রাত ৯:২৩
মঙ্গলবার
১৯ শে আগস্ট ২০২৫ ইংরেজি
৪ ঠা ভাদ্র ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
২৪ শে সফর ১৪৪৭ হিজরী
spot_img

ঐক্যফ্রন্ট জিতলে প্রধানমন্ত্রী নিয়ে কোন জটিলতা হবে না

আসন্ন একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন উপলক্ষে আওয়ামী লীগের যে প্রস্তুতি তাতে নেতৃত্ব দিচ্ছেন দলীয় সভানেত্রী শেখ হাসিনা। নির্বাচনে জয়ী হলে তিনিই যে আবার প্রধানমন্ত্রী হবেন তাতে কোন সন্দেহ নেই দলটির নেতা-কর্মীদের মধ্যে।

কিন্তু এর বিপরীত অবস্থা বিরোধী দল বিএনপি’র ক্ষেত্রে। দলটির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া এখন দণ্ডিত হয়ে কারাগারে এবং তিনি নির্বাচনে অংশ নিতে পারছেন না।

বিএনপি আছে দুটি রাজনৈতিক জোটে। তার একটি হলো জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট এবং সেই জোটের শীর্ষ নেতা কামাল হোসেনও নির্বাচনে অংশ নিচ্ছেন না।

ফলে প্রশ্ন উঠছে বিএনপি কিংবা ঐক্যফ্রন্ট কাকে নেতা হিসেবে সামনে রেখে নির্বাচন করছে? তারা বিজয়ী হলে প্রধানমন্ত্রী হবেন কে?

বিষয়টি নিয়ে অবশ্য বিএনপি’র সাধারণ কর্মীদের সাথে কথা বলে দেখা গেল, তাদের মধ্যে কোন সংশয় নেই।

ঢাকার গুলশানে বিএনপি চেয়ারপারসনের রাজনৈতিক কার্যালয়ের সামনে চট্ট্রগাম থেকে আসা বেলায়েত হোসেন নামে এক কর্মী বলছিলেন, খালেদা জিয়া কারাগারে থাকলেও নেতৃত্ব নিয়ে দলের নির্বাচনী কাজে কোন সংকট নেই।

“ম্যাডাম কারাগারে এবং নির্বাচন থেকে তাকে দূরে রাখা হয়েছে। এটা আমাদের জন্য বড় একটা ক্ষতি। কিন্তু ম্যাডাম না থাকলেও তিনিই আমাদের মূল নেতা। কারাবরণের আগে তিনি যে নির্দেশনা দিয়ে গেছেন, সেভাবেই আমাদের কাজ চলছে।”

”আমাদের নেতাদের মধ্যে কোন ফাটল ধরে নাই। কেউ সরকারের ফাঁদে পা দেয় নাই। আমরা দেখতে পাচ্ছি, নেতারা একসঙ্গে মিলে দল চালাচ্ছেন।” – বলছিলেন বেলায়েত।

বিএনপি বলছে, খালেদা জিয়া না থাকলেও তার ইমেজকে সামনে রেখেই নির্বাচনের মাঠে থাকবে নেতা-কর্মীরা।

ঐক্যফ্রন্ট নেতা ও গণফোরামের নির্বাহী সভাপতি সুব্রত চৌধুরীও বলছেন, নির্বাচনে খালেদা জিয়ার কারাবরণের ইস্যুটিকে কাজে লাগিয়ে সাধারণ জনগনের সহানুভূতি আদায়ের কৌশল থাকবে তাদের।

“আমরা তো মনে করি খালেদা জিয়ার সঙ্গে অন্যায় করা হয়েছে। তাকে জামিনও দেয়া হচ্ছে না, নির্বাচন থেকেও দূরে রাখা হয়েছে। বিএনপি এবং আমরা এটা নিয়ে জনগনের কাছে যাবো। জনগনের মধ্যেও এটা নিয়ে ক্ষুব্ধ মনোভাব রয়েছে। আমরা সেটা কাজে লাগাবো।”

কিন্তু বিএনপি ও ঐক্যফ্রন্ট যদি নির্বাচনে জেতে – তাহলে কে হবেন প্রধানমন্ত্রী?

বিএনপি ও ঐক্যফ্রন্টের নেতাদের সঙ্গে আলাপ করে অবশ্য বোঝা যাচ্ছে এ বিষয়ে সুনির্দিষ্ট কোন সিদ্ধান্ত বা পরিকল্পনা এখনো ঠিক করা হয়নি জোটের পক্ষ থেকে।

যদিও এক্ষেত্রে বিএনপি’র স্থায়ী কমিটির সদস্য মওদুদ আহমেদ প্রচ্ছন্নভাবে খালেদা জিয়ার কথাই বলছেন।

“বর্তমান প্রধানমন্ত্রী ২০০৮ সালে প্যারোলে থাকা অবস্থায় প্রধানমন্ত্রীত্বের শপথ নিয়েছিলেন। নির্বাচনে জয়ী হওয়ার পর কোন কিছুই তার সামনে বাধা হয়ে দাঁড়ায়নি।”

“আমরা যদি নির্বাচনে জয়ী হতে পারি, তাহলে তখন বেগম খালেদা জিয়ার কী হবে সেটা নিয়ে কোন প্রশ্নই থাকবে না। কোন সংকট থাকবে না। সবকিছু ঠিক হয়ে যাবে।”

কিন্তু বিএনপি নির্বাচনে জয়ী হলেও মিসেস জিয়ার দণ্ডাদেশ কিংবা সংসদ সদস্য পদ না থাকায় তার সামনে যে আইনী প্রতিবন্ধকতা থাকবে সেটাকেও গুরুত্ব দিতে চাননা মওদুদ।

তার মতে, রাজনীতিই সব ঠিক করে দেবে। প্রয়োজনে সংবিধান সংশোধনের পথও খোলা আছে।

স্পষ্টতই বোঝা যাচ্ছে, নির্বাচনে জয়ী হলে খালেদা জিয়াকেই প্রধানমন্ত্রী বানানোর পথ খুঁজতে চায় বিএনপি। যদিও ঐক্যফ্রন্টের নেতা সুব্রত চৌধুরী বলছেন, সবকিছু ঠিক হবে নির্বাচনের পর।

চৌধুরী বলছিলেন, “কামাল হোসেন প্রধানমন্ত্রী হবেন নাকি খালেদা জিয়া নাকি অন্য কেউ সেটা নির্ধারণ করা হবে নির্বাচনে বিজয়ের পর। এটা নিয়ে কোন জটিলতা হবে না। আমাদের মধ্য থেকেই কেউ একজন হবেন। ”

“কিন্তু তার আগে আমাদের নির্বাচনে জিততে হবে। এখন সেখানেই মনযোগ দিতে হবে।”

বোঝা যাচ্ছে, ভবিষ্যত নেতৃত্ব নিয়ে ঐক্যফ্রটের দলগুলোর মধ্যে যে চিন্তা-ভাবনা, সেখানে বেশ পার্থক্য আছে।

রাজনৈতিক বিশ্লেষক রাশেদা রওনক খান মনে করেন, নির্বাচনের আগেই ভোটারদের এ বিষয়ে পরিস্কার একটা ধারণা দেয়া উচিত ঐক্যফ্রন্টের। নইলে তা প্রভাব ফেলতে পারে ভোটের মাঠে।

“মানুষ কিন্তু ভোট দেয় নেতা দেখে। কে প্রধানমন্ত্রী হবেন, সেটা বুঝতে চায় সবাই। ঐক্যফ্রন্টের মধ্যে এটা নিয়ে এখনো ধোঁয়াশা আছে।”

এদিকে ঐক্যফ্রন্টের বাইরে আরো যেসব দল নির্বাচনী দৌড়ে রয়েছে, শেষপর্যন্ত তারা কোনো জোটে থাকবে নাকি এককভাবে নির্বাচনে আসবে সেটাও এখনো পরিস্কার নয়।

আওয়ামী লীগ নেতৃত্বাধীন মহাজোটের সঙ্গে জোট বাধার কথা থাকলেও সাবেক রাষ্ট্রপতি হুসেইন মোহাম্মদ এরশাদের নেতৃত্বাধীন জাতীয় পার্টি এককভাবে দু’শো দশটি আসনে প্রার্থী মনোনয়ন দিয়েছে। মহাজোটের সঙ্গে আসন ভাগাভাগি নিয়েও এখনো কোন সিদ্ধান্ত হয়নি।

অন্যদিকে চরমোনাই পীরের নেতৃত্বাধীন ইসলামী আন্দোলন এককভাবে অংশ নিচ্ছে এবারের নির্বাচনে।

তবে এসব দল ও জোট অবশ্য একক নেতৃত্বেই পরিচালিত হচ্ছে।

এসএইচ-১৭/০৬/১২ (অনলাইন ডেস্ক, তথ্য সূত্র: বিবিসি)

ব্রাজিলের জেলখানার সুন্দরীরা! দেখলে চোখ ফেরানো মুশকিল

ব্রাজিলের জেলখানার

জেলের বাইরে পা রাখেননি বহু বছর ৷ কেউ খুন করেছেন, কেউ চুরি ৷ কেউ আবার স্মাগলিংয়ে যুক্ত থাকার জন্য শাস্তি পেয়েছেন ৷ তবে কিছুদিনের জন্য এ সব পরিচয়কে দূরে সরিয়েছেন ৷ এখন তাঁরা শুধুই সুন্দরী ! ডানাকাটা পরী ৷

ব্রাজিলের রিও-র সংশোধনাগারে ঘটল এক অদ্ভুত ঘটনা ৷ জেলে থাকা মহিলা অপরাধীদের নিয়ে শুরু হল সুন্দরী প্রতিযোগিতা ৷ আর সেখানেই দেখা মিল একসে বড়কর এক সুন্দরী মহিলা ৷

প্রতিযোগিতায় অংশ নিয়েছেন নানা বয়সের মহিলারা ৷ কেউ খুনের অপরাধে শাস্তি পেয়েছেন, কেউ চুরি ৷ তবে সুন্দর পোশাকের মাঝে এসব কলঙ্ক ঢেকে গিয়েছে খুব সহজেই ৷

কারও শরীরে ট্যাটু, কারও রঙিন চুল ৷ যেকোনও মডেলকে একহাত নিতে পারেন এই মহিলারা ৷

ব্রাজিলের এই অভিনব সুন্দরী প্রতিযোগিতা কিন্তু প্রত্যেক বছরই অনুষ্ঠিত হয় ৷ বেশ জনপ্রিয়ও বটে ৷ এই কঠিন শাস্তির মধ্যে মহিলাদের কাছে এই সুন্দরী প্রতিযোগিতা যেন এক টুকরো সুন্দর জীবন !

আরএম-০৭/০৬/১২ (অনলাইন ডেস্ক, তথ্যসূত্র: সংবাদপ্রতিদিন)

গোসল করার ভিডিও তুলে ছড়িয়ে দিলেন অভিজাত হোটেলের কর্মচারী

গোসল করার ভিডিও

নামজাদা বিলাসবহুল হোটেলর ঘরের গুপ্ত ক্যামেরায় নগ্ন ছবি ও ভিডিও তুলে ছড়িয়ে দেওয়া হল ৷ শিকাগোর বাসিন্দা ওই মহিলা ১০০ মিলিয়ন ডলার ক্ষতিপূরণ দাবি করেছেন নিউ ইয়র্কের ‘হিল্টন ওয়ার্ল্ডসাইড’-এর বিরুদ্ধে ৷

ওই মহিলার অভিযোগ, নিউ ইয়র্কে বেড়াতে গিয়ে অ্যালবানির ওই হোটেলে উঠেছিলেন তিনি ৷ হোটেলের বাথরুমে স্নান করার সময় তাঁর নগ্ন ছবি ও ভিডিও রেকর্ড করা হয় ৷ এরপর সেই ছবিগুলি মেল করে পাঠানো হয়েছিল তাঁকে ৷ পরে সে গুলি তাঁর অফিসের সহকর্মীদেরও পাঠানো হয় ৷

ওই ছবি ও ভিডিওগুলো পর্ন সাইটে ছড়িয়ে দেওয়া হয় ৷ সেই সাইটের লিঙ্কও ছড়িয়ে দেওয়া হয় ৷ পরে তাঁর কাছ থেকে মোটা অঙ্কের টাকা দাবি করা হয় ৷ সেই টাকা মিটিয়ে দিলে ওই লিঙ্ক থেকে তাঁর ছবি সরিয়ে দেওয়ার আশ্বাসও দেওয়া হয় ৷

তবে কে বা কারা এই ঘটনার সঙ্গে যুক্ত রয়েছেন সে সম্বন্ধে ওই মহিলা কিছু বলতে পারেননি ৷ তবে অভিযুক্ত হোটেলের কাছ থেকে ১৪ হাজার ডলার ক্ষতিপূরণ দাবি করেছেন তিনি ৷

আরএম-০৬/০৬/১২ (অনলাইন ডেস্ক, তথ্যসূত্র: সংবাদপ্রতিদিন)

আজব নিয়ম! এই বিশ্ববিদ্যালয়ে মেয়েদের সঙ্গে ছেলেদের কথা বলা অপরাধ

বিশ্ববিদ্যালয়ে মেয়েদের সঙ্গে

ভারতের ওড়িশার এই বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ুয়াদের উপর ফরমান জারি করা হয়েছে ৷বীর সুরেন্দ্র সাই ইউনিভার্সিটি অফ টেকনোলজি ছাত্রদের ফরমান জারি করা হয়েছে ৷ ছাত্ররা ছাত্রীদের সঙ্গে কোনও বাবেই কথা বলতে পারবেনা ৷

তবে বিশ্ববিদ্যালয়ের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে এই পড়ুয়াদের নিরাপত্তার কারণেই এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে ৷

এই ফতোয়া ১ ডিসেম্বর ২০১৮ সুরেন্দ্র সাই ইউনিভার্সিটি অফ টেকনোলজি রোহিনি হল অফ রেসিডেন্স সহ পাঁচটি ছা্ত্রাবাসে এই সিদ্ধান্ত জারি করা হয়েছে ৷

বিশ্ববিদ্যালয়ের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে এই নিয়ম ভাঙতে গিয়ে ধরা পড়লে সেই পড়ুয়াকে কড়া শাস্তির সম্মুখীন হতে হবে ৷

দেশের বিশ্ববিদ্যালয়ে এই ধরনের ঘটনা আজ নতুন নয় এর আগে সত্যভামা বিশ্ববিদ্যালয়েও একই নিয়ম প্রয়োগ করেছিল ৷ স্বপক্ষে যুক্তি দিয়ে বলেছিল বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ ছেলে-মেয়েরা কথা বললে জীবনে কুপ্রভাব পড়বে ৷ সেই কারণেই এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ ৷

আরএম-০৫/০৬/১২ (অনলাইন ডেস্ক, তথ্যসূত্র: সংবাদপ্রতিদিন)

‘নগ্ন হয়েই আসতে হবে আমার বিয়েতে’, ভিডিওতে এ কী বললেন রাখি

নগ্ন হয়েই আসতে হবে

‘আমার বিয়েতে সবাইকে নগ্ন অবস্থায় হাজির হতে হবে। পোশাক পরার অনুমতি নেই।’ OMG! এমন কথা শোনার পর মুখ থেকে এ শব্দ বেরিয়ে আসাই স্বাভাবিক। রাখি সাওয়ান্তও সেটাই চান। কীভাবে ফ্যানদের চমকে দিতে হয়, তাঁর চেয়ে বেশি আর কে-ই বা জানেন! আর তাই তো একটি ভিডিওতে এমন কথা বলেই সকলকে অবাক করলেন বলিউডের ড্রামা কুইন।

বলিউডে এখন বিয়ের মরশুম। সদ্য সাতপাকে বাঁধা পড়েছেন বি-টাউনের সবচেয়ে চর্চিত কাপল রণবীর সিং এবং দীপিকা পাড়ুকোন। সদ্য চারহাত এক হয়েছে নিক জোনাস ও প্রিয়াঙ্কা চোপড়াও। আর তারই মধ্যে নিজের বিয়ের কার্ড সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করে তাক লাগিয়ে দিয়েছিলেন রাখি।

পাত্র আবার তিনি, যাঁর সঙ্গে রাখির সম্পর্ক আদায়-কাঁচকলায়। ফলে রাখি নেহাতই মশকরা করতে এমন কার্ড বানিয়েছেন নাকি সত্যিই বিয়ের পিঁড়িতে বসতে চলেছেন, তা নিয়ে চলছে বিস্তর জল্পনা। যা তারিয়ে তারিয়ে উপভোগ করছেন বি-টাউনের আইটেম গার্ল। সেই আলোচনার আগুনে আরও খানিকটা ঘি ঢাললেন তিনি নিজেই।

ইনস্টাগ্রামে নিজের বিয়ের কার্ডের ছবি পোস্ট করে রাখি জানিয়েছিলেন, দীপক কালালের সঙ্গে নতুন জীবন শুরু করতে চলেছেন তিনি। ছোটপর্দার জনপ্রিয় রিয়ালিটি শো ‘ইন্ডিয়াস গট ট্যালেন্ট’-এ তাঁকে বিয়ের প্রস্তাব দিয়েছিলেন দীপক। তাতেই রাজি হয়ে যান মডেল-অভিনেত্রী।

অথচ নেটিজেনরা ভালই জানেন, রাখি ও দীপক একে অপরের চোখের বালি। তবে রাখি কিন্তু এখনও নিজের মন্তব্যে অনড়। তিনি জানিয়ে দিয়েছেন, ৩১ ডিসেম্বরই দীপকের সঙ্গে বিয়ে করছেন তিনি। তাও আবার মার্কিন মুলুকে। এতদূর পর্যন্ত বিষয়টি তাও বিশ্বাসযোগ্য হলে, এরপর রাখি যা বললেন তাতেই চোখ কপালে ওঠার জোগাড়।

একটি ভিডিওতে তিনি প্রিয়াঙ্কা ও নিকের সঙ্গে নিজের বিয়ের তুলনা করে বসলেন। সোজা-সাপটা বলে দিলেন, পিগি চপসের বেটারহাফের থেকেও ছোট তাঁর হবু স্বামী দীপক।

রাখি বলছেন, “প্রিয়াঙ্কা, তুমি বিদেশে থেকে ভারতে বিয়ে করেছ আর আমি ভারতে থেকে বিদেশে বিয়ে করব। আমার বিয়েতে শাখরুখ, সলমন, আমির, সব্যসাচীর মতো সব বড় বড় সেলিব্রিটিরা আসবে। তবে শর্ত একটাই। আমার বিয়েতে সবাইকে নগ্ন অবস্থায় হাজির হতে হবে। পোশাক পরার অনুমতি নেই।”

আর মজার বিষয় হল নিজেও নগ্ন অবস্থায় এই ভিডিও বার্তা দিয়েছেন রাখি। সত্যি! এমনটা নিঃসন্দেহে রাখির পক্ষেই সম্ভব।

https://youtu.be/VS7Cy7YTNhA

আরএম-০৩/০৬/১২ (বিনোদন ডেস্ক)

কুয়েতে জুমার নামাজে বাংলা খুতবা

কুয়েতে বাঙালি অধ্যুষিত এলাকায় একাধিক মসজিদে জুমার নামাজ ও দুই ঈদের নামাজে বাংলা খুতবা পাঠ করা হয়।

তবে এবার কুয়েতের রুমোতিয়া আরবি এলাকায় অবস্থিত গাতা-৪ আবদুল্লাহ ইবনে আমর ইবনুল আস নতুন আরেকটি মসজিদে বাংলা খুতবা পাঠ করার অনুমতি দিয়েছে কুয়েতের ধর্ম মন্ত্রণালয়।

৭ ডিসেম্বর শুক্রবার সেখানে জুমার মূল আরবি খুতবার আগে বাংলাতেও তা ভাষান্তর করে পাঠ করা হবে।

বাংলাদেশ কোরআন প্রশিক্ষণকেন্দ্র সালমিয়া অঞ্চলের রুমোতিয়া শাখার সভাপতি মোহাম্মদ ফারুক বলেন, অন্যান্য মসজিদ বাঙালি অধ্যুষিত এলাকায় অবস্থিত রুমোতিয়া একটি আরবি এলাকা এখানে জুমার নামাজে বাংলাদেশিদের জন্য বাংলা খুতবা পাঠ করা, এটি অবশ্যই সৌভাগ্য ও শুভ সংবাদ। এতে বাংলাদেশি প্রবাসী মুসল্লিদের মধ্যে নিজেদের বন্ধন ও একতা দৃঢ় হবে।

জেলিব আল সুয়েক হাসাবিয়ায় বড় মসজিদে জুমা ও দুই ঈদের নামাজে বাংলা খুতবা পাঠ করা হয়। বাংলাদেশিদের সবচেয়ে বড় জামাত অনুষ্ঠিত হয়।

এসএইচ-১৬/০৬/১২ (প্রবাস ডেস্ক)

আপিল করেও বাদ পড়লেন যারা

আসন্ন একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন উপলক্ষে প্রার্থিতার পক্ষে-বিপক্ষে করা আপিলের ওপর শুনানি চলছে। বৃহস্পতিবার সকাল ১০টায় নির্বাচন ভবনে এ শুনানি শুরু হয়। এদিন অনেকেই প্রার্থিতা ফিরে পেলেও টেকেনি অনেকের আপিল।

তবে ইসির শুনানি শেষে যাদের নাম বাদ পড়বে তারা চাইলে উচ্চ আদালতে যেতে পারবেন।

এর মধ্যে ৫৬ জন বৈধ, ৪০ জন বাতিল ও দুইজনের আবেদন স্থগিত রেখেছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। এ ছাড়া একজন প্রার্থীর বিষয়ে দুটি আপিল আবেদন করা হলেও অনুপস্থিত থাকায় শুনানি হয়নি।

প্রথম দিন দুপুরের বিরতির আগ পর্যন্ত আপিল করেও প্রার্থিতা ফিরে পাননি যারা তারা হলেন-চাপাইনবাবগঞ্জ-১ নবাব মো. শামসুল হুদা, খাগড়াছড়ির আব্দুল ওয়াদুদ ভূইয়া, ঝিনাইদহ-১ আবদুল ওহাব, সাতক্ষীরা-২ আফসার আলি, মাদারীপুর-৩ মো. আবদুল খালেক, দিনাজপুর-২ মোকারম হোসেন, দিনাজপুর-৩ সৈয়দ জাহাঙ্গীর আলম, দিনাজপুর-১ মো. পারভেজ হোসেন, ঠাকুরগাঁও-৩ এস এম খলিলুর রহমান, ফেনী-১ মিজানুর রহমান, কিশোরগঞ্জ-৩ ড. মিজানুল হক, ময়মনসিংহ-৪ আবু সাইদ মহিউদ্দিন, নেত্রকোনা-১ মো. নজরুল ইসলাম, পঞ্চগড়-১ মো. তৌহিদুল ইসলাম, ময়মনসিংহ-২ মো. এমদাদুল হক, খুলনা-২ এস এম এরশাদুজ্জামান, ঢাকা-১ মো. আইয়ুব খান, বগুড়া-৩ মো. আব্দুল মুহিত, বগুড়া-৬ এ কে এম মাহবুবুর রহমান, রাঙামাটির অমর কুমার দে, বগুড়া-৪ আশরাফুল হোসেন আলম (হিরো আলম), ঢাকা-১৪ সাইফুদ্দিন আহমেদ, সাতক্ষীরা-১ এস এম মুজিবর রহমান, ব্রাক্ষ্মবাড়িয়া-৩ মো. বশির উল্লাহ, নওগাঁ-৪ মো. আফজাল হোসেন, মৌলভিবাজার-২ মহিবুল কাদির চৌধুরী, ফেনী-৩ হাসান আহমদ, ময়মনসিংহ-১০ মো. হাবিবুল্লাহ, জামালপুর-৪ মোহা. মামুনুর রশিদ, বগুড়া-২ আব্দুল কাশেম, নীলফামারী-৪ মো. আমজাদ হোসেন, নীলফামারী-৩ মো. ফাহমিদ ফয়সাল চৌধুরী, ব্রাক্ষ্মবাড়িয়া-২ আখতার হোসেন, লক্ষ্মীপুর-২ আবুল ফয়েজ ভূইয়া, কুমিল্লা-১০ আবুল কালাম আজাদ, কুমিল্লা-২ মো. সারওয়ার হোসেন, কুমিল্লা-৪ মাহবুবুল আলম, নোয়াখালী-৩ এইচ আর এম সাইফুল ইসলাম, ফেনী-১ মো. নূর আহমদ মজুমদার।

দুপুরের পর আরো অবৈধ হয়েছেন ফেনী-১ নূর মো. মজুমদার, গাইবান্ধা-২ মকদুবর রহমান, লালমনিরহাট-১ আবু হেনা মো. এরশাদ হোসেন এবং গাইবান্ধা-৩ থেকে মো. মনজুরুল হক।

এ ছাড়াও স্থগিত রয়েছে ঝিনাইদহ-৩ মো. কামরুজ্জামান স্বাধীন, চট্টগ্রাম-৫ আসনের মির মোহাম্মদ নাছির এবং অনুপস্থিত ছিলেন, নেত্রকোনা-১ আসনের শাহ কুতুব উদ্দিন তালুকদার।

গত তিন দিনে নির্বাচন কমিশনে (ইসি) মোট ৫৪৩টি আপিল জমা পড়ে। এর মধ্যে প্রথম দিন ৩ ডিসেম্বর ৮৪, দ্বিতীয় দিন ৪ ডিসেম্বর ২৩৭ এবং শেষ দিন গতকাল বুধবার ২২২টি আপিল জমা পড়ে।

শুনানিতে প্রধান নির্বাচন কমিশনারসহ (সিইসি) অন্যান্য কমিশনার, ইসির সচিব ও অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেটরা উপস্থিত আছেন।

এ উপলক্ষে নির্বাচন ভবনের ১১ তলায় আগেই ট্রায়াল রুম তৈরি করেছে ইসি।

ইসি সূত্র জানায়, বৃহস্পতিবার প্রথম দিন ১ থেকে ১৬০, দ্বিতীয় দিন শুক্রবার ১৬১ থেকে ৩১০ এবং তৃতীয় দিন শনিবার ৩১১ থেকে ৫৪৩ পর্যন্ত শুনানি অনুষ্ঠিত হবে।

একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অংশ নিতে মোট ৩ হাজার ৬৫টি মনোনয়নপত্র জমা পড়েছিল।

গত ২ ডিসেম্বর যাচাই-বাছাইয়ের পর নানা কারণে ৭৮৬টি বাতিল ঘোষণা করেন রিটার্নিং কর্মকর্তারা। এদের মধ্যে অনেকেই প্রার্থিতা ফিরে পেতে নির্বাচন কমিশনে আপিল আবেদন করেন।

উল্লেখ্য, আগামী ৯ ডিসেম্বর মনোনয়ন প্রত্যাহারের শেষ দিন এবং ১০ ডিসেম্বর প্রতীক বরাদ্দ দেয়া হবে। আর ভোট গ্রহণ ৩০ ডিসেম্বর অনুষ্ঠিত হবে।

এসএইচ-১৫/০৬/১২ (ন্যাশনাল ডেস্ক)

এরশাদ পতন আন্দোলনে যা ঘটেছিল

১৯৯০ সালের এই দিনে, ৬ই ডিসেম্বর ক্ষমতা ছাড়তে বাধ্য হয়েছিলেন সাবেক সামরিক শাসক হুসেইন মুহাম্মদ এরশাদ। দিনটিকে আওয়ামী লীগ ‘গণতন্ত্র মুক্তি দিবস’, বিএনপি ‘গণতন্ত্র দিবস’ এবং এরশাদের জাতীয় পার্টি ‘সংবিধান সংরক্ষণ দিবস’ হিসেবে পালন করে থাকে। কোনো কোনো রাজনৈতিক দলগুলো এই দিনকে ‘স্বৈরাচার পতন দিবস’ হিসেবেও পালন করে থাকে।

গণআন্দোলনের মুখে ক্ষমতা ছাড়তে হলেও প্রায় তিনদশক ধরে রাজনীতিতে কিভাবে টিকে রয়েছেন জেনারেল এরশাদ?

১৯৯০ সালের ডিসেম্বর মাসের এক তারিখে ঢাকা সেনানিবাসে এক জরুরি বৈঠকে বসেন ঊর্ধ্বতন সেনা কর্মকর্তারা। সে বৈঠকের উদ্দেশ্য ছিল প্রেসিডেন্ট এইচএম এরশাদ যেভাবে রাষ্ট্র পরিচালনা করছেন, সে প্রেক্ষাপটে সেনাবাহিনীর ভূমিকা কী হওয়া উচিত সে বিষয়ে আলোচনা করা।

জেনারেল এরশাদ বিরোধী আন্দোলন তখন তুঙ্গে। এর কয়েকদিন আগেই ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের টিএসসি এলাকায় চিকিৎসক নেতা ডা: শামসুল আলম মিলনকে গুলি করে হত্যা করা হয়। সেনানিবাসের ভেতরে ঊর্ধ্বতন সেনা কর্মকর্তারা সিদ্ধান্ত নিলেন যে দেশের চলমান সংকট একটি রাজনৈতিক বিষয় এবং এ সঙ্কট সমাধানের জন্য রাষ্ট্রপতিকে রাজনৈতিক উদ্যোগ নিতে হবে।

ঊর্ধ্বতন সেনা কর্মকর্তারা আরো সিদ্ধান্ত নিলেন যে চলমান রাজনৈতিক সংকটে সেনাবাহিনীর করণীয় কিছু নেই। এমন অবস্থায় প্রেসিডেন্ট এরশাদ সেনা সদরকে প্রস্তাব দিয়েছিলেন যে দেশে সামরিক আইন জারী করা হবে।

এরপর ডিসেম্বরের তিন তারিখে তখনকার সেনা প্রধান লেফটেন্যান্ট জেনারেল নূর উদ্দিন প্রেসিডেন্ট এরশাদের সাথে দেখা করতে যান। সেনা কর্মকর্তারা চেয়েছিলেন যে সেনাবাহিনীর প্রধান লেফটেন্যান্ট জেনারেল নূর উদ্দিন যেন প্রেসিডেন্ট এরশাদকে পদত্যাগের জন্য সরাসরি বলেন। কিন্তু সেনাপ্রধান প্রেসিডেন্ট এরশাদকে সরাসরি পদত্যাগের কথা না বললেও তিনি জানিয়ে দেন যে দেশের উদ্ভূত পরিস্থিতিতে সেনাবাহিনীর অফিসাররা কোনও দায়িত্ব নিতে রাজী হচ্ছে না।

তখন ঢাকা সেনানিবাসে ব্রিগেডিয়ার পদে কর্মরত ছিলেন আমিন আহমেদ চৌধুরী, যিনি পরবর্তীতে মেজর জেনারেল হয়েছিলেন। তিনি ২০১৩ সালে পরলোকগমন করেন।

২০১০ সালে বিবিসি বাংলাকে দেওয়া এক সাক্ষাতকারে জেনারেল চৌধুরী বলেন, উনি (সেনাপ্রধান) প্রেসিডেন্টকে বলেছিলেন আপনার উচিত হবে বিষয়টির দ্রুত রাজনৈতিক সমাধান করা। অথবা বিকল্প কোনও ব্যবস্থা নেয়া।

জেনারেল এরশাদের পরিকল্পনা অনুযায়ী সামরিক শাসন জারীর বিষয়ে সেনাবাহিনী একমত নয় বলে প্রেসিডেন্টকে পরিষ্কার জানিয়েছিলেন তখনকার সেনাপ্রধান। প্রেসিডেন্টের সাথে সেনাপ্রধানের বৈঠক নিয়ে তখন দেশজুড়ে নানা গুঞ্জন। সেসব বৈঠক নিয়ে নানা অনুমান তৈরি হয়েছিল সে সময়।

একদিকে ক্যান্টনম্যান্টের ভেতরে নানা তৎপরতা অন্যদিকে রাস্তায় এরশাদ বিরোধী বিক্ষোভ। সব মিলিয়ে এক উত্তেজনাকর পরিস্থিতির তৈরি হয়েছিল। ডিসেম্বর মাসের চার তারিখে সেনাবাহিনীর চীফ অব জেনারেল স্টাফ মেজর জেনারেল আব্দুস সালাম প্রেসিডেন্ট এরশাদকে সরাসরি বলেন যে তার পদত্যাগ করা উচিত।

আমিন আহমেদ চৌধুরী বলেন, পদত্যাগের কথাটা জেনারেল সালামই প্রথম সরাসরি বলেন। অবিলম্বে পদত্যাগ করতে হবে। আর্মি অধৈর্য হয়ে যাচ্ছে।

জরুরী অবস্থা এবং কারফিউর মতো কঠোর পদক্ষেপের মাধ্যমেওে যখন গণআন্দোলন দমানো যাচ্ছিল না তখন সেনাবাহিনীর দিক থেকে নেতিবাচক মনোভাব দেখলেন প্রেসিডেন্ট এরশাদ। এমন অবস্থায় ডিসেম্বরের চার তারিখ রাতেই পদত্যাগের ঘোষণা দেন জেনারেল এরশাদ।

তখন এরশাদ সরকারের ভাইস-প্রেসিডেন্ট ছিলেন মওদুদ আহমেদ যিনি বর্তমানে বিএনপির একজন সিনিয়র নেতা। তিনি জানালেন সেনাবাহিনীর মনোভাব বোঝার পরেই পদত্যাগের সিদ্ধান্ত নিতে দেরি করেননি এরশাদ।

সামরিক শাসক জেনারেল এরশাদ ক্ষমতায় টিকে থাকার জন্য নানা ধরনের কৌশল অবলম্বন করেছিলেন। বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলোর আন্দোলন মোকাবেলার জন্য তিনি সাধারণ নির্বাচনের ঘোষণাও দিয়েছিলেন। কিন্তু বিরোধী রাজনৈতিক জোটগুলো এরশাদের সে প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করে।

ডিসেম্বর মাসের চার তারিখে তখনকার ভাইস-প্রেসিডেন্ট মওদুদ আহমেদকে জাতির উদ্দেশ্যে ভাষণ দেবার জন্য বাংলাদেশে টেলিভিশনে পাঠিয়েছিলেন এরশাদ। উদ্দেশ্য ছিল, প্রেসিডেন্টের পরিকল্পিত নির্বাচন সম্পর্কে বিস্তারিত ব্যাখ্যা তুলে ধরা।

বিরোধী দলগুলো এ নির্বাচনের প্রস্তাব আগেই বর্জন করার পরেও এরশাদ চেয়েছিলেন ভাইস-প্রেসিডেন্টের মাধ্যমে নির্বাচন সম্পর্কে বিস্তারিত ব্যাখ্যা তুলে ধরার মাধ্যমে জনগণকে আশ্বস্ত করা। এরশাদের নির্দেশ মতো ভাইস-প্রেসিডেন্ট মওদুদ আহমদ সন্ধ্যার সময় বাংলাদেশ টেলিভিশনে গিয়েছিলেন ভাষণ রেকর্ড করার জন্য। সে ভাষণ তিনি রেকর্ডও করেছিলেন।

সে ভাষণ রেকর্ড করার পর মওদুদ আহমদ যখন বাসায় ফিরে আসেন তখন তিনি জানতে পারেন প্রেসিডেন্ট পদত্যাগের সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। এরপর কয়েক ঘণ্টা পর মধ্যরাতে মওদুদ আহমেদকে আবারও বাংলাদেশ টেলিভিশনে যেতে হয়েছিল প্রেসিডেন্ট এরশাদের পদত্যাগের ঘোষণা দেবার জন্য।

১৯৯০ সালের ৪ঠা ডিসেম্বর রাতের স্মৃতিচারণ করতে গিয়ে মওদুদ আহমদ বলেন, প্রথম ভাষণ রেকর্ড করে আমি যখন বাসায় ফিরে আসলাম, তখন আমার স্ত্রী বললেন, প্রেসিডেন্ট সাহেব ফোন করেছিলেন। তখন আমি ওনাকে ফোন করলাম। উনি তখন বললেন, আমি এখনই পদত্যাগের সিদ্ধান্ত নিয়েছি। তখন আমি ওনার বাসায় গেলাম। তখন রাতে নিউজের পরে ওনার পদত্যাগের ঘোষণা দেয়া হলো।

এরশাদ বিরোধী আন্দোলনে বিভিন্ন সময় ছন্দপতন হয়েছিল। ১৯৮৭ সালে একটি মিছিলে পুলিশের গুলিতে নূর হোসেন নিহত হবার ঘটনা আন্দোলনে গতি এনেছিল। আওয়ামী লীগ এবং বিএনপির নেতৃত্বে রাজনৈতিক জোট একই সাথে আন্দোলন কর্মসূচি নিয়ে এগিয়েছে। জামায়াতে ইসলামীও মাঠে ছিল।

১৯৯০ সালের অক্টোবর মাস থেকে ছাত্র সংগঠনগুলো ‘সর্বদলীয় ছাত্র ঐক্যের’ ব্যানারে আন্দোলনে অগ্রণী ভূমিকা নিয়েছিল। সে সময় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ বা ডাকসুর সাধারণ সম্পাদক ছিলেন বিএনপি সমর্থিত ছাত্র সংগঠন ছাত্রদলের নেতা খায়রুল কবির খোকন।

তিনি বলেন, ২৭শে নভেম্বর চিকিৎসক নেতা ডা. শামসুল আলম মিলনকে হত্যার পর আন্দোলনের মোড় ঘুরে গিয়েছিল। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসকে দখল করার জন্য বহিরাগত মাস্তানরা পরিকল্পিতভাবে ডা: মিলনকে হত্যা করা হয়েছিল। এটা ছিল আন্দোলনের টার্নিং পয়েন্ট।

ডা: মিলন যখন রিক্সায় করে ঢাকায় বিশ্ববিদ্যালয় এলাকা দিয়ে যাচ্ছিলেন তখন তাকে গুলি করে হত্যা করা হয়। তার সাথে একই রিক্সায় ছিলেন বাংলাদেশ মেডিকেল এসোসিয়েশনের তখনকার মহাসচিব ডা: মোস্তফা জালাল মহিউদ্দিন।

অভিযোগ রয়েছে জেনারেল এরশাদ সমর্থিত ছাত্র সংগঠনের ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় দখল চেষ্টার অংশ হিসেবে ডা: মিলনকে হত্যা করা হয়েছে।

ঘটনার বর্ণনা দিতে গিয়ে ডা: মোস্তফা জালাল মহিউদ্দিন বলেন, আমার রিক্সাটা যখন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের টিএসসি এলাকায় উপস্থিত হয়েছে তখন মিলন আরেকটি রিক্সায় করে আমাকে ক্রস করে সামনে চলে যাচ্ছিল। তখন আমি মিলনকে বললাম তুমি ঐ রিক্সা ছেড়ে আমার রিক্সায় আসো। এরপর মিলন আমার রিক্সায় এসে ডানদিকে বসলো। রিকশাওয়ালা ঠিকমতো একটা প্যাডেলও দিতে পারে নাই। মনে হলো সোহরাওয়ার্দি উদ্যানের দিকে থেকে গুলি আসলো। গুলিটা মিলনের বুকের পাশে লেগেছে। তখন মিলন বললো, জালাল ভাই কী হইছে দেখেন। একথা বলার সাথে সাথে সে আমার কোলে ঢলে পড়লো।

ডা: মিলনকে হত্যার পর জেনারেল এরশাদ বিরোধী আন্দোলন আরো তুঙ্গে উঠে। তখন জনগণের ক্ষোভের বিষয়টি বিবেচনায় নিতে শুরু করেছিল সেনাবাহিনী। একইসাথে জেনারেল এরশাদের উপর থেকে সমর্থন প্রত্যাহারের প্রক্রিয়াও শুরু করেছিল সেনাবাহিনী।

ডা: মিলন হত্যাকাণ্ডের পর আন্দোলন সামাল দিতে সেনাবাহিনী মোতায়েন করতে চেয়েছিলেন প্রেসিডেন্ট এরশাদ। সেনা মোতায়েনের জন্য জেনারেল এরশাদ যথেষ্ট চাপ প্রয়োগ করেছিল।

প্রয়াত মেজর জেনারেল আমিন আহমেদ চৌধুরীর বর্ণনা মতে, সেনাবাহিনী সৈনিকদের পাঠিয়ে রাস্তায় মোতায়েন করার পরিবর্তে রমনা পার্কে সীমাবদ্ধ করে রাখে। কমান্ডিং অফিসাররা সরকারের ‘অপকর্মের’ দায়িত্ব নিতে রাজী ছিলেন না।

জেনারেল এরশাদ ক্ষমতা ছাড়লে কী হবে সে বিষয়টি নিয়ে আন্দোলনকারী দলগুলো নিজেদের মধ্যে ঐকমত্যের ভিত্তিতে একটি ফর্মুলা ঠিক করে রেখেছিল। সে ফর্মুলা মতে সাধারণ নির্বাচন পরিচালনার জন্য তিনমাস মেয়াদী একটি অন্তর্বর্তীকালীন সরকার গঠনের কথা ছিল।

এসএইচ-১৪/০৬/১২ (অনলাইন ডেস্ক, তথ্য সূত্র : বিবিসি) 

স্ত্রীকে গলা কেটে হত্যা!

টাঙ্গাইলের মধুপুরে স্ত্রীকে গলা কেটে হত্যা করা হয়েছে। ওই গৃহবধূর নাম নার্গিস আক্তার (৩৫)। বুধবার রাতে উপজেলার বোয়ালি গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। পুলিশ এ ঘটনায় জড়িত স্বামী ও সহযোগীকে গ্রেপ্তার করেছে।

তারা হলেন, স্বামী হারুনুর রশিদ (৪০) এবং তার সহযোগী সোহেল রানা (২২)।

প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে তারা পুলিশের কাছে হত্যাকাণ্ডের সাথে জড়িত থাকার কথা স্বীকার করেছেন। পরে তাদের দেওয়া তথ্যমতে বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে ৯টার দিকে নদী থেকে হত্যাকাণ্ডে ব্যবহৃত চাকু এবং রক্তমাখা কাপড়-চোপড় উদ্ধার করা হয়।

মধুপুর সার্কেলের সিনিয়র সহকারি পুলিশ সপার কামরান হোসেন বলেন, তাদের মধ্যে দাম্পত্য কলহ ছিল। এ নিয়ে একাধিকবার সালিশ বৈঠক ও মীমাংসা হয়েছে। এই কলহের জের ধরে সে হত্যাকাণ্ড ঘটিয়েছে।

তিনি আরো বলেন, এ ঘটনায় নিহতের ভাই বাদী হয়ে হত্যা মামলা দায়ের করেছেন। গ্রেপ্তারদের টাঙ্গাইল আদালতে পাঠানোর প্রক্রিয়া চলছে।

এসএইচ-১৩/০৬/১২ (আঞ্চলিক ডেস্ক)

পাওনা টাকা চাওয়ায় খুন!

যশোরের শার্শায় পাওনা টাকা চাওয়ায় পাওনাদারকে হত্যা করার অভিযোগ পাওয়া গেছে। ঘটনাটি ঘটেছে শার্শা উপজেলার কাজীরবেড় গ্রামে। বৃহস্পতিবার ভোরে কাজীরবেড় গ্রামের একটি কলাবাগান থেকে পাওনাদার জাহিদুল ইসলাম জাহিদ (৩২) নামে এক সিএন্ডএফ কর্মচারীর বস্তাবন্দি লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ।

সিএন্ডএফ কর্মচারী জাহিদুল ইসলাম বেনাপোলের নারায়ণপুর গ্রামের আবদুর জব্বার তরফদারের ছেলে এবং সেজুতি এন্টারপ্রাইজের ম্যানেজার।

এলাকাবাসী জানিয়েছে, জাহিদুল ইসলাম বিদেশ যাওয়ার জন্য চার লাখ টাকা দেন এলাকার ঝড়ু দালালের স্ত্রী বিউটি খাতুনকে। পরে বিদেশ না পাঠিয়ে টাকা নিয়ে টালবাহানা শুরু করেন বিউটি। এ ঘটনায় সর্বশেষ বুধবার রাতে টাকা দেওয়ার কথা বলে বাসায় ডেকে নেন জাহিদকে। পূর্বপরিকল্পিতভাবে বিউটি যশোর থেকে চারজন ভাড়াটে খুনি আনেন।

চিৎকার-চেচামেচি যাতে বাইরে থেকে না শোনা যায়, এ জন্য সাউন্ডবক্সে গান ছেড়ে দেন। পরে জাহিদকে বাথরুমে ছুরি দিয়ে কুপিয়ে হত্যা করে লাশ বস্তাবন্দি করে পাশের একটি কলাবাগানে ফেলে দেন। জাহিদের বাড়ির লোকজন খোঁজাখুঁজির একপর্যায়ে বিউটির বাসায় এসে জানতে চাইলে লাইট অফ করে দিয়ে বলেন বাড়িতে সে আসেনি।

ঘটনাটি সন্দেহ হলে শার্শা থানা পুলিশকে অবহিত করা হয়। থানা পুলিশ এসে জিজ্ঞাসাবাদে জানতে পারে তাকে খুন করা হয়েছে। পুলিশ লাশটি উদ্ধার করেছে। এ খুনের ঘটনায় শার্শা থানা পুলিশ জড়িত থাকার অপরাধে পাঁচজনকে আটক করেছে।

আটককৃতরা হলেন, বিউটি খাতুন (৪৭), সুমী খাতুন (২৯), রহিমা বেগম (৬৫), ফেরদৌসী (৩৭) ও আল-আমিন (১৮)। ঘটনাস্থল থেকে পুলিশ খুনের আলামত উদ্ধার করেছে।

শার্শা থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা এম মশিউর রহমান বলেন, প্রাথমিকভাবে জানতে পেরেছি, তারা ভাড়াটে কিলার দ্বারা সিএন্ডএফ কর্মচারী জাহিদুল ইসলামকে কুপিয়ে হত্যা করেছে। এ ব্যাপারে পাঁচজনকে আটক করা হয়েছে। অন্যদের আটকের চেষ্টা অব্যাহত রয়েছে। লাশ ময়নাতদন্তের জন্য যশোর ২৫০ শয্যা হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।

এসএইচ-১২/০৬/১২ (আঞ্চলিক ডেস্ক)