ভোর ৫:২৩
শুক্রবার
৩ রা মে ২০২৪ ইংরেজি
১৯ শে বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
২৪ শে শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী
spot_img

চরিত্রহীন অপবাদে বিদেশফেরত ৬২ শতাংশ নারীশ্রমিক বেকার!

মানবেতর জীবনযাপন করছেন বিদেশ ফেরত নারী শ্রমিকরা। গবেষণা-প্রতিষ্ঠান বিলস এক প্রতিবেদনে দাবি করছে, ফেরত আসা নারী শ্রমিকদের ৩৮ শতাংশকে সমাজে ‘চরিত্রহীন’ হিসেবে দেখা হয়। এ অপবাদে স্বামী-সংসার হারিয়েছেন অনেকেই। ঠাঁই দেয়নি বাবা-মাও। ৬০ শতাংশ নারী শ্রমিক পাননি কোনো কাজ। পরিবারে সচ্ছলতা তো দূরে থাক ৬১ শতাংশই আটকে আছেন ঋণের জালে।

এ অবস্থায় বিদেশ ফেরত নারী শ্রমিকদের পুর্নবাসনে সরকারকে এগিয়ে আসার আহ্বান জানিয়েছে বিলস।

দেশের অর্থনীতিতে বড় অবদান রাখছে প্রবাসীদের পাঠানো রেমিট্যান্স। করোনা মহামারির মধ্যেও বছরে ২০ বিলিয়ন ডলারের বেশি অর্থ দেশে পাঠিয়েছেন, এক কোটি ২০ লাখ প্রবাসী শ্রমিক। যার মধ্যে ৯-১০ লাখ রয়েছেন নারী।

এসব প্রবাসী নারীশ্রমিক কর্মক্ষেত্রে নানারকম নির্যাতন সহ্য করে দেশে ফেরত এসে মুখোমুখি হন কঠিন এক বাস্তবতার। যশোর, ফরিদপুর ও চট্টগ্রামের বিদেশ ফেরত ৩২৩ প্রবাসী নারী শ্রমিকের দেয়া তথ্যের ভিত্তিতে সোমবার বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব লেবার স্টাডিজ-বিলস এক গবেষণা প্রতিবেদনে দাবি করছে, কর্মক্ষেত্রে ৫২ শতাংশ নারী শ্রমিক জবরদস্তিমূলক শ্রমের শিকার হয়েছেন। খাদ্য ও পানির সংকটে ভুগেছেন ৬১শতাংশ। ফলে বছর না ঘুরতেই বাধ্য হয়ে দেশে এসেছেন ৫৫ শতাংশ নারী শ্রমিক।

শুধু কি তাই! দেশে এসে কাজ না পেয়ে ঋণগ্রস্ত হয়েছেন ৬১ শতাংশ নারী শ্রমিক। বিদেশ ফেরত নারী শ্রমিকদের বর্তমান অর্থনৈতিক অবস্থা পর্যালোচনা করে দেখা গেছে, বিদেশ ফেরত ৬০% নারী শ্রমিক বেকার, ৬৫% শ্রমিকের নিয়মিত মাসিক কোন আয় নেই, ৬১% শ্রমিক এখনও ঋণের বোঝা বয়ে বেড়াচ্ছেন, ৭৫% শ্রমিকের কোন সঞ্চয় নেই এবং ৭৩% শ্রমিক তাদের পরিবারের দৈনন্দিন চাহিদা পূরণে ব্যর্থ হচ্ছেন।

চরিত্রহীনার অপবাদে পরিবার-পরিজন হারিয়ে মানষিকভাবে অসুস্থ হয়ে পড়েছেন অনেকেই।

বিদেশ থেকে ফেরার সময় পরিবারের সদস্য দ্বারা বিমানবন্দরেই অযাচিত আচরণের শিকার হয়েছেন ১৭% শ্রমিক। ১৫% বিদেশ থেকে ফিরে আসা নারী তালাকপ্রাপ্ত হয়েছেন। ১১% নারী শ্রমিকের স্বামী তাদের ছেড়ে চলে গেছে এবং ২৮% নারীশ্রমিক তাদের দাম্পত্য জীবনে বিরূপ প্রভাবের সম্মুখীন হয়েছেন। বিদেশ ফেরত নারীশ্রমিকদের শারীরিক স্বাস্থ্যের অবস্থা নাজুক। ৫৫% শ্রমিক শারীরিকভাবে অসুস্থ, ২৯% এর মানসিক অসুস্থতা রয়েছে এবং ৮৭% শ্রমিক মানসিক অসুস্থতার কোন চিকিৎসা পায়নি।

বিদেশ ফেরত নারী শ্রমিকরা সামাজিকভাবেও হেয় প্রতিপন্ন হচ্ছেন। পরিবার ও সমাজ তাদের সাথে বৈরী এবং অমানবিক আচরণ করে। ৩৮% নারী শ্রমিক বলছেন সমাজে তাদের নিম্ন শ্রেণির চরিত্রহীন নারী বলে গণ্য করা হয়।

করোনা মহামারিতে কাজ হারিয়ে প্রতিমাসে গড়ে ২০০ থেকে ৩০০ নারী শ্রমিক দেশে আসছেন। এ অবস্থায় নারী শ্রমিকদের জন্য উপযুক্ত সামাজিক সুরক্ষা ব্যবস্থা প্রণয়ন; কর্মসংস্থান সৃষ্টি ও সহজ শর্তে ঋণ দিতে সরকারের কাছে সুপারিশ করেছে বিলস।

এসএইচ-২৬/২৭/২১ (অনলাইন ডেস্ক)

চার পায়ের মুরগি ঘিরে তোলপাড়

চার

মুরগির চার পা কখনও দেখেছেন কিংবা শুনেছেন? অনেকের কাছে অবিশ্বাস্য মনে হতে পারে এটি। তবে এই অবিশ্বাস্য ঘটনাই সত্যি হিসেবে হাজির হয়েছে ভারতের পশ্চিমবঙ্গের হুগলি জেলায়। হুগলির চুঁচুড়ার এক মুরগি বিক্রেতার দোকানে চার পায়ের একটি মুরগি ঘিরে তোলপাড় শুরু হয়েছে সেখানে।

পশ্চিমবঙ্গের বাংলা সংবাদমাধ্যম এবিপি আনন্দ বলছে, যারা পাঠার মাংস খেতে পছন্দ করেন না অথচ মুরগি খুব প্রিয় তাদের পাঠা বা খাসির মাংস দিয়ে মজা করে বলা হয় চার পায়ের মুরগির মাংস। কিংবা কেউ পাঠার মাংস আনতে গিয়ে মজা করতে বলেন, চার ঠ্যাং আনতে চললাম।

এগুলো তো নিছক মজা করার জন্য বলা হয়ে থাকে। সবাই জানেন, মুরগির দুটি পা হয়, আর দুটি ডানা। তাই বলে চারপেয়ে মুরগি! এমনটা সচরাচর হয় না। কিন্তু সেই চারপেয়ে মুরগির কথা বলে নিছক মজাই বা আর রইল কই?

পশ্চিমবঙ্গের চুঁচুড়া খরুয়া বাজারে মুরগির মাংস বিক্রেতা স্বপন সরকারের দোকানে রয়েছে এমনই অদ্ভুত একটি মুরগি। যার চার পা।মুরগি কিনে আনার সময় তার চোখে অস্বাভাবিক কিছু চোখে পড়েনি। কিন্তু মাংস কাটতে গিয়ে তাজ্জব হয়ে যান স্বপন। তিনি তেখতে পান, দুটি পা যেমন থাকে তেমনই আছে। সেই সঙ্গে পিছনের দিকে দুটি ছোট পা রয়েছে ওই মুরগিটির।

চার পা নিয়েই দিব্যি হেঁটে বেড়াচ্ছে মুরগিটি। প্রায় ত্রিশ বছর ধরে মুরগির মাংস বিক্রি করেন স্বপন। এই ধরনের আশ্চর্যজনক ঘটনা তিনি এর আগে দেখেননি বলে জানিয়েছেন। মুরগিটির চার পায়ের খবর ছড়িয়ে পড়ার পর অনেকেই সেটি দেখতে দোকানে ভিড় করেছেন।

জোড়া মাথা, জোড়া শিশু অস্বাভাবিক হলেও মাঝেমধ্যে এমন ঘটনা সামনে আসে। কিন্তু তাই বলেও মুরগির চারটি পা! মুরগির চার পা থাকা নজিরবিহীন বলে মন্তব্য করেছেন প্রাণীবিদরা।

চুঁচুড়ার প্রাণী স্বাস্থ্য হাসপাতালের চিকিৎসক জয়জিৎ মিত্র জানান, এমন ঘটনা সাধারণত দেখা যায় না। একটা মুরগির দুটি পা হয়। এটা জিনগত বা ক্রোমোজমের ত্রুটির কারণে হয়ে থাকতে পারে। ব্রয়লার মুরগি যেহেতু মাংসের জন্য তৈরি হয়, তাই জিনগত ত্রুটি দেখা দিতেই পারে। কাজেই এটাকে একেবারে অস্বাভাবিক বলা যাবে না, তবে তা অবশ্যই বিরল।

বিয়ের আশ্বাসে কিশোরীকে ধর্ষণ, লজ্জায় ধানক্ষেতে সন্তান প্রসব

পঞ্চগড়ের বোদা উপজেলার অকয়ারি পাড়ার একটি ধানক্ষেত থেকে নবজাতক উদ্ধারের চারদিন পর শিশুটির মাকে খুঁজে পেয়েছে থানা পুলিশ। রোববার রাতে বোদা উপজেলার অকয়ারি পাড়া গ্রামে ব্যাপক অনুসন্ধান চালিয়ে নবজাতকের মাকে খুঁজে পায় পুলিশ।

গত বুধবার রাতে পঞ্চগড়ের বোদা উপজেলার ময়দানদিঘীর অকয়ারি পাড়ার ধানক্ষেত থেকে উদ্ধার করা হয় একটি নবজাতক কন্যা শিশুকে। স্থানীয় লোকজনের সহায়তায় বোদা থানা পুলিশ ও সমাজসেবা অধিদপ্তর শিশুটিকে তাদের হেফাজতে নিয়ে পঞ্চগড় সদর আধুনিক হাসপাতালে ভর্তি করে। শিশুটি বর্তমানে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।

এদিকে নবজাতক উদ্ধারের রহস্য অনুসন্ধানে নেমে চাঞ্চল্যকর তথ্য পায় পুলিশ, বেরিয়ে আসে নবজাতক জন্মের আসল রহস্য।

পুলিশ সূত্রে জানা যায়, ওই গ্রামের স্কুলপড়ুয়া এক কিশোরীর সাথে তার খালাতো ভাই আটোয়ারি উপজেলার গোপালজোত গ্রামের ললি মোহনের ছেলে ধনেশের সাথে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। এরমধ্যে বিয়ের আশ্বাস দিয়ে একাধিকবার কিশোরীর সাথে শারীরিক সম্পর্ক গড়ে তোলেন ধনেশ। একপর্যায়ে কিশোরী গর্ভবতী হয়ে পড়লে কিশোরীর বাবা বিষয়টি টের পান এবং ছেলে পক্ষকে জানান। কিন্তু ছেলেপক্ষ উল্টো ভীষণ ক্ষিপ্ত হয় এবং তাদের মেরে ফেলার হুমকি দেয়।

এ ঘটনায় কিশোরীর দরিদ্র বাবা হুমকি ও লোকলজ্জার ভয়ে কারও কাছে যেতেও পারেনি। স্কুল বন্ধ এবং ধনেশের মেরে ফেলার হুমকির কারণে ওই কিশোরী এতদিন লোকচক্ষুর আড়ালেই ছিল। অবশেষে ২২ সেপ্টেম্বর সবার অগোচরে বাড়ির পাশে ধানক্ষেতে ওই কিশোরী একটি কন্যাশিশুর জন্ম দেয়।

পঞ্চগড় আধুনিক সদর হাসপাতালের শিশু বিশেষজ্ঞ সময় নিউজকে জানান, নবজাতক শিশুটিকে হাসপাতালের স্কানু ওয়ার্ডে নিবিড় তত্ত্বাবধায়নে রাখা হয়েছে। বর্তমানে নবজাতক সুস্থ রয়েছে।

বোদা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আবু সাঈদ চৌধুরী জানান, স্থানীয় লোকজনের সহায়তায় শিশুটিকে উদ্ধার করে পঞ্চগড় আধুনিক সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। এছাড়া কিশোরীর বাবা তিনজনের নাম উল্লেখ করে একটি মামলা দায়ের করেছে। অভিযুক্তদের গ্রেপ্তারে অভিযান অব্যাহত রেখেছে পুলিশ।

এসএইচ-২৫/২৭/২১ (উত্তরাঞ্চল ডেস্ক)

ছেলের জন্মদিনে শাকিবের আবেগঘন পোস্ট

শাকিব খান ও অপু বিশ্বাসের সন্তান আব্রাম খান জয়ের জন্মদিন আজ। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে একটি হৃদয়স্পর্শী পোস্ট দিয়েছেন শাকিব। নায়কের পোস্ট ভাইরাল হয়ে গেছে ফেসবুকে।

পোস্টে শাকিব লেখেন, ‘পৃথিবীর প্রায় সব কিছুর শেষ আছে, কিন্তু তোমার প্রতি আমার ভালোবাসার কোনো শেষ নেই। কারণ তুমি আমার কাছে সৃষ্টিকর্তা প্রদত্ত অমূল্য উপহার। শুধু জন্মদিনে নয়, তোমার জন্য আমার কাছে প্রতিটি দিন গুরুত্বপূর্ণ। তোমার সুন্দর ভবিষ্যতের জন্য যা কিছু কল্যাণকর সব সময় পুরোটা দেওয়ার চেষ্টা করেছি।’

শাকিব খান আরও লেখেন, ‘তোমার সঙ্গে আমি সব সময় ছিলাম, আছি এবং আগামীতেও থাকবো ইনশাআল্লাহ। বেঁচে থাকার পূর্ণ স্বার্থকতা অর্জন করো।

ছাড়িয়ে যাও আমার সকল স্বপ্নের সীমানা। জীবনে সাফল্যের সব ক্ষেত্রে আমার চেয়ে এগিয়ে থাকো। বিশ্বাস করি, যেদিন আমি থাকব না সেদিন তোমার মধ্যে বেঁচে থাকবো আরও বহুকাল। তোমাকে জন্মদিনের অনেক শুভেচ্ছা ও ভালোবাসা। শুভ জন্মদিন আব্রাহাম খান জয়।’

শাকিব জয়কে নিয়ে দুটি ছবিও শেয়ার করেছেন তার ভেরিফায়েড ফেসবুক পেইজে। এতে দেখা গেছে জয় সানগ্লাস পরে বাবার কোলে বসে আছে।

শাকিবের এই পোস্ট ছড়িয়ে পড়েছে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে। পোস্টটি দেওয়ার ৪৯ মিনিট পরেই ২৯ হাজার ফেসবুক ব্যবহারকারী এতে লাইক দিয়েছেন। মন্তব্য করেছেন ৩ হাজারের বেশি মানুষ। শেয়ার করেছেন ১১৭ জন মানুষ।

২০১৬ সালের ২৭ সেপ্টেম্বর কলকাতার একটি হাসপাতালে জয়কে জন্ম দেন অপু বিশ্বাস।

এদিকে, গ্রামবাংলার ঐতিহ্যবাহী নৌকা বাইচ প্রতিযোগিতা ও বিস্তীর্ণ এক জনপদের মানুষের জীবন উপজীব্য করে নির্মিত হচ্ছে ‘গলুই’ সিনেমা। এতে প্রধান ভূমিকায় অভিনয় করবেন শাকিব খান। তার বিপরীতে রয়েছেন পূজা চেরি। কিন্তু শুটিং শুরুর প্রথম দিন তারা অংশ গ্রহণ করেননি। পূজা আগামীকাল এবং শাকিব খান ২৮ তারিখে অংশ নেবেন বলে জানিয়েছেন পরিচালক।

পরিচালক জানান, নৌকার সঙ্গে জীবন, জীবনের সঙ্গে সম্পর্ক, পরিবার, রাষ্ট্র ও সমাজ ব্যবস্থা মিলিয়ে একটা জীবন ধারা। এরমধ্যে রয়েছে প্রেম, টানাপোড়েন, বন্ধন। পুরো সিনেমায় থাকবে এটাই। সেজন্যই ছবির নাম ‘গলুই’। শুটিং শুরু হলেও শাকিব-পূজা প্রথম কয়েক দিন থাকছেন না। থাকবেন ২৮ তারিখ থেকে।

প্রসঙ্গত, শিশুশিল্পী হিসেবে পূজা চেরি সিনেমায় নাম লেখান। এরপর ২০১৮ সালে ‘নূরজাহান’ সিনেমার মাধ্যমে নায়িকা হিসেবে আত্মপ্রকাশ করেন। জনপ্রিয়তা পান একই বছরের ‘পোড়ামন ২’ সিনেমায় অভিনয় করেন।

এসএইচ-২৪/২৭/২১ (বিনোদন ডেস্ক)

রোনালদোর খাদ্যাভাস অনুসরণ করতে রাজি নন সতীর্থরা

অনেকে মনে করে থাকেন ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডের পর্তুগিজ ফুটবলার ক্রিস্টিয়ানো রোনালদো কঠোর পরিশ্রমীদের জন্য আদর্শস্বরূপ। ৩৬ বছর বয়সেও এখনও ২০ বছর বয়সি তরুণের মতো ফিটনেস তার। সার্বিকভাবে তিনি যেভাবে জীবন-যাপন করেন তা অনুসরণ করলে যে কারোরই সফল হওয়ার উজ্জ্বল সম্ভাবনা থাকে, সেটা হোক ফুটবলে কিংবা অন্য কোনো পেশায়। সেই রোনালদোই তার সতীর্থদের জন্য নিজের খাদ্যাভাসের তালিকা উপস্থাপন করেছিলেন, যা খেতে রাজি নন ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডের ফুটবলাররা।

রোনালদোর আগমণে প্রভুত উন্নতি সাধিত হয়েছে ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডের। আর্থিক বিষয়াদির সঙ্গে সঙ্গে ইংল্যান্ডের ক্লাবটির শক্তিমত্তাও বৃদ্ধি পেয়েছে বহুগুণে। আক্রমণভাগে রোনালদো যে এক ভয় জাগানিয়া নাম! পর্তুগিজ তারকা এবার হয়তো চেয়েছিলেনস সতীর্থরা তার মতো খাদ্যাভাস অনুসরণ করুক, যাতে সবার ফিটনেস ভালো থাকে, লিগ ফুটবলের পাশাপাশি ইউরোপ মঞ্চেও আধিপত্য শুরু হোক রেড ডেভিলদের। রোনালদো তার খাদ্যের তালিকা দিয়েছিলেন ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডের শেফকে।

সেই তালিকা দেখে রোনালদোর ইউনাইটেড সতীর্থদের মধ্যে অনেকেই খেতে অনীহা প্রকাশ করেন। বলছে দ্য সানের প্রতিবেদন। ক্লাবের একটি সূত্র সানকে জানায়, রোনালদো ফিটনেস ঠিক রাখতে কঠোরভাবে খাদ্যাভাস অনুসরণ করে, কিন্তু ক্লাবের অন্যরা এসব পছন্দ করেনি। অথচ কদিন আগে বার্মিংহামের ইংলিশ ফুটবলার ত্রয় ম্যাথিউ বলেছিলেন, ফিটনেস ঠিক রাখতে রোনালদো যা খান তাই খেতে রাজি তিনি।

দ্য সানের সঙ্গে ত্রয় বলেন, রোনালদো ফিটনেস ঠিক রাখতে যা খায় আমিও তা খেতে রাজি, সেটা যত বাজে খাবারই হোক না কেন। ত্রয়কে তার অনেক বন্ধু নাকি জিজ্ঞেস করেছেন, ফিটনেস ঠিক রাখার ক্ষেত্রে কি কি নিয়ম মানতে পারেন রোনালদো। তারা নাকি প্রায়ই এমন বিষয় নিয়ে সতীর্থদের মধ্যে আলোচনা করেন। তার ভাষ্যমতে, আমার এক বন্ধু বলেছিল, রোনালদো কি খায়? সে কি অনেক ভাল ভাল খাবার খেয়ে থাকে?

অনেকের ধারনা, ফিটনেস ধরে রাখার কারণেই রোনালদো এখনও ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগের মতো প্রতিদ্বন্দ্বীতাপূর্ণ লিগে সেরা ফর্মে রয়েছেন। রেড ডেভিলদের জার্সিতে দ্বিতীয় প্রত্যাবর্তনের পর প্রথম তিন ম্যাচেই করেছিলেন ৪ গোল। অভিষেক ম্যাচেই করেন জোড়া গোল।

এসএইচ-২৩/২৭/২১ (স্পোর্টস ডেস্ক)

পেছাল ৭ কলেজের কলা ও সামাজিক বিজ্ঞান ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষা

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) অধিভুক্ত ৭ কলেজের ১ম বর্ষ স্নাতক (সম্মান) শ্রেণিতে কলা ও সামাজিক বিজ্ঞান ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষার তারিখ আবারও পরিবর্তন করা হয়েছে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) অধিভুক্ত ৭ কলেজের ১ম বর্ষ স্নাতক (সম্মান) শ্রেণিতে কলা ও সামাজিক বিজ্ঞান ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষার তারিখ আবারও পরিবর্তন করা হয়েছে।

সোমবার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের জনসংযোগ দপ্তর থেকে পাঠানো এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, অধিভুক্ত সরকারি ৭ কলেজে ২০২০-২০২১ শিক্ষাবর্ষে ১ম বর্ষ স্নাতক (সম্মান) শ্রেণিতে কলা ও সামাজিক বিজ্ঞান ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষা অনিবার্য কারণবশত ৩০ অক্টোবরের পরিবর্তে ১৩ নভেম্বর অনুষ্ঠিত হবে।

এছাড়া পূর্বঘোষিত বাণিজ্য ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষা আগামী ৫ নভেম্বর এবং বিজ্ঞান ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষা ৬ নভেম্বর অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা রয়েছে।

এর আগে ১ সেপ্টেম্বর ১ম বর্ষ স্নাতক (সম্মান) শ্রেণিতে বিজ্ঞান ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষা অনিবার্য কারণবশত পূর্বঘোষিত ২৯ অক্টোবর ২০২১ এর পরিবর্তে আগামী ৬ নভেম্বর নির্ধারণ করা হয়।

গত ২৩ জুলাই দেশজুড়ে করোনা মহামারি মারাত্মক আকার ধারণ করায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) ২০২০-২১ শিক্ষাবর্ষের স্নাতক (সম্মান) প্রথম বর্ষের ভর্তি পরীক্ষা ও ঢাবি অধিভুক্ত রাজধানীর সাত সরকারি কলেজের ভর্তি পরীক্ষা পেছানো হয়।

ওইদিন মঙ্গলবার বিকেলে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ডিনস কমিটির এক জরুরি সভায় পেছানোর সিদ্ধান্ত হয়। ভার্চ্যুয়ালি অনুষ্ঠিত সভায় বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য মো. আখতারুজ্জামান সভাপতিত্ব করেন।

সভায় জানানো হয়, নতুন তারিখ অনুযায়ী ঢাবির ভর্তি পরীক্ষা শুরু হবে ১ অক্টোবর থেকে। আর ঢাবি অধিভুক্ত রাজধানীর সাত সরকারি কলেজের ভর্তি পরীক্ষা শুরু হবে ২৯ অক্টোবর।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সহ-উপাচার্য (শিক্ষা) এ এস এম মাকসুদ কামাল ওইদিন গণমাধ্যমে বলেছিলেন, করোনা পরিস্থিতি বিবেচনায় নিয়ে ডিনস কমিটির সভায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ও অধিভুক্ত সাত কলেজের ভর্তি পরীক্ষার তারিখ পরিবর্তন করা হয়েছে।

নতুন সিদ্ধান্ত অনুযায়ী ১ অক্টোবর বিজ্ঞান অনুষদভুক্ত ‘ক’ ইউনিটের পরীক্ষার মধ্য দিয়ে শুরু হবে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের এবারের ভর্তি পরীক্ষা। এরপর ২ অক্টোবর কলা অনুষদভুক্ত ‘খ’ ইউনিট, ৯ অক্টোবর চারুকলা অনুষদভুক্ত ‘চ’ ইউনিট (বহুনির্বাচনী), ২২ অক্টোবর ব্যবসায় শিক্ষা অনুষদভুক্ত ‘গ’ ইউনিট ও ২৩ অক্টোবর অনুষ্ঠিত হবে সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদভুক্ত ‘ঘ’ ইউনিটের পরীক্ষা।

১১ সেপ্টেম্বর থেকে ভর্তিচ্ছুক শিক্ষার্থীরা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ওয়েবসাইট থেকে প্রবেশপত্র ডাউনলোড করতে পারবেন।

এ ছাড়া সাত কলেজের ভর্তি পরীক্ষাও পেছানো হয়। ২৯ অক্টোবর বিজ্ঞান ইউনিটের মধ্য দিয়ে সাত কলেজের ভর্তি পরীক্ষা শুরু হওয়ার কথা থাকলেও সেটি পেছানো হয়। এরপর ৩০ অক্টোবর কলা ও সামাজিকবিজ্ঞান ইউনিটের পরীক্ষা হওয়ার কথা থাকলেও সেটি এবার পেছানো হলো।

সাত কলেজে এবার সর্বমোট আসন সংখ্যা ২৬ হাজার ১৬০টি।

এসএইচ-২২/২৭/২১ (শিক্ষা ডেস্ক)

২৩ দিনেই প্রবাসীরা পাঠালেন ১৩৯ কোটির বেশি ডলার

বৈশ্বিক মহামারি করোনাভাইরাসে পুরো বিশ্ব কঠিন সময় পার করছে। যার প্রভাব পড়েছে বাংলাদেশেও। এত কিছুর পরেও বাংলাদেশ ব্যাংকের রিজার্ভ একের পর এক নতুন ইতিহাস গড়ে চলেছে। রিজার্ভের ইতিহাসের পেছনে রয়েছে প্রবাসীদের পাঠানো রেমিটেন্সের ঢল।

বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্যানুসারে, চলতি মাসের প্রথম ২৩ দিনে ১৩৯ কোটি ১৭ লাখ মার্কিন ডলারের রেমিট্যান্স পাঠিয়েছেন প্রবাসীরা।

কেন্দ্রীয় ব্যাংকের ধারণা এভাবে রেমিট্যান্স এলে সেপ্টেম্বর মাস শেষে প্রবাসী আয় ১৮০ কোটি ডলার পৌঁছাবে।

তথ্য বলছে, চল‌তি সেপ্টেম্বর মাসের ২৩ তারিখ পর্যন্ত রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন পাঁচ বাণিজ্যিক ব্যাংকের মাধ্যমে রেমিট্যান্স এসেছে ২৮ কোটি ১১ লাখ মার্কিন ডলার। বেসরকারি ব্যাংকের মাধ্যমে রেমিট্যান্স এসেছে ১০৭ কোটি ৪০ লাখ মার্কিন ডলার। বিদেশি ব্যাংকগুলোর মাধ্যমে এসেছে ৬১ লাখ ডলার। দুইটি বিশেষায়িত ব্যাংকের মধ্যে একটিতে এসেছে তিন কোটি মার্কিন ডলার।

চলতি মাসের ২৩ দিনে সবচেয়ে বেশি রেমিট্যান্স এসেছে ইসলামী ব্যাংকের মাধ্যমে। ব্যাংকটির মাধ্যমে ৩৮ কোটি ১১ লাখ ডলার এসেছে। এরপর ডাচ্–বাংলা ব্যাংকে প্রায় ১৬ কোটি ৫৫ লাখ, অগ্রণী ব্যাংকে ১২ কোটি ১৫ লাখ ও সোনালী ব্যাংকে ৭ কোটি ৬৮ লাখ এবং রূপালী ব্যাংকে এসেছে ৪ কোটি ৮৮ লাখ ডলার প্রবাসী আয়।

এ সময়ে সরকারি বিডিবিএল, রাজশাহী কৃষি উন্নয়ন ব্যাংক, কমিউনিটি ব্যাংক, বিদেশি ব্যাংক আল-ফালাহ, হাবিব ব্যাংক ও ন্যাশনাল ব্যাংক অব পাকিস্তানের মাধ্যমে কোনও রেমিট্যান্স পাঠাননি প্রবাসীরা।

কেন্দ্রীয় ব্যাংকের তথ্য অনুযায়ী, সর্বশেষ গেল আগস্ট মাসে দেশে ১৮১ কোটি মা‌র্কিন ডলার রেমিট্যান্স এসেছে। যা আগের মাস জুলাই‌য়ের চেয়ে ৬ কোটি ১৪ লাখ ডলার কম। এছাড়া আগের বছরের একই সময়ের চেয়ে ১৫ কো‌টি ৩৮ লাখ বা প্রায় ৮ শতাংশ কম।

২০১৯ সালের ১ জুলাই থেকে প্রবাসীদের পাঠানো রেমিট্যান্সে ২ শতাংশ হারে প্রণোদনা দিচ্ছে সরকার।

এসএইচ-২১/২৭/২১ (প্রবাস ডেস্ক)

এইচএসসি পরীক্ষার্থীদের মানতে হবে ১১ নির্দেশনা

চলতি বছরের উচ্চ মাধ্যমিক সার্টিফিকেট (এইচএসসি) পরীক্ষা আগামী ২ ডিসেম্বর শুরু হকে। এ পরীক্ষা চলবে ৩০ ডিসেম্বর পর্যন্ত। সোমবার (২৭ সেপ্টেম্বর) সময়সূচি প্রকাশ করেছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়।

এদিকে মহামারি করোনাভাইরাসের (কোভিড-১৯) কারণে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের ১১ নির্দেশনা মানতে হবে সব কেন্দ্রে।

নির্দেশনাগুলো হলো—

১. কোভিড-১৯ মহামারির কারণে যথাযথ স্বাস্থ্যবিধি মেনে পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে।

২. পরীক্ষার ৩০ মিনিট আগে অবশ্যই পরীক্ষার্থীদের পরীক্ষাকক্ষে আসন গ্রহণ করতে হবে।

৩. প্রথমে বহু নির্বাচনী ও পরে সৃজনশীল/রচনামূলক (তত্ত্বীয়) পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে।

৪. পরীক্ষার সময় ১ ঘণ্টা ৩০ মিনিট। এমসিকিউ ও সিকিউ অংশের পরীক্ষার মধ্যে কোনো বিরতি থাকবে না। সকাল ১০টা থেকে অনুষ্ঠেয় পরীক্ষার ক্ষেত্রে সকাল ৯টা ৩০ মিনিটে অলিখিত উত্তরপত্র ও বহুনির্বাচনী ওএমআর শিট বিতরণ, সকাল ১০টায় বহু-নির্বাচনী প্রশ্নপত্র বিতরণ। সকাল ১০টা ১৫ মিনিটে বহুনির্বাচনী উত্তরপত্র (ওএমআর শিট) সংগ্রহ ও সৃজনশীল প্রশ্নপত্র বিতরণ। বেলা ২টা থেকে অনুষ্ঠেয় পরীক্ষার ক্ষেত্রে ১টা ৩০ মিনিটে অলিখিত উত্তরপত্র ও বহুনির্বাচনী ওএমআর শিট বিতরণ। বেলা ২টায় বহুনির্বাচনী প্রশ্নপত্র বিতরণ। আর বেলা ২টা ১৫ মিনিটে বহুনির্বাচনী (ওএমআর শিট) উত্তরপত্র সংগ্রহ ও সৃজনশীল প্রশ্নপত্র বিতরণ।

৫. পরীক্ষার্থীরা নিজ নিজ প্রতিষ্ঠানপ্রধানের কাছ থেকে প্রবেশপত্র সংগ্রহ করবে।

৬. প্রত্যেক পরীক্ষার্থী সরবরাহকৃত উত্তরপত্রে পরীক্ষার রোল নম্বর, রেজিস্ট্রেশন নম্বর, বিষয় কোড ইত্যাদি যথাযথভাবে লিখে বৃত্ত ভরাট করবে। কোনো অবস্থাতেই মার্জিনের মধ্যে লেখা কিংবা অন্য কোনো প্রয়োজনে উত্তরপত্র ভাঁজ করা যাবে না।

৭. ব্যবহারিক বিষয়ে তত্ত্বীয়, বহুনির্বাচনী ও ব্যবহারিক খাতার (নোটবুক) অংশে পৃথকভাবে পাস করতে হবে। প্রতিষ্ঠান নিজ নিজ পরীক্ষার্থীর ব্যবহারিক খাতার নম্বর প্রদান করে নম্বরগুলো ২০২২ সালের ৩ জানুয়ারির মধ্যে সংশ্লিষ্ট কেন্দ্রকে সরবরাহ করবে। সংশ্লিষ্ট কেন্দ্র ব্যবহারিক খাতার নম্বর বোর্ডের ওয়েবসাইটে অনলাইনে প্রেরণ করবে।

৮. প্রত্যেক পরীক্ষার্থী কেবল রেজিস্ট্রেশন কার্ড ও প্রবেশপত্রে উল্লেখ করা বিষয়গুলোর পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করতে পারবে। কোনো অবস্থাতেই অন্য বিষয়ের পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করতে পারবে না।

৯. কোনো পরীক্ষার্থীর পরীক্ষা নিজ কলেজ বা প্রতিষ্ঠানে অনুষ্ঠিত হবে না, পরীক্ষার্থী স্থানান্তরের মাধ্যমে আসন বিন্যাস করতে হবে।

১০. পরীক্ষার্থীদের পরীক্ষায় সাধারণ সায়েন্টিফিক ক্যালকুলেটর ব্যবহার করতে পারবে। প্রোগ্রামিং ক্যালকুলেটর ব্যবহার করা যাবে না।

১১. পরীক্ষাকেন্দ্রের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ফিচার ফোন (স্মার্টফোন ব্যতীত) ব্যবহার করতে পারবেন। এ ছাড়া পরীক্ষার হলে অন্য কেউ ফোন ব্যবহার করতে পারবে না।

এসএইচ-২০/২৭/২১ (শিক্ষা ডেস্ক)

সমকামী বিয়ের পক্ষে সুইজারল্যান্ডের মানুষ

গণভোটে সমকামী বিয়েকে সমর্থন জানালেন সুইজারল্যান্ডের মানুষ। সমকামী যুগল এবার শিশু দত্তকও নিতে পারবে।

দীর্ঘদিনের লড়াই শেষ। সুইজারল্যান্ডে সমকামী বিয়ের পক্ষে রায় দিলেন সাধারণ মানুষ। রোববার গণভোটের আয়োজন হয়েছিল। সেখানে ৬৪ শতাংশ মানুষ সমকামী বিয়ের পক্ষে রায় দিয়েছেন। মাত্র ৩৬ শতাংশ মানুষ বিরুদ্ধে দাঁড়িয়েছেন।

গণভোটের ফল ঘোষণার পরে উচ্ছ্বাস প্রকাশ করেছেন এলজিবিটিকিউ আন্দোলনের কর্মীরা। দ্রুত সমকামী বিয়ের বিলটি এবার আইনে পরিণত হবে বলে মনে করছেন তারা।

বিশ্বে সর্বপ্রথম সমকামী বিয়ে বৈধ হয় এই দেশে। ২০০০ সালে বৈধতা পাওয়ার পর ২০০১ সালে সমকামী বিয়ে অনুষ্ঠিত হয় দেশটিতে।

কিছুদিন আগে সুইজারল্যান্ডের পার্লামেন্টে সমকামী বিয়ের বিলটি পেশ হয়। সেখানে বিলের পক্ষে সংখ্যাগরিষ্ঠতা পেয়েছিল সরকারপক্ষ। কিন্তু বিরোধীরা গণভোটের দাবি তোলে। সুজারল্যান্ডের নিয়ম অনুযায়ী, কোনো বিষয়ে যদি পঞ্চাশ হাজার মানুষের সই সংগ্রহ করা যায়, তাহলে বিল পাস হলেও ওই বিষয়ের ওপর গণভোটের আয়োজন করা যেতে পারে।

এক্ষেত্রে ঠিক সে ঘটনাই ঘটেছিল। দেশের অতি দক্ষিণপন্থি দলের আহ্বানে পঞ্চাশ হাজার মানুষের সই জমা পরে পার্লামেন্টে। তারপরেই রোববার গণভোটের আয়োজন করা হয়। সেখানে সমকামী বিয়ের পক্ষে রায় দেন সাধারণ মানুষ।

দীর্ঘদিন ধরেই সুইজারল্যান্ড সমকামী অধিকারের পক্ষে দাঁড়িয়েছে। ১৯৪২ সালে অ্যালপাইন রাষ্ট্রটিতে সমকামী সম্পর্ককে বৈধতা দেওয়া হয়। অর্থাৎ সমকামী হলে তাকে পুলিশ গ্রেপ্তার করবে না। যদিও বাস্তবে পুলিশ সমকামীদের একটি তালিকা বানিয়ে রাখত।

১৯৯০ সালে সেই তালিকা তৈরি বন্ধ করা হয়। সমকামীদের একসঙ্গে থাকার আইনি সুযোগও দেওয়া হয়। কিন্তু সেই সুযোগ বিয়ের মতো ছিল না। বিয়ে করলে স্বামী-স্ত্রী যে সুযোগ সুবিধা ভোগ করে, সমকামী যুগল এতদিন তা থেকে বঞ্চিত ছিল।

গত ডিসেম্বরে সুইস পার্লামেন্ট যে বিল আনে, তাতে সমকামী যুগলকেও বিয়ের অধিকার দেওয়া হবে বলে ঠিক হয়। কিন্তু বাদ সাধে অতি দক্ষিণপন্থি দল। এবার আর সমকামী যুগলের বিয়ের অধিকার পেতে অসুবিধা থাকল না।

আরো একটি গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত চূড়ান্ত হয়েছে। এবার থেকে সমকামী যুগলও শিশু দত্তক নিতে পারবে। কিছুদিনের মধ্যেই সুইস পার্লামেন্টে বিলটি আইন হিসেবে গ্রহণ করা হবে বলে মনে করছেন এলজিবিটিকিউ কর্মীরা।

এসএইচ-১৯/২৭/২১ (আন্তর্জাতিক ডেস্ক)

হাঁড়িতে ভাসিয়ে শিশুকে পোলিও টিকা খাওয়ানো হলো!

লাগাতার বৃষ্টির কারণে বাড়ির চতুর্দিকেই পানি। কোথাও হাঁটুসমান আবার কোথাও কোমরসমান। তাই বলে তো আর পোলিও টিকাকরণ বাদ দেওয়া যায় না! তাই শিশু সন্তানকে হাঁড়িতে শুইয়ে, সেই হাঁড়ি পানিতে ভাসিয়ে পোলিও টিকা খাওয়াতে নিয়ে এলেন বাবা নিজামুদ্দিন মোল্লা।

ঘটনাটি ভারতের পশ্চিমবঙ্গ রাজ্যের দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলায়। পানির মধ্যে হাঁড়িতে শিশুকে শুইয়ে খাওয়ানো হচ্ছে পোলিও টিকা। এমন কিছু ছবি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভাইরাল হয়েছে।

ভারতীয় সংবাদমাধ্যমের প্রতিবেদনে জানা গেছে, মৌসুমি বায়ু এবং নিম্নচাপের দাপটে গত সপ্তাহেই প্রবল বৃষ্টিতে ভাসে পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য। তার প্রভাব পড়ে দক্ষিণ ২৪ পরগনায়। পানির নিচে চলে যায় গ্রামের পর গ্রাম। বিঘা বিঘা জমির ক্ষেতও প্লাবিত হয়। বৃষ্টি থেমে গেলেও পানি নামেনি। এখনো পানি যন্ত্রণা সহ্য করতে হচ্ছে স্থানীয়দের। দিনযাপনই দুষ্কর হয়ে উঠেছে।

এই পরিস্থিতিতে সন্তানকে পোলিও টিকা খাওয়ানোর কথা তো ভাবাই যায় না। কিন্তু পোলিও টিকা না খাওয়ালে ক্ষতি হতে পারে সন্তানের, সেই আশঙ্কা করেই মা-বাবা শান্ত হতে পারছিলেন না।

সদ্য বাবা হওয়া নিজামুদ্দিন মোল্লা তাই কার্যত ঘরবন্দি। তারই মধ্যে রোববার (২৬ সেপ্টেম্বর) সকালে হাজির হন স্বাস্থ্যকর্মী। চিৎকার করে বলেন, পানির তলায় স্বাস্থ্যকেন্দ্র। বাইরে সন্তানকে নিয়ে এসো পোলিও টিকা খাওয়াব। অসহায় বাবা-মার মুখে হাসি ফোটে।

কোমর সমান পানি বাচ্চাকে ঘর থেকে বের করা দুষ্কর ঠিকই, তবু স্বাস্থ্যকর্মীর ডাক ফেরাতে পারেননি তিনি। উপস্থিত বুদ্ধির জোরে সন্তানকে হাঁড়িতে শুইয়ে পানি ভাসিয়ে স্বাস্থ্যকর্মীর কাছে নিয়ে যান বাবা। হাঁড়ির ভেতরে শুয়ে থাকা শিশুকে পোলিও টিকা খাওয়ান ওই স্বাস্থ্যকর্মী।

রাজ্যের স্বাস্থ্য কর্মকর্তা অজয় চক্রবর্তী সংবাদমাধ্যমকে জানান, সাধারণত মায়েরাই বাচ্চাদের পোলিও খাওয়াতে নিয়ে আসেন। সেখানে একজন বাবা দুর্যোগের মধ্যে এভাবে দায়িত্ব পালন করেছেন, এটা খুবই প্রশংসার।

স্বাস্থ্য কর্মকর্তা একই সঙ্গে বলেন, দুর্যোগ ঠেলে, কোমরসমান পানিতে দাঁড়িয়ে স্বাস্থ্যকর্মীরা যেভাবে পোলিও খাওয়ানোর কাজ করছেন, তাতে কোনো প্রশংসাই যথেষ্ট নয়। এদের জন্য গোটা স্বাস্থ্য অধিদপ্তর গর্বিত।

এসএইচ-১৮/২৭/২১ (অনলাইন ডেস্ক)