রাত ১:৫১
মঙ্গলবার
৫ ই আগস্ট ২০২৫ ইংরেজি
২০ শে শ্রাবণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
১০ ই সফর ১৪৪৭ হিজরী
spot_img

বদহজম দূর করবে ঘরোয়া জিরা পানি

বদহজম

বদহজম একটি অত্যন্ত বিরক্তিকর পরিস্থিতি। এই অবস্থায় খাওয়া তো দূরের কথা, বাড়ি থেকে বেরিয়ে কোনও কাজ করতেও ইচ্ছে করে না। এই ধরনের পরিস্থিতিতে আয়ুর্বেদ একটি অসাধারণ উপায়ের কথা জানাচ্ছে।

বেশ কিছু মশলা রয়েছে, যেগুলি খেলে আপনার শরীরের এ ধরনের সমস্যা আর কোনওদিন হতে পারে না। এর ফলে স্বাস্থ্যকর হজম পদ্ধতি কার্যকর হয় এবং পেটের সমস্যা থেকে মুক্তি পাওয়া যায়।

এমনই একটি অসামান্য গুণ সম্পন্ন মশলা হল জিরা। কিউমিন বা জিরা বিশ্বের সবচেয়ে পুরনো মশলাগুলির মধ্যে একটি। প্রায় ৫ হাজার বছর আগেও জিরার ব্যবহার ছিল। এই জিরা দিয়ে তৈরি এক গ্লাস পানিই কিন্তু দারুণ টোটকা বদহজমের জন্য। জিরায় থাকা থাইমল শরীরের পাচনের এনজাইমগুলিকে জাগিয়ে তোলে।

এই জিরায় থাকে প্রচুর পরিমাণে অ্যান্টি অক্সিডেন্টও। এটি প্রদাহ কমাতে সাহায্য করে, হজমক্ষমতা বাড়িয়ে তোলে, বমিভাব কমায় এবং কোষ্ঠকাঠিন্য রোধ করে। ভালো হজম মানেই কিন্তু ওজন কম হওয়া। জিরা ওয়াটার খেলে তাই ওজনও কমে।

কীভাবে তৈরি করবেন এই জিরা ওয়াটার?

এক কাপ পানিতে জিরার কয়েকটি দানা ফুটিয়ে ঠান্ডা হতে দিন। এরপর প্রতিদিন সকালে খালি পেটে এটি খেয়ে দেখুন।

আরএম-১৭/০১/১২ (স্বাস্থ্য ডেস্ক)

নিলামে উঠেছে চাঁদের কণা

১৯৭০ সালে রাশিয়ার ‘লুনা ১৬’ অভিযানে পৃথিবীতে নিয়ে আসা হয়েছিল উপগ্রহের ওই তিনটি টুকরো। পরবর্তী কালে রুশ সরকার সেগুলো উপহার দেয় সোভিয়েত স্পেস প্রোগ্রামের প্রয়াত চিফ ডিজাইনার এবং ডিরেক্টর সের্গেই পাভলোভিচ কোরোলেভের স্ত্রী নিনা ইভানোভনা কোরোলেভাকে।

১৯৯৩ সালে সেগুলো নিলামে ৪ লাখ ৪২ হাজার ৫০০ ডলারে কিনেছিলেন কোনও এক অজ্ঞাত ব্যক্তি। বৃহস্পতিবার নিউইয়র্কে ফের সেই চাঁদের টুকরোগুলো নিলামে তুলল সদবি’জ। এবার কিনেছেন এক মার্কিন সংগ্রাহক। তবে নিরাপত্তার স্বার্থে এ ক্ষেত্রেও নাম গোপন রাখা হয়েছে।

পৃথিবী থেকে লাখ মাইল দূরের বাসিন্দা চাঁদ। তার ভর লাখ কোটি টন। তবু পৃথিবীতে খুব সামান্যই ‘মুনরক’ বা চাঁদের টুকরো রয়েছে। ১৯৬৯ সাল থেকে ১৯৭২ সালের মধ্যে আমেরিকার ছ’বারের অ্যাপোলো অভিযানে মোট ৩৮২ কেজি চাঁদের মাটি নিয়ে আসা হয়েছিল।

তৎকালীন সোভিয়েত তাদের তিনটি ‘লুনা ল্যান্ডারস’-এ নিয়ে এসেছিল ৩০১ গ্রাম। কিন্তু সমস্যা হচ্ছে, আমেরিকা ও রাশিয়ার আনা বেশির ভাগ নমুনাই গোপনে সরকারি হেফাজতে রয়েছে। সেগুলো বিক্রি করা বা কেনা যায় না।

সদবি’জ জানিয়েছেন, বাজারে মাঝেমধ্যে মুনরক কিনতে পাওয়া যায়। কিন্তু সেগুলো হয় চোরাই জিনিস, না হলে নকল।

রুশ ‘লুনা ১৬’-র নমুনাই একমাত্র ব্যতিক্রম। তার পিছনে একটি ব্যতিক্রমী গল্পও রয়েছে। সেই অভিযানে কোনও মানুষ যায়নি। একটি রোবট পাঠানো হয়েছিল। সে-ই নিয়ে আসে চাঁদের কণাগুলো। একটি ছোট্ট কাচের বাক্সে তার আনা তিনটি টুকরোকে সাজিয়ে রাখা হয়েছে।

নিচে পাঁচ বাই পাঁচ সেন্টিমিটার ধাতব প্লেটে খোদাই করে লেখা, ‘লুনা ১৬’-র আনা মুনরক। একটি ম্যাগনিফায়ার লাগানো, চাঁদের কণাগুলিকে বড় করে দেখার জন্য। এগুলোও সরকারি সম্পত্তি ছিল। পরে কোরোলেভের স্ত্রীকে দেওয়া হয়। সোভিয়েতের মহাকাশ গবেষণার স্তম্ভ ছিলেন কোরোলেভ। ১৯৬৬ সালে তিনি মারা যান।

স্তালিনের অত্যাচারের হাত থেকে বেঁচে ফেরা কোরোলেভ পরে সোভিয়েতের মহাকাশ গবেষণার রূপকার হয়ে ওঠেন। তার হাত ধরেই সোভিয়েতের প্রথম রকেট উৎক্ষেপণ-যন্ত্র তৈরি, কৃত্রিম উপগ্রহ মহাকাশে পাঠানো, মহাকাশে প্রাণি পাঠানো, প্রথম মানুষ পাঠানো, প্রথম কোনও নারীকে পাঠানো। কিন্তু এই অনেক ‘প্রথম’-এর কাণ্ডারিকে কৌশলগত কারণেই আড়ালে রেখেছিল সরকার।

মৃত্যুর পরে তার স্ত্রীকে স্বীকৃতি স্বরূপ বা ক্ষতিপূরণ বাবদ ‘লুনা ১৬’-এর আনা ২০০ মিলিগ্রাম চাঁদের টুকরো উপহার দেওয়া হয়। সোভিয়েত পতনের পরে ১৯৯৩ সালে সেই মুনরক নিলামে ওঠে। এবার ফের সেগুলো নিলামে তুলল সদবি’জ।

এসএইচ-২৩/০১/১২ (প্রযুক্তি ডেস্ক, তথ্য সূত্র: আনন্দবাজার)

কেন ৪৭ বছরে ভোটই দেননি চাঁদপুরের এই নারীরা?

কেন ৪৭ বছরে

চাঁদপুর জেলার ফরিদগঞ্জ উপজেলার রূপসা দক্ষিণ ইউনিয়নে মোট ভোটার ২৪ হাজার ৪শ’ ৫৪ জন৷ তাঁদের মধ্যে নারী ভোটার ১২ হাজার ১শ’ ১৪ জন৷ নারীরা মোট ভোটারের অর্ধেক হলেও তাঁদের ভোট ছাড়াই জনপ্রতিনিধিরা নির্বাচিত হন৷ এই অর্ধেক ভোটারের ভোট নিয়ে কারো তেমন মাথা ব্যথাও ছিল না৷ না জন প্রতিনিধি, না নির্বাচন কমিশন অথবা প্রশাসনের৷ এ খবর দিয়েছে ডয়চে ভেলে।

নির্বাচন প্রশাসনের দাবি, তারা এতদিন বিষয়টি জানতেনই না৷ এবার লোকমুখে শুনেছেন৷ কিন্তু প্রতি নির্বাচনের আগেই সংবাদমাধমে ভোট না দেয়া এই নারীদের নিয়ে প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়৷ এবারও হচ্ছে৷

কেন নারীরা ভোট দেন না?

বাংলাদেশের বেসরকারি টেলিভিশন চ্যানেল ডিবিসি নিউজের চাঁদপুর প্রতিনিধি তালহা জুবায়ের কয়েকদিন আগে রূপসা এলাকার ওই নারীদের নিয়ে প্রতিবেদন করতে যান৷ সেখানে নারীদের সঙ্গে কথা বলে জানতে পারেন, তাঁদের প্রায় কারোই নির্বাচনে ভোট দেয়ার অভিজ্ঞতা নেই৷ জয়পুরী বা জৈনপুরী নামে এক পীরের কথিত নির্দেশে বাংলাদেশ স্বাধীন হওয়ার পর থেকে ওই এলাকার নারীরা ভোট দেন না৷ পীর সাহেব নারীদের ঘরের বাইরে যেতে নিষেধ করেন৷ পর্দায় থাকতে বলেন৷ এখন নারীরা নানা কাজে বাইরে গেলেও ভোট না দেয়ার রেওয়াজ অব্যাহত আছে৷

তালহা জানান, ‘‘এই এলাকার নারীরা এখনো মনে করেন, তাঁরা ভোট দিলে বিপদ হতে পারে৷ তাঁদের বিশ্বাস পীরের নির্দেশ অমান্য করলে কোনো ক্ষতি হতে পারে৷ এলাকায় এমন কথাও প্রচলিত আছে যে, দু-একজন নারী অতীতে ভোট দিতে যাওয়ায় দুর্ঘটনা ঘটেছে৷ কিন্তু তার কোনো প্রমাণ নেই৷ আর এখন সেই পীরও নেই৷ তার কোনো দরগাহ বা আস্তানাও নেই৷ তারপরও তাঁরা ওই কথিত নির্দেশের কথা বিশ্বাস করেন৷”

তালহা আরো জানান, ‘‘নারীরা ভোট না দিলেও নারী ওয়ার্ড কাউন্সিলর কিন্তু আছেন৷ নারীরা ভোটেও দাঁড়ান৷” তিনি বলেন, ‘‘মনোয়ারা বেগম নামে এক নারী কাউন্সিলরের সঙ্গে আমার কথা হয়েছে৷ তিনি জানিয়েছেন, নারীরা ভোটে দাঁড়ালেও নারী আত্মীয়-স্বজন ছাড়া আর কোনো নারী ভোট দেন না৷ আমরা পুরুষ ভোটারদের ভেটেই কাউন্সিলর হই৷”

পীরের নির্দেশ, নাকি গুজব?

ফরিদগঞ্জ রূপসা দক্ষিণ ইউনিয়ন চেয়ারম্যান মো. ইসকান্দার আলী ডয়চে ভেলেকে বলেন, ‘‘ওই পীর কোনো নির্দেশ দিয়েছিলেন কিনা তা আমার জানা নেই৷ আসলে আমার মনে হয়, এটা একটা গুজব আর গুজবের ওপর ভিত্তি করেই নারীরা বছরের পর বছর ভোট দিচ্ছেন না৷ এর জন্য আমরাও দায়ী৷ আমরা এতদিন তাঁদের ভোট দেয়ানোর কোনো উদ্যোগ নেইনি৷ আমরা বিভিন্ন সময় যাঁরা চেয়ারম্যান হয়েছি, তাঁরা এটাকে ঝামেলা মনে করেছি৷ মনে করেছি, নারীদের ভোটের উদ্যোগ নিলে না আবার আমার ভোট কমে যায়!”

তিনি বলেন, ‘‘তবে ধীরে ধীরে পরিস্থিতির পরিবর্তন হচ্ছে৷ নারীরা অল্প সংখ্যায় হলেও ভোট দিতে শুরু করেছেন৷ এবার নারীরা ব্যাপক সংখ্যায় ভোট দেবেন বলে আশা করি৷ আমরা আমাদের দলের পক্ষ থেকে প্রচারণা চালাচ্ছি৷ নানা সভা-সমাবেশ করছি৷ নারীদের মধ্যে প্রচলিত বিশ্বাস ভাঙছে, পুরুষরাও তাঁদের ভোট দিতে বলছেন৷ এবার সংসদ নির্বাচনে এখানকার প্রার্থীরাও কাজ করছেন৷”

নির্বাচন কমিশনের ঘুম ভাঙবে?

রূপসা এলাকার নারীরা যে স্বাধীনতার পর থেকে ভোট দিচ্ছেন না সে ব্যাপারে সুনির্দিষ্ট কোনো তথ্য নেই জেলা নির্বাচন কমিশন অফিসে৷ তারা লোকমুখে এবারই নাকি শুনেছেন৷ আর ওই এলাকা থেকে লিখিত কোনো আবেদন না পাওয়ায় নির্বাচন কমিশনকে এখনো জানানো হয়নি৷ তবে প্রক্রিয়া চলছে বলে দাবি করেছেন চাঁদপুর জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা হেলাল উদ্দিন৷ তিনি ডয়চে ভেলেকে বলেন, ‘‘বিষয়টি আপনার কাছ থেকে শুনলাম৷ আরো কয়েকজন সাংবাদিক এবং স্থানীয় অধিবাসীরা আমাকে বলেছেন৷ এর আগে আমি জানতাম না যে, রূপসা এলাকায় নারীরা ভোট দেন না৷ আর কেন দেয় না তার কারণও আমার জানা নেই৷ এটা এখানে রেওয়াজ হিসেব চলে আসছে৷”

তিনি বলেন, ‘‘ওই এালাকায় রিটার্নিং ও পোলিং অফিসাররা কাজ করছেন৷ তাঁরা সরাসরি নির্বাচন কমিশনকে জানাবেন৷ নির্বাচন কমিশন যে পরিকল্পনা দেয় সে অনুযায়ী আমরা নারী ভোটারদের জন্য কাজ করব৷”

তিনি বলেন, ‘‘তবে কিছু এনজিও ও সামাজিক প্রতিষ্ঠান এরই মধ্যে কাজ শুরু করেছে৷ তারা নারী ভোটারদের মধ্যে প্রচারপত্র, লিফলেট বিলি করবেন৷ পোস্টারও করবেন৷ আয়োজন করবেন মত বিনিময়ের৷ তবে তা এখনো শুরু হয়নি৷”

তিনি আরেক প্রশ্নের জবাবে বলেন, ‘‘আমরা আশা করি এবারের নির্বাচনে রূপসার নারী ভোটাররা ভোট দিতে যাবেন৷ তবে কেউ না গেলে আমাদের কিছু করার নেই৷ ভোট দেয়া ভোটারের স্বাধীনতা৷ কেউ যদি ভোট দিতে না যান, তাঁকে বাধ্য করা যায় না৷”

তবে তালহা জুবায়ের বলেন, ‘‘নারী ভোটারদের ভোটকেন্দ্রে নিতে কিছু উদ্যোগ এবার নেয়া হলেও আমি নারী-পুরুষ উভয়ের সঙ্গে কথা বলে তাঁদের প্রচলিত ধারণায় বড় কোনো পরিবর্তন দেখিনি৷”

আরএম-১৬/০১/১২ (অনলাইন ডেস্ক)

যুক্তরাষ্ট্রের ১২ প্রতিনিধি দল নির্বাচন পর্যবেক্ষণ করবে

আসন্ন একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে পর্যবেক্ষণের জন্য যুক্তরাষ্ট্র ১২টি পর্যবেক্ষক দল বাংলাদেশে পাঠাচ্ছে। এছাড়াও দেশীয় কয়েক হাজার পর্যবেক্ষক যুক্তরাষ্ট্রের অর্থায়নে বাংলাদেশের এ নির্বাচন পর্যবেক্ষণ করবেন।

আসন্ন ৩০ ডিসেম্বরের সাধারণ নির্বাচন নিয়ে বিরোধীদের তীব্র উদ্বেগের মধ্যে চলতি সপ্তাহে ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ) বাংলাদেশের নির্বাচনে কোনো পর্যবেক্ষক দল পাঠাবে না বলে জানায়। একই সঙ্গে তারা বাংলাদেশের নির্বাচন ও নির্বাচনী ফলাফল নিয়েও কোনো মন্তব্য করবে না বলে ঘোষণা দিয়েছে। ইইউর এই অবস্থানের পর বাংলাদেশের নির্বাচনে যুক্তরাষ্ট্র পর্যবেক্ষক পাঠাবে কি-না, তা নিয়ে গুঞ্জন শুরু হয়।

শনিবার ঢাকায় নিযুক্ত মার্কিন দূতাবাসের রাজনৈতিক এক কর্মকর্তা ব্রিটিশ বার্তাসংস্থা রয়টার্সকে বলেন, বাংলাদেশের নির্বাচন পর্যবেক্ষণে যুক্তরাষ্ট্র এক ডজন পর্যবেক্ষক দল পাঠাচ্ছে; প্রত্যেকটি দলে দু’জন করে পর্যবেক্ষক থাকবেন। যারা দেশের অধিকাংশ স্থানে নির্বাচন পর্যবেক্ষণ করবেন।

এদিকে, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তৃতীয় মেয়াদে ক্ষমতায় আসতে চাইছেন। তার পুরনো প্রতিদ্বন্দ্বী বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের (বিএনপি) প্রধান খালেদা জিয়া বর্তমানে কারাবন্দী রয়েছেন। তবে খালেদা তার বিরুদ্ধে আনা দুর্নীতির অভিযোগকে রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত বলে দাবি করেছেন। বিএনপির অনেক নেতাকর্মীও বন্দী রয়েছে।

কারচুপির অভিযোগ এনে ২০১৪ সালের দশম জাতীয় নির্বাচন বয়কট করেছিল বিএনপি। তবে দলটি বলছে, এবারের নির্বাচনে অংশ নেবে তারা। নির্বাচন অবাধ হবে না উল্লেখ করে তারা ডিসেম্বরের নির্বাচনে অান্তর্জাতিক পর্যবেক্ষকের দাবি জানিয়ে আসছে।

ঢাকায় মার্কিন দূতাবাসের রাজনৈতিক কর্মকর্তা উইলিয়াম মোয়েলার বলেছেন, বাংলাদেশে ১২টি পর্যবেক্ষক দল পাঠাবে যুক্তরাষ্ট্র। প্রত্যেকটি দল দুই সদস্যের সমন্বয়ে গঠিত হবে। মার্কিন এই নির্বাচনী পর্যবেক্ষক দল বাংলাদেশের বিভিন্ন প্রান্তে নির্বাচন পর্যবেক্ষণ করবেন। চলতি সপ্তাহে মার্কিন এই কর্মকর্তা বলেন, ‌‌‌“বাংলাদেশ সরকার অবাধ এবং নিরপেক্ষ নির্বাচন আয়োজনের পরিকল্পনার ওপর জোর দিয়েছে। আমরা এটাকে স্বাগত জানাই। আর এই অবাধ নির্বাচন পর্যবেক্ষণে অামরা পর্যবেক্ষেকদের অর্থায়ন করছি।”

সাম্পতিক সিটি করপোরেশন নির্বাচনে হয়রানি এবং ভীতি প্রদর্শনের কথা উল্লেখ করে মোয়েলার বলেছেন, ওই সময় ভোটারদের দমন করা হয়েছিল। বর্তমানেও সেই ধরনের পরিস্থিতি তৈরি হতে পারে বলে আমরা উদ্বেগ প্রকাশ করেছি। আমরা আশা করছি, জাতীয় নির্বাচনে এ ধরনের সঙ্কট দেখতে পাবো না।

গত অক্টোবরে যুক্তরাষ্ট্রের ন্যাশনাল ডেমোক্রেটিক ইনস্টিটিউট বাংলাদেশের আসন্ন নির্বাচন নিয়ে একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করে। ওই প্রতিবেদনে বলা হয়, উচ্চমাত্রার রাজনৈতিক মেরুকরণ, ক্রমবর্ধমান উত্তেজনা ও রাজনৈতিক পরিবেশ সঙ্কোচনের মাঝে বাংলাদেশের এবারের জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠিত হতে পারে।

মোয়েলার বলেছেন, ব্যাঙ্ককভিত্তিক নির্বাচন পর্যবেক্ষক সংস্থা এশিয়ান নেটওয়ার্ক ফর ফ্রি ইলেকশন স্বল্প এবং দীর্ঘমেয়াদে বালাদেশের নির্বাচন পর্যবেক্ষণের জন্য ৩০ সদস্যের একটি প্রতিনিধি দল পাঠাবে। এছাড়াও নির্বাচন পর্যবেক্ষণের জন্য বাংলাদেশের প্রায় ১৫ হাজার পর্যবেক্ষককে যৌথভাবে অর্থায়ন করবে ইউএস অ্যাজেন্সি ফর ইন্টারন্যাশনাল ডেভলপমেন্ট, ব্রিটেনের আন্তর্জাতিক উন্নয়ন বিভাগ ও সুইস সরকার।

মার্কিন এই কর্মকর্তা বলেন, দেশীয় পর্যবেক্ষকরা নির্বাচন পর্যবেক্ষণে দেশজুড়ে ছড়িয়ে যাবেন; কিন্তু প্রত্যেকটি ভোট কেন্দ্রে পৌঁছাতে সক্ষম নাও হতে পারেন তারা।

এসএইচ-২২/০১/১২ (অনলাইন ডেস্ক)

কাজের ফাঁকে অল্প সময়ে যে আমল করা যায়

কাজের ফাঁকে

মানুষের প্রতিটি নেক আমলেরই প্রতিদান রয়েছে। আল্লাহ তাআলা মানুষকে তাঁর আমল ও নিয়ত অনুযায়ী প্রতিদান বা ফলাফল দান করেন। অফিস বা কর্মস্থলে ইবাদত-বন্দেগি ও নেক আমলের তেমন সুযোগ-সময় পাওয়া যায় না। অফিসে কাজের ফাঁকে অল্প সময়ে অনেক ফজিলতপূর্ণ আমল করা যায়। কাজের ফাঁকে এক মিনিটে অনেক ভাল কাজ করা যেতে পারে এবং বিশাল সওয়াব পাওয়া যেতে পারে। শুধু এক মিনিটের সতর্ক আমলে আমলনামায় অনেকগুলো সওয়াব ও পুণ্য লেখা হবে।

এক মিনিটে করা যায় এমন কিছু আমলের সংক্ষিপ্ত তালিকা (পরিবর্ধনযোগ্য) :

(১) মনে মনে দ্রুতগতিতে ৩ বার সূরা ফাতিহা পড়া যায়। এভাবে আমল করলে ১৮০০ এর বেশি নেকি হাসিল করা যায়।

(২) সুরা ইখলাস (ক্বুল হুওয়াল্লাহু আহাদ) মনে মনে দ্রুতগতিতে ২০ বার পড়া যায়। সুরা ইখলাস একবার পাঠ করলে পবিত্র কোরআনের এক তৃতীয়াংশ পড়ার সমান সওয়াব পাওয়া যায়।

(৩) চেষ্টা করলে পবিত্র কোরআনের এক পৃষ্ঠা পাঠ করা যায়।

(৪) পবিত্র কোরআনের ছোট একটি আয়াত মুখস্থ করা যায়।

(৫) নিম্নোক্ত দোয়াটি ২০ বার পড়া যায়। উচ্চারণ : ‘লা ইলাহা ইল্লাল্লাহু ওয়াহদাহু লা শারিকালাহু লাহুল মুলকু ওয়ালাহুল হামদু, ওয়া হুয়া আলা কুল্লি শাইয়িন কাদির’। এ আমলের সওয়াব ইসমাঈল (আ.) এর বংশের ৮ জন দাস আল্লাহর ওয়াস্তে মুক্ত করার সমান।

(৬) ‘সুবহানাল্লাহি ওয়া বিহামদিহি’ ১০০ বার পড়া যায়। যে ব্যক্তি একদিনে এই দোয়াটি ১০০ বার পড়ে তার সমস্ত গুনাহ মাফ করে দেয়া হয়; যদিও তা সমুদ্রের ফেনার সমান হয়।

(৭) ‘সুবহানাল্লাহিল আজিম’ অথবা ‘সুবহানাল্লাহি ওয়া বিহামদিহি’ ৫০ বার পড়া যায়। এ দু’টি বাক্য পড়তে খুব সহজ; আমলের পাল্লাতে অনেক ভারী হবে; আল্লাহর কাছে অতি প্রিয়; ইমাম বুখারি ও ইমাম মুসলিম এ বরাতে হাদিস বর্ণনা করেছেন।

(৮) প্রিয়নবী হযরত মোহাম্মদ (সা.) বলেন, ‘সুব্‌হানাল্লাহ, আলহামদুলিল্লাহ, লা-ইলাহা ইল্লাল্লাহ, আল্লাহু আক্‌বার পাঠ করা, যা কিছুর উপর সূর্য উদিত হয়েছে সবকিছু থেকে আমার কাছে অধিক প্রিয়।’ (মুসলিম, হাদিস নং: ২৬৯৫)

এক মিনিটে বাক্যগুলো ১৮ বারের বেশি পড়া যায়। এ বাক্যগুলো আল্লাহর কাছে সবচেয়ে প্রিয়। এগুলো সর্বোত্তম কথা এবং আমলের পাল্লায় এগুলোর ওজন অনেক বেশি।

(৯) ‘লা হাওলা ওয়ালা কুওয়াতা ইল্লাবিল্লাহ’ (অর্থ: আল্লাহ ছাড়া কোনো উপায়-সামর্থ্য ও কোনো শক্তি নেই) ৪০ বারের বেশি পড়া যায়। এ বাক্যটির সওয়াব জান্নাতের জন্য সঞ্চিত অমূল্য রত্ন এবং সামগ্রিক দুশ্চিন্তা দূর করে দেয়। বুখারি ও মুসলিমে এ প্রসঙ্গে হাদিস বর্ণিত হয়েছে।

(১০) ‘লা ইলাহা ইল্লাল্লাহু মুহাম্মাদুর রাসুলুল্লাহ’ (অর্থ: আল্লাহ ছাড়া সত্য কোনো উপাস্য নেই, মুহাম্মদ (সা.) আল্লাহর রাসুল) প্রায় ২৫ বার পড়া যায়। এটি সর্বশ্রেষ্ঠ বাক্য ও তাওহিদের বাণী। এ কালেমার ফজিলত ও মর্যাদার ব্যাপারে অনেক বর্ণনা রয়েছে।

(১১) আল্লাহর কাছে একশ’ বারের বেশি ইসতিগফার (আসতাগফিরুল্লাহ) বা ক্ষমা প্রার্থনা করা যায়। এর ফজিলত আপনার অজানা নয়। এটি ক্ষমা প্রাপ্তি ও জান্নাতে প্রবেশের উপায়। এটি সুখময় জীবন, শক্তি বৃদ্ধি, বিপদ-আপদ রোধ, সব কাজ সহজীকরণ, বৃষ্টি বর্ষণ, সম্পদ ও সন্তানের বৃদ্ধি ইত্যাদির মাধ্যম।

(১২) এক মিনিটে আপনি সংক্ষেপে কিছু কথা বলতে পারেন যা দ্বারা আল্লাহ হয়ত এমন কোনো কল্যাণের পথ খুলে দেবেন যা আপনি ভাবতেও পারেননি।

(১৩) মহানবী (সা.) এর উপর ৫০ বার দরুদ পাঠ করা যায়। শুধু ‘সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম’ পড়লেও চলে। প্রতিদানে আল্লাহ ৫০০ বার রহমত পাঠাবেন। আর একবার দরুদ পাঠ করলে, আল্লাহ ১০ বার প্রতিদান দেন।

(১৪) এক মিনিটে মন আল্লাহর কৃতজ্ঞতা, তার ভালবাসা, ভয়, তার প্রতি আশা এবং তার প্রেমে উদ্বেল হয়ে উঠতে পারে। এর মাধ্যমে আপনি উবূদিয়্যাহ্‌ (আল্লাহর দাসত্ব) এর স্তরসমূহ অতিক্রম করতে পারেন; হতে পারে সে সময় আপনি হয়ত আপনার বিছানায় শুয়ে আছেন অথবা কোনো পথ ধরে হেঁটে যাচ্ছেন।

(১৫) সহজবোধ্য উপকারী কোনো বইয়ের দুই পৃষ্ঠার বেশি পড়া যায়।

(১৬) এক মিনিটের টেলিফোন যোগাযোগের মাধ্যমে আত্মীয়তার সম্পর্ক রক্ষার আমল পালন করা যায়। এতে আল্লাহ সওয়াব দেয়ার পাশাপাশি আয়ু বৃদ্ধি করে দেন।

(১৭) দুই হাত তুলে ব্যাপক অর্থবোধক দোয়াগুলো থেকে পছন্দমত যে কোনো দোয়া করা যায়।

(১৮) কয়েকজন ব্যক্তিকে সালাম দিয়ে তাদের সঙ্গে মুসাফাহা করা যায়।

(২০) কোন ব্যক্তিকে মন্দ কাজ থেকে নিষেধ করা যায়।

(২১) ভাল কাজের আদেশ করা যায়।

(২২) কাউকে উপদেশ দেয়া যায়।

(২৩) দুশ্চিন্তাগ্রস্ত মানুষকে সান্ত্বনা দেয়া যায়।

(২৪) পথ থেকে ক্ষতিকর কোনো বস্তু অপসারণ করা যায়।

(২৫) এই এক মিনিটের সদ্ব্যবহার, অবহেলায় কাটানো বাকি সময়গুলোর সদ্ব্যবহার করার অনুপ্রেরণা হিসেবে কাজ করতে পারে।

আরএম-১৫/০১/১২ (ধর্ম ডেস্ক)

ঘুমানোর সময় খারাপ স্বপ্ন থেকে বাঁচার আমল কী?

ঘুমানোর সময়

নামাজ, রোজা, হজ, জাকাত, পরিবার, সমাজসহ জীবনঘনিষ্ঠ ইসলাম বিষয়ক প্রশ্নোত্তর অনুষ্ঠান ‘আপনার জিজ্ঞাসা’। জয়নুল আবেদীন আজাদের উপস্থাপনায় দেশের বেসরকারি একটি টেলিভিশনের জনপ্রিয় এ অনুষ্ঠানে দর্শক-শ্রোতাদের বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তর দেয়া হয়।

অনুষ্ঠানটির জুমাবারের বিশেষ ৫৬৬তম পর্বে দর্শক-শ্রোতাদের বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তর দেন বিশিষ্ট আলেম ড. মুহাম্মদ মতিউল ইসলাম। এই পর্বে যশোর থেকে মো: নাজমুল হাসান নামে একজন দর্শক টেলিফোনে ঘুমের মাঝে খারাপ স্বপ্ন থেকে বাঁচার আমল জানতে চেয়েছেন।

প্রশ্ন: ঘুমানোর সময় খারাপ স্বপ্ন থেকে কী কী আমল করলে মুক্তি পাওয়া যায়?

উত্তর: না, এই ধরনের কোনো আমল কোরআন হাদিসে নেই। আপনি এশার নামাজটা জামাতে আদায় করতে পারেন। ঘুমানোর সময় ঘুমের দোয়া পড়ে ঘুমাতে পারেন। এই আমলগুলো করতে পারেন। আল্লাহতায়ালা হয়তো আপনাকে এই ধরনের স্বপ্ন থেকে বাঁচাতে পারেন।

এ ছাড়া ঘুমানোর আগের তো কিছু সুরা আছে, যেগুলো পড়ে আপনি ঘুমাতে যেতে পারেন। এই সুরাগুলো পড়ে আপনি আল্লাহর কাছে দোয়া করতে পারেন।

ঘুমানোর সময় সুন্নাহসম্মত পদ্ধতিগুলো মেনে, জিকির-আজগার করে যদি ঘুমাতে যান, তাহলে হয়তো আল্লাহ খারাপ স্বপ্ন থেকে আপনাকে মুক্তি দিতে পারেন। কিন্তু সুনির্দিষ্ট কোনো দোয়া রাসুল আমাদের শিখিয়ে দেননি।

আরএম-১৪/০১/১২ (ধর্ম ডেস্ক)

কারাগার থেকে নির্বাচন করছেন যারা

একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে প্রার্থী হতে চট্টগ্রামের ১৬টি আসনে ১৮০টি মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন বিভিন্ন দলের নেতারা। এর মধ্যে কারাগারে থেকেও ৮টি আসনে ৯টি ফরম জমা দিয়েছেন বিএনপি-জামায়াতের প্রার্থীরা।

কারাগারে থাকা নেতাদের মধ্যে বিএনপি ৭ প্রার্থী আর জামায়াতের ২ জন রয়েছেন বলে জানা গেছে। তারা জেল সুপারের মাধ্যমে চট্টগ্রাম রিটার্নিং অফিসারের কার্যালয়ে মনোনয়নপত্র জমা দেন।

জেলা নির্বাচন অফিস সূত্র জানায়, ১৬টি আসনের মধ্যে চট্টগ্রাম-১ (মীরসরাই) আসনে ১১ জন, চট্টগ্রাম-২ (ফটিকছড়ি) আসনে ১৩ জন, চট্টগ্রাম-৩ (সন্দ্বীপ) আসনে ৮ জন, চট্টগ্রাম-৪ (সীতাকুণ্ড) আসনে ১১ জন, চট্টগ্রাম-৫ (হাটহাজারী) আসনে ১৪ জন, চট্টগ্রাম-৬ (রাউজান) আসনে ৪ জন, চট্টগ্রাম-৭ (রাঙ্গুনিয়া) আসনে ১২ জন, চট্টগ্রাম-৮ (বোয়ালখালী-চান্দগাঁও) আসনে ১৩ জন, চট্টগ্রাম-৯ (কোতোয়ালি-বাকলিয়া) আসনে ১২ জন, চট্টগ্রাম-১০ (ডবলমুরিং, পাহাড়তলী, খুলশী, হালিশহর) আসনে ১৩ জন, চট্টগ্রাম-১১ (বন্দর-পতেঙ্গা) আসনে ১৪ জন, চট্টগ্রাম-১২ (পটিয়া) আসনে ১২ জন, (চট্টগ্রাম-১৩ (আনোয়ারা-কর্ণফুলী) আসনে ১০ জন, চট্টগ্রাম-১৪ (চন্দনাইশ-সাতকানিয়া আংশিক) আসনে ১৩ জন, চট্টগ্রাম-১৫ (সাতকানিয়া-লোহাগাড়া) আসনে ৮ জন ও চট্টগ্রাম-১৬ (বাঁশখালী) আসনে ১০ জন। কারাগার থেকে মনোনয়নপত্র জমাদানকারীরা হলেন- চট্টগ্রাম-১ বিএনপির শহীদুল ইসলাম চৌধুরী, চট্টগ্রাম-৩ বিএনপির বেলায়েত হোসেন, চট্টগ্রাম-৪ বিএনপির আসলাম চৌধুরী, চট্টগ্রাম-৭ বিএনপির গিয়াস উদ্দিন কাদের চৌধুরী ও কুতুব উদ্দিন বাহার, চট্টগ্রাম-৮ স্বতন্ত্র শরীফ উদ্দিন খান, চট্টগ্রাম-৯ বিএনপির ডা. শাহাদাত হোসেন, চট্টগ্রাম-১০ স্বতন্ত্র হিসেবে জামায়াতের কেন্দ্রীয় শূরা সদস্য শাহজাহান চৌধুরী, চট্টগ্রাম-১৫ স্বতন্ত্র হিসেবে জামায়াতে ইসলামীর নায়েবে আমীর আ ন ম শামসুল ইসলাম। এর মধ্যে গিয়াস উদ্দিন কাদের চৌধুরী, আ ন ম শামসুল ইসলাম ও শাহজাহান চৌধুরী সাবেক সংসদ সদস্য। এছাড়া ২০০৮ সালে সীতাকুণ্ড থেকে বিএনপির প্রার্থী হিসেবে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে পরাজিত হন আসলাম চৌধুরী।

চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির সহ-দফতর সম্পাদক ইদ্রিস আলী বলেন, আওয়ামী লীগ সরকার গায়েবি ও মিথ্যা মামলা দিয়ে বিএনপির অসংখ্য নেতাকর্মীকে কারাগারে বন্দি করে রেখেছে, যাতে তারা নির্বাচনে অংশ না নেয়। তাই বাধ্য হয়েই কারাবন্দি অবস্থায় মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন তারা।

তিনি বলেন, কারাগার থেকে মনোনয়নপত্র জমাদানকারীদের মধ্যে বিএনপির বেশ কয়েকজন হেভিওয়েট প্রার্থী রয়েছেন। তাদের এলাকায় ব্যাপক জনপ্রিয়তা আছে। সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ নির্বাচন হলে তারা বিপুল ভোটে জয়লাভ করবেন।

এসএইচ-২১/০১/১২ (অনলাইন ডেস্ক, তথ্য সূত্র : পূর্বপশ্চিম)

বাংলাদেশের রানের পাহাড় : চাপে ওয়েষ্ট ইন্ডিজ

বাংলাদেশের দেওয়া ৫০৮ রানের লক্ষ্য নিয়ে ব্যাটিংয়ে নেমে শুরু থেকেই স্পিনারদের সামনে পরাস্ত হচ্ছে সফরকারীরা। শনিবার দলীয় ৫৭ রানে ৫ উইকেট হারিয়ে প্রথম ইনিংস শেষ করেছে ওয়েস্ট ইন্ডিজ। টাইগারদের দুই হাসান (সাকিব আল হাসান ও মেহেদী হাসান)এর সামনে ব্যাট হাতে দাঁড়াতেই পারছেনা তারা।

দ্বিতীয় দিন শেষে ওয়েস্ট ইন্ডিজের সংগ্রহ ২২ ওভারে ৫ উইকেট হারিয়ে ৭৫ রান। শ্যেন ডওরিচ ১৭ ও শিমরন হিটমেয়ার ৩২ রানে অপরাজিত আছেন।বাংলাদেশের লিড ৪৩৩ রান।

ওয়েস্ট ইন্ডিজ তাদের ইনিংস শুরু করতে করতেই ৫ উইকেট হারিয়েছে। তিন উইকেট নিয়েছেন মিরাজ। ১২ ওভারে তিনি তার তৃতীয় শিকার তুলে নেন। এবার তার শিকার হোপ। হোপ ১০ রান করে আউট হয়ে যান। এর আগে দশম ওভারে বল করতে নিজের দ্বিতীয় শিকার তুলে নেন মিরাজ। মিরাজের বলে শুন্য রানে সাজঘরে ফেরেন চেসে। ওয়েস্ট ইন্ডিজ শিবিরে তৃতীয় আঘাত হানেন সাকিব আল হাসান। তিনি নবম ওভারের শেষ ওভারে সুনীল অ্যামিবিজকে সাজঘরে ফেরান। আউট হওয়ার আগে তিনি ৭ রান সংগ্রহ করেন।

৬ষ্ঠ ওভারের তৃতীয় বলে মেহেদী হাসানের মিরাজের বলে বোল্ড হয়ে পাভিলিয়নে ফিরেন কাইরান পাওয়েল। এতে ক্যারিবীয়দের দুই ওপেনারই বিদায় নেয়। ১৫ বল মোকাবেলা করে ৪ রান করেন তিনি। তার আগে প্রথম ওভারেই সাকিব আল হাসানের বলে বোল্ড হয়ে ফিরে যান ব্রেথওয়েট। কোনো রান করতে পারেননি ক্যারিবীয় অধিনায়ক।

এদিকে ঢাকা টেস্টে টসে জিতে রিয়াদের সেঞ্চুরিতে ৫০৮ রানে শনিবার প্রথম ইনিংস শেষ হয় বাংলাদেশ। ১৩৬ রান করেন মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ। শেষ ব্যাটসম্যান হিসেবে ক্যারিয়ার সেরা ইনিংস খেলে ওয়ারিকানের বলে বোল্ড হন তিনি। দিনের শুরুতে সাকিবকে হারিয়ে কিছুটা চাপে পড়ে টাইগাররা। সেই চাপ থেকে টেনে তুলেন রিয়াদ-লিটন জুটি। লিটন ৫৪ রানের এক ঝকঝকে ইনিংস খেলে আউট হয়ে সাজঘরে ফিরে গেলে এর পর মিরাজ-তাইজুল কেউ আর বেশিক্ষণ ক্রিজে টিকে থাকতে পারেনি। মিরপুর টেস্টে সফরকারি ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে ৫০৮ রানের বিশাল সংগ্রহ দাঁড় করায় টাইগাররা। মাহমুদউল্লাহ ১৩৬ রান করে ওয়ারিকনের বলে বোল্ড হয়ে প্যাভিলিয়নে ফিরে আসেন।

দ্বিতীয় দিনের খেলা শুরুর কিছু সময় পর সাকিব আল হাসান আউট হয়ে গেলে স্বাগতিকদের ছষ্ঠ উইকেটের পতন হয়। সেই সাথে হাতছাড়া হয় সাকিবের সেঞ্চুরি। ব্যাক্তিগত ৮০ রান করে রোচের বলে হোপের হাতে ক্যাচ দিয়ে সাজ ঘরে ফিরে যান তিনি। তার আউটের পর মাহমুদুল্লাহ ও লিটনের জুটিতে সামনের দিকে এগিয়ে যাচ্ছে স্বাগতিকরা। রিয়াদ এদিন তার ক্যারিয়ারের হাফসেঞ্চুরি তুলে নিয়েছেন। তাকে যোগ্য সঙ্গ দিচ্ছেন লিটন দাস। মধ্যাহ্ন বিরতিতে যাওয়ার আগেই লিটনও তার ক্যারিয়ারের চতুর্থ হাফসেঞ্চুরি তুলে নেন।

এর আগে শনিবার দ্বিতীয় দিনে সকাল ৯ টা ৩০ মিনিটে দুই অপরাজিত ব্যাটসম্যান ব্যাট করতে নামে। প্রথম দিনে বাংলাদেশের পক্ষে অভিষিক্ত সাদমান ইসলাম ৭৬ রান করেন। ক্যারিবীয়দের পক্ষে দেবেন্দ্র বিশু ২ উইকেট নেন।

টস জিতে ব্যাটিংয়ের সিদ্ধান্ত নিয়েছিল স্বাগতিক বাংলাদেশ। চট্টগ্রামে প্রথম টেস্ট জিতে সিরিজে ১-০ তে এগিয়ে আছে টাইগাররা। এ ম্যাচে বাংলাদেশ দলের হয়ে টেস্টে অভিষেক হয় ওপেনার সাদমান ইসলামের। ক্যারিবীয় পেসার শ্যানন গ্যাব্রিয়েল নিষিদ্ধ থাকার কারণে এ ম্যাচ খেলতে পারছেন না।

দিনের প্রথম সেশনের ১৬ তম ওভারে প্রথম উইকেট হারায় বাংলাদেশ। রস্টন চেজের বলে স্লিপে ক্যাচ দিয়ে ফেরেন সৌম্য। ৪২ বলে ১৯ রান করেন তিনি। সৌম্য সরকার ও অভিষিক্ত সাদমান ইসলাম ওপেনিংয়ে ৪২ রানের জুটি গড়েছিলেন।

অভিষিক্ত ওপেনার সাদমান ইসলাম ও মুমিনুল হকের দ্বিতীয় উইকেট জুটিতে ৪৫ রানের জুটি লাঞ্চের আগে শেষ ওভারেই ভেঙ্গে যায়। পেসার কেমার রোচের বলে বড় শর্ট খেলতে গিয়ে প্যাভিলিয়নে ফেরেন মুমিনুল। ৪৬ বল মোকাবেলায় ২৯ রান করেন তিনি। তাঁর বিদায়ের সঙ্গেই লাঞ্চ বিরতির ঘোষণা আসে। লাঞ্চ বিরতি পর্যন্ত বাংলাদেশের সংগ্রহ দাঁড়ায় ২ উইকেটে ৮৭ রান।

নিজের অভিষেক ম্যাচের প্রথম ইনিংসেই হাফ সেঞ্চুরি তুলে নেন ওপেনার সাদমান ইসলাম। ধৈর্যশীল ইনিংসে সাদমান খেলেন ১৪৭ বল খেলে হাফ সেঞ্চুরি করেন।এরপর সৌম্য ও মুমিনুলের পথেই হাঁটেন মিঠুন। স্পিনার দেবেন্দ্র বিশুর বলে অপ্রয়োজনীয় শট খেলতে গিয়ে বোল্ড হন তিনি। তৃতীয় উইকেট জুটিতে অভিষিক্ত সাদমানের সঙ্গে গড়েন ৬৪ রানের জুটি। ৬১ বল মোকাবেলায় খেলেন ২৯ রানের ইনিংস খেলেন তিনি।

অভিষেক ম্যাচে স্পিনার দেবেন্দ্র বিশুর দ্বিতীয় শিকার হয়ে প্যাভিলিয়নে ফেরেন সাদমান ইসলাম। ১৯৯ বল মোকাবেলা করে ৭৬ রানের ইনিংস খেলে লেগ বিফরের ফাঁদে পড়েন তিনি। দ্বিতীয় সেশনে ৮৮ রানে দুই উইকেট হারিয়ে চা বিরতিতে যায় বাংলাদেশ।

বাংলাদেশের দ্বিতীয় টেস্ট ব্যাটসম্যান হিসেবে টেস্টে ৪ হাজার রানের মাইলফলক স্পর্শ করেন মুশফিকুর রহিম। দ্বিতীয় টেস্টে নামার আগে ৬৫ টেস্টে মুশফিকের রান ছিল ৩৯৯২। আজ ৮ রান করেই চার হাজারি ক্লাবে প্রবেশ করেন তিনি। এর আগে ওপেনার তামিম ইকবাল চার হাজার রানের ক্লাবে প্রবেশ করেছিলেন। তামিমের রান ৪০৪৯।

চা বিরতির পর তৃতীয় সেশনের শুরুতেই বিদায় নেন অভিজ্ঞ মুশফিকুর রহিম। ২৪ বলে ১৪ রান করে ক্যারিবীয় পেসার শিমরান লুইসের বলে বোল্ড হন তিনি। ক্যারিয়ারের ২৪ তম টেস্ট হাফ সেঞ্চুরি করেন বাংলাদেশের অধিনায়ক সাকিব আল হাসান।

ওয়েস্ট ইন্ডিজের হয়ে বিশু ২টি, বাথওয়েট ২টি, রোচ ২টি এবং লিউস,চেজ ও ওয়ারিকন ১টি করে উইকেট তুলে নেন।

এসএইচ-২০/০১/১২ (স্পোর্টস ডেস্ক)

‘সাত দিনেই দেশ ঠিক করে ফেলব’

সাত দিনেই

জাতীয় পার্টি থেকে মনোনয়ন না পেয়ে স্বতন্ত্র প্রার্থী হয়েছেন হিরো আলম। জয়ের ব্যাপারেও আশাবাদী তিনি।

জনগণের ভালোবাসার মূল্য দিতে নির্বাচন করছেন এমন দাবি তার। জনগণ তাকে জিরো থেকে হিরো বানিয়েছে তাই তাদের সেবায় নির্বাচনে অংশ নিতে চান।

নির্বাচনে জয়ী হয়ে দায়িত্ব পেলে সাত দিনেই দেশ ঠিক করে ফেলবেন বলে জানিয়েছেন বগুড়ার হিরো আলম। শুক্রবার (৩০ নভেম্বর) দুপুরে একটি রেডিও চ্যানেলের লাইভে এসে তিনি এ মন্তব্য করেন। রেডিও জকি জানতে চান, মন্ত্রী হলে আপনি কী করবেন?

উত্তরে হিরো আলম বলেন, ‘তিনি মন্ত্রী হতে চান না। তবে দেশের দায়িত্ব পেলে তিনি সাত দিনেই দেশ ঠিক করে ছাড়বেন।‘ এসময় হিরো আলম ভারতীয় অভিনেতার মিঠুন চক্রবর্তী অভিনীত ‘ফাটাকেষ্ট’ ছবির কথা উল্লেখ করেন। বলেন, আপনি ‘ফাটাকেষ্ট দেখেননি? ছবিতে যেভাবে দেখানো হয়েছে সেভাবেই দেশ ঠিক করে ফেলবো।’

রেডিও জকি হিরো আলমকে নেচে দেখাতে বলেন। উত্তরে হিরো আলম বলেন, ‘তিনি নাচতে আগ্রহী নন। তবে সুযোগ পেলে বলিউড অভিনেত্রী সানি লিওনের সঙ্গে নেচে দেখাবেন তিনি।’

মানুষের খারাপ মন্তব্য, সমালোচনা কীভাবে নেন জানতে চাইলে হিরো আলম বলেন, ‘এগুলো আমার খুব ভালো লাগে। কারণ গালি দিতে হলে আমার নামটা আগে মুখে নিতে হয়। তার মানে ওই ব্যক্তির মাথায় ‘হিরো আলম’ শব্দটা কাজ করে। সে আমাকে গুরুত্ব দিচ্ছে বলেই এটা করে।’

‘মার ছক্কা’ ছবির মাধ্যমে বড় পর্দায় হিরো আলমের অভিষেক হচ্ছে। ছবিতে প্রচুর অ্যাকশন দৃশ্য আছে বলে জানান হিরো আলম। রেডিও জকি প্রশ্ন করেন, ‘এমন ছিপছিপে শরীর দিয়ে কীভাবে অ্যাকশন দৃশ্য অভিনয় করেছেন? এটা কীভাবে সম্ভব?’ হিরো আলম বলেন, ‘পারি আর না পারি সামনে আগাইয়া যাব। পরে যা হওয়ার হয়ে যাবে।’

আরএম-১৩/০১/১২ (বিনোদন ডেস্ক)

আত্মহত্যা করেছেন অভিনেত্রী রিয়া

আত্মহত্যা করেছেন

তামিল চলচ্চিত্রের জনপ্রিয় অভিনেত্রী রিয়া মিককা আত্মহত্যা করেছেন বলে খবর প্রকাশ হয়েছে।

বৃহস্পতিবার (২৯ ডিসেম্বর) ২৬ বছর বয়সী এ অভিনেত্রী গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেন।

টাইমস অব ইন্ডিয়ার খবরে বলা হয়, ভারতের চেন্নাইয়ে রিয়া মিককার নিজ ঘরে ঝুলন্ত অবস্থায় তার লাশ দেখতে পাওয়া যায়। রিয়া মিককা গত চার মাস ধরে ওই বাসায় থাকতেন। তার ভাই প্রকাশের সঙ্গে থাকতেন তিনি। জিজ্ঞাসাবাদের জন্য রিয়ার ভাইকে পুলিশ আটক করেছে।

জানা যায়, আত্মহত্যা করার দিন তিনি সকালে ঘুম থেকে উঠলেও কিছুক্ষণ পর আবার ঘুমোতে চলে যান৷ ততক্ষণে দিনেশও এসে গিয়েছিল এবং প্রকাশের সঙ্গে দুপুরের খাবার তৈরি করছিল৷ তারপরই ঘরে গিয়ে তারা রিয়ার ঝুলন্ত দেহ দেখতে পান৷

পুলিশের খবর অনুযায়ী, রিয়া দীর্ঘদিন ধরে মানসিক অবসাদে ভুগছিলেন৷ তিনি তাঁর ঘনিষ্ঠ বন্ধু দিনেশকে একদিন রাতে বাড়িতে ডেকে পাঠায়৷ গভীর রাত হয়ে যাওয়ায় দিনেশ তাঁকে জানায় পরদিন সকালে সে রিয়ার সঙ্গে দেখা করতে যাবে৷ রিয়ার আত্মহত্যার কারণ খুঁজতে তার ফোনসহ ব্যক্তিগত কিছু মালামাল জব্দ করা হয়েছে।

আরএম-১২/০১/১২ (বিনোদন ডেস্ক)