সকাল ১১:২১
মঙ্গলবার
১৯ শে আগস্ট ২০২৫ ইংরেজি
৪ ঠা ভাদ্র ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
২৪ শে সফর ১৪৪৭ হিজরী
spot_img

বৃহস্পতিবার থেকে মনোনয়ন বাতিলের আপিল নিষ্পত্তি

আসন্ন একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে মনোনয়নপত্র বাতিল হওয়া প্রার্থীদের আপিলের শুনানি ও নিষ্পত্তি আগামীকাল বৃহস্পতিবার থেকে শুরু হবে বলে জানিয়েছেন নির্বাচন কমিশন (ইসি) সচিব হেলালুদ্দীন আহমেদ।

তিনি বলেন, নির্বাচনে নিবন্ধিত দলগুলো যাকে প্রার্থী হিসেবে নির্বাচন কমিশনকে জানাবে তিনিই হবেন দলীয় বৈধ প্রার্থী।

বুধবার সন্ধ্যায় নির্বাচন কমিশন ভবনে সাংবাদিকদের তিনি এসব কথা জানান।

হেলালুদ্দীন আহমদ বলেন, আগামীকাল বৃহস্পতিবার থেকে মনোনয়নপত্র বাতিল হওয়া প্রার্থীদের আপিলের শুনানি ও নিষ্পত্তি করা হবে। ধারাবাহিকভাবে এ কার্যক্রম শুরু হয়ে শেষ হবে শনিবার।

তিনি বলেন, বৃহস্পতিবার ১ থেকে ১৬০ পর্যন্ত আপিলের নিষ্পত্তি করা হবে। এছাড়া শুক্রবার ১৬১ থেকে ৩১০ পর্যন্ত আর ৩১১ থেকে ৫৪৩ পর্যন্ত বাতিল হওয়া মনোনয়নপ্রার্থীর আপিলের নিষ্পত্তি করা হবে।

একাদশ সংসদ নির্বাচনে রিটার্নিং কর্মকর্তারা সারা দেশে যাচাই-বাছাই শেষে আগ্রহী ৭৮৬ প্রার্থীর মনোনয়নপত্র বাতিল করেন। প্রার্থিতা ফিরে পেতে গত তিন দিন আপিলের জন্য নির্বাচন কমিশনে (ইসি) ভিড় করেন মনোনয়নপ্রার্থীরা।

আপিল গ্রহণের জন্য নির্বাচন ভবন চত্বরে ৮টি বুথ স্থাপন করেছে নির্বাচন কমিশন। প্রতিটি বিভাগের জন্য আলাদা আলাদা বুথ করা হয়। প্রার্থী বা তার মনোনীত প্রতিনিধিরা কমিশন চত্বর বুথে আপিল দায়ের করেন।

আপিলের প্রথম দিনে সোমবার মনোনয়নপত্র বাতিল হওয়া প্রার্থীদের ৮৪ জন ইসিতে আবেদন করেছেন।

আর আপিলের দ্বিতীয় দিন মঙ্গলবার মনোনয়নপত্র বাতিল হওয়া প্রার্থীদের ২৩৪ জন ইসিতে আপিল করেছেন। সেই হিসাবে গত দুদিনে ৩১৮ প্রার্থী আপিল করেন। এছাড়া বাকিরা বুধবার ইসিতে আপিল করেন।

তফিসল অনুযায়ী, একাদশ সংসদে ভোটগ্রহণ করা হবে ৩০ ডিসেম্বর। প্রত্যাহার ৯ ডিসেম্বর এবং প্রতীক বরাদ্দ ১০ ডিসেম্বর।

বিএ-১৩/০৫-১২ (ন্যাশনাল ডেস্ক)

আইনস্টাইনের ‘গড লেটারে’ কী ছিলো?

আলবার্ট আইনস্টাইনের লেখা একটি চিঠি বিক্রি হলো ৩ মিলিয়ন ডলারে। কী ছিলো এই চিঠিতে?

কথিত এই গড লেটার লেখা হয়েছিলো ১৯৫৪ সালে এবং আশা করা হচ্ছিলো যে নিউইয়র্কে নিলামে এটি হয়তো দেড় মিলিয়ন ডলার পর্যন্ত দামে বিক্রি হতে পারে। নোবেল বিজয়ী এই বিজ্ঞানী ৭৪ বছর বয়সে তখন দেড় পাতার একটি চিঠি লিখেছিলেন জার্মান দার্শনিক এরিক গুটকাইন্ডের কাছে তার একটি কাজের জবাব হিসেবে।

কিন্তু এটাকেই এখন দেখা হচ্ছে ধর্ম ও বিজ্ঞানের মধ্যকার বিতর্কের একটি গুরুত্বপূর্ণ বিবৃতি হিসেবে। কারণ মৃত্যুর মাত্র এক বছর আগে লেখা এই চিঠির মধ্যেই ছিলো ধর্ম ও দর্শন নিয়ে তার দৃষ্টিভঙ্গি।

আর সে কারণেই নিলামে এটি আসলে বিক্রি হয়েছে প্রত্যাশার দ্বিগুণ দামে। এই চিঠিতে মাতৃভাষা জার্মান ভাষাতেই তিনি ঈশ্বরে বিশ্বাসে বিষয়টি নিয়ে কথা বলেছেন।

তিনি বলেছেন, “ঈশ্বর শব্দটি আমার কাছে আর কিছুই না, এটি হলো মানুষের দুর্বলতার একটি বহি:প্রকাশ”।

কোন ব্যাখ্যাই যে তার এ ধারণার পরিবর্তন করতে পারবেনা সেটিও তিনি সেখানে পরিষ্কার করেই লিখে দিয়েছিলেন। তিনি যে ইহুদি সম্প্রদায় ও তাদের মানসিকতাকে ধারণ করেন সেই ইহুদিদের তিনি অন্য মানুষদের থেকে আলাদা কিছু নয় বলেই তার মতামত দিয়েছেন সেখানে।

আইনস্টাইনের চিঠি নিলামে ওঠা এই প্রথম নয়। গতবছরই একজন ইটালির একজন রসায়নের ছাত্রের কাছে দেয়া একটি চিঠি নিলামে ছয় হাজার ডলারে বিক্রি হয়েছিলো। ওই ছাত্র আইনস্টাইনের সাথে দেখা করতে অস্বীকৃতি জানিয়েছিলেন। ২০১৭ সালে সুখে বসবাস নিয়ে তার পরামর্শ সম্বলিত একটি নোট প্রায় দেড় মিলিয়ন ডলারে বিক্রি হয়েছিলো জেরুসালেমে।

তবে তার বিখ্যাত থিওরি অফ রিলেটিভিটি নিয়ে লেখা একটি চিঠি বিক্রি হয়েছিলো প্রায় এক লাখ ডলারে।

এসএইচ-১৬/০৫/১২ (অান্তর্জাতিক ডেস্ক)

শিব মন্দিরে মুসল্লিদের জুমার নামাজ আদায়

সম্প্রতি একটি নজির স্থাপন করেছে উত্তর বুলন্দ শহরের হিন্দুরা। মুসলমানদের জুমার নামাজ আদায়ের জন্য শিবমন্দিরের চত্বর খুলে দেয় জৈনপুরবাসী। সেখানে নামাজ আদায় করেছেন প্রায় ১০০ মুসল্লি।

সেই দৃশ্য ক্যামেরাবন্দি হয়ে ভাইরাল হয়েছে সামাজিকমাধ্যমে। ভারতের সংবাদমাধ্যম ডেকান ক্রনিকল এ খবর প্রকাশ করেছে।

ধর্মীয় একটি অনুষ্ঠানে যোগ দিয়ে বাড়ি ফেরার পথে তারা জ্যামে আটকে যান। এদিকে জুমার নামজের সময় হয়ে যায়। সেখানেই নামাজ আদায়ের জন্য উপযুক্ত জায়গা খুজতে থাকেন তারা।

ওই মুসল্লিদের অবস্থা উপলব্ধি করে এগিয়ে আসেন স্থানীয়রা। তারা একটি শিবমন্দিরের দরজা খুলে দেন। সেটিকে নামাজ পড়ার জন্য প্রস্তুত করতেও সাহায্য করেন তারা। পরে মুসল্লিদের মাঝে মিষ্টি ও পানি বিতরণ করা হয়।

এ বিষয়ে স্থানীয় এক বাসিন্দা বলেন, কে কোন ধর্মের তা বিষয় নয়। সবারই নিজ নিজ ধর্মপালনের স্বাধীনতা আছে। মুসলিমরা আমাদের ভাই। তাদের সাহায্য করতে পেরে ভালো লাগছে।

এসএইচ-১৫/০৫/১২ (অান্তর্জাতিক ডেস্ক)

বছরে কোহলির আয় কত

ভারতীয় ক্রিকেটে এখন বিরাট কোহলির জয়জয়কার। শুধু ক্রিকেটে না, আসলে ভারতের ক্রীড়া ব্যক্তিত্ত্বদের মধ্যেই শীর্ষস্থানটি দখলে নিয়েছেন এই ব্যাটসম্যান। আয়ের দিক দিয়েও খেলোয়াড়দের মধ্যে তিনি সবার উপরে থাকবেন, সেটাই স্বাভাবিক।

তবে চলতি বছরে কোহলির আয় যেমন বেড়েছে, শুনলে চোখ কপালে উঠতে পারে যে কারও। গত বছরের তুলনায় ভারতীয় দলপতির বার্ষিক আয় বেড়েছে দ্বিগুণেরও বেশি। গত বছর যেটা ছিল ১০০ কোটি ৭২ লাখ রুপি, চলতি বছর সেটা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২২৮ কোটি ৯ লাখ রুপিতে।

এই জরিপ করেছে ‘ফোর্বস ইন্ডিয়া’। যেখানে ভারতীয় সেলেব্রেটিদের তালিকায় বলিউড সুপারস্টার সালমান খানের পরই আছেন কোহলি। তার এই আয়ের প্রধান উৎসের মধ্যে আছে ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ডের কেন্দ্রীয় চুক্তি, রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স ব্যাঙ্গালুরুর বেতন আর বিজ্ঞাপন চুক্তি।

খেলোয়াড়দের মধ্যে ধনীদের এই তালিকায় কোহলির পরই রয়েছেন সাবেক অধিনায়ক মহেন্দ্র সিং ধোনি। আর পাঁচ বছর আগে ক্রিকেটকে বিদায় বললেও এখানে তৃতীয় স্থানে জায়গা করে নিয়েছেন কিংবদন্তি ব্যাটসম্যান শচিন টেন্ডুলকার।

খেলোয়াড়দের তালিকায় ভারতের শীর্ষ ধনীর মধ্যে চার নাম্বারে রয়েছেন ব্যাডমিন্টন তারকা পিভি সিন্ধু। আরেক শাটলার সায়না নেহওয়ালও আছেন দশের মধ্যে (১০ম)।

ক্রিকেটারদের মধ্যে মনিষ পান্ডে আর জাসপ্রিত বুমরাহও তাদের ক্যারিয়ারে প্রথমবারের মতো সেরা আয়ের খেলোয়াড়দের মধ্যে ঢুকে পড়েছেন। বছরে ১৬ কোটি ৪২ লাখ রুপি রোজগারে ৬০তম অবস্থানে বুমরাহ। ১৩ কোটি ৮ লাখ রুপি আয়ে ৭৭তম স্থানে মনিষ পান্ডে।

তবে সবচেয়ে বেশি আয় বেড়েছে হার্দিক পান্ডিয়ার। গত বছর ৩ কোটি ৪ লাখ রুপি আয় করা এই অলরাউন্ডার চলতি বছরে পকেটে পুড়েছেন ২৮ কোটি ৪৬ লাখ রুপি। সবমিলিয়ে ভারতের ধনী ১০০ সেলেব্রেটির মধ্যে ২১ জন খেলোয়াড় রয়েছেন।

এসএইচ-১৪/০৫/১২ (স্পোর্টস ডেস্ক)

বাংলাদেশের বিপক্ষে ওয়ানডে দলে ব্রাভো

দুই বছর পর ওয়েস্ট ইন্ডিজের ওয়ানডে দলে ফিরেছেন ব্যাটসম্যান ড্যারেন ব্রাভো। বাংলাদেশের বিপক্ষে তিন ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজের ১৫ সদস্যের দলে ফিরেছেন তিনি।

চোটের কারণে অনুপস্থিত নিয়মিত অধিনায়ক জেসন হোল্ডারের জায়গায় ওয়ানডে সিরিজে ক্যারিবীয়দের নেতৃত্ব দেবেন অলরাউন্ডার রোভম্যান পাওয়েল।

ব্রাভো সবশেষ ওয়ানডে খেলেছেন ২০১৬ সালের অক্টোবরে পাকিস্তানের বিপক্ষে। ২৯ বছর বয়সি এই ব্যাটসম্যানের ফেরা নিয়ে ওয়েস্ট ইন্ডিজের নির্বাচক প্যানেলের চেয়ারম্যান কোর্টনি ব্রাউন বলেছেন, ‘আমাদের বিশ্বাস অধিনায়ক জেসন হোল্ডারের অনুপস্থিতে এখনও দল প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে পারে, বিশেষ করে ড্যারেন ব্রাভো ফেরায়। ওর অভিজ্ঞতা ব্যাটিংয়ে শক্তি বাড়াবে।’

আগামী ঢাকা ৯ ডিসেম্বর মিরপুর শের-ই-বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে প্রথম ওয়ানডেতে মুখোমুখি হবে বাংলাদেশ ও ওয়েস্ট ইন্ডিজ। ১১ ডিসেম্বর একই মাঠে দ্বিতীয় ও ১৪ ডিসেম্বর সিলেট আন্তর্জাতিক স্টেডিয়ামে হবে তৃতীয় ও শেষ ম্যাচ। এরপর তিনটি টি-টোয়েন্টিও খেলবে দুই দল। এর আগে টেস্ট সিরিজে সফরকারীদের ২-০ তে হোয়াইটওয়াশ করেছে বাংলাদেশ।

ওয়েস্ট ইন্ডিজ ওয়ানডে দল: রোভম্যান পাওয়েল (অধিনায়ক), মারলন স্যামুয়েলস, রোস্টন চেজ, দেবেন্দ্র বিশু, চন্দ্রপল হেমরাজ, শিমরন হেটমায়ার, ড্যারেন ব্রাভো, শাই হোপ, কার্লোস ব্রাফেট, কেমো পল, কাইরন পাওয়েল, ফ্যাবিয়ান অ্যালেন, কেমার রোচ, সুনীল অ্যামব্রিস, ওশানে টমাস।

এসএইচ-১৩/০৫/১২ (স্পোর্টস ডেস্ক)

তামিমের সামনে ১২ হাজার রানের মাইলফলক

এশিয়া কাপের ইনজুরির কারণে ঘরের মাঠে জিম্বাবুয়ে সিরিজে খেলতে পারেননি দেশসেরা ওপেনার তামিম ইকবাল। ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে দুই ম্যাচের টেস্ট সিরিজও খেলতে পারেননি। এবার সুযোগ পেয়েছেন ওয়ানডে সিরিজে খেলার।

ক্যারিবীয়ানদের বিপক্ষে ওয়ানডে সিরিজেই তামিম সুযোগ পাচ্ছেন নিজেকে আরও এগিয়ে নেওয়ার। সঙ্গে সুযোগ পাচ্ছেন দারুণ এক মাইলফলক স্পর্শ করার।

প্রথম বাংলাদেশি ক্রিকেটার হিসেবে তামিম ১২ হাজার রান স্পর্শ করার দরজায় কড়া নাড়ছেন। সেটি তিন ফরম্যাট মিলিয়ে। ১২ হাজার রানের মাইলফলকে স্পর্শ করতে তামিমের দরকার আর মাত্র ৫৯ রান। সেটি ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে তিন ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজেই হয়তো ছুঁয়ে ফেলবেন এই টাইগার বাঁহাতি ওপেনার।

টেস্ট ক্যারিয়ারে তামিম খেলেছেন ৫৬ ম্যাচ, ওয়ানডে খেলেছেন ১৮৩টি আর টি-টোয়েন্টি খেলেছেন ৭২ ম্যাচ। যেখানে যথাক্রমে তামিমের রান ৪০৪৯, ৬৩০৭ এবং ১৫৮৫। সবমিলিয়ে তামিমের নামের পাশে আছে ১১ হাজার ৯৪১ রান।

সর্বোচ্চ রান সংগ্রাহকের তালিকায় তামিমের পরে আছেন সাকিব। বিশ্বসেরা এই অলরাউন্ডার তিন ফরম্যাট মিলিয়ে করেছেন ১০ হাজার ৬৫৭ রান। এরপর আছেন মিডলঅর্ডারের অন্যতম ভরসার নাম হয়ে ওঠা মুশফিকুর রহিম।

তিন ফরম্যাট মিলিয়ে তিনি করেছেন ১০ হাজার ৩৫০ রান। তামিম-সাকিব-মুশফিকের পর সর্বোচ্চ রান সংগ্রাহকের তালিকায় আছেন মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ। তিন ফরম্যাট মিলিয়ে তিনি করেছেন ৭ হাজার ১৮৫ রান।

এসএইচ-১২/০৫/১২ (স্পোর্টস ডেস্ক)

মালয়েশিয়ায় বিদেশী কর্মী নিয়োগ ফের পেছালো

আবারও পিছিয়েছে মালয়েশিয়ায় বিদেশি কর্মী নিয়োগ প্রক্রিয়া। তবে অবৈধ কর্মীদের সমস্যা মোকাবেলার গুরুত্ব দিচ্ছে দেশটির সরকার।

জানা গেছে, নতুন করে বিদেশী কর্মী নিয়োগের জন্য নতুন পদ্ধতি মেমোরেন্ডাম অব আন্ডারষ্টেন্ডিং (এমওইউ) এর সাথে এখনি সমঝোতা স্বাক্ষর করতে অনিহা প্রকাশ করেছে মালয়েশিয়া। ফলে বাংলাদেশ,নেপাল সহ অনান্য দেশ থেকে নতুন করে কর্মী নিয়োগ প্রক্রিয়া এক ধাপ পিছিয়ে গেলো।

এ দিকে, ঢাকার ১০ রিক্রুটিং এজেন্সির নামে এখনো মালয়েশিয়ায় যাওয়ার অপেক্ষায় আছেন প্রায় ৩০ হাজারেরও বেশি কর্মী।

এর আগে দেশটির সরকার ৩০ নভেম্বরের মধ্যে এসব কর্মী পাঠানোর সময়সীমা বেঁধে দিয়েছিল। এই সময়ের মধ্যে শ্রমিক পাঠাতে না পারলে চাহিদাপত্র বাতিল বলে গণ্য হবে।

তবে, বেধেঁ দেয়া সময়ও শেষ হয়েছে ৩০ নভেম্বও শুক্রবার। এতে মালয়েশিয়ার এজেন্ট, অপেক্ষমাণ শ্রমিক, ঢাকার রিক্রুটিং এজেন্সি ও মধ্যস্বত্বভোগীসহ অনেকেই বিপাকে পড়েছেন। যদিও অপেক্ষমাণ কর্মীরা যাতে দ্রুত দেশটিতে যেতে পারে সেই লক্ষ্যে মালয়েশিয়ায় নিযুক্ত বাংলাদেশ হাইকমিশনে জরুরি ভিত্তিতে স্পেশাল সেল খোলা রয়েছে।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একজন ব্যবসায়ী বলেন, পাইপলাইনে আটকে থাকা এখনো ত্রিশ হাজারেরও বেশী কর্মী মালয়েশিয়ায় যাওয়ার অপেক্ষায় আছে। এসব কর্মীর নামে কলিং ও মেডিক্যালসহ সবকিছুই সম্পন্ন হয়েছে। তারপরও যেতে পারছেন না। এই সময়ের মধ্যে ঢাকার মালয়েশিয়ান হাইকমিশন থেকে ঠিকমতো স্ট্যাম্পিং দেয়নি বলে অভিযোগ উঠেছে।

একাধিক সূত্রে জানা গেছে, ডেট লাইনের আগেই গত মাসের ১৫-১৬ নভেম্বর থেকে স্ট্যাম্পিং বন্ধ রেখেছে মালয়েশিয়া হাই কমিশন। পাসপোর্টও জমা নিচ্ছে না। কী কারণে তারা জমা নেয়া বন্ধ করেছে সে বিষয় জানা যায়নি। তবে নতুন করে যদি মালয়েশিয়া সরকারের কাছ থেকে সময় বাড়িয়ে না নেয়া যায় তাহলে এসব কর্মীর যাওয়া অনেকটা অনিশ্চিত হয়ে পড়বে বলে মনে করছেন অনেকে। খোজঁ নিয়ে জানা গেছে, এখনো ১০ রিক্রুটিং এজেন্সির নামে ৩০ হাজার প্লাস কর্মী যাওয়ার অপেক্ষায় রয়েছেন।

এ বিষয়ে মালয়েশিয়াস্থ বাংলাদেশ হাই কমিশনের শ্রম কাউন্সিলর অতিরিক্ত সচিব মো: সায়েদুল ইসলাম ১ ডিসেম্বর শনিবার জানান, যাদের কলিং হয়েছে এবং ভিসা স্ট্যাম্পিং হয়েছে এসব কর্মী আসতে পারবে। এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ইতোমধ্যে দুই দেশের মধ্যে জয়েন্ট ওয়ার্কিং গ্রুপের গুরুত্বপূর্ণ বৈঠক হয়েছে।

উচ্চপর্যায়ের এসব বৈঠকে দুই দেশের কর্মকর্তারা এবার অল্প অভিবাসনব্যয়ে কর্মী নিয়োগের ওপর বেশি গুরুত্ব দিয়েছেন। এ ছাড়া, সব রিক্রুটিং এজেন্সির মাধ্যমে কর্মী পাঠানো নিশ্চিত করা ও এজেন্সিগুলোর মানসম্পন্ন ট্রেনিং সেন্টার থাকা ছাড়াও শ্রমিক-সংক্রান্ত অন্যান্য বিষয় নিয়ে ইতোমধ্যে উভয় পক্ষের মধ্যে আলোচনা প্রায় চূড়ান্ত করা হয়েছে। এখন শুধু স্থগিত থাকা শ্রমবাজার নতুন করে চালুর আনুষ্ঠানিক ঘোষণা শুধু দেয়া বাকি রয়েছে।

এ দিকে নতুন বিদেশী কর্মী নিয়োগের আগে দেশটিতে থাকা অবৈধ কর্মীদের সমস্যা মোকাবেলার উপর গুরুত্ব দিচ্ছে মালয়েশিয়ার সরকার। মানব সম্পদ মন্ত্রী এম কুলসেগারান জানান, বর্তমানে অবৈধ বিদেশী কর্মীদের বিষয়ে ইন্দোনেশিয়া, বাংলাদেশ ও ভিয়েতনামের সাথে আলোচনা চলছে। তবে কবে নাগাদ চালু হতেপারে সে বিষয়টি এখনও পরিস্কার নয়।

মন্ত্রী বলেন, জাপান, দক্ষিণ কোরিয়া, তাইওয়ান এবং হংকং এর মতো দেশগুসি যখন এমওইউ এর সাথে সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষর করে তখন তাদের শর্ত থাকে যে, কর্মী প্রেরণ করতে ইচ্ছুক দেশগুলির সরকার তাদের অবৈধ কর্মীদের ফিরিয়ে নিতে কঠোর অবস্থান নেবে।

তিনি উল্লেখ করেন যে, এখন আমরা যা বলছি তা খুবই সহজ, যদি আপনি আমার দেশে শ্রমিক পাঠান তবে আপনাকে অবশ্যই সেরা শ্রমিক পাঠাতে হবে, আপনাকে অবশ্যই নিয়মনিষ্ঠ লোক পাঠাতে হবে।

চলতি বছরে মার্কিন ষ্ট্যাট ডিপার্টমেন্টের টিআইপি’র প্রতিবেদনে বলা হয়েছে মালয়েশিয়ার যে অবনতি ঘটছে তার বিশেষ কারণ হিসেবে অবৈধ কর্মীদের বিষটিই দেখছেন কুলাসেগারান। বুধবার (২৮ নভেম্বর) ২৫ তম আসিয়ান শ্রম মন্ত্রীদের এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ সব কথা বলেন তিনি। মন্ত্রী বলছেন, আমরা যদি আরও এক স্তর নিচে যাই, তাহলে বিশ্বের সকল প্রধান দেশগুলি আমাদের উপর নিষেধাজ্ঞা আনবে। তখন বিদেশী দেশগুলি এই দেশে আর বিনিয়োগ করতে চাইবে না।

এ দিকে দেশটিতে কর্মরত বিদেশী কর্মীদের সামাজিক নিরাপত্তা সুরক্ষা দেয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে মন্ত্রিপরিষদ। এটি মালয়েশিয়ার সামাজিক নিরাপত্তা সংস্থার (সোসো) অধীনে ২০১৯ সালের জানুয়ারি মাসে কার্যকর হবে বলে জানানো হয়েছে।

এর আগে সামাজিক নিরাপত্তা সংস্থার (সোসো) অধীনে স্থানীয় নাগরিকরাই সুবিধা পেত; তবে এখন বিদেশী কর্মীদেরকেও এর আওতাভুক্ত করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। মালয়েশিয়ার বিভিন্ন কর্মস্থলে দূর্ঘটনায় পরিমাণ কমাতেই এ সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে বলে জানা গেছে। এটি বাস্তবায়ন হলে নিয়োগকর্তারা বিদেশী কর্মীদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে আরও স্বচেষ্ট হবে বলে ধারণা করা হচ্ছে। গত মাসের ২১ নভেম্বর বুধবার মানব সম্পদ মন্ত্রী এম কুলাসেগারান এই সিদ্ধান্তের কথা জানিয়েছেন।

মানব সম্পদ মন্ত্রী এম কুলাসেগারান জানিয়েছেন, বিদেশী কর্মীদের নিয়োগের ক্ষেত্রে নিয়োগকর্তাদের সোসো’র সঙ্গে নিবন্ধন করতে হবে এবং কর্মীদের সামাজিক নিরাপত্তা আইন ১৯৬৯ (অ্যাক্ট ৪)-এর অধীনে কর্মসংস্থানে প্রকল্পের আওতায় আনতে হবে।

মন্ত্রী বলেন, এতে কর্মসংস্থানে ক্ষতির পরিকল্পনার অধীনে চিকিৎসা সুবিধা, অস্থায়ী কর্ম অক্ষমতা সুবিধা, স্থায়ী অক্ষমতা সুবিধা এবং পুনর্বাসন সুবিধার পাশাপাশি ৬ হাজার ৫০০ রিঙ্গীত প্রত্যাবাসন খরচের মতো সুবিধাগুলো অন্তর্ভুক্ত রয়েছে।

দেশ জুড়ে মোট ৫৪টি সামাজিক নিরাপত্তা সংস্থার (সোসো) অফিস রয়েছে। এসবের যে কোনটিতে নিবন্ধন করা যাবে এবং এটি ব্যস্তবায়নে মন্ত্রণালয় সোসো’কে সঙ্গে নিয়ে শিগগির স্টেকহোল্ডারদের সঙ্গে বসবেন বলেও জানিয়েছে কুলাসেগারান।

এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ২০১৭ সালে মালয়েশিয়ায় প্রায় ২.২ মিলিয়ন বিদেশী কর্মী ছিল। তাদের বড় একটি অংশ কৃষি ও নির্মাণ শিল্পে কর্মরত আছে।

এদিকে চলতি বছরে অন্য একটি সংস্থার প্রদিবেদনে দেখানো হয়, গত বছর এই দুই খাতে ৪০.৫ শতাংশ এবং উৎ্পাদন খাতে ২৩ শতাংশ বিদেশী কর্মীরা কাজ করেছে।

এসএইচ-১১/০৫/১২ (প্রবাস ডেস্ক)

হোটেলে আপত্তিকর অবস্থায় ১৩ নারী-পুরুষ

ফরিদপুরে একটি আবাসিক হোটেল থেকে অসামাজিক কার্যকলাপের অভিযোগ হোটেলের মালিক ও ম্যানেজারসহ ১৩ নারী-পুরুষকে আটক করেছে প্রশাসন।

বুধবার দুপুরে ফরিদপুর শহরের নতুন বাসস্ট্যান্ড এলাকায় অবস্থিত হোটেল নিউ গার্ডেন সিটিতে অভিযান চালিয়ে তাদের আটক করা হয়। পরে ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে আটকদের বিভিন্ন মেয়াদে কারাদণ্ড দেয়া হয়।

ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করেন সদর উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. পারভেজ মল্লিক।

তিনি জানান, হোটেল নিউ গার্ডেন সিটিতে অসামাজিক কার্যকলাপের অভিযোগ দুপুরে অভিযান পরিচালনা করা হয়। এ সময় আপত্তিকর অবস্থায় ১০ জন নারী-পুরুষ এবং হোটেলের মালিক ও দুই ম্যানেজারকে আটক করা হয়।

আটকদের দণ্ডবিধির ১৮৬০ এর ২৯৪ ধারায় প্রত্যেককে সাতদিন করে বিনাশ্রম কারাদণ্ড দেয়া হয়েছে। এছাড়াও হোটেলের মালিক ও দুই ম্যানেজারকে এক মাস করে বিনাশ্রম কারাদণ্ড দেয়া হয়েছে।

ফরিদপুরের জেলা প্রশাসক উম্মে সালমা তানজিয়া বলেন, আবাসিক হোটেলগুলোতে অসামাজিক কার্যকলাপ রোধে ভ্রাম্যমাণ আদালতের অভিযান অব্যাহত থাকবে।

বিএ-১২/০৫-১২ (আঞ্চলিক ডেস্ক)

সাকিবের সামনে মাইলফলক

আর মাএ ৬ টি উইকেট পেলেই মাশরাফির পর ২য় বাংলাদেশী হিসেবে বল হাতে ২৫০ উইকেটের মালিক হবেন বিশ্বসেরা অলরাউন্ডার সাকিব আল হাসান। সেই সাথে ২৫০ এর ঘরে পৌছে যাবে সাকিব।

ইনজুরি থেকে ফিরেই টেস্ট সিরিজে প্রথম বাংলাদেশী হিসেবে সাকিব ২০০ উইকেট পায়।

এখন ওয়ানডেতে অপেক্ষা করছে ২৫০ উইকেটের মাইলফলক। অবশ্য ইনজুরি না থাকলে এই রেকর্ডের জন্য এতসময় অপেক্ষা করতে হতো না টাইগার কাপ্তান সাকিবের।

ওয়ানডেতে সাকিবের উইকেট এখন ২৪৪ টি।

একনজরে সাকিব আল হাসানের ওয়ানডে বোলিং ক্যারিয়ারঃ

ম্যাচঃ ১৯২ টি ইনিংসঃ ১৮৯ টি মেইডেনঃ ৮২ ওভার উইকেটঃ ২৪৪ টি এভারেজঃ ২৯.৬৩ ইকোনমিঃ ৪.৪৬ ৪ উইকেটঃ ৮ বার ৫ উইকেটঃ ১ বার বেস্ট বোলিং ফিগারঃ ৪৭ রানে ৫ উইকেট ।

এসএইচ-১০/০৫/১২ (স্পোর্টস ডেস্ক)

উন্নয়নের বার্তা পৌঁছে দেবে আওয়ামী লীগ

রাজশাহী-১ (তানোর-গোদাগাড়ী) আসনে উন্নয়নের বার্তা নিয়ে নেতাকর্মীদের মাঠে থাকার নির্দেশ দিয়েছেন ওমর ফারুক চৌধুরী।

বুধবার সকালে গোদাগাড়ী ইউনিয়ন পরিষদ চত্বরে আয়োজিত আওয়ামী লীগের বর্ধিত সভায় ফারুক চৌধুরী এই নির্দেশনা দেন। বেলা ১১টা থেকে শুরু হওয়ায় ওই সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন তিনি।

জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ওমর ফারুক চৌধুরী গত দুই মেয়াদে এই আসনের সংসদ সদস্য। নৌকার টিকেট পেয়ে নবম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে এই আসনে বিজয়ী হন তিনি। এবারও এই আসনে নৌকার প্রার্থী তিনি।

ফারুক চৌধুরী বলেন, গত এক দশকে আওয়ামী লীগ সরকার শিক্ষা, স্বাস্থ্য, যোগাযোগ ও অবকাঠামোসহ সকল খাতে ব্যাপক উন্নয়ন করেছে। এর সুফল পাচ্ছে সাধারণ মানুষ। এর সুফল পাচ্ছে জনগণ। মানুষের জীবনমানের উন্নয়ন ঘটেছে।

এই বার্তা নিয়ে ভোটারদের কাছে পৌঁছে দিকে হবে। উন্নয়নের ধারাবাহিকতা রক্ষায় আবারো নৌকায় ভোট চান ফারুক চৌধুরী।

উপজেলা আওয়ামী লীগের সদস্য নজরুল ইসলাম এনারুলের সভাপতিত্বে সভায় অতিথি ছিলেন, উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি বদিউজ্জামান, উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি পারভেজ বাবু, গোদাগাড়ী ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান মাসুদুল গণি মাসুদ, যুবলীগ সভাপতি ইসমাইল হোসেন, সম্পাদক আব্দুল মালেক।

গোদাগাড়ী ইউনিয়ন কৃষক লীগের সম্পাদক আব্দুল্লাহ আল মামুন, ইউনিয়ন মহিলা লীগের সভাপতি খাদিজা, সম্পাদক পূর্ণিমাসহ ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ ও এর অংগ-সংগঠনের বিভিন্ন স্তরের নেতা-কর্মীরা সভায় অংশ নেন।নেতাকর্মীদের নৌকার জয় নিশ্চিত করতে ঐক্যবদ্ধভাবে প্রচারণায় নামারও আহবান জানানো হয়। সভায় আসন্ন নির্বাচনী প্রচারণায় দলের বিভিন্ন কৌশল নিয়েও আলোচনা হয়েছে।

বিএ-১০/০৫-১২ (নিজস্ব প্রতিবেদক)