ভোর ৪:০৩
মঙ্গলবার
৩০ শে এপ্রিল ২০২৪ ইংরেজি
১৬ ই বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
২১ শে শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী
spot_img

বিএনপি ১০০ আসনে ছাড় দেবে ঐক্যফ্রন্টকে

ফাইল ছবি

আসন্ন একাদশ জাতীয় নির্বাচনে আসন ভাগাভাগি নিয়ে জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট অনড় অবস্থানে নেই বলে জানিয়েছেন গণফোরামের কার্যকরী সভাপতি অ্যাডভোকেট সুব্রত চৌধুরী।

সোমবার বিকেলে বিএনপি চেয়ারপারসনের গুলশান কার্যালয়ে গণফোরামের কার্যকরী সভাপতি সুব্রত চৌধুরী এ কথা বলেন।

এর আগে বিএনপি নেতাদের সঙ্গে অনানুষ্ঠানিক বৈঠক করেন জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের নেতারা।

বৈঠক শেষে অ্যাডভোকেট সুব্রত চৌধুরী বলেন, জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট আসন বণ্টন নিয়ে অনড় অবস্থানে নেই। যোগ্য প্রার্থী পেলে প্রয়োজনে বিএনপি ১০০ আসনে ছাড় দেবে।

মনোনয়নপত্র বাতিল প্রসঙ্গে তিনি বলেন, প্রার্থিতা বাতিলের মধ্য দিয়ে সরকার একতরফা নির্বাচনের নীলনকশার পরিকল্পনা করছে।

একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আসন ভাগাভাগি ও ইশতেহার চূড়ান্ত করতেই মূলত বৈঠক করেন জাতীয় জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট নেতারা। আসন ভাগাভাগির বিষয়টি এখনও চূড়ান্ত করতে পারেননি তারা। এ নিয়ে আরও বৈঠক করবে বিএনপি ও ঐক্যফ্রন্ট। তবে আগামী ৮ ডিসেম্বরের পর ঐক্যফ্রন্টের ইশতেহার ঘোষণা করা হবে বলে বৈঠকে সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়।

এদিকে বিকাল ৩ টায় গণফোরামের সভাপতি ও ঐক্যফ্রন্টের শীর্ষ নেতা ড. কামাল হোসেনের মতিঝিল অফিসে যান কৃষক শ্রমিক জনতা লীগের সভাপতি বঙ্গবীর কাদের সিদ্দিকী। সেখানে তিনি প্রায় ১ ঘণ্টা অবস্থান করেন। তবে তাদের মধ্যে কি বিষয়ে আলোচনা হয়েছে- তা জানা যায়নি।

পরে ‘ছাত্র অধিকার আন্দোলন’ কোটা আন্দোলনের নেতারা ড. কামাল হোসেনের অফিসে যান। সেখানে তারা ড. কামালকে অনুরোধ করেন ঐক্যফ্রন্টের ইশতেহারে তাদের দাবি-দাওয়া সম্পৃক্ত করতে।

জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের বৈঠকে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান, ভাইস চেয়ারম্যান আবদুল আউয়াল মিন্টু, চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা আতাউর রহমান ঢালী, গণফোরামের নির্বাহী সভাপতি সুব্রত চৌধুরী, সাধারণ সম্পাদক মোস্তফা মহসিন মন্টুসহ প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

বিএনপি ছাড়া জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের শরিক দলগুলো ২৪০ আসনে মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছে। এর মধ্যে সর্বাধিক ১০০ আসনে মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছে গণফোরাম। জেএসডি জমা দিয়েছে ৬০ আসনে। নাগরিক ঐক্য ও কৃষক শ্রমিক জনতা লীগ জমা দিয়েছে ৪০টি করে আসনে।

৪০ আসনে মনোনয়নপত্র জমা দিলেও বিএনপির কাছ থেকে সম্মানজনক আসন পেতে দরকষাকষি করছে ঐক্যফ্রন্টের শরিক চার দল। ফ্রন্টের শরিক নাগরিক ঐক্য ৯টি আসনে ধানের শীষ নিয়ে মনোনয়ন জমা দিয়েছে। তবে চূড়ান্তভাবে এ দলটিকে সর্বোচ্চ দুটি আসনে ছাড় দেয়া হতে পারে।

ওই দুটি আসন হচ্ছে-মাহমুদুর রহমান মান্নাকে বগুড়া-২ আসন আর এসএম আকরামকে নারায়ণগঞ্জ-৫ আসনে মনোনয়ন দেয়া হতে পারে। কৃষক শ্রমিক জনতা লীগ সারা দেশে দলীয়ভাবে ৪০ আসনে মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছে। তবে শেষ পর্যন্ত কাদের সিদ্দিকীর দলকে দুটি আসনে ছাড় দেয়া হতে পারে।

কাদের সিদ্দিকীর মনোনয়ন বাতিল হয়েছে। তার মেয়ে কুঁড়ি সিদ্দিকীকে টাঙ্গাইল-৪ কিংবা টাঙ্গাইল-৮ আসনে মনোনয়ন দেয়া হতে পারে। তার দলের যুগ্ম সম্পাদক ইকবাল সিদ্দিকীকে গাজীপুর-৩ আসনটি দেয়া হতে পারে।

কৃষক শ্রমিক জনতা লীগের যুগ্ম সম্পাদক ইকবাল সিদ্দিকী বলেন, দলীয়ভাবে আমরা ৪০ আসনে মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছি। তবে ঐক্যফ্রন্টের প্রধান শরিক বিএনপির সঙ্গে যেসব আসনে সমঝোতা হবে, সেগুলো রেখে বাকি প্রত্যাহার করা হবে। ফ্রন্টের আরেক শরিক জেএসডি দলীয়ভাবে ৬০টি মনোনয়পত্র জমা দিয়েছে। তবে তাদের সর্বোচ্চ দুটি বা তিনটি আসনে ধানের শীষ দেয়া হতে পারে।

জেএসডির সভাপতি আ স ম আবদুর রবকে লক্ষীপুর-৪ আসনে আর তানিয়া রবকে ঢাকার একটি আসন দেয়া হতে পারে। দলের সাধারণ সম্পাদক আবদুল মালেক রতনকে কুমিল্লা-৪ আসনে ছাড় দিতে পারে বিএনপি।

এ প্রসঙ্গে দলটির সাধারণ সম্পাদক আবদুল মালেক রতন বলেন, ফ্রন্টের সঙ্গে সমঝোতার ভিত্তিতে বাকি আসনের মনোনয়ন প্রত্যাহার করা হবে।

গণফোরামের পক্ষ থেকে সারা দেশে শতাধিক আসনে মনোনয়নপত্র জমা দেয়া হয়েছে। কিন্তু বিএনপির পক্ষ থেকে গণফোরাম ও জাতীয় ঐক্য প্রক্রিয়ার প্রার্থীদের সর্বোচ্চ ২০ আসনে ছাড় দেয়ার চিন্তাভাবনা রয়েছে।

আসন বণ্টন নিয়ে জানতে চাইলে বিএনপির মহাসচিব ও জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের মুখপাত্র মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বৈঠক শেষে গণমাধ্যম কর্মীদের বলেন, ২০-দলীয় জোটের শরিক ও ঐক্যফ্রন্টের সঙ্গে আসন নিয়ে আলোচনা অব্যাহত আছে।

তিনি বলেন, ঐকমত্যের ভিত্তিতে প্রার্থী চূড়ান্ত করা হবে। এ নিয়ে কোনো সংকট হবে না।

তিনি আরও বলেন, সময় স্বল্পতার কারণে মনোনয়নপত্র জমা দেয়ার আগে আসন ভাগাভাগি চূড়ান্ত করা হয়নি। আশা করি প্রত্যাহারের আগে এ ব্যাপারে আমরা একটা সমঝোতায় আসতে পারব।

বিএ-১৬/০৩-১২ (ন্যাশনাল ডেস্ক, তথ্যসূত্র: যুগান্তর)

মনোনয়ন বাতিল হওয়া ৮২ প্রার্থী ইসিতে

জাতীয় সংসদ নির্বাচনে মনোনয়নপত্র বাতিল হওয়া প্রার্থীদের ৮২ জন নির্বাচন কমিশনে (ইসি) আপিল করেছেন। সোমবার সকাল ১০টা থেকে সন্ধ্যা সাড়ে ৬টা পর্যন্ত সংক্ষুব্ধদের আপিল গ্রহণ করে কমিশন।

তবে বিএনপির চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার পক্ষে কেউ আপিল করেননি। দণ্ডপ্রাপ্ত আসামি হিসেবে তার তিনটি আসনের মনোনয়নই বাতিল করা হয়। ইমরান এইচ সরকার কমিশনে আসলেও আপিল আর করেনি।

ঢাকার আগারগাঁও নির্বাচন ভবনে এসব আপিল গ্রহণ করা হয়। সেসব প্রার্থীরা তাদের প্রার্থিতা ফিরে পেতে ৫ ডিসেম্বর পর্যন্ত কমিশনে আপিলের সুযোগ পাবেন। ৬, ৭, ৮ ডিসেম্বর আপিল শুনানি করে নিষ্পত্তি করবে নির্বাচন কমিশন।

এক শতাংশ ভোটার না থাকায়, ত্রুটিপূর্ণ মনোনয়ন, লাভজনক পদে থাকার জন্য, হলফনামায় স্বাক্ষর না থাকায়, আয়কর রিটার্ন দাখিল না করায়, ঋণ খেলাপির অভিযোগ, দণ্ডপ্রাপ্ত এবং অন্যান্য কারণেও এদের মনোনয়নয়ন বাতিল করা হয়েছিল।

খালেদা জিয়ার আপিল সম্পর্কে বিএনপি চেয়ারপারসনের মিডিয়া উইং কর্মকর্তা শায়রুল কবির জাগো নিউজকে বলেন, খালেদা জিয়ার মনোনয়নপত্র বাতিলের ব্যাপারে সোমবার কোনো আপিল করা হয়নি। আগামীকাল মঙ্গলবার এ বিষয়ে আপিল করা হতে পারে।

সাবেক অর্থমন্ত্রী শাহ এএসএম কিবরিয়া ছেলে রেজা কিবরিয়া, গোলাম মাওলা রনি (পটুয়াখালী-৩), মো. মেজর (অব.) আখতারুজ্জামান (কিশোরগঞ্জ-২), আশরাফুল ইসলাম আলম ওরফে হিরো আলম (বগুড়া-৪), ঢাকা-১ আসনের খন্দকার আবু আশফাক, চাপাইনবাবগঞ্জ-১ থেকে নবাব মোহাম্মদ শামছুল হুদা, বগুড়া-৭ থেকে খোরশেদ মিলটন, খাগড়াছড়ি থেকে আব্দুল ওয়াদুদ ভূঁইয়া, ঝিনাইদাহ-১ থেকে আব্দুল ওয়াহাব, ঢাকা-২০ থেকে তমিজউদ্দিন, সাতক্ষীরা-২ থেকে মোহাম্মদ আফসার আলী, চাঁপাইনবাবগঞ্জ-২ মো. তৈয়ব আলী, মাদারীপুর-৩ থেকে মো. আব্দুল খালেক, দিনাজপুর-২ থেকে মোকারম হোসেন, ঝিনাইদাহ-২ লেফটেন্যান্ট (অব.) আব্দুল মজিদ, ঢাকা-১ খন্দকার আবু আশফাক, দিনাজপুর-৩ থেকে সৈয়দ জাহাঙ্গীর আলম, জামালপুর-৪ থেকে ফরিদুল কবির তালুকদার,পটুয়াখালী-৩ থেকে মো. শাহাজাহান, পটুয়াখালী-১ থেকে মো. সুমন সন্যামাত, দিনাজপুর-১ থেকে পারভেজ হোসেন, মাদারীপুর-১ থেকে জহিরুল ইসলাম মিন্ট, সিলেট-৩ থেকে কাইয়ুম চৌধুরী, ঠাকুরগাঁও-৩ থেকে এসএম খলিলুর রহমান ও জয়পুরট-১ থেকে মো. ফজলুর রহমান প্রমুখ আপিল করেন।

আপিলকারী মীর নাছির উদ্দীন আহমদ সাংবাদিকদের বলেন, সম্পূর্ণ উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে আমার মনোনয়নপত্র বাতিল করা হয়েছে। সরকারের চাপে রিটার্নিং কর্মকর্তা বাতিল করতে বাধ্য হয়েছেন। আপিলে প্রার্থীতা দেবে আশা করি।

গোলাম মওলা রনি বলেন, সামান্য ভুলের কারণে বাতিল হয়েছে। এটা বাতিলের মতো ভুল ছিল না, যেখানে ইসি থেকে ছোট ভুলে জন্য বাতিল না নির্দেশনা দিয়েছে। ফলে আশবাদী। কমিশনের প্রতি আস্থা আছে। আশা করি, আমি নির্বাচন করার সুযোগ পাবো।

হিরো আলম বলেন, আশা করি নির্বাচন কমিশেনে ন্যায় বিচার পাবো। অন্যথায় আমি আদালতে যাবো। মন্ত্রী-এমপিরা চায় না। রাজারা চায় না প্রজারা রাজা হোক। জিরো থেকে হিরো হয়েছি। ষড়যন্ত্র করে আমার মনোনয়নপত্র বাতিল করা হয়েছে। শেষ পর্যন্ত লড়াই করে যাবো।

ইসির আইন শাখার কর্মকর্তারা জানান, বিকেলে আপিলকারীদের মধ্যে একজন রয়েছেন যিনি অন্যের মনোনয়নপত্র বাতিল করার জন্য স্মারকলিপি জমা দিয়েছেন।

প্রসঙ্গত, ২ ডিসেম্বর ছিল মনোনয়নপত্র বাছাইয়ের দিন। সারাদেশে দাখিল করা ৩ হাজার ৬৫টি মনোনয়নপত্র বাছাইয়ের পর ২ হাজার ২৭৯টি মনোনয়নপত্র বৈধ এবং ৭৮৬টি মনোনয়নপত্র বাতিল ঘোষণা করেন রিটার্নিং কর্মকর্তারা। আগামী ৯ ডিসেম্বর প্রার্থিতা প্রত্যাহারের শেষ দিন। ১০ ডিসেম্বর প্রতীক বরাদ্দ এবং ৩০ ডিসেম্বর ভোট হবে।

বিএ-১৫/০৩-১২ (ন্যাশনাল ডেস্ক, তথ্যসূত্র: জাগো নিউজ)

চ্যাপেল ভারতীয় দলকে ধ্বংস করে দিয়েছিলেন!

অস্ট্রেলিয়ার সাবেক অধিনায়ক গ্রেগ চ্যাপেলের কথা উঠলেই অবধারিতভাবে চলে আসে সৌরভ গাঙ্গুলির নাম। ভারতে অন্যতম সেরা এই অধিনায়কের ক্রিকেট ক্যারিয়ারটাই শেষ হয়ে গিয়েছিল চ্যাপেলের কারণে। একথা বহুবার বহুভাবে বলেছেন ‘দাদা’ সৌরভ।

এবার অস্ট্রেলিয়ার কিংবদন্তি এই ক্রিকেটারের বিরুদ্ধে মুখ খুলেছেন সৌরভের সতীর্থ ভিভিএস লক্ষ্মণ। সম্প্রতি প্রকাশিত নিজের আত্মজীবনীতে লক্ষ্মণ লিখেছেন, কোচ থাকাকালীন ভারতীয় দলকে প্রায় ধ্বংস করে ফেলেছিলেন চ্যাপেল।

শচীন, সৌরভ, দ্রাবিড়দের সাথে একসময় ভারতীয় দলের ব্যাটিং স্তম্ভ ছিলেন লক্ষ্মণ। আন্তর্জাতিক ক্রিকেট থেকে অবসরে গেছেন ২০১২ সালে। সম্প্রতি লিখেছেন আত্মজীবনী। নাম—‘২৮১ ও তার পর’। এই আত্মজীবনীতেই লক্ষ্মণ দাবী করেছেন, ‘অনমনীয়’ ‘একগুঁয়ে’ চ্যাপেল ভারতীয় দলকে ধ্বংসের কাছাকাছি নিয়ে গিয়েছিলেন।

২০০৫ সালের মে থেকে ২০০৭ সালের এপ্রিল পর্যন্ত ভারতীয় দলের কোচ ছিলেন চ্যাপেল। নিয়োগের পর থেকেই অধিনায়ক সৌরভের সাথে তার তিক্ততা বাড়তে থাকে। ভারতের এই দাপুটে অধিনায়ককে ধীরে ধীরে দলে কোণঠাসা করে ফেলেন চ্যাপেল। অথচ চ্যাপেলকে কোচ করার জন্য সৌরভেরই আগ্রহ বেশি ছিল।

এবার লক্ষ্মণের দাবী তার ক্যারিয়ারেও পড়েছিল চ্যাপেলের কালো ছায়া। কোচ হিসেবে চ্যাপেলের ভূমিকা নিয়ে তিনি লিখেছেন, ‘কোচ দলের মধ্যে কয়েক জনকে পছন্দ করতেন। তাঁদেরই তিনি দেখতেন। বাকিদের সব কিছুই নিজেদের করতে হত। আমাদের চোখের সামনে দলটা ভেঙে গিয়েছিল।’

ভারতের হয়ে ১৭ টেস্ট সেঞ্চুরির করা এই ব্যাটসম্যান আরো লিখেছেন, ‘গ্রেগের পুরো মেয়াদটাই তিক্ততায় ভরা। উনি অনমনীয় ও একগুঁয়ে মানসিকতা নিয়ে কাজ করতেন। একটা আন্তর্জাতিক দল কী ভাবে চালাতে হয়, জানতেন না।’

আত্মজীবনীতে লক্ষ্মণ লিখেছেন, অনেক শুভেচ্ছা ও সমর্থন নিয়ে কাজ শুরু করেছিলেন চ্যাপেল। কিন্তু তিনি দলের দায়িত্ব নিয়েই দলের মধ্যে বিভাজনের বীজ বুনতে শুরু করেন, ‘অনেক শুভেচ্ছা আর সমর্থন নিয়ে কাজ শুরু করেছিলেন গ্রেগ। কিন্তু উনি এসে দলটাকে ধ্বংস করে দেন। আমার ক্রিকেট জীবনের সবচেয়ে খারাপ সময়ের জন্য ওরও অবদান ছিল।’

এসএইচ-২২/০৩/১২ (স্পোর্টস ডেস্ক)

দল ও জোটের প্রার্থী চুড়ান্ত করতে নির্দেশ ইসির

দল ও জোটের একাধিক প্রার্থীর ক্ষেত্রে একজনকে চূড়ান্ত মনোনয়নের তথ্য ৯ ডিসেম্বরের মধ্যে জানাতে বলেছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)।

নির্বাচন কমিশন (ইসি) ৩৯টি নিবন্ধিত রাজনৈতিক দলকে এ সংক্রান্ত চিঠি দিয়ে দল ও জোটের একাধিক প্রার্থীর ক্ষেত্রে একজনকে চূড়ান্ত মনোনয়ন দিতে বলেছে। অন্যথায় কোনো এক দল অন্য দলের প্রতীক নিয়ে নির্বাচন করতে পারবে না।

ইসি সচিবালয়ের উপ-সচিব আব্দুল হালিম খান স্বাক্ষরিত চিঠিতে বলা হয়েছে, ‘গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশের সংশ্লিষ্ট অনুচ্ছেদ ও ধারা অনুযায়ী, জোটের প্রার্থী বা দলের একাধিক প্রার্থী হলে তা একক করে ৯ ডিসেম্বর রিটার্নিং কর্মকর্তাকে চিঠি দিয়ে জানাতে হবে।’

নির্বাচন পরিচালনা শাখার যুগ্ম সচিব ফরহাদ আহাম্মদ খান বাসসকে বলেন, যাদের দল ইসিতে নিবন্ধিত নয়, কিন্তু অন্য দলের প্রতীকে নির্বাচন করতে চান, তাদের সংশ্লিষ্ট নিবন্ধিত দলের প্রার্থী হিসেবে মনোনয়নপত্র দাখিল করতে হবে।

ইতোমধ্যে ৩৯টি দল ও স্বতন্ত্র প্রার্থী মিলে তিন হাজার ৬৫ জন মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন। রোববার বাছাই করে ৭৮৬টি মনোনয়নপত্র বাতিল ঘোষণা করেছে রিটার্নিং কর্মকর্তা।

তিনি বলেন, ৯ ডিসেম্বর প্রত্যাহারের শেষ সময় রয়েছে। ওইদিন যেসব দল বা জোট একাধিক প্রার্থী দিয়েছে, তাদের একজন প্রার্থীর নাম জানাতে হবে। অন্যগুলো বাতিল হয়ে যাবে।

আর কোন প্রার্থীর নাম না জানালে জোটের বৈধ প্রার্থীরা সকলেই যার যার প্রতীকে ভোট করবেন। এক্ষেত্রে কোন দলের একাধিক প্রার্থী থেকে গেলে সংশ্লিষ্ট আসনে ওই দলে সবার মনোনয়নপত্র বাতিল বলে গণ্য হবে।

বিএ-১৩/০৩-১২ (ন্যাশনাল ডেস্ক, তথ্যসূত্র: বাসস)

সুস্মিতা এ কোন ভিডিও প্রকাশ করলেন?

একজন ৪২। অন্যজন ২৭। ২৭ রয়েছেন নীচে। পা দুটো ওপরে তোলা। সেই পায়ের ওপর রয়েছে ৪২-এর শরীর। হাতে হাত। কয়েক মুহূর্ত পর হাত ছেড়ে কাঁধের দু’পাশে ছড়িয়ে দিলেন ৪২। ফ্রেমবন্দি হল মুহূর্ত। ৪২ অর্থাৎ সুস্মিতা সেন। আর ২৭, তার প্রেমিক রোমান শল।

মডেল রোমান শলের সঙ্গে প্রেমের সম্পর্কের কথা প্রকাশ্যে স্বীকার করেছেন সুস্মিতা। সদ্য রোমানের সঙ্গে জন্মদিন সেলিব্রেট করেছেন। দু’জনের একান্ত মুহূর্তের ছবি একাধিকবার শেয়ার করেছেন সোশ্যাল মিডিয়ায়।

এবার সুস্মিতা একটি ভিডিও শেয়ার করেছেন ওয়েব মিডিয়ায়। যেখানে রোমানের সঙ্গে তিনি যেভাবে শুট করেছেন, তাতে নায়িকার ফিটনেসের বাহবা দিচ্ছেন বলিউড ইন্ডাস্ট্রির একটা বড় অংশ।

সুস্মিতা লিখেছেন, ‘শুধুমাত্র সঙ্গ দেওয়া ভালবাসার পূর্ব শর্ত হতে পারে না। ভালবাসা একটা শিখরে পৌঁছনোর মতো, কোনও লক্ষ্যপূরণের মতো। ভালবাসা একসঙ্গে থাকার একটা আধ্যাত্মিক স্তর।’

এর আগেও সুস্মিতা সেনের সঙ্গে রণদীপ হুদা, বিক্রম ভাটের সম্পর্ক নিয়ে গুজব রটেছিল। কিন্তু ব্যক্তিগত জীবন নিয়ে সুস্মিতা খুব একটা মুখ খোলেন না। অথচ রোমানের সঙ্গে নিজের সম্পর্কের কথা প্রকাশ্যেই জানিয়েছেন। আবার এখনই যে বিয়ে নয়, সে ইঙ্গিতও দিয়েছেন প্রকাশ্যেই।

এসএইচ-২১/০৩/১২ (বিনোদন ডেস্ক, তথ্য সূত্র : আনন্দবাজার পত্রিকা)

ফিরলেন সোনালি বেন্দ্রে

কঠিন অসুখের সঙ্গে আপসহীন লড়াই। অবশেষে মুম্বাইতে ফিরলেন সোনালি বেন্দ্রে। স্বামী গোল্ডি বেহলের হাত ধরেই অবশেষে দেশে ফিরলেন বলিউডের এই অভিনেত্রী।

জিনিউজ পত্রিকার খবরে বলা হয়, চেহারায় পরিবর্তন হলেও, মুম্বাইতে নামার পর সোনালির মুখে ছিল সেই চিরপরিচিত হাসির ছবি। সেই সঙ্গে ছিল তৃপ্তির ছাপ। নিজের ইনস্টাগ্রাম হ্যান্ডেলে মুম্বাইতে ফেরার কথাও জানিয়েছেন সোনালি।

সেখানে তিনি বলেন, ক্যানসারের সঙ্গে লড়াই তার এখনও পর্যন্ত পুরোপুরি শেষ হয়ে যায়নি। তবে ক্রমশ তিনি সাধারণ জীবনে ফিরে আসতে চাইছেন।

সম্প্রতি নিউ ইয়র্কে গিয়ে সোনালির শরীরের খোঁজ খবর নেন প্রিয়াঙ্কা চোপড়া। এরপর ঋষি কাপুরের অসুস্থতার খবর শুনে, তাকে দেখতে রণবীর কাপুরদের নিউ ইয়র্কের ফ্ল্যাটে ছুটে যান সোনালি। নিউ ইয়র্কে প্রিয়াঙ্কা চোপড়ার ব্যাচেলরেট পার্টিতেও দেখা যায় সোনালি বেন্দ্রেকে।

সেখানে ঋষি কাপুরের স্ত্রী নিতু কাপুরের সঙ্গে দেখা যায় তাকে। যা দেখে খুশি হন সোনালির ভক্তরা। ওই সময়ই তিনি জানান, খুব তাড়াতাড়িই দেশে ফিরে সাধারণ জীবন শুরু করবেন তিনি।

এসএইচ-২০/০৩/১২ (বিনোদন ডেস্ক)

নেইমার ফের ইনজুরিতে

আবার ইনজুরিতে পড়েছেন নেইমার। রোববার লিগ ওয়ানের ম্যাচে বোর্দোর বিপক্ষে চোট নিয়ে মাঠ ছাড়েন বিশ্বের সবচেয়ে দামী এই ফুটবলার। তবে এই চোট কতটা গুরুতর তা এখনই নিশ্চিত করে বলতে পারছেন না পিএসজি’র কোচ কিংবা অধিনায়ক কেউই।

ব্রাজিলিয়ান সেনসেশন নেইমার ক্যারিয়ার জুড়ে বহুবারই পড়েছেন ইনজুরির থাবায়। ২০১৪ সালের ঘরের মাঠে কলম্বিয়ার বিপক্ষে চোটে পড়েছিলেন তিনি। রাশিয়ার বিশ্বকাপেও খেলেতে গিয়েছেন চোট থেকে ফিরে। মার্চে লিগ ওয়ানের ম্যাচেই ইনজুরিতে পড়েছিলেন নেইমার। চলতি মৌসুমের শুরুতে ক্যামেরুনের বিপক্ষে খেলতে নেমে চোট পান।

সেই চোট পুরোপুরি সেরে না উঠতেই পিএসজি’র জার্সি গায়ে মাঠে নেমে পড়েন তিনি। চ্যাম্পিয়ন্স লিগের গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচে লিভারপুলের বিপক্ষে এনে দেন জয়। সামনেই রেড স্টার বেলগ্রেডের বিপক্ষে চ্যাম্পিয়ন্স লিগের আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচ। তার আগে নেইমারের চোটে কপালে ভাঁজ পড়েছে টমাস টুখেলের।

তবে পিএসজি কোচ আশা করছেন চোটটা গুরুতর নয়, ‘কিছুদিন আগে ক্যামেরুনের বিপক্ষে খেলতে গিয়ে নেইমার যে চোটে পড়েছিল, এই চোটটাকেও তেমনই মনে হচ্ছে। আশা করছি স্ট্রাসবর্গের বিপক্ষে ম্যাচেই নেইমারকে ফিরে পাব আমরা।’

এদিকে নেইমারের ব্রাজিলিয়ান সতীর্থ ও পিএসজি’র অধিনায়ক থিয়াগো সিলভা বলেছেন, ‘আমরা জানি না নেইমারের চোট কতটা গুরুতর। তবে আপনারা জানেন, সে কোন ম্যাচ থেকে উঠে যেতে পছন্দ করে না।

তাই সে যদি কোনো ম্যাচ কোনো কারণে না খেলে, তাহলে অবশ্যই ধরে নিতে হবে নিশ্চয়ই কোনো ব্যাপার আছে। এখনো পর্যন্ত মেডিকেল পরীক্ষার ফল আমাদের হাতে আসেনি, আসলে আমরা বুঝব তাঁর অবস্থা কিরকম।’

এসএইচ-১৯/০৩/১২ (স্পোর্টস ডেস্ক)

সংসদ নির্বাচন নিয়ে বাংলাদেশী প্রবাসীরা যা ভাবছেন

বাংলাদেশে জাতীয় সংসদ নির্বাচন ঘিরে দেশে বিদেশে মানুষের মধ্যে ব্যাপক আগ্রহ ও যেমন উত্তেজনা বিরাজ করছে। বিশ্বের বিভিন্ন দেশের প্রবাসী বাংলাদেশিদের মাঝে বিরাজ করছে কৌতূহল এবং উদ্দীপনা। দলীয়ভাবে কট্টর সমর্থক, কর্মী ছাড়াও সাধারণ প্রবাসীদের মধ্যেও নির্বাচনকে ঘিরে কম কৌতূহল নেই।

বাংলাদেশ সরকারের প্রবাসী কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের হিসাব মতে এই মুহূর্তে এক কোটিরও বেশি ভোটার দেশের বাইরে অবস্থান করছেন। উন্নত জীবন, ভালো কর্মসংস্থানের জন্য বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তে পাড়ি জমিয়েছেন এইসব মানুষ।

দেশ যখন সামনের দিকে এগিয়ে যাচ্ছে, সকল পঙ্কিলতাকে পাশে রেখে সব রাজনৈতিক দল যখন আগামী নির্বাচনে অংশ নিতে প্রস্তুতি নিচ্ছে, সবখানে যখন একটা উৎসবমুখর পরিবেশ তখন প্রবাসীদের মনে খানিকটা কষ্ট। বিদেশ থেকে তারা ভোটাধিকার প্রয়োগ করতে পারবেন না, এই কষ্ট।

তবুও বাংলাদেশে একটি অবাধ, অংশগ্রহনমূলক, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন হবে বলে মনে করছেন প্রবাসীরা। এবার প্রবাস থেকে বিপুল সংখ্যক মানুষ নির্বাচনে অংশ নেয়ার জন্য বিভিন্ন দলের নোমিনেশন ফর্ম নিয়েছেন। যুক্তরাষ্ট্র থেকেই ২৮ জন। এছাড়া যুক্তরাজ্য ও অন্যাণ্য দেশ থেকেও আছেন অনেকেই।

এসব নিয়ে আজকের আলোচনায় অংশ নিচ্ছেন এবারের নির্বাচনে প্রবাস থেকে যাওয়া দুই প্রার্থী সাবেক রাষ্ট্রদূত ড. একে আব্দুল মোমেন, এমএম শাহীন, এবং নিউইয়র্ক থেকে সাপ্তাহিক ঠিকানার সিনিয়র সাংবাদিক মিজানুর রহমান ও লন্ডন প্রবাসী চ্যানেল এস এর বার্তা প্রধান সালেহ শিবলী।

এসএইচ-১৮/০৩/১২ (প্রবাস ডেস্ক, তথ্য সূত্র : ভয়েচ অফ বাংলা)

স্বামীর চাইতে সম্পদে এগিয়ে শিরীন শারমিন চৌধুরী

জাতীয় সংসদের স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী তার স্বামী সৈয়দ ইশতিয়াক হোসেনের চেয়ে বাড়ি, গাড়ি, টাকা-পয়সা ও ডলারে অনেক বেশি সম্পদশালী। স্পিকারের দুটি গাড়ি থাকলেও স্বামীর একটিও নেই। প্রায় সব দলের অধিকাংশ প্রার্থীর বিরুদ্ধে মামলা থাকলেও তাদের দুজনের কারো বিরুদ্ধে কোনো মামলা হয়নি। তার স্বামী একজন ফার্মাসিউটিক্যাল কনসালটেন্ট। কাজ করছেন বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে।

অপরদিকে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয়ের গুরুত্বপূর্ন মন্ত্রী ওবায়দুল কাদের জানিয়েছেন তিনি স্ত্রীর ফ্ল্যাটে থাকেন। অন্য দিকে বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল আলমগীরের কোনো গাড়ি নেই। স্ত্রীর গাড়ি ব্যবহার করেন তিনি।

একাদশ সংসদ নির্বাচনে প্রার্থী হিসেব জমা দেয়া নিজ নিজ হলফনামা পর্যালোচনা করে এসব তথ্য পাওয়া গেছে। রংপুর -৬ (পীরগঞ্জ) আসন থেকে নির্বাচন করছেন স্পিকার। নির্বাচন কমিশনে জমা দেয়া হলফনামায় শিরীন শারমিন নিজেকে পিএইচডি (আইন) বলে উল্লেখ করেন। এ আসনে নির্বাচনের জন্য আওয়ামী লীগের সভানেত্রী ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাও মনোনয়ন তুলেছিলেন।

সংসদে জমা দেয়া স্পিকারের জীবনবৃত্তান্ত থেকে জানা যায়, তিনি নবম জাতীয় সংসদের স্পিকারসহ বাংলাদেশের ইতিহাসে প্রথম নারী স্পিকার হিসেবে ২০১৩ সালের ৩০ এপ্রিল নির্বাচিত হন। ৪৬ বছর বয়সে তিনি সর্বকনিষ্ঠ স্পিকাররূপে সাবেক স্পিকার ও বর্তমান রাষ্ট্রপতি আব্দুল হামিদের স্থলাভিষিক্ত হন। এর আগে তিনি মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করেন। ড. শিরীন ২০১৪ সালের ৯ সেপ্টেম্বর কমনওয়েলথ পার্লামেন্টারি এসোসিয়েশনের চেয়ারপার্সন নির্বাচিত হন।

হলফনামার তথ্য অনুযায়ী, স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীর নগদ ২৭ লাখ ৭২ হাজার ১৫৮ টাকা আর ৬ লাখ ৩০ হাজার টাকার (৭৭৮৪ ইউএস ডলার) সমপরিমাণ বৈদেশিক মুদ্রা রয়েছে। তার স্বামী ইশতিয়াকের কাছে কোনো বৈদেশিক মুদ্রা নেই। আর তার কাছে নগদ টাকা আছে ১০ লাখ ৮৯ হাজার ১৫৯ টাকা।

ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানে জমা রয়েছে ৭৭ লাখ ৯৩ হাজার ৭১১ টাকা। আর স্বামীর আছে মাত্র ৭ লাখ ১৩ হাজার ১৩৪ টাকা। তবে দুজনের একজনেরই কোনো ঋণ নেই। শিরীন শারমিন দুটি গাড়ির মালিক। যার মুল্য ৫৩ লাখ ৫০ হাজার টাকা। ইশতিয়াকের কোনো গাড়ি নেই।

পোস্টাল, সেভিংস সার্টিফিকেট বিভিন্ন সঞ্চয়পত্রসহ স্থায়ী আমানতে স্পিকারের বিনিয়োগ রয়েছে এক কোটি ১০ লাখ ২১ হাজার ৯৩৬ টাকা। আর স্বামীর রয়েছে ২১ লাখ ৭৫ হাজার।
আর ৩ লাখ ৪০ হাজার টাকার স্বর্ণালঙ্কার রয়েছে। স্বামীর ৩০ তোলা সোনা থাকলেও দাম জানা নেই বলে হলফনামায় উল্লেখ করা হয়েছে। এছাড়া স্পিকারের ইলেক্ট্রকিস সামগ্রীসহ আসবাবপত্র রয়েছে ১ লাখ টাকার। আর স্বামীর ৫০ হাজার টাকার।

স্পিকারের পাঁচটি বাড়ি/ফ্ল্যাট/এ্যাপার্টমেন্ট থাকলেও স্বামীর একটিও নেই। এছাড়া ওয়ারিশ সুত্র একটি বাড়ি ৫০ শতাংশের মালিক তিনি।

বছরে মোট ৭৩ লাখ ২১ হাজার ৭১০ টাকা আয় করেন। এর মধ্যে বাড়ি/এপার্টমেন্ট ভাড়া বাবদ আয় ৪৪ লাখ ২৫ হাজার টাকা, শেয়ার, সঞ্চয়পত্র ও ব্যাংক আমানতের সুদ বাবদ আয় ৩ লাখ ২০ হাজার ৮২৫ টাকা, পেশা (চারটি আয়ের খাত শিক্ষকতা, চিকিৎসা, আইন ও পরামর্শক) থেকে আয় ২৪ লাখ ৮৪ হাজার ২০ টাকা এবং অন্যান্য সুদ বাবদ খাতে আয় করেন ৯১ হাজার ৮৬৫ টাকা। হলফ নামায় স্বামীর এসব আয়ের ঘরে ‘নাই’ লেখা।

আগামী ৩০ ডিসেম্বর একাদশ সংসদ নির্বাচনের ভোট। এ নির্বাচনে মনোনয়নপত্র দাখিলের শেষ দিন ছিল ২৮ নভেম্বর। মনোনয়নপত্র বাছাই হচ্ছে আজ ৩ ডিসেম্বর। প্রার্থিতা প্রত্যাহার ৯ ডিসেম্বর আর প্রতীক বরাদ্দ ১০ ডিসেম্বর।

এসএইচ-১৭/০৩/১২ (অনলাইন ডেস্ক, তথ্য সূত্র : বিডি২৪লাইভ)

কোটা আন্দোলনকারীদের ‘তারুণ্যের ইশতেহার’

আসন্ন একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন উপলক্ষে সব রাজনৈতিক দলগুলোর উদ্দেশ্যে একটি ইশতেহার তৈরি করেছে কোটা আন্দোলনকানীদের সংসগঠন বাংলাদেশ সাধারণ ছাত্র অধিকার সংরক্ষণ পরিষদ।

সোমবার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদ ভবনের মুজাফফর আহমেদ চৌধুরী মিলনায়তনের সামনে ‘তারুণ্যের ইশতেহার ভাবনা-২০১৮’ প্রকাশনা অনুষ্ঠানে এ ইশতেহার ঘোষণা করা হয়।

ইশতেহারে প্রায় ৪৫টি দাবি রয়েছে। এরমধ্যে উল্লেখযোগ্য দাবিগুলো হচ্ছে-

তৃতীয় ও চতুর্থ শ্রেণির চাকরিতে কোটার যৌক্তিক সংস্কার আনতে হবে।

চাকরিতে আবেদনের বয়সসীমা ৩৫ করতে হবে। সবার জন্য অভিন্ন বয়সসীমা করতে হবে।

চাকরির আবেদনের ফি সম্পূর্ণ ফ্রি করতে হবে।

শিক্ষায় জিডিপির ৫ শতাংশ বা জাতীয় বার্ষিক বাজেটের ২০ শতাংশ বরাদ্দ দিতে হবে।

বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে সমন্বিত ভর্তি পরীক্ষা নিতে হবে। এছাড়া প্রশ্নফাঁসবিরোধী সেল গঠন করতে হবে।

বিশ্ববিদ্যালয়ে সান্ধ্যকালীন কোর্স বন্ধ করতে হবে। বিশ্ববিদ্যালয়ের বাজেটের ১০ শতাংশ গবেষণায় দিতে হবে, যার ৬ শতাংশ শিক্ষকদের জন্য এবং ৪ শতাংশ হবে ছাত্রদের জন্য।

উল্লেখ্য, সোমবার দুপুরেই বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে প্রস্তাবিত ইশতেহারটি হস্তান্তর করা হয়েছে। ক্ষমতাসীন দল আওয়ামী লীগ ও বিরোধী জোট জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের কাছেও শিগগিরই সেটি তুলে দেওয়া হবে বলে জানা গেছে।

বিএ-১২/০৩-১২ (ন্যাশনাল ডেস্ক)