রাত ৮:১২
রবিবার
২৮ শে এপ্রিল ২০২৪ ইংরেজি
১৫ ই বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
১৯ শে শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী
spot_img

গুগল-ফেসবুককে ৭১ মিলিয়ন ডলার জরিমানা

ব্যবহারকারীদের অনুমতি ব্যতীত বিজ্ঞাপনের জন্য ব্যক্তিগত তথ্য সংগ্রহ ও ব্যবহারর করার অভিযোগে ফেসবুক (মেটা) ও গুগলকে ৭১ মিলিয়ন ডলার জরিমানা করেছে দক্ষিণ কোরিয়া।

বুধবার দেশটির পর্যবেক্ষকরা এই তথ্য নিশ্চিত করেছে।

দেশটির পার্সোনাল ইনফরমেশন প্রোটেকশন কমিশন (ব্যক্তিগত তথ্য সুরক্ষা কমিশন) জানিয়েছে, তদন্তে জানা গেছে দুই মার্কিন প্রযুক্তি কোম্পানি গ্রাহকদের তথ্য সংগ্রহ ও বিশ্লেষণ করছে এবং তারা কোন ধরনের ওয়েবসাইট ও অ্যাপ ব্যবহার করছে তাও পর্যবেক্ষণ করছে।

আর সেই তথ্য গুগল ও ফেসবুকে মাদার কোম্পানি মেটা ‘কাস্টমাইজড অনলাইন’ বিজ্ঞপনের জন্য ব্যবহার করছে এবং এ বিষয়ে কোম্পানি দুইটি দক্ষিণ কোরিয়ার ব্যবহারকারীদের কোনো পরিষ্কার বার্তাও দেয়নি। মানে তাদের এই কাজ সম্পর্কে দক্ষিণ কোরিয়ার গ্রাহকরা অবহিত নয়।

এর ফলস্বরূপ গুগলকে ৪৯.৭ মিলিয়ন ডলার ও ফেসবুককে ২২.১ মিলিয়ন ডলার জরিমানা করা হয়েছে।

যদিও এ বিষয়ে গুগল ও মেটা কোনো তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়া জানায়নি এবং আত্মপক্ষ সমর্থন করেও কোনো বক্তব্য দেয়নি।

এসএইচ-১৬/১৪/২২ (প্রযুক্তি ডেস্ক)

বেশ কিছু পরীক্ষার জন্য ফের হাসপাতালে যেতে হবে খালেদা জিয়াকে

আবারও কিছু দিনের মধ্যেই হাসপাতালে নেওয়া হতে পারে বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়াকে। বেশ কিছু পরীক্ষা নিরীক্ষা করা হতে পারে তার শরীরে। যেসব টেস্ট বাসায় রেখে সম্ভব নয়। তার শরীরের বেশ কিছু অর্গান দুর্বল হয়ে পড়ার কারণে সেগুলো আরেকটু শক্তিশালী হয়ে ওঠার পরই তাকে হাসপাতালে নেওয়া হতে পারে। বিশেষ করে তার হৃৎপিণ্ডে রয়ে যাওয়া আরো দু’টি ব্লক-এর বিষয়ে সিদ্ধান্ত গ্রহণের আগে নতুন করে এই টেস্টগুলো করার প্রয়োজন রয়েছে। সংশ্লিষ্ট চিকিৎসকদের সূত্রে এসব তথ্য জানা গেছে।

মেডিকেল বোর্ডের একজন সদস্য জানান, ‘ক্রনিক লিভার ডিজিজ’ এর কারণেই প্রায়শই কিছুটা জটিলতার সৃষ্টি হচ্ছে সাবেক এই প্রধানমন্ত্রীর শরীরে। এ কারণে বিভিন্ন অর্গানগুলো প্রায়ই ওঠানামা করছে। মেডিকেল বোর্ডের সদস্যরা প্রতিদিন বিভিন্ন রকমের গবেষণাসহ নানা কলাকৌশল অবলম্বন করেই মূলত বেগম খালেদা জিয়ার ‘পরিপাকতন্ত্রের রক্তক্ষরণ’ সাময়িকভাবে বন্ধ রাখার চেষ্টা করে যাচ্ছেন।

ঢাকার এভারকেয়ার হাসপাতালের বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক অধ্যাপক ডা. শাহাবুদ্দিন তালুকদারের নেতৃত্বে মেডিকেল বোর্ডের তত্ত্বাবধায়নে গুলশানের বাসা ‘ফিরোজায়’ চিকিৎসা চলছে সাবেক এই প্রধানমন্ত্রীর। তবে আশার বিষয় হচ্ছে-আপাতত তার হৃৎপিণ্ড বা পরিপাকতন্ত্রে রক্তক্ষরণ হচ্ছে না।

এ বিষয়ে তার ব্যক্তিগত চিকিৎসক ও বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান অধ্যাপক ডা. এজেডএম জাহিদ হোসেন বাংলাদেশ প্রতিদিনকে বলেন, ‘বিদেশে উন্নত হেলথ সেন্টারে’ নিতে না পারায় তার ‘লিভার সিরোসিস’ এর চিকিৎসাটা এখানে সঠিকভাবে হচ্ছে না। ফলে মাঝে-মধ্যেই জটিলতা দেখা দিচ্ছে। মেডিকেল বোর্ডের তত্ত্বাবধানেই মূলত তার চিকিৎসাটা করা হচ্ছে। সেই মেডিকেল বোর্ডের পক্ষ থেকেই বার বার বলা হচ্ছে যে, লিভার সিরোসিসের মতো রোগের পূর্ণাঙ্গ চিকিৎসা বাংলাদেশে হয় না। এজন্য তাকে দ্রুত বিদেশের কোনো উন্নত হেলথ সেন্টারে নেয়াটা অত্যন্ত প্রয়োজন। কিন্তু সরকার তো তাকে বিদেশে নেয়ার অনুমতি দিচ্ছে না। তাই দেশে রেখে সর্বোচ্চ যেটুকু করা যায়-সেটাই করা হচ্ছে।

এর আগে গত ২৮ আগস্ট গুলশানের বাসা ‘ফিরোজা’ থেকে এভারকেয়ার হাসপাতালে ভর্তি হন বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া। তার আগে গত ২২ আগস্ট খালেদা জিয়াকে গুলশানের ওই হাসপাতালে নিয়ে হৃদযন্ত্রের কয়েকটি পরীক্ষা করা হয়। সেগুলোর প্রতিবেদন পাওয়ার পর মেডিকেল বোর্ড আরো কয়েকটি পরীক্ষা করার জন্য জরুরি ভিত্তিতে তাকে হাসপাতালে নিয়ে যায়। এরপর ৩১ আগস্ট রাতে তিনি আবারও গুলশানের বাসা ‘ফিরোজা’য় ফিরেন।

গত জুন মাসে একই হাসপাতালে বেগম খালেদা জিয়ার হৃৎপিণ্ডের ব্লক অপসারণ করে একটি ‘স্টেন্ট’ বসানো হয়েছিল। ওই সময়ে তার হৃৎপিণ্ডে আরো দু’টি ব্লক ধরা পড়ে। এক সঙ্গে এতগুলো ব্লক-এর অস্ত্রোপচারের ধকল তার পক্ষে কাটিয়ে ওঠা সম্ভব নয় বলে চিকিৎসকরা কিছুটা সময় নিচ্ছেন। ৭৭ বছর বয়সী বেগম খালেদা জিয়া দীর্ঘদিন ধরে হৃৎপিণ্ডের রক্তনালীতে ব্লক, আর্থ্রাটিস, ডায়াবেটিস, কিডনি, ফুসফুস, চোখের সমস্যাসহ নানা জটিলতায় ভুগছেন।

গত বছর এভারকেয়ার হাসপাতালে ভর্তি হওয়ার পর তার ‘পরিপাকতন্ত্রে’ রক্তক্ষরণ এবং লিভার সিরোসিসে আক্রান্ত হওয়ার কথাও জানান চিকিৎসকরা। নানা জটিলতার উন্নত চিকিৎসার দাবি করে তাকে বিদেশে পাঠানোর জন্য কয়েক দফা আবেদন করা হয়েছিল তার পরিবারের পক্ষ থেকে। কিন্তু মুক্তি প্রদানের ক্ষেত্রে শর্তের কথা উল্লেখ করে প্রতিবারই তা নাকচ করে দিয়েছে সরকার। সর্বশেষ গত ১১ সেপ্টেম্বর পরিবারের পক্ষ থেকে উন্নত চিকিৎসার্থে তাকে বিদেশে নেওয়ার জন্য সরকারের কাছে আবেদন জানানো হয়েছে।

এসএইচ-১৫/১৪/২২ (ন্যাশনাল ডেস্ক)

সীমান্তে রোহিঙ্গাদের চাপ বাড়ছে

মিয়ানমারের রাখাইনে মিয়ানমার সেনাবাহিনীর অভিযানের মুখে সীমান্তে রোহিঙ্গাদের চাপ আড়ছে। অল্প কিছু রোহিঙ্গা বাংলাদেশে ঢোকার খবর পাওয়া গেলেও বড় আকারের কোনো দল এখনো বাংলাদেশে প্রবেশ করেনি।

আর নোম্যান্স ল্যান্ডে অবস্থানরত রোহিঙ্গারাও আতঙ্কে আছে। তবে বাংলাদেশ সীমান্তে বিজিবি অবস্থান ও টহল জোরদার করায় পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আছে। কক্সবাজারে রোহিঙ্গা ও স্থানীয় লোক জনের সাথে কথা বলে এই তথ্য জানা গেছে।

টেকনাফে কথা বলে জানা গেছে এই মাসের প্রথম সপ্তাহে দুই পরিবারের পাঁচ জন রোহিঙ্গা বাংলাদেশে প্রবেশ করেছে। তাদের একজন দিলারা বেগম তার শিশু সন্তানকে নিয়ে পালিয়ে এসেছেন। তার স্বামীকে হত্যা করা হয়েছে বলে তিনি জানিয়েছেন। তারা এখন কুতুপালং ক্যাম্পে আশ্রয় নিয়েছেন।

এরা সবাই রাখাইনের বুধিডং এলাকার বাসিন্দা। তারা নির্যাতনের মুখে মংডু হয়ে নাফ নদী পাড় হয়ে টেকনাফ সীমান্ত দিয়ে বাংলাদেশে প্রবেশ করেছে। ওই রোহিঙ্গা নারী জানিয়েছেন, আরো তিনটি পরিবার সেখান থেকে পালিয়ে বাংলাদেশে এসেছে। তাদের বাংলাদেশে আসতে ১১ দিন লেগেছে।

কুতুপালং ক্যাম্পের রোহিঙ্গা শরণার্থী নূর মোহাম্মদ বাংলাদেশে এসেছেন ২০১৮ সালে। তার পরিবার বা আত্মীয় স্বজন এখন আর কেউ মিয়ানমারে নাই। তিনি জানান,”আমরা খবর পেয়েছি সেখানে(রাখাইনে) এখন আবার নির্যাতন করা হচ্ছে। ঘরবাড়িও জ্বালিয়ে দেয়া হচ্ছে। অনেকেই সীমান্ত এলাকায় এসে অবস্থান করছেন। বাংলাদেশে ঢুকতে চাচ্ছেন। কিন্তু ঢুকতে পারছেন না। তবে দুই-তিনজন করে প্রবেশ করছেন বলে আমরা খবর পেয়েছি। তারা বিভিন্ন ক্যাম্পে আছে। গত কয়েক সপ্তাহ ধরে এই পরিস্থিতি চলছে। ”

কুতুপালং উপজেলার রাজা পালং ইউপি সদস্য মোহাম্মদ হেলাল উদ্দিন জানান,”আমরা খবর পেয়েছি বিভিন্ন সীমান্ত দিয়ে গত কয়েকদিনে ২০-৩০ জন রোহিঙ্গা কক্সবাজারে প্রবেশ করেছে। প্রথমে তারা ট্রানজিট ক্যাম্পে আশ্রয় নিয়েছিলো। পরে তাদের বিভিন্ন ক্যাম্পে পাঠানো হয়েছে।”

স্থানীয় সূত্র জানায়, মিয়ানমারের ওপারে বাংলাদেশে প্রবেশের জন্য কয়েক হাজার রোহিঙ্গা অবস্থান নিয়েছেন। নাইক্ষ্যংছড়ির ঘুমধুম, উখিয়া ও টেকনাফের বিভিন্ন সীমান্তে তারা অবস্থান করছেন। নোম্যান্স ল্যান্ডে থাকা চার-পাঁচ হাজার রোহিঙ্গাও আতঙ্কে আছেন।

উখিয়া উপজেলা চেয়ারম্যান অধ্যক্ষ হামিদুল হক চৌধুরী জানান,”পরিস্থিতি ২০১৭ সালের দিকে যাচ্ছে। রাখাইনে প্রতিদিনই গোলাগুলি হচ্ছে। আমাদের কাছে যে খবর আছে তাতে সেখানে এখনো যে রোহিঙ্গারা আছে তারা সীমান্তের দিকে চলে আসছে ভয়ে। সেখানকার পরিস্থিতি শান্ত না হলে তারা বাংলাদেশে ঢুকতে বাধ্য হবে। এছাড়া তো তাদের আর উপায় নেই। আর আমরা যারা সীমান্ত এলাকায় আছি তারাও ভয়ের মধ্যে আছি। এখনো রোহিঙ্গারা বড় সংখ্যায় ঢুকছে না। তবে প্রতিদিনই বিভিন্ন সীমন্ত দিয়ে অল্প কিছু রোহিঙ্গা বাংলাদেশে ঢুকছে বলে আমাদের কাছে তথ্য আছে।”

তবে কক্সবাজার এপিবিএন-এর অধিনায়ক সৈয়দ হারুন অর রশীদ জানান,”বিজিবি সীমান্তে শক্ত অবস্থান নেয়ায় কোনো রোহিঙ্গা বাংলাদেশে ঢুকতে পারছে না। আমরা ক্যাম্পে অবস্থান করি। নতুন কোনো রোহিঙ্গা ক্যাম্পে এসেছে বলে আমাদের কাছে তথ্য নেই।”

রাখাইনে আরাকান আর্মির বিরুদ্ধে অভিযান পরিচালনা করছে মিয়ানমারের সামরিক বাহিনী। আর এই অভিযান পরিচালনা করতে গিয়ে তারা গত এক মাসে বেশ কয়েকবার বাংলাদেশের স্থল এবং আকাশ সীমা লঙ্ঘন করেছে। তারা সীমান্তে অভিযান চালাচ্ছে বলে তাদের গোলাগুলি কক্সবাজারে এসে পড়ছে। এতে বাংলাদেশিদের মধ্যে সীমান্তে আতঙ্ক বিরাজ করছে। কয়েক দফায় মিয়ানমারের রাষ্ট্রদূতকে ডেকে কড়া প্রতিবাদ জানানোর পরও থামছে না মিয়ানমার।

২০১৭ সালের আগস্টে রাখাইনে রোহিঙ্গাদের বিরুদ্ধে অভিযান শুরুর পর আট লাখ রোহিঙ্গা বাংলাদেশে আশ্রয় নেয়। তাদের সংখ্যা এখন ১২ লাখে দাঁড়িয়েছে। তারা এখন ভাসানচরসহ ২৭টি ক্যাম্পে অবস্থান করছেন। এপর্যন্ত নানা প্রতিশ্রুতি দিলেও একজন রোহিঙ্গাকেও ফেরত নেয়নি মিয়ানমার। বাংলাদেশ এপর্যন্ত আট লাখ ২৯ হাজার ৩৬ জনের তালিকা দিয়েছে মিয়ানমারকে।

এসএইচ-১৪/১৪/২২ (হারুন উর রশীদ স্বপন, ডয়চে ভেলে)

সাংবাদিকদের ওপর হামলা: ৬ আসামির জামিন আবেদন ফেরত

রাজশাহীতে পেশাগত দায়িত্ব পালনের সময় সাংবাদিকদের ওপর হামলার ঘটনায় করা মামলায় ৬ আসামির জামিনের জন্য আবেদন শুনানির অনুমতি না দিয়ে ফেরত দিয়েছেন হাইকোর্ট।

বুধবার বিচারপতি মো. রেজাউল হাসান ও বিচারপতি মো. আতাবুল্লাহর হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আবেদন ফেরত দেন।

আদালতে আবেদনের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী হেলাল উদ্দিন মোল্লা। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল এমরান আহম্মদ ভূঁইয়া।

পরে ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল এমরান আহম্মদ ভূঁইয়া জানান, আসামিরা আগাম জামিনের জন্য আদালতে হাজির হয়ে জামিন শুনানির জন্য আবেদন করলে আদালত অনুমতি না দিয়ে সরাসরি আবেদন ফেরত দিয়েছেন।

আইনজীবী হেলাল উদ্দিন মোল্লা বলেন, ৭ জনের মধ্যে এক নম্বর আসামি ছাড়া বাকিরা জামিনের জন্য এসেছিলেন। আদালত আবেদন ফেরত দিয়েছেন। আমরা আবেদন ফেরত নিয়ে এসেছি। এখন অন্য আদালতে (হাইকোর্টের অন্য বেঞ্চে) যাব।

গত ৫ সেপ্টেম্বর সকালে রাজশাহীর বরেন্দ্র বহুমুখী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (বিএমডিএ) কার্যালয়ে পেশাগত দায়িত্ব পালনকালে এটিএন নিউজের রাজশাহী প্রতিনিধি বুলবুল হাবিব ও ক্যামেরা পার্সন রুবেল ইসলামের ওপর হামলা চালানো হয়। ভেঙে ফেলা হয় তাদের ক্যামেরা ও বুম। এ ঘটনায় রুবেল ইসলামের কানের পর্দা ফেটে যায়।

হামলার শিকার এটিএন নিউজের প্রতিনিধি বুলবুল হাবিব বাদী হয়ে একইদিন রাতে ১৭ জনের বিরুদ্ধে থানায় মামলা করেন। মামলায় সাতজনের নাম উল্লেখ করা হয়। এছাড়া ৮ থেকে ১০ জনকে অজ্ঞাত আসামি করা হয়।

আসামিরা হলেন- বিএমডিএর নির্বাহী পরিচালক আব্দুর রশিদ (৫৫), ভাণ্ডার রক্ষক মো. জীবন (৪২), নির্বাহী পরিচালকের দফতরের অফিস সহকারী সেলিম (৪১), নির্বাহী পরিচালকের একান্ত সহকারী নুরুল ইসলাম (৪৫), আনসার সদস্য এনামূল (৩৫), অফিস সহকারী ফারুক (৪০) ও গাড়িচালক আব্দুস সবুর (৪২)।

এসএইচ-১৩/১৪/২২ (নিজস্ব প্রতিবেদক)

এক বছর ব্যালটে ভোট নেবে না ইসি

সিটি করপোরেশনসহ যেসব এলাকায় আগে যেকোনো নির্বাচনে ইভিএমের ব্যবহার হয়েছে, জাতীয় নির্বাচনে সেসব আসনেই ইভিএমে ভোট হবে। এমনটাই জানিয়েছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। ভোটারদের অভ্যস্ত করতে আগামী এক বছরে আর কোনো নির্বাচনে ব্যালট ব্যবহারের পরিকল্পনা নেই ইসির।

সর্বোচ্চ ১৫০ আসনে ইভিএম ব্যবহারের সিদ্ধান্তের পরই এর পক্ষে-বিপক্ষে নানা মহলে চলে নানা আলোচনা। এরইমধ্যে প্রশ্ন উঠেছে, কোন্ কোন্ আসনে হচ্ছে এ ভোটিং মেশিনের (ইভিএম) ব্যবহার; আবার এসব আসন কীভাবে নির্বাচন করবে কমিশন।

বুধবার সকালে ঢাকার আগারগাঁওয়ে নির্বাচন ভবনে আগামী জাতীয় নির্বাচনের রোডম্যাপ প্রকাশ করেন নির্বাচন কমিশনার অবসরপ্রাপ্ত ব্রিগেডিয়ার জেনারেল আহসান হাবীব খান। অসুস্থ থাকায় প্রধান নির্বাচন কমিশনার কাজী হাবিবুল আউয়াল এ অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন না।

রোডম্যাপ প্রকাশ অনুষ্ঠানে জ্যেষ্ঠ নির্বাচন কমিশনার আহসান হাবিব খান প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেন। তিনি বলেন, কর্মপরিকল্পনা প্রণয়নের উদ্দেশ্য একটাই- অবাধ, সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ, গ্রহণযোগ্য ও অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন করা। আমরা অনেক প্রশ্নের সম্মুখীন এবং আমরা অনেক আস্থার ঘাটতির মধ্যে আছি। আমাদের কর্মকাণ্ড দিয়ে প্রমাণ দিয়েছি, আমরা কিছুটা হলেও আগের থেকে আস্থা অর্জনে এগিয়ে গেছি।

এদিকে, নির্বাচন কমিশনার রাশেদা সুলতানা এমিলি বলেন, পরিকল্পনা ধরেই এগিয়ে যাব আমরা। সবার সহযোগিতা পেলে অংশগ্রহণমূলক ও সুন্দর নির্বাচন উপহার দিতে সক্ষেম হব।

ইসি দাবি করছে, একাদশ সংসদ নির্বাচনে ইভিএমে ৪৪-৬২ শতাংশ ভোট কাস্ট হয়েছে। এছাড়া জাতীয় সংসদের উপনির্বাচনে ১২টি আসনে ২৭ দশমিক ০৫ শতাংশ, ছয়টি সিটি করপোরেশন নির্বাচনে ৩৮ দশমিক ৩৭ শতাংশ, ১৯টি উপজেলায় ২৮ দশমিক ৯৫ শতাংশ, ১৭১টি পৌরসভায় ৫৮ দশমিক ৭০ শতাংশ এবং ৫১৮টি ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে ৬৮ দশমিক ৭২ শতাংশ ভোট কাস্ট হয়েছিল।

ইসি রোডম্যাপে উল্লেখ করেছে, ইভিএম ব্যবহারের বিষয়ে সংলাপে অংশগ্রহণকারী ২৯টি রাজনৈতিক দলের মধ্যে এর পক্ষে মত দিয়েছে ১৭টি দল। আর ১২টি দল এর বিপক্ষে মত দিয়েছে।

এসএইচ-১২/১৪/২২ (ন্যাশনাল ডেস্ক)

মোরগের কণ্ঠে আল্লাহ আল্লাহ ডাক কি কেয়ামতের আলামত?

মোরগের কণ্ঠে আল্লাহ আল্লাহ ডাক! শুনে অবাক হওয়ারই কথা। এমন অবিশ্বাস্য ঘটনাই ঘটেছে পাবনার ঈশ্বরদী উপজেলার ডিগ্রিপাড়া এলাকার সাইদুর মোল্লার বাড়িতে। এখন তার বাড়িতে প্রতিদিন ভিড় করছে দূর-দূরান্ত থেকে আসা কৌতূহলী মানুষ। প্রকাশিত ভিডিও চিত্রে দেখা যায়, ঠিক মানুষের মতো করেই মোরগটি উচ্চৈঃস্বরে আল্লাহ আল্লাহ করে ডাকছে! এলাকাবাসীর দাবি, এটি সৃষ্টিকর্তার বিশেষ কুদরতি প্রদর্শন ছাড়া আর কিছুই নয়।

ইসলাম ধর্ম মতে কেয়ামতের যেসব আলামত রয়েছে তাদের মধ্যে একটি হলো কিয়ামতের পূর্ব মুহূর্তে প্রাণী এবং জড় পদার্থ মানুষের সঙ্গে কথা বলবে। আল্লাহ রাববুল আল-আমিন মানুষকে কথা বলার শক্তি দিয়েছেন। তিনি চাইলে অন্যান্য সৃষ্ট জীবকেও কথা বলার ক্ষমতা দিতে সক্ষম।

এক হাদিস থেকে জানা যায়, একবার জনৈক রাখাল মাঠে ছাগল চরাচ্ছিলেন। হঠাৎ একটি নেকড়ে বাঘ এসে একটি ছাগলের ওপর আক্রমণ করল। রাখাল বাঘের পিছনে ধাওয়া করে ছাগলটি ছিনিয়ে আনলেন। বাঘটি একটি টিলার ওপর বসে বলতে লাগলো: তুমি কী আল্লাহকে ভয় কর না? আল্লাহ আমাকে একটি রিজিক দিয়েছিলেন। আর তুমি তা ছিনিয়ে নিলে।

রাখাল বলল: কী আশ্চর্য ব্যাপার! মানুষের ন্যায় বাঘও আমার সঙ্গে কথা বলছে। বাঘ বলল: আমি কি তোমাকে এর চেয়ে আশ্চর্যজনক খবর দেব না? মদিনায় হজরত মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম অতীতে যা ঘটেছে এবং আগামীতে যা ঘটবে তা সম্পর্কে মানুষকে সংবাদ দিচ্ছেন।

রাখাল তার ছাগলের পাল নিয়ে মদিনায় প্রবেশ করে ছাগলগুলো এক স্থানে রেখে রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের কাছে এলেন। ততক্ষণে নামাজের সময় হয়ে গেল। নামাজ শেষে রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম রাখালকে বললেন, ‘তুমি সবার সামনে ঘটনা খুলে বল।’ সে ঘটনা বর্ণনা শেষ করলে নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বললেন, ‘রাখাল সত্য বলেছে।

ওই আল্লাহর শপথ! যার হাতে আমার প্রাণ ততদিন পর্যন্ত কিয়ামত সংঘটিত হবে না যতক্ষণ না হিংস্র প্রাণী মানুষের সাথে কথা বলবে। মানুষ তার হাতের লাঠির সাথে কথা বলবে, পায়ের জুতার সাথে কথা বলবে। এমনকি ঘরের স্ত্রী তার স্বামীর অনুপস্থিতে কি করছে শরীরের অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ তাকে বলে দেবে।’

সম্প্রতি বাংলাদেশে ঘটে যাওয়া মোরগের কণ্ঠে আল্লাহ আল্লাহ ডাক বিষয়টি নিয়ে কথা হয় একজন ইসলামী চিন্তাবিদের সঙ্গে। এ ঘটনার ব্যাপারে ইসলাম কী বলে। সে প্রশ্নই ছিল তার কাছে।

এ প্রসঙ্গে মুফতি মাহমুদুল হক জালীস বলেন, কেয়ামতের আগে কী কী ঘটবে বা আলামত প্রকাশ পাবে তার অনেক কিছুই নবীজি আমাদের বলে গেছেন। তার মধ্যে একটা আলামত হলো জড় পদার্থ বা হিংস্র প্রাণীও মানুষের সঙ্গে কথা বলবে। যেহেতু মোরগের মুখ থেকে আল্লাহ আল্লাহ ডাক উচ্চারিত হচ্ছে, তার মানে আমরা বলতে পারি কেয়ামতের যে ছোট আলামত রয়েছে এটার মাধ্যমে তার কিছুটা হলেও প্রকাশ ঘটেছে।

তিনি আরও বলেন, মোরগ আল্লাহ আল্লাহ ডাকছে-এটাকে আল্লাহর কুদরতি ক্ষমতার প্রকাশ হিসেবেও মন্তব্য করা যায়।

কেয়ামত কবে বা কখন সংগঠিত হবে এ বিষয়ে নির্দিষ্ট কোনো দিন বা তারিখের কথা কোথাও উল্লেখ নেই। ইসলাম ধর্ম মতে, একজন প্রাণীর যেমন মৃত্যু নিশ্চিত, ঠিক তেমনই মহাপ্রলয়ের মাধ্যমে একদিন কেয়ামত সংগঠিত হবে সেটাও নিশ্চিত। তবে কেয়ামতের আগে, কী কী হবে বা কী কী ঘটতে পারে তার ব্যাখ্যা পবিত্র কোরআন শরীফ ও হাদিসে বর্ণনা করা আছে। যার অনেক কিছুই এখন সময়ের সাথে আমাদের সামনে স্পষ্ট হয়ে উঠছে।

এসএইচ-১১/১৪/২২ (অনলাইন ডেস্ক)

সোনার দাম কমলো

দেশের বাজারে সোনার দাম কমিয়েছে বাংলাদেশ জুয়েলার্স সমিতি (বাজুস)। ভালো মানের সোনার দাম ভরিতে এক হাজার ২৮৩ টাকা কমানো হয়েছে। ফ‌লে ২২ ক্যারেটের প্রতি ভ‌রি সোনার দাম কমে দাঁড়াবে ৮৩ হাজার ২৮১ টাকা। যা এতদিন ছিল ৮৪ হাজার ৫৬৪ টাকা।

বুধবার সন্ধ্যায় এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানিয়েছে বাজুস। বৃহস্পতিবার (১৫ সেপ্টেম্বর) থেকে সারা দেশে নতুন এ দাম কার্যকর হবে।

বাজুস জানায়, স্থানীয় বাজারে তেজাবি স্বর্ণের (পিওর গোল্ড) দাম কমেছে। সার্বিক পরিস্থিতি বিবেচনায় এনে দেশের বাজারে স্বর্ণের নতুন দাম নির্ধারণ করা হ‌য়ে‌ছে।

নতুন দাম অনুযায়ী, ১৫ সেপ্টেম্বর থেকে ভালো মানের ২২ ক্যারেটের প্রতি ভরি (১১ দশমিক ৬৬৪ গ্রাম) সোনার দাম ১ হাজার ২৮৩ টাকা কমিয়ে ৮৩ হাজার ২৮১ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে। এর আগে, দেশের বাজারে ভালো মানের প্রতি ভরি সোনার সর্বোচ্চ দাম ৮৪ হাজার ৫৬৪ টাকা হয়েছিল।

এ ছাড়া, ২১ ক্যারেটের প্রতি ভরি স্বর্ণের দাম ১ হাজার ২২৫ টাকা কমে ৭৯ হাজার ৪৯০ টাকা করা হয়েছে। ১৮ ক্যারেটের দাম কমানো হয়েছে ১ হাজার ৫০ টাকা, এখন বিক্রি হবে ৬৮ হাজার ১১৮ টাকা। সনাতন পদ্ধতির স্বর্ণের দাম ভরিতে ৯৩৩ টাকা কমিয়ে নির্ধারণ করা হয়েছে ৫৬ হাজার ৪৫৪ টাকায়।

রুপার দাম অপরিবর্তিত রাখা হয়েছে। ক্যাটাগরি অনুযায়ী, ২২ ক্যারেটের প্রতি ভরি রুপার দাম ১ হাজার ৫১৬ টাকা। ২১ ক্যারেটের রুপার দাম ১ হাজার ৪৩৫ টাকা, ১৮ ক্যারেটের রুপার দাম ১ হাজার ২২৫ টাকা এবং সনাতন পদ্ধতির রুপার দাম ৯৩৩ টাকা অপরিবর্তিত আছে।

এসএইচ-১০/১৪/২২ (ন্যাশনাল ডেস্ক)

আলিয়া ভাটের বেবি শাওয়ারে আমন্ত্রিত যারা

‘ব্রহ্মাস্ত্র’র সফলতায় প্রশংসায় ভাসছেন বলিউডের জনপ্রিয় জুটি আলিয়া-রণবীর। এদিকে, শীঘ্রই তাদের জীবনে আসতে চলেছে নতুন অতিথি।

চলতি মাসের শেষের দিকেই আলিয়ার বেবি শাওয়ার অনুষ্ঠানের আয়োজন হবে বলে গুঞ্জন। এ উপলক্ষে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে পরিবারের সদস্য ও ঘনিষ্ঠ বন্ধুদের।

জানা গেছে, নীতু কাপুর এবং সোনি রাজদান আলিয়ার বেবি শাওয়ারে শুধু মেয়েদেরই অতিথি তালকায় রাখার পরিকল্পনা করছেন।

পরিবার এবং ঘনিষ্ঠ বন্ধুদের নিয়েই আয়োজিত হবে এ অনুষ্ঠান। তাতে উপস্থিত থাকবেন, আলিয়ার বোন শাহিন ভাট, ননদ কারিনা কাপুর খান, কারিশমা কাপুর এবং বান্ধবী আকাঙ্খা রঞ্জন, অনুষ্কা রঞ্জনসহ আরও অনেকে।

এছাড়াও, নভ্যা নভেলি নন্দা, শ্বেতা বচ্চন, আরতি শেট্টি এবং আলিয়া ভাটের ছোটবেলার বন্ধুরাও এ অনুষ্ঠানে যোগ দেবেন বলে গুঞ্জন শোনা যাচ্ছে।

এসএইচ-০৯/১৪/২২ (বিনোদন ডেস্ক)

এই দেশে যোগ্য লোকের মূল্যায়ন হয় না: মাহমুদউল্লাহর স্ত্রী

লম্বা সময় ধরে খারাপ ফর্মে থাকায় অনুমিতভাবেই টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের দলে নেই সাবেক অধিনায়ক মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ। তার দলে না থাকাটা ঠিক স্বাভাবিকভাবে নিতে পারছেন না স্ত্রী জান্নাতুল কায়সার মিষ্টি। তার মতে এই দেশে যোগ্য লোকের কোন মূল্যায়ন হয় না।

সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে নিজের প্রোফাইলে মিষ্টি লিখেছেন, ‘এই দেশে যোগ্য লোকের যোগ্যতার মূল্যায়ন হয় না,হবেও না!…’

পরে একটি মন্তব্যের জবাবে শ্লেষাত্মক স্বরে তিনি লিখেছেন, ‘তাদের দলে শুধু হার্ড হিটার আছে, বলে বলে ছয়।’

বাংলাদেশের হয়ে সবচেয়ে বেশি ১২১ টি-টোয়েন্টি খেলা মাহমুদউল্লাহর ব্যাট সাম্প্রতিক সময়ে ছিল বেশ মলিন। গত টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ থেকে এশিয়া কাপের আগ পর্যন্ত ১৪ ইনিংসে ১৭.৪১ গড় ও ১০০.৪৮ স্ট্রাইক রেটে ২০৯ রান করেন মাহমুদউল্লাহ। এশিয়া কাপেও তিনি কিছু করে দেখাতে পারেননি। আফগানিস্তানের বিপক্ষে ২৭ বলে করেন ২৫ রান, শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে তার ব্যাট থেকে আসে ২২ বলে ২৭। টিম ডিরেক্টর খালেদ মাহমুদ সুজনের ভাষায় যা প্রত্যাশা পূরণের মতো নয়।

গত বিশ্বকাপে মাহমুদউল্লাহ ছিলেন বাংলাদেশের অধিনায়ক। তার অধীনে কোন মতে কোয়ালিফায়ার রাউন্ড পেরুলেও সুপার টুয়েলভে সব ম্যাচ হারে বাংলাদেশ। দলের বেহাল দশায় নীরব ছিল অধিনায়কের ব্যাট। বিশ্বকাপের পর নাজুক অবস্থায় নেতৃত্ব ধরে রাখেন ৩৭ বছরের এই ব্যাটার।

তবে গত জিম্বাবুয়ে সফরের আগে বাধ্যতামূলক বিশ্রামের আদলে বাদ দেওয়া হয় মাহমুদউল্লাহকে। যদিও সিরিজের শেষ ম্যাচে আবার নাটকীয়ভাবে ফেরেন, তবে পাননি নেতৃত্ব।

অভিজ্ঞ মাহমুদউল্লাহ টেস্ট থেকে গত বছর অবসরে গেছেন। টি-টোয়েন্টি দল থেকে এবার বাদ পড়লেন। কেবল ওয়ানডেতেই এখনো জায়গা আছে তার।

এসএইচ-০৮/১৪/২২ (স্পোর্টস ডেস্ক)

আ. লীগ সরকার আসার আগে কে এত কথা বলার সুযোগ পেয়েছে’

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, ‘এখন আপনারা টকশো করেন, যে যার মতো কথা বলেন, আওয়ামী লীগ সরকার আসার আগে কে এত কথা বলার সুযোগ পেয়েছে?’

সাম্প্রতিক ভারত সফর নিয়ে বুধবার বিকেলে গণভবনে সংবাদ সম্মেলনে এসে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে প্রধানমন্ত্রী এ কথা বলেন।

‘আওয়ামী লীগ একটানা ক্ষমতায় আছে, দেশের গণতান্ত্রিক ধারা অব্যাহত আছে’ উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, ‘৭৫ সালে জাতির পিতাকে হত্যার পর বারবার ক্যু হচ্ছিল। একজন মিলিটারি ডিক্টেটরের পর আরেকটা মিলিটারি ডিক্টেটর অথবা ডিক্টেটরের স্ত্রী ক্ষমতা নিয়ে গেল ক্যান্টনমেন্টের ভেতরে। জনগণের কী ছিল তখন? জনগণের কি আদৌ কোনো অধিকার ছিল। সারারাত কারফিউ, কথা বলা অধিকার নেই। সাদা মাইক্রোবাসে কে কখন গায়েব হয়ে যেত, এই তো ছিল বাংলাদেশের অবস্থা।’

তিনি বলেন, ‘এখন আপনারা টকশো করেন, যে যার মতো কথা বলেন, আওয়ামী লীগ সরকার আসার আগে কে এত কথা বলার সুযোগ পেয়েছে? পায়নি। একটা টেলিভিশন, একটা রেডিও। কোথায় টকশো, আর কোথায় মিস্টি কথা? কথা বলার তো কোনো অধিকার ছিল না।’

‘এখন সব কথা বলার পর বলে কথা বলার অধিকার নেই। এটাও শুনতে হয়। আজকে রাস্তায় অন্দোলন। জনগণ সাড়া না দিলে, সেটা তো আমাদের দায়িত্ব না। আওয়ামী লীগ যে বিএনপির হাতে নির্যাতিত, সেটা কি ভুলে গেছেন,’ যোগ করেন তিনি।

আগামী নির্বাচন প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘ভবিষ্যৎ নির্বাচনে কে কোথায় থাকবে সেটা সময় বলে দেবে। আওয়ামী লীগ উদারভাবে কাজ করে, আওয়ামী লীগের দরজা খোলা। আমরা সরকারে আসার পর থেকে দেশের উন্নয়ন করতে পেরেছি।’

প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমাদের উন্নয়নের সবকিছু গ্রাম পর্যায় থেকে। করোনার সময় আমরা গ্রামে প্রচুর অর্থ সরবরাহ করেছি। মানুষ যেন কোনোভাবে কষ্ট না পায়, সেই চেষ্টা করেছি। অবশ্যই জনগণ আওয়ামী লীগকে ভোট দেবে, এটা আমি দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করি, যদি উন্নয়নের ধারা অব্যাহত রাখতে চান। আর না চাইলে তো কিছু করার নেই, সেটা জনগণের ইচ্ছা।’

তিনি বলেন, ‘নির্বাচনে যারা সবসময় আমাদের সঙ্গে ছিল, তারা আমাদের সঙ্গে থাকবে। এতে আমাদের কোনো আপত্তি নেই। যে কোনো নির্বাচনে নমিনেশনে পরিবর্তন তো খুব স্বাভাবিক বিষয়। অবশ্যই আমরা যাচাই করে দেখব কার জেতার সম্ভাবনা আছে, কার নেই। আমাদের বেশ কিছু নিবেদিতপ্রাণ কর্মী আছেন বয়োবৃদ্ধ হয়ে গেছেন, তাদের আর কষ্ট দিতে চাই না। এটা নির্বাচনকে সামনে রেখে, কে ভোট পাবে বা না পাবে, জিতবে কি না, সবকিছু বিবেচনা করে নির্বাচনে যাওয়া হয়।’

নির্বাচনের প্রায় ১ বছরের বেশি সময় বাকি আছে উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘সময় যত যাবে, ততই বিষয়টি পরিষ্কার হবে। আমাদের সঙ্গে কে থাকবে না থাকবে, বা নতুন জোট হবে হোক, অসুবিধা নেই। সবাই নির্বাচনে পার্টিসিপেট করুক, সেটাই আমরা চাই। আর যদি কেউ না করে, সেটা যার যার দলের সিদ্ধান্ত। এখানে আমরা সংবিধান তো বন্ধ করে রাখতে পারি না। সংবিধানের ধারা অনুযায়ী, গণতান্ত্রিক ধারা অব্যাহত থাকবে। আমরা চাই গণতান্ত্রিক ধারা অব্যাহত থাকুক।’

প্রধানমন্ত্রী আরও বলেন, ‘আওয়ামী লীগের ওপর তো সবাই চড়াও হয়েছে। লাশ টানতে টানতে আর আহতদের চিকিৎসা করাতে করাতে নাভিশ্বাস উঠেছিল আমাদের। আজ তো সেই পরিবেশ নেই।’

এসএইচ-০৭/১৪/২২ (ন্যাশনাল ডেস্ক)