সন্ধ্যা ৬:৩১
রবিবার
১৯ শে মে ২০২৪ ইংরেজি
৫ ই জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
১১ ই জ্বিলকদ ১৪৪৫ হিজরী
spot_img

শ্রীলেখার বাসায় নতুন সদস্য

শ্রীলেখার বাসায়

সম্প্রতি একটি নতুন বাড়ি কিনেছেন কলকাতার জনপ্রিয় নায়িকা শ্রীলেখা। সৌরভ গাঙ্গুলির এলাকা বেহালাতে কেনা এই বাড়ি সাজিয়ে গুছিয়ে নিয়ে সেখানে বসবাস করতেও শুরু করেছেন। আর বাড়িতে উঠতে না উঠতেই জুটেছে নতুন অতিথি। আর সেই অতিথিদের দত্তক দিতে চাচ্ছেন নায়িকা।

শ্রীলেখার পশুপ্রেমের কথা সবার জানা। এই অভিনেত্রী জানান, তার পাড়ার রাস্তাতেই ছোট ছোট বাচ্চাদের নিয়ে থাকছিলো এক মা কুকুর। এরই মধ্যে মা কুকুরটি একটি গাড়ির নিচে চাপা পড়ে মারা যায়। এরপর কষ্ট শুরু হয় কুকুরছানাগুলোর। নায়িকা ওই বাচ্চাগুলোর কষ্ট সহ্য করতে না পেরে তাদের বাসায় তুলেছেন।

কুকুরছানাগুলির খাওয়া দাওয়ার ভার নিয়েছেন শ্রীলেখা। আর এতে চটেছেন শ্রীলেখার বাড়ির পাশের লোকজন। তিনি রাস্তার কুকুরদের বাড়িতে আশ্রয় দিয়েছেন কেন? এমন প্রশ্নের মুখে পড়তে হচ্ছে তাকে।

শ্রীলেখা বলেন, ‘মানুষ তো তাকে বলে, যারা অন্যের প্রয়োজনে পাশে থাকে। আমার শিক্ষা এটাই। ছানাগুলো মারা যাচ্ছিল।তাই বাড়িতে এনেছি। ওরা কাররো তো কোনও ক্ষতি করছে না। মানুষের মধ্যে মনুষ্যত্ববোধ কী একটুও বেঁচে নেই?’

শ্রীলেখা ফেসবুক লাইভে জানিয়েছেন, তিনি একটি ছানাকে দত্তক নিচ্ছেন। আরও কেউ যদি এই কুকুর ছানাগুলিকে দত্তক নিতে চান, তবে তারা যেন তাকে ইনবক্সে মেসেজ পাঠান।

আরএম-০৩/১৩/১১ (বিনোদন ডেস্ক)

হুমায়ূন আহমেদ স্মরণে যত আয়োজন

হুমায়ূন আহমেদ

কিংবদন্তি কথাসাহিত্যিক ও নির্মাতা হুমায়ূন আহমেদের ৭১তম জন্মদিনে উপলক্ষে প্রতিবারের মতো এবারো চ্যানেল আই প্রাঙ্গনে অনুষ্ঠিত হচ্ছে ‘হুমায়ূন মেলা’। এছাড়া দিনব্যাপী চ্যানেল আই টেলিভিশনে থাকবে তাকে নিয়ে গান, নাটক ও চলচ্চিত্র প্রদর্শনী।

সেই ধারাবাহিকতায় চ্যানেল আইয়ের নিয়মিত আয়োজন ‘৩০০ সেকেন্ড’-এ অতিথি হয়ে আসছেন হুমায়ূন আহমেদের সহধর্মিনী ও চলচ্চিত্র নির্মাতা, কণ্ঠশিল্পী মেহের আফরোজ শাওন।

অনুষ্ঠানে হুমায়ূন আহমেদকে ঘিরে নানা আলোচিত বিষয় নিয়ে কথা বলবেন তিনি। শাহরিয়ার নাজিম জয়ের উপস্থাপনায় অনুষ্ঠানটি পরিচালনা করেছেন সেহাঙ্গল বিপ্লব। ‘৩০০ সেকেন্ড’ অনুষ্ঠানটি রাত ১০.১৮ মিনিটে প্রচার হবে।

চ্যানেল আইয়ের পর্দায় প্রচারিত হবে হুমায়ূন আহমেদের সর্বশেষ চলচ্চিত্র ‘ঘেঁটুপুত্র কমলা’। ইমপ্রেস টেলিফিল্ম প্রযোজিত এ ছবিতে অভিনয় করেছেন জয়ন্ত চট্টোপাধ্যায়, প্রাণ রায়, মুনমুন আহমেদ, কণ্ঠশিল্পী আগুন, আবদুল্লাহ রানা, ফজলুর রহমান বাবু, শিশুশিল্পী মামুন প্রমুখ। সিনেমাটি দুপুর ৩টা ৫ মিনিটে প্রচারিত হবে।

একই চ্যানেলে প্রচারিত হবে হুমায়ূন আহমেদের নাটক ‘গৃহসুখ প্রাইভেট লিমিটেড’। এ নাটকে অভিনয় করেছেন জাহিদ হাসান, ডা. এজাজুল ইসলাম, জয়, মোজাম্মেল হোসেন, দিলারা জামান, সালেহ আহমেদ, শবনম পারভিন, ফারুক আহমেদ, শামীমা নাজনীন, মুনমুন, আসাদুজ্জামান নূর প্রমুখ। নাটকটি প্রচার হবে রাত ৮টায়।

এছাড়াও চ্যানেলটি প্রচার করবে সঙ্গীতশিল্পী কোনালের উপস্থাপনায় ‘যে থাকে আঁখি পল্লবে’। হুমায়ূন আহমেদের সঙ্গীত ভাবনা নিয়ে কোনালের পরিচালনা ও উপস্থাপনায় নির্মিত হয়েছে বিশেষ অনুষ্ঠানটি।

এতে অংশ নেবেন হুমায়ূন আহমেদের প্রায় গানের সুরকার, সঙ্গীত পরিচালক মকসুদ জামিল মিন্টু, সঙ্গীতশিল্পী সেলিম চৌধুরী এবং গানের রাজা শফিকুল। অনুষ্ঠানের হুমায়ূন আহমেদের একটি অপ্রকাশিত গান প্রকাশিত হবে। অনুষ্ঠানটি প্রচার হবে রাত ১০ টায়।

আরএম-০২/১৩/১১ (বিনোদন ডেস্ক)

সেনাবাহিনীতে চাকরির সুযোগ

বাংলাদেশ সেনাবাহিনীতে ৮৪তম বিএমএ দীর্ঘমেয়াদী কোর্স-২য় পর্বে জনবল নিয়োগ দেওয়া হবে। আগ্রহীরা আগামী ২৭ নভেম্বর পর্যন্ত আবেদন করতে পারবেন।

প্রতিষ্ঠানের নাম: বাংলাদেশ সেনাবাহিনী
পদের নাম: ৮৪তম বিএমএ দীর্ঘমেয়াদি কোর্স-২য় পর্ব

শিক্ষাগত যোগ্যতা: এসএসসি ও এইচএসসি/সমমান পরীক্ষায় মোট জিপিএ ৯.২৫। ইংরেজি মাধ্যমে ও লেভেলের ৬টি বিষয়ের মধ্যে ৩টিতে এ গ্রেড ও ৩টিতে বি গ্রেড থাকতে হবে। এ লেভেলে দুটি বিষয়ে বি গ্রেড থাকতে হবে।

শারীরিক যোগ্যতা: পুরুষের উচ্চতা ৫ ফুট ৪ ইঞ্চি, বুকের মাপ ৩০-৩২ ইঞ্চি, ওজন ৫০ কেজি। নারীর জন্য উচ্চতা ৫ ফুট ২ ইঞ্চি, বুকের মাপ ২৮-৩০ ইঞ্চি, ওজন ৪৭ কেজি।

বয়স: ০১ জুলাই ২০২০ তারিখে ১৭-২১ বছর। সশস্ত্র বাহিনীতে কর্মরতদের ক্ষেত্রে ১৮-২৩ বছর।

নাগরিকত্ব: বাংলাদেশি
বৈবাহিক অবস্থা: অবিবাহিত

আবেদনের নিয়ম: আগ্রহীরা joinbangladesharmy.army.mil.bd ওয়েবসাইটের মাধ্যমে আবেদন করতে পারবেন।

আবেদনের শেষ সময়: ২৭ নভেম্বর ২০১৯

এসএইচ-০১/১৩/১৯ (জবস ডেস্ক)

লাইফ সাপোর্টে লতা মঙ্গেশকর

লাইফ সাপোর্টে

উপমহাদেশের কিংবদন্তি কণ্ঠশিল্পী লতা মঙ্গেশকরের শারীরিক অবস্থা আরও জটিল রূপ ধারণ করেছে। মঙ্গলবার রাতে লতার শারিরীক অবস্থা আগের চেয়ে খারাপ হয়ে যায়। এরপর দ্রুত তাকে লাইফ সাপোর্ট দেয়া হয়। ব্রিচ ক্যান্ডি হাসপাতালের একাধিক চিকিৎসক এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন। তবে তারা আশার বাণীও শুনিয়েছেন। বলেছেন, ধীরে ধীরে কিংবদন্তি গায়িকার শারীরিক অবস্থার উন্নতি হচ্ছে।

মঙ্গলবার দিন পর্যন্ত তিনি মুম্বাইয়ের ব্রিচ ক্যান্ডি হাসপাতালের আইসিইউতে সুস্থতার দিকেই ছিলেন। এদিন তার ছোট বোন আরেক কিংবদন্তি গায়িকা আশা ভোসলে জানিয়েছিলেন, দিদি ধীরে ধীরে সুস্থ হয়ে উঠছেন।

লতা মঙ্গেশকরের বর্তমান অবস্থার কথা জানিয়ে ব্রিচ ক্যান্ডির ইন্টারনাল মেডিসিন ফিজিসিয়ান প্রতীত সামদানি বলেন, এখনও লাইফ সাপোর্টে আছেন লতাজি। ধীরে ধীরে তার অবস্থার উন্নতি হচ্ছে। তবে সংকটজনক অবস্থা এখনও কাটেনি।’ ৯০ বছর বয়সী গায়িকার সংক্রমণ না কাটা পর্যন্ত তারা অন্য কিছু করতে পারবেন না বলেও জানান।

প্রবল শ্বাসকষ্ট নিয়ে গত রবিবার লতা মঙ্গেশকর ব্রিচ ক্যান্ডি হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিলেন। চিকিৎসা শেষে সোমবার দিনগত রাত দেড়টা নাগাদ তাকে ছেড়ে দেয় চিকিৎসকরা। কিন্তু বাড়ি ফেরার কিছুক্ষণ পর আবারও তার প্রবল শ্বাসকষ্ট শুরু হয়। তখনই আবার হাসপাতালে আনা হয়। ভর্তি করা হয় আইসিইউতে।

এদিকে, সুর সম্রাজ্ঞী লতার অসুস্থতার খবরে বিচলিত গোটা ভারত। গত তিন দিনে বহু অভিনেতা-অভিনেত্রী, পরিচালক-প্রযোজক, গায়ক-গায়িকা ও সংগীত পরিচালক তার সুস্থতা কামনা করেছেন টুইটার ও ইনস্টাগ্রামে। তারা সকলের কাছে লতার জন্য আশির্বাদও চেয়েছেন।

আরএম-০১/১৩/১১ (বিনোদন ডেস্ক)

সৌদিতে নারী শ্রমিক পাঠানো বন্ধের দাবি সংসদে

সৌদি আরবসহ বিভিন্ন দেশে নারী গৃহকর্মীদের শারীরিক নির্যাতন ও হত্যার ঘটনায় জাতীয় সংসদে হৈ চৈ করার পাশাপাশি অবিলম্বে সৌদি আরবে নারী শ্রমিক পাঠানো বন্ধের দাবি জানিয়েছেন বিরোধীদলীয় সংসদ সদস্যরা।

জবাবে মন্ত্রী বলেছেন, বিষয়টি নিয়ে আপনাদের থেকে সরকার বেশি চিন্তিত। ইতিমধ্যে এ বিষয়ে উদ্যোগ নেয়া হয়েছে।

মঙ্গলবার অধিবেশনে প্রশ্নোত্তর পর্বে এ সংক্রান্ত প্রথম প্রশ্নটি উত্থাপন করেন সুলতান মোহাম্মদ মনসুর আহমেদ। এরপর প্রশ্ন করেন বিরোধী দল জাতীয় পার্টির সংসদ সদস্য মুজিবুল হক চুন্নু ও কাজী ফিরোজ রশীদ। আর এই প্রশ্ন উত্থাপনকালে নারী শ্রমিকদের নির্যাতন-নিপীড়নের বর্ণনা দিতে গিয়ে রীতিমতো বক্তৃতা দিয়ে ফেলেন। এ নিয়ে অধিবেশন কক্ষে স্বল্প সময়ের জন্য উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে।

সুলতান মনসুর প্রশ্ন রেখে বলেন, দেশের মান-মর্যাদা-ঐতিহ্য রক্ষার স্বার্থে নারী শ্রমিক না পাঠিয়ে পুরুষ শ্রমিককে পাঠান। তাহলে ভালো হবে, দেশের মানও বাঁচবে আমাদের মান-ইজ্জতও বাঁচবে। পারিবারিক পরিবেশ সুন্দর থাকবে। দেশের মর্যাদা অক্ষুণ্ণ থাকবে। বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের বাংলাদেশ মাথা উঁচু করে দাঁড়িয়ে থাকবে, না হলে আমরা দাসত্বের বাংলাদেশে পরিণত হব।

জবাবে মন্ত্রী বলেন, সবকিছু যেভাবে চিন্তা করা হয়, সেভাবে হয় না। সৌদি, মালয়েশিয়া যেখানেই বলেন শ্রমবাজার অনুযায়ী ওনারা যেভাবে চায়, ওই হিসেবেই তো পাঠাতে হবে। না হলে পাঠানোর দরকার নেই। যখন বলা হয় মানুষ পাঠাও, মানুষ চাইলে তো মানুষ পাঠাব। না চাইলে ওখানে ঠেলে তো মানুষ পাঠাতে পারব না। আমরা চেষ্টা করব নারীরা যেন সম্মানজনকভাবে ওখানে চাকরি করতে পারে, আর যদি একেবারেই না করতে পারে তাহলে দেখব, চিন্তা করব না পাঠাতে।

এরপর মুজিবুল হক চুন্নু নারী কর্মীদের ইজ্জত রক্ষার জন্য কোনোরকম উদ্যোগ নিয়েছেন কী না জানতে চাইলে জবাবে মন্ত্রী বলেন, গৃহকর্মীর ব্যাপারে আপনারা যত চিন্তিত এরচেয়ে বেশি কিন্তু সরকারই চিন্তিত। সেই ব্যাপারে অনেক পদক্ষেপ এরই মধ্যে নেয়া হয়েছে। কয়েকদিন আগেই এখানে সৌদি আরবের চার্জ দ্য অ্যাফেয়ারর্স ওনাকে আমার অফিসে ডেকেছিলাম। বিষয়গুলো উত্থাপন করা হয়েছে। রিয়াদে আমাদের রাষ্ট্রদূতকে বলা হয়েছে, ওখানে পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে বিষয়গুলো উত্থাপনের জন্য। আগামী ২৬ ও ২৭ নভেম্বর সৌদি আরবে যৌথসভা হবে, সেখানে বিষয়টি উত্থাপন করা হবে।

প্রবাসীকল্যাণমন্ত্রী বলেন, ক্লেইম যে আছে, নির্যাতনের ক্লেইম যেটা আছে, কেন নির্যাতিত হয় এবং এখান থেকে যে সব নারীকে পাঠাই কোনো ব্রিফিং না দিয়ে কোনো ট্রেনিং না দিয়ে, কিছু না দিয়ে আমরা গৃহকর্মী বলে রিক্রুটিং এজেন্টরা পাঠিয়ে দেয়। আমরা পরিকল্পনা নিয়েছি এরপর গৃহকর্মী যারা যাবে তাদের কমপক্ষে এক মাসের ট্রেনিং দিতে হবে। যাতে ওখানে গিয়ে নির্যাতিত না হয়। ওদের হক এবং ওদের সুরক্ষার জন্য আইনি ব্যবস্থাসহ বিভিন্ন পদক্ষেপ ওনারা নিতে পারেন।

এর আগে কাজী ফিরোজ রশীদ প্রশ্ন উত্থাপনের সুযোগ নিয়ে বলেন, আমাদের ঘরে মা-বোন নেই, কেন তাদের কয়েকটা টাকার জন্য পাঠাব? নারীদের সৌদি আরব যাওয়া সম্পূর্ণ বন্ধ করতে হবে। আমাদের দূতাবাস কোনো পদক্ষেপ নেয়নি। মন্ত্রী কোনো খবর রাখেন না, দালালরা পাঠাইছেন ওনি (মন্ত্রী) খালাস। তারা যে ধরনের অন্যায়-অত্যাচার করে। দালালরা তাদের নিয়ে ছেড়ে দেয় বেচাকেনা হচ্ছে রীতিমতো। সেখানে মেয়েদের হাট বসে, কে কত দাম দিয়ে কিনে নিয়ে যাবেন। এভাবে কেনা-বেচা হয়। অবিলম্বে বন্ধ করবেন কিনা। এই টাকার আমাদের প্রয়োজন নেই। এটা বন্ধ করবেন কিনা, আমি জানতে চাই।

জবাবে মন্ত্রী বলেন, মাঠের বক্তৃতা সুন্দরই শুনলাম। মন্ত্রী যে কিছু জানেন না, কিছু করেন না এটা মাঠের বক্তৃতার মতোই। বিভিন্ন নারী যারা ওখান থেকে লাশ হয়ে আসছেন, যারা নির্যাতিত হয়ে আসছেন। গত কয়েক মাসে ১৬০ ট্রাভেল এজেন্সির লাইসেন্স স্থগিত করেছি। এরই মধ্যে তিনটি লাইসেন্স বাতিলও করেছি। যারা অনিয়ম করেছে তাদের জরিমানাও করেছি। আমাদের সিদ্ধান্ত আমরা জিরো টলারেন্সে আছি। যে এজেন্ট এখান থেকে পাঠায়, ওদের আইন করে দিচ্ছি, যারা পাঠাবে ওদের কাউন্টার পার্ট। যারা ওখানে আছে তাদের সম্পূর্ণ বিস্তারিত আমাদের দিতে হবে। দরকার হলে ওদের ওপর মামলা করতে পারি।

বিএ-১৮/১২-১১ (ন্যাশনাল ডেস্ক)

১৪ নভেম্বর থেকে রাজশাহীতে আয়কর মেলা

রাজশাহী কর অঞ্চলে প্রতিবছর কর দাতার সংখ্যা বাড়ছে। কর দাতাদের সুবিধার্থে আগামী ১৪ নভেম্বর থেকে রাজশাহীতে সপ্তাহব্যাপি ‘আয়কর মেলা ২০১৯’ শুরু হচ্ছে। হেলেনাবাদ কর ভবন অফিস প্রাঙ্গনে এই মেলা অনুষ্ঠিত হবে। চলবে আগামী ২০ নভেম্বর পর্যন্ত। এছাড়া সেরা করদাতাদের সম্মাননা প্রদান করা হবে। কর অঞ্চল রাজশাহীর উদ্যোগে সাতটি ক্যাটাগরিতে রাজশাহী সিটি করপোরেশনসহ রাজশাহী, পাবনা, নাটোর, চাঁপাইনবাবগঞ্জ ও নওগাঁ জেলাসমূহের ৪২ জন সেরা করদাতাকে এই সম্মননা প্রদান করা হবে।

মঙ্গলবার দুপুরে রাজশাহী কর কমিশনারের কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান রাজশাহী অঞ্চলের কর কমিশনার ড. খন্দকার মো. ফেরদৌস আলম। তিনি জানান, আগামী ৩০ নভেম্বর ২০১৯-২০ অর্থ বছরের কর পরিশোধের শেষ তারিখ। নাগরিকদের সেবা নিশ্চিতের লক্ষ্যে প্রতিবছর আয়কর মেলার আয়োজন করা হচ্ছে। প্রতিবছরই কর দাতারা স্বতস্ফূর্তভাবে মেলায় অংশ নিচ্ছেন এবং সেবাগ্রহণ করছেন। এই মেলার মাধ্যমে মানুষের কর ভীতি কমেছে।

রাজশাহী অঞ্চলে করদাতা বা টিন নম্বর গ্রহীতার সংখ্যার পাশাপাশি কর আদায়ের পরিমাণ বাড়ছে উল্লেখ করে কর কমিশানর জানান, গত বছর ২০১৮-১৯ অর্থ বছরে রাজশাহী কর অঞ্চল মোট ৭৪১ কোটি টাকা কর আদায় করা হয়েছে। এসময়ে এক লাখ ২০ হাজার ৩২৯জন করদাতা তাদের রিটার্ন দাখিল বা কর পরিশোধ করেন।

এই অর্থবছরে রাজশাহী অঞ্চলে মোট টিন নম্বর (ইটিআইএন) গ্রহীতার সংখ্যা ছিলো দুই লাখ ২৯ হাজার ৭২৬জন। অর্থছরটিতে কর মেলা থেকে সাড়ে ১৫ কোটি টাকর বেশি কর আদায় করা হয়। মেলায় ৬৬ হাজার ১৩৬জন মানুষকে সংশ্লিষ্ট সেবা প্রদান করা হয়।

রাজশাহী অঞ্চলের কর কমিশনার ড. খন্দকার মো. ফেরদৌস আলম আরও জানান, রাজশাহীতে আগামী ১৪ নভেম্বর সকাল নয়টায় মেলার উদ্বোধন করা হবে। চলবে আগামী ২০ নভেম্বর পর্যন্ত। প্রতিদিন সকাল ৯টা থেকে বিকাল ৫টা পর্যন্ত মেলায় আয়কর রিটার্ন দাখিল, ইটিআইএন রেজিস্ট্রেশন, নতুন করদাতাদের ইটিআইএন সার্টিফিকেট প্রদান, আয়কর অধিক্ষেত্র জানা, আয়কর রিটার্ণ ফরম পুরণে সহযোগিতা, মেলা প্রাঙ্গনে অবস্থিত ব্যাংক বুথে আয়কর জমা এবং মুক্তিযোদ্ধা, নারী, প্রতিবন্ধী ও করদাতাদের সহযোগিতাসহ কর সংশ্লিষ্ট বিষয়ে সংশ্লিষ্ট নাগরিকদের সহযোগিতা করা হবে।

এছাড়া নওগাঁ, নাটোর, পাবনা, চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলাসমূহে আগামী ১৬ থেকে ১৯ নভেম্বর চারদিন এবং ঈশ্বরর্দী, ভনানীগঞ্জ, মহাদেবপুর ও সিংড়ার সংশ্লিষ্ট স্থানসমূহে ১৭ ও ১৮ নভেম্বর দুইদিন আয়কর মেলা অনুষ্ঠিত হবে।

পরে সাংবাদিকদের বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তর দেন সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা। সংবাদ সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন- রাজশাহী কর অঞ্চলের যুগ্ম কর কমিশনার মির্জা আশিক রানা, জাফর ইমাম, উপ কর কমিশনার আবু নসর মো. মাহবুবুজ্জামান, জাহাঙ্গীর আলম প্রমুখ।

বিএ-১৭/১২-১১ (নিজস্ব প্রতিবেদক)

দুর্যোগ ব্যবস্থাপনাতেও বাংলাদেশ বিশ্বে রোল মডেল

গৃহায়ণ ও গণপূর্তমন্ত্রী শ ম রেজাউল করিম বলেছেন, বাংলাদেশ এখন শুধু উন্নয়নেরই নয়, দুর্যোগ ব্যবস্থাপনাতেও বিশ্বে রোল মডেল। প্রাকৃতিক দুর্যোগ মোকাবেলাতেও রোল মডেল হিসেবে সম্মান পেয়েছে বাংলাদেশ। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার জন্যই এটা সম্ভব হয়েছে।

অন্যান্য সরকারের সময় প্রাকৃতিক দুর্যোগে অনেক মানুষের প্রাণহানি ঘটত এখন সেটা হচ্ছে না। যা ক্ষয়ক্ষতি হচ্ছে তাও সরকারের পক্ষ থেকে পূরণ করার ব্যবস্থা করা হচ্ছে।

মঙ্গলবার বিকেলে পিরোজপুরের নাজিরপুর উপজেলায় ঘূর্ণিঝড় বুলবুলের তাণ্ডবে ক্ষতিগ্রস্তদের মাঝে ত্রাণ ও আর্থিক অনুদান বিতরণ শেষে তিনি এসব কথা বলেন।

মন্ত্রী আরও বলেন, বন্যা, খরা, ঘূর্ণিঝড়, অগ্নিকাণ্ড এসবে ক্ষয়ক্ষতি যাতে হ্রাস পায় তার জন্য ইতোমধ্যে ব্যবস্থা নিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। যা আন্তর্জাতিকভাবে প্রশংসিত হয়েছে এবং সবাই মনে করে এটাও (দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা) বাংলাদেশের কাছ থেকে শেখার রয়েছে।

এর আগে ঘূর্ণিঝড় বুলবুলের তাণ্ডবে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি সংবাদ পেয়ে ত্রাণ নিয়ে নিজ নির্বাচনী এলাকা ছুটে যান গৃহায়ন ও গণপূর্তমন্ত্রী শ ম রেজাউল করিম। এ সময় তিনি ক্ষতিগ্রস্ত এলাকার মানুষজনের খোঁজ-খবর নেন এবং সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত উপজেলার দীর্ঘা, দেউলবাড়ী ও কলারদোয়ানিয়া ইউনিয়নের বিভিন্ন এলাকা পরিদর্শন করেন। তিনি ঘূর্ণিঝড়ে ক্ষতিগ্রস্তদের সঙ্গে সরাসরি কথা বলেন এবং সরকারের পক্ষ থেকে সাধ্যমতো তাদের ক্ষতিপূরণের আশ্বাস দেন।

এ সময় অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন পিরোজপুর জেলা আওয়ামী লীগের সহ সভাপতি শাহজাহান খান তালুকদার, যুগ্ম সম্পাদক আকতরিুজ্জামান ফুলু, সাংগঠনিক সম্পাদক জিয়াউল আহসান গাজী, নাজিরপুর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান অমূল্য রঞ্জন হালদার, উপজেলা নির্বাহী অফিসার রোজী আকতার, উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মোশারেফ হোসেন খান, কৃষকলীগের কেন্দ্রীয় নেতা আতিয়ার রহমান চৌধুরী নান্নু, কলারদোয়ানিয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান হাসনাত ডালিম প্রমুখ।

বিএ-১৬/১২-১১ (আঞ্চলিক ডেস্ক)

বিদেশে সম্রাটের নামে-বেনামে ১০০০ কোটি টাকার সম্পদ

যুবলীগ ঢাকা মহানগর দক্ষিণের বহিষ্কৃত সভাপতি ইসমাইল হোসেন চৌধুরী সম্রাট ও তার সহযোগী সহসভাপতি এনামুল হক আরমানের বিরুদ্ধে অবৈধ সম্পদের মামলা করেছে দুদক। মঙ্গলবার সংস্থার নিজস্ব দফতরে দু’জনের নামে আলাদা মামলা করা হয়।

মামলায় সম্রাটের বিরুদ্ধে ২ কোটি ৯৪ লাখ ৮০ হাজার টাকার অবৈধ সম্পদের সুনির্দিষ্ট তথ্য দিলেও দেশের বাইরে নামে-বেনামে অন্তত ১০০০ কোটি টাকার সম্পদ রয়েছে বলে উল্লে­খ করা হয়। তার এ সম্পদ সিঙ্গাপুর, মালয়েশিয়া, দুবাই ও আমেরিকায় রয়েছে।

বিভিন্ন মাধ্যমের তথ্যের বরাত দিয়ে দুদকের অভিযোগে বলা হয়, ইসমাইল হোসেন চৌধুরী সম্রাট রাজধানীর মতিঝিল ও ফকিরেরপুল এলাকায় ১৭টি ক্লাব নিয়ন্ত্রণ করতেন। সেগুলোতে নিজের লোক বসিয়ে প্রতি মাসে মোটা অঙ্কের কমিশন নিতেন। অনেক সময় নিজের লোক দিয়ে ক্লাবগুলোতে ব্যবসা পরিচালনা করতেন।

এ ছাড়া চাঁদাবাজি, টেন্ডারবাজি, অবৈধ মাদক ব্যবসা পরিচালনারও অভিযোগ রয়েছে তার বিরুদ্ধে। অবৈধ উপায়ে অর্জিত অর্থ দিয়ে তিনি দেশের বাইরে সম্পদ গড়েছেন। দেশেও উত্তরা, ধানমণ্ডি, গুলশানসহ বিভিন্ন স্থানে নামে-বেনামে সম্পদ গড়েছেন।

এতে আরও বলা হয়, অনুসন্ধানকালে গোয়েন্দা সূত্র, বাংলাদেশ ব্যাংক ও অন্যান্য প্রতিষ্ঠান থেকে পাঠানো রেকর্ডপত্র পর্যালোচনা করে দেখা যায়, সম্রাট ক্যাসিনোসহ অবৈধ কার্যক্রমের মাধ্যমে অর্জিত অর্থ দেশের বাইরে পাচার করে নামে-বেনামে সম্পদ গড়েছেন। দেশেও তিনি ফ্ল্যাট, প্লট, বাড়ি করেছেন, সিনেমায় বিপুল অর্থ বিনিয়োগ করেছেন। মামলার তদন্তকালে আইনানুগ পদ্ধতিতে আসামি সম্রাটের অবৈধ উপায়ে অর্জিত সম্পদের আরও প্রমাণাদি পাওয়া গেলে তা আমলে নেয়া হবে।

দুদকের উপ-পরিচালক মো. জাহাঙ্গীর আলম বাদী হয়ে সম্রাটের বিরুদ্ধে করা মামলায় আরও বলা হয়, তিনি ২০১৮-১৯ করবর্ষে নিজ নামে ১ কোটি ৮৪ লাখ টাকার স্থাবর সম্পদের তথ্য দিয়েছেন। তবে অনুসন্ধানকালে দেখা যায়, সম্রাট তার মালিকানাধীন ‘হিজ মুভিজ’-এর নামে সোনালী ব্যাংক, কাকরাইল শাখায় চলতি বছরের ৫ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত ২ কোটি ৭৮ লাখ ৪৮ হাজার টাকা জমা দিয়েছেন। ওই হিসাবে বর্তমান স্থিতি ১৯ লাখ ৩৫ হাজার টাকা। বিভিন্ন ব্যাংকে তার এফডিআর আছে ১ কোটি ১০ লাখ ৭৬ হাজার টাকার। সব মিলিয়ে দেশে তার অবৈধ সম্পদের সন্ধান মেলে ২ কোটি ৯৪ লাখ ৮০ হাজার টাকার।

অপরদিকে, যুবলীগ নেতা সম্রাটের সহযোগী আরমানের বিরুদ্ধে ২ কোটি ৫ লাখ ৪০ হাজার টাকার জ্ঞাত আয়ের সঙ্গে অসঙ্গতিপূর্ণ অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগে মামলা করে দুদক। দু’জনের বিরুদ্ধেই ২০০৪ সালের দুদক আইনের ২৭(১) ধারায় অপরাধ আনা হয়।

বিএ-১৪/১২-১১ (ন্যাশনাল ডেস্ক)

কলাবাগান ক্রীড়াচক্রের সভাপতি শফিকুলের বিরুদ্ধে র‌্যাবের চার্জশিট

ঢাকার ধানমন্ডি থানায় মাদক আইনে করা মামলায় কলাবাগান ক্রীড়াচক্রের সভাপতি শফিকুল আলম ফিরোজকে অভিযুক্ত করে অভিযোগপত্র (চার্জশিট) দিয়েছে র‌্যাব।

সোমবার ঢাকা মহানগর হাকিম রাজেশ চৌধুরীর আদালতে এ চার্জশিট দাখিল করেন মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা র‌্যাব-২ এর উপ-পরিদর্শক জসীম উদ্দীন। আদালত দেখিলাম বলে চার্জশিটে স্বাক্ষর করে বিচারের জন্য মহানগর দায়রা জজ আদালতে বদলির নির্দেশ দেন।

ধানমন্ডি থানার আদালতের সাধারণ নিবন্ধন কর্মকর্তা পুলিশের উপ-পরিদর্শক আশরাফ আলী মঙ্গলবার বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, গতকাল সোমবার ঢাকা মহানগর হাকিম আদালতে চার্জশিট দাখিল করেন তদন্তকারী কর্মকর্তা।

এর আগে ১০ অক্টোবর তিনদিনের রিমান্ড শেষে তাকে আদালতে হাজির করে র‌্যাব। এ সময় মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা র‌্যাব-২ এর উপ-পরিদর্শক জসীম উদ্দীন তাকে কারাগারে রাখার আবেদন করে প্রতিবেদন দাখিল করেন। অন্যদিকে তার আইনজীবী জামিনের আবেদন করেন।

উভয়পক্ষের শুনানি শেষে ঢাকা মহানগর হাকিম শাহিনুর রহমান জামিন নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন। এছাড়া তার চিকিৎসার জন্য আবেদন করলে আদালত কারাবিধি অনুসারে চিকিৎসার নির্দেশ দেন।

উল্লেখ্য, ২০ সেপ্টেম্বর দুপুর দেড়টার দিকে শফিকুল আলমকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য র‌্যাব হেফাজতে নেয়া হয়। ওইদিন সন্ধ্যা সোয়া ৭টার দিকে কলাবাগান ক্রীড়াচক্র ক্লাবে অভিযান চালায় র‌্যাব।

অভিযান শেষে রাতে এক সংবাদ সম্মেলনে র‌্যাব-২ এর অধিনায়ক আশিক বিল্লাল জানান, অভিযানের সময় শফিকুলের কাছে সাত প্যাকেট হলুদ রঙের ইয়াবা পাওয়া গেছে। বাংলাদেশে এখন পর্যন্ত এ ধরনের ইয়াবা পাওয়া যায়নি। এ ইয়াবায় কোনো গন্ধ নেই। এটা নতুন আবিষ্কার।

বিএ-১৩/১২-১১ (ন্যাশনাল ডেস্ক)

মোবাইলে কথা বলার সময় ট্রেনের ধাক্কায় পুলিশ কর্মকর্তা নিহত

মোবাইল কানে নিয়ে রেললাইনে হাঁটার সময় ট্রেনের ধাক্কায় পুলিশের এক উপপরিদর্শক নিহত হয়েছেন। নিহত পুলিশের উপপরিদর্শক (এসআই) আক্তারুজ্জামান (৪৮)।

মঙ্গলবার বিকেলে বিকেলে চিকিৎসাধীন অবস্থায় বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে তার মৃত্যু হয়।

এর আগে দুপুরে নওগাঁর রানীনগর রেলওয়ে স্টেশনে ঘটনাটি ঘটলে তাকে উদ্ধার করে শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হয়।

নিহত আক্তারুজ্জামান সিরাজগঞ্জের শাহজাদপুর উপজেলার গোপালপুর গ্রামের বাসিন্দা। রানীনগর থানা সূত্রে জানা যায়, দুপুরে এসআই আক্তারুজ্জামান পোশাক পরা অবস্থায় স্টেশন এলাকায় কাজ শেষে রেললাইনের ওপর দিয়ে মোবাইলে কথা বলতে বলতে হাঁটছিলেন।

এ সময় ঢাকা থেকে ছেড়ে আসা খুলনাগামী আন্তঃনগর রূপসা এক্সপ্রেস ট্রেনের সঙ্গে ধাক্কা লেগে ছিটকে পড়ে গুরুতর আহত হন তিনি। আহত অবস্থায় তাকে উদ্ধার করে নওগাঁ সদর হাসপাতালে নেয়া হয়।

অবস্থার অবনতি হওয়ায় তাকে বগুড়া সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়। বিকেলে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়। গত দুই বছর ধরে রানীনগর থানায় কর্মরত ছিলেন তিনি।

রানীনগর থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা জহুরুল হক বলেন, এসআই আক্তারুজ্জামানকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানে তার মৃত্যু হয়।

ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা জহুরুল হক বলেন, দুপুর সোয়া ১২টার দিকে এসআই আক্তারুজ্জামান ইউনিফর্ম পরা অবস্থায় স্টেশন এলাকায় কাজ শেষে রেললাইনের ওপর দিয়ে মোবাইল কানে ধরে কথা বলতে বলতে হাঁটছিলেন।

এ সময় খুলনাগামী আন্তনগর রূপসা ট্রেনের সঙ্গে ধাক্কা খেয়ে ছিটকে পরে গুরতর আহত হন তিনি। আহত অবস্থায় তাকে প্রথমে নওগাঁ সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।

সেখানে তার অবস্থার অবনতি হওয়ায় বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেয়া হয়েছিল।

বিএ-১২/১২-১১ (উত্তরাঞ্চল ডেস্ক)