ভোর ৫:৩১
বুধবার
৮ ই মে ২০২৪ ইংরেজি
২৪ শে বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
২৯ শে শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী
spot_img

নারী সহকর্মীকে হয়রানির অভিযোগে বরখাস্ত

২০১৮ সালে ইতালিতে মিশনের প্রধান হিসেবে দায়িত্ব পালনকালে একজন নারী কর্মকর্তাকে হয়রানির অভিযোগে রোববার (১৫ মে) একজন পাকিস্তানি কূটনীতিককে বিদেশি পরিষেবা থেকে বরখাস্ত করা হয়েছে। খবর হিন্দুস্তান টাইমস।

অভিযোগে নারী সহকর্মী বলেন, তিনি ২০১৮ সালে নাদিম রিয়াজের নেতৃত্বে ইতালিতে পাকিস্তানি মিশনে কাজ করছিলেন। তিনি দাবি করেন, সিনিয়র কূটনীতিক তাকে অন্যান্য দেশের অন্যান্য শহরে যেতে বলেছিলেন, যা তার কাজের প্রোফাইলের সঙ্গে সম্পর্কিত ছিল না।

হয়রানির বিরুদ্ধে সুরক্ষার জন্য পাকিস্তানের ফেডারেল ন্যায়পাল, কাশমালা তারিক ওই কর্মকর্তার বিরুদ্ধে হয়রানির অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ার পর তাকে বরখাস্ত করার আদেশ দেন। তাকে ৫০ লাখ পাকিস্তানি রুপি জরিমানাও করা হয়েছে, যা অভিযোগকারীকে দেওয়া হবে।

তিনি আরও অভিযোগ করেন, রাষ্ট্রদূত তাকে তার অফিশিয়াল বাসভবনের কাছে তার বাসভবন রাখতে বাধ্য করেছিলেন। বর্তমানে রিয়াজ চাকরি থেকে অবসর নিয়ে ইনস্টিটিউট অব রিজিওনাল স্টাডিজের সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। পাকিস্তানের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের একটি থিঙ্ক ট্যাঙ্ক বলেছে, ওই কূটনীতিক সেই নারীকে দৈনিক ভিত্তিতে তার গল্প শুনতে বাধ্য করেছিলেন, যার মধ্যে আপত্তিকর বিষয়বস্তু ছিল।

পাকিস্তানের আরেকটি ওয়েবসাইটের তথ্যানুযায়ী ওই নারী অভিযোগ করেন, তিনি তার বসের মাধ্যমে অপমানিত হয়েছেন এবং তিন বছরের মেয়াদ শেষ হওয়ার আগেই পাকিস্তানে ফিরে যেতে বাধ্য হয়েছেন।

পাকিস্তানের ওয়েবসাইট জানিয়েছে, ন্যায়পালরা সিদ্ধান্তের একটি অনুলিপি সাত দিনের মধ্যে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছেন।

এসএইচ-১৫/১৬/২২ (অনলাইন ডেস্ক)

‘স্ত্রী দিবস’ পালনের দাবি

আন্তর্জাতিক ‘স্ত্রী দিবস’ পালনের দাবি জানিয়েছেন ভারতের সামাজিক ন্যায়বিচার প্রতিমন্ত্রী রামদাস বান্দু আথাওলি।

মা দিবসের পাশাপাশি সবাই যাতে স্ত্রী দিবসও পালন করেন সেই আহ্বান জানিয়েছেন তিনি।

রোববার মহারাষ্ট্রের স্যাংলিতে একটি অনুষ্ঠানে বক্তব্য দেয়ার সময় তিনি এমন কথা বলেন। দিল্লিভিত্তিক টেলিভিশন চ্যানেল এনডিটিভি এমন খবর দিয়েছে।

তিনি বলেন, মা সন্তান জন্ম দিয়ে লালন করেন। আবার স্বামীদের খারাপ ও ভালো সময়ে তার পাশে থাকেন স্ত্রীরা। স্বামীদের প্রতিটি ক্ষেত্রে স্ত্রীদের অবদান অবশ্যম্ভাবী।

তিনি বলেন, পুরুষের প্রতিটি সফলতার পেছনে নারীদের অবদান আছে। কাজেই আমাদের উচিত স্ত্রী দিবস পালন করা।

মে মাসের দ্বিতীয় রোববারে আন্তর্জাতিক মা দিবস পালন করা হয়।

এসএইচ-১৪/১৬/২২ (অনলাইন ডেস্ক)

ত্রিপুরার নতুন মুখ্যমন্ত্রীর পৈতৃক ভিটা ব্রাহ্মণবাড়িয়ায়

ত্রিপুরার নতুন মুখ্যমন্ত্রী ডা. মানিক সাহার পৈতৃক ভিটা ব্রাহ্মণবাড়িয়া শহরের কাজীপাড়া এলাকায় বইছে আনন্দ-উচ্ছ্বাস। শহরের কাজীপাড়ার পুকুরপাড়ে মুখ্যমন্ত্রীর পিতা মাখন লাল সাহার পৈতৃক বাড়ি। এ বাড়িতে বসবাসরত বাসিন্দারা আনন্দের পাশাপাশি আবেগও প্রকাশ করেন।

বাড়িটিতে মুখ্যমন্ত্রীর পরিবার বা আত্মীয়দের কেউ থাকেন না। ভারতভাগের আগেই মুখ্যমন্ত্রীর পিতা মাখন লালের বন্ধু আগরতলার নূর মিয়া মালদারের সঙ্গে বিনিময় করে আগরতলায় চলে যান। এমনটিই জানিয়েছেন নূর মিয়ার ছেলে শরিফুল ইসলাম মালদার।

বাড়িটির সেদিনের পুরোনো ঘরটি এখনো রয়েছে। তবে এতে এখন ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান। বাড়ির উঠান ও বাগান সবখানেই বসতঘর। সম্মুখভাগে দোকান। ওপর থেকে বাড়ির পুরোনো ঘরটি দেখিয়ে দিয়েছেন কাজিপাড়া পুকুরপাড়ের বাসিন্দা রাজিব সাহা টিংকু।

পাড়ার প্রবীণ ব্যক্তি ব্যবসায়ী রমন সাহা বলেন, মাখন লাল সাহার বাড়িতে দুর্গাপূজা হতো। তিনি কাজীপাড়ার বাড়ি ছেড়ে আগরতলায় যাওয়ার পরও পূজার সময় আসতেন। পরবর্তী সময়ে তার ছেলেরাও আসতেন। এ বাড়িতে তাদের কেউ না থাকলেও এখনো মাঝে মাঝে স্বজনরা বাড়িটি দেখতে আসেন।

বাড়িটির বর্তমান বাসিন্দা ব্যবসায়ী শরিফুল ইসলাম মালদার বলেন, ‘আমার পৈতৃক ভিটা আগরতলা শহরের পুরোনো জেলখানা এলাকায়, যেখানে ত্রিপুরার বর্তমান মুখ্যমন্ত্রী মানিক সাহার জন্ম। আর মানিক সাহার পৈতৃক এ বাড়িতে আমার জন্ম। এদিক থেকে আমাদের সম্পর্ক আত্মার আত্মীয়ের। আর এ কারণেই ভারত থেকে পাকিস্তান ও পাকিস্তান থেকে বাংলাদেশ হওয়ার পরও এখন পর্যন্ত আমাদের বাড়ির বিদ্যুৎ বিল মাখন লাল সাহার নামে রয়েছে। বন্ধুর স্মৃতি হিসেবে বিদ্যুৎ বিল তার নামে পরিবর্তন না করার জন্য নির্দেশ ছিল আমার বাবার।’

তিনি আরও বলেন, ‘আমাদের প্রিয় কাকা মাখন লাল সাহার ছেলে, আমার ভাই ত্রিপুরার মুখ্যমন্ত্রী হওয়ায় আমরা বেশ খুশি।’ তার কথায়, ‘কয়েক মাস আগেও মাখন কাকার ছেলেরা আমাদের বাড়ি এসেছিলেন। আমাদের খোঁজ নিয়েছেন। বাবার সময় থেকেই আমাদের মধ্যে আত্মীয়ের সম্পর্ক, যা এখনো আছে।’

স্মৃতিচারণা করতে গিয়ে শরিফুল জানান, তার বাবা নূর মিয়া মালদার ব্রাহ্মণবাড়িয়া সরকারি কলেজে পড়তেন। থাকতেন কাজীপাড়া কিবরিয়া মহলে। তখন ব্রাহ্মণবাড়িয়াও ত্রিপুরার অংশ ছিল। কাজীপাড়ায় থাকাকালে মাখন লাল সাহার সঙ্গে তার বন্ধুত্ব হয়। দেশভাগের সময় পরিস্থিতি পরিবর্তিত হতে থাকে। তখন দুই বন্ধু একে অপরের বাড়ি বিনিময় করেন। সেই থেকে তারা ব্রাহ্মণবাড়িয়ার কাজীপাড়ার বাসিন্দা। আর তাদের আগরতলার বাড়ির বাসিন্দা মাখন লাল সাহা।

বাড়ির বিদ্যুৎ বিলে মাখন লাল সাহার নাম দেখিয়ে শরিফুল বলেন, ‘প্রতি মাসেই বিদ্যুৎ বিল আসে। তখন মাখন কাকাকে স্মরণ করি। সেই সঙ্গে বাবার কথাও স্মরণ হয়। বাবার কথায় বিদ্যুৎ বিল থেকে মাখন লাল সাহার নাম পরিবর্তন হয়নি। আমিও আমার ছেলেদের বলেছি, এই নামটি পরিবর্তন না করতে।’

আবেগাপ্লুত শরিফুল ত্রিপুরার নতুন মুখ্যমন্ত্রীর মানিক সাহার সাফল্য কামনা করেন।

এসএইচ-১৩/১৬/২২ (আঞ্চলিক ডেস্ক)

টাকা না দেওয়ায় মাদক মামলার আসামি করার অভিযোগ

রাঙামাটিতে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের ইনচার্জ ও এসআইয়ের বিরুদ্ধে টাকা না দেওয়ায় আসামি করার অভিযোগ করেছেন এক দম্পতি। সোমবার শহরের কলেজগেট এলাকায় সংবাদ সম্মেলনে এ অভিযোগ তোলেন রুবি বেগম ও তার স্বামী মাহবুব আলম।

লিখিত বক্তব্যে রুবি বেগম অভিযোগ করে বলেন, ‘আমার প্রথম সংসারের ছেলে ইনিছুল হক শামীমকে গত ১৪ মে শনিবার ইয়াবাসহ মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদফতরের কর্মকর্তারা আটক করেন।

পরে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অফিসের ইনচার্জ শিবনাথ কুমার সাহা ও এসআই লিটন নন্দী আমার কাছে ২০ হাজার টাকা দাবি করেন। আমি টাকা দিতে অস্বীকৃতি জানালে তারা আমার স্বামী মাহবুবকে দুই নম্বর আসামি করার হুমকি দেন। আমরা গরিব মানুষ, টাকা দিতে না পারায় পরবর্তী সময়ে আমার স্বামীকে দুই নম্বর আসামি হিসেবে মামলায় অন্তর্ভুক্ত করে।’

তিনি অভিযোগ করে বলেন, ‘শুধু টাকার জন্য আমার স্বামীকে আসামি করা হয়েছে। মাদকের সঙ্গে আমার স্বামী জড়িত নন। তিনি কলেজগেট এলাকায় মৌসুমি ফল বিক্রি করে সংসার চালান।

মাদকদ্রব্য অফিসার আমাদের ফোন করে অফিসে ডেকেছেন তার তথ্য-প্রমাণাদিও আমাদের কাছে আছে। অফিসে যাওয়ার পর তিনি আমাদের কাছে টাকা দাবি করেন।’ এই হয়রানি থেকে মুক্তির জন্য তিনি প্রশাসনের হস্তক্ষেপ দাবি করেন।

রাঙামাটি মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অফিসের ইনচার্জ শিবনাথ কুমার সাহা অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, এটা সম্পূর্ণ মিথ্যা ও বানোয়াট। আসামি শামীম জিজ্ঞাসাবাদে মাহবুবের নাম বলে। এর আগেও মাহবুবের নামে মামলা রয়েছে।

এসএইচ-১২/১৬/২২ (আঞ্চলিক ডেস্ক)

দেশের ৬৪ জেলার বিখ্যাত যত খাবার

আমরা বাঙালিরা জন্মলগ্ন থেকেই ভোজনরসিক। সেখানে ভ্রমণপিপাসু মানুষ ভোজনরসিক হবে না তা কি করে হয়! তাছাড়া ঘোরার সাথে খাওয়ার একটা সম্পর্ক আছে। কেউ কেউ তো শুধু খাইতেই বিভিন্ন জায়গায় ঘুরতে যায়। কথায় আছে না, পেট ঠান্ডা তো দুনিয়া ঠান্ডা। বাংলাদেশের মানুষ যেখানেই যান না কেন সেখানকার বিখ্যাত খাবার তাদের না খেলে চলে নাকি! ভ্রমণটাই যেনো অপূর্ণ থেকে যায়।

বাংলাদেশের প্রত্যেকটি জেলায় রয়েছে নিজস্ব কিছু খাবার; যেগুলোর সুনাম ও খ্যাতি ছড়িয়ে পড়েছে দেশ-বিদেশে। যেমন, চট্টগ্রামের মেজবানি মাংস। আপনার জানা থাকলে নিশ্চয়ই চট্টগ্রাম গেলে এই খাবারের আসল স্বাদ না নিয়ে ফিরতে চাইবেন না।

বলা হচ্ছে দেশের ৬৪ জেলার বিখ্যাত খাবারগুলোর নাম সম্পর্কে। যাতে কখনো কোনো জেলায় গেলে সেখানকার বিখ্যাত সেসব খাবারের স্বাদ নিয়ে ফিরতে পারেন।

ঢাকা বিভাগ

ঢাকা জেলা: বাকরখানি, বিরিয়ানি

নরসিংদী জেলা: সাগর কলা
ফরিদপুর জেলা: খেজুরের গুড়
গোপালগঞ্জ জেলা: রসগোল্লা ও ছানার জিলাপি
মাদারীপুর জেলা: খেজুর গুড়, রসগোল্লা
শরীয়তপুর জেলা: বিবিখানা পিঠা
রাজবাড়ী জেলা: চমচম, খেজুরের গুড়
গাজীপুর জেলা: কাঁঠাল, পেয়ারা
মানিকগঞ্জ জেলা: খেজুর গুড়, চাষ করা সরিষা ফুলের মধু
মুন্সীগঞ্জ জেলা: ভাগ্যকুলের মিষ্টি
নারায়ণগঞ্জ জেলা: রসমালাই
টাঙ্গাইল জেলা: চমচম
কিশোরগঞ্জ জেলা: বালিশ মিষ্টি

আরও পড়ুন: রংপুরের ঐতিহ্যবাহী খাবার ‘ডিম তেলানি’ তৈরি করবেন যেভাবে

চট্টগ্রাম বিভাগ

বান্দরবান জেলা: হিল জুস, তামাক
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা: তালের বড়া, ছানামুখী, রসমালাই
চাঁদপুর জেলা: ইলিশ
চট্টগ্রাম জেলা: মেজবান, শুটকি
কুমিল্লা জেলা: রসমালাই
কক্সবাজার জেলা: মিষ্টিপান
ফেনী জেলা: মহিষের দুধের ঘি, খন্ডলের মিষ্টি
খাগড়াছড়ি জেলা: হলুদ
লক্ষীপুর জেলা: সুপারি
নোয়াখালী জেলা: নারকেল নাড়ু, ম্যারা ও খোলাজা পিঠা
রাঙামাটি জেলা: আনারস, কাঁঠাল, কলা

খুলনা বিভাগ

যশোর জেলা: খই, খেজুরের গুড়, জামতলার মিষ্টি
খুলনা জেলা: সন্দেশ, নারিকেল, গলদা চিংড়ি
বাগেরহাট জেলা: চিংড়ি, সুপারি
চুয়াডাঙ্গা জেলা: পান, তামাক, ভুট্টা
ঝিনাইদহ জেলা: হরি ও ম্যানেজারের ধান
কুষ্টিয়া জেলা: তিলের খাজা
মাগুরা জেলা: রসমালাই
মেহেরপুর জেলা: মিষ্টি সাবিত্রি ও রসকদম্ব
নড়াইল জেলা: পেড়ো সন্দেশ, খেজুর গুড় ও রস
সাতক্ষীরা জেলা: সন্দেশ

সিলেট বিভাগ

সিলেট জেলা: চা, কমলালেবু, সাতকড়ার আচার
হবিগঞ্জ জেলা: চা
সুনামগঞ্জ জেলা: দেশবন্ধুর মিষ্টি
মৌলভীবাজার জেলা: ম্যানেজার স্টোরের রসগোল্লা, খাসিয়া পান

বরিশাল বিভাগ

বরগুনা জেলা: চুইয়া পিঠা, চ্যাবা পিঠা, মুইট্টা পিঠা, আল্লান, বিসকি
বরিশাল জেলা: আমড়া
ঝালকাঠি জেলা: আটা
পিরোজপুর জেলা: পেয়ারা, নারিকেল, সুপারি, আমড়া
পটুয়াখালী জেলা: মহিষের দই
ভোলা জেলা: নারিকেল, দই

ময়মনসিংহ বিভাগ

ময়মনসিংহ জেলা: মুক্তাগাছার মন্ডা
জামালপুর জেলা: ছানার পোলাও ও পায়েস
শেরপুর জেলা: ছানার পায়েস ও চপ
নেত্রকোনা জেলা: বালিশ মিষ্টি

আরও পড়ুন: সস্তায় ৫ স্বাস্থ্যকর খাবার

রংপুর বিভাগ

রংপুর জেলা: তামাক, ইক্ষু
ঠাকুরগাঁও জেলা: সূর্যপুরী আম
পঞ্চগড় জেলা: ডিম ভূনা
নীলফামারী জেলা: ডোমারের সন্দেশ
লালমনিরহাট জেলা: রস
কুড়িগ্রাম জেলা: চমচম
গাইবান্ধা জেলা: রসমঞ্জরি
দিনাজপুর জেলা: লিচু, কাটারিভোগ চাল, চিড়া

রাজশাহী বিভাগ

রাজশাহী জেলা: আম
সিরাজগঞ্জ জেলা: পানিতোয়া
পাবনা জেলা: ঘি
চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলা: আম, শিবগঞ্জের চমচম, কালাইয়ের রুটি
বগুড়া জেলা: দই
নাটোর জেলা: কাঁচাগোল্লা, বনলতাসেন
জয়পুরহাট জেলা: চটপটি
নওগাঁ জেলা: চাল, সন্দেশ

এসএইচ-১১/১৬/২২ (অনলাইন ডেস্ক)

রানি দ্বিতীয় এলিজাবেথের না জানা কথা

ইংল্যান্ডের রানি দ্বিতীয় এলিজাবেথ বিশ্বের অন্যতম ক্ষমতাধর ব্যক্তি। তার কাছে এমন বিশেষ ক্ষমতা রয়েছে, যা সাধারণ মানুষের কল্পনার বাইরে। তিনি এমন কিছু সুবিধা ভোগ করেন, যা অন্য দেশের প্রেসিডেন্ট কিংবা প্রধানমন্ত্রীর ক্ষেত্রেও প্রযোজ্য নয়।

গাড়ি চালানোর জন্য তার কোনো ড্রাইভিং লাইসেন্সের প্রয়োজন হয় না। এমনকি পৃথিবীর যেকোনো দেশে পাসপোর্ট ছাড়াই তিনি ভ্রমণ করতে পারেন। অর্থের জন্য তার কাছে সবসময় থাকে প্রাইভেট ক্যাশ মেশিন। আরও একটি বিস্ময়কর বিষয় হলো, রানির বিরুদ্ধে কেউ কখনো মামলা করতে পারবেন না। এমনকি তার কখনো ট্যাক্সও দিতে হয় না।

যুক্তরাজ্যের পাশাপাশি কানাডা, অস্ট্রেলিয়া, নিউজিল্যান্ড ছাড়াও ১১টি দেশের ‘হেড অব স্টেট’ও রানি দ্বিতীয় এলিজাবেথ। তবে শুধু সুযোগ-সুবিধা নয়, রানি হওয়ার সুবাদে তার কিছু সীমাবদ্ধতাও রয়েছে। এমন অনেক বিষয় রয়েছে, যেগুলো সাধারণ মানুষ অনায়াসে করতে পারলেও রানির ক্ষেত্রে তা নিষিদ্ধ। চলুন, একনজরে জেনে নেওয়া যাক রানি এলিজাবেথের এমন কিছু ব্যতিক্রমী বিষয় সম্পর্কে।

১. প্যালেসের ভেতরে কিংবা ক্যামেরার বাইরে একসঙ্গে থাকলেও জনসম্মুখে ও ক্যামেরার সামনে স্বামীর সঙ্গে রানি এলিজাবেথের হাঁটা নিষেধ। জনসম্মুখে স্বামীর থেকে দুই কদম আগে চলতে হয়।

২. রানি এলিজাবেথের ক্ষেত্রে কোনো ডিনার বা পার্টিতে খাওয়ার সময় কথা বলা নিষেধ। যদি তিনি কথা বলতে চান, তাহলে তার ডান পাশের অতিথি কারও সঙ্গে কথা বলা শুরু করতে হবে।

৩. রানির পক্ষ থেকে কোনো পার্টি রাখা হলে সেখানে কখনো ১৩ জন অতিথি থাকতে পারবেন না। ১৩ জনের কম অথবা বেশি হলে সমস্যা নেই।

৪. একজন সেলিব্রিটির চেয়ে কোনো অংশে কম নন। কিন্তু তিনি কখনো অটোগ্রাফ দিতে পারবেন না। শুধু তিনি নন, রাজপরিবারের কারও ক্ষেত্রেই এটি প্রযোজ্য নয়।

৫. রানি কখনো তার রাজনৈতিক মতাদর্শ প্রকাশ করতে পারেন না। কোনো রাজনৈতিক দলকে সাপোর্ট করার কিংবা ভোট দেওয়ার অনুমতি তার নেই।

৬. রাজপরিবারের সদস্য হলেও তারা চাইলেই পছন্দমতো যেকোনো খাবার খেতে পারেন না। রানি এলিজাবেথসহ রাজপরিবারের সদস্যদের জন্য চিংড়ি, আদা, পেঁয়াজ, ট্যাপের পানি খাওয়া নিষেধ।

৭. আরেকটি মজার বিষয় হচ্ছে, হাতমোজা ছাড়া রানি কোথাও যেতে পারেন না। মূলত জীবাণু থেকে সুরক্ষার জন্যই রাজপরিবারের এই নিয়ম।

এসএইচ-১০/১৬/২২ (আন্তর্জাতিক ডেস্ক)

ভোটার তালিকা হালনাগাদ শুরু ২০ মে

নির্বাচন কমিশন (ইসি) ঘোষিত সময়সূচি অনুসারে আগামী ২০ মে থেকে দেশব্যাপী ভোটার তালিকা হালনাগাদ কার্যক্রম শুরু হচ্ছে।

তথ্য সংগ্রহ ও সুপারভাইজারের যাচাই কার্যক্রম ২০ মে থেকে পরবর্তী ৩ সপ্তাহ পর্যন্ত অথবা শুরুর তারিখের পরবর্তী ৩ সপ্তাহ ভোটারদের বাড়ি বাড়ি গিয়ে সংগ্রহ করা হবে।

ইসি সূত্র জানায়, প্রথম ধাপে ১৪০ উপজেলায় ভোটার তালিকা হালনাগাদ কার্যক্রমের তথ্য সংগ্রহ করা হবে। এরপর পর্যায়ক্রমে ছবি তোলা ও ভোটার নিবন্ধনের কার্যক্রম চলবে। অবশিষ্ট উপজেলা সমূহের সিনিয়র জেলা নির্বাচন অফিসার ও জেলা নির্বাচন অফিসার স্থানীয়ভাবে তথ্য সংগ্রহ ও নিবন্ধন কার্যক্রমের সময়সূচি নির্ধারণ করবেন।

এবার ভোটার হালনাগাদ কার্যক্রমে ২০০৭ সালের ১ জানুয়ারি বা তার আগে যাদের জন্ম তাদের এবং বিগত ভোটার তালিকা হালনাগাদ কার্যক্রমে যারা বাদ পড়েছেন তাদেরও নিবন্ধনের জন্য তথ্য সংগ্রহ করা হবে।

নির্বাচন কমিশন সচিবালয়ের যুগ্মসচিব এস এম আসাদুজ্জামান বলেন, বয়স ১৮ না হলেও জাতীয় পরিচয়পত্র দেওয়া হবে। যাদের বয়স ১৮ হয়নি, তাদের বয়স ১৮ বছর হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে স্বয়ংক্রিয়ভাবে ভোটার তালিকায় তাদের নাম যুক্ত হয়ে যাবে।

সূত্র জানায়, প্রথম ধাপে ১৪০ উপজেলায় জাতীয় পরিচয়পত্রের জন্য তথ্য সংগ্রহ শুরু হবে আগামী ২০ মে। এসব উপজেলায় তথ্য সংগ্রহ চলবে ৯ জুন পর্যন্ত। এরপর ১০ জুন থেকে শুরু হবে তাদের নিবন্ধন কার্যক্রম। ২১ জুলাইয়ের মধ্যে এ ধাপের নিবন্ধন কার্যক্রম শেষ হবে।

এরপর ধাপে ধাপে দেশের বাকি উপজেলাগুলোতেও ভোটারদের তথ্য সংগ্রহ ও নিবন্ধনের কার্যক্রম চলবে এ বছরের ২০ নভেম্বর পর্যন্ত।

ইসি সূত্র আরও জানায়, এবার নির্বাচন কমিশন নিয়োজিত তথ্য সংগ্রহকারীরা বাড়ি বাড়ি গিয়ে ভোটারের তথ্য নেওয়ার পর সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিকে নির্দিষ্ট কেন্দ্রে গিয়ে আঙুলের ছাপ, চোখের আইরিশ ও ছবি তুলে নিবন্ধন কার্যক্রম সম্পন্ন করবেন। এই কর্মসূচিতে ভোটার তালিকা থেকে মৃত ভোটারের নাম কেটে দেওয়া হবে এবং আবাসস্থল পরিবর্তনের কারণে ভোটার এলাকা স্থানান্তরের বিষয়েও কার্যক্রম চলবে।

এসএইচ-০৯/১৬/২২ (ন্যাশনাল ডেস্ক)

কাবিননামার জন্য ৩০ হাজার টাকা দাবি কাজির!

লালমনিরহাট সদর উপজেলার খুনিয়াগাছ ইউনিয়নের নিকাহ রেজিস্ট্রার (কাজী) আমিনুর রহমান ও তার ছোট ভাইয়ের বিরুদ্ধে কাবিননামা উত্তোলনের জন্য ৩০ হাজার টাকা দাবির অভিযোগ উঠেছে। বুধবার লালমনিরহাট জেলা প্রশাসক বরাবর এমন অভিযোগ করেন ভুক্তভোগী গৃহবধূ আফরোজা বেগম।

ঘটনাটি প্রকাশ্যে এলে সোমবার আফরোজা বেগম  জানান, ২০১৯ সালের ২৬ সেপ্টেম্বর লালমনিরহাট সদর উপজেলার খুনিয়াগাছ গ্রামের জহুদ্দীর ছেলে সুলতান মিয়ার সঙ্গে আড়াই লাখ টাকা দেনমোহরে আদিতমারী উপজেলার ভাদাই ইউনিয়নের আব্দুর রহিমের মেয়ে আফরোজা বেগমের বিয়ে হয়। বিয়ে নিবন্ধন করেন, খুনিয়াগাছ ইউনিয়নের নিকাহ রেজিস্ট্রার (কাজী) আমিনুর রহমানের ছোট ভাই লুৎফর রহমান। বিয়ের পর তাদের কোলজুড়ে আসে একটি পুত্রসন্তান।

এদিকে আফরোজা বেগমের স্বামী ও শ্বশুরবাড়ির লোকজন প্রায়ই আফরোজাকে বাবার বাড়ি থেকে যৌতুকের টাকা আনার জন্য চাপ দিয়ে আসছিলেন। এতে রাজি না হলে চালানো হয় শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন। সবশেষ গত ১৩ এপ্রিল আবারও আফরোজাকে তার বাবার কাছ থেকে ৫০ হাজার টাকা আনার জন্য বলেন তারা। এতে রাজি না হওয়ায় সন্তানকে রেখে তাকে এলোপাতাড়ি মারধর করে বাড়ি থেকে বের করে দেন।

এ ঘটনায় আফরোজা বেগম লালমনিরহাট সদর থানায় একটি অভিযোগ করলে পুলিশ আইনি ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য বিয়ের নকল (কাবিননামা) আনতে বলেন। পরে আফরোজার বাবা খুনিয়াগাছ ইউনিয়নের নিকাহ রেজিস্ট্রার আমিনুর রহমান ও তার ছোট ভাই লুৎফর রহমানের সঙ্গে যোগাযোগ করলে তারা নানাভাবে টালবাহানা করেন।

একপর্যায়ে তারা বলেন, ‘আপনার স্বামী বিয়ের নকল না দেওয়ার জন্য ৬০ হাজার টাকা খরচ করেছে। আপনাদের নকল লাগলে ৩০ হাজার টাকা দিতে হবে এবং এক মাস অপেক্ষা করতে হবে।’ উপায় না দেখে বিয়ের নকল (কাবিননামা) এবং বিষয়টি নিয়ে আইনি ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য জেলা প্রশাসক বরাবর অভিযোগ করেন গৃহবধূ আফরোজা।

লালমনিরহাট জেলা প্রশাসক (ডিসি) আবু জাফর সময় সংবাদকে বলেন, নিকাহ রেজিস্ট্রারের বিরুদ্ধে অভিযোগ পেয়েছি। বিষয়টি তদন্তের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। এ বিষয়ে দ্রুত প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

এসএইচ-০৮/১৬/২২ (উত্তরাঞ্চল ডেস্ক)

আরও তিন পণ্যের দাম বেড়েছে

কিছুই যেন বাদ থাকছে না। বাজারে প্রতিটি পণ্যের দাম বেড়েছে উল্লেখযোগ্য হারে। এবার সেই তালিকায় যুক্ত হলো নিত্যব্যবহার্য পণ্য সাবান, শ্যাম্পু ও টুথপেস্ট।

বাজার ও বিপণনকারী কোম্পানিগুলোর তথ্য পর্যালোচনা করে দেখা যায়, ঈদের আগে গুঁড়া সাবানের কেজি ছিল ১৪০ টাকা। এখন তা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১৫০ টাকা।

অন্যদিকে ১২৫ গ্রাম কাপড় কাঁচা সাবানের দাম ছিল ২২ টাকা। এখন বেড়ে হয়েছে ২৫ টাকা। ২৫০ গ্রাম থালাবাসন ধোয়ার সাবান ৬০ টাকা থেকে বেড়ে হয়েছে ৬৫ টাকা। ১০০ গ্রাম সুগন্ধি সাবেনরও দাম বেড়েছে ২ টাকা। আগে ৪০ টাকায় বিক্রি হলেও এখন দাম হয়েছে ৪২ টাকা।

এছাড়াও ১৮০ মিলি শ্যাম্পুর দাম বেড়ে ১৮০ টাকা থেকে বেড়ে হয়েছে ২০০ টাকা। দাম বেড়েছে টুথপেস্টেরও। আগে ৪৫ গ্রাম টুথপেস্ট পাওয়া যেত ৪২ টাকায়। এখন সেটি কিনতে হচ্ছে ৪৫ টাকায়।

বাজার ঘুরে দেখা গেছে, কোম্পানির প্রতিনিধিরা নতুন দামের পণ্য বাজারে সরবরাহ করতে শুরু করেছেন। অবশ্য বেশির ভাগ দোকানে আগের দামের পণ্য বিক্রি হচ্ছে। পুরনো ও নতুন সরবরাহ করা পণ্যের মোড়কে লেখা দামের তুলনা করে এবং বিপণনকারী কোম্পানির সঙ্গে কথা বলে বাড়তি দামের চিত্র পাওয়া গেছে।

বিশ্ববাজারে কাঁচামালের মূল্যবৃদ্ধি, পণ্যের ঘাটতি, জাহাজভাড়া বৃদ্ধি, দেশে পরিবহন খরচ বেড়ে যাওয়া এবং ডলারের বিপরীতে টাকার অবমূল্যায়নের কারণে কাঁচামাল আমদানি খরচ ও উৎপাদন ব্যয় অনেক বেড়েছে। এ কারণে মূল্য সমন্বয় ছাড়া আর উপায় ছিল না বলে জানিয়েছেন কোম্পানি সংশ্লিষ্ট কর্তাব্যক্তিরা।

এদিকে নিত্যব্যবহার্য পণ্য কিনতে ক্রেতাদের হিমশিম খেতে হচ্ছে। উত্তর বড্ডা মুদি দোকানে পণ্য কিনতে আসেন হানিফ আজগর নামে এক ব্যক্তি।

তিনি বলেন, প্রতিদিন কিছু না কিছুর দাম বাড়ছে। একটা জিনিস দেখাতে পারবেন না যেটির দাম কমেছে। এভাবে বেঁচে থাকাটা আমাদের মতো মধ্যবিত্তদের জন্য কঠিন হয়ে দাঁড়িয়েছে।

এসএইচ-০৭/১৬/২২ (ন্যাশনাল ডেস্ক, সূত্র : সময়)

ম্যাথিউসের ব্যাটিংয়ে ৩৯৭ রানে শেষ শ্রীলঙ্কা

বাংলাদেশ-শ্রীলঙ্কা টেস্টের দ্বিতীয় দিনেও বুক চিতিয়ে লড়েছেন ৩৫ বছর বয়সী অ্যাঞ্জেলো ম্যাথিউস। টেল এন্ডারদের সঙ্গে নিয়ে শ্রীলঙ্কাকে বড় সংগ্রহ এনে দিয়েছেন তিনি। সবকয়টি উইকেট হারিয়ে ৩৯৭ রানে অলআউট হওয়া শ্রীলঙ্কার মতোই অল্পের জন্য ম্যাথিউস মিস করেছেন ডাবল সেঞ্চুরি। বাংলাদেশের অফস্পিনার নাঈম হাসান পেয়েছেন ৬ উইকেট। ব্যাটিংয়ে নেমে দিন শেষে বিনা উইকেটে ৭৬ রান তুলে দিনটি নিজের করে নিয়েছে বাংলাদেশ।

বাংলাদেশ বনাম শ্রীলঙ্কা প্রথম টেস্টের দ্বিতীয় দিনে শ্রীলঙ্কা অলআউট হয়েছে ৩৯৭ রানে। দলের পক্ষে সর্বোচ্চ ১৯৯ রান করেন অ্যাঞ্জেলো ম্যাথিউস।

বাংলাদেশের পক্ষে নাঈম হাসান ১০৫ রানের বিনিময়ে পেয়েছেন ৬ উইকেট। তিনটি উইকেট পেয়েছেন সাকিব।

দ্বিতীয় দিনে ব্যাট করতে নেমে তামিম ইকবাল ও মাহমুদুল হাসান জয় ভালো সূচনা এনে দিয়েছেন বাংলাদেশকে। দিনের বাকি ১৯ ওভার ব্যাট করে বাংলাদেশের সংগ্রহ বিনা উইকেটে ৭৬ রান। তামিম ইকবাল অপরাজিত আছেন ৩৫ রানে। জয় ব্যাট করছেন ৩১ রান নিয়ে।

এর আগে শ্রীলঙ্কা দলের সামনে ৪০০ রান যখন বাস্তবতা, তখনই উড়িয়ে মারতে গিয়ে সাকিব আল হাসানের হাতে ধরা পড়েন অ্যাঞ্জেলো ম্যাথিউস। ১৯৯ রানে আউট হয়ে অল্পের জন্য পেলেন না ডাবল সেঞ্চুরি। তবে বাংলাদেশের জন্য আনন্দের উপলক্ষ্য হয়ে এলো নাঈম হাসানের ৬ উইকেট। টেস্ট ক্যারিয়ারে তৃতীয়বারের মতো ইনিংসে ৫ উইকেট পান তিনি।

এদিকে মধ্যাহ্নবিরতির আগে জোড়া আঘাত হেনে টাইগার শিবিরে স্বস্তি ফিরিয়েছিলেন নাঈম। আর বিরতির পর উইকেট শিকারের উৎসবে যোগ দিয়ে জোড়া আঘাত হানেন সাকিব। মধ্যাহ্নবিরতির পর অধিনায়ক মুমিনুল হক বল হাতে তুলে দেন নাঈমের হাতে। পরের ওভারে আক্রমণে আসেন টাইগার অলরাউন্ডার সাকিব আল হাসান। প্রথম বলে ম্যাথিউসকে ১ রান দেয়ার পর, দ্বিতীয় বলেই বোল্ড আউট করেন রামেশ মেন্ডিসকে (১)। পরের বলেই তার ঘূর্ণিতে পরাস্ত লাসিথ এমবুলদেনিয়া। রিভিউ নিয়ে এলবিডব্লিউ থেকে রেহাই পেলেন না এমবুলদেনিয়া (০)।

এর আগে একই ওভারে দিনেশ চান্দিমাল ও নিরোশান ডিকওয়েলাকে সাজঘরে ফিরিয়ে টাইগার শিবিরে স্বস্তি ফিরিয়েছেন স্পিনার নাঈম হাসান। দ্বিতীয় দিনের প্রথম সেশনে ১৪৮ বল মোকাবিলায় ৬৬ রানের ইনিংস খেলে নাঈম হাসানের এলবিডব্লিউর ফাঁদে পড়ে সাজঘরে ফেরেন দিনেশ চান্দিমাল। মাঠ ছাড়ার আগে তিনি ক্রিজে থিতু হওয়া অ্যাঞ্জেলো ম্যাথিউসের সঙ্গে গড়েন ১৩৬ রানের বড় জুটি।

এদিকে চান্দিমাল উইকেটে থিতু হওয়া ম্যাথিউসকে যোগ্য সঙ্গ দিলেও ষষ্ঠ উইকেটে নামা ডিকওয়েলাকে সে সুযোগ দেননি নাঈম। ইনিংসের ১১৩তম ওভারে এসে প্রথম বলে চান্দিমালকে ফেরানোর পরে পঞ্চম বলে বোল্ড আউট করেন ডিকওয়েলাকে। তিনি ৩ বল মোকাবিলায় ৩ রান করেন।

এর আগে প্রথম দিন ওশাদা ফার্নান্দো ৩৬, দিমুথ করুণারত্নে ৯, কুশাল মেন্ডিস ৫৪ ও ধনাঞ্জয়া ডি সিলভা ৬ রান করে সাজঘরে ফেরেন। টাইগার বোলারদের মধ্যে সর্বোচ্চ ৬ উইকেট নিজের ঝুলিতে পুরেছেন নাঈম। সাকিবের শিকার ৩, একটি উইকেট শিকার করেছেন তাইজুল ইসলাম।

এসএইচ-০৬/১৬/২২ (স্পোর্টস ডেস্ক)