সকাল ৭:২৬
রবিবার
৫ ই মে ২০২৪ ইংরেজি
২২ শে বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
২৬ শে শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী
spot_img

সুনির্দিষ্ট নীতিমালা থাকলেও ডাক্তার পদবি ব্যবহারে তা মানা হচ্ছে না

প্রচলিত আইনে ডাক্তার পদবি ব্যবহারে সুনির্দিষ্ট নীতিমালা থাকলেও, এর যথেচ্ছ ব্যবহার হচ্ছে যত্রতত্র। পল্লী চিকিৎসক, মেডিক্যাল অ্যাসিস্ট্যান্ট এমনকি ওষুধের দোকানদারও নামের আগে লিখছেন ডাক্তার, দিচ্ছেন চিকিৎসার ব্যবস্থাপত্রও।

ভুল চিকিৎসরার কারণে সাধারণ মানুষের স্বাস্থ্যহানির পাশাপাশি ঘটছে মৃত্যুর ঘটনাও। সারাদেশের মতো পাবনাতেও রয়েছে ভুয়া ডাক্তারদের ছড়াছড়ি।

প্রস্রাব সংক্রমণে আক্রান্ত হলে ঈশ্বরদীর সাঁড়া ইউনিয়ন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ কেন্দ্রে নিয়ে যাওয়া হয় দেড় মাসের শিশু মিসকাতকে। স্বাস্থ্য কেন্দ্রের উপ-সহকারী কমিউনিটি মেডিক্যাল কর্মকর্তা ইকবাল হোসেন শিশুটিকে খতনা করার পরামর্শ দেন। দুটি ইনজেকশন দেয়ার পরই শিশুটির মৃত্যু হলে পালিয়ে যায় ডাক্তার পরিচয় দেয়া ইকবাল।

চিকিৎসকদের সনদ দেয়ার একমাত্র প্রতিষ্ঠান বাংলাদেশ মেডিক্যাল এন্ড ডেন্টাল কাউন্সিল। সংস্থাটির আইন অনুযায়ী- এমবিবিএস অথবা বিডিএস ডিগ্রি ছাড়া ডাক্তার পদবী ব্যবহার করা যাবে না। তবে বাস্তবতা হলো, চিকিৎসক ও ওষুধের দোকানীরাও নামের আগে লিখছেন ডাক্তার। এদের কেউ কেউ আবার নিজেকে আসল চিকিৎসক ও বিপদের বন্ধু হিসেবে দাবি করেন।

বিশেষজ্ঞরা বলছেন, পল্লী চিকিৎসকরা রোগীদের যত্রতত্র বেশি ওষুধ এবং উচ্চমাত্রার অ্যান্টিবায়োটিক দেয়ার কারণে রোগীর শরীরে মারাত্মক পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া দেখা দিচ্ছে। যা রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কমিয়ে দিচ্ছে।

জেলা সিভিল সার্জন ডাক্তার মেহেদী ইকবাল বলেন, ওষুধ দোকানি ও যারা ডিপ্লোমা পাস করেছে তারাও নামের আগে ডাক্তার পদবি ব্যবহার করেন কিন্তু সরকারিভাবে তারা নামের আগে ডাক্তার পদবি ব্যবহার করতে পারেন না। যদি সুনির্দিষ্ট অভিযোগ আসে তাহলে তদন্ত সাপেক্ষে ব্যবস্থা নেয়া হবে।

এসএইচ-০৭/২৭/১৯ (অনলাইন ডেস্ক, তথ্য সূত্র : ডিবিসি নিউজ)

রাজশাহীতে লেদার এন্ড ট্যানারি শিল্পপার্কের জন্য জায়গা পরিদর্শন

লেদার এন্ড ট্যানারি শিল্পপার্কের জন্য জায়গা পরিদর্শন করেছেন রাজশাহী সিটি কর্পোরেশনের মেয়র এ.এইচ.এম খায়রুজ্জামান লিটন ও বাংলাদেশ ক্ষুদ্র ও কুটির শিল্প কর্পোরেশনের চেয়ারম্যান মোশতাক হাসান, এনডিসি। শনিবার দুপুরে সম্ভাব্য দুইটি জায়গা পরিদর্শন করেন তারা।

বেলপুকুর এবং বানেশ্বর এলাকায় জায়গা পরিদর্শন করেন মেয়র ও বিসিক চেয়ারম্যান। জায়গা পরিদর্শনকালে তাঁরা দ্রুত রাজশাহীতে লেদার এন্ড ট্যানারি শিল্পপার্কের জায়গা নির্ধারণ করে কাজ শুরুর ব্যাপারে আলোচনা করেন।

এ সময় বিসিকের জিএম বশির আহমেদ ও খন্দকার আমিরুজ্জামান, আঞ্চলিক পরিচালক তামান্না রহমান, উপ-ব্যবস্থাপক শামীম হোসেন, বিসিক রাজশাহীর শিল্পনগরী কর্মকর্তা ওয়ায়েস কুরুনী, রাজশাহীর অতিরিক্ত জেলা প্রশসাক (রাজস্ব) আবু আসলাম, রাসিক মেয়র মহোদয়ের একান্ত সচিব আলমগীর কবির প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

উল্লেখ্য, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ঘোষণা অনুযায়ী রাজশাহীতে লেদার এন্ড ট্যানারি শিল্পপার্কের তোলার লক্ষ্যে গত ১৫ জুলাই শিল্পমন্ত্রী অ্যাডভোকেট নূরুল মজিদ মাহমুদ হুমায়ূনের সাথে বৈঠক করেন সিটি মেয়র খায়রুজ্জামান লিটন। বৈঠকে রাজশাহীতে চামড়া শিল্প পার্ক গড়ে তোলার কাজ দ্রুত গতিতে এগিয়ে নেয়ার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। একইদিন বিসিক চেয়ারম্যান মোশতাক হাসানের সাথেও বৈঠক করেন মেয়র।

এরই ধারাবাহিকতায় লেদার এন্ড ট্যানারি শিল্পপার্কের জায়গা পরিদর্শনে রাজশাহীতে এসেছেন বিসিক চেয়ারম্যান। এরই মাধ্যমে রাজশাহীতে বিপুল সংখ্যক মানুষের কর্মসংস্থান সৃষ্টির সিটি মেয়র খায়রুজ্জামান লিটনের নির্বাচনী প্রতিশ্রুতি বাস্তবায়নের পথে আরেক ধাপ এগোলো।

সিটি মেয়র খায়রুজ্জামান লিটনের নির্বাচনী প্রতিশ্রুতিগুলোর মধ্যে রাজশাহীতে চামড়া শিল্প পার্ক গড়ে তোলা অন্যতম একটি প্রতিশ্রুতি। চামড়া শিল্প পার্ক গড়ে উঠলে উত্তরাঞ্চলের চামড়া কেন্দ্রিক ব্যবসা-বাণিজ্যের প্রসার ঘটবে। সৃষ্টি হবে বিপুল সংখ্যক মানুষের কর্মসংস্থানের সুযোগ। এর মাধ্যমে দূর হবে এ অঞ্চলের বেকারত্ব।

বিএ-১০/২৭-০৭ (নিজস্ব প্রতিবেদক)

গরুর সান্নিধ্যে থাকলে যক্ষা সারে!

বিতর্কিত মন্তব্য করে সংবাদের শিরোনামে উঠে এলেন উত্তরাখণ্ডের মুখ্যমন্ত্রী ত্রিবেন্দ্র সিং রাওয়াত। মুখ্যমন্ত্রী ত্রিবেন্দ্র সিং রাওয়াত দাবি করেন যে, গরুই একমাত্র প্রাণী যে অক্সিজেন গ্রহণ করার পাশাপাশি বাতাসে অক্সিজেন ত্যাগও করে।

বৃহস্পতিবারই সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়েছে একটি ভিডিও। ঘটনাস্থল দেরাদুন। সেখানে একটি অনুষ্ঠানে যোগ দিয়েছিলেন। সেই অনুষ্ঠানে গরুর দুধ এবং গোমূত্রে থাকা ওষধি গুণাগুণ নিয়ে কথা বলছিলেন তিনি। ভাইরাল হওয়া ওই ভিডিওতে শোনা যায়, তিনি বলছেন গরু নাকি অক্সিজেন গ্রহণের পাশাপাশি বাতাসে অক্সিজেনের যোগানও দেয়।

তিনি আরও বলেন, গরুর সান্নিধ্যে থাকলে শ্বাসকষ্ট জনিত সমস্যা থেকেও মুক্তি পাওয়া যায়। শুধু তাই নয়, গরুর কাছাকাছি থাকলে যক্ষার মতো রোগও সেরে যায় বলে দাবি তাঁর।

সম্প্রতি নৈতিতালের সাংসদ অজয় ভাটও একটি বিতর্কিত মন্তব্য করেন। তিনি বলেন গড়ুর গঙ্গার জল পান করলে নাকি গর্ভবতী মায়েরা সিজারিয়ান ডেলিভারি এড়াতে পারেন এমনকী গর্ভাবস্থায় কোনও জটিলতা দেখা দিলে তাও নিরাময় করতে পারে গঙ্গার জল- এমনটাই দাবি ছিল তাঁর। আর এরপরই প্রকাশ্যে এল উত্তরাখণ্ডের মুখ্যমন্ত্রীর এই মন্তব্য।

তবে মুখ্যমন্ত্রীর এই মন্তব্যের পক্ষে মুখ্যমন্ত্রীর দফতরের এক কর্মকর্তা দাবি করেন, উত্তরাখণ্ডের মানুষরা যে যে ধ্যানধারণায় বিশ্বাসী তিনি কেবলমাত্র সেই তথ্যই তুলে ধরেছেন। তাঁর আরও দাবি পাহাড়ে বসবাসকারী মানুষের ধারণা তাঁদের প্রাণ রক্ষার জন্য গরুর ভুমিকা অনেকটাই। কারণ গরুই তাঁদের অক্সিজেন সরবরাহ করে থাকে।

এসএইচ-০৬/২৭/১৯ (অনলাইন ডেস্ক)

যুক্তরাজ্যে বৈধতা মিলতে পারে লক্ষাধিক বাংলাদেশির

469034955

যুক্তরাজ্যে অবৈধভাবে অবস্থান করা ১ লাখেরও বেশি বাংলাদেশির বৈধতা মিলতে পারে। বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত ব্রিটিশ এমপি রূপা হকের ফেসবুক স্ট্যাটাসে দেয়া লিংক এ তথ্য জানা গেছে।

তিনি বলেন, নবনির্বাচিত ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন লন্ডনের মেয়র থাকাকালে ৫ লাখেরও বেশি অবৈধ অভিবাসীকে বৈধতা দিতে তৎকালীন সরকারকে আহ্বান জানিয়েছিলেন। প্রধানমন্ত্রী হওয়ার পরও তিনি ওই মতের পক্ষে রয়েছেন।

জানা গেছে, বরিস প্রধানমন্ত্রী নির্বাচিত হওয়ার পর বৃহস্পতিবার, হাউস অব কমন্সে এ বিষয়ে প্রধানমন্ত্রীর দৃষ্টি আকর্ষণ করেন এমপি রূপা হক।

রূপা হক জানতে চান, অবৈধদের সাধারণ ক্ষমার আওতায় এনে বৈধতা দেয়া হবে কী না। জবাবে বরিস জানান, আগের সরকার অবৈধদের বের করে দিতে চেয়েছিল। কিন্তু তার সরকার এ ব্যপারে আন্তরিক।

রূপার তথ্য মতে, মেয়র থাকাকালে ২০০৯ সালে বরিস বলেছিলেন, ১০ বছরের বেশি সময় যারা অবৈধভাবে ব্রিটেনে আছে, তাদের বৈধতা দিলে একদিকে বৈধ শ্রমিক মিলবে, অন্যদিকে সরকারও ট্যাক্স পাবে।

উল্লেখ্য, যুক্তরাজ্যে বর্তমানে ৫ লাখেরও বেশি বৈধ অভিবাসীর পাশাপাশি, এক লাখেরও বেশি অবৈধ বাংলাদেশি রয়েছেন। প্রধানমন্ত্রী বরিসের বক্তব্য কার্যকর হলে ১ লাখেরও বেশি বাংলাদেশি বৈধতা পাবে।

এসএইচ-০৫/২৭/১৯ (প্রবাস ডেস্ক)

বলিউডে প্রতিষ্ঠা পেতে যে সংগ্রামের মুখোমুখি হতে হয়েছে নোরা ফাতেহিকে

বলিউডে প্রতিষ্ঠা

‘ও সাকি সাকি’ রিমেক গানে সম্প্রতি নোরা ফাতেহি যে ঝড় তুলেছেন, তাতে সবাই মুগ্ধ। তার অনবদ্য নৃত্যশৈলী দর্শকের মাঝে আলাদা উত্তেজনা ছড়িয়েছে।

জন আব্রাহামের বাতলা হাউজ ছবির কয়েকটি গানে নোরার আরো কিছু খুনে নৃত্য উপস্থাপন রয়েছে। জনের সঙ্গে সর্বশেষ অভিনীত ছবিতে ‘দিলবার’ শিরোনামের গানেও নোরা নিজের জাত চিনিয়েছিলেন।

বলিউডে নোরার এ আকাশচুম্বী অবস্থান দেখে অনেকেরই আকাঙ্ক্ষা জাগতে পারে, এ জগতে ঘর বাঁধার। কিন্তু অবাক হবেন যে, এই অভিনেত্রীকেই তার ক্যারিয়ারের শুরুতে ইন্ডাস্ট্রিতে একটা কঠিন সময় পার করতে হয়েছে। সম্প্রতি একটি বিনোদন সংবাদমাধ্যমের সঙ্গে আড্ডায় তেমনটাই জানিয়েছেন নোরা।

নোরা ফাতেহি প্রকাশ করেন কীভাবে তার ২০ লাখ রুপি খোয়া গিয়েছিল। তিনি বলেন, ‘‘ভারতে বিদেশীদের জীবনযাপন খুবই কঠিন। আমরা অনেক জায়গায় গিয়েছি, এমনকি মানুষ তা জানেও না। তারা আমাদের টাকা নেয়। আমার ক্ষেত্রেও এ রকমটি ঘটেছিল। আমার মনে আছে, আমার প্রথম এজেন্সি, যারা আমাকে এখানে এনেছিল কানাডা থেকে। আচরণে তাদের ব্যবহার ছিল খুবই আক্রমণাত্মক। তারা আমাকে সঠিক পথে চালিত করত বলে আমার মনে হয়নি। যে কারণে চেয়েছিলাম তাদেরকে ছেড়ে দিতে এবং এটা শোনার পর তারা আমাকে বলেছিল, ‘আমরা তোমার অর্থ ফেরত দিচ্ছি না।’ শেষ পর্যন্ত তখন আমি ২০ লাখ রুপি হারালাম। যা রোজগার করেছিলাম আমার অ্যাড ক্যাম্পেইন থেকে। কিন্তু আমি ভেবেছিলাম এ ত্যাগ আরো বড় কিছু এনে দেবে।’’

নোরা যোগ করেন, ‘আটজন মেয়ের সঙ্গে আমাকে একটি অ্যাপার্টমেন্ট ভাগাভাগি করে থাকতে হয়েছে। আমি অ্যাপার্টমেন্টে হাঁটতাম, আমি শোকগ্রস্ত ছিলাম, আমি ভয় পেতাম। আমার রুমমেট আমার পাসপোর্ট চুরি করেছিল। আমাকে বাধ্য হয়ে ইন্ডিয়া ছাড়তে হয়েছিল এবং কিছু সময়ের জন্য ফিরে যেতে হয়েছিল কানাডায়।’

এ অভিনেত্রী আরো জানান, ঠিকঠাকভাবে হিন্দি উচ্চারণ করতে না পারায় তাকে বুলিংয়ের শিকার হতে হয়েছে। হিন্দি শেখার শুরুর দিনগুলোয় ভুলের কারণে মানুষ তাকে একবারের জন্যও ছাড়েনি। তারা সামনেই উপহাস ও অপমান করত। কষ্টে নোরা চোখের পানি ধরে রাখতে পারতেন না।

একটি কাস্টিং এজেন্ট তাকে নাকি এটাও বলেছিল, ‘আমাদের এখানে তোমাকে প্রয়োজন নেই। চলে যাও।’ ‘আমি কখনই সে কথা ভুলব না’—যোগ করেন নোরা।

নোরা বলিউডে এসেছেন রক্ষণশীল একটি আরব পরিবার থেকে। এমনকি নাচ শেখার জন্য তিনি নাকি এখানকার মানুষের ভিডিও পর্যন্ত দেখতেন।

তিনি বলেন, ‘আমি এসেছি খুবই রক্ষণশীল একটি আরব পরিবার থেকে। বাড়িতে আমার ঘরের মধ্যেই চর্চা করতাম এবং মানুষের ভিডিও দেখতাম। পারফর্মিংয়ের ওপর আমার ভালোবাসার কারণেই আমি এভাবে ভালো করেছিলাম।’

নোরা ফাতেহিকে সামনে দেখা যাবে বরুণ ধাওয়ান ও শ্রদ্ধা কাপুরের সঙ্গে স্ট্রিট ডান্সার থ্রিডি ছবিতে। আগামী বছরের ২৪ জানুয়ারি ছবিটি মুক্তি পাবে।

এ প্রসঙ্গে নোরা বলেন, ‘এটা খুবই ভালো অভিজ্ঞতা ছিল। এ সেট থেকে আমি অনেক কিছুই শিখছি। এ ছবির জন্য আমি অনেক ধরনের নৃত্যশৈলী আত্মস্থ করেছি। স্বপ্ন সত্যি হওয়ার মতোই একটা বিষয়।’

উল্লেখ্য, কানাডায় নোরা ফাতেহির জন্ম ১৯৯২ সালের ৬ ফেব্রুয়ারি। তিনি একাধারে নৃত্যশিল্পী, মডেল, অভিনেত্রী ও সংগীতশিল্পী। বলিউডের ছবিতে অভিনয়ের জন্য তিনি বিশেষভাবে পরিচিত।

আরএম-১৫/২৭/০৭ (বিনোদন ডেস্ক)

সেই গল্পের উপস্থাপন সম্পূর্ণ আলাদা

সেই গল্পের

রুপালী পর্দায় অল্প সময়ে নিজের শক্ত অবস্থান গড়েছেন নায়িকা শবনম বুবলী। গত রোজার ঈদে মালেক আফসারী পরিচালিত ‘পাসওয়ার্ড’ ছবিতে অভিনয় করেন তিনি। এ ছবিতে আগের চেয়ে আরো পরিপক্ক বুবলীকে দর্শকরা দেখতে পেয়েছেন।

কারণ ছবিটিতে তার অভিনয় ও গানে পারফরম্যান্স ছাড়িয়ে গেছে আগের ছবিগুলোকে। অন্য ছবির চেয়ে এতে ভিন্ন এক বুবলীকে খুঁজে পেয়েছেন বলেও জানান অনেক দর্শক।

অন্য অনেক নির্মাতাও ছবিটি দেখে বুবলী সম্পর্কে বলেছেন যে, দিন দিন অভিনয় ও নাচে বেশ উন্নতি করছেন তিনি। ফাইটও শিখেছেন। এভাবে এগুতে থাকলে তার জায়গা অন্য কেউই নিতে পারবেন না বলেও তারা মন্তব্য করেন।

বৃহস্পতিবার এফডিসিতে বুবলী পরিচালক জাকির হোসেন রাজুর ‘মনের মতো মানুষ পাইলাম না’ ছবির কাজ করছিলেন। এ সময় মানবজমিনের সঙ্গে আালাপকালে তিনি বলেন, আজ ছবিটির শেষ অংশের কাজ চলছে।

একটি গানের কিছু অংশের শুটিং বাকি ছিল। এটি করলেই কাজ শেষ হবে। সব ঠিক থাকলে ছবিটি আসছে কোরবানি ঈদে মুক্তি পাবে। আগেরগুলির মতো এ ছবিতেও দর্শকরা শাকিব খানের বিপরীতে বুবলীকে দেখতে পাবেন। এ ছবির শুটিং করতে গিয়ে কয়েকদিন আগে মাথায় আঘাতও পান বুবলী।

ছবিটির গল্প কেমন জানতে চাইলে তিনি বলেন, বেশ জোরালো একটা গল্প আছে রাজু স্যারের ছবিতে। এই সময়ে রোমান্টিক, অ্যাকশন ধরনের ছবি দর্শকরা বেশি দেখছে। এ ছবিতেও এসব থাকছে। তবে আমার কাছে মনে হয় আমি ব্যতিক্রমী একটি ছবিতে কাজ করলাম। এ ছবিতে গল্পটা প্রধান।

আর সেই গল্পের উপস্থাপন সম্পূর্ণ আলাদা। এবারই প্রথম জাকির হোসেন রাজুর পরিচালনায় একটি ছবিতে কাজ করছেন বুবলী। গুণী এই নির্মাতার সঙ্গে কাজের অভিজ্ঞতাও দারুণ বলে জানিয়েছেন তিনি। বললেন, ছবির শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত অনেক কিছুই নতুন করে শিখেছি।

প্রতিটি ধাপে রাজু স্যার আমাকে দারুণ যত্ন করে সব দেখিয়ে দিয়েছেন। তার নির্দেশনায় এ ছবিতে কাজ করে অনেক কিছু শিখতে পেরেছি।

অভিনেত্রী হিসেবে এটা আমার জন্য অবশ্যই অনেক পজিটিভ একটি অভিজ্ঞতা। ‘বসগিরি’, ‘শুটার’, ‘অহংকার’, ‘রংবাজ’, ‘চিটাগাইঙ্গা পোয়া নোয়াখাইল্লা মাইয়া’, ‘সুপার হিরো’, ‘ক্যাপ্টেন খান’ এবং সবশেষ ‘পাসওয়ার্ড’ ছবি মুক্তি পায় বুবলীর।

এসব ছবিতে ভিন্ন ভিন্ন লুকে হাজির হয়েছেন তিনি। এবার তার নতুন ছবি ‘মনের মতো মানুষ পাইলাম না’। ছবিটির কাজ শেষ। এখন কাজী হায়াতের ‘বীর’, হিমেল আশরাফের ‘প্রিয়তমা’সহ বেশ কয়েকটি ছবিতে শাকিব খানের বিপরীতে বুবলীর নাম শোনা যাচ্ছে। সত্যি কি তাই?

বুবলী এ বিষয়ে বলেন, সবার মতো আমিও শুনছি। তবে আর কয়েকদিন পর এ বিষয়ে চুড়ান্ত কিছু জানাতে পারবো। এসব ছবিতে কাজের ব্যাপারে মৌখিক আলাপ হয়েছে।

এ বিষয়ে প্রযোজক বা পরিচালকরা আমার চেয়ে ভালো বলতে পারবেন। আপাতত ‘মনের মতো মানুষ পাইলাম না’ ছবির শুটিং যেহেতু শেষ, তাই কয়েকদিন বিশ্রাম নিব এবং বাসায় বসে পড়াশুনা করার ইচ্ছে রয়েছে।

বুবলী আরো জানান, ‘মনের মতো মানুষ পাইলাম না’ ছবিটি মুক্তি পাওয়ার পর নতুন কাজের পরিকল্পনা নিয়ে কথা বলবেন তিনি।

আরএম-১৪/২৭/০৭ (বিনোদন ডেস্ক, তথ্যসূত্র: মানবজমিন)

শারীরিক নানা ত্রুটি নিয়েও বিশ্বসুন্দরী হলেন বিদিশা

শারীরিক নানা

২১ বছর বয়সী বিদিশা ভারতের উত্তরপ্রদেশের মুজফ্ফরনগরের বাসিন্দা। ছোটবেলা থেকেই তিনি কানে শুনতে পান না। কথাও বলতে পারেন না ঠিকভাবে।

মূক-বধির হওয়ার জন্য ছোটবেলা থেকেই লড়াই করে বাঁচতে হয়েছে তাকে। বিদিশার এই শারীরিক ত্রুটিকে তিনি কোনও দিন স্বপ্নের চেয়ে বড় করে দেখেননি।

ছোট বিদিশার স্বপ্নগুলো কিন্তু ছোট্ট ছিল না। স্বপ্ন দেখতেন এক দিন মিস ওয়ার্ল্ড হবেন। কিন্তু কীভাবে সেই স্বপ্নকে সত্যি করা যায়? এ জন্য ছোটবেলা থেকেই বিভিন্ন ধরনের বিষয় নিয়ে চর্চা করতেন। আগ্রহ ছিল জানার।

তার সব থেকে বড় সঙ্গী ছিল বই। সুন্দরী প্রতিযোগিতাবিষয়ক বিভিন্ন ম্যাগাজিন বই বারবার পড়তেন। সময়, সুযোগ পেলেই দেখতেন টিভি।

ছোটবেলা থেকেই নাচ-গানের প্রতি ছিল ভীষণ আগ্রহ। মেয়ের উৎসাহ দেখে তার বাবা বিদিশাকে টেনিসে ভর্তি করে দেন। এটা ছিল তার স্বপ্নপূরণের প্রথম পদক্ষেপ। বিদিশাই প্রথম আন্তর্জাতিক স্তরের টেনিস প্রতিযোগিতায় (ডিফ অলিম্পিক) ভারতের হয়ে প্রতিনিধিত্ব করেছেন।

প্রথমে বাবা-মায়ের সঙ্গে মুজফ্ফরনগরে থাকতেন বিদিশা। কিন্তু পরে কোমরে আঘাত পাওয়ায় মুজফ্ফরনগর, টেনিস— সব ছেড়ে সপরিবারে নয়ডায় চলে আসেন। সেখানেই এশিয়ান অ্যাকাডেমি অব ফিল্ম অ্যান্ড টেলিভিশন ইনস্টিটিউশনে ভর্তি হন।

এরপর গুরুগ্রাম ও নয়ডায় সৌন্দর্য প্রতিযোগিতায় অংশ নেন। সেখান থেকেই জয়ী হয়ে ‘মিস ডিফ ওয়ার্ল্ড ২০১৯’ প্রতিযোগিতায় যান। গত ২২ জুলাই দক্ষিণ আফ্রিকার মোম্বেলা শহরে মূল পর্বে আরও ১১ জন প্রতিদ্বন্দ্বীর সঙ্গে তুখোড় লড়াইয়ের পর ‘মিস ডিফ ওয়ার্ল্ড ২০১৯’-এর মুকুট জিতে নেন বিদিশা।

ইনস্টাগ্রামে ছবি শেয়ার করে বিদিশা জানিয়েছেন, তার ‘তাণ্ডব নৃত্য’ দেখে মুগ্ধ হয়ে গিয়েছিলেন বিচারকেরা। বিদিশার তাল কিন্তু ‘বেতাল’ হয়নি। হিন্দু শাস্ত্রে ‘তাণ্ডব নৃত্য’কে শিবের তাণ্ডবলীলা বলে মনে করা হয়। ওইদিন বিদিশাকে দেখে মুগ্ধ হয়ে গিয়েছিলেন সবাই।

সোশ্যাল মিডিয়ায় অনেক ছবি শেয়ার করে বিদিশা সেখানে লিখেছেন, ‘এক দিন স্বপ্ন দেখেছিলাম। আজ সেই স্বপ্ন পূরণ হলো।’ মাথায় মুকুট তুলে দেয়ার সময় দু’চোখ জলে ভরে উঠেছিল।

তিনি লিখেছেন, ‘এই তো সবে শুরু। এখনও অনেক পথ চলতে হবে। সে জন্য আমি তৈরি।’

কবি রবার্ট ফ্রস্টকে উল্লেখ করে তিনি লিখেছেন, ‘মাইলস টু গো বিফোর আই স্লিপ’।

আন্তর্জাতিক স্তরে এই প্রতিযোগিতা শুরু হয় ২০০১ সাল থেকে। প্রতিযোগিতার আয়োজক ‘মিস অ্যান্ড মিস্টার ডিফ ওয়ার্ল্ড’। এটি একটি অলাভজনক সংস্থা। শুরুর বছরে প্রতিযোগিতাটি হয়েছিল স্পেনের ম্যালোরকাতে।

আরএম-১৩/২৭/০৭ (বিনোদন ডেস্ক)

নিরাপত্তাহীনতার কারণেই সংখ্যালঘুরা দেশত্যাগে বাধ্য হন?

ডনাল্ড ট্রাম্পের কাছে প্রিয়া সাহার একটি বক্তব্য ঘিরে হঠাৎ করেই বাংলাদেশের উত্তাপ ছড়িয়েছে৷ আসলে কত সংখ্যালঘু স্বাধীনতার পর দেশে ছেড়েছেন বা নিরুদ্দেশ হয়েছেন, তার সঠিক পরিসংখ্যান না মিললেও সংখ্যাটা যে অনেক সেটা নিশ্চিত৷

হিন্দু-বৌদ্ধ-খ্রিষ্টান ঐক্য পরিষদের সাধারণ সম্পাদক আইনজীবী রানা দাশগুপ্ত সংবাদ মাধ্যমকে বলছেন কোনো দেশের কোনো নাগরিক স্বেচ্ছায় নিজের দেশত্যাগ করে না৷ যাচ্ছে নিরাপত্তাহীনতার কারণে৷ চাকরি বা অন্য কোনো কারণে গেলে দেখা যায়, অনেকেই অ্যামেরিকায় থাকেন, কিন্তু বারিধারায় তার একটা বাড়ি আছে৷ নিরাপত্তাহীনতার কারণেই মূলত সংখ্যালঘুরা দেশত্যাগে বাধ্য হয়েছেন এবং হচ্ছেন৷

১৯৭০ সালের দিকে ১৯-২০ ভাগ জনগোষ্ঠী ছিল সংখ্যালঘুরা৷ ২০১১ সালে এসে সেটা হয়েছে ৯ দশমিক ৭ ভাগ৷ এখন পরিসংখ্যান ব্যুরো বলছে, ২ দশমিক ৩ ভাগ বেড়েছে৷ তাতেও ১২ শতাংশ হয়৷ এর অর্থ হল ৫ থেকে ৭ ভাগ জনগোষ্ঠী হারিয়ে গেছে৷ আমরা এটাকে বলছি, মিসিং পপুলেশন৷

প্রিয়া সাহার বক্তব্যকে পুঁজি করে আমরা অনেককেই ঘোলা জলে মাছ শিকারের চেষ্টা করতে দেখছি৷ আমরা এও দেখলাম, গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি তারাও প্রিয়া সাহার বক্তব্যকে পুঁজি করে সম্প্রদায় বিশেষকে মুখোমুখি দাঁড় করানোর চেষ্টা করছেন৷ এতে সংখ্যালঘুদের মধ্যে ভীতি ও আতঙ্ক আছেই৷ তবে প্রধানমন্ত্রীর লন্ডন থেকে যে নির্দেশনা, তাতে আমরা খানিকটা আস্বস্ত হতে পেরেছি৷

সত্তরের আগে পাকিস্তান সরকার সংখ্যালঘু নিঃস্বকরণ প্রক্রিয়া শুরু করেছিল৷ সেই প্রক্রিয়ার অংশ হিসেবে ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্টের পর যারা ক্ষমতায় এসেছে তারাও একই পলিসি নিয়েছে৷ এরশাদের পতনের দুই মাস আগেও ঘটনা ভিন্নখাতে নিতে সংখ্যালঘুদের উপর নির্যাতন চালানো হয়৷ ১৯৯২ সালে একটানা ২৭ দিন নির্যাতন হতে দেখেছি৷ ২০০১-২০০৬ পর্যন্ত নির্যাতন-নিপীড়ন-ধর্ষণ করা হয়েছে৷ ২০১১-২০১৪ পর্যন্তও নির্যাতন হয়েছে৷ বর্তমান সরকার বাজেটে ৬০ কোটি টাকা সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির জন্য বরাদ্দ রাখা হয়েছে৷ এটা আমাদের আশান্বিত করে৷

বাংলাদেশের সংবিধানে রাষ্ট্রধর্ম ও মৌলনীতি পুনস্থাপিত হয়েছে৷ এই সাম্প্রদায়িক রূপের মধ্যে ধর্মনিরপেক্ষতা আশা করা যায় না৷ বঙ্গবন্ধুর যে অসাম্প্রদায়িক বাংলাদেশের নীতি সেটা হতে হলে ৭২ সালের সংবিধানে ফিরে যেতে হবে৷

প্রথম কথা হচ্ছে, মাইনোরিটিদের স্বার্থ রক্ষা করবে তো আমার দেশ৷ আমার সংসদ৷ সেখানে সব দল মিলে৷ বিদেশিরা আমার স্বার্থ কিভাবে রক্ষা করতে পারে, সে বিষয়ে আমার কোন জানাশোনা নেই৷ এটা আমি মনেও করি না৷ জনগণের সমস্যা নিয়ে তো পার্লামেন্টেই আলোচনা হবে৷ বিদেশিরা আসলে কি করবেন, সে ব্যাপারে আমার কোন ধারণাও নেই৷

এটা আমার চোখে দৃশ্যমান নয়৷ এখনও আমি লক্ষ্য করছি, প্রিয়া সাহার বক্তব্যকে পুঁজি করে মহলবিশেষ ধর্মীয় উন্মাদনা তৈরী করে যাচ্ছেন৷ এবং একটি সংঘাতমূলক পরিস্থিতি তৈরী করার জন্য তারা প্রতিনিয়তই হুমকি দিয়ে চলেছেন৷ আর এর বিরুদ্ধে প্রশাসনে বা আইন শৃঙ্খলা কর্তৃপক্ষকে কোন ধরনের ভূমিকা নিতে আমরা দেখিনি৷

এসএইচ-০৪/২৭/১৯ (সমীর কুমার দে, ডয়চে ভেলে) 

৬ লক্ষণে বুঝবেন পিত্তথলিতে পাথর

৬ লক্ষণে

পিত্তথলির পাথর রোগে নারীদের সবচেয়ে বেশি আক্রান্ত। সাধারণত ওপরের পেটের ডান দিকে তীব্র ব্যথা, জ্বর, বমি এই রোগের লক্ষণ।

পিত্তথলিতে পাথরের লক্ষণের বিষয়ে একটি বেসকারি টেলিভিশনের এক সাক্ষাতকারে গুরুত্বপূর্ণ তথ্য জানিয়েছেন সলিমুল্লাহ মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালের সার্জারি বিভাগের ইউনিটপ্রধান ও অধ্যাপক হিসেবে কর্মরত সালমা ইয়াসমীন চৌধুরী।

আসুন জেনে নেই যেসব লক্ষণে বুঝবেন পিত্তথলির পাথর।

১. ওপরের পেটের ডান দিকে তীব্র ব্যথা ডান কাঁধে ছড়ায় এবং রোগীর বমি হয়।

২. অনেক সময় কাঁপুনি দিয়ে জ্বর আসতে পারে। এ লক্ষণ দেখা দিলে চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে।

৩. তৈলাক্ত খাবার, চর্বি জাতীয় খাবার বা মাংস খেলে এ রকম ব্যথা হতে পারে। তবে গ্যাসের ওষুধ খেলে এটি ভালো হয়ে যায়।

৪. মধ্য পেটে ব্যথা হয়। মধ্য পেটে ব্যথা হয়ে একেবারে পেছন দিকে চলে যায়।

৫. জ্বরের সঙ্গে বমি হতে পারে। রোগী এ ক্ষেত্রে টক্সিক হয়ে যেতে পারে।

৬. জ্বরের সঙ্গে জন্ডিস হতে পারে। এ ক্ষেত্রে যা হয় তা হলো পাথর হয়তো পিত্তনালিতে চলে গেছে। সে জন্য জ্বর হয়ে কোলেনজাইটিস নিয়ে আসতে পারে।

এসব লক্ষণ দেখা দিলে অবশ্যই ডাক্তারের কাছে যাবেন।

আরএম-১২/২৭/০৭ (লাইফস্টাইল ডেস্ক)

কিশোরগঞ্জে ট্রাক-অটোরিকশা সংঘর্ষে চালক ও নারীসহ নিহত ৪

কিশোরগঞ্জের পাকুন্দিয়ায় ট্রাকের সঙ্গে মুখোমুখি সংঘর্ষে সিএনজিচালিত অটোরিকশার চালক ও এক নারীসহ ৪ জন নিহত হয়েছেন।

শনিবার সকাল সোয়া ৮টার দিকে উপজেলার বুরুদিয়া ইউনিয়নের মান্দারকান্দি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের সামনে মঠখোলা-কটিয়াদী সড়কে এই দুর্ঘটনা ঘটে।

দুর্ঘটনায় ঘটনাস্থলেই মারা যান সিএনজিচালক শরীফ (৩৫) এবং মঠখোলা বাজারের জুতা ব্যবসায়ী খোকন মিয়া (২৮)। নিহত অপর দুইজন হলেন- রাজিয়া খাতুন (৭৫) ও অহিদ মিয়া (৩৮)।

সিএনজিচালক শরীফ পাকুন্দিয়া উপজেলার নগরহাজরাদী গ্রামের সিরাজ মিয়ার ছেলে, খোকন মিয়া উপজেলার চামরাইদ গ্রামের হাদিউল ইসলামের ছেলে, অহিদ মিয়া উপজেলার মেরাতলা গ্রামের সিরাজ মিয়ার ছেলে এবং রাজিয়া খাতুন কাপাসিয়া উপজেলার আড়ালিয়া গ্রামের মৃত ইসহাক মিয়ার স্ত্রী।

পুলিশ জানায়, পাথরবোঝাই ট্রাকটি সিলেট থেকে গাজীপুরের দিকে যাচ্ছিল। অন্যদিকে সিএনজিচালিত অটোরিকশাটি মঠখোলা বটতলা থেকে যাত্রী নিয়ে কটিয়াদী যাচ্ছিল। মান্দারকান্দি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের সামনে ট্রাকটি সিএনজিকে চাপা দেয়। এতে সিএনজিটি দুমড়ে-মুচড়ে যায় এবং ঘটনাস্থলেই সিএনজিচালক শরীফ এবং মঠখোলা বাজারের জুতা ব্যবসায়ী খোকন মিয়ার মৃত্যু হয়।

এছাড়া সিএনজিতে থাকা বাকি চার যাত্রীর মধ্যে রাজিয়া খাতুন ও অহিদ মিয়া নামে দুই যাত্রী গুরুতর আহত হন। তাদের উদ্ধার করে হাসপাতালে নেয়ার পর কটিয়াদী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে রাজিয়া খাতুন এবং ঢাকায় নিয়ে যাওয়ার পথে অহিদ মিয়ার মৃত্যু হয়।

আহুতিয়া পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের ইনচার্জ পরিদর্শক মু. শফিকুল ইসলাম জানান, চালকসহ ঘাতক ট্রাকটি আটক করা হয়েছে। এ ব্যাপারে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।

বিএ-০৮/২৭-০৭ (আঞ্চলিক ডেস্ক)