দুপুর ১:৩৭
মঙ্গলবার
১৯ শে আগস্ট ২০২৫ ইংরেজি
৪ ঠা ভাদ্র ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
২৪ শে সফর ১৪৪৭ হিজরী
spot_img

খালেদা জিয়াকে কারামুক্ত করেই নির্বাচন করবে বিএনপি

দলের চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকে কারামুক্ত করেই আসন্ন একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অংশ নেবে বিএনপি। বুধবার ঢাকার আগারগাঁও নির্বাচন ভবনে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এ কথা বলেন বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল।

এর আগে নির্বাচন কমিশন সচিব (ইসি) হেলালুদ্দীন আহমদের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন আলালের নেতৃত্বাধীন বিএনপির একটি প্রতিনিধিদল।

আলাল বলেন, আমরা শেষপর্যন্ত আশাবাদী- খালেদা জিয়াকে কারামুক্ত করেই আমরা নির্বাচনে অংশগ্রহণ করব।

তিনি বলেন, রিটার্নিং কর্মকর্তারা যাদের প্রার্থিতা প্রাথমিক পর্যায়ে বাতিল করেছেন, সেগুলোর বিরুদ্ধে আপিল চলছে। এ কর্মকাণ্ড আগামী ৮ ডিসেম্বর পর্যন্ত বিস্তৃত করা হয়েছে। আমরা বলেছি, এটা ৮ তারিখ পর্যন্ত না নিয়ে ৬ ও ৭ তারিখের মধ্যে শেষ করা যায় কিনা।

আলাল বলেন, কারণ ৯ ডিসেম্বর হচ্ছে প্রার্থিতা প্রত্যাহারের শেষ দিন। ৮ তারিখ ৫টা পর্যন্ত যদি আপিলই চলতে থাকে, তাহলে তা প্রার্থীদের প্রস্তুতির ক্ষেত্রে প্রতিবন্ধকতা তৈরি করবে।

গ্রেফতার ও হয়রানি বাণিজ্য চলছে মন্তব্য করে তিনি বলেন, বাম্পার ফলন যেভাবে হয়, সেভাবে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর পক্ষ থেকেও গ্রেফতারের বাম্পার ফলন শুরু করা হয়েছে। মঙ্গলবারও একজন নারী কমিশনারসহ কয়েকজন প্রার্থীকে গ্রেফতার করা হয়েছে। একই দিন কোম্পানীগঞ্জে মওদুদ আহমদের গাড়িতে সশস্ত্র হামলা করা হয়েছে। আমরা এটি ইসিকে জানিয়েছি। একই সঙ্গে গ্রেফতার বাণিজ্য বন্ধে নির্বাচন কমিশনকে দ্রুত পদক্ষেপ নিতে বলেছি।

নির্বাচন কমিশনের প্রতি আস্থাশীল কিনা, সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জবাবে বিএনপি নেতা আলাল বলেন, আমরা নির্বাচন কমিশনের প্রতি যদি আস্থাশীল থাকতাম, তাহলে তো সরকারের প্রতিনিধিদের মতো এক মাস পরে একদিন আসতাম। আমাদের তো প্রতিদিনই আসতে হচ্ছে।

বিএ-২০/০৫-১২ (ন্যাশনাল ডেস্ক)

দুই মামলায় ব্যারিস্টার মইনুলের জামিন 

রংপুর ও জামালপুরের মানহানির দুই মামলায় সাবেক তত্ত্বাবধায়ক সরকারের উপদেষ্টা ব্যারিস্টার মইনুল হোসেনকে ছয় মাসের জামিন দিয়েছেন হাইকোর্ট। একই সঙ্গে মামলা দুটির কার্যক্রম স্থগিত করেছেন আদালত।

পাশাপাশি মামলার যাবতীয় নথি তলব করা হয়েছে। মামলা দুটি বাতিল ও জামিন চেয়ে করা আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে বিচারপতি মো. রেজাউল হক ও বিচারপতি জাফর আহমেদ সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ বুধবার এ জামিন মঞ্জুর করেন।

মামলার শুনানির সময় আদালত বলেন, মানহানির অভিযোগে কেবল অপমানিত ব্যক্তি মামলা করতে পারবেন। অন্য কারও এ মামলা করার আইনগত সুযোগ নেই। আদালতে আবেদনের পক্ষে শুনানি করেন খন্দকার মাহবুব হোসেন। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল খুরশীদুল আলম।

গত ৮ নভেম্বর এ দুই মামলা বাতিল ও জামিন চেয়ে হাইকোর্টে আবেদন করেন মইনুল হোসেন। পরে সে আবেদন হাইকোর্টের একটি বেঞ্চের কার্যতালিকা থেকে বাদ দেওয়া হয়। পরে প্রধান বিচারপতি এই মামলাটি শুনানি করতে আদালতে পাঠান।

গত ১৬ অক্টোবর একাত্তর টিভির টক শোতে সাংবাদিক মাসুদা ভাট্টিকে ‘চরিত্রহীন’ বলার পর থেকেই মইনুল হোসেনের বিরুদ্ধে দেশের বিভিন্ন স্থানে মামলা হয়। এর মধ্যে রংপুরের এক মামলায় গত ২৩ অক্টোবর রাতে ঢাকার উত্তরা থেকে মইনুলকে গ্রেফতার করে পুলিশ।

মইনুলের বিরুদ্ধে এ পর্যন্ত ২২টি মধ্যে ২০টি মানহানির মামলা। বাকি দুটি মামলা হয়েছে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে।

বিএ-১৯/০৫-১২ (ন্যাশনাল ডেস্ক)

প্রস্রাব করার নাম করে দৌড়ে পালাল আসামি, তারপর…

রাজশাহীর তানোর উপজেলায় পুলিশ হেফাজত থেকে হাতকড়া পরিহিত অবস্থায় পালিয়ে যাওয়া আসামি হাবিল কাজীকে প্রায় ১০ঘন্টা পর আবারো গ্রেফতার করা হয়েছে।

মঙ্গলবার ভোররাতে কয়েক স্থানে অভিযান শেষে গোল্লাপাড়া গ্রাম থেকে তাকে হাতকড়াসহ আটক করতে সক্ষম হন পুলিশ। এরআগে গত সোমবার দিবাগত রাতে থানা চত্বরে ঘটে ঘটনাটি। হাতকড়াসহ থানা থেকে আসামি পলানোর ঘটনা ছড়িয়ে পড়লে এলাকায় দেখা দেয় তুমুল সমালোচনা।

জানা গেছে, গত সোমবার উপজেলার তালন্দ ইউপি এলাকার মোহর সরকার পাড়া গ্রামের পিয়ার কাজীর পুত্র হাবিল কাজীকে স্ত্রীর অভিযোগ সংক্রান্ত বিষয়ে আটক করেন থানার এসআই মুকবুল। আটকের পর তাকে থানায় নিয়ে আসা হলে অসুস্থ্য ভাব দেখালে মেডিকেল নেওয়ার জন্য আসামি হাবিল কাজী থানা হেফাজত হতে বের করলে হাতকড়া পরা অবস্থায় সে কৌশলে দৌড়ে পালিয়ে যায়।

এ সময় তার দায়িত্বে ছিলেন এসআই রহিম। পরে পলাতক আসামী হাবিলকে ধরতে শুরু হয় পুলিশের অভিযান। সারারাত খোঁজাখুঁজির পর মঙ্গলবার ভোর রাতে গোল্লাপাড়া গ্রামের কামার পট্রি থেকে হাতকড়াসহ আসামি হাবিলকে আটক করতে সক্ষম হন পুলিশ প্রশাসন।

ঘটনা সম্পর্কে গোল্লাপাড়া গ্রামের একাধিক ব্যাক্তি জানান, ভোর রাতে অনেক পুলিশ ছোটাছুটি করছিল। পরে দেখি একজনকে হাতকড়া পরা অবস্থায় ধরে নিয়ে যায়। আসামি হাতকড়া কাটার জন্য কামারপট্রির আশপাশে ঘোরাঘুরি করছিল এ সময় সংবাদ পেয়ে পুলিশ তাকে আটক করে।

এদিকে হাবিলের আত্মীয় স্বজনরা জানান, তিনি তালন্দ ইউপির মোহর সরকারপাড়ার বাসিন্দা। সে একই ইউপির লালপুর গ্রামে বিয়ে করে। এ অবস্থায় গত এক সপ্তাহ আগে তার স্ত্রীর সাথে ঝগড়া বিবাদ হয়। এ ঘটনায় থানায় লিখিত অভিযোগ করেন হাবিলের স্ত্রীর পরিবার।

অভিযোগের প্রেক্ষিতে হাবিলকে আটক করে নিয়ে এসে থানায় বসে সালিশ দরবার। সালিশে হাবিলের ৩ লক্ষ টাকা জরিমানা করে স্ত্রীকে তালাক দেওয়ার সিদ্ধান্ত হয়। এমন সিদ্ধান্ত মানতে না পারায় হাবিল পালিয়ে যায়। রাতেও হাবিলের বাড়িতে পুলিশ এসে অনেক খোঁজাখুঁজি করে।

এ নিয়ে তানোর থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা রেজাউল ইসলাম স্থানীয় সাংবাদিকদের বলেন, স্ত্রীর অভিযোগে হাবিলকে আটক করা হয়। সন্ধ্যার পর থানায় প্রবেশের সময় সে প্রস্রাব করবে বলে রাস্তায় পাশে গিয়ে দৌড়ে পালিয়ে যায়। তাকে আমরা রাতেই ধরে ফেলি। এটা তেমন কোনো বিষয় নয়। তাই এনিয়ে লেখালিখি না করারও অনুরোধ করেন পুলিশের এ কর্মকর্তা।

বিএ-১৮/০৫-১২ (নিজস্ব প্রতিবেদক)

নির্বাচনী প্রচারণায় সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম প্রাধান্য পাবে

বাংলাদেশে এবারের একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের প্রচারণায় ঐতিহ্যগত ধারার চেয়ে এগিয়ে আছে সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যম৷ এর সঙ্গে যুক্ত হয়েছে ওয়েবসাইটসহ আরো অনেক নতুন নতুন কৌশল৷

নিয়ম অনুযায়ী, নির্বাচনি প্রচারণা শুরু হবে প্রতীক বরাদ্দের পর৷ কিন্তু বাস্তবে অনলাইন এবং ডিজিটাল মাধ্যমে প্রচারণা শুরু হয়ে গেছে আরো অনেক আগে৷ প্রার্থীদের দলীয় মনোনয়ন কেনার সময়ই সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যমে শুরু হয়েছে কৌশলী প্রচারণা৷ দলীয় মনোনয়নপত্র কেনার পরই প্রার্থী বা তাঁদের সমর্থকরা তা ফেসবুকসহ সামাজিক যোগাযোগের নানা মাধ্যমে ‘পোস্ট’ করে তাঁদের মাঠে থাকার কথা জানান দিয়েছেন৷ এরপর দলীয় মনোনয়ন চূড়ান্ত হওয়ার পর মনোনয়নের চিঠি হাতে পেয়ে আরেক দফা প্রচারণা চলেছে ফেসবুকে৷ যাঁরা দলের মনোনয়ন চূড়ান্ত করতে পেরেছেন, তাঁদের কেউ কেউ ফেসবুক লাইভে এসে মনোনয়ন পাওয়ার কথা জানিয়ে দোয়াও চেয়েছেন৷

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, এবার নির্বাচনি প্রচারণায় দলগুলো বিজ্ঞাপনী সংস্থা, বিজ্ঞাপন নির্মাতা এবং ডিজিটাল মার্কেটিং যাঁরা করেন, তাঁরাও যুক্ত হচ্ছেন৷ বিভিন্ন টেলিভিশন চ্যানেলে প্রচার ছাড়াও সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যমে ‘পোস্ট’ দেয়ার জন্য ছোট ছোট ভিডিও ক্লিপ বানানো হচ্ছে৷ আছে আকর্ষণীয় ‘স্টিল’ বিজ্ঞাপনও৷ এসব বিজ্ঞাপনে সেলিব্রেটি ছাড়াও সাধারণ মানুষকে মডেল হিসেবে কাজে লাগানো হচ্ছে৷

ডিজিটাল নির্বাচনি প্রচারণায় এগিয়ে আছে আওয়ামী লীগ৷ প্রার্থীরা এখনো আলাদাভাবে তেমন প্রচার-প্রচারণা শুরু না করলেও আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে নানা ধরনের ‘ভিডিও ক্লিপ’ তৈরি করা হয়েছে৷ তরুণ ভোটারদের আকৃষ্ট করার সঙ্গে সঙ্গে আছে সব ধরনের ভোটারকে আকৃষ্ট করার নানা ‘ভিডিও ক্লিপ’ ও ‘টেমপ্লেট’৷ সেখানে মূলত আওয়ামী লীগ সরকারের উন্নয়ন ও উন্নয়ন-ভাবনা চুম্বক আকারে তুলে ধরা হচ্ছে৷ এমনকি সাংবাদিকদের কাজের সুবিধার জন্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ১০টি বিশেষ উদ্যোগ নিয়ে ১০টি বুকলেটের একটি সেটও তৈরি করা হয়েছে৷ এসব কাজে নিয়োজিত আছেন দক্ষ পেশাজীবীরা৷

এই যেমন, একটি প্রোডাকশন হাউজের পক্ষ থেকে কাজ করছেন নির্মাতা চয়নিকা চৌধুরী৷ তিনি ডয়চে ভেলেকে জানান, ‘‘আমরা একদম ‘মাস’ লেভেলে গিয়ে ছোট ছোট ডকুমেন্টরির কাজ করছি৷ পদ্মা সেতু নিয়ে একটি কাজ করেছি পদ্মা সেতু এলাকায় গিয়ে৷ সেখানকার সাধারণ মানুষই কথা বলেছেন৷ এটি সব প্রাইভেট টিভি চ্যানেলে প্রচার করা হবে নির্বাচনের আগে৷”

তাঁর কথায়, ‘‘এটা আমি প্রাণের তাগিদেই করছি৷ টাকা-পয়সা এখানে মূল কথা নয়৷ আরো অনেকগুলো কাজ করব নির্বাচনের আগে৷ গানের ভিডিও-ও করবো৷ সেগুলো ইউটিউবেও যাবে৷”

তিনি বলেন, ‘‘দেশটা যে ডিজিটাল প্রযুক্তির দিকে যাচ্ছে, তার সুবিধা সবাই নিতে পারেন৷ এবার নির্বাচনে প্রচার-প্রচারণায় ডিজিটাল প্রযুক্তিই এগিয়ে থাকবে৷” তাই ‘ডিজিটাল মার্কেটিং’-এর সঙ্গে যাঁরা যুক্ত, তাঁরাও সক্রিয় হয়েছেন নির্বাচনি প্রচারণায়৷

জেলায় আওয়ামী লীগের কয়েকজন প্রার্থীকে এই প্রচারণায় সহায়তা দিতে আলাদা আলাদা গ্রুপ তৈরি হচ্ছে৷ তাঁরা শুধু ফেসবুক বা ফেসবুক পেজ নয়, ওয়েবসাইট খুলেও নির্বাচনি প্রচারণার প্রস্তুতি নিচ্ছেন৷ এর সঙ্গে জড়িত সাবেক ছাত্রলীগ নেতা এবং ডিজিটাল মার্কেটার সুমন জাহিদ জানান, ‘‘এই গ্রুপগুলোতে ওয়েবপেজ ডেভেলপার, কন্টেন্ট প্রোভাইডার, সোশাল নেটওয়ার্ক এক্সপার্ট, ভিডিও এডিটর – সবই থাকছে৷ এরকম অনেকগুলো গ্রুপ এরইমধ্যে কাজ শুরু করেছে৷ এবার ডিজিটাল ক্যাম্পেইনের ওপর সবচেয়ে বেশি গুরুত্ব দিচ্ছে আওয়ামী লীগ৷”

তাঁর মতে, ‘‘এবার ফেসবুক ছাড়াও ইউটিউব, টুইটার ও ইন্সটাগ্রাম ব্যবহার হবে নির্বাচনি প্রচারণায়৷”

তিনি বলেন, ‘‘প্রচলিত ধারার মিছিল, মিটিং, শোভাযাত্রা, পোস্টার প্রচারপত্র তো থাকছেই৷ কিন্তু ডিজিটাল ও অনলাইন ক্যাম্পেইনের মাধ্যমে একটা ‘ওয়েভ’ তৈরি করা হচ্ছে৷ সেখানে মূল ‘ফোকাস’ থাকবে উন্নয়ন ও ভবিষ্যৎ পরিকল্পনার ওপর৷ তরুণ ভোটারদের আকৃষ্ট করতে চমকপ্রদ সব ডিজিটাল প্রচার থাকবে৷”

তাঁর কথায়, ‘‘নির্বাচন কমিশনের নীতি মেনে পোস্টার ব্যানার ও বিলবোর্ডেও আধুনিকতা আসছে৷ এখন সব প্রিন্টই জিজিটাল প্রিন্ট৷”

উঠোন বৈঠকও নির্বাচনি প্রচারণার একটি কার্যকর কৌশল৷ কোনো বাড়ির আঙিনায় বা খোলা জায়গায় ওই এলাকার সীমিত সংখ্যক ভোটারের মধ্যে প্রচারণার কৌশল৷ এভাবেই নির্বাচনি প্রচারণা নিয়ে কাজ করছেন ঢাকা ইউনিভার্সিটি ফিল্ম সোসাইটির সাবেক সভাপতি মীর রেজওয়ান মাহমুদ তন্ময়৷ তিনি জানান, ‘‘উঠান বৈঠকে প্রার্থীরা সাধারণত যেতে পারেন না৷ এতে তাঁদের কর্মী-সমর্থকরা ‘ওয়ান টু ওয়ান’ কথা বলতে পারেন৷ প্রতিশ্রুতির কথা জানাতে পারেন৷ এটা বেশ কার্যকর হয়৷”

জানা গেছে, তরুণ ভোটারদের আকৃষ্ট করতে কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয়ের যে তরুণ-তরুণীরা নতুন ভোটার হয়েছেন, তাঁদের নিজ নিজ এলাকায় গ্রুপ করে প্রচারণার কাজে লাগানো হবে৷ এঁদের ওরিয়েন্টেশনও চলছে৷ এই কাজে সহায়তার জন্য নির্বাচনের মনোনয়ন চেয়েও যেসব তরুণ আওয়ামী লীগ নেতা মনোনয়ন পাননি, তাঁদের নির্বাচন পরিচালনা কমিটিতে অন্তর্ভূক্ত করা হচ্ছে৷

মীর রেজওয়ান মাহমুদ তন্ময় বলেন, ‘‘এটা বেশ কাজে দেয়৷ তরুণরা তরুণদের আকৃষ্ট করতে পারে৷”

তিনি আরো বলেন, ‘‘স্থানীয় পর্যায়ে গান, উন্নয়ন সংবাদ, সামনে যা আসছে এসব নিয়ে অডিও প্রোডকশনও হচ্ছে৷”

ওদিকে বিএনপিও নির্বাচনি প্রচারের প্রস্তুতি নিচ্ছে৷ তবে এখন পর্যন্ত তারা একটু পিছিয়ে আছে বলেই সাধারণ দৃষ্টিতে মনে হচ্ছে৷ সাবেক ছাত্র নেতা ও যুবদলের কেন্দ্রীয় নেতা রেজা পাহলভী মাসুম বিএনপির প্রচার-প্রস্তুতিতে যাঁরা কাজ করছেন, তাঁদের একজন৷ তিনি জানান, ‘‘আমরা আন্দোলনে থাকায় নির্বাচনি প্রচারণার প্রস্তুতি নিতে একটু সময় নিচ্ছি৷ তবে আমরাও ডিজিটাল ও সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যমকে নির্বাচনি প্রচারণায় গুরুত্ব দেবো৷ আমরা সেভাবেই কাজ করছি৷ আমাদের মূল ‘ফোকাস’ থাকবে খালেদা জিয়াকে মুক্ত করা, গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার করা৷”

এবার বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারপার্সন তারেক রহমান মনোনয়নপ্রত্যাশীদের সাক্ষাৎকার নিয়েছেন লন্ডন থেকে, স্কাইপে৷ এরপর ফেসবুক লাইভে এসে তিনি নেতা-কর্মীদের নির্বাচনের দিকনির্দেশনা দিয়েছেন৷ জানা গেছে, তারেক রহমান নির্বাচনে এই পদ্ধতি অব্যাহত রাখবেন৷ রেজা পাহলভী বলেন, ‘‘বিএনপির নেতা-কর্মীরা আধুনিক তথ্য-প্রযুক্তি থেকে কোনোভাবেই পিছিয়ে নেই৷”

এবার নির্বাচনি প্রচারণায় সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যম এবং তথ্য প্রযুক্তিই প্রাধান্য বিস্তার করবে বলে মনে করেন কন্টেন্ট ম্যাটারস লিমিটেডের প্রধান নির্বাহী রফিকুল্লাহ রোমেল৷ তিনি বলেন, ‘‘আড়াই কোটির বেশি নতুন ভোটার৷ কেউ মনে করতে পারেন গ্রামের তরুণরা এখনো তথ্য-প্রযুক্তির আওতায় আসেননি৷ আসলে তা ঠিক নয়৷ তাঁদের মধ্যে প্রায় ৮০ ভাগ ইন্টারনেট ব্যবহার করেন৷ মোবাইল ফোন ব্যবহার করেন প্রায় সবাই৷”

তাঁর কথায়, ‘‘এখনও পর্যন্ত যেসব কন্টেন্ট সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যমে দেখা যাচ্ছে, তা আমার কাছে খুব বেশি কার্যকর মনে হয় না৷ সংক্ষেপে বিভিন্ন দলের কাজের তুলনা করার মতো কন্টেন্ট কম৷ তবে নির্বাচনের আগে হয়ত আসবে৷ অনেকেই এ সব নিয়ে কাজ করছেন বলে আমি জানি৷”

মোবাইল, এসএমএস এবার নির্বাচনের প্রচারণায় বড় একটি জায়গা দখল করবে বলে মনে করা হচ্ছে৷ আর অল্প খরচে ‘বাল্ক এসএমএস’ দেয়ার জন্য অনেক প্রতিষ্ঠান আছে৷ ঢাকাসহ শহর এলাকায় ভোটারদের ফোন নাম্বার সরবরাহের প্রতিষ্ঠানও গড়ে উঠেছে৷ টেলিফোন অপারেটররা সরাসরি সহায়তা করবেন না৷

নির্বাচনি প্রচারণায় দু’দলেই তারকারা অংশ নেবেন৷ অংশ নেবেন সেলিব্রেটিরা৷ এ জন্য দু’দলই এলাকাভিত্তিক টিম এবং ‘শিডিউল’ তৈরি করছে৷এবার নির্বাচনি ফ্যাশনও আসতে পারে৷ নৌকা মার্কার শাড়ি বা ধানের শীষের টি শার্ট-এর বিজ্ঞাপন এরই মধ্যে চোখে পড়ছে৷

সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যমে এরই মধ্যে ভুয়া নিউজেরও ছড়াছড়ি৷ এবার এই ভুয়া খবর নির্বাচনের একটি ‘বড় আপদ’ হিসেবে দেখা দিতে পারে৷

এসএইচ-১৯/০৫/১২ (হারুন উর রশীদ স্বপন, ডয়চে ভেলে)

বগুড়ায় উপজেলা চেয়ারম্যানসহ ৬ জন কারাগারে

বগুড়ার কাহালু উপজেলা চেয়ারম্যান ও জেলা জামায়াতের সাবেক নায়েবে আমির মাওলানা তায়েব আলীসহ জামায়াতের ছয় নেতাকর্মীর জামিন নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠিয়েছেন আদালত।

বুধবার দুপুরে বগুড়া জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক নরেশ চন্দ্র সরকার এ আদেশ দেন।

অপর পাঁচ জামায়াতের নেতাকর্মীরা হলেন- কাহালু পৌরসভার কাউন্সিলর সাইফুল ইসলাম, জামায়াত নেতা আব্দুল মোমিন, ফখরুল ইসলাম, জাহাঙ্গীর হোসেন ও রেজওয়ান।

কাহালু উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আব্দুল মান্নানের দায়ের করা মামলায় জামায়াতের এই ছয় নেতাকর্মী বুধবার আদালতে জামিন নিতে এসেছিলেন।

আদালত সূত্রে জানা গেছে, গত ২ অক্টোবর রাতে কাহালু উপজেলা আওয়ামী লীগ অফিসে ককটেল বিস্ফোরণের ঘটনায় আব্দুল মান্নান বাদী হয়ে পরদিন বিএনপি-জামায়াতের ৪২জন নেতাকর্মীর নামে কাহালু থানায় মামলা করেন।

মাওলানা তায়েব আলীর আইনজীবী আবু বক্কর সিদ্দিক জানান, একটি ভুয়া এবং গায়েবি মামলায় জামিন চেয়েছিলেন আসামিরা। আসামিদের মধ্যে দুইজন জনপ্রতিনিধি রয়েছেন। তারপরও বিচারক তাদের জামিন নামঞ্জুর করেছেন।

বিএ-১৭/০৫-১২ (উত্তরাঞ্চল ডেস্ক)

এবারের নির্বাচনে দেশের প্রতিটি দলই অংশগ্রহণ করছে

এবারের নির্বাচনে দেশের প্রায় প্রতিটি দলই অংশগ্রহণ করছে জানিয়ে প্রধানমন্ত্রীর রাজনৈতিক উপদেষ্টা এইচটি ইমাম বলেছেন, আমাদের সবার দায়িত্ব নির্বাচনে সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ পরিবেশ বজায় রাখা।

বুধবার দুপুরে ঢাকার হোটেল ওয়েস্টিনে এক পুরস্কার বিরতণী অনুষ্ঠানে তিনি একথা বলেন।

আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচন যেন সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ হয়, সেজন্য ডেমোক্রেসি ইন্টারন্যাশনাল দেশের প্রধান রাজনৈতিক দলগুলোর নেতাদের রাজধানীর হোটেল ওয়েস্টিনে একত্রিত করে একই মঞ্চে।

এসময় অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন আওয়ামী লীগের প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক হাছান মাহমুদ, বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আব্দুল মঈন খান, আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী, জাতীয় কমিটির প্রেসিডিয়াম সদস্য জিয়া উদ্দিন বাবলুসহ ডেমোক্রেসি ইন্টারন্যাশনালের নেতারা।

অনুষ্ঠানে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আব্দুল মঈন খান বলেন, এটা আমাদের জন্য দুর্ভাগ্য যে দেশ এখন দু’টি রাজনৈতিক ভাগে বিভক্ত হয়ে গেছে। এখন আমাদের সামনে নতুন যে সমস্যা, জাতীয় নির্বাচন শান্তিপূর্ণ করা, তার জন্য আমাদের সবার একত্রে কাজ করতে হবে।

এইচটি ইমাম আরও বলেন, সকল দলের অংশগ্রহণের ফলে এবারের নির্বাচন দৃষ্টান্ত হয়ে থাকবে এবং এটা আমাদের জন্য গর্বের বিষয়। শুধুমাত্র নির্বাচনের লড়াইকে কেন্দ্র করে কোনভাবেই আমাদের নিজেদের পৃথক করা যাবে না বা উচিত না। আর নির্বাচন শান্তিপূর্ণ করতে আমাদের একসঙ্গেই কাজ করতে হবে।

বিএ-১৬/০৫-১২ (ন্যাশনাল ডেস্ক)

এলিয়েনরা আগেই পৃথিবী ঘুরে গেছে

এলিয়েনরা পৃথিবীতে ইতোমধ্যে ভ্রমণ করে গেছে। আমাদেরে চেয়েও প্রযুক্তিতে এগিয়ে থাকা এলিয়েনদের আমরা ভুল জায়গায় খুঁজে চলছি। এমনকি নক্ষত্রমণ্ডল ভ্রমণে খুব বেশি দক্ষ এরা। ঠিক এমনটাই ধারণা করছেন নাসার বিজ্ঞানীরা।

নাসায় বুদ্ধিমত্তা বিভাগে কর্মরত সিলভানো পি কলোম্বানো জানান, আমি একটা বিষয় বলতে চাই, আমাদের জ্ঞানে আমরা যা খুঁজে চলেছি তা হয় আমরা পেতে পারি আবার এমনও হতে পারে তারাই চাইছে আমরা তাদের খুঁজে বের করি।

তার মতে, এলিয়েনদের প্রযুক্তি আমাদের প্রযুক্তির চেয়েও অনেক বেশি উন্নত। অপরদিকে মহাশূন্য সম্পর্কে আমাদের জ্ঞান খুবই সল্প।

কলোম্বানোর ধারণা, মানব সভ্যতার উন্নয়ন শুরু হয়েছিল ১০ হাজার বছর আগে থেকে। তবে বিজ্ঞানে উন্নয়ন ঘটেছে মাত্র ৫০০ বছর আগে। সুতরাং পরবর্তীতে প্রযুক্তি আমাদের কতটুকু এবং কি গতিতে এগিয়ে যাবে যেট বলা মুশকিল।

রেডিও ওয়েভ সম্পর্কে সতর্ক করে দিয়ে তিনি বলেন, রেডিও ওয়েভের শক্তির প্রযুক্তি পুরাতন যেতে পারে।

এসএইচ-১৮/০৫/১২ (প্রযুক্তি ডেস্ক, তথ্য সূত্র: নিউজ.কম.এইউ)

৩০০ আসনেই ছাত্রলীগের প্রতিনিধি দল থাকবে

একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে প্রচারণা ও জনসংযোগের জন্য ছাত্রলীগের পক্ষ থেকে নির্বাচনী ৩০০ আসনেই প্রতিনিধি দল থাকবে। তারা প্রতিটি নির্বাচনী আসনে আওয়ামী লীগ মনোনীত সংসদ প্রার্থীর সাথে প্রচারণা চালাবে।

বুধবার জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় মিলনায়তনে শাখা ছাত্রলীগ আয়োজিত একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ‘আমাদের করণীয় শীর্ষক’ বিশেষ বর্ধিত সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সভাপতি রেজওয়ানুল হক চৌধুরী শোভন এ কথা বলেন।

তিনি আরও বলেন, ছাত্রলীগের প্রতিটি কর্মীকে তাদের পরিবার-আত্মীয় স্বজনদের নৌকার পক্ষে ভোট নিশ্চিত করতে হবে। তাহলেই নৌকার বিজয় সুনিশ্চিত। ভোটারদের মধ্যে ৫০ শতাংশ ভোট ভাসমান কৃষক-শ্রমিক-মজুর শ্রেণির। তারা অধিকাংশই গ্রামের মধ্যে থাকে। তারা দেশের রাজনীতি সম্বন্ধে খোঁজ-খবর রাখেন না। তাদের মাঝে আওয়ামী লীগ সরকারের উন্নয়নচিত্র পৌছে দিতে হবে। নারী ভোটার ও তরুণ ভোটারদের কাছে ছাত্রলীগের প্রতিটি কর্মীকে নৌকার জন্য ভোট চাইতে হবে।

তিনি বলেন, ৫৪, ৭০-তে বাংলাদেশ ছাত্রলীগ বাংলাদেশকে জেতাতে পেরেছে। ২০১৮-তেও জেতাতে পারবে। আওয়ামী লীগ না আসলে তরুণ প্রজন্ম নষ্ট হয়ে যাবে। ২০০১ সাল থেকে ২০০৬ সাল পর্যন্ত বিএনপি সরকারের দুর্নীতি,অপশাসন তরুণ প্রজন্মের কাছে তুলে ধরতে হবে। রাজাকার নিজামী-মুজাহিদদের গাড়িতে জাতীয় পতাকা তুলে দেয়ার মত অপকর্ম জনগণের কাছে তুলে ধরতে হবে। বর্ধিত সভায় কেন্দ্রীয় কমিটিতে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের কর্মীদের সর্ব্বোচ্চ মূল্যায়ন করা হবে বলেও জানান তিনি।

এসময় বর্ধিত সভায় জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক শেখ জয়নুল আবেদিন রাসেল বলেন, আমরা জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগ জীবন বাজি রেখে নৌকার পক্ষে কাজ করার জন্য প্রস্তুত। তরুণ প্রজন্মের কাছে সরকারের সকল উন্নয়ন কর্মকান্ড পৌঁছাতে হবে। তরুণদের সক্রিয় অংশগ্রহণের মাধ্যমে শেখ হাসিনাকে ক্ষমতায় আনতে হবে।

বর্ধিত সভায় জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের সভাপতি তরিকুল ইসলাম বলেন, নির্বাচনে দল ক্ষমতায় না আসলে কেউ ঠিকমত থাকতে পারবে না। তাই ব্যক্তি-দল-সমাজ-রাষ্টের প্রয়োজনে নৌকাকে ভোট দিতে হবে।

সভায় জবি ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক শেখ জয়নুল আবেদিন রাসেলের সঞ্চালনায় ও সভাপতি তরিকুল ইসলামের সভাপতিত্বে কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগ ও শাখা ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।

বিএ-১৫/০৫-১২ (শিক্ষা ডেস্ক, তথ্যসূত্র: বিডি প্রতিদিন)

ব্রিটিশ দুই রাজবধূর ঝগড়া

বিয়ের আগে থেকেই নাকি ব্রিটিশ রাজপরিবারের বড় বউ কেট মিডলটনের সঙ্গে বিশেষ ভাব ছিল না ছোট বউ মেগান মার্কেলের। তবে রাজপরিবার বলে কথা। সম্পর্ক যাই থাকুক, এতদিন রেখেঢেকে রেখেছিল দু’পক্ষই। তবে সম্প্রতি স্ত্রী মেগানকে নিয়ে প্রিন্স হ্যারির কেনসিংটন প্রাসাদ ছাড়ার খবরে জল্পনা মাথাচাড়া দিয়ে উঠেছে।

শোনা গেছে, তাদের মধ্যে সম্পর্ক নাকি এমনটাই তিক্ত হয়ে উঠেছে যে, দুই বউয়ের ঝগড়াকে কেন্দ্র করে বড়দিনও একসঙ্গে কাটাবেন না দুই ভাই প্রিন্স হ্যারি এবং উইলিয়াম।

রাজ পরিবারের ঘনিষ্ঠ লোকজন বলছেন, বিবাদের সূত্রপাত নাকি মেগানের হাতেই। তাও রাজপরিবারের বউ হয়ে আসার আগেই। কেটের এক পরিচারিকাকে কড়া কথা শুনিয়েছিলেন মেগান। এতেই নাকি বেজায় চটে গিয়েছিলেন কেট।

তাদের মধ্যে এ নিয়ে কথা কাটাকাটিও হয়েছে। স্ত্রীর হয়ে মুখ খোলেন হ্যারি। আর স্বামী উইলিয়ামকে পাশে পান কেট। এই ঘটনার পরে দূরত্ব বাড়ে দুই ভাইয়ের। রাজপরিবারের একটি সূত্রের দাবি, মেগানের বিয়ের প্রস্তুতির সময়ে তার ব্যবহারে কেঁদেও ফেলেন কেট।

গত বছর বড়দিনের ঠিক আগেই হ্যারি অভিযোগ করেন, তার ভাই ও ভাবী মেগানকে আপন করে নিতে পারছেন না। তখন পরিস্থিতি স্বাভাবিক করতে এগিয়ে এসেছিলেন প্রিন্স চার্লস। স্যান্ড্রিংহামের প্রাসাদে দুই পক্ষকেই বড়দিন কাটানোর জন্য নিমন্ত্রণ করেন তিনি।

তাতে অবশ্য লাভ হয়নি। কারণ, তার আগেই নাকি বেশ বড়সড় ঝগড়া হয়েছিল কেট ও মেগানের। একটি ব্রিটিশ পত্রিকা জানিয়েছে, সেই তিক্ততা এড়াতে এবার বড়দিনে মেগান-হ্যারি রানী দ্বিতীয় এলিজাবেথের সঙ্গে স্যান্ড্রিংহামে ছুটি কাটাবেন। আর কেট যাবেন তার বাবার বাড়ি বার্কশায়ারে। যদিও রাজপরিবার এ ধরনের খবর উড়িয়ে দিয়েছে।

এসএইচ-১৭/০৫/১২ (অান্তর্জাতিক ডেস্ক)

নির্বাচনী আইন লঙ্ঘন হচ্ছে বললেন ড. কামাল

জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের শীর্ষ নেতা ড. কামাল হোসেন বলেছেন, নির্বাচনী আইন লঙ্ঘন হচ্ছে। পুলিশ এসে বিরোধী প্রার্থীকে ধরে নিয়ে যাচ্ছে। ভোট চুরি ও নির্বাচনী আইন গণমাধ্যমকে জাতির সামনে তুলে ধরতে হবে।

বুধবার বিকেলে ঐক্যফ্রন্টের নতুন কার্যালয়ের উদ্বোধন শেষে এসব কথা বলেন ড. কামাল।

নির্বাচন সুষ্ঠু করতে জনগণকে পাহারাদার হতে হবে বলে মন্তব্য করে তিনি বলেন, একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন দেশের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ। এ নির্বাচন সুষ্ঠু করার মাধ্যমে জনগণ রাষ্ট্রের মালিকানা ফিরে পাবে।

সরকার আবারও যেনতেন নির্বাচন করার পাঁয়তারা করছে অভিযোগ করে ঐক্যফ্রন্টের শীর্ষ নেতা আরো বলেন, সাংবাদিকরাও অবাধ নির্বাচনের পাহারাদার হিসেবে ভূমিকা রাখতে পারেন। যখনই আমরা নির্বাচনে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিলাম, তখন থেকেই আওয়ামী লীগ অনিশ্চয়তার মধ্যে পড়ে যায়।

ঐক্যফ্রন্টের পক্ষ থেকে একক ইশতেহার ঘোষণা করা হবে জানিয়ে ড. কামাল হোসেন বলেন, আগামী ৮ ডিসেম্বরের মধ্যে ইশতেহার ঘোষণা করা হবে।

অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন জেএসডি সভাপতি আ স ম আব্দুর রব, বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান বরকত উল্লাহ বুলু, নাগরিক ঐক্যের আহ্বায়ক মাহমুদুর রহমান মান্না, ডাকসুর সাবেক ভিপি সুলতান মোহাম্মদ মনসুর, গণফোরামের কার্যকরী সভাপতি সুব্রত চৌধুরী, সাধারণ সম্পাদক মোস্তফা মহসীন মন্টু ও অর্থনীতিবিদ ড. রেজা কিবরিয়া প্রমুখ।

বিএ-১৪/০৫-১২ (ন্যাশনাল ডেস্ক)