রাত ১১:৩৫
মঙ্গলবার
৭ ই মে ২০২৪ ইংরেজি
২৪ শে বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
২৮ শে শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী
spot_img

সাকিবের টেস্টে ৪০০০ রান ও দ্রুততম ২০০ উইকেটে

বাংলাদেশের দ্বিতীয় ইনিংসের ৫৬তম ওভারের শেষ বল। ক্রিজ ছেড়ে বেরিয়ে ইনসাইড আউট শটে পাকিস্তানের অফ স্পিনার সাজিদ খানকে সীমানাছাড়া করেন সাকিব আল হাসান। এই চারে টেস্ট ক্যারিয়ারে ৪ হাজার রানের মাইলফলক স্পর্শ করেন তিনি। বাংলাদেশের তৃতীয় ব্যাটার হিসেবে।

পাশাপাশি আরও একটি বিরল রেকর্ড নিজের করে নেন এই তারকা অলরাউন্ডার। টেস্টে ৪ হাজার রানের সঙ্গে ২০০ উইকেট শিকার করায় তিনিই ইতিহাসের দ্রুততম।

বুধবার ঢাকার মিরপুর শের-ই-বাংলা স্টেডিয়ামে বাংলাদেশ ও পাকিস্তানের সিরিজের দ্বিতীয় টেস্টের পঞ্চম দিনে রেকর্ড বইয়ে আরও একবার জায়গা করে নেন সাকিব। ১০ ম্যাচ কম খেলেই চূড়ায় উঠে যান তিনি। ৪ হাজার রান ও ২০০ উইকেটের ডাবল পূরণ করতে তাকে খেলতে হয়েছে ৫৯ টেস্ট।

আগের রেকর্ড ছিল ইংল্যান্ডের সাবেক তারকা ইয়ান বোথামের দখলে। তার লেগেছিল ৬৯ টেস্ট। সবমিলিয়ে মর্যাদাপূর্ণ এই তালিকায় নাম লেখানো ষষ্ঠ ক্রিকেটার সাকিব।

সাকিব ও বোথাম ছাড়া বাকিরা হলেন ওয়েস্ট ইন্ডিজের কিংবদন্তি গ্যারি সোবার্স, ভারতের বিশ্বকাপজয়ী সাবেক অধিনায়ক কপিল দেব, দক্ষিণ আফ্রিকার সাবেক অলরাউন্ডার জ্যাক ক্যালিস ও নিউজিল্যান্ডের সাবেক অধিনায়ক ড্যানিয়েল ভেট্টরি।

সাদা পোশাকে ২০০ উইকেট দখলের স্বাদ আরও আগেই নিয়েছেন সাকিব। ক্রিকেটের সবচেয়ে কুলীন সংস্করণে তিনিই বাংলাদেশের সর্বোচ্চ উইকেটশিকারি। তাদের আর কোনো বোলার স্পর্শ করতে পারেননি দেড়শও। এবারে রানের হিসাবে ৪ হাজারি ক্লাবেও প্রবেশ করলেন তিনি।

সাকিব ছাড়া বাংলাদেশের হয়ে টেস্টে ৪ হাজারের বেশি রান আছে কেবল দুজনের। সবার উপরে থাকা মুশফিকের সংগ্রহ ৭৭ টেস্টে ৪৮৫৬ রান। চোটের কারণে পাকিস্তানের বিপক্ষে সিরিজে না থাকা তামিম ইকবাল ৬৪ টেস্টে ৪৭৮৮ রান নিয়ে আছেন দুইয়ে।

এসএইচ-০৩/০৮/২১ (স্পোর্টস ডেস্ক)

বুয়েট ছাত্র হত্যা মামলায় ২০ জনের মৃত্যুদণ্ড

বাংলাদেশের প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) শিক্ষার্থী আবরার ফাহাদকে পিটিয়ে হত্যা মামলার রায়ে ২০ জনের মৃত্যুদণ্ড দিয়েছে আদালত।

এছাড়া পাঁচজনের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেয়া হয়েছে।

বুধবার দুপুরে ঢাকার দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনাল-১ এর বিচারক বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) শিক্ষার্থী আবরার ফাহাদ হত্যা মামলায় এ আদেশ দেন।

রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী আবু আব্দুল্লাহ ভূঁইয়া বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

এই মামলায় মোট ২৫ জন আসামি ছিল।

মামলায় অভিযুক্ত ২২ আসামী কারাগারে রয়েছেন, তিনজন পলাতক।

রায়ের প্রতিক্রিয়া আবরার ফাহাদের মা রোকেয়া খাতুন বলেছেন, এই রায়ে তারা সন্তুষ্ট, তবে যে পাঁচজনের যাবজ্জীবনের হয়েছে, তাদেরও মৃত্যুদণ্ড চান তারা।

যাদের মৃত্যুদণ্ড হয়েছে, তাদের রায় দ্রুত কার্যকরের জন্য পরের ধাপগুলোও দ্রুত এগোবে বলে আশাবাদ জানান মিসেস খাতুন।

আসামীদের বিরুদ্ধে মোট তিনটি অভিযোগ আনা হয়েছে। এগুলো হচ্ছে, ৩০২ ধারায় নরহত্যা, ৩০২ এর ৩৪ ধারা অনুযায়ী হত্যার পূর্ব-পরিকল্পনা এবং ১০৯ ও১১৪ ধারায় হত্যায় অংশগ্রহণের অভিযোগ গঠন করা হয়।

এসব অভিযোগে বলা হয়, তারা পরস্পর যোগসাজশে ‘শিবির সন্দেহে’ আবরার ফাহাদের বিরুদ্ধে মিথ্যা, বানোয়াট এবং ভিত্তিহীন অভিযোগ এনে নির্মমভাবে পিটিয়ে হত্যা করেছে।

২০২১ সালের আটই সেপ্টেম্বর এই মামলার অভিযোগে কিছু ভুল সংশোধন করে অভিযোগ পুনর্গঠন করা হয়েছে।

তখন রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী আবু আবদুল্লাহ ভুঁইয়া বলেছেন, গত বছরের ১৫ই সেপ্টেম্বর এ মামলায় অভিযোগ গঠন করা হয়েছিল।

কিন্তু আদালতে চার্জ-ফর্মে ঘটনাস্থলের নাম এবং এরকম আরও কিছু ভুল ছিল, যা সংশোধনের পর পুনরায় অভিযোগ গঠন করা হয়।

বিচার চলাকালে মোট ৪৬ জনের সাক্ষ্য গ্রহণ করা হয়েছে।

কুষ্টিয়ার ছেলে আবরার ফাহাদ বুয়েটের ইলেকট্রিকাল অ্যান্ড ইলেকট্রনিক্স ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী ছিলেন।

২০১৯ সালের সাতই অক্টোবর বুয়েটের শেরেবাংলা হলের সিঁড়ি থেকে তার মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ।

তখন চকবাজার থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোহাম্মদ সোহরাব হোসেন বিবিসিকে জানিয়েছিলেন, পুলিশের ধারণা রাত দুইটা থেকে আড়াইটার দিকে হত্যার ঘটনা ঘটে। মরদেহ উদ্ধার করা হয় ভোরে।

হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় আবরার ফাহাদের বাবা বরকত উল্লাহ পরদিন চকবাজার থানায় একটি মামলা করেন।

সেখানে অভিযোগ করা হয়, শিবির সন্দেহে তাকে ডেকে নিয়ে পিটিয়ে মেরেছে বুয়েট শাখা ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা।

সেখানে বুয়েট ছাত্রলীগের ১৯ জন নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে অভিযোগ করা হয়।

আবরার ফাহাদ হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় বুয়েট কর্তৃপক্ষ প্রতিষ্ঠানটির ২৬জন ছাত্রকে স্থায়ীভাবে বহিষ্কার করা হয়।

আবরার ফাহাদ হত্যাকাণ্ডের পর বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়সহ দেশের বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ব্যাপক ছাত্র বিক্ষোভ হয়।

এই হত্যাকাণ্ডের বিচারের দাবিতে সমাজের নানা শ্রেণী-পেশার মানুষও সোচ্চার হয়েছে।

শিক্ষার্থী নিহত হওয়ার ঘটনা ছড়িয়ে পড়লে বুয়েটের শিক্ষার্থীরা ক্যাম্পাসে জড়ো হয়ে বিক্ষোভ করতে শুরু করে।

সে প্রেক্ষাপটে বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয় বা বুয়েট কর্তৃপক্ষ ক্যাম্পাসে সব ধরনের রাজনৈতিক সংগঠন এবং ছাত্র রাজনীতি নিষিদ্ধ ঘোষণা করেন।

এসএইচ-০২/০৮/২১ (ন্যাশনাল ডেস্ক)

আক্রমণে দিশাহারা পাক সৈন্যরা

১৯৭১ সালের ৮ ডিসেম্বর। বাংলাদেশ যুদ্ধ জয়ের দ্বারপ্রান্তে। লাল-সবুজ পতাকার ঢেউ দেশের আনাচে-কানাচে। একের পর এক হানাদার মুক্ত হচ্ছে দেশের প্রতিটি জেলা। দিশাহারা পাক হানাদাররা। জল, স্থল ও অন্তরীণে শাণিত আক্রমণে দিশাহারা পাক সৈন্যরা। সুশিক্ষিত ও আধুনিক সমরসজ্জায় সজ্জিত হানাদাররা বাংলার কৃষক-শ্রমিক মেহনতি মানুষের সমন্বয়ে গড়ে ওঠা মুক্তিবাহিনীর কাছে পর্যুদস্ত। পাক হানাদার ও তাদের দোসররা আত্মসমর্পণের পথ খুঁজছে। জীবন বাঁচাতে পালাচ্ছে হানাদারদের সহযোগী রাজাকার, আলবদর, আলশাসরা।

রক্তক্ষরা একাত্তরের এদিনে আকাশ বাণীর মাধ্যমে ভারতীয় সেনাবাহিনী প্রধান মানেকশ বাংলাদেশের দখলদার পাকিস্তানী বাহিনীকে আত্মসমর্পণের আহ্বান জানান। অন্যদিকে একের পর এক জেলা হানাদার মুক্ত করে বিজয় কেতন উড়িয়ে চারদিক থেকে ঢাকায় আক্রমণ করার প্রস্তুতি চলছে অকুতোভয় মিত্র ও মুক্তিবাহিনীর।

মূলত সারাদেশেই পাক হানাদাররা বিচ্ছিন্ন ও অবরুদ্ধ হয়ে পড়ে। আকাশ ও স্থলে শাণিত আক্রমণে দিশাহারা পাক সৈন্যরা। লাখো প্রাণ আর মা-বোনের সম্ভ্রামের বিনিময়ে একটি নতুন রাষ্ট্রের আলো ছড়াতে শুরু করে। স্বাধীন হয়ে উঠতে শুরু করে বাংলার অবারিত প্রান্তর। পূর্ণ স্বাধীনতার স্বাদ মরিয়া মুক্তিপাগল বাংলার দামাল ছেলেরা।

একাত্তরের এদিন ছিল বৃহস্পতিবার। এদিন সকালে মিত্রপক্ষের সামরিক নেতারা পূর্ব রণাঙ্গনের সমগ্র পরিস্থিতি বিশ্লেষণ করে দেখলেন, তাদের প্রথম লক্ষ্য সফল হয়েছে। বাংলাদেশের নানা খণ্ডে পাকিস্তানী বাহিনী বিচ্ছিন্ন ও অবরুদ্ধ। কোনদিক দিয়ে তাদের পালানোর পথ নেই। দক্ষিণে পাকিস্তানী বাহিনীর একটি অংশ আটকা পড়েছে। উত্তরে গোটা পাকিস্তানী বাহিনীও ব্রহ্মপুত্র ও পদ্মার মধ্যবর্তী ৩/৪টি অঞ্চলে অবরুদ্ধ। প্রায় একটি ব্রিগেড হিলির কাছে অবরুদ্ধ। আর একটি ব্রিগেড আটকা পড়ে জামালপুরে।

সিলেটের দিকে যে বাহিনীটা ছিল, কার্যত তা খতম হয়ে গেছে। ময়নামতি ক্যান্টনমেন্টে অবরুদ্ধ আরেকটি ব্রিগেড। আরেকটি পাকিস্তানী বাহিনী অবরুদ্ধ চট্টগ্রামে। একটির সঙ্গে অন্যটির যোগ দেয়ার কোন সুযোগ নেই। ঢাকার দিকে পিছু হঠাও কারও পক্ষে সম্ভব নয়।

সার্বিক এই চিত্র অবলোকন করে মিত্রবাহিনী তখন ৩টি ব্যবস্থা নিলেন। ১. গোটা পাকিস্তানী বাহিনীকে আত্মসমর্পণ করতে বলা হলো। ২. জেনারেল জগজিৎ সিংকে বলা হলো তার ৩ কলাম সৈন্য দ্রুত ঢাকার দিকে এগিয়ে নিতে। ৩. একটি ব্রিগেডকে হালুয়াঘাটের দিক থেকে ময়মনসিংহের দিকে নিয়ে আসা হলো।

যুদ্ধের শুরুতেই ভারতীয় বাহিনীর প্রধান জেনারেল মানেকশ বাংলাদেশের দখলদার পাকিস্তানী বাহিনীর উদ্দেশ্যে আত্মসমর্পণের আহ্বান জানান। ৮ ডিসেম্বর আবার তাঁর সেই আহ্বান আকাশবাণী থেকে প্রচার করা হয়। জেনারেল মানেকশ পাকিস্তানীদের আত্মসমর্পণের কথা বললেন এবং সঙ্গে সঙ্গে এ আশ্বাস দিলেন- আত্মসমর্পণ করলে পাকিস্তানী বাহিনীর প্রতি জেনেভা কনভেশনের রীতি অনুযায়ী সম্মানজনক ব্যবহার করা হবে।

ভারতীয় সেনাবাহিনী বললেন, ‘আমরা জানি আপনারা (পাকিস্তানী বাহিনী) পালানোর জন্য বরিশাল আর নারায়ণগঞ্জের কয়েক জায়গায় জড়ো হচ্ছেন। কিন্তু আমি সমুদ্রপথে পালানোর সব পথ বন্ধ করে দিয়েছি। এজন্য নৌবাহিনীকে প্রয়োজনীয় সব ব্যবস্থা নিতে নির্দেশ দেয়া হয়েছে। এখনও যদি আপনারা আমার পরামর্শ না শোনেন এবং মিত্রবাহিনীর কাছে আত্মসমর্পণ না করেন তাহলে নিশ্চিত মৃত্যুর হাত থেকে কেউ আপনাদের রক্ষা করতে পারবে না।’

ভারতীয় সেনাবাহিনী এমন হুঁশিয়ারি শুনে পর্যুদস্ত পাকি হানাদারদের মনোবল আরও ভেঙ্গে পড়ে। কোথাও প্রতিরোধ তো দূরের কথা পালানোর পথ খুঁজতেও মরিয়া তারা। বাংলাদেশের স্বাধীনতা নিশ্চিত। আত্মসমর্পণ সময়ের ব্যাপার মাত্র। এটা বুঝতে বাকি রইলো না হানাদার বাহিনীর নেতাদের। তাই আত্মসমর্পণের আগে রাজাকার-আলবদরদের নিয়ে মরণ কামড় দিতে ঘৃণ্য ষড়যন্ত্র আঁটতে থাকে পাকি জেনারেলরা।

বাংলাদেশ যুদ্ধ জয়ের দ্বারপ্রান্তে। জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদ অবিলম্বে যুদ্ধ বিরতি ও সৈন্য প্রত্যাহারের জন্য ভারত পাকিস্তানের প্রতি আহ্বান জানিয়ে প্রস্তাব পাস করে। সাধারণ পরিষদে ভারতীয় প্রতিনিধি সমর সেন বলেন, পাকিস্তানকে অবশ্যই বাংলাদেশকে স্বীকার করে নিতে হবে। উপমহাদেশের শান্তি প্রতিষ্ঠার জন্য তিনি পাকিস্তানের কারাগারে বন্দী শেখ মুজিবুর রহমানের মুক্তিও দাবি করেন।

বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী তাজউদ্দীন আহমদ এক বেতার ভাষণে বলেন, নবজাত স্বাধীন বাংলাদেশের আদর্শ হচ্ছে শান্তিপূর্ণ সহাবস্থান, জোট নিরপেক্ষতা এবং সব ধরনের ঔপনিবেশিকতা ও সাম্রাজ্যবাদের বিরোধিতা। আমরা গণতান্ত্রিক ব্যবস্থা এবং ধর্মনিরক্ষে ও সমাজতন্ত্রী জীবন গঠনে অভিলাষী। …ভারতের সঙ্গে বাংলাদেশের সম্পর্ক পারস্পরিক বন্ধুত্ব ও মৈত্রীর দৃঢ় ভিত্তির ওপর প্রতিষ্ঠিত হবে।

এসএইচ-০১/০৮/২১ (অনলাইন ডেস্ক)

মুরাদের পদত্যাগপত্র গ্রহণ রাষ্ট্রপতির, প্রজ্ঞাপন জারি

ডা. মুরাদ হাসানের পদত্যাগপত্র গ্রহণ করেছেন রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ। পদত্যাগপত্র গ্রহণের পর প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়েছে।

এর আগে সন্ধ্যায় মুরাদের পদত্যাগপত্রটি সারসংক্ষেপ আকারে গণভবনে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছে পাঠায় মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ।

মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ থেকে জানা গেছে, প্রধানমন্ত্রী কাছ থেকে পদত্যাগপত্রটি ইস্যু হয়ে আজ রাতেই আবার মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ থেকে রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদের কাছে স্বাক্ষরের জন্য যায়। পরে রাষ্ট্রপতি স্বাক্ষর দেওয়াই রাতেই প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়েছে।

এর আগে বিকেল ৩টায় প্রতিমন্ত্রীর জনসংযোগ কর্মকর্তা মোহাম্মদ গিয়াস উদ্দিন তার পক্ষে পদত্যাগপত্রটি মন্ত্রিপরিষদ সচিবের দপ্তরে জমা দেন। সচিবের পক্ষে তার একান্ত সচিব মাহমুদ ইবনে কাসেম পদত্যাগপত্রটি গ্রহণ করেন।

এদিন, দুপুর সাড়ে ১২টায় তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ে পদত্যাগপত্রে স্বাক্ষর করে পাঠান ডা. মুরাদ হাসান।

এর আগে তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী এবং আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ সচিবালয়ে সাংবাদিকদের বলেন, প্রতিমন্ত্রী ডা. মুরাদ হাসানের বক্তব্য সরকার ও দলকে বিব্রত করেছে। সে কারণে প্রধানমন্ত্রী তাকে পদত্যাগ করতে বলেছেন।

এছাড়া তথ্যমন্ত্রী ডা. মুরাদ হাসানের সুস্থতা কামনা করে বলেন, ‘তিনি (মুরাদ হাসান) আমাকে মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী হিসেবে সহযোগিতা করেছেন। সেজন্য আমি তাকে ধন্যবাদ জানাই। আমি তার সুস্থতা কামনা করি। আমি তার সর্বাঙ্গীন মঙ্গল কমনা করি।’

এ সময় ‘মুরাদ হাসান অসুস্থ কি না’- সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নে তথ্য মন্ত্রী হাসি দিয়ে বলেন, ‘যে কোনো মানুষেরই তো সুস্থতা কামনা করা যায়, আপনারও (সাংবাদিকদের) সুস্থতা আমি কামনা করতে পারি যাতে আপনি অসুস্থ না হন।’

তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ সংবাদ সম্মেলনে মুরাদ হাসানের পরিবর্তনের প্রসঙ্গ নিয়ে কথা বলেন। মন্ত্রী বলেন, ‘তিনি আগে যেমন ছিলেন, এখন তার কর্মকাণ্ডে কিছুটা পরিবর্তন হয়েছে। বিগত কয়েকমাস তাকে ভিন্ন মনে হয়েছে।’ তবে বিষয়টির বিস্তারিত জানতে সাংবাদিকরা একাধিকবার প্রশ্ন করলেও তিনি খোলামেলা কথা বলতে রাজি হননি।

মুরাদ হাসান সম্পর্কে মন্ত্রী বলেন, ‘মুরাদ হাসান সবসময় আমাকে সহযোগিতা করেছেন। সেজন্য তাকে আমি ধন্যবাদ জানাই। কিন্তু তার কিছু বক্তব্য সরকার এবং দলকে বিব্রত করেছে। এরপর প্রধানমন্ত্রী তাকে পদত্যাগ করতে বলেছেন। সে মোতাবেক তিনি পদত্যাগপত্র নিজে স্বাক্ষর করে মন্ত্রণালয়ে পাঠিয়েছেন।’

ডা. মুরাদ হাসানের বক্তব্য সম্পর্কে জানতে চাইলে তথ্যমন্ত্রী বলেন, ‘তিনি (মুরাদ হাসান) কিছু বক্তব্য দিয়েছেন, যেগুলো দলের সাথে বা সরকারের সাথে আলোচনা না করেই দিয়েছেন। যা সবার জন্যই বিব্রতকর। তাই প্রধানমন্ত্রী তাকে পদত্যাগ করতে বলেছেন। কারণ, দল বা সরকার বিব্রত হয়- এমন কথা প্রধানমন্ত্রী কখনোই সহ্য করেন না।’

এদিকে, পদত্যাগপত্রে মুরাদ হাসান তার মন্ত্রণালয়ে দায়িত্ব পাওয়ার যে তারিখ উল্লেখ করেছেন সেখানেও ভুল করেছেন। তিনি ২০১৯ সালের ১৯ মে তথ্য মন্ত্রণালয়ে যোগদান করেছে। কিন্তু পদত্যাগপত্রে তিনি লিখেছেন ১৯ মে ২০২১!

তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রীর পদ থেকে অব্যাহতি চেয়ে মুরাদ হাসান লেখেন, ‘মাননীয় প্রধানমন্ত্রী, স্ব-শ্রদ্ধেয় সালাম নেবেন। মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের গত ১৯ মে ২০২১ তারিখের স্মারকমূলে আমাকে তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব দেওয়া হয়। আমি আজ ৭ ডিসেম্বর ২০২১ সাল থেকে ব্যক্তিগত কারণে স্বেচ্ছায় প্রতিমন্ত্রীর দায়িত্ব থেকে পদত্যাগ করতে ইচ্ছুক।’

‘এমতাবস্থায়, আপনার নিকট বিনিত নিবেদন, আমাকে অদ্য ৭ ডিসেম্বর ২০২১ তারিখ থেকে তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রীর দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি দেওয়ার লক্ষ্যে পদত্যাগপত্র গ্রহণে আপনার একান্ত মর্জি কামনা করছি।’

এর আগে সকালে, আওয়ামী লীগ থেকে বহিষ্কারের ইঙ্গিত দিয়েছেন আওয়ামী লীগের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক মাহবুব উল আলম হানিফ। আগামী কার্যনির্বাহী সভায় তার বহিষ্কারের বিষয়ে সিদ্ধান্ত হবে বলে মঙ্গলবার জাতীয় সংসদ ভবনের সামনে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন।

হানিফ বলেন, ‘মুরাদ হাসানকে এরই মধ্যে মন্ত্রিপরিষদ থেকে পদত্যাগ করতে বলেছেন প্রধানমন্ত্রী। দল থেকে বহিষ্কারের বিষয়ে দলের আগামী কার্যনির্বাহী সংসদের বৈঠকে সিদ্ধান্ত হবে।’

গত কয়েকদিন ধরেই বিতর্কিত মন্তব্যের জেরে আলোচনায় ছিলেন এ প্রতিমন্ত্রী। বিভিন্ন সময় আলোচনা-সমালোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে ছিলেন মুরাদ হাসান।

সম্প্রতি ফেসবুক লাইভে এক অনুষ্ঠানে বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া, তার ছেলে তারেক রহমান ও নাতনি জাইমা রহমানকে নিয়ে কুরুচিপূর্ণ মন্তব্য করেন তিনি।

এরপর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রলীগের নেত্রীদের নিয়েও আপত্তিকর ও কুরুচিপূর্ণ মন্তব্যের অভিযোগ ওঠে তথ্য প্রতিমন্ত্রীর বিরুদ্ধে। এরপর থেকেই মুরাদ হাসানের পদত্যাগের দাবি আরও জোরালো হয়ে ওঠে।

এরই মধ্যে রোববার মধ্যরাতে চিত্রনায়িকা মাহিয়া মাহির সঙ্গে মুরাদ হাসানের আপত্তিকর ফোনালাপ ফাঁস হয়। মুহূর্তের মধ্যে সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যমগুলোতে ভাইরাল হয়ে যায় এটি।

ভাইরাল হওয়া সেই অডিওর সত্যতা নিশ্চিত করেন চিত্রনায়ক ইমন। ইমন বলেন, ‘যা শুনেছেন তাই। এটি আসলে বছরখানেক আগের ঘটনা। একটি সিনেমার মহরত অনুষ্ঠানের আগের রাতে প্রতিমন্ত্রী আমাকে ফোন করেছিলেন। বাকিটা তো আপনারা শুনেছেনই।’

মুরাদ হাসান পেশায় চিকিৎসক ও আওয়ামী লীগপন্থী চিকিৎসকদের সংগঠন স্বাধীনতা চিকিৎসক পরিষদ (স্বাচিপ) ও একাত্তরের ঘাতক-দালাল নির্মূল কমিটির কেন্দ্রীয় সদস্য।

একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের পর গঠিত সরকারে প্রথমে মুরাদ হাসানকে স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ে প্রতিমন্ত্রীর দায়িত্ব দেওয়া হয়। পরবর্তীতে ২০১৯ সালের মে মাসে স্বাস্থ্য থেকে তাকে তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ে প্রতিমন্ত্রীর দায়িত্ব দেওয়া হয়।

এসএইচ-৩৪/০৭/২১ (ন্যাশনাল ডেস্ক)

মাদ্রাসাছাত্রকে যৌন নির্যাতনের পর শিক্ষক উধাও!

বগুড়ার শেরপুরে এক মাদ্রাসাছাত্রকে যৌন নির্যাতনের পর মেরে ফেলার হুমকির অভিযোগ উঠেছে এক মাদ্রাসার শিক্ষকের বিরুদ্ধে। অভিযুক্ত ওই শিক্ষকের নাম এরশাদ। কিন্ত তাকে এরশাদ হুজুর বলে ডাকা হয়। তার বাড়ি ধুনটের চালাপাড়া এলাকায়। তিনি মদনপুর দারুল উলুম কওমী মাদ্রাসার সার্বিক দায়িত্বপ্রাপ্ত শিক্ষক। এরশাদ একাধিকবার ভুক্তভোগী ছাত্রকে যৌন নির্যাতন করেন এবং মুখ না খোলার জন্য বেত্রাঘাত করে মেরে ফেলার হুমকিও দেন।

যৌন নির্যাতরেনর শিকার ওই ছাত্র বলে, ‘আমাক ম্যারা ফেলা দেওয়ার ভয় দেখাছিল। আর কেউ ভয় দেখায়নি, খালি এরশাদ হুজুরই ভয় দেখাছিল।’

ভুক্তভোগী পরিবারের অভিযোগ, গত কয়েক মাসে তাদের ছেলেকে কয়েকবার যৌন নির্যাতন করা হয়। সে কাউকে কিছু বলতে না পেরে মাঝে মাঝেই বাড়িতে চলে আসত। বাড়িতে চলে আসার কারণ জানতে চাইলে প্রথমে কিছুই বলতে চায়নি সে, শুধু বলেছে হুজুর মারধর করে। পরবর্তীতে আবার তাকে বুঝিয়ে মাদ্রাসায় পাঠানো হতো।

সর্বশেষ গত ২২ নভেম্বর আবারো শিশুটি বাড়িতে চলে আসে। এবার কারণ জানতে চাপ দিলে ঘটনাটি খুলে বলে সে। কিন্তু ঘটনাটি এলাকায় ছড়িয়ে পরা মাত্র ওই শিক্ষক মাদ্রাসা থেকে উধাও হয়ে গেছে। মাদ্রাসায় অধ্যয়নরত ২০ জন শিক্ষার্থীর মধ্যে ১৫ জনই ওই ঘটনার পর বাড়িতে চলে গেছে বলে জানা যায়।

মদনপুর দারুল উলুম কওমী মাদ্রাসার সহকারী পরিচালক মো. হাফিজুর ইসলাম বলেন,`আমি এখানে দুই মাস হলো এসেছি। এরশাদ হুজুর এখানে ৬-৭ বছর হলো দায়িত্বে আছেন।’ তিনি আরও বলেন, ‘আশিকের সাথে অনৈতিক কার্যক্রম দেখে ফেলেছিল মাদ্রাসার আরেক ছাত্র। পরেরদিন শুক্রবার সে তার চোঁখে দেখা ঘটনার কথা অন্যান্য ছাত্রদেরকে জানিয়ে বাড়িতে পালিয়ে যায়। এর পরেই ঘটনা জানাজানি হয় এবং বেশিরভাগ অভিভাবকরা তাদের সন্তানদের বাড়িতে ফেরত নিয়ে যান।’ অন্যদিকে এরশাদ হুজুরের অনুপস্থিতিতেই এই ঘটনা মিমাংসা ও ধামাচাপা দেওয়ার চেষ্টা করছেন এলাকার কিছু সুবিধাভোগী ও স্বার্থান্বেষী ব্যক্তি।

যৌন নির্যাতনের শিকার ছাত্রটির বাবা বলেন, মাদ্রাসার সভাপতি ও সেক্রেটারিসহ এলাকার কিছু লোক বিষয়টি নিয়ে বাড়াবাড়ি করতে নিষেধ করেন। তারা সালিসের মাধ্যমে নিষ্পত্তি করার জন্য চাপ প্রয়োগ করেন। সমাজে এক ঘরে হওয়ার ভয়ে তারা আইনের আশ্রয় নিতে সাহস করছেন না বলে জানান তিনি।

এ বিষয়ে আজ মঙ্গলবার শেরপুর থানার ওসি মো. শহিদুল ইসলাম জানান, বিষয়টি সম্পর্কে তিনি অবগত নন। ভুক্তভোগী পরিবারের পক্ষ থেকে এখন পর্যন্ত কোনো অভিযোগ করা হয়নি। অভিযোগ পেলে বিষয়টি তদন্ত করে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে বলেও জানান পুলিশের এই কর্মকর্তা।

এসএইচ-৩৩/০৭/৩২ (শিক্ষা ডেস্ক)

প্রেম করে বিয়ে, এক বছর পর স্বামী-স্ত্রীর আত্মহত্যা

বাগেরহাটের মোল্লাহাট উপজেলায় প্রেম করে বিয়ে করার এক বছর পর স্বামী-স্ত্রী একসাথে গলায় রশি দিয়ে আত্মহত্যা করেছে বলে অভিযোগ উঠেছে। মঙ্গলবার উপজেলার উদয়পুর ইউনিয়নের গাড়ফা গ্রাম থেকে তাদের মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ।

মৃত ব্যক্তিরা হলেন-কালাম শেখের ছেলে জনি শেখ (২১) ও তার স্ত্রী একই উপজেলার শারুলিয়া গ্রামের হাফিজুর রহমানের মেয়ে নাহিদা আক্তার (১৮)। গত বছরের ৫ নভেম্বর ওই দম্পতি ভালবেসে বিয়ে করেন।

পরিবারের বরাত দিয়ে মোল্লাহাট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সোমেন দাশ জানান, এক বছর আগে এই দম্পতি প্রেম করে বিয়ে করেন। বিয়ের পর থেকে এই দম্পতির বনিবনা হচ্ছিল না। প্রায় তাদের মধ্যে বিবাদ লেগেই থাকত। মঙ্গলবার জনি তার স্ত্রী নাহিদা ঘুম থেকে ওঠে যে যার কাজ করছিলেন। বাড়িতে থাকা জনির মা পাশের বাড়িতে গেলে বাড়ি ফাঁকা পেয়ে তারা দুজনে টিনশেডের ঘরের আড়ায় পাশাপাশি রশি দিয়ে গলায় ফাঁস দেন।

ওসি আরও বলেন, অল্প কিছুক্ষণের মধ্যে জনির মা বাড়িতে ফিরে ছেলের ঘরে গিয়ে দেখেন তারা দুজনে ঘরের আড়ায় ঝুলে আছেন। তিনি প্রতিবেশীদের ডেকে দ্রুত গলায় ফাঁস দেওয়া রশি খুলে হাসপাতালে নিয়ে যান। পরে কর্তব্যরত চিকিৎসক দুজনকেই মৃত ঘোষণা করেন।

পারিবারিক অশান্তির কারণে তারা আত্মহত্যার পথ বেছে নিয়েছে বলে প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে। তাদের মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য বাগেরহাট সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে।

এসএইচ-৩২/০৭/২১ (আঞ্চলিক ডেস্ক)

জুমা’র দিনের ‘ছুটি’ তুলে নিল আরব আমিরাত

মধ্যপ্রাচ্যের দেশ আরব আমিরাত সরকারি চাকরিজীবীদের জন্যে নতুন কর্মঘণ্টা চালু করেছে। আন্তর্জাতিক সংবাদ মাধ্যম আল জাজিরা জানায়, সপ্তাহে সাড়ে চারদিন কর্মঘণ্টা চালু করা হয়েছে। এছাড়া শনিবার এবং রোববার সাপ্তাহিক ছুটির ঘোষণা দেয়া হয়েছে।

মঙ্গলবার দেশটির রাষ্ট্রীয় সংবাদ মাধ্যম ওয়াম নিউজ এজেন্সীতে এ তথ্য প্রকাশিত হয়েছে। তারা জানিয়েছে আগামী বছর ২০২২ এর জানুয়ারি মাসের এক তারিখ থেকে এই কর্মঘণ্টা চালু করা হবে। আল জাজিরা জানিয়েছে নতুন এই কর্মঘণ্টা অনেকটাই পশ্চিমা বিশ্বের সঙ্গে তাল মিলিয়ে করা হয়েছে। এর আগে আরব আমিরাতে সাপ্তাহিক ছুটি ছিল শুক্রবার এবং শনিবার। মধ্যপ্রাচ্য এবং আরব বিশ্বের বেশিরভাগ দেশ এই নিয়ম অনুসরণ করে।

আবুধাবির সরকারী মিডিয়া অফিস এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, “অর্থনৈতিক ও ব্যবসায়িক খাতে বৈশ্বিক প্রতিযোগিতা বাড়ানোর জন্য এবং বৈশ্বিক উন্নয়নের সাথে তাল মিলিয়ে চলার জন্য সংযুক্ত আরব আমিরাত এই নতুন নিয়ম চালু করেছে”।

নতুন মডেলের অধীনে, কর্মীদের সোম থেকে বৃহস্পতিবার আট ঘণ্টার কর্মদিবস শেষ করতে হবে তবে শুক্রবারে শুধুমাত্র সাড়ে ৪ ঘন্টা কাজ করতে হবে। সরকারী কর্মচারীদের শুক্রবার সাধারণ কাজ এবং বাড়ি থেকে কাজ করার অনুমতি দেওয়া হবে। এছাড়া দুপুর ১টা ১৫ মিনিটে জুমার খুতবা ও দোয়া অনুষ্ঠিত হবে।

প্রধানত মুসলিম দেশগুলিতে, শুক্রবার সাধারণত সপ্তাহের পবিত্রতম দিন হিসাবে বিবেচিত হয়। সেই দিনে সাপ্তাহিক ছুটি থাকে। এছাড়া আরব আমিরাতের প্রতিবেশী কয়েকটি দেশে, জুমার নামাজ শেষ হওয়ার আগে দোকান ও বিক্রেতাদের খুলতে নিষেধ করা হয়।

এদিকে দেশটির বেসরকারি সেক্টর বা শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ক্ষেত্রেও প্রয়োগ করা হবে কিনা তা সরকারি এই ঘোষণায় উল্লেখ করা হয়নি।

এসএইচ-৩১/০৭/২১ (আন্তর্জাতিক ডেস্ক)

সাংবাদিক খাসোগি হত্যাকাণ্ডের অন্যতম অভিযুক্ত প্যারিসে আটক

মার্কিন সংবাদ মাধ্যম ওয়াশিংটন পোস্টের সাংবাদিক এবং সৌদি যুবরাজ প্রিন্স সালমানের সমালোচনাকারী জামাল খাসোগিকে হত্যাকাণ্ডের সংগে জড়িত এক অভিযুক্তকে ফ্রান্সের প্যারিস থেকে আটক করা হয়েছে বলে জানিয়েছে আন্তর্জাতিক সংবাদ মাধ্যম বিবিসি।

মঙ্গলবার ফ্রান্সের সংবাদ মাধ্যমগুলোর বরাতে বিবিসি জানায়, খালেদ আবেহ আল ওতাইবি নামের ওই অভিযুক্তকে প্যারিসের চার্লস দ্য গল বিমানবন্দর থেকে আটক করা হয়েছে।

খাসোগি হত্যার ঘটনায় তুরস্ক ঘোষিত ২৬ জন অভিযুক্তের মধ্যে খালেদ আবেহ আল ওতাইবি অন্যতম। ৩৩ বছর বয়স্ক এই সাবেক সৌদি রয়াল সেনাবাহিনীর সদস্য স্ব নামেই ভ্রমণ করছিলেন। তাকে বর্তমানে ফ্রান্সের বিচার বিভাগীয় হেফাজতে আটক রাখা হয়েছে।

মদিনায় ১৯৫৮ সালে জন্মগ্রহণকারী জামাল খাসোগি যুক্তরাষ্ট্রের ইন্ডিয়ানা স্টেট ইউনিভার্সিটি থেকে ব্যবসায় প্রশাসনে পড়াশোনা করেন। এরপর সৌদি আরবে ফিরে আশির দশকে তিনি সাংবাদিক হিসাবে পেশাজীবন শুরু করেন।

আঞ্চলিক একটি সংবাদপত্রের হয়ে তিনি আফগানিস্তানে সোভিয়েত অভিযান কাভার করেন। নব্বইয়ের দশকে তিনি স্থায়ীভাবে সৌদি আরবে ফিরে আসেন। ১৯৯৯ সালে তিনি ইংলিশ ভাষার আরব সংবাদপত্র আরব নিউজে উপ-সম্পাদক হিসাবে দায়িত্ব পালন শুরু করেন।

তিনি লন্ডনে এবং ওয়াশিংটনে সৌদি রাষ্ট্রদূত প্রিন্স তুর্কি বিন-ফয়সালের মিডিয়া উপদেষ্টা হিসাবে কাজ করেন। সৌদি আরব সম্পর্কিত বিষয়ে নির্ভরযোগ্য কণ্ঠ হিসাবে বিবেচিত খাসোগি আন্তর্জাতিক বিভিন্ন সংবাদ মাধ্যমেও নিয়মিত প্রদায়ক হিসাবে কাজ করতেন। ২০১৭ সালের গ্রীষ্মে সৌদি আরব ত্যাগ করেন সাংবাদিক জামাল খাসোগজি।

ওয়াশিংটন পোস্টে তার প্রথম লেখায় তিনি লেখেন, তিনি এবং আরো কয়েকজন স্বেচ্ছা নির্বাসনে এসেছেন, কারণ তাদের ভয়, তাদের গ্রেপ্তার করা হতে পারে। তিনি বলেছেন, অর্থনৈতিক এবং সামাজিক সংস্কার বিষয়ে যুবরাজ মোহাম্মদ বিন সালমানের বিরোধিতা করায় অসংখ্য মানুষকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।

এছাড়া ধারাবাহিক ভাবে প্রিন্স সালমানের বিরুদ্ধে লেখা প্রকাশ করতে থাকেন। এতে তিনি সৌদি যুবরাজ প্রিন্স সালমানের বিরাগভাজন হন। ২০১৮ সালে বিবাহ বিচ্ছেদের একটি সনদ নেয়ার জন্য তুরস্কের সৌদি দূতাবাসে প্রবেশে করেছিলেন সাংবাদিক জামাল খাসোগি।

সেখানে তাঁকে নির্মমভাবে হত্যা করা হয়। তাঁর লাশ কেটে টুকরা টুকরা করে গায়েব করে দেওয়া হয়। তাঁর দেহাবশেষ আর পাওয়া যায়নি। সৌদি আরব প্রথমে খাসোগি খুন হওয়ার কথা পুরোপুরি অস্বীকার করে। পরে তারা স্বীকার করতে বাধ্য হয়। খাসোগিকে হত্যার নির্দেশদাতা হিসেবে শুরু থেকেই সৌদির মোহাম্মদ বিন সালমানকে সন্দেহ করা হয়।

সৌদির যুবরাজ এই হত্যায় তাঁর সম্পৃক্ততার কথা অস্বীকার করেন। তবে সৌদির শাসক হিসেবে তিনি এই হত্যার দায় এড়াতে পারেন না বলে স্বীকার করেন। খাসোগি হত্যার দায়ে সৌদির আদালত দেশটির পাঁচজন নাগরিককে মৃত্যুদণ্ড দেন। পরে খাসোগির পরিবার হত্যাকারীদের মাফ করে দিলে তাঁদের সাজা কমিয়ে ২০ বছরের কারাদণ্ড করা হয়।

এদিকে এ বছরের ফেব্রুয়ারি মাসে সাংবাদিক জামাল খাসোগির হত্যাকাণ্ড নিয়ে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের জো বাইডেন প্রশাসন গোয়েন্দা প্রতিবেদন প্রকাশ করে। এতে প্রতিবেদনে বলা হয়, খাসোগিকে হত্যার অভিযানে সরাসরি অনুমোদন দিয়েছিলেন সৌদি আরবের যুবরাজ মোহাম্মদ বিন সালমান।

প্রতিবেদনটি প্রকাশের পরপরই সৌদি আরবের ৭৬ জন নাগরিকের বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা আরোপের ঘোষণা দেয় যুক্তরাষ্ট্র। তবে মোহাম্মদ বিন সালমানের বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা নেওয়ার কথা যুক্তরাষ্ট্র জানায়নি। পরে কোনো ব্যাখ্যা ছাড়াই প্রথম প্রকাশ করা প্রতিবেদনটি সরিয়ে নেওয়া হয়। তার বদলে প্রতিবেদনটির আরেকটি সংস্করণ প্রকাশ করা হয়।

এসএইচ-৩০/০৭/২১ (আন্তর্জাতিক ডেস্ক)

প্যান্ডোরা পেপার্সে উঠে আসা ৮ বাংলাদেশি যারা

সবচেয়ে বড় আর্থিক কেলেঙ্কারির প্যান্ডোরা পেপার্সে আট বাংলাদেশির নাম পাওয়া গেছে। সোমবার বাংলাদেশ সময় মধ্যরাতে ফাঁসকৃত গোপনীয় আর্থিক দলিলপত্রে ওই ৮ বাংলাদেশির নাম প্রকাশ করা হয়।

ওয়াশিংটনভিত্তিক অনুসন্ধানী সাংবাদিকদের প্রতিষ্ঠান আন্তর্জাতিক কনসোর্টিয়াম ইন্টারন্যাশনাল কনসোর্টিয়াম অব ইনভেস্টিগেটিভ জার্নালিস্টসের (আইসিআইজে) সম্পদশালীদের নানা অনিয়ম ও গোপন তথ্য ফাঁস করে।

নতুন এই তালিকায় সাত লাখ ৪০ হাজার ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানের নাম প্রকাশ করা হয়েছে। প্যান্ডোরা পেপার্সে যে আট বাংলাদেশির নাম পাওয়া গেছে তাদের সবারই অন্যান্য দেশের নাগরিকত্বও আছে। এর মধ্যে আছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, রাশিয়া ও আর্জেন্টিনা।

তবে এই তালিকায় ঠাঁই পাওয়া বাংলাদেশিদের অবৈধ কর্মকাণ্ডের ব্যাপারে নিশ্চিত হওয়া যায়নি। এমনকি যে সাংবাদিকরা এই তথ্য ফাঁস করেছেন তারাও সেটি নিশ্চিত করতে পারেননি।

সেই তালিকায় নিহাদ কবীর নামের এক বাংলাদেশি নারী ব্যবসায়ীর নাম রয়েছে। রাজধানী ঢাকার ইন্দিরা রোডে তার একটি বাসা রয়েছে বলে নথিতে বলা হয়েছে। তিনি মেট্রোপলিটন চেম্বার অব কমার্সের সভাপতি বলে ধারণা করা হচ্ছে।

২০০৮ সালের আগস্টে ব্রিটিশ ভার্জিন আইল্যান্ডে ক্যাপিটাল ফেয়ার হোল্ডিংস লিমিটেড নামে একটি কোম্পানি তার নামে নিবন্ধিত হয়।

এই প্যান্ডোরা পেপার্স তালিকায় ইসলাম মঞ্জুরুল নামের আরেক বাংলাদেশি আছেন। ব্রিটিশ ভার্জিন আইল্যান্ডে ওরিয়েন্টাল এগ্রিকালচারাল কেমিক্যাল কোম্পানি নামে নিবন্ধিত একটি কোম্পানির মালিক তিনি। তার ঠিকানা ঢাকার গুলশানে এবং তার যুক্তরাজ্যের পরিচয়ও আছে।

অন্যরা হলেন সাইদুল হুদা চৌধুরী, আনিতা রাণী ভৌমিক, সাকিনা মিরালি, মোহাম্মদ ভাই, ওয়ালটার প্রামাদ ও ডেনিয়েল ওরনেস্টো আয়ুবাট্টি। এদের মধ্যে সাইদুল হুদা, সাকিনা ও মোহাম্মদ ভাইয়ের ঠিকানা ঢাকার গুলশান ও আনিতা রাণীর ঠিকানা পুরান ঢাকার চকবাজার উল্লেখ করা হয়েছে।

নথিতে বেবেন ইন্টারন্যাশনাল কোম্পানির মালিক সাইদুল, ইন্টারপ্রাইজ হোল্ডিংস লিমিটেডের মালিক আনিতা, মুন রেকার সার্ভিস করপোরেশনের মালিক সাকিনা, ১৯৩৬ হোল্ডিংস লিমিটেডের মোহাম্মদ ভাই, সিল্ট লিংক লিমিটেডের মালিক প্রামাদ ও কুডেল লিমিডেটের মালিক ডেনিয়েলের নাম প্রকাশ করা হয়েছে।

এর আগে প্রথম দফায় প্যান্ডোরা পেপার্স প্রকাশিত নথিতে নেপালের এক ব্যবসায়ীর সঙ্গে বাংলাদেশি ব্যবসায়ী আবদুল আউয়াল মিন্টুর নাম উল্লেখ করা হয়েছিল।

আইসিআইজে পান্ডোরা পেপার্সের তথ্য প্রকাশ করেনি তবে স্টেকহোল্ডারদের সঙ্গে বিনিময় করেছে।

পেন্ডোরা পেপার্সটি এক কোটি ২০ লাখ নথির সংকলনে তৈরি করা হয়েছে। নথিতে বিশ্বের বিভিন্ন দেশের ধনী ব্যক্তি, রাজনীতিবিদ ও ক্ষমতাধর ব্যক্তিদের অর্থ পাচার, কর ফাঁকি এবং গোপন সম্পদের তথ্য রয়েছে।

এসব তথ্য সংগ্রহে বিশ্বের ১১৭টি দেশের ৬০০ সাংবাদিক কাজ করেছেন।

এসএইচ-২৯/০৭/২১ (আন্তর্জাতিক ডেস্ক)

৩০ সেকেন্ডের জন্য হলেও প্রধানমন্ত্রীর সাক্ষাৎ চান মাহি

সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে একটি ফোনালাপ। এতে চিত্রনায়িকা মাহিয়া মাহিকে আপত্তিকর ভাষায় বিভিন্ন প্রস্তাব দিয়েছেন পদত্যাগ পত্র দেওয়া তথ্য প্রতিমন্ত্রী ডা. মুরাদ হাসান। মাহিকে তুলে এনে ধর্ষণের হুমকিও দিয়েছেন তিনি!

মাহি বর্তমানে ওমরাহ পালন করতে স্বামীর সঙ্গে সৌদি আরবে আছেন। মঙ্গলবার নিজের ফেসবুকে একটি স্ট্যাটাস দিয়েছেন মাহি। জানিয়েছেন, ৩০ সেকেন্ডের জন্য হলেও প্রধানমন্ত্রীর সাক্ষাৎ চান তিনি।

স্ট্যাটাসে মাহি লেখেন, ‘ওমরাহ থেকে ফিরেই আমার প্রথম এবং একমাত্র চাওয়া আমি আমাদের সবার অভিভাবক, আমাদের মমতাময়ী মা (মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার) সাথে ৩০ সেকেন্ডের জন্য হলেও দেখা করতে চাই। অনেক কিছু বলার আছে। এই মনোবাসনা নিয়েই আমি মক্কা ত্যাগ করব। আমার বিশ্বাস এই চাওয়া ব্যর্থ হবে না।’

এর আগে এক ভিডিও বার্তায় মাহি বলেছিলেন, সেদিন ঘটনা ঘটার পর আমি বেশ বিব্রত ছিলাম। নিজের আত্মসম্মানে কতটুকু আঘাত লেগেছে সেটি আমি আর আমার আল্লাহ জানেন। আজকেও আমি ভীষণ লজ্জিত নিজের কাছেও সেই সঙ্গে দেশবাসীর কাছে। আপনারা নিজে থেক একবার চিন্তা করে দেখবেন আসলে এই ভাষার প্রতি উত্তর আমি কী দিতাম সেই সময়? বলার ভাষা আমার সেদিন ছিল না। আমি নিজের মতো করে উত্তর দিয়ে পাশ কাটিয়ে গিয়েছিলাম সেদিন। এটা ঠিক দুই বছর আগের ঘটনা ছিল।’

তিনি আরও বলেন, আমি সাংবাদিক ভাইদের কাছে সরি বলছি। কারণ ফোন রিসিভ করতে পারিনি। আমি ওমরাহ করতে এসেছি। আসলে এই অবস্থায় ফোন সিরিভ করার মতো অবস্থায় ছিলাম না। আপনারা চিন্তা করে দেখবেন আমার জায়গায় থেকে আসলে আমি দোষী নাকি নির্দোষ। সবাই আমাদের জন্য দোয়া করবেন। আল্লাহ যেন আমাদের ওমরাহ কবুল করেন।

গেল ২৪ নভেম্বর নিজের অফিসিয়াল ফেসবুক পেজে ওমরাহ পালনে যাওয়ার বিষয়টি জানান মাহিয়া মাহি। পোস্টে মাহি লিখেছিলেন, আলহামদুলিল্লাহ, জীবনে প্রথমবার ওমরাহতে যাচ্ছি। এ অনুভূতি প্রকাশের ঊর্ধ্বে। তোমার জন্য অন্তর থেকে অনেক অনেক দোয়া। সবাই আমাদের জন্য দোয়া করবেন।

এসএইচ-২৮/০৭/২১ (বিনোদন ডেস্ক)