রাত ১০:২৩
রবিবার
১৯ শে মে ২০২৪ ইংরেজি
৫ ই জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
১১ ই জ্বিলকদ ১৪৪৫ হিজরী
spot_img

ওমিক্রনে শুধু যুক্তরাজ্যেই মারা যেতে পারে ৭৫ হাজার মানুষ

বিশ্বজুড়ে এখন আতংকের এক নতুন নাম করোনাভাইরাসের ওমিক্রন ভ্যারিয়েন্ট। দক্ষিণ আফ্রিকায় প্রথম শনাক্ত হওয়া অতিসংক্রামক এই ধরনে আক্রান্ত হয়ে আগামী ৫ মাসে ইংল্যান্ডে ২৫ হাজার থেকে ৭৫ হাজার মানুষের প্রাণহানি হতে পারে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন ব্রিটিশ বিজ্ঞানীরা।

তারা বলছেন, এখনই কঠোর বিধিনিষেধ আরোপ করা না হলে আগামী বছরের এপ্রিলের মধ্যে দেশটিতে বিপুল সংখ্যক এই প্রাণহানি হতে পারে। গত শনিবার এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম দ্য গার্ডিয়ান।

লন্ডন স্কুল অব হাইজিন অ্যান্ড ট্রপিক্যাল মেডিসিনের (এলএসএইচটিএম) বিজ্ঞানীরা সতর্ক করে দিয়ে বলছেন, চলতি মাসের শেষের দিক থেকেই করোনা আক্রান্তদের সংক্রমিত হওয়ার প্রধান ধরন হয়ে উঠতে পারে ওমিক্রন। আর এতে করে জানুয়ারিতে বেশ বড় সংক্রমণের ঢেউ দেখা দিতে পারে যুক্তরাজ্যজুড়ে।

বিজ্ঞানীদের মতে, সবচেয়ে আশাব্যাঞ্জক পরিস্থিতির কথা মাথায় রাখলেও ওমিক্রনের কারণে সংক্রমণ চূড়ায় উঠলে দৈনিক হাসপাতালে ভর্তি রোগীর সংখ্যা ২ হাজার ছাড়িয়ে যেতে পারে। এই হিসেবে ১ ডিসেম্বর থেকে ৩০ এপ্রিল পর্যন্ত কম করে হলেও হাসপাতালে ভর্তি হওয়া রোগীর সংখ্যা ছাড়াতে পারে পৌনে দুই লাখ এবং প্রাণহানি হতে পারে ২৪ হাজার ৭০০।

অন্যদিকে সবচেয়ে খারাপ পরিস্থিতির ক্ষেত্রে এই গবেষণা অনুসারে, আগামী এপ্রিলের শেষের মধ্যে ভাইরাস আক্রান্ত প্রায় পাঁচ লাখ মানুষকে হাসপাতালে ভর্তি করতে হতে পারে। দৈনিক হাসপাতালে ভর্তির সংখ্যা চলতি বছরের জানুয়ারি মাসের সর্বাধিক সংখ্যার তুলনায় প্রায় দ্বিগুণ হতে পারে।

যুক্তরাজ্যের প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন ইতোমধ্যেই বলেছেন, করোনার ডেল্টা ভ্যারিয়েন্টের চেয়েও সংক্রামক হতে পারে ওমিক্রন। আর তাই এখন থেকেই সব ধরণের প্রস্তুতি নিয়ে রাখছে দেশটি।

এসএইচ-০৬/১৩/২১ (আন্তর্জাতিক ডেস্ক)

দেশে শিগগিরই বুস্টার ডোজ দেওয়ার নির্দেশ

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার ‘ভ্যারিয়েন্ট অব কনসার্ন’ হিসেবে ঘোষিত করোনাভাইরাসের নতুন ধরন ওমিক্রন সম্পর্কে সতর্ক থাকতে মন্ত্রিপরিষদের সবাইকে বিশেষ নির্দেশনা দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। একই সঙ্গে দেশে শিগগিরই বুস্টার ডোজ দেওয়া শুরু করার জন্য নির্দেশনা দিয়েছেন তিনি।

সোমবার সচিবালয়ে মন্ত্রিসভার বৈঠকে গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে যুক্ত হয়ে এমন নির্দেশনা দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। বৈঠক শেষে এ বিষয়ে সাংবাদিকদের জানিয়েছেন মন্ত্রিপরিষদ সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম।

তিনি জানান, দেশে যে দুজনের ওমিক্রন শনাক্ত হয়েছে, তাদের খুবই সতর্কতার সঙ্গে রাখা হয়েছে। এ সময় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দেশে শিগগিরই বুস্টার ডোজ দেওয়া শুরু করার জন্য নির্দেশনা দিয়েছেন বলেও জানান মন্ত্রিপরিষদ সচিব।

খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম বলেন, ‌‌‘কীভাবে, কবে এবং কাদের বুস্টার ডোজ দেওয়া হবে এবং তা বিনামূল্যে নাকি অর্থের বিনিময়ে দেওয়া হবে- তা নির্ধারণে কাজ করতে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়কে নির্দেশনা দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী।’

এর আগে বৈঠক থেকে বেরিয়ে স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক সাংবাদিকদের জানান, বৈঠকে করোনার নতুন ভ্যারিয়েন্ট ওমিক্রন এবং করোনাভাইরাসের ভ্যাকসিন নিয়ে আলোচনা হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ওমিক্রন মোকাবিলায় প্রস্তুতির বিষয়ে জানতে চেয়েছেন।

স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, এরই মধ্যে দেশে ১১ কোটি ডোজ টিকা দেওয়া হয়েছে। এ মাসে দেড় থেকে দুই কোটি দেওয়া হবে। শিক্ষার্থীদের টিকা দেওয়ার বিষয়ে জানতে চেয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। কিন্তু এ ক্ষেত্রে তেমন অগ্রগতি নাই। এটা বাড়ানোর নির্দেশনা প্রধানমন্ত্রীর।

ওমিক্রন নিয়ে এখনো দেশ ভালো আছে উল্লেখ করে স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, ‘যদিও দুজনের শরীরে ওমিক্রন ধরা পড়েছে। তবে ভালো খবর হলো, এই ভ্যারিয়েন্টে বিশ্বে এখনো কেউ মারা যায়নি এবং এতে (ওমিক্রন) মৃত্যুর হার কম। কিন্তু করোনার এই ভ্যারিয়েন্টটি ছড়ায় বেশি, তাই সবাইকে স্বাস্থ্যবিধি মানতে হবে।’

এসএইচ-০৫/১৩/২১ (ন্যাশনাল ডেস্ক)

রাজশাহীতে মুরাদের বিরুদ্ধে মামলার আবেদন খারিজ

রাজশাহীতে সাইবার ট্রাইব্যুনালে ডা. মুরাদ হাসান ও ইউটিউবার মোহাম্মদ মহিউদ্দিন হেলাল ওরফে নাহিদ হেলালের বিরুদ্ধে তথ্য প্রযুক্তি আইনে বিএনপি নেতার মামলার আবেদন খারিজ করে দেওয়া হয়েছে।

সোমবার দুপুরের দিকে রাজশাহীর সাইবার ট্রাইব্যুনাল আদালতের বিচারক জিয়াউর রহমান মামলার আবেদনটি খারিজ করে দেন। এর আগে তিনি মামলার আবেদনটি গ্রহণ করেছিলেন।

তারেক রহমান ও ব্যারিস্টার জাইমা রহমান সর্ম্পকে কুরুচিপূর্ণ, নারী বিদ্বেষী, কুৎসিত ও মর্যাদাহানিকর মন্তব্য করায় সাবেক তথ্য ও প্রতিমন্ত্রী ডা. মুরাদ হাসান ও নাহিদের নামে মামলার আবেদনটি করা হয়েছিল।

জানা যায়, জাইমা রহমান নিজে থানায় অভিযোগ দেননি, এ ছাড়া বিষয়টি নিয়ে সারা দেশে যেহেতু মামলা হচ্ছে সে কারণে এখানে মামলা হওয়ার যুক্তিকতা নেই।

পাশাপাশি ডা. মুরাদের ভিডিও চিত্র ও কথোপকথনে থেকে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি হতে পারে এমনটা মনে করেননি বিচারক। এই তিনটি পর্যবেক্ষণের ওপর ভিত্তি করে অভিযোগটি মামলা আকারে গ্রহণ না করে খারিজ করে দিয়েছেন আদালত।

এসএইচ-০৪/১৩/২১ (নিজস্ব প্রতিবেদক)

পরীমনির নারাজি আবেদন খারিজ

যৌন হয়রানির মামলায় পুলিশের দেওয়া চার্জশিটের বিরুদ্ধে চিত্রনায়িকা পরীমনির দেওয়া নারাজির আবেদন নাকচ করেছেন আদালত।

সোমবার ঢাকার ৯ নম্বর নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক মোহাম্মদ হেমায়েত উদ্দিন নারাজি নাকচের এ আদেশ দেন।

এরপর নাসির উদ্দিন মাহমুদ, তুহিন সিদ্দিকী অমি এবং শহিদুল আলমের বিরুদ্ধে পুলিশের দেওয়া চার্জশিট আমলে গ্রহণ করেন আদালত।

আসামি শহিদুল আলম পলাতক থাকায় আদালত তার বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেন। একইসঙ্গে আদালত আগামী ৩ মার্চ পরবর্তী শুনানি তারিখ ঠিক করেন আদালত। তবে এদিন শুনানিতে পরীমনি আদালতে হাজির হননি।

এরআগে গত ১ ডিসেম্বর পরীমনি আদালতে হাজির হয়ে নারাজি দাখিল করেন। ওইদিন শুনানির পর ১৩ ডিসেম্বর আদেশের দিন ঠিক করেন।

এর আগে গত ৬ সেপ্টেম্বর মামলায় নাসির উদ্দিন মাহমুদ, তুহিন সিদ্দিকী অমি এবং শহিদুল আলম নামে আরেক ব্যক্তিকে অভিযুক্ত করে চার্জশিট দাখিল করেন তদন্ত কর্মকর্তা সাভার মডেল থানার পরিদর্শক (তদন্ত) কামাল হোসেন।

উল্লেখ্য, গত ১৪ জুন সাভার থানায় ধর্ষণ ও হত্যাচেষ্টার অভিযোগে ব্যবসায়ী নাসির উদ্দিনসহ ছয়জনের বিরুদ্ধে মামলা করেন চিত্রনায়িকা পরীমনি। মামলা দায়েরের পর অভিযানে নামে মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ। ওইদিনই নাসির উদ্দিনসহ পাঁচজনকে উত্তরার একটি বাসা থেকে আটক করে ডিবি পুলিশ।

অভিযানে ওই বাসা থেকে বিপুল পরিমাণ মদ-বিয়ার ও ইয়াবা জব্দ করা হয়। এরপর দিনগত রাত ১২টা ৫ মিনিটে ডিবির গুলশান জোনাল টিমের উপ-পরিদর্শক (এসআই) মানিক কুমার শিকদার বাদী হয়ে রাজধানীর বিমানবন্দর থানায় মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে ৫ জনের বিরুদ্ধে মামলাটি দায়ের করেন।

এসএইচ-০৩/১৩/২১ (বিনোদন ডেস্ক)

শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে হত্যাকাণ্ডের বেশিরভাগেরই বিচার হয়নি!

দেশে গত এক যুগে বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ৩৯টি হত্যাকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে৷ এর বেশিরভাগেরই এখনো বিচার হয়নি৷

গত সপ্তাহে বুয়েটের ছাত্র আবরার হত্যা মামলার রায়ে বুয়েটের ২০ ছাত্রের ফাঁসির আদেশ দেয়া হয়৷ আবরার হত্যা মামলার বিচার দ্রুতবিচার ট্রাইব্যুনালে হওয়ায় মামালার রায় দ্রুত এসেছে বলে দাবি সংশ্লিষ্টদের৷ কিন্তু বাকি হত্যাকাণ্ডগুলোর বিচার প্রক্রিয়া কেন দীর্ঘ হচ্ছে?

অনুসন্ধানে দেখা গেছে, শুধু ১২ বছর নয়, ২০ বছর আগের হত্যাকাণ্ডের বিচারও এখনো ঝুলছে৷ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে হত্যাকাণ্ডের ঘটনা প্রতিদ্বন্দ্বী ছাত্র সংগঠনগুলোর দ্বন্দ্বের কারণে যেমন হয়েছে তেমনি অভ্যন্তরীণ কোন্দলের কারণেও হয়েছে৷ আসামিও হয়েছেন ছাত্ররা৷ ফলে বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই এইসব মামলার সাক্ষী ছাত্র, শিক্ষক এবং শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা৷ যে কারণে মামলার সাক্ষী পাওয়া যায় না বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা৷

তাছাড়া সাক্ষী পাওয়া গেলেও তাদের আদালতে হাজির করা কঠিন৷ আর আসামি ও ভিকটিম একই ছাত্র সংগঠনের হলে শেষ পর্যন্ত তা সমঝোতার পথে চলে যায়৷

সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত খবর অনুযায়ী, গত ১২ বছরের দেশের ১২টি বিশ্ববিদ্যালয়, তিনটি কলেজ ও একটি পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটে মোট ৩৯জন নিহত হয়েছেন৷ নিহতদের মধ্যে ৩৭জন ছাত্র৷ এইসব হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় পাঁচটি ভিন্ন ভিন্ন মামলার সব আসামিই খালাস পেয়েছেন৷ আবরার হত্যাসহ চারটি মামলায় আদালতের রায়ে অভিযুক্তদের শাস্তি হয়েছে৷ তবে কোনো মামলায়ই সর্বোচ্চ আদালতের চূড়ান্ত রায় পাওয়া যায়নি৷

ফলে কোনো দণ্ডই এখনো কার্যকর হয়নি৷

এই সময়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়, বুয়েট এবং শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় বেশ কিছু হত্যাকাণ্ডের জন্য আলোচিত৷ আর ক্ষমতাসীন ছাত্রলীগের বিরুদ্ধেই অভিযোগ বেশি৷ অভ্যন্তরীণ কোন্দলেও এই ছাত্র সংগঠনটির বেশি নেতা-কর্মী খুন হয়েছেন৷ আছে ছাত্রদল ও ইসলামী ছাত্র শিবিরের নামও৷

আবরার হত্যা মামলায় রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী অ্যাডভোকেট আবু আব্দুল্লাহ বলেন, ‘‘বুয়েটের আবরার ছাড়াও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের দুইজন ছাত্র হত্যার মামলা পরিচলনা করতে গিয়ে আমার নানা অভিজ্ঞতা হয়েছে৷ আবরার হত্যা মামলাটি ব্যতিক্রম৷ এটা নিয়ে দেশজুড়ে মানুষ কথা বলেছেন৷ ফলে সাক্ষী পেতে সমস্যা হয়নি৷ আর দ্রুতবিচার ট্রাইব্যুনালে মামলা হওয়ায় রায়ও দ্রত হয়েছে৷ এটা অন্য মামলার ক্ষেত্রে ঘটে না৷’’

তিনি বলেন, ‘‘প্রথমত, সাক্ষী পাওয়া যায় না৷ কারণ এই ধরনের মামলার সাক্ষী হলেন ছাত্র, শিক্ষক, বিশ্ববিদ্যালয় এবং হলের কর্মচারী৷ তারা আসলে সাক্ষী দিতে চান না৷ বন্ধুর বিরুদ্ধে বন্ধু বা ছাত্রের বিরুদ্ধে ছাত্র সাক্ষী দেয় না৷ শিক্ষক, কর্মচারীরা সাক্ষী দেয়াকে ঝামেলা মনে করেন৷ তাই তারা সাক্ষী দেন না৷ একারণে বিচার তো দূরের কথা পুলিশ মামলার তদন্তই অনেক সময় শেষ করতে পারে না৷ আর যে দল ক্ষমতায় থাকে তাদের ছাত্র সংগঠনের নেতা-কর্মীদের হাতে অন্য সংগঠনের নেতা-কর্মী খুন হলেও ভয়ে কেউ সাক্ষী দেয় না৷ একই সংগঠনের ভিতরে হলে শেষ পর্যন্ত সমঝোতার পথে যায়৷’’

তিনি জানান, ১৯৯২ এবং ২০০৩ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে দুইটি হত্যা মামলার এখনো বিচার হয়নি৷ একটি মামলায় সাক্ষী পাওয়া যাচ্ছে না৷ আরেকটি মামলায় সাক্ষীরা আদালতে আসলেও উল্টো সাক্ষী দেয়৷ ফলে উচ্চ আদালত বিচার কাজ স্থগিত করে দিয়েছে৷

সাবেক বিচারক এবং সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী আজিজুর রহমান দুলু বলেন, ‘‘রাজনৈতিক হত্যাকাণ্ডের মামলা এড়িয়ে যাওয়ার প্রবণতা তদন্তকারী ও বিচারক সবার মধ্যেই আছে৷ তারা ঝামেলায় যেতে চান না৷ আর এর সঙ্গে আছে রাজনৈতিক প্রভাব৷ দীর্ঘ সময় বিরতি দিয়ে মামলার তারিখ ফেলে বছরের পর বছর সময়ক্ষেপণ করা হয়৷ এরমধ্যে সাক্ষীরা এবং বাদিরাও আগ্রহ হারিয়ে ফেলেন৷ প্রসিকিউশনেরও অদক্ষতা আছে৷ সব মামলা তো আর দ্রুতবিচার ট্রাইব্যুনালে যায় না৷’’

আর আবু আব্দুল্লাহ বলেন, ‘‘মামলা দ্রুতবিচার ট্রাইব্যুনালে পাঠানোর এখতিয়ার স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের৷ আদালতের নয়৷ এর জন্য আবেদন করতে হয়৷ ট্রাইব্যুনালে তিন সপ্তাহের মধ্যে মামলার তারিখ ফেলার বিধান আছে৷ অন্য আদলতের তো সেই বাধ্যবাধকতা নেই৷’’

এসএইচ-০২/১৩/২১ (হারুন উর রশীদ স্বপন, ডয়চে ভেলে)

পাকিস্তানকে রক্ষায় মরিয়া মার্কিন-চীনের কূটনৈতিক ব্যর্থ

১৩ ডিসেম্বর, ১৯৭১। বিজয়ের দ্বারপ্রান্তে স্বাধীন-সার্বভৌম বাংলাদেশ। চারদিকে বাঙালীর বিজয় নিশান উড়ছে। পাকিস্তানকে রক্ষায় মরিয়া মার্কিন-চীনের কূটনৈতিক চেষ্টাও ব্যর্থ করে দিয়েছে বাংলাদেশের অকৃত্রিম বন্ধু রাষ্ট্র সোভিয়েত ইউনিয়ন।

একাত্তরের রক্তঝরা এদিনে পাকিস্তানের চলমান যুদ্ধ নিয়ে জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদে যুদ্ধবিরতি প্রস্তাবের বিরুদ্ধে রাশিয়া তৃতীয়বারের মতো ভেটো দেয়। রাশিয়ার ভেটোতে যুদ্ধবিরতির প্রস্তাব নাকচ হয়ে না গেলে বাংলাদেশের স্বাধীনতা অর্জন আরও দেরি হতো।

এদিকে দখলদার পাকিস্তানী সেনাবাহিনীর পরাজয় যতই ঘনিয়ে আসতে লাগল বুদ্ধিজীবী অপহরণের পরিমাণ ততই বাড়তে লাগল। একাত্তরের এই দিনে বিবিসির সংবাদদাতা নিজামউদ্দিন আহমদ, দৈনিক পূর্বদেশের শিফট ইনচার্জ এ এন গোলাম মোস্তফাকে তাদের বাসভবন থেকে আলশামস-আলবদর বাহিনী অপহরণ করে। তারা আর ফিরে আসেননি।

১৯৭১ সালের এই দিন দেশের বেশিরভাগ এলাকা শত্রুমুক্ত হয়। পাকিস্তানী বাহিনীকে পরাস্ত করে ঢাকা দখলের চূড়ান্ত প্রস্তুতি নিয়ে এগোচ্ছে দেশের শ্রেষ্ঠ সন্তান বীর মুক্তিযোদ্ধারা। বিজয়ের প্রায় দ্বারপ্রান্তে এসে দাঁড়ায় বীর বাঙালী। বাংলাদেশ নামক দেশের অভ্যুত্থান ঠেকাতে না পেরে বাঙালী জাতিকে নেতৃত্ব ও মেধাশূন্য করতে পাকিস্তানী বাহিনী ও তাদের এ দেশীয় দোসর রাজাকার-আলবদরদের নিয়ে ঘৃণ্য ও বর্বর ষড়যন্ত্র চালানোর পরিকল্পনা বাস্তবায়ন করতে থাকে। চালাতে থাকে শিক্ষক, সাংবাদিকসহ বুদ্ধিজীবীদের বেছে বেছে নিষ্ঠুর ও নির্মম কায়দায় হত্যাযজ্ঞ।

যুদ্ধ জয়ের নিশ্চিত সম্ভাবনা দেখে মিত্রবাহিনী যুদ্ধের কৌশল পরিবর্তন করে। কারণ তারা জানমালের ক্ষতি কম করে পাকিস্তান সেনাবাহিনীকে আত্মসমর্পণের দিকে নিয়ে যায়। ঢাকা দখল তাদের একমাত্র লক্ষ্য। বালীগঞ্জে স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্রের স্টুডিওতে বসে বার্তা বিভাগীয় প্রধান কামাল লোহানী, আলী যাকের, আলমগীর কবির ঘনঘন সংবাদ বুলেটিন পরিবেশন করে চলেছেন। আজ থেকে রেডিও পাকিস্তান ঢাকা কেন্দ্রের অনুষ্ঠান বন্ধ হয়ে গেছে। বাংলাদেশ দখলদার মুক্ত হতে চলেছে এই সংবাদে প্রতিটি বাঙালী উদ্বেলিত। শরণার্থী শিবিরগুলোতে স্বাধীন দেশে ফেরার প্রস্তুতি চলছে। স্বাধীন মানুষের মনে ঘরে ফেরার আনন্দ আর নতুন জীবনের প্রত্যাশা।

আজকের এদিনে চতুর্থ বেঙ্গল চট্টগ্রামের দিকে এগোনোর পথে নাজিরহাটে হানাদাররা বাধা দেয়। এখানে ২৪তম ফ্রন্টিয়ার ফোর্স তাদের তিন কোম্পানি এবং বেশকিছু ইপিসিএএফসহ অবস্থান নিয়েছিল। এখানে ব্যাপক যুদ্ধের পর পালিয়ে যায় হানাদাররা। এদিকে একাত্তরের মুক্তিযোদ্ধা ও মিত্রবাহিনী ঢাকার দিকে যতই অগ্রসর হচ্ছিল, ততই কমছিল কথিত দুর্ধর্ষ পাকিস্তানী জেনারেলদের মনোবল।

উত্তর দিক থেকে জেনারেল নাগরার বাহিনী ও কাদের সিদ্দিকীর নেতৃত্বে মুক্তিযোদ্ধারা এদিন সন্ধ্যায় পাকিস্তানী হানাদার বাহিনীর হাল্কা প্রতিরোধ ব্যর্থ করে কালিয়াকৈর পর্যন্ত এসে পৌঁছেন। একই দিনে বাংলাদেশের নিয়মিত বাহিনীর সর্বপ্রথম ইউনিট হিসাবে ২০-ইবি ঢাকার শীতলক্ষ্যার পূর্বপাড়ে মুরাপাড়ায় পৌঁছে। পূর্ব দিকে ডেমরা ফেরির দিকে অগ্রসরমাণ ভারতীয় বাহিনী পাকিস্তানী প্রতিরোধের মুখে পড়ে। সমুদ্র পথে শত্রুদের পালানোর সুযোগ কমে যাওয়ায় ঢাকায় পাকিস্তানী হানাদারদের সংখ্যা ক্রমাগত বাড়তে থাকে।

ঢাকা চূড়ান্ত লড়াইয়ের স্থল বলে চিহ্নিত হতে থাকায় সম্ভাব্য ক্ষয়ক্ষতির আশঙ্কাও দ্রুত বাড়তে থাকে। ঢাকার আকাশ ভারতীয় বিমানবাহিনীর একচ্ছত্র নিয়ন্ত্রণে থাকায় তারা পাকিস্তানী সামরিক অবস্থানের ওপর তীব্র আক্রমণ চালাতে থাকে। ঢাকার সর্বত্র অগণিত মুক্তিযোদ্ধা ও জনতা ছিল সুযোগের অপেক্ষায়। পাকিস্তানী সেনানায়কদের মনোবল উঁচু রাখার সামান্যতম অবলম্বন কোথাও ছিল না। তাদের একমাত্র ভরসা ছিল যুক্তরাষ্ট্রের হস্তক্ষেপ। কিন্তু এ কাজেও ব্যর্থ যুক্তরাষ্ট্র তাদের সামরিক বৃহৎ নৌযান ২৪ ঘণ্টার নিশ্চল রাখার পর এদিন সপ্তম নৌবহর বঙ্গোপসাগরের দিকে এগোতে শুরু করে।

ইসলামাবাদে বারবার সাহায্যের করুণ আবেদন জানাচ্ছিল পাক হানাদাররা। ইসলামাবাদ থেকে সামরিক কর্তারা ঢাকায় অবস্থানরত ঘাতকদের এই বলে আশ্বস্ত করে, সব কিছু ঠিক হয়ে যাবে, আরও কয়েকটা দিন অপেক্ষা কর। পশ্চিম খন্ডে ভারতীয় বাহিনীকে এমন মার দেয়া হবে যে তারা নতজানু হয়ে ক্ষমা চাইবে ও যুদ্ধ থেমে যাবে। কিন্তু পাকিস্তানী বাহিনীর জন্য সেদিন আর আসেনি।

যুদ্ধ জয়ের নিশ্চয়তা জেনেই বাংলাদেশের অস্থায়ী রাষ্ট্রপতি সৈয়দ নজরুল ইসলাম ও প্রধানমন্ত্রী তাজউদ্দীন আহমদ এক বিবৃতিতে বলেন, বাংলাদেশ থেকে জাতিসংঘের যেসব কর্মী, কূটনৈতিক, প্রতিনিধি ও বিদেশী নাগরিক নিরাপদে সরে আসতে চায় বাংলাদেশ সরকার তাদের সম্ভাব্য সবরকমের সুযোগ-সুবিধা দেবে। প্রবাসী সরকারের মন্ত্রিসভার এক জরুরী বৈঠকে মুক্তাঞ্চলে বেসামরিক প্রশাসন শুরু করার ওপর গুরুত্বারোপ করে। আজ সাতক্ষীরার বেসামরিক প্রশাসন কাজ শুরু করে।

এদিকে শান্তি কমিটি, ডাঃ মালিক মন্ত্রিসভা ও স্বাধীনতা বিরোধী দালালদের বেশিরভাগই অবস্থা বেগতিক দেখে গা-ঢাকা দেয়। কিন্তু এর মধ্যেও ঘাতক আলবদরচক্র সক্রিয় ছিল। যার নির্লজ্জ বহির্প্রকাশ ঘটেছে দেশের সবচেয়ে কৃতী সন্তানদের পরিকল্পিত হত্যাকান্ডে।

এবার মহান বিজয়ের ৫০ বছরপূর্তি অর্থাৎ সুবর্ণজয়ন্তী। তাই এবার ব্যাপক উৎসাহ-উদ্দীপনায় নানা কর্মসূচীর মাধ্যমে স্বাধীনতার পক্ষের মানুষরা পালন করছে বিজয়ের মাসব্যাপী কর্মসূচী।

এসএইচ-০১/১৩/২১ (অনলাইন ডেস্ক)

দল থেকে বাদ পড়ে যা বললেন ব্রড

প্রায় এক যুগের বেশি সময় ধরে ইংল্যান্ডের পেস বোলিং সামলাচ্ছেন ব্রড এবং অ্যান্ডারসন। তবে ফিট থাকা সত্ত্বেও অ্যাশেজের প্রথম টেস্টে জায়গা হয় নি অভিজ্ঞ এই দুই ইংলিশ বোলারের।

তবে ইংল্যান্ডের নির্বাচকরা বলেছেন, লম্বা সিরিজের জন্যই প্রথম ম্যাচে বাদ দেয়া হয়েছে এই দুই বোলারকে। তবে এতে বেশ হতাশ হয়েছেন স্টুয়ার্ট ব্রড।

দীর্ঘ প্রস্তুতির পরও অ্যাশেজের প্রথম টেস্ট থেকে বাদ পড়ায় হতাশ ব্রড। তবে দল থেকে বাদ পরার পরও অবাক নন তিনি। ব্রড বলেন, ‘এর আগে অনেক সময় আমাকে বাদ দেওয়া হয়েছে এবং মাঝে মাঝে এটি সত্যিকারের বিস্ময় হয়ে এসেছে।

সেই তুলনায় (ব্রিজবেন টেস্টে দলে না থাকা) কম বিস্ময়কর ছিল, কারণ পায়ের পেশির চোটের কারণে ভারতের বিপক্ষে সবশেষ সিরিজে আমি দলে ছিলাম না।’

এদিকে ব্রড স্বীকারও করেন কোন ফাস্ট বোলারের জন্য পাঁচটি টেস্ট খেলা সম্ভব নয়। ৩৫ বছর বয়সী ইংলিশ বোলার বলেন, ‘(ব্রিজবেনে) খেলতে না পেরে সত্যিই আমি হতাশ হয়েছিলাম। কিন্তু আমি এটাও বুঝতে পারছি যে এটি একটি ম্যারাথন, স্প্রিন্ট নয়। এবারের মতো ঠাসা সূচিতে টানা পাঁচটি টেস্ট ম্যাচ কখনও হয়নি এবং এটি ক্লান্তিকর হবে, তাই বাস্তবসম্মতভাবে আমার মনে হয় না কোনো পেসারই সবকটি টেস্ট খেলতে পারবে।’

সিরিজের বাকি ম্যাচগুলি খেলতে চান ব্রড। তবে তাকে ছাড়াই যদি দল ভালো করে তবে তাতে দ্বিধা নেই তার। ব্রড বলেন, ‘আমি কি বিশেষ কিছু করার সুযোগ নিয়ে পঞ্চম টেস্টে হোবার্টে মাঠে নামতে চাইব? অবশ্যই। তার আগে যদি আমার খেলার প্রয়োজন না হয়, তার মানে আমরা খুব ভালো কিছু করতে পেরেছি।’

আগামী বৃহস্পতিবার অ্যাডিলেডে শুরু হবে অ্যাশেজের দ্বিতীয় টেস্ট। দিবা-রাত্রির এই ম্যাচ দিয়ে সিরিজে ঘুরে দাঁড়াতে চায় ইংল্যান্ড।

এসএইচ-৩২/১২/২১ (স্পোর্টস ডেস্ক)

জেলা ও দায়রা জজ আদালতে মাতৃদুগ্ধপান কেন্দ্র স্থাপনের নির্দেশ

বিচারপ্রার্থীদের শিশুদের জন্য সুবিধাজনক স্থানে মাতৃদুগ্ধপান কেন্দ্র স্থাপন করতে দেশের প্রতিটি জেলার জেলা ও দায়রা জজ আদালতকে নির্দেশ দিয়েছে আইন মন্ত্রণালয়।

রোববার আইন মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সহকারী সচিব মো. একরামুল হক শামীম স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে এ নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, আইন ও বিচার বিভাগের বার্ষিক কর্মসম্পাদন চুক্তির আওতায় কর্মসম্পাদন সূচক ৪.৩.২ বাস্তবায়নের জন্য ৬৪টি জেলার জেলা ও দায়রা জজ আদালতের সুবিধাজনক স্থানে আগামী ৩০ ডিসেম্বরের মধ্যে মাতৃদুগ্ধপান কেন্দ্র স্থাপন করে অবহিত করার জন্য অনুরোধ করা হলো।

এর আগে ২০১৯ সালের ২২ অক্টোবর নিরাপদ পরিবেশে ও স্বাচ্ছন্দ্যে মায়ের বুকের দুধপান করাতে ৯ মাসের শিশু উমাইর বিন সাদিকের পক্ষে তার মা ইশরাত হাসান সর্বস্তরে মাতৃদুগ্ধপান কেন্দ্র স্থাপনের নির্দেশনা চেয়ে হাইকোর্টে রিট দায়ের করেন।

ওই রিটের শুনানি নিয়ে দেশের সব কর্মক্ষেত্র, এয়ারপোর্ট, বাস স্টেশন, রেলওয়ে স্টেশনে, শপিং মলে ব্রেস্ট ফিডিং কর্নার ও বেবি কেয়ার কর্নার স্থাপনের জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে কেন নির্দেশ দেওয়া হবে না, তা জানতে রুল জারি করেন হাইকোর্ট।

এছাড়াও পাবলিক প্লেস ও বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে ব্রেস্ট ফিডিং কর্নার স্থাপনে নীতিমালা তৈরি করতে নারী ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয়কে কেন নির্দেশ দেওয়া হবে না, রুলে তাও জানতে চান আদালত।

২০১৯ সালের ২৭ অক্টোবর বিচারপতি মইনুল ইসলাম চৌধুরী ও বিচারপতি খোন্দকার দিলীরুজ্জামানের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ এসব রুল জারি করেন।

এসএইচ-৩১/১২/২১ (ন্যাশনাল ডেস্ক)

স্ত্রীকে তালাক দিয়ে স্বামীর জিলাপি বিতরণ

দাম্পত্য জীবনের বনিবনা না হওয়ায় গাইবান্ধার পলাশবাড়ীতে স্ত্রী বিউটি বেগমকে তালাক দিয়ে দুই মণ জিলাপি বিতরণ করেছেন স্বামী গোলাম মোস্তফা (৪৫)। এ ঘটনায় এলাকায় ব্যাপক আলোচনার সৃষ্টি হয়েছে।

সাংসারিক জীবনে বনিবনা না হওয়ায় ওই দম্পতি বিয়ে বন্ধন বিচ্ছেদের সিদ্ধান্ত নেয়। খবর পেয়ে এলাকার গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গের উপস্থিতিতে তালক সম্পন্ন করা হয়েছে।

রোববার দুপুরে উপজেলার বরিশাল ইউনিয়নের ভবানীপুর গ্রামে স্থানীয় কাজীর উপস্থিতিতে উভয়পক্ষের সম্মতিতে তালাক সম্পন্ন হয়। পরে উপস্থিত মানুষের মাঝে ২ মণ জিলাপি বিতরণ করেন গোলাম মোস্তফা। গোলাম মোস্তফা ওই গ্রামের নজির হোসেনের ছেলে।

স্থানীয়রা জানায়, দীর্ঘ ১২ বছর আগে একই গ্রামের বিউটি বেগমের সঙ্গে গোলাম মোস্তফার বিয়ে হয়। দাম্পত্য জীবনে তাদের সংসারে একটি কন্যা সন্তানের জন্ম হয়। পরে তাদের মধ্যে মনমালিন্য হলে শুরু হয় দাম্পত্য কলহ। তাদের মধ্যে ঝগড়া-বিবাদ লেগেই থাকত। এ কারণে দুজনের সম্মতিতে তাদের তালাক হয়েছে।

স্ত্রী আমার অবাধ্য ছিল অভিযোগ করে গোলাম মোস্তফা বলেন, আমার স্ত্রী সাংসারিক ছোট-খাট বিষয় নিয়ে সবসময় ঝগড়া-বিবাদে লিপ্ত হত। দীর্ঘ একযুগ তার অত্যাচারে অতিষ্ঠ হয়ে তালাকের সিদ্ধান্ত নিতে বাধ্য হয়েছি। স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গের উপস্থিতিতে দুজনের সম্মতিতে আমাদের তালাক সম্পন্ন হয়েছে। সেই খুশিতে প্রতিবেশীদের মাঝে দুই মণ জিলাপি বিতরণ করেছি।

এসএইচ-৩০/১২/২১ (উত্তরাঞ্চল ডেস্ক)

ভূমিহীন নয় আসপিয়া, মিলল চাঞ্চল্যকর তথ্য

আসপিয়া ইসলাম কাজলের পুলিশ কনস্টবল পদে নিয়োগ নিয়ে সৃষ্ট জটিলতা নিরসন হলেও আলোচনা থেমে নেই। ভূমিহীন হওয়ার কারণে পুলিশের চাকরি না পাওয়া নিয়ে দেশব্যাপী আলোচিত আসপিয়া সম্পর্কে এবার বের হয়ে এসেছে চাঞ্চল্যকর তথ্য।

বরিশাল জেলায় নিজস্ব জমি না থাকলেও কথিত ‘ভূমিহীন’ আসপিয়া ইসলাম কাজল প্রকৃতপক্ষে ভূমিহীন বা ঠিকানাবিহীন নয়। ভোলার চরফ্যাশন উপজেলার আমিনাবাদ ইউনিয়নের হালিমাবাদ গ্রামে রয়েছে আসপিয়ার পূর্ব পুরুষের জমি ও স্থায়ী ঠিকানা।

রোববার সরেজমিনে হালিমাবাদ গ্রামে অনুসন্ধানকালে আসপিয়ার চাচাদের সঙ্গে কথা বলে এমন তথ্য মিলেছে।

চরফ্যাশন উপজেলার আমিনাবাদ ইউনিয়নের হালিমাবাদ গ্রামের মুগবুল আহমেদ মাতাব্বর বাড়িটি আসপিয়া ইসলাম কাজলের দাদার বাড়ি। স্থানীয় রাজনীতি এবং সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ডে এই বাড়ির গুণীজনদের সরব পদচারণা আছে। এমনকি বাড়ি এবং বাড়ির বাসিন্দারা গোটা উপজেলায় বিশেষভাবে পরিচিত ও সমাদৃত। অনেকে আওয়ামী লীগের রাজনীতিতেও সক্রিয়।

আসপিয়ার দাদা মুগবুল আহমেদ মাতাব্বর। মুগবুল আহমেদ মাতবরের ৬ ছেলে এবং ২ মেয়ের মধ্যে আসপিয়া ইসলাম কাজলের বাবা শফিকুল ইসলাম ছাড়া অন্য ৫ ছেলে এখনও জীবিত আছেন। ২০১৯ সালে শফিকুল ইসলাম মারা যান। পৈত্রিক ভিটায় আসপিয়ার বড় চাচা মোশারফ হোসেন পরিবার নিয়ে বসবাস করছেন। ওই বাড়িতে আসপিয়ার চাচা ও চাচাতো ভাইদের ১২টি পরিবার এখনও বসবাস করছেন।

আসপিয়ার চাচা মোশারফ হোসেন জানান, ১৯৯০ সালের আগে আসপিয়ার বাবা শফিকুল ইসলাম চরফ্যাশন থেকে বরিশালের হিজলা উপজেলায় চলে যান। বড় ভাই আমির হোসেন তখন হিজলা উপজেলা জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অফিসে প্রকৌশলী পদে কর্মরত ছিলেন। কর্মহীন ছোট ভাই শফিকুল ইসলাম তখন বড় ভাই আমির হোসেনের সঙ্গে অবস্থানের জন্যই হিজলা যান। ১৯৯০ সালে সেখানে ঝর্না বেগম নামে এক ভদ্রমহিলাকে বিয়ে করেন। পরবর্তীতে বড়ভাই আমির হোসেন বদলী হয়ে পিরোজপুর চলে গেলে ছোট ভাই শফিকুল ইসলাম স্থানীয় ব্যক্তিমালিকানাধীন একটি ফার্মে চাকরি নিয়ে স্ত্রী-সন্তানসহ হিজলা উপজেলার বড় জালিয়া ইউনিয়নের খুন্না গবিন্দপুর গ্রামের ভাড়া বাসায় বসবাস শুরু করেন।

তিনি জানান, ২০১৯ সনে মৃত্যুর আগ পর্যন্ত স্ত্রী-সন্তান নিয়ে সেখানেই অবস্থান করছিলেন আসপিয়ার বাবা শফিকুল ইসলাম। আসপিয়াসহ ৩ ভাই-বোনের জন্ম হিজলার খুন্না গোবিন্দপুর গ্রামে এবং তারা ওই গ্রামের ভোটার। কিন্তু ২০১৯ সালে শফিকুল ইসলামের মৃত্যুর পর তার মরদেহ ভোলার চরফ্যাশন উপজেলার আমিনাবাদ ইউনিয়নের হালিমাবাদ গ্রামের পারিবারিক কবরস্থানে দফন করা হয়। আসপিয়াসহ তার পরিবারের অপর সদস্যরাও পূর্বপুরুষের এই ঠিকানায় আসা-যাওয়ার মধ্যে আছেন।

আসপিয়ার চাচা মোশারফ হোসেন আরও জানান, পূর্ব পুরুষদের বিপুল ভূ-সম্পদ থাকলেও এখন এতটা আর নেই। তারপরও আসপিয়ারা মৃত বাবা শফিকুল ইসলামের অংশ হারে এখানে বাড়িতে সাড়ে ১০ শতাংশ এবং নালে চাষযোগ্য ৬৪ শতাংশ জমির মালিক আছেন। বাড়ির অংশ আসপিয়ার চাচারা ভোগদখল করছেন এবং নালের অংশ একসনা লগ্লি করে লগ্লি করা টাকা আসপিয়ার পরিবারের কাছে পাঠিয়ে দেন।

আসপিয়ার একমাত্র ভাই ঢাকার গাজীপুরের পোশাক কারখানার শ্রমিক জাহিদ হাসান নয়ন জানান, ভোলার পূর্বপুরুষদের ঠিকানায় বাবার ওয়ারিশসূত্রে আমাদের কিছু জমি আছে বলে শুনেছি। কিন্তু সেখানে কতটুকু কী আছে তা স্পষ্ট জানা নেই।

আসপিয়া রোববার সন্ধ্যায় জানান, প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশে হিজলা উপজেলা প্রশাসনের তরফ থেকে তার পরিবারের জন্য জমি ও ঘর বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। ঘর নির্মাণের কাজ শুরু হয়েছে। আমাকে চাকরি দেওয়ার জন্য প্রধানমন্ত্রী সুপারিশ করেছেন বলে আমি মিডিয়ার মাধ্যমে শুনেছি। আমি প্রধানমন্ত্রীসহ দেশবাসীকে কৃতজ্ঞতা জানাই।

এসএইচ-২৯/১২/২১ (আঞ্চলিক ডেস্ক, সূত্র : সময়)