রাত ১০:০৩
মঙ্গলবার
৭ ই মে ২০২৪ ইংরেজি
২৪ শে বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
২৮ শে শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী
spot_img

এক গুদামেই মিলল ৪৪৮৮ লিটার তেল

নাটোরের সিংড়ায় একটি গুদাম থেকে চার হাজার ৪৮৮ লিটার সুপার পামওয়েল উদ্ধার করেছে উপজেলা প্রশাসন ও ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদফতর।

রোববার বিকেলে উপজেলার তাজপুর ইউনিয়নের তেমুখ নওগাঁ বাজারে অভিযান চালিয়ে এসব তেল উদ্ধার করা হয়। পরে ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে মজুতদার বিমল চন্দ্র সাহাকে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।

ভ্রাম্যমাণ আদালত সূত্র জানায়, উপজেলার তেমুখ নওগাঁ বাজারের ব্যবসায়ী বিমল কুমার সাহা আগের দামে ৪ হাজার ৪৮৮ লিটার সুপার পামওয়েল কিনে লিটারে ৩৭ টাকা বেশি দামে বিক্রি করছিলেন। স্থানীয়রা বিষয়টি জানতে পেরে শনিবার রাতে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা এম এম সামিরুল ইসলাম ও সিংড়া থানার ওসি নূর-এ-আলম সিদ্দিকীকে জানায়।

পরে রোববার  বিকেলে ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদফতরের নাটোর জেলা কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক মেহেদী হাসান তানভীর ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে অবৈধভাবে মজুদ রেখে কৃত্রিম সংকট তৈরির অপরাধে বিমল চন্দ্র সাহাকে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করেন।

সিংড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নূর-এ-আলম সিদ্দিকী বলেন, ‘স্থানীয়দের মাধ্যমে সংবাদ পেয়ে আমরা ঘটনাস্থলে যাই এবং অবৈধভাবে তেল মজুদ রাখার প্রমাণ পাই। পরে ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে মজুতদারকে জরিমানা করা হয়।’

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা এম এম সামিরুল ইসলাম জানান, এ ঘটনায় ওই ব্যবসায়ীকে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করার পাশাপাশি জব্দ পামওয়েল তেমুখ নওগাঁ বাজারে সাধারণ ক্রেতাদের কাছে বিক্রি করা হয়।

এসএইচ-২৪/১৫/২২ (উত্তরাঞ্চল ডেস্ক)

একটি পরিত্যক্ত টিনের ঘর’ পি কে হালদারের সম্বল!

বহুল আলোচিত হাজার কোটি টাকা পাচারসহ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান থেকে বিপুল অঙ্কের অর্থ লোপাটকারী প্রশান্ত কুমার হালদার (পি কে হালদার) একজন দরিদ্র দর্জির সন্তান। সাধারণ পরিবারের সন্তান হয়েও পি কে বিপুল পরিমাণ বিত্ত-বৈভবের মালিক বনে গেছেন। আত্মসাৎ ও পাচারের মামলার আসামি তাকে গ্রেফতার করায় স্বস্তি প্রকাশ করেছেন পি কে হালদারের জন্মস্থান পিরোজপুরের সাধারণ মানুষ।

রোববার দুপুরে পি কে হালদারের গ্রামের বাড়িতে গিয়ে দেখা গেছে, হালদারবাড়িতে সাতটি পরিবার বসবাস করছে। বাড়ির লোকজন নিম্নমধ্যবিত্ত। এছাড়া পি কে হালদারের পৈতৃক ভিটায় পরিত্যক্ত একটি ঘর রয়েছে, যার দেয়ালে শ্যাওলা ধরেছে। ভিটার ওপর জন্মেছে আগাছা।

প্রতিবেশীরা জানান, ভিটার ওই জমি আর টিনের পরিত্যক্ত ঘরটি ছাড়া গ্রামে পি কে হালদারদের কোনো সম্পদ নেই। অন্যান্য সম্পদ বিক্রি করে অনেক আগেই গ্রাম ছেড়েছে হালদার পরিবার।

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, পিরোজপুরের নাজিরপুর উপজেলার দীঘিরজান গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন পি কে হালদার। তার বাবা মৃত প্রণবেন্দু হালদার পেশায় ছিলেন একজন দর্জি। মা লীলাবতি হালদার স্কুল শিক্ষিকা।

তবে ২০০২ সালের আগে প্রায়ই এলাকায় যেতেন পি কে হালদার। জনকল্যাণে কাজ না করলেও ২০০২ সালে দীঘিরজান মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের সভাপতি থাকাকালে লাঞ্ছিত হয়ে এলাকা ছাড়েন পি কে। এরপর তাকে আর এলাকায় দেখা যায়নি।

বাংলাদেশ দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) পি কে হালদার এবং তার সহযোগীদের বিরুদ্ধে মোট ৩৪টি মামলা করেছে। এসব মামলায় তাদের বিরুদ্ধে কয়েক হাজার কোটি টাকা আত্মসাৎ ও পাচারের অভিযোগ আনা হয়েছে। ভারতের অর্থ সংক্রান্ত কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা বাহিনী এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেটের (ইডি) কর্মকর্তারা গত শনিবার পি কে হালদারসহ মোট ৬ জনকে আটক করেছে।

প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে অর্থ পাচারে জড়িত বাংলাদেশের একাধিক ব্যক্তির নাম প্রকাশ করেছেন তিনি। এ সময় প্রশাসন ১০টি বিলাসবহুল বাড়ি সিলগালা ও বিপুল সম্পদের দলিল ও নথিপত্র উদ্ধার করেছে। এ সংবাদ পিরোজপুরে গ্রামের বাড়িতে ছড়িয়ে পড়লে স্থানীয়রা অনেকেই স্বস্তি প্রকাশ করেন এবং দেশে ফিরিয়ে এনে বিচারের দাবি জানান তারা। তবে নাম প্রকাশ করে কিছু বলতে রাজি হননি কেউই।

স্থানীয় জনপ্রতিনিধি মাটিভাঙ্গা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো. জাহিদুল ইসলাম বলেন, অন্যদের শিক্ষা দিতে তাকে বিচারের আওতায় আনা হোক।

তিনি বলেন, পি কে হালদারকে দেশে এনে বিচারের আওতায় আনলে ভবিষ্যতে পাচারকারীরা এ জাতীয় কর্মকাণ্ড থেকে বিরত থাকবেন।

স্থানীয় দিঘিরজান সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষক মঞ্জুশ্রী মৈত্র বলেন, প্রশান্ত আমার সরাসরি ছাত্র। তার মায়ের সঙ্গে আমি শিক্ষকতা করেছি। ছোটবেলা থেকে ওরা তিন ভাই মেধাবী ছাত্র ছিল। ছাত্রের এমন খবর আমাকে ব্যথিত করেছে।

এসএইচ-২৩/১৫/২২ (আঞ্চলিক ডেস্ক)

৫৫ বছরে ‘ধাক ধাক গার্ল’ মাধুরী দীক্ষিত

Madhuri Dixit

সাড়ে তিন দশক ধরে দর্শক হৃদয়ে মাধুরী। বরাবরই তাকে বলিউডের সেরা অভিনেত্রীদের একজন হিসেবে গণ্য করা হয়। অভিনয় জীবনে তিনি সত্তরের অধিক চলচ্চিত্রে অভিনয় করেছেন।

বলিউডের ডান্সিং ডিভা মাধুরী দিক্ষীত। অভিনয় জগতে পা রাখার আগেই খবরের শিরোনামে আসেন অসাধারণ নাচ পরিবেশন করে। যার সৌন্দর্যে মুগ্ধ হয়ে বিখ্যাত চিত্রশিল্পী এম এফ হুসেন ৬৭ বার দেখেছেন ‘হাম আপকে হ্যায় কন’ ছবিটি। প্রায় সাড়ে তিন দশক ধরে মিষ্টি হাসির যাদুতে ভক্ত হৃদয়ে ঝড় তোলা ‘ধাক ধাক গার্ল’ পা রাখলেন ৫৫ বছরে।

বাংলার অভিনেতা তাপস পালের সঙ্গে জুটি বেঁধে ‘অবোধ’ ছবি দিয়ে অভিনয় জগতে পা রাখেন মাধুরী দীক্ষিত। এরপর একের পর এক ব্লকবাস্টার সিনেমায় নানা রকম চরিত্রে দেখা গিয়েছে তাকে। কমেডি থেকে সিরিয়াস- সব ধরনের চরিত্রেই দর্শকদের মনে স্থান পেয়েছেন মাধুরী। তার হাসি ও চোখের জাদুতে মুগ্ধ হননি এমন ব্যক্তি খুঁজে পাওয়া দায়। ক্যারিয়ারের শুরু থেকেই অন্যান্য তারকাদের তুলনায় বেশি পারিশ্রমিক নেন মাধুরী দীক্ষিত।

ক্যারিয়ারের শুরুতে কিছুটা স্ট্রাগল করতে হলেও, পরে আর পেছনে ফিরে তাকাতে হয়নি এই এভারগ্রিন নায়িকাকে। তার অভিনীত হিট ছবির তালিকা করতে গেলে তা শেষ করা কঠিন। তার অভিনয়, নাচ সবই বরাবর মুগ্ধ করে এসেছে দর্শকদের।

খুব কম বয়সেই অভিনয় শুরু করেন মাধুরী। তবে, বিয়ের পর বহু বছর বলিউড থেকে বেপাত্তা ছিলেন তিনি। ড. নেনের সঙ্গে জমিয়ে সংসার করেন বিদেশে। স্ত্রী ও মায়ের দায়িত্ব পালন করেন সুন্দর ভাবে। দীর্ঘ বিরতির পর তিনি আবারও ফিরেছেন বলিউডে। শুধু শো-এর বিচারক হিসেবে নয়। বরং ফের শুরু করেছেন অভিনয়। বড় পর্দায় অভিনয়ের পাশাপাশি ওটিটি-তেও দেখা মিলছে মাধুরীর।

কীভাবে দর্শকদের মনে দাগ ফেলতে হয়, বেশ ভালো করেই জানেন এই বলিউড কুইন। বরাবরই তাকে বলিউডের সেরা অভিনেত্রীদের একজন হিসেবে গণ্য করা হয়। অভিনয় জীবনে তিনি সত্তরের অধিক চলচ্চিত্রে অভিনয় করেছেন। অনেকদিন পর্যন্ত ভারতের সর্বোচ্চ পারিশ্রমিকপ্রাপ্ত অভিনেত্রী ছিলেন তিনি। ২০০৮ সালে তাকে ভারত সরকারের চতুর্থ সর্বোচ্চ বেসামরিক পুরস্কার পদ্মশ্রী পুরস্কারে ভূষিত করা হয়।

মাধুরী দীক্ষিত ১৯৬৭ সালের ১৫ মে মহারাষ্ট্রে মারাঠী ব্রাহ্মণ পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন। তার পিতা শঙ্কর দীক্ষিত ও মাতা স্নেহলতা দীক্ষিত। তিনি ভারতের মুম্বাইয়ের (সাবেক বোম্বে) অধিবাসী।

এসএইচ-২২,/১৫/২২ (বিনোদন ডেস্ক)

পি কে ফিরলেও টাকা ফেরানো অসম্ভব?

বাংলাদেশ থেকে ১০ হাজার কোটিরও বেশি টাকা পাচারকারী পি কে হালদারকে (প্রশান্ত কুমার) ফিরিয়ে আনা সম্ভব। তবে পাচার হওয়া অর্থের কী হবে?

এমন প্রশ্নে অর্থ ফেরত আনা হবে বলে অ্যাটর্নি জেনারেল জানালেও এক বিশেষজ্ঞ বললেন ‘এটি প্রায় অসম্ভব’।

আর্থিক জালিয়াতিতে বহুমুখী প্রতিভার পরিচয় দেওয়া পি কে হালদার নানা কৌশলে নামে-বেনামে একের পর এক কোম্পানি খুলে হাজার কোটি টাকা আত্মসাৎ করে তা বিদেশে পাচার করেছেন। প্রভাব খাটিয়ে প্রতারণা ও জালিয়াতি করে দেশের একাধিক আর্থিক প্রতিষ্ঠান ধসিয়ে দেওয়ার মূল কারিগরও তিনি। আর এ টাকার মালিক রাষ্ট্র ও জনগণ।

বিশাল অংকের এ আর্থিক কেলেঙ্কারির হোতা পি কে হালদার ভারতে গ্রেফতার হওয়ার পর তাকে এখন ফিরিয়ে আনার উদ্যোগ নেওয়ার কথা বলা হচ্ছে সরকারের তরফ থেকে।

দেশের প্রধান আইন কর্মকর্তা অ্যার্টনি জেনারেল এ এম আমিন উদ্দিন জানান, শুধু পি কে নয়, দেশে ফিরিয়ে আনা হবে তার পাচার করা সব অর্থও।

ভারতে পাচার হওয়া টাকার বিষয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে অ্যাটর্নি জেনারেল বলেন, ‘পি কে হালদারের পাচার করা টাকাটা আমাদের। ভারতের সঙ্গে আমাদের চুক্তি আছে। এছাড়াও একটা চুক্তি আছে এমএলএফ। এর মাধ্যমে আমরা টাকাটা ফেরত আনার চেষ্টা করব। এর আগে বাংলাদেশে শুধু একবারই টাকা এসেছিল। আরাফাত রহমান কোকোর টাকা, যেটা সিঙ্গাপুরে ছিল। পি কে হালদারের টাকাটা যেহেতু আটকানো গেছে, আশা করি দ্রুতই এ টাকা ফেরত আনতে পারব।’

তবে ভিন্নমত এক বিশেষজ্ঞের। বলছেন, পিকে হালদারকে দেশে ফিরিয়ে আনা সম্ভব হলেও পাচার করা অর্থ ফেরত আনা অসম্ভব।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগের অধ্যাপক শেখ হাফিজুর রহমান কার্জন বলেন, বিদেশে টাকা পাচার হয়েছে সেটা হুন্ডির মাধ্যমে, এটার তথ্য পাওয়াটা কঠিন। আবার অনেক সময় এমনভাবে পাঠানো হয় যে, তথ্যটা পাওয়া যায় না। মুশকিল হলো যে, এটা ফিরিয়ে আনার ক্ষেত্রে প্রায় অসম্ভব বললেই চলে।

বন্দিবিনিময় চুক্তির মতো পাচার হওয়া টাকাও যাতে খুব সহজেই দেশে আনা যায় সেজন্য চুক্তি করার পরামর্শ বিশেষজ্ঞদের।

দুদিনের অভিযানে শনিবার প্রশান্ত কুমার (পি কে) হালদার ধরা পড়েন ভারতের গোয়েন্দা সংস্থা এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেটের (ইডি) ফাঁদে। এ সময় পি কে হালদারের স্ত্রী ও ভাই প্রাণেশ হালদারসহ ছয় জনকে গ্রেফতার করা হয়। রোববার বারাসাতের আদালতে তোলা হলে তদন্তের স্বার্থে তাদের ১৭ মে পর্যন্ত ইডি হেফাজতে নেওয়ার নির্দেশ দেন বিচারক।

২০১৯ সালের ২২ অক্টেবর রাত পর্যন্ত দেশেই ছিলেন প্রশান্ত কুমার হালদার। ২৩ অক্টোবর সকাল ১০টা ৩০ মিনিটে নিষেধাজ্ঞা দিয়ে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) চিঠি দেয় ইমিগ্রেশনকে। দুপুর ২টা ৪৩ মিনিটে হোয়াটসঅ্যাপে আবারও তার বিদেশে যাওয়া ঠেকাতে বলে দুদক।

দুদক এবং ইমিগ্রেশন বিভাগ যখন চিঠি চালাচালি করছে তখনো সীমান্ত পাড়ি দেননি পি কে হালদার। আদালতে জমা দেওয়া ইমিগ্রেশন পুলিশের তথ্য বলছে, দুদকের আনুষ্ঠানিক চিঠি পাওয়ার দুই ঘণ্টা আগে যশোরের বেনাপোল সীমান্ত দিয়ে দেশ ছাড়েন পি কে হালদার।

এসএইচ-২১/১৫/২২ (অনলাইন ডেস্ক, সূত্র : সময়)

দ্রব্যমূল্যের চাপে অনেকেই ভোগ্যপণ্যের ব্যবহার কমিয়েছেন!

দ্রব্যমূল্যের চাপে অনেকেই এখন ভোগ্যপণ্যের ব্যবহার কমিয়ে দিয়েছেন৷ আবার কেউ কেউ ব্যয় ঠিক রাখতে গিয়ে প্রতি মাসেই ধারদেনা করছেন৷

বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এই অবস্থা চলতে থকলে অপুষ্টির শিকার হতে পারে দেশের বড় একটি অংশ৷ বাড়তে পারে দরিদ্র মানুষের সংখ্যা৷

বাজারে এখন শুধু ভোজ্য তেলের দামই নয়, নিত্যপ্রয়োজনীয় সব পণ্যের দামই বাড়ছে৷ দামবৃদ্ধির এই চাপ টের পাচ্ছেন নিম্নবিত্ত ও মধ্যবিত্তরা৷

এমন কয়েকজনের সাথে কথা বলে জানা গেছে যে, তাদের অনেকেই ঋণগ্রস্ত হয়ে পড়ছেন৷ কেউ সঞ্চয় ভেঙে খরচ চালাচ্ছেন৷ আর দাম বাড়ায় অনেকেই পছন্দের খাবারে এনেছেন পরিবর্তন৷ যেমন গরুর মাংস খাওয়া ছেড়ে দিয়েছেন অনেকে৷ কেউবা আগের চেয়ে প্রয়োজনের তুলনায় কম খেয়ে চাপ সামলাচ্ছেন৷

এমনই একজন হলেন সুমাইয়া ইমলাম৷ তিনি ঢাকার একটি সরকারি প্রাইমারি স্কুলের সহকারী শিক্ষক৷ বেতন পান ২৭ হাজার টাকা৷ তার স্বামী একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে চাকরি করেন৷ বেতন পান ৫০ হাজার টাকা৷ গত তিন বছরে তার স্বামীর বেতন বাড়েনি৷ তার বেতন এক বছরে বেড়েছে মাত্র ৭০০ টাকা৷ তাদের একটি সন্তান আছে৷ স্বামী স্ত্রী দুজনকেই নিজ নিজ বাবা-মা ও ভাই-বোনদের খরচ চালাতে হয়৷

সুমাইয়া ইসলাম জানান, ‘‘গত এক বছরে আমাদের পরিবারের খরচ প্রায় দুইগুণ বেড়ে গেছে৷ শুধু তেলের দাম নয়, শাকসবজিসহ সবকিছুর দামই বেড়ে গেছে৷ আগে যা ১০০ টাকায় কিনতাম তা কিনতে এখন ২০০ টাকা লাগে৷ কিন্তু আমাদের আয় বাড়েনি৷’’

তিনি জানান, যা আয় হয় তা তাদের হাতে থাকে না৷ বেতন পেয়েই প্রতিমাসে গড়ে ২০ হাজার টাকা ঋণ শোধ করতে হয়৷ আবার মাসের শেষে ধার করতে হয়৷ এর ফলে গত এক বছরে ঋণগ্রস্ত হয়ে পড়েছেন বলে দাবি তার৷

তার কথা, ‘‘এভাবে চলতে থাকলে জানি না কীভাবে চলব৷ ঋণতো বাড়তে থাকবে৷ শোধ করব কীভাবে!’’

নিজের সহকর্মীদের উদাহরণ দিয়ে তিনি বলেন, ‘‘আমার সহকর্মীদেরও একই অবস্থা৷ তবে আমার পরিচিত যারা ব্যবসা করেন তাদের সমস্যা হচ্ছে না তেমন৷’’

নাজমুল হক তপনকে তার তিন সদস্যের পরিবারকে মাসে ৫০ হাজার টাকায় চালাতে হয়৷ করোনার সময় তার বেতনও কমে গেছে৷ আগে বেশি বেতন পেতেন৷ আর এখন উল্টো নিত্যপণ্যের দাম বেড়েছে৷

তার কথা, ‘‘আমি ঋণ এড়াতে গরুর মাংস খাওয়া ছেড়ে দিয়েছি৷ আগে মাসে চার কেজি কিনতাম৷ এখন কিনি না৷ চার প্যাকেটের বদলে এখন দুই প্যাকেট দুধ কিনি৷ মাছ কেনা কমিয়ে দিয়েছি৷ মাংস বলতে এখন ব্রয়লার মুরগি৷ আর অফিসে হেঁটে যাই৷’’

নিম্নবিত্ত এবং মধ্যবিত্ত পরিবারের এই করুণ গল্প তেমন আর আলাদা নয়৷ সবাই বলতে গেলে এখন হয় ঋণ করে সংসার চালাচ্ছেন অথবা ভোগ্যপণ্যের ব্যবহার কমিয়ে কোনোভাবে টিকে আছেন৷

কিন্তু এভাবে নিত্যপণ্যের দাম বাড়তে থাকলে তারা কতদিন টিকতে পারবেন বলা মুশকিল৷

মোহাম্মদ বখতিয়ার হোসেন একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে চাকরি করেন৷ বেতন পান মাসে ১৮ হাজার টাকা৷ গত তিন বছরে তার এক টাকাও বেতন বাড়েনি৷ কিন্তু খরচ বেড়েছে প্রায় ৫০ ভাগ৷ চার ছেলে-মেয়েসহ পরিবারের সদস্য ছয়জন৷

তার কথা, ‘‘কোনোভাবে বেঁচে থাকার জন্য যা কিনতে হয় তা কিনি৷ কিন্তু তারপরও ঋণে আমি জর্জরিত৷ দোকানদারও আর বাকি দিতে চায় না৷ ১০ দিনের মধ্যেই বেতনের টাকা শেষ হয়ে যায়৷ কীভাবে বেঁচে আছি জানি না৷ আল্লাহই বাঁচিয়ে রেখেছেন৷’’

বাংলাদেশে শুধুমাত্র চলতি বছরেই ভোজ্য তেলের দাম বেড়েছে দুইবার৷ বলা হচ্ছে, বর্তমান দর প্রতিকেজি ১৯৮ টাকা৷ কিন্তু ১৯৮ টাকা দামে এক লিটার সয়াবিন তেল বাস্তবে পাওয়া যায় না৷ বাস্তবে ২২০ টাকা৷ টিসিবির দামের হিসাবের সাথে বাস্তবের কোনো মিল নাই৷ পেঁয়াজ, চাল, চিনি, ডাল, ডিম, মাছ, মাংসের দাম আরো এক দফা বেড়েছে৷ প্রতিটি ভোগ্য পণ্যের দাম গত এক সপ্তাহে প্রতি কেজিতে গড়ে ১০-২০ টাকা বেড়েছে৷ গরুর মাংসের কেজি এখন ৭২০ টাকা৷ শাকসবজির দাম প্রতিদিনই বাড়ছে৷

কনজ্যুমারস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (ক্যাব) সহ-সভাপতি এস এম নাজের হোসাইন বলেন, ‘‘গত বছর আমাদের হিসেবে জীবনযাত্রার ব্যয় শতকরা ৯ ভাগ বেড়েছে৷ আমরা বছর শেষে এটা হিসাব করি৷ তবে আমাদের পর্যবেক্ষণ বলছে, এবছরের পাঁচ সাড়ে পাঁচ মাসেই জীবনযাত্রার ব্যয় ১০ ভাগেরও বেশি বেড়েছে৷ তবে মানুষের আয় বড়ছে না৷ বরং অনেকের আয় কমে গেছে৷’’

তিনি বলেন, ‘‘মানুষ এখন খাওয়া কমিয়ে খরচ নিয়ন্ত্রণে রাখছে৷ আবার অনেকে ধার-দেনা করে দিশেহারা হয়ে পড়ছেন৷’’

এ বিষয়ে সিপিডির অর্থনীতিবিদ ড. খন্দকার গোলাম মোয়াজ্জেম বলেন, ‘‘সরকার বলছে এখন মূল্যস্ফীতি ৬.২ ভাগ৷ কিন্তু বাস্তবে নিত্যপ্রয়োজনীয় বিশেষ করে করে ভোগ্যপণ্যের দাম গত এক বছরে ২০ থেকে ৪০ ভাগ বেড়েছে৷ কোনো ক্ষেত্রে এর চেয়ে বেশিও বেড়েছে৷ তাহলে বোঝা যায় সরকারের হিসাবের সাথে বাস্তবের মিল নাই৷ তাই সরকারের হিসাবের যে কৌশল তা নতুন করে ভেবে দেখা উচিত৷’’

তার কথা, ‘‘এই সময়ে মানুষের আয় বাড়েনি৷ এটা অব্যাহত থাকলে মানুষ আরো ঋণগ্রস্ত হয়ে পড়বে এবং তা থেকে বের হতে পারবে না৷ দরিদ্র মানুষের সংখ্যা আরো বেড়ে যাবে৷ যারা এখনো সঞ্চয় ভেঙে খাচ্ছেন তাদের সঞ্চয় শেষ হয়ে যাবে৷ খাদ্য নিরাপত্তা বিঘ্নিত হবে৷ ফলে অপুষ্টি বাড়বে৷’’

এই অর্থনীতিবিদের আশা, চলমান অবস্থা দীর্ঘস্থায়ী হবে না৷ তবে পরিস্থিতি মোকাবিলার জন্য সরকারকে আগামী বাজেটে খাদ্য নিরাপাত্তা ও সামাজিক নিরাপত্তা বাড়াতে হবে৷

তিনি বলেন, ‘‘দ্রব্যমূল্য নিয়ে শুধু বাংলাদেশ নয়, পুরো বিশ্বই এখন সংকটে আছে৷’

এসএইচ-২০/১৫/২২ (হারুন উর রশীদ স্বপন, ডয়চে ভেলে)

কাতার বিশ্বকাপে হোটেল পাচ্ছেন না সমকামীরা

আগামী নভেম্বরে কাতারে বসতে যাচ্ছে ক্রীড়া দুনিয়ার সবচেয়ে জাঁকজমকপূর্ণ ইভেন্ট ফিফা বিশ্বকাপ। এদিকে ম্যাচ দেখার জন্য ফিফা কর্তৃক স্বীকৃত হোটেলগুলোতে রুম বুকিংয়ের জন্য যোগাযোগ করছেন বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তের ফুটবলপ্রেমীরা। এদিকে কাতারের ৩টি হোটেল সমকামীদের রুম বুকিংয়ে অস্বীকৃতি জানিয়েছে বলে স্ক্যান্ডিনেভিয়ান মিডিয়ার অনুসন্ধানে বেরিয়ে আসে। খবর রয়টার্সের।

নরওয়েজিয়ান ব্রডকাস্টার এনআরকে, সুইডেনের এসভিটি এবং ডেনমার্কের ডিআর তাদের অনুসন্ধানে দেখিয়েছে, ফিফার সঙ্গে চুক্তি করা ৬৯টি হোটেলের মধ্যে ৩টি হোটেল সমকামীদের রুম বুকিংয়ের অনুমতি দিচ্ছে না।

এ বিষয়ে হোটেলগুলোর পক্ষ থেকে কোনো ধরণের বক্তব্য পাওয়া যায়নি। তবে মধ্যেপ্রাচ্যের দেশটিতে সমকামীতাকে অপরাধ হিসেবে গণ্য করা হয়। ফলে ধারণা করা হচ্ছে, সে নীতি থেকে বেরিয়ে আসতে চাইছে না হোটেলগুলো।

এদিকে স্ক্যান্ডিনেভিয়ান মিডিয়া বলছে, বাকি ৬৬টি হোটেলের মধ্যে ২০টি হোটেল সমকামীদের রুম বুকিং দিতে স্বীকৃতি জানিয়েছে এই শর্তে যে, তারা প্রকাশ্যে জানাতে পারবেন না যে তারা সমকামী।

এ ব্যাপারে ডেনিশ ফুটবল অ্যাসোসিয়েশনের সিইও জ্যাকব ইয়ানসেন বলেন, ‘বিশ্বকাপ দেখতে যাওয়া ভক্তদের জন্য এটা হতাশার। তারা যেই মতাদর্শেরই হোক না কেন নিরাপদ হোটেল পাওয়াটা তাদের অধিকার।’

এদিকে কাতারের দ্য সুপ্রিম কমিটি ফর ডেলিভারি এণ্ড লিগ্যাসি (এসজি) বলছে, ‘কাতার একটি রক্ষণশীল দেশ হলেও একটি সুন্দর, নিরাপদ ও গ্রহণযোগ্য বিশ্বকাপ উপহার দিতে প্রতিশ্রুতি বদ্ধ।’ হোটেলগুলোর বিরুদ্ধে তারা ব্যবস্থা নেওয়ার প্রতিশ্রুতিও দিয়েছেন।

আগামী ২১ নভেম্বর শুরু হয়ে ১৮ ডিসেম্বর শেষ হবে ‘দ্য গ্রেটেস্ট শো অন আর্থের’ ২২তম আসর।

এসএইচ-১৯/১৫/২২ (স্পোর্টস ডেস্ক)

কুয়েত থেকে অতিরিক্ত ব্যাগেজ সুবিধা দিচ্ছে বিমান

কুয়েত থেকে অতিরিক্ত ব্যাগেজ সুবিধা দিচ্ছে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনস। সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে এমন তথ্য জানিয়েছেন বিমানের কুয়েতের কান্ট্রি ব্যবস্থাপক আবু বকর সিদ্দিক।

শুক্রবার কুয়েতে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনসের কার্যালয়ে বাংলাদেশ প্রেস ক্লাব কুয়েতের নেতারা সৌজন্য সাক্ষাৎ করেন।

এ সময় বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনসের দেওয়া বিভিন্ন সুযোগ-সুবিধা ও সমস্যা সমাধানে নেওয়া পদক্ষেপ সম্পর্কে আলোচনা করা হয়।

বিমানের জ্যেষ্ঠ এই কর্মকর্তা বলেন, এখন থেকে বাংলাদেশ বিমানে যাত্রীরা কুয়েত থেকে বাংলাদেশে যাওয়ার সময় নির্দিষ্ট চার্জ দিয়ে অতিরিক্ত লাগেজ নেওয়ার সুযোগ পাবেন। এতে ১০ কেজি লাগেজের জন্য চার্জ দিতে হবে ২৫ দিনার এবং ২৩ কেজি লাগেজের জন্য দিতে হবে ৪৫ দিনার।

এতে একদিকে যেমন প্রবাসীরা উপকৃত হবেন, অন্যদিকে বাংলাদেশের রাজস্ব খাত বাড়াতেও তা বিশেষ ভূমিকা রাখবে।

প্রেসক্লাবের সভাপতি মঈন উদ্দিন সরকার সুমনের নেতৃত্বে সাক্ষাতকালে অন্যদের মধ্যে ছিলেন, প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক আ হ জুবেদ, সাংগঠনিক সম্পাদক হেবজু, আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক মোহাম্মদ সেলিম ও বাংলাদেশ বিমানের কাউন্টার সুপারভাইজার মোহাম্মদ সালাহ উদ্দিন পলাশ।

এসএইচ-১৮/১৫/২২ (প্রবাস ডেস্ক)

টুইটারের গোপন তথ্য ফাঁস করলেন ইলন মাস্ক

টুইটারের লিগ্যাল টিম সাইটের গোপন তথ্য ফাঁস করার জন্য ইলন মাস্ককে অভিযুক্ত করা হয়েছে। টুইটারের স্যাম্পল সাইজ নিয়ে স্পর্শকাতর তথ্য প্রকাশ করায় মাস্কের বিরুদ্ধে এ অভিযোগ আনা হয়েছে।

শনিবার ইলন মাস্ক টুইটার কর্তৃপক্ষের এ ধরনের অভিযোগের মুখোমুখি হোন।

এ ব্যাপারে মাস্ক নিজেই টুইট করে বলেন, ‘এইমাত্র আমাকে টুইটারের লিগ্যাল টিম থেকে জানাল, আমি নাকি তাদের গোপন তথ্য ফাঁস করে দিয়েছি। আমি কেবল স্যাম্পল সাইজ চেকের একটি তথ্য মানুষের সুবিধার জন্য জানিয়েছিলাম।’

এর আগে শুক্রবার মাস্ক তার করা এক টুইটে জানান, ‘আপাতত ৪৪ বিলিয়নে টুইটার কেনার চুক্তিটি স্থগিত আছে। সবার আগে টুইটার থেকে স্প্যাম (মিথ্যা অ্যাকাউন্ট) দূর করতে হবে। টুইটারের ৫ শতাংশ অ্যাকাউন্টই ভুয়া।’

মাস্ক বলেন, আমরা ১০০ জন ফলোয়ারকে স্যাম্পল হিসেবে নিয়ে সেখানে বটস চেকিং (রোবট নাকি আসল ইউজার) করব।

সোশ্যাল মিডিয়াতে এ ধরনের স্পর্শকাতর তথ্য উন্মুক্ত করে দেয়ায় টুইটার বলেছে, মাস্ক টুইটারের নীতি লঙ্ঘন করেছেন। তবে এ ব্যাপারে মাস্কের বিরুদ্ধে আদৌ কোনো ব্যবস্থা নেয়া হবে কিনা, কিংবা এ অভিযোগে মাস্কের আচরণে কোনো ধরনের পরিবর্তন আসবে কিনা সে ব্যাপারে এখন পর্যন্ত কেউই আনুষ্ঠানিকভাবে কিছু বলেননি।

এসএইচ-১৭/১৫/২২ (প্রযুক্তি ডেস্ক)

জমকালো আয়োজনে শেষ টেলিসিনে অ্যাওয়ার্ড

দুই বাংলার তারকাদের নিয়ে অনুষ্ঠিত হয়েছে ১৯তম টেলিসিনে অ্যাওয়ার্ড। শনিবার (১৪ মে) কলকাতার নজরুল মঞ্চে বসেছিল এবারের আসর। টেলিসিনে সোসাইটির আয়োজনে এবার দুই বাংলার শতাধিক শিল্পী অংশ নেন।

আয়োজক সূত্রে জানা গেছে, এবার ২০১৯-২০-২১ সালের সম্মাননা দেয়া হয়েছে। এর আগে করোনার কারণে পরপর দুইবার এ আয়োজন করা যায়নি। তাই টানা তিনবারের আয়োজন নিয়ে অনুষ্ঠিত হয়েছে ১৯তম টেলিসিনে অ্যাওয়ার্ড।

২০১৯ সালের বাংলাদেশ অংশের সেরা সিনেমা নির্বাচিত হয়েছে ‘নোলক’। এ সিনেমার জন্য সেরা পরিচালকের সম্মাননা পেয়েছেন সাকিব সনেট। সেরা অভিনেত্রী হয়েছেন ববি। অন্যদিকে ‘নোলক’ সিনেমার গানে কণ্ঠ দিয়ে সেরা গায়িকার পুরষ্কার তুলে নিয়েছেন তাসনিম আনিকা। ২০১৯ সালের সেরা অভিনেতা নির্বাচিত হয়েছেন শাকিব খান। মালেক আফসারি পরিচালিত ‘পাসওয়ার্ড’ সিনেমার জন্য এ পুরস্কার পেয়েছেন তিনি।

২০২০ সালের সেরা সিনেমা ‘গোর’। এ সিনেমায় অভিনয় করে সেরা অভিনেত্রীর পুরস্কার পেয়েছেন দীপান্বিতা মার্টিন। এ বছর সেরা পরিচালক নির্বাচিত হয়েছেন মাসুদ হাসান উজ্জ্বল। সেরা গায়িকার পুরস্কার পেয়েছেন সোমনূর মনির কোনাল। ‘বীর’ সিনেমার গানে কণ্ঠ দিয়ে সেরা নির্বাচিত হয়েছেন তিনি।

২০২১ সালের সেরা সিনেমা ‘মিশন এক্সট্রিম’। সেরা অভিনেতা আরিফিন শুভ (মিশন এক্সট্রিম), সেরা নির্মাতা মীর সাব্বির (রাত জাগা ফুল), সেরা অভিনেত্রী আজমেরী হক বাঁধন (রেহানা মারিয়ম নূর), সেরা কণ্ঠশিল্পী মমতাজ বেগম (রাত জাগা ফুল)।

এবারের আসরের আজীবন সম্মাননা পেয়েছেন সংগীতে রুনা লায়লা। অভিনয়ে আলমগীর। কলকাতার অংশের সৃজিত, প্রসেনজিৎ, শুভশ্রী, অর্পিতা পাল, জিৎ গাঙ্গুলি, অনুপম রায়, রাজ চক্রবর্তীও সম্মাননা পেয়েছেন।

এসএইচ-১৬/১৫/২২ (বিনোদন ডেস্ক)

ম্যাথিউসের সেঞ্চুরিতে দিনটা লঙ্কানদেরই হয়ে থাকল

শুরুটা করেছিল বাংলাদেশ, প্রথম সেশনেই জোড়া আঘাত হেনে শ্রীলঙ্কা শিবিরে চিড় ধরিয়েছিলেন নাঈম হাসান। তবে দিনের শেষে অ্যাঞ্জেলো ম্যাথিউসের সেঞ্চুরিতে ম্লান দিন পার করল বাংলাদেশ। দিন শেষে ৪ উইকেট হারিয়ে শ্রীলঙ্কার সংগ্রহ ২৫৮ রান। ম্যাথিউস অপরাজিত আছেন ১১৪ রানে।

রোববার  দুই ম্যাচ টেস্ট সিরিজে প্রথম ম্যাচে চট্টগ্রামের জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে ম্যাচের সব আলো কেড়ে নিয়েছেন লঙ্কান ব্যাটার ম্যাথিউস। তার আধিপত্যের দিনে ২ উইকেট নিজের ঝুলিতে পুরেছেন নাঈম হাসান। একটি করে উইকেট শিকার করেছেন তাইজুল ইসলাম ও সাকিব আল হাসান।

এর আগে নাঈম হাসানের জোড়া আঘাতের পরে তৃতীয় উইকেটে নেমে ব্যাট হাতে একাই রাজত্ব করেন ম্যাথিউস। দিনশেষে তিনি অপরাজিত ছিলেন ২১৩ বল মোকাবিলায় ১১৪ রানের ইনিংস খেলে। তার ব্যাট থেকে ১৪ চারের বিপরীতে আসে একটি ছক্কার মার। তাকে ক্রিজের অপরপ্রান্তে সঙ্গ দিচ্ছেন দিনেশ চান্দিমাল। ৭৭ বল মোকাবিলায় তিনি অপরাজিত আছেন ৩৪ রানে।

শুরুটা অবশ্য করেছিল বাংলাদেশ। লঙ্কান শিবিরে জোড়া আঘাত হেনে বাংলাদেশকে শুভ সূচনা এনে দিয়েছিল নাঈম হাসান। করুণারত্নেকে ফেরানোর পর তার শিকার হয়েছিলেন ওশাদা ফার্নান্দো। ফার্নান্দো আউট হন ব্যক্তিগত ৩৬ রানে। তাকে করা নাঈমের বলটি ব্যাট ঘেঁষে চলে যায় উইকেটরক্ষক লিটন দাসের তালুতে। আম্পায়ারও আউট দেন লঙ্কান ওপেনারকে। কিন্তু ওশাদা রিভিউ নেন। রিভিউয়ে দেখা যায়, বল আসলেই তার ব্যাটের গায়ে লেগেছিল। ফলে মাঠ ছাড়তে হয় তাকে।

এর আগে নাঈম হাসান নিজের প্রথম ওভারে এসেই ফিরিয়ে দেন দলপতি দিমুথ করুণারত্নেকে। পঞ্চম বলে সফল হন নাঈম। তার বলটি যাচ্ছিল লেগ স্টাম্প বরাবর। করুণারত্নে ব্যাট চালালেও আগে তার পা ছুঁয়ে যায় নাঈমের বল। বাংলাদেশের ফিল্ডাররাও জোর আবেদন জানান, তাতে সফলও হয় টাইগার শিবির। ১৭ বলে ৯ রান করে আউট হন করুণারত্নে।

এদিকে চা বিরতি শেষে ক্রিজে আধিপত্য করে ফিফটি হাঁকানো কুশাল মেন্ডিসকে সাজঘরে ফেরান তাইজুল। ইনিংসের ৫৭তম ওভারে তার করা প্রথম বল মিড উইকেটে থাকা ফিল্ডার নাঈমের হাতে তুলে দেন মেন্ডিস। ১৩১ বল মোকাবিলায় ৫৪ রান করে সাজঘরে ফেরেন তিনি।

এরপর বোলিংয়ে এসে আঘাত হানেন সাকিব। ১৬২ দিন পর সাদা জার্সিতে ফিরে ধনাঞ্জয়া ডি সিলভাকে নিজের শিকারে পরিণত করেন টাইগার অলরাউন্ডার। ইনিংসের ৬৬তম ওভারে এসে ধনাঞ্জয়াকে এলবিডব্লিউর ফাঁদে ফেলেন সাকিব। তবে টাইগারদের আবেদনে সাড়া দেননি আম্পায়ার। পরে অবশ্য রিভিউ নিলে সিদ্ধান্ত স্বাগতিকদের পক্ষেই যায়।

এসএইচ-১৫/১৫/২২ (স্পোর্টস ডেস্ক)