন্ত্র প্রার্থী আতিকুর রহমান, রাজশাাহী-১ (তানোর-গোদাগাড়ী) আসনে বাসদের প্রার্থী আলফাজ হোসেন, ওই আসনে বিএনপির প্রার্থী ব্যারিস্টার আমিনুল হকের পক্ষে ব্যারিস্টার মাহফুজুর মিলন, রাজশাহী-৪ (বাগমারা) আসনে বিএনরি প্রার্থী আবদুল গফুরের পক্ষে এএসএম আরিফ এবং রাজশাহী-৬ (চারঘাট-বাঘা) আসনে বিএনপির প্রার্থী আবু সাইদ চাঁদের পক্ষে আকবর হোসেন সরকার উপস্থিত ছিলেন।

জানা গেছে, নির্বাচনে অংশ নিতে রাজশাহীর সংসদীয় ছয়টি আসনে মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করেন ৬৮ প্রার্থী। এর মধ্যে মনোনয়নপত্র দাখিল করেন ৫৩ জন। এদের ৩০ জনের মনোনয়নপত্র গৃহিত হয়েছে। আর যাচাই-বাছাইয়ে বাদ পড়ে যান ২৩ প্রার্থী। বাদপড়া প্রার্থীরা আগামী ৫ ডিসেম্বর পর্যন্ত আপীলে ফিরে আসার সুযোগ পাবেন।

তফসিল অনযায়ী, আগামী ৯ ডিসেম্বর প্রার্থী প্রত্যাহারের শেষ দিন। ১০ ডিসেম্বর প্রতীক বরাদ্দে পর আনুষ্ঠানিক প্রচারে নামবেন প্রার্থীরাা। আগামী ৩০ ডিসেম্বর একযোগে ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে।

বিএ-২৩/০৩-১২ (নিজস্ব প্রতিবেদক)

পাবনায় আ’লীগের দুই গ্রুপের সংঘর্ষে নিহত ২, গুলিবিদ্ধ ৫

পাবনা সদর উপজেলার ভাঁড়ারা গ্রামে আওয়ামী লীগের দুই গ্রুপের সংঘর্ষে দুইজন নিহত ও ৫ জন গুলিবিদ্ধ হয়েছেন। সোমবার সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার দিকে উপজেলার ভাড়ারা ইউনিয়নের আওরঙ্গবাদ বাজার এলাকায় এই সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।স্থানীয় আবু সাইদ ও সুলতান খাঁ গ্রুপের মধ্যে এলাকায় আধিপত্য বিস্তার নিয়ে এই সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। নিহত দুইজন সুলতান গ্রুপের সমর্থক।

সংঘর্ষে নিহতরা হলেন, সুলতান খাঁর বাবা উপজেলার ভাউডাঙ্গা আওরঙ্গবাদ গ্রামের মৃত গয়ের খাঁর ছেলে লস্কর খাঁ (৬৫) এবং একই গ্রামের আহেদ আলী শেখের ছেলে মালেক শেখ (৪৫)।

পাবনা সদর সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ইবনে মিজান এই সংঘর্ষের তথ্য নিশ্চিত করে করেছেন।

স্থানীয়রা জানান, দীর্ঘদিন ধরে এলাকার আধিপত্য বিস্তার নিয়ে ইউপি চেয়ারম্যান আওয়ামী লীগ নেতা আবু সাইদ ও জাসদ থেকে আওয়ামী লীগে যোগ দেয়া সুলতান গ্রুপের মধ্যে বিরোধ চলে আসছে। মাঝে মধ্যেই তাদের মধ্যে হামলা সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।

সোমবার সন্ধ্যায় আওরঙ্গবাদ বাজার এলাকায় সুলতানের বাড়ির সামনে বাক বিতণ্ডার এক পর্যায়ে সাইদ গ্রুপের লোকজন সুলতানের লোকজনের ওপর হামলা চালায়। এতে দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ ও গোলাগুলি শুরু হয়। সংঘর্ষে গুলিবিদ্ধসহ অন্তত ১০ আহত হয়েছেন।

তাদের মধ্যে গুরুতর চারজনকে উদ্ধার করে পাবনা জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মালেক শেখ ও লস্কর খাঁ নামের দুইজনকে মৃত ঘোষণা করেন।

আহত দুই নারী পিয়া খাতুন (৩৫) ও হালিমা খাতুন (৫০) হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে। এছাড়াও আহত আরো কয়েকজন পুলিশি ঝামেলা এড়াতে অজ্ঞাত স্থানে চিকিৎসা নিচ্ছেন বলে স্থানীয় বিভিন্ন সুত্রে জানা গেছে।

ভাঁড়ারা ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আওয়ামী লীগ নেতা আবু সাঈদ বলেন, আসন্ন নির্বাচনে এলাকার পরিবেশ নষ্ট করার জন্য সুলতান গ্রুপ এ সব কর্মকাণ্ড করছে। সুলতান কখনো আওয়ামী লীগ করেনি সে জাসদের সমর্থক।

সাইদ দাবি করেন, তার পক্ষের কেউ এ হামলার সাথে জড়িত নয়।সুলতান খাঁ’র সাথে কথা বলতে একাধিকবার যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তিনি ফোন রিসিভ করেননি।

এদিকে, এলাকায় চরম উত্তেজনা বিরাজ করছে। অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ইবনে মিজান জানান, ঘটনাস্থলে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। কারা হামলার সাথে জড়িত তাদের খুঁজে বের করতে কাজ করছে পুলিশ।

বিএ-২২/০৩-১২ (উত্তরাঞ্চল ডেস্ক)