রাত ১:৫১
সোমবার
১৮ ই আগস্ট ২০২৫ ইংরেজি
২ রা ভাদ্র ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
২৩ শে সফর ১৪৪৭ হিজরী
spot_img

ইসিতে ২৩৪ মনোনয়নপ্রার্থীর আপিল

আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনে মনোনয়নপত্র বাতিল হওয়া ২৩৪ মনোনয়নপ্রার্থীর আপিল নির্বাচন কমিশনে জমা পড়েছে। মঙ্গলবার সন্ধ্যায় নির্বাচন কমিশন সূত্র এ তথ্য নিশ্চিত করেছে।

মঙ্গলবার বিএনপির মনোনয়নপ্রার্থী রুহুল কুদ্দুস তালুকদার দুলু, গণফোরামের রেজা কিবরিয়া, জাতীয় পার্টির রুহুল আমিন হাওলাদার ও মাসুদ পারভেজ ছিলেন আপিলকারীদের মধ্যে উল্লেখযোগ্য। এর আগে গতকাল সোমবার ৮৪টি আপিল জমা পড়ে ইসিতে। আগামীকাল বুধবার আপিলের শেষ দিন।

আগামী ৬ থেকে ৮ ডিসেম্বর পর্যন্ত আপিল আবেদনগুলো নিষ্পত্তি করবে কমিশন। এরপরও কারও প্রার্থিতা বাতিল বা বহাল থাকলে তারা উচ্চ আদালতে যাওয়ার সুযোগ পাবেন।

বিলখেলাপি, ঋণখেলাপি, এক শতাংশ ভোটার না থাকা, লাভজনক পদে থাকা, হলফনামায় স্বাক্ষর না থাকা, আয়কর রিটার্ন দাখিল না করা, দণ্ডপ্রাপ্তি, স্বাক্ষর জটিলতাসহ নানা কারণে রেকর্ডসংখ্যক প্রার্থীর প্রার্থিতা বাতিল করেন রিটার্নিং কর্মকর্তারা।

এবার সারা দেশে ৭৮৬ জন প্রার্থীর মনোনয়নপত্র বাতিল করা হয়। এর মধ্যে বিএনপির ১৪১ জন প্রার্থী রয়েছে। এছাড়া আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী, স্বতন্ত্র প্রার্থী রয়েছেন বাদের তালিকায়।

এর আগে ২০০৮ সালে নবম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ৫৫৭ জন প্রার্থীর মনোনয়নপত্র বাতিল হয়েছিল। একাদশ সংসদ নির্বাচনে রেকর্ডসংখ্যক প্রার্থী তাদের মনোনয়নপত্র জমা দেন। এবার সব দলের মোট ৩০৬৫টি মনোনয়নপত্র জমা পড়েছিল।

প্রসঙ্গত, আসন্ন একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে মনোনয়নপত্র প্রত্যাহারের শেষ দিন ৯ ডিসেম্বর, আর নির্বাচনী প্রচারের শেষ দিন ২৮ ডিসেম্বর। ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে ৩০ ডিসেম্বর।

বিএ-২২/০৮-১২ (ন্যাশনাল ডেস্ক)

শটগানধারী দেহরক্ষী চান ইসি সচিব

নির্বাচন কমিশন সচিব হেলালুদ্দীন আহমদের সঙ্গে সার্বক্ষণিক একজন নিরাপত্তারক্ষী রয়েছেন। পিস্তলধারী এই নিরাপত্তারক্ষীকে নিযুক্ত করেছে ঢাকা মহানগর পুলিশ (ডিএমপি)। তবে নিজের নিরাপত্তা আরও জোরদার করতে চাইছেন ইসি সচিব।

উপলক্ষ একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন। কিন্তু পিস্তলধারী নয়, এবার ইসি সচিব চাইছেন শটগানধারী একজন নিরাপত্তারক্ষী। এ জন্য ইসি সচিবের পক্ষ থেকে ডিএমপি কমিশনার আছাদুজ্জামান মিয়ার কাছে চিঠি দেওয়া হয়েছে।

৩ ডিসেম্বর ডিএমপি কমিশনারের কাছে একটি চিঠি দিয়েছেন ইসি সচিবের একান্ত সচিব মোহাম্মদ আল-মামুন।

শটগানসহ দেহরক্ষী অথবা গানম্যান নিযুক্তির বিষয় উল্লেখ চিঠিতে লেখা হয়েছে, ‘বর্তমানে একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের কার্যক্রম চলমান রয়েছে। আগামী ৩০ ডিসেম্বর এ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। নির্বাচন কমিশন সচিবালয়ের সচিব হেলালুদ্দীন আহমদ মহোদয় এ নির্বাচন কাজে সার্বক্ষণিক ব্যস্ত রয়েছেন।

সচিব মহোদয়ের নিরাপত্তার জন্য ডিএমপি প্রোটেকশন বিভাগ কর্তৃক নিযুক্ত পিস্তলসহ একজন দেহরক্ষী অথবা গানম্যান বর্তমানে কর্মরত রয়েছেন। জাতীয় নির্বাচন চলাকালে এবং নির্বাচনোত্তর কিছুকাল সচিব মহোদয়ের জন্য নিরাপত্তা জোরদার করা প্রয়োজন। এ লক্ষ্যে পিস্তলসহ দেহরক্ষী অথবা গানম্যানের পাশাপাশি শটগানসহ আরও একজন দেহরক্ষী অথবা গানম্যান নিযুক্ত করা প্রয়োজন।’

তাই ইসি সচিবের নিরাপত্তার জন্য জরুরি ভিত্তিতে শটগানধারী দেহরক্ষী অথবা গানম্যান নিযুক্ত করতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে অনুরোধ করা হয়েছে।

বিএ-২১/০৮-১২ (ন্যাশনাল ডেস্ক)

জাতীয় সংসদ নির্বাচনের ভোটকেন্দ্র চূড়ান্ত

আসন্ন একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের ভোটকেন্দ্র চূড়ান্ত করে গেজেট প্রকাশ শুরু করেছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। মঙ্গলবার ইসির উপ সচিব মো. আব্দুল হালিম খান এ তথ্য জানান।

আইন অনুযায়ী, ভোটের অন্তত ২৫ দিন আগে অর্থাৎ ৪ ডিসেম্বর মধ্যে আসনভিত্তিক ভোটকেন্দ্রের গেজেট করার আইনী বাধ্যবাধকতা রয়েছে। আগামী ৩০ ডিসেম্বর ভোট হবে।

উপ সচিব হালিম খান জানান, ৩০ ডিসেম্বর ভোট হওয়ায় ৪ ডিসেম্বরের মধ্যে সব কেন্দ্রের গেজেট প্রকাশ সম্পন্ন করতে হবে। ইসির নির্দেশনায় নির্ধারিত সময়েই ৩০০ আসনের সব কেন্দ্রের গেজেট সম্পন্ন করা হয়েছে। একাদশ সংসদ নির্বাচনে ৪০ হাজার ১৯৯টি ভোটকেন্দ্রের চূড়ান্ত তালিকা করা হয়।

এর আগে আগস্ট মাসে ৩০০ আসনে ৪০ হাজার ৬৫৭টি সম্ভাব্য ভোটকেন্দ্রের তালিকা হয় করা হয়েছিল।

সর্বশেষ দশম সংসদ নির্বাচনে ৯ কোটি ১৯ লাখ ভোটারের বিপরীতে ভোটকেন্দ্র ছিল ৩৭ হাজার ৭০৭টি। ৩০০ আসনে ভোটকক্ষ ছিল ১ লাখ ৮৯ হাজার ৭৮টি। এবার দেশের ১০ কোটি ৪২ লাখ ভোটারের জন্য প্রায় ৪০ হাজার ভোটকেন্দ্রে ভোটকক্ষ থাকবে দুই লাখেরও বেশি।

ইসি উপ সচিব বলেন, রিটার্নিং কর্মকর্তার পাঠানো ৩০০ আসনের সংশ্লিষ্ট কেন্দ্রের বিষয়ে নির্বাচন কমিশন অনুমোদন দিয়েছে। ১ ডিসেম্বর থেকে কেন্দ্রের গেজেট প্রকাশ শুরু হয়েছে। নির্ধারিত সময়ে সব আসনের কেন্দ্রের গেজেট প্রকাশের জন্য প্রেসেও পাঠানো হয়েছে।

নির্বাচন কমিশনের অনুমোদন সাপেক্ষে উপ সচিব আব্দুল হালিম খান স্বাক্ষরিত আসনভিত্তিক কেন্দ্রের গেজেটে ভোটকেন্দ্রের ক্রমিক নম্বর; ভোটকেন্দ্রের নাম ও অবস্থান; ভোটকক্ষের সংখ্যা; ভোটার এলাকা; পুরুষ ও মহিলাসহ মোট ভোটার সংখ্যা উল্লেখ রয়েছে।

বিএ-২০/০৮-১২ (ন্যাশনাল ডেস্ক)

বরিশালে দুই মাথা ও ছয় পাওয়ালা অদ্ভুত বাছুর

বরিশালে দুই মাথা ও ছয় পাওয়ালা অদ্ভুত এক বাছুরের জন্ম হয়েছে। শুধু তাই নয়, বাছুরটির ১টি লেজের স্থলে ২টি লেজ রয়েছে।

মঙ্গলবার সকালে নগরীর ২২ নম্বর ওয়ার্ডে নবগ্রাম রোডস্থ ললিত দাসের পোল সংলগ্ন এলাকায় এ নিয়ে হইচই পড়ে গেছে।

তবে গাভীটিকে বাঁচাতে গিয়ে প্রসবের সময় বাছুরটির মৃত্যু হয়েছে। এ নিয়ে দুঃখ প্রকাশ করে মালিক হানিফ গাজী বলেন, দীর্ঘ প্রায় ১৬ বছর ধরে গাভীটি লালনপালন করে আসছি। কিন্তু এ ধরনের ঘটনা এই প্রথম।

তিনি জানান, সকালে গাভীটি বাচ্চা প্রসব করতে গেলে প্রথমে বাছুরটির দুটি পা বাইরে বের হয়, যা দেখে পশু চিকিৎসক ডাকা হয়। তারা এসে অনেকক্ষণ চেষ্টা করেও মাথা বের করতে না পারলে শঙ্কার সৃষ্টি হয়। পরে ভিন্ন কৌশলে বাছুরটিকে বাইরে বের করে আনা হয়। এতে গাভীটি বেঁচে গেলেও বাছুরটির মৃত্যু হয়।

গাভীটি এর আগেও ২টি বাচ্চা প্রসব করেছে, যা ভালোভাবেই বেড়ে উঠেছে বলে জানান মালিক হানিফ।

বিএ-১৯/০৮-১২ (আঞ্চলিক ডেস্ক)

চবিতে খালেদা জিয়া হলের নাম তুলে ফেলল ছাত্রলীগ

চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের (চবি) ‘দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া হল’ নামফলক তুলে ফেলেছে ছাত্রলীগ। মঙ্গলবার দুপুরে ছাত্রলীগের সাবেক সিনিয়র সহসভাপতি মনসুর আলমের নেতৃত্বে ছাত্রলীগের ২০-২৫ জন নেতাকর্মী খালেদা জিয়া হলের সামনে গিয়ে হলের গেট ও নির্দেশিকায় থাকা নামফলক তুলে দেন।

এ সময় তারা সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়ার নামে নির্মিত হলের নাম ‘বীরপ্রতীক তারামন বিবি হল’ নামকরণের দাবি করেন।

বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগ নেতা ইকবাল হোসেন টিপু বলেন, ‘চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে কোনো প্রমাণিত দুর্নীতিবাজ, জঙ্গিদের পৃষ্ঠপোষক, অশিক্ষিত ব্যক্তির নামে হল থাকবে না। তাই চবি ছাত্রলীগের উদ্যোগে আজ জঙ্গিমাতা, এতিমের টাকা আত্মসাৎকারী খালেদা জিয়ার নাম মুছে দেয়া হলো। আজ থেকে এই হলের নাম বীরপ্রতীক তারামন বিবি হল।’

তবে এ ঘটনার প্রতিবাদ ও নিন্দা জানিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় জাতীয়তাবাদী পরিষদ ও জাতীয়তাবাদী ছাত্রদল।

সাবেক একজন প্রধানমন্ত্রীর নাম এভাবে মুছে দিয়ে ছাত্রলীগ প্রকাশ্য দিবালোকে সন্ত্রাসী কার্যক্রম করলেও প্রশাসনের ভূমিকা নিয়ে হতাশা প্রকাশ করেছেন বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক শহিদুল ইসলাম।

তিনি বলেন, ‘গণতন্ত্রের জননী দেশনেত্রী খালেদা জিয়ার নামে বিশ্ববিদ্যালয়ে যে হল রয়েছে তার নাম মুছে দিয়ে ছাত্রলীগ ইতিহাসের ভয়ানক কাণ্ডে লিপ্ত হয়েছে। এহেন কাণ্ড ছাত্র রাজনীতিকে আরও এক দফা দূরে নিয়ে যাবে। দেয়াল থেকে নাম মুছে দেশনেত্রী খালেদা জিয়ার নাম দেশের জনগণের মন থেকে মুছে দেয়া যাবে না।’

জাতীয়তাবাদী শিক্ষক পরিষদের সাধারণ সম্পাদক ও ইসলামের ইতিহাস বিভাগের সহকারী অধ্যাপক শাহ আলম বলেন, ‘আমরা এ ঘটনার তীব্র নিন্দা জানাই। এভাবে চলতে থাকলে বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষার সুষ্ঠু পরিবেশ নষ্ট হবে। রাজনৈতিক আদর্শের কারণে এভাবে কারো নামফলক মুছে দেয়া বাজে সংস্কৃতি। খালেদা জিয়া দেশের ১৮ কোটি মানুষের অন্তরে রয়েছেন।’

খালেদা জিয়া হলের প্রাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. আবুল কাশেম বলেন, ‘কয়েকজন ছাত্র এসে নামফলক মুছে দিয়েছে শুনেছি। এ বিষয়ে আমি বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের সঙ্গে কথা বলেছি।

হলের নাম পরিবর্তনের বিষয়ে তিনি বলেন, ‘নাম পরিবর্তন প্রশাসনিক বিষয়। দীর্ঘ প্রক্রিয়া।’

বিশ্ববিদ্যালয় সহকারী প্রক্টর নিয়াজ মোরশেদ বলেন, ‘সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে দেখেছি খালেদা জিয়া হলের নামফলক মুছে দেয়া হয়েছে। এ বিষয়ে আমাদের কাছে কোনো লিখিত অভিযোগ আসেনি।’

নামফলক আবারও পুনঃস্থাপন করা হবে কিনা- এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘বিষয়টি বিশ্ববিদ্যালয়ের সর্বোচ্চ প্রশাসনের ব্যাপার। এ বিষয়ে আমার কিছু জানা নেই।’

বিএ-১৮/০৮-১২ (শিক্ষা ডেস্ক, তথ্যসূত্র: যুগান্তর)

রাবিতে রক্ত ঢেলে অবস্থান কর্মসূচি শুরু করলো ইইই, অসুস্থ ২০

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের দুই বিভাগ একীভূত করণের দাবিতে আমরণ অনশনে নামা ফলিত পদার্থবিজ্ঞান ও ইলেকট্রনিক ইঞ্জিনিয়ারিং (এপিইই) বিভাগের শিক্ষার্থীরা অনশন ভেঙে হলে ফিলেছে। মঙ্গলবার দুপুরে বিভাগরে শিক্ষাকদের আশ্বাসে থেকে সরে আসেন তারা।

অপরদিকে রক্ত ঢেলে অবস্থান কর্মসূচি শুরু করেছে ইলেকট্রিক এন্ড ইলেকট্রনিক ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের শিক্ষার্থীরা। এরই মধ্যে দুই বিভাগের মোট ২০ শিক্ষার্থী অসুস্থ হয়ে পড়েছে। একিভূত হবে কি হবে না সে বিষয়ে আগামীকাল বুধবার একাডেমিক কাউন্সিলের সভায় সিদ্ধান্ত হবে।

এর আগে দুইটি বিভাগ একীভূতকরণের দাবিতে গতকাল সোমবার ১১টা থেকে আমরণ অনশনে নেমে দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত তাদের কর্মসূচি চালিয়ে যাওয়ার ঘোষণা দেন। রাতেও অবস্থান কর্মসূচী পালন করেন ফলিত পদার্থ বিজ্ঞান ও ইলেকট্রনিক ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের শিক্ষার্থীরা। পরে মঙ্গলবার দুপুর ২টা পর্যন্ত টানা প্রায় ২৭ ঘণ্টা অনশন শেষে বিভাগের শিক্ষকদের আশ্বাসে অনশন থেকে সরে এসেছেন তারা।

এ পর্যন্ত অনশনে অংশ নেওয়া ১৭ শিক্ষার্থী অসুস্থ হয়ে পড়েছেন বলে জানা গেছে। এদিকে বিভাগ অসুস্থ শিক্ষার্থীরা হলেন, ১ম বর্ষের ইশরাত, তমা বিশ্বাস, আশিক, আসওয়াদ, শহিদুল ইসলাম শুভ, দ্বিতীয় বর্ষের চৈতি ঘোষ, প্রিয়াংকা, মিহা নৌমিন, হৃদয় মাহমুদ, তৃতীয় বর্ষের রফিকুল ইসলাম, অনিকা তাবাসসুম পুস্প, সাবিরা খাতুন, কিশোর মাহমুদ, ৪র্থ বর্ষের মধুসূদন গুপ্ত, মমিনুন, মবিন, রাজ্জাক কিশোর প্রমুখ।

এদিকে এপিইই শিক্ষার্থীদের বিপরীত পাশে বিভাগ একীভূতকরণের বিপক্ষে ক্লাস-পরীক্ষা বর্জন করে তবে মঙ্গলবার দুপুর থেকে রক্ত ঢেলে তাদের অবস্থান কর্মসূচি অব্যাহত রেখেছে ইলেক্ট্রনিক ও ইলেক্ট্রিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের শিক্ষার্থীরা।

দাবির পক্ষে অবস্থান নিয়ে সংবাদ সম্মেলন করার কথা রয়েছে। তবে রক্ত দিতে গিয়ে তিন শিক্ষার্থী অসুস্থ হয়ে পড়েছেন। তারা হলেন, তৃতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী নাজমুল ও আবু বকর সিদ্দিক এবং দ্বিতীয় বর্ষের দিপ্ত।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে বিশ্ববিদ্যালয় প্রক্টর অধ্যাপক লুৎফর রহমান বলেন, ‘এপিইই বিভাগের শিক্ষকদের আশ্বাসে শিক্ষার্থীরা অনশন থেকে সরে এসেছে’।

দুই বিভাগ একীভূতকরণের বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘দুই বিভাগ একীভূত করণের ব্যাপারে আগামীকাল এ্যকাডেমিক মিটিং এ সিদ্ধান্ত হবে’।

বিশ্ববিদ্যালয় প্রো-ভিসি প্রফেসর ড. চৌধুরী মো. জাকারিয়া বলেন, এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয় একাডেমিক মিটিংএ সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। এর বাইরে সিদ্ধান্ত নেওয়া সম্ভব না।

এপিইই বিভাগরে চেয়ারম্যান ড. মো. আরিফুল ইসলাম নাহিদ বলেন, ‘শিক্ষার্থীদের অনুরোধ করেছি অনশন থেকে সরে আসতে। তারা আমাদের অনুরোধ রেখেছে। আগামীকাল বিকেলে বিশ্ববিদ্যালয়ের এ্যাকাডেমিক মিটিংএ দুই বিভাগ একীভূতকরণে যুক্তি উপস্থাপন করা হবে’।

বিএ-১৭/০৮-১২ (নিজস্ব প্রতিবেদক)

মালদ্বীপ নিয়ে চীনের সুর চড়া : ভারতকে হুঁশিয়ারি

মালদ্বীপ নিয়ে সুর চড়াল চীন। ভারত বিরোধিতার সঙ্গে সঙ্গে ক্ষুদ্র দ্বীপরাষ্ট্রকে দিল সরাসরি হুঁশিয়ারি। চীনা কমিউনিস্ট পার্টির মুখপাত্র গ্লোবাল টাইমসে প্রকাশিত প্রতিবেদনে হুঁশিয়ারির আড়ালে দেওয়া হয়েছে ‘বন্ধুত্বপূর্ণ’ পরামর্শও। বলা হয়েছে, “চীন আশা করে, মালদ্বীপ নিশ্চয়ই সুবিবেচকের মতো আচরণ করবে এবং নয়াদিল্লির দেওয়া অর্থহীন ‘উপহার’ প্রত্যাখ্যান করবে। ভারতের কাছ থেকে অর্থহীন উপহার যেন না নেয় মালদ্বীপ। কারণ ভারত ছলে বলে কৌশলে মালদ্বীপে সেনা মোতায়েন করতে চাইছে।”

মালদ্বীপে অতি সম্প্রতি চীনের মদতপুষ্ট পুতুল সরকার ক্ষমতাচ্যুত হয়েছে। জয়ী হয়েছেন নয়া ভারতপন্থী প্রেসিডেন্ট। নতুন প্রেসিডেন্টের শপথ অনুষ্ঠানে রাজধানী মালেতে সাদর অভ্যর্থনা জানানো হয়েছে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে। চীনের প্রভাব খর্ব হয়েছে মালদ্বীপে। ভারত মহাসাগরের বুকে মালদ্বীপে বিশাল নৌঘাঁটি বানানোর যে স্বপ্ন ছিল চিনের তা আপাতত ধূলিসাৎ হয়ে গিয়েছে৷ ফলে পরিস্থিতি সামাল দিতে মরিয়া বেজিং প্রায় সরাসরি হুঁশিয়ারির রাস্তা নিল। এমনটাই মনে করছে কূটনৈতিক মহল। না হলে সরকার পরিচালিত চিনা কমিউনিস্ট পার্টির প্রধান মুখপত্রে এরকম ভাষায় লেখা হত না। ফলে মালদ্বীপ নিয়ে ভারতের কাছে হেরে যাওয়ায়, চিনা হতাশা ও উদ্বেগ প্রকাশ পেয়েছে ওই প্রতিবেদনেই। মালদ্বীপে ভারত সেনা মোতায়েন করতে চাইছে বলে দাবি করে উদ্বেগও প্রকাশ করা হয়েছে ওই প্রতিবেদনে।

কোনও আন্তর্জাতিক ঘটনাকে চীন কী চোখে দেখছে, তা কমিউনিস্ট পার্টি পরিচালিত এই ট্যাবলয়েডের মাধ্যমেই বিশ্বের সামনে তুলে ধরে বেজিং। সেখানেই সংবাদপত্রটি যে ভাবে মালদ্বীপের প্রতি ভারতের আনুকূল্যকে ‘অর্থহীন’ হিসেবে ব্যাখ্যা করেছে এবং মালদ্বীপকে তা ‘প্রত্যাখ্যান’ করার পরামর্শ দিয়েছে, তাকে মালদ্বীপের প্রতি চিনের সতর্কবার্তা হিসেবেই দেখছেন আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিশারদরা। গত, ২৩ সেপ্টেম্বর মালদ্বীপে সাধারণ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়৷ ওই নির্বাচনে জয়লাভ করে মালদ্বীপ ডেমোক্র‌্যাটিক দলের (এমডিপি) প্রার্থী ৫৪ বছরের ইব্রাহিম মহম্মদ সলিহ। প্রথম থেকেই মালদ্বীপের এই রাজনৈতিক পালাবদলের প্রত্যাশায় ছিল ভারত৷

কারণ, সেদেশের প্রাক্তন প্রেসিডেন্ট আবদুল্লা ইয়ামিন ছিলেন চিনের অত্যন্ত ঘনিষ্ঠ। ইয়ামিনের জমানায় চীনের সঙ্গে সখ্যতা দৃঢ় হয়েছিল মালদ্বীপের। ইয়ামিনের সঙ্গে ঘনিষ্ঠতার সুযোগকে কাজে লাগিয়ে এই দ্বীপরাষ্ট্রে বিশেষ প্রভাব বিস্তার করেছিল বেজিং। সম্প্রতি শ্রীলঙ্কার সঙ্গেও চীনের সম্পর্ক দৃঢ় হয়েছে। এভাবে দক্ষিণের দুই দ্বীপরাষ্ট্রের উপর নিজেদের প্রভাব বাড়িয়ে ভারতের ঘাড়ে নিশ্বাস ফেলছিল বেজিং। সলিহর শপথে নিশ্চিতভাবেই সেই পরিস্থিতির বদল ঘটল বলে ওয়াকিবহাল মহলের অনুমান। সলিহর শপথগ্রহণ অনুষ্ঠানেই যার ইঙ্গিতও মিলেছে। সলিহ ঘোষণা করেছেন, তাঁর সরকার ভারতকেই অগ্রাধিকার দেবে। পাশাপাশি চিনা বিনিয়োগ নিয়ে পর্যালোচনা করা হবে বলে জানান হয়েছে।

মালদ্বীপের সদ্য প্রাক্তন প্রেসিডেন্ট আবদুল্লা ইয়ামিন ছিলেন প্রবলভাবে চীন ঘনিষ্ঠ এবং কট্টর ভারতবিরোধী। ভোটে হেরে গিয়েও জোর করে প্রেসিডেন্ট পদ আঁকড়ে ধরে রাখতে চেয়েছিলেন। তিনি এতদিন ভারতকে দূরে ঠেলে দিয়েছিলেন। তাঁর আমলে চিনের কাছে থেকে বিপুল ঋণ নিয়েছিল মালদ্বীপ। ইয়ামিনের হস্তক্ষেপে চিনের সঙ্গে অবাধ বাণিজ্যের চুক্তি করেছিল, নানা প্রকল্প থেকে ভারতীয় সংস্থাগুলিকে সরিয়ে চিনা বিনিয়োগের পথ প্রশস্ত করেছিল, চিনের ‘ওয়ান বেল্ট ওয়ান রোড’ (ওবর) পরিকল্পনাতেও সামিল হয়ে গিয়েছিল মালদ্বীপ।

কিন্তু জনতার ক্ষোভ উসকে দিয়ে ইয়ামিন ক্ষমতায় টিকে থাকতে পারলেন না। সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতিদের গ্রেপ্তার করে, জরুরি অবস্থা জারি করে মালদ্বীপে সাংবিধানিক সঙ্কট তৈরি করেছিলেন ইয়ামিন। তাতে চীনের মদত ছিল। কিন্তু আন্তর্জাতিক মহলের প্রবল চাপে ইয়ামিনকে শেষ পর্যন্ত নির্বাচনে যেতেই হয় এবং তাতে শোচনীয় পরাজয় হয় চিনপন্থী প্রেসিডেন্টের। ভোটে জিতেই ভারতের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানিয়েছিলেন নয়া প্রেসিডেন্ট ইব্রাহিম মহম্মদ সলিহ।

এসএইচ-২৪/০৪/১২ (আন্তর্জাতিক ডেস্ক)

উপসাগরীয় অঞ্চল থেকে তেল রফতানি বন্ধের হুমকি ইরানের

ফের অশান্তির ঘনঘটা পারস্য উপসাগরে। বাড়ল ইরান আর আমেরিকার সংঘাতের তীব্রতা। ইরানের তেল রফতানি বন্ধ করতে মার্কিন নিষেধাজ্ঞা কার্যকর হলে ছেড়ে কথা বলবে না তেহরান।সেক্ষেত্রে পারস্য উপসাগরীয় এলাকা থেকে সমস্ত তেল রফতানি বন্ধ করে দেওয়া হবে বলেহুঁশিয়ারি দিলেন ইরানের প্রেসিডেন্ট হাসান রৌহানি।

ডোনাল্ড ট্রাম্প ক্ষমতায় আসার পর থেকেই ইরানকে এক ঘরে করার মার্কিন কৌশল বহু গুণে বৃদ্ধি পেয়েছে। ইরান থেকে যাতে কোনও দেশ তেল না কেনে, সেই জন্য বিশ্ব জুড়েই তৎপরতা বাড়াচ্ছে আমেরিকা। আমেরিকার ঘোষিত লক্ষ্য, ইরান যাতে কোনও দেশকে এক বিন্দুও তেল রফতানি না করতে পারে।

সেক্ষেত্রে বিশ্ব জুড়ে তেলের জন্য ইরানের উপর নির্ভরতা কমবে। পাশাপাশি, তেল নির্ভর এই দেশটির অর্থনীতিও ভেঙে পড়ার সম্ভাবনা প্রবল। সেই লক্ষ্যেই শুধু ইরান নয়, আন্তর্জাতিক ক্ষেত্রে যারা ইরান থেকে তেল কেনে, সেই সব দেশগুলির ওপরও চাপ বাড়াচ্ছে ওয়াশিংটন।

আমেরিকার এই চাপের মুখে এবার পাল্টা হুমকির রাস্তায় হাঁটল ইরান। মঙ্গলবার ইরানের প্রেসিডেন্ট হাসান রৌহানি যা বললেন, তার প্রভাব পড়বে পুরো উপসাগরীয় অঞ্চলেই। রৌহানির হুঁশিয়ারি, পারস্য উপসাগরে ইরানের তৈলবাহী জাহাজের চলাচল বন্ধ হলে অন্য কোনও জাহাজকেই এই উপসাগর দিয়ে যেতে দেওয়া হবে না।’’

রৌহানির মন্তব্য তাৎপর্যপূর্ণ কারণ, সে ক্ষেত্রে এই অঞ্চল দিয়ে সমস্ত তেল রফতানি বন্ধ হয়ে যাবে। সারা পৃথিবীর একটা বড় অংশ তেলের জন্য পারস্য উপসাগর তীরবর্তী দেশ গুলির ওপর নির্ভরশীল। ইরাক, কুয়েত, বাহরিন, ওমান, সৌদি আরব, সংযুক্ত আরব আমিরশাহী থেকে সারা পৃথিবীতে তেল যাওয়ার প্রধান রাস্তা এই পারস্য উপসাগরই। অর্থাৎ, ফের অশান্ত হয়ে উঠতে পারে পারস্য উপসাগরের রাজনৈতিক পরিস্থিতি, এমনটাই মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।

ইরানের ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষা নিরীক্ষার বিষয়টিকেই ঢাল করে বিশ্ব জুড়ে নিষেধাজ্ঞার চাপ বাড়াচ্ছে আমেরিকা। ইরানকে বহির্বিশ্বের সঙ্গে বিচ্ছিন্ন করাই লক্ষ্য আমেরিকার। যদিও সেই উদ্দেশ্য কোনও ভাবেই সফল হবে না বলে ইরানি প্রেসিডেন্টের সুরে সুর মিলিয়ে বলেছেন ইরানের ভাইস প্রেসিডেন্ট ইশাক জাহাঙ্গিরি-ও।

তাঁর দাবি, ‘‘আমেরিকা বার বার বলে চলেছে এই নিষেধাজ্ঞা ইরান সরকারকে লক্ষ্য করে। দেশের সাধারণ মানুষের ওপর এর কোনও প্রভাব পড়বে না। কিন্তু আমেরিকার এই কথা ডাহা মিথ্যা ছাড়া আর কিছুই নয়। কারণ এই নিষেধাজ্ঞা চালু হলে সেই প্রভাব পড়বে দেশের সাধারণ মানুষের ওপর। যার থেকে বাদ যাবে না মহিলা, শিশু এবং বয়স্করাও।’’

এসএইচ-২৩/০৪/১২ (আন্তর্জাতিক ডেস্ক, তথ্য সূত্র : রয়টার্স)

নির্বাচনকালীন সময়ে নারীদের পর্যাপ্ত নিরাপত্তা দিবে ইসি

নির্বাচন কমিশনার কবিতা খানম বলেছেন, একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ভোটগ্রহণের আগে-পরে নারীদের পর্যাপ্ত নিরাপত্তার ব্যবস্থা করা হবে। তারা যেন নির্বিঘ্নে ভোটকেন্দ্রে গিয়ে ভোটাধিকার প্রয়োগ করতে পারেন সে জন্যও তাদের পর্যাপ্ত নিরাপত্তা দেয়া হবে।

মঙ্গলবার রাজশাহী নগরীর একটি চাইনিজ রেস্তোরাঁর সম্মেলনকক্ষে ইউএনডিপি আয়োজিত দুইদিনব্যাপী ‘জেন্ডার অ্যান্ড ইলেকশন’ কর্মশালার উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

নির্বাচন কমিশনার বলেন, দেশের প্রায় অর্ধেক নারী ভোটার। তাই নির্বাচনকালীন সময়ে নারীদের জন্য নিরাপদ পরিবেশ বজায় রাখতে সচেষ্ট থাকবে নির্বাচন কমিশন।

জেলা প্রশাসকের দফতর থেকে মনোনয়ন বাতিল হওয়া প্রার্থীদের সার্টিফায়েড কপি দিতে বিলম্ব করা হচ্ছে সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জবানে নির্বাচন কমিশনার কবিতা খানম বলেন, জেলা প্রশাসকদের নির্দেশ দেয়া হয়েছে, যাতে অতিদ্রুত বাতিল হওয়া প্রার্থীদের সার্টিফায়েড কপি দেয়া হয়। আঞ্চলিক নির্বাচন কর্মকর্তা সৈয়দ আমিরুল ইসলামের সভাপতিত্বে কর্মশালায় নির্বাচন কমিশন সচিবালয়ের কর্মকর্তা সাহিদুল নবী, সাইফুল ইসলাম চৌধুরী, সিনিয়র জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা ফরিদুল ইসলাম প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

উল্লেখ্য, রাজশাহীতে ৫৩ জন মনোনয়নপত্র দাখিল করেন। এর মধ্যে যাচাই-বাছাই শেষে ২৩ জনের মনোনয়নপত্র বাতিল করে নির্বাচন কমিশনার। সোমবার তারা আপিল করার জন্য জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে গিয়ে সাটিফায়েড কপি পাননি। এ নিয়ে বাদ পড়া প্রার্থী ও তাদের সমর্থকরা জেলা প্রশাসনের কার্যালয়ের সামনে বিক্ষোভ করেন। রাতে তারা সংবাদ সম্মেলন করে জেলা প্রশাসকের অপসারণের দাবি জানান।

বিএ-১৬/০৪-১২ (নিজস্ব প্রতিবেদক)

ইমরানের মুখে বাজপেয়ীর প্রশংসা

ক্ষমতায় আসার পর থেকেই কাশ্মীর সমস্যা সমাধানে তিনি অনেক আন্তরিক৷ বারবার সেই কথা বুঝিয়ে দিয়েছেন পাক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান৷ কিন্তু সন্ত্রাসবাদ ইস্যুতে পাকিস্তানের সঙ্গে আলোচনার রাস্তা বন্ধ করেছে বিজেপি সরকার৷ সম্প্রতি সার্ক সম্মেলনও বয়কট করেছে৷ এই অবস্থায় মোদীকে তাঁর পূর্বসূরি বাজপেয়ীর কথা মনে করিয়ে কূটনৈতিক চাল দিলেন ইমরান খান৷

কাশ্মীর সমস্যা সমাধানে খুব কাছাকাছি পৌঁছে গিয়েছিল দুই দেশ ৷ কিন্তু ২০০৪ সালে লোকসভা নির্বাচনে বিজেপি হেরে যাওয়ায় ফের সবকিছু আগের অবস্থায় ফিরে আসে৷ পাক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের কাছে এই স্বীকারোক্তি করেছিলেন প্রয়াত প্রধানমন্ত্রী অটলবিহারী বাজপেয়ী৷ এমনই চাঞ্চল্যকর দাবি ইমরান খানের৷ পাশাপাশি তিনি জানান, একমাত্র আলোচনার মাধ্যমে কাশ্মীর সমস্যার সমাধান সম্ভব৷

কাশ্মীর প্রসঙ্গে সাংবাদিকদের প্রশ্নের পরিপ্রেক্ষিতে বাজপেয়ীর কথা স্মরণ করেন ইমরান৷ তিনি দাবি করেন, বাজপেয়ী তাঁকে বলেছিলেন ২০০৪ সালে বিজেপি না হারলে কাশ্মীর সমস্যার সমাধান হয়ে যেত৷ বাজপেয়ী যখন একথা বলেন তখন উপস্থিত ছিলেন তৎকালীন বিদেশমন্ত্রী নটবর সিং৷ প্রয়াত প্রধানমন্ত্রীর কথার সূত্র ধরে ইমরান জানান, এতেই বোঝা যাচ্ছে চাইলে কাশ্মীর সমস্যার সমাধান বের করা সম্ভব৷ আর সেই সময় দুই দেশই সমাধানসূত্রের খুব কাছাকাছি পৌঁছে গিয়েছিল৷

ভারত-পাক সম্পর্ক এখন এমনিতেই তলানিতে৷ সমস্ত কূটনৈতিক আলোচনা বন্ধ৷ তার উপর সার্ক সম্মলেনও ফের বয়কট করতে চলেছে ভারত৷ এই অবস্থায় ইমরানের মন্তব্য, আলোচনার দরজা খোলা রাখতে হবে৷ কেননা আলোচনার মাধ্যমেই কাশ্মীর সমস্যার সমাধান সম্ভব৷ তবে ইমরানের একটি বক্তব্য থেকে জল্পনা ছড়ায়৷

তিনি জানান, আলোচনা ছাড়া আরও ‘অপশন’ আছে৷ তবে সেই অপশনগুলি কী কী তা জানাতে চাননি৷ শুধু বলেন, ‘‘এখনও সময় আসেনি সেটা নিয়ে কথা বলার৷’’ তবে ভারতের সঙ্গে কোনও যুদ্ধে পাকিস্তানকে জড়াতে চান না ইমরান৷ জানান, দুটি দেশই নিউক্লিয়ার শক্তিধর দেশ৷ তাই যুদ্ধের মাধ্যমে কোনও ফলাফল বের হবে না৷

এসএইচ-২২/০৪/১২ (আন্তর্জাতিক ডেস্ক)