সন্ধ্যা ৬:০২
বৃহস্পতিবার
২ রা মে ২০২৪ ইংরেজি
১৯ শে বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
২৩ শে শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী
spot_img

এ আর রাহমানের কনসার্ট প্রসঙ্গে ক্ষুব্ধ মাইলস

ঢাকা মাতিয়ে গিয়েছেন উপমহাদেশের সবচেয়ে জনপ্রিয় শিল্পী এ আর রাহমান। গত ২৯ মার্চ বিসিবি’র উদ্যোগে পুরো আয়োজনটি হয় জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী উপলক্ষে। এ আর রাহমান ছাড়াও সেদিন মঞ্চ মাতিয়েছিল ব্যান্ড মাইলস, গায়িকা ও সংসদ সদস্য মমতাজ। তবে এই কনসার্ট নিয়ে যেমন সুনাম ছড়িয়েছে তেমন হয়েছে বিতর্কও।

বৃষ্টিতে বিঘ্ন, ছাউনি না থাকা, প্রচারে গোলযোগসহ দর্শকদের পক্ষ থেকে অনেক অভিযোগ ছিল। তবে এসব ছাপিয়ে গেল দুইদিনে সোশ্যাল হ্যান্ডেলে সমালোচনার ঝড় বইছে কনসার্টের টিকিটে ও পোস্টারে মাইলস এবং মমতাজের নাম-ছবি স্থান পায়নি বলে।

কনসার্টের দুইদিন পর এ বিষয়ে ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন মাইলস প্রধান হামিন আহমেদ। সমালোচকদের উদ্দেশে এই ব্যান্ড তারকা তার সোশ্যাল মিডিয়া হ্যান্ডেলে লেখেন, ‘এ আর রহমান একজন বিশ্বখ্যাত, প্রশংসিত, অত্যন্ত দক্ষ ও সম্মানিত শিল্পী। যার আছে দুই দুটি গ্র্যামি পুরস্কার এবং দুর্দান্ত অনেক গান-কম্পোজিশন। আশ্চর্যজনক পারফরম্যান্সে আমাদের মুগ্ধ করেছেন তিনি। বিসিবির উদ্যোগে রাষ্ট্রীয় আমন্ত্রণ ছিল এটা। যেখানে উপস্থিত ছিলেন স্বয়ং প্রধানমন্ত্রীও।’

এ সময় তিনি আরও লেখেন, ‘আমরা মিউজিশিয়ান (সবাই না) ও ভক্তরা সব নেতিবাচক প্রতিক্রিয়া, ঘৃণা, অভিযোগ এ আর রাহমান ওপর ঢেলে দিলাম। অভিযোগ তুললাম, এ আর রাহমান কীভাবে আমাদের সংস্কৃতি কলঙ্কিত করেছে, তিনি ভালো পারফরম্যান্স করতে পারেননি- ইত্যাদি। ভেবে দেখুন, এই সমালোচনার একটি শব্দও তার সংগীতের ওপর বিশ্লেষণ করে গভীরভাবে লেখা বা গঠনমূলক নয়। তিনি যে গানগুলো পরিবেশন করেছিলেন সেগুলো নিয়েও বলা হয়নি। এই আলোচনায় মিউজিকের কিছুই নেই!’

নিজেদের গান ও অবস্থান দুটোই তুলে ধরে হামিন লেখেন, ‘আমরা (মাইলস) প্রত্যেকেই নানা সীমাবদ্ধতার সাথে এই ইভেন্টে পারফর্ম করেছি। আমাদেরকেও বাদ রাখেনি সমালোচকরা। এ আর রাহমানের সঙ্গে সমস্ত বাংলাদেশি (মাইলসসহ) পারফর্মারদের সাথে ফ্রি সুইংয়ে যেন গালি দেওয়ার সুযোগও নিল তারা। আমরা এটা পারি না! আপনি করবেন? প্যাশন থেকে চার দশক ধরে সংগীত করছি। আমি একজন শিল্পী/সংগীতশিল্পী এবং মাইলস একটি ব্যান্ড হিসেবে এক মিনিটও নিজেদের ছোট করার সুযোগ দিতে চাইনি।’

এ আর রাহমানের কনসার্ট প্রসঙ্গে ক্ষুব্ধ মাইলস স্ট্যাটাসের শেষে লেখেন, ‘আমি লজ্জিত যে আমরা আমাদের দেশে আমন্ত্রিত একজন সম্মানিত অতিথির সঙ্গে এমন আচরণ করা হলো। তার সংগীত ও গৌরবান্বিত পরিবেশনাকে কালিমা দিলো। আমাদের এই ধরনের আচরণ বা অভ্যাস একান্তই আমাদের। আমরা এত নিচে পৌঁছে গেছি ভাবতেও লজ্জা লাগে! নিজেদের ঘৃণা জানানো উচিত! সত্যিই তাই!’

‘ক্রিকেট সেলিব্রেট মুজিব হান্ড্রেড’ আয়োজন করে বিসিবি। যেখানে প্রধান আকর্ষণ হিসেবে ছিলেন অস্কারজয়ী গায়ক এ আর রাহমান। টানা ৩ ঘণ্টায় তিনি ও তার দল ৩৫টি গান পরিবেশন করেন। জুলফিকার রাসেলের লেখা ‘জয় বাংলা, জয় বাংলাদেশ’ গানটি গেয়েছেন এ আর রাহমান।

এসএইচ-১৫/৩১/২২ (বিনোদন ডেস্ক)

বাংলাদেশ-শ্রীলঙ্কা সিরিজের সূচি চূড়ান্ত

দুই ম্যাচের টেস্ট সিরিজ খেলতে আগামী ৮ মে বাংলাদেশে আসছে শ্রীলঙ্কা ক্রিকেট দল। বৃহস্পতিবার এক বিবৃতিতে সিরিজের চূড়ান্ত সূচি প্রকাশ করে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি)।

ক্রিকেটে ব্যস্ত সময় পার করছে টাইগাররা। আফগানিস্তানের বিপক্ষে ঘরের মাটিতে সিরিজ শেষ না হতেই তাদের পাড়ি দিতে হয়েছে দক্ষিণ আফ্রিকায়। ৩ ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজ শেষে প্রোটিয়াদের বিপক্ষে দুই ম্যাচ টেস্ট সিরিজের প্রথম ম্যাচে লড়াই করছে বাংলাদেশ। আগামী ১২ এপ্রিল সিরিজের দ্বিতীয় টেস্ট শেষে দেশের উদ্দেশে রওনা দেবে টাইগাররা। তবে দেশে এসেই বিশ্রাম নয়, প্রস্তুতি নিতে হবে লঙ্কা বধের।

ঘরের মাঠে আগামী ১৫ মে দুই ম্যাচ টেস্ট সিরিজের প্রথম ম্যাচে চট্টগ্রামের জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে মাঠে নামবে বাংলাদেশ। এরপর আগামী ২৩ মে সিরিজের শেষ টেস্টে মিরপুর শেরেবাংলা ক্রিকেট স্টেডিয়ামে দুই দল পরস্পরের মুখোমুখি হবে। দুটি ম্যাচই আইসিসি টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের অংশ।

দুই টেস্টের আগে ১১ মে থেকে দুই দিনের একটি প্রস্তুতি ম্যাচ খেলবে শ্রীলঙ্কা। সে ম্যাচ হবে চট্টগ্রামের এমএ আজিজ স্টেডিয়ামে।

এদিকে এখন পর্যন্ত শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে ২২টি টেস্ট খেলেছে বাংলাদেশ, জিতেছে মাত্র একটিতে—২০১৭ সালে কলম্বোতে। ১৭টিতে হেরেছে, ড্র হয়েছে বাকি ৪টি।

এদিকে টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের পয়েন্ট টেবিলে খুব একটা ভালো অবস্থানে নেই বাংলাদেশ। নয় দলের মধ্যে বাংলাদেশের অবস্থান টেবিলের আটে। সবচেয়ে শোচনীয় অবস্থা ইংল্যান্ডের। তারা আছে একেবারে তলানিতে। ৮ টেস্টে ৭৫.০০ শতাংশ হারে ৭২ পয়েন্ট নিয়ে অস্ট্রেলিয়া শীর্ষস্থান দখল করে আছে।

৫ টেস্টে ৬০.০০ শতাংশ হারে ৩৬ পয়েন্ট নিয়ে দুই নম্বরে জায়গা করে নিয়েছে দক্ষিণ আফ্রিকা। তিনে থাকা ভারতের সংগ্রহে রয়েছে ১১ টেস্টে ৫৮.৩৩ শতাংশ হারে ৭৭ পয়েন্ট। ৭ টেস্টে পাকিস্তানের সংগ্রহ ৫২.৩৮ শতাংশ হারে ৪৪ পয়েন্ট নিয়ে টেবিলের চারে পাকিস্তান।

৪ টেস্টে ৫০.০০ শতাংশ হারে ২৪ পয়েন্ট নিয়ে লিগ টেবিলের পাঁচ নম্বরে জায়গা করে নিয়েছে শ্রীলঙ্কা। নিউজিল্যান্ড রয়েছে লিগ টেবিলের ছয় নম্বরে। ৭টি টেস্টে তাদের সংগ্রহে রয়েছে ৩৮.৮৮ শতাংশ হারে ২৮ পয়েন্ট। ৬টি টেস্টে ৩৫.৭১ শতাংশ হারে ৩০ পয়েন্ট সংগ্রহ করে পয়েন্ট টেবিলের সাতে নম্বরে রয়েছে ওয়েস্ট ইন্ডিজ।

বাংলাদেশ রয়েছে আটে। টাইগাররা ৪ টেস্টে ২৫.০০ শতাংশ হারে ১২ পয়েন্ট সংগ্রহ করেছে। ১৩টি টেস্টে ১২.৫০ শতাংশ হারে ১৮ পয়েন্ট সংগ্রহ করে লিগ টেবিলের একেবারে শেষে নয় নম্বরে অবস্থান করছে ইংল্যান্ড।

এসএইচ-১৪/৩১/২২ (স্পোর্টস ডেস্ক)

জাতীয় সরকার নির্বাচনের আগে না পরে?

জাতীয় সরকার নির্বাচনের আগে না পরে এই ইস্যু নিয়ে এখন বিএনপির প্রস্তাবিত বৃহত্তর জোটে জটিলতা চলছে। তবে বিএনপির পক্ষ থেকে স্পষ্ট করা হয়েছে যে জাতীয় সরকার হবে বিএনপি জোট নির্বাচনের জয়ের পর।

অবশ্য এই জোটে যেতে আগ্রহী বিএনপির বন্ধু বলে পরিচিত ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী এবং তার অনুসারীরা জাতীয় সরকার চাইছেন নির্বাচনের আগে। আর সেই জাতীয় সরকারের অধীনে হবে নির্বাচন। সম্প্রতি ডা. চৌধুরী বলেছেন, নির্দলীয় নিরপেক্ষ সরকার নয়, নির্বাচন হতে হবে জাতীয় সরকারের অধীনে। এর আগে তিনি দুই বছরের জন্য দেশে একটি জাতীয় সরকার গঠনের কথা বলেছিলেন।

জাফরুল্লাহ চৌধুরী এখন দেশের বাইরে আছেন। তিনি ফিরে এলে বিএনপির সাথে বৃহত্তর জোট গঠনে তার এই প্রস্তাব নিয়ে দর কষাকষি হবে বলে জানা গেছে। জাফরুল্লাহ চৌধুরীর অনুসারী ভাসানী পরিষদের মহাসচিব শেখ রফিকুল ইসলাম বাবলু বলেন,”আমরা বৃহত্তর জোট গঠনের মধ্য দিয়ে এই সরকারের পতনের আন্দোলন শুরু করতে চাই। সরকারের পতনের পর আন্দোলনকারী ও গণতান্ত্রিক শক্তির সমন্বয়ে একটি জাতীয় সরকার গঠন হবে। যার মেয়াদ হবে দুই-তিন বছর। এই সময়ে নির্বাচন প্রক্রিয়াসহ সব প্রয়োজনীয় সাংবিধানিক সংস্কার শেষ করে ওই সরকারের অধীনে নির্বাচন হবে।”

বিএনপি যে নির্বাচনের পরে জাতীয় সরকারের কথা বলছে সে ব্যাপারে প্রতিক্রিয়া জানতে চাইলে তিনি বলেন,”এটা বিএনপির নিজস্ব রাজনৈতিক মতামত। আমাদের মধ্যে আলাপ আলোচনা হচ্ছে। জোটের আত্মপ্রকাশের আগেই আমরা সবাই মিলে রূপরেখা চূড়ান্ত করতে পারব বলে আশা করি।”

তিনি আরো জানান, আগামী সাত-আট দিনের মধ্যে তাদের এই রূপরেখার পক্ষের দলগুলোর একটি জোট আত্মপ্রকাশ করবে। এই জোট বিএনপির বৃহত্তর জোটের সাথে যুক্ত হয়ে যুগপৎ সরকার পতনের আন্দোলন শুরু করবে।

বিএনপি জোটমুখী বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল হক মনে করেন, এখন মূল লক্ষ্য হলো সরকারের পতন। নির্বাচনকালীন সরকার বা নির্বাচনের পরের সরকার কেমন হবে সেটা নিয়ে পরেও ভাবা যাবে। তিনি বলেন,”আমরা তো শুধু ক্ষমতায় যাওয়ার জন্য সরকার পতনের আন্দোলন করব না। এমপি, মন্ত্রী ভাগের জন্য আন্দোলন নয়। বিষয় হলো গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়াকে ফিরিয়ে আনা। তার জন্য যা যা করার করতে হবে। আর সেই পথে প্রধান বাধা বর্তমান সরকার। তাই সরকারকে আগে বিদায় করতে হবে।”

নাগরিক ঐক্যের প্রধান মাহমুদুর রহমান মান্না বলেন,”এখন নির্বাচনের আগে জাতীয় সরকার এবং তার অধীনে নির্বাচন এই ইস্যুটি সামনে এনে জাফরুল্লাহ ভাই ঠিক করেননি। এর আগেও তিনি নানাভাবে কথাগুলো বলেছেন। এতে যাদের বিরুদ্ধে আন্দোলন বা যাদের আমরা পতন ঘটাতে চাই তারা সুযোগ পেয়ে যায়। বিএনপি একটি কেয়ার টেকার সরকারের অধীনে দ্রুত নির্বাচন চাইছে। তারা অপেক্ষা করতে চাইছে না। এটা কোনো কাজের কথা নয়। কারণ এই ১১ বছরে যত প্রশাসনিক জঞ্জাল তৈরি হয়েছে সেটা দূর করতে হবে। করোনায় দেশের মানুষের অর্থনৈতিক অবস্থা বিপর্যস্ত। এখন একটু নতুন সরকার এলে সে একা সেটা সামলাতে পারবে না। এই বিষয়গুলো বুঝতে হবে। এটা ঠিক করতে এক বছর বা তার বেশিও লাগতে পারে ।”

তার কথা,”সরকারের রূপরেখা কী হবে, নির্বাচন কীভাবে হবে সেটা সরকারের পতনের পর প্রকাশ করা হবে। সিদ্ধান্ত নেয়া হবে। এরশাদও পাতনের আগে বলেছিল, রূপরেখা কী হবে। আমরা তখন বলিনি। বলেছি আগে তুমি বিদায় হও। এরশাদের পতনের পর রূপরেখা প্রকাশ করা হরেয়েছে। সেভাবেই নির্বাচন হয়েছে।”

নির্বাচনের আগে যে জাতীয় সরকারের কথা বলা হচ্ছে সেটা করা সম্ভব বলে মনে হয় না। আবার তারেক রহমান সাহেব লন্ডন থেকে নির্বাচনের পর জাতীয় সরকারের কথা বলা মানে বিএনপি এটা মিন করছে, বলেন মাহমদুদুর রহমান মান্না।

বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান মঙ্গলাবার যে বার্তা পাঠিয়েছেন তাতে তিনি বলেন, তার দল নির্দলীয় নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে নির্বাচন চায়। নির্বাচনের পর সব গণতান্ত্রিক শক্তি যারা আন্দোলনে থাকবে তাদের নিয়ে জাতীয় সরকার গঠন করা হবে।

এসএইচ-১৩/৩১/২২ (হারুন উর রশীদ স্বপন, ডয়চে ভেলে)

আকাশছোঁয়া পণ্যের দামে দিশেহারা মানুষ

আকাশছোঁয়া পণ্যের দামে দিশেহারা মানুষ। ‘অপরিবর্তিত আয়’ দিয়ে নিত্যপণ্যের চড়া দামের সঙ্গে কুলিয়ে উঠতে না পেরে ব্যয় কমাতে বাধ্য হচ্ছে। যদিও সরকারের পরিসংখ্যান বলছে, মানুষের আয় বাড়ছে। চলতি বছরের মধ্যে দেশের মানুষের মাথাপিছু বার্ষিক আয় তিন হাজার ডলার ছাড়িয়ে যাবে- এমন আশ্বাসও শোনা যাচ্ছে সরকারের শীর্ষ ব্যক্তিদের কাছ থেকে।

পরিকল্পনামন্ত্রী এমএ মান্নান সংবাদমাধ্যমকে বলেন, ‘২০০৯ সালে দেশের মানুষের মাথাপিছু আয় ছিল ৭০০ ডলার নিচে। গত এক যুগে মাথাপিছু আয় বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২ হাজার ৫৫৪ ডলারে। এ ধারা অব্যাহত থাকলে চলতি বছরের মধ্যে তিন হাজার ডলার ছাড়িয়ে যাবে।’ তিনি আরও বলেন, ‘মাথাপিছু আয় বাড়াতে সরকার চেষ্টা করছে। সরকারের উদ্যোগের পাশাপাশি জনগণকেও এগিয়ে আসতে হবে। জাপান-কোরিয়াও কষ্ট করে এগিয়ে গেছে। আমাদেরও সেভাবে এগিয়ে যেতে হবে।’

বিশেষজ্ঞরা জানিয়েছেন, মাথাপিছু আয়ের বিষয়টি গড় হিসাব। সবার সম্মিলিত আয় যোগ করে মোট সংখ্যা দিয়ে ভাগ দিয়ে মাথাপিছু আয় ধরা হয়। তারা বলছেন, হাতেগোনা কিছু মানুষ টাকার ভারে ফুলে কলাগাছ হচ্ছে। তাদের আয় বাদ দিলে বাস্তব চিত্র পাওয়া যাবে। অথচ বাস্তবতা হলো এখন মধ্যবিত্তরাও নিজে, না হয় বাসার কাজের লোককে টিসিবির লাইনে দাঁড় করিয়ে দিচ্ছে।

বেসরকারি গবেষণা সংস্থা সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগের (সিপিডি) নির্বাহী পরিচালক ড. ফাহমিদা খাতুন গত সপ্তাহে এক গবেষণায় বলেছেন, নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের মূল্য আকাশচুম্বী। অথচ সরকারি খাতায় খাদ্য মুদ্রাস্ফীতি নিয়ন্ত্রিত। ২০২১ সালের অক্টোবর থেকে ২০২২ সালের জানুয়ারি পর্যন্ত যা ৫ দশমিক ৩ শতাংশ। লক্ষ্যমাত্রার তুলনায়ও কম। কিন্তু এটা বাস্তবতার তুলনায় সঠিক চিত্র নয়। নিম্নআয়ের মানুষের ওপর ক্রমাগত চাপ বাড়ছে। খাদ্যবহির্ভূত মুদ্রাস্ফীতিও বেশ বেড়েছে।

ড. ফাহমিদা বলেন, ‘খাদ্য মুদ্রাস্ফীতি ও খাদ্যবহির্ভূত মুদ্রাস্ফীতি বিশ্লেষণে দেখা গেছে, একটি বাড়লে আরেকটি কমে। খাদ্য মুদ্রাস্ফীতি অনেক বেশি। একেকটি পণ্যের মূল্যস্ফীতি ৬ থেকে ১৫, ২০ ও ৩০ শতাংশ পর্যন্ত হয়েছে। তার পরও কীভাবে বলব, খাদ্য মুদ্রাস্ফীতি স্থিতিশীল? বাজারে সেটা লক্ষ করছি না। চাল, ডাল, তেল, পেঁয়াজের মতো গুরুত্বপূর্ণ পণ্যের মূল্য যদি আলাদাভাবে দেখি, তা হলে দাম দ্বিগুণ থেকে তিনগুণ বেড়েছে দেখতে পাই। তার পরও শুনছি মূল্যস্ফীতি স্থিতিশীল।’

ফাহমিদা খাতুন বলেন, সরকারের পক্ষ থেকে মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণে কার্যকর পদক্ষেপ দেখি না। সংকটের সময় কিছু আমদানিকারক ও বিক্রেতাকে বেশি সক্রিয় থাকতে দেখা যাচ্ছে। ন্যায্যমূল্যে পণ্য বিক্রি চলমান রাখা দরকার হয়ে পড়েছে। যদিও সরকার চেষ্টা করছে, কিন্তু তা যথেষ্ট নয়। এর পরিসর বাড়াতে হবে। ন্যায্যমূল্যের প্রক্রিয়াটি দুর্নীতিমুক্ত করতে হবে। সংকট পরিস্থিতিতে নগদ সহায়তা চালু রাখা যেতে পারে বলেও মনে করেন তিনি।

অন্যদিকে বৈশ্বিক মহামারী করোনা ও ইউক্রেন-রাশিয়া যুদ্ধের অজুহাতে দেশে অস্বাভাবিক হারে বাড়ছে প্রায় সব কিছুর খরচ। বাড়তি মূল্যের এই যন্ত্রণা, বিশেষ করে সীমিত আয়ের লোকেরা এমন মাত্রায় অনুভব করছে, যা আগে কখনো করেনি। প্রায় সব ধরনের নিত্যপণ্য তাদের নাগালের বাইরে চলে যাচ্ছে। ফলে তারা বাধ্য হচ্ছে, স্বাভাবিক কেনাকাটা কমাতে এবং সেগুলোর সস্তা বিকল্প সন্ধানে নামছেন তারা।

সর্বশেষ হিসাব বলছে, দেশে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের ব্যয় বেড়েছে ১২ শতাংশ। কনজ্যুমারস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (ক্যাব) এ তথ্য তুলে ধরে বলছে, ফেব্রুয়ারি মাসে চাল, আটা, ডাল, তেল, মাছ, মাংস, শাকসবজি, সাবান ও দুধের দামের ওপর চাপ বাড়ে। ফলে সংসার পরিচালনায় টিকে থাকতে নানা উপায়ে খরচ কমানোর চেষ্টা করছেন নিম্ন ও মধ্যবিত্তরা।

সন্তানের লেখাপড়ার পেছনে খরচ কমিয়েছেন মানিকনগরের বাসিন্দা সুমাইয়া খাতুন। প্রতিবছর তার ছেলের জন্য দর্জি দোকান থেকে দুই সেট ‘স্কুল ড্রেস’ বানাতেন। কিন্তু এ বছর গুলিস্তান থেকে কম দামে ছেলের স্কুলপোশাকের জন্য প্যান্ট-শার্ট কিনেছেন। দুধের দাম বেড়ে যাওয়ায় প্রতিদিন এক লিটার দুধের পরিবর্তে এখন আধা লিটার দুধ খাওয়াচ্ছেন।

পলিসি রিসার্চ ইনস্টিটিউটের নির্বাহী পরিচালক ড. আহসান এইচ মনসুর সাংবাদিকদের বলেন, দিনমজুরদের মজুরি দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতির সঙ্গে তাল মিলিয়ে চলছে না। তাই তারা আগের মতো খাবার কিনতে পারছেন না। শ্রমিক শ্রেণির মানুষের প্রকৃত আয় কমেছে। যখন আয় কমে যায়, তখন নিম্নআয়ের মানুষের প্রথম ক্ষতি হয় তাদের খাদ্য গ্রহণে। জীবনধারণের এই অতি-দারকারি চাহিদা মেটাতে অনেকে তাদের সন্তানকে স্কুলে পাঠানো বন্ধ করে কাজ করতে পাঠায়। অনেকে চিকিৎসায় খরচ বন্ধ করতেও বাধ্য হয়, যার ফলে ভবিষ্যতের উৎপাদনশীলতা নষ্ট হয়।

বিশ্বব্যাংক ঢাকা কার্যালয়ের সাবেক প্রধান অর্থনীতিবিদ ড. জাহিদ হোসেন সাংবাদিকদের বলেন, ‘নিত্যপণ্যের দাম বৃদ্ধি মানুষকে ভাবিয়ে তুলেছে। এমনিতেই আমাদের দেশে পুষ্টিহীনতা একটি বড় সমস্যা। অর্থনৈতিক টানাপড়েনের কারণে মানুষকে, বিশেষ করে শিশুদের পর্যাপ্ত পুষ্টির জোগান দিতে না পারলে ভবিষ্যৎ প্রজন্ম বোঝা হয়ে দাঁড়াবে। এসব শিশুর রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কমবে, কমবে শিক্ষাগ্রহণের ক্ষমতাও।’ তিনি বলেন, ‘শিশুখাদ্যে ভর্তুকি দিলেই চলবে না। যাদের ক্ষয়ক্ষমতা নেই, তাদের মাঝে খাবার পৌঁছানোর উদ্যোগ নিতে হবে।’

করোনাকালে নতুন দরিদ্র বেড়েছে বলে বিশ্লেষণ ও জরিপের মাধ্যমে দেখিয়েছে বাংলাদেশ উন্নয়ন গবেষণা প্রতিষ্ঠান (বিআইডিএস), পিপিআরসি ও সাউথ এশিয়ান নেটওয়ার্ক অন ইকোনমিক মডেলিং (সানেম)। সানেম বলেছিল, দারিদ্র্যের হার ২১ শতাংশ থেকে বেড়ে ৪২ শতাংশে দাঁড়িয়েছে। অবশ্য সরকার এ দাবি নাকচ করে দিয়েছে। যদিও সরকারি সংস্থা বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরো (বিবিএস) কোনো জরিপ বা বিশ্লেষণ তুলে ধরেনি। ২০২০ সালের অক্টোবরে এক জরিপে তারা মানুষের আয় ২০ শতাংশ কমে যাওয়ার তথ্য জানিয়েছিল।

এই দফায় সব পণ্যের দাম বেড়ে যাওয়ার বড় কারণ বিশ্ববাজারে মূল্যবৃদ্ধি। সরকারের পক্ষ থেকে এই যুক্তি বারবার তুলে ধরা হচ্ছে। ব্যবসায়ীরাও বলছেন, বিশ্ববাজারে দাম বেড়ে যাওয়ার পাশাপাশি জাহাজভাড়া বেড়েছে। ডলারের বিপরীতে টাকার অবমূল্যায়ন হওয়ায় আমদানি ব্যয় বেড়েছে।

অর্থনীতিবিদ ও বিশ্লেষকেরা বলছেন, সরকারের কাছে বাজার নিয়ন্ত্রণে তিনটি হাতিয়ার রয়েছে। এগুলো হলো- করছাড়, খোলাবাজারে পণ্য বিক্রি বাড়ানো ও বাজার তদারকি।

বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি বলেন, ‘আগামী রমজান উপলক্ষে টিসিবির কার্যক্রম আমরা প্রায় দ্বিগুণ করছি।’ প্রয়োজনের চেয়ে অনেক বেশি পণ্য মজুদ রয়েছে। কোনো অসাধু ব্যাবসায়ী কৃত্রিম উপায়ে পণ্যের মূল্য বৃদ্ধির চেষ্টা করলে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’

এসএইচ-১২/৩১/২২ (অনলাইন ডেস্ক, আমাদের সময়)

ভারতের মধ্যস্থতা চায় ইউক্রেন

ইউক্রেনে রাশিয়ার সামরিক অভিযান থামাতে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে মধ্যস্থতার আহ্বান জানিয়েছেন ইউক্রেনের পররাষ্ট্রমন্ত্রী।

ভারতীয় টেলিভিশন চ্যানেল এনডিটিভিকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে ইউক্রেনের পররাষ্ট্রমন্ত্রী কুলেবা বলেছেন, ‘ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট জেলেনস্কি ও রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট পুতিনের মধ্যস্থ হিসেবে নরেন্দ্র মোদি কাজ করতে পারেন। মোদি চাইলেই এ ভূমিকা নিতে পারেন। আমরা তাকে স্বাগত জানাব।’

ইউক্রেনের পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেছেন, ‘আমরা মোদিকে অনুরোধ করছি, তিনি যেন পুতিনের সঙ্গে তার ভালো সম্পর্ককে কাজে লাগান। তিনি পুতিনকে বুঝিয়ে যুদ্ধ থামানোর ব্যবস্থা করুন।’ পররাষ্ট্রমন্ত্রী আরও বলেন, রাশিয়ায় পুতিনই সর্বময় ক্ষমতার অধিকারী এবং তিনিই সব সিদ্ধান্ত নেন। তাই তার সঙ্গে সরাসরি কথা বলাটা জরুরি। তার সঙ্গে কথা বলে যুদ্ধ থামানোর ব্যবস্থা করতে পারেন মোদি। সারা বিশ্বে একমাত্র পুতিনই যুদ্ধ চাইছেন। আর কেউ চাইছেন না।

পররাষ্ট্রমন্ত্রী কুলেবা সাক্ষাৎকারে জানান, ইউক্রেন হলো ভারতীয় পণ্যের নির্ভরযোগ্য গ্রাহক। আর ইউক্রেন বরাবর ভারতকে সূর্যমুখী তেল, দানাশস্য ও অন্যান্য জিনিস সরবরাহ করে এসেছে। ভারত ইউক্রেনের বহু পুরোনো ব্যবসায়িক অংশীদার।

ইউক্রেনের পররাষ্ট্রমন্ত্রী আশা প্রকাশ করে বলেন, ভারত তাদের সমর্থন করবে। অবশ্য এখন পর্যন্ত ভারত প্রকাশ্যে কাউকেই সমর্থন করেনি। তারা জাতিসংঘে রাশিয়ার বিরুদ্ধে প্রস্তাবে ভোটদানে বিরত থেকেছে।

কুলেবা ইউক্রেনে ভারতীয় ছাত্রের মৃত্যুতে শোক প্রকাশ করেছেন। তিনি বলেন, রাশিয়া ইউক্রেনে সামরিক হামলা করার আগ পর্যন্ত ইউক্রেন ছিল ভারতীয়দের কাছে আরেকটা ঘরের মতো। তিনি আশা করেন, ভারতীয় ছাত্রছাত্রীরা আবার ইউক্রেনে ফিরে এসে তাদের পড়ালেখা শুরু করবে।

এসএইচ-১১/৩১/২২ (আন্তর্জাতিক ডেস্ক)

বিশ্বকাপে দেখা যাবে না যেসব তারকা ফুটবলারকে

মোহামেদ সালাহকে এই মুহূর্তে বিশ্বের সেরা তারকাদের তালিকায় না রাখার সাহস হয়তো কেউ করবেন না। লিভারপুলের হয়ে এই মৌসুমে ইংলিশ লিগের অন্যতম সেরা খেলোয়াড় তিনি। নরওয়ের ২১ বছর বয়সী তারকা আরলিং হালান্ডকে দলে ভেড়াতে উঠেপড়ে লেগেছে ইউরোপের বড় সব ক্লাব। ইউরো চ্যাম্পিয়নশিপের সেরা খেলোয়াড় নির্বাচিত হয়েছিলেন জিয়ানলুইগি দোন্নারুমা। জ্লাতান ইব্রাহিমোভিচ, জর্গিনহো, মার্টিন ওডেগার্ড, লুইস দিয়াজ, জ্যান ওবলাক, রিয়াদ মাহরেজ; এরা প্রত্যেকেই নিজ নিজ জায়গায় বিশ্বের অন্যতম সেরা তারকা। ফুটবল মাঝে মাঝে খুব নির্মম হয়ে ওঠে। যেমন, কাতারে আসন্ন বিশ্বকাপে দেখা যাবে না এই তারকাদের।

নভেম্বর-ডিসেম্বরে অনুষ্ঠিতব্য বিশ্বকাপে জায়গা করে নিতে ব্যর্থ হওয়া সবচেয়ে ব্যর্থ তারকা তর্কসাপেক্ষে মিসরের মোহামেদ সালাহ। লিভারপুলের হয়ে তার ফর্ম সেই আক্ষেপ বাড়িয়ে দিচ্ছে আরও। তবে তিনি একমাত্র নন এই তালিকায়। বরং বিশ্বকাপে খেলার যোগ্যতা অর্জন করতে পারেননি এমন তারকাদের তালিকায় চোখ বুলালে চোখ কপালে উঠতে ব্যর্থ।

১. জিয়ানলুইগি দোন্নারুমা (ইতালি): কয়েক মাস আগেও যদি কাউকে বলা হতো, এবার বিশ্বকাপে ইতালি খেলার যোগ্যতা অর্জন করতে পারবে না, তবে হয়তো আপনাকে পাগল বলে বসত সবাই। তবে এটাই বাস্তবতা। ইউরোজয়ী ইতালি রাশিয়ার পর কাতারেও বিশ্বকাপে জায়গা করে নিতে ব্যর্থ হয়েছে। তাই বিশ্বকাপে দেখা যাবে না ইউরো ২০২০-এর টুর্নামেন্ট সেরা নির্বাচিত হওয়া ইতালিয়ান গোলরক্ষক দোন্নারুমাকে।

২.জ্যান অবলাক (স্লোভেনিয়া): অ্যাতলেতিকো মাদ্রিদের স্লোভেনিয়ান গোলরক্ষক তার প্রজন্মেরই অন্যতম সেরাদের একজন। তবে জাতীয় দলে ভাগ্য তার খুব একটা ভালো নয়। স্লোভেনিয়া ইউরোপের কোনো ফুটবল পরাশক্তি নয়। যুগোস্লাভিয়া ভেঙে স্বাধীন হওয়ার পর তারা বিশ্বকাপেই খেলেছে মোটে দুবার। কাতার বিশ্বকাপের বাছাইপর্বে নিজ গ্রুপে চতুর্থ হয়েছে স্লোভেনিয়া। তবে ২৯ বছর বয়সী অবলাক হয়তো আরও একটা সুযোগ পাবেন বিশ্বকাপ ভাগ্য পরীক্ষার। সে জন্য তাকে অপেক্ষা করতে হবে ২০২৬ সাল পর্যন্ত।

৩. আলেসান্দ্রো ফ্লোরেঞ্জি (ইতালি): ইউরোজয়ী ইতালিকে ধরা হচ্ছিল কাতার বিশ্বকাপের অন্যতম ফেবারিট হিসেবে। দারুণ ভারসাম্যপূর্ণ দলটায় আছে সময়ের অন্যতম সেরা কিছু খেলোয়াড়। ২০২০ ইউরোর অন্যতম সেরা পারফর্মারকে দেখা যাবে না কাতারে।

৪. ডাভিড আলাবা (অস্ট্রিয়া): রিয়াল মাদ্রিদে খেলা ডাভিড আলাবাও নেই বিশ্বকাপে। অস্ট্রিয়ান তারকা বায়ার্ন মিউনিখের হয়ে সম্ভাব্য সবকিছু জিতে এখন রিয়াল মাদ্রিদের হয়ে মাতাচ্ছেন মাঠ। দারুণ ফুটবল খেলা আলাবার বিশ্বকাপ স্বপ্ন প্লে-অফ সেমিফাইনালে ভেঙে দিয়েছেন তার রিয়াল মাদ্রিদ সতীর্থ গ্যারেথ বেল। জোড়া গোল করে সার্বিয়াকে বিদায় করে দিয়েছেন রিয়াল মাদ্রিদ দলে ব্রাত্য বেল।

৫. জর্জিও চিয়েলিনি (ইতালি): ইউরো ২০২০-এর অন্যতম আইকনিক দৃশ্যটির জন্ম দিয়েছিলেন ইতালির রক্ষণাত্মক ফুটবল শিল্পের শেষ প্রতিনিধি চিয়েলিনি। ইংল্যান্ডের বিপক্ষে ফাইনালে বল নিয়ে স্প্রিন্ট করতে চাওয়া বাকায়োকো সাকাকে যেভাবে তিনি আটকেছেন, তা ছিল দেখার মতো দৃশ্য। প্রজন্মের অন্যতম সেরা এই ডিফেন্ডারকে দেখা যাবে না কাতারে। অবশ্য তাকে আর কখনো বিশ্বকাপে দেখার সম্ভাবনাও নেই। ২০২৬-এর বিশ্বকাপ আসতে আসতে যে এই ডিফেন্ডারের বয়স হয়ে যাবে ৪১!

৬. জর্গিনহো (ইতালি): গত বছরটা জর্গিনহো সোনা দিয়ে মুড়িয়ে রাখতে চাইবেন নিশ্চিত। প্রথমে চেলসির হয়ে চ্যাম্পিয়ন্স লিগের শিরোপা জিতলেন। এরপর ইতালির হয়ে জিতলেন ইউরো। যার কারণে ছিলেন ব্যালন ডি’অরের লড়াইয়েও। তবে বছর ঘুরতে না ঘুরতে নিজেকে দুর্ভাগা ভাবতে পারেন ব্রাজিলিয়ান বংশোদ্ভূত জর্গিনহো। ইতালির বিশ্বকাপ কোয়ালিফায়ারে বাদ পড়ার দায় তো কিছুটা জর্গিনহোরই। সুইজারল্যান্ডের বিপক্ষে পেনাল্টি মিস না করলে হয়তো প্লে-অফেই খেলতে হতো না ইতালির।

৭. মার্কো ভেরাত্তি (ইতালি): ইতালি বাদ পড়ায় বিশ্বকাপের মঞ্চে দেখতে পাবেন না সময়ের অন্যতম সেরা মিডফিল্ডার মার্কো ভেরাত্তিকেও। অমত প্রতিভাধর এই মধ্যমাঠের আর্টিস্ট মাত্র একটি বিশ্বকাপেই খেলেছেন। ২০১৪ সালের সেই বিশ্বকাপে ইতালি বাদ পড়েছিল গ্রুপপর্বেই।

৮. আর্তুরো ভিদাল (চিলি): টানা দ্বিতীয়বারের মতো বাছাইপর্ব উতরাতে পারেনি চিলি। তাই এবারও দেখা যাবে না বায়ার্ন মিউনিখ, জুভেন্টাস, বার্সেলোনা ও ইন্টার মিলানের হয়ে খেলা এই মিডফিল্ডারকে। কাতার বিশ্বকাপ নিঃসন্দেহে মিস করবে ভিদাল ও তার বৈচিত্র্যপূর্ণ চুলের কাটকে।

৯. রিয়াদ মাহরেজ (আলজেরিয়া): ২০১৯ সালের আফকন বিজয়ী আলজেরিয়া ২০১৮-এর পর ২০২২ সালেও ব্যর্থ হয়েছে বিশ্বকাপ বাছাইপর্ব পার হতে। তাই বিশ্বকাপে দেখা যাবে না ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগের চ্যাম্পিয়ন ম্যানচেস্টার সিটিতে খেলা ‘ডেজার্ট ফক্স’ তারকাকে।

১০. আরলিং হালান্ড (নরওয়ে): বর্তমান বিশ্বের অন্যতম সেরা তরুণ প্রতিভা বরুশিয়া ডর্টমুন্ডের হয়ে খেলা নরডিক তারকা আরলিং হালান্ড। ২০১৯ সালে এই ২০ বছর বয়সী তারকার উত্থান ঘটে রেডবুল সালজবার্গের হয়ে চ্যাম্পিয়ন্স লিগে গোলের বন্যা বইয়ে দিয়ে। তারপর থেকে তার পেছনে লাইন দিয়ে আছে ইউরোপের জায়ান্ট ক্লাবগুলো। তবে তার দল নরওয়ে ব্যর্থ হয়েছে বাছাইপর্ব উতরাতে।

১১. মার্টিন ওডেগার্ড (নরওয়ে): রিয়াল মাদ্রিদ ওডেগার্ডকে কিনেছিল অনেক আশা নিয়ে; কিন্তু প্লেয়িং টাইম দিতে না পারায় তিনি পাড়ি দিয়েছেন ইংল্যান্ডে। মিকেল আরতেতার দলের অন্যতম কি-প্লেয়ারে পরিণত হওয়া নরওয়ে অধিনায়ক ওডেগার্ড বিশ্বকাপের সময় সতীর্থ হ্যালান্ডকে নিয়ে টিভির সামনে বসতে পারেন পপকর্ন হাতে।

১২. জ্লাতান ইব্রাহিমোভিচ (সুইডেন): ‘যত গর্জে তত বর্ষে না’ প্রবাদটি সত্য ইব্রাহিমোভিচের জন্য। বাগাড়ম্বরে যতটা পটু ইব্রা, দলের প্রয়োজনের মুহূর্তে ব্যর্থ হতেও ততটাই। তাই প্লে-অফ ফাইনালে আবার হেরেছে সুইডেন। তার চেয়ে সেরা কেউ বিশ্বকাপে নেই, এ হতাশায় বিশ্বকাপটাই হয়তো আর দেখবেন না ইব্রা।

১৩. মোহামেদ সালাহ (মিসর): আফকনের পর বিশ্বকাপ বাছাইপর্বেও বন্ধু ও সতীর্থ সাদিও মানের কাছে হেরে গেছেন মোহামেদ সালাহ। সেনেগালের বিপক্ষে পেনাল্টি মিসের খেসারত দিয়ে বিশ্বকাপ বাছাইপর্ব থেকেই বিদায় নিতে হলো সালাহকে। তার অবর্তমানে কিছুটা হলেও বিবর্ণ হবে বিশ্বকাপ। গতবার শেষ মুহূর্তের গোলে মিসরকে নিয়ে গিয়েছিলেন বিশ্বকাপে। কিন্তু চ্যাম্পিয়ন্স লিগের ফাইনালে পাওয়া চোটে বিশ্বকাপে খেলতে পারেননি খুব একটা। সে দুঃখ ভোলার উপলক্ষ্য হতে পারত এবারের কাতার বিশ্বকাপ। কিন্তু এবার সালাহ নিজেই খলনায়ক।

এ ছাড়াও এবার বিশ্বকাপে দেখা যাবে না আরও অনেক তারকাকে। তুরস্কের হাকান চলহানুগুলু, বুরাক ইলমাজ, চেঙ্গিজ উন্ডার, ইতালির লরেঞ্জো ইনসিনিয়ে, ফ্রেদারিকো চিয়েসা, লুকাতেল্লি, বাস্তনি, নাইজেরিয়ার ভিক্টর ওসিমেন, আইভরি কোস্টের ফ্রাঙ্ক কেসিয়ে, উইলফ্রেড জাহা, গ্যাবনের পিয়েরে এমরিক উবামেয়াং, চিলির আলেক্সিস সানচেজ, কলম্বিয়ার লুইস দিয়াজ, হামেস রদ্রিগেজ, দুভান জাপাতা, সার্বিয়ার সার্জ মিলানকোভিচ-স্যাভিচ, চেক প্রজাতন্ত্রের প্যাট্রিক সাচিকসহ অনেককেই বিশ্বকাপে মিস করবেন দর্শকরা।

এসএইচ-১০/৩১/২২ (স্পোর্টস ডেস্ক)

ফিল্ডিংয়ে বাংলাদেশ, একাদশে নেই তামিম-শরীফুল

দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে দুই ম্যাচ টেস্ট সিরিজের প্রথমটিতে মুখোমুখি বাংলাদেশ।

যেখানে টস জিতে ফিল্ডিংয়ে সিদ্ধান্ত নিয়েছেন টাইগার অধিনায়ক মুমিনুল হক।

বৃহস্পতিবার ডারবানের কিংসমেডে বাংলাদেশ সময় দুপুর ২টায় টেস্টটি মাঠে গড়াবে।

এই টেস্টে বাংলাদেশ একাদশে নেই ওপেনার তামিম ইকবাল। পেটের পীড়ায় ভুগছেন তামিম। পেসার শরীফুল ইসলামও নেই। তার পরিবর্তে খালেদ আহমেদকে নেওয়া হয়েছে।

দক্ষিণ আফ্রিকা একাদশ: ডিন এলগার (অধিনায়ক), সারেল এরউই, কিগান পিটারসেন, টেম্বা বাভুমা, রায়ান রিকেলটন, কাইল ভেরেইন (উইকেটরক্ষক), উইয়ান মুল্ডার, কেশব মহারাজ, সাইমন হার্মার, লিজাড উইলিয়ামস, ডুয়ান অলিভিয়ার।

বাংলাদেশ একাদশ: সাদমান ইসলাম, মাহমুদুল হাসান জয়, মুমিনুল হক (অধিনায়ক), নাজমুল হোসেন শান্ত, মুশফিকুর রহিম, লিটন দাস (উইকেটরক্ষক), ইয়াসির আলী, মেহেদি হাসান, তাসকিন আহমেদ, খালেদ আহমেদ, এবাদত হোসেন।

এসএইচ-০৯/৩১/২২ (স্পোর্টস ডেস্ক)

রুশ ক্যাপসুলে চড়ে পৃথিবীতে ফিরলেন মার্কিন মহাকাশচারী

পূর্ব ইউরোপের দেশ ইউক্রেনে চলছে রুশ আগ্রাসন। এই যুদ্ধের দামামায় দুই মহাকাশ জায়ান্ট রাশিয়া ও যুক্তরাষ্ট্রের সম্পর্কে ফাটল ধরেছে।

তবে এর মধ্যেই খবর পাওয়া গেল, রুশ ক্যাপসুলে চড়ে পৃথিবীতে ফিরেছেন এক মার্কিন মহাকাশচারী। প্রায় এক বছর আন্তর্জাতিক মহাকাশ স্টেশনে (আইএসএস) অবস্থান করার পরে বুধবার পৃথিবীতে নিরাপদ অবতরণ করলেন তিনি।

অবশ্য ভয়েজ অব আমেরিকা জানিয়েছে, নাসা মহাকাশচারী মার্ক ভান্দে হেই এবং রুশ মহাকাশচারী আন্তন শকাপলরভ ও পাইটর ডুব্রোভকে বহনকারী ক্যাপসুলটি আইএসএস থেকে আনডক করার কয়েক ঘণ্টা পরে মধ্য কাজাখস্তানের তুষারে ঢাকা প্রান্তরে প্যারাস্যুটের সহায়তায় অবতরণ সম্পন্ন করেছে।

ভান্দে হেই মহাকাশে যুক্তরাষ্ট্রের সর্বোচ্চ সময় অবস্থানের রেকর্ড গড়েছেন। তিনি প্রায় ৩৫৫ দিন মহাকাশে ছিলেন। এর আগে রেকর্ডটি ছিল স্কট কেলির। তিনি ২০১৬ সালে ৩৪০ দিন মহাকাশে ছিলেন।

যুদ্ধের দামামা অব্যাহত থাকলেও নাসা জানিয়েছে, দুই দেশ আইএসএস-এ সহযোগিতা অব্যাহত রেখেছে। যদিও ইউক্রেন আক্রমণের পরপরই রুশ মহাকাশ সংস্থা রসকসমসের প্রধান দিমিত্রি রোজগিন বেশ কয়েকটি ক্ষুব্ধ টুইট করেছিলেন।

দিমিত্রি রোজগিন ইঙ্গিত দিয়েছিলেন, রাশিয়া আইএসএস পরিত্যাগ করতে পারে। এছাড়াও তিনি রুশ মহাকাশচারীদের ভান্দে হেইকে আইএসএস-এ পরিত্যাগ করার একটি ভিডিও শেয়ার করেছিলেন।

রাশিয়ার ইউক্রেন আক্রমণের ফলে মস্কো এবং মহাকাশ ভ্রমণে অন্যান্য আন্তর্জাতিক অংশীদারদের মধ্যে সহযোগিতার ক্ষেত্রগুলো ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। ইউরোপীয় মহাকাশ সংস্থা মঙ্গল গ্রহে একটি মনুষ্যবিহীন মিশন স্থগিত করেছে। এছাড়াও ব্রিটেনভিত্তিক স্যাটেলাইট কোম্পানি ওয়ান ওয়েব তাদের একাধিক উৎক্ষেপণ বাতিল করেছে। কারণ তারা রাশিয়ার তৈরি রকেটের ওপর নির্ভরশীল। এর কিছু অংশ তারা যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক স্পেসএক্সে স্থানান্তরিত করেছে।

এসএইচ-০৮/৩১/২২ (আন্তর্জাতিক ডেস্ক)

ঋতুপর্ণার কান্নাকাটি, ক্ষমা চাইল বিমান সংস্থা

ঘটনার তিন দিন পর বৃহস্পতিবার ঝামেলার অবসান হয়েছে। ইন্ডিগো নামের বিমান সংস্থা টুইট করে ভারতের কলকাতার অভিনেত্রী ঋতুপর্ণা সেনগুপ্তের কছে ক্ষমা চেয়েছে।

বিমান সংস্থাটি টুইটে লিখেছে, ‘আপনার অসুবিধার জন্য আমরা ক্ষমাপ্রার্থী। অনেক বার ফোনে যোগাযোগ করার চেষ্টা করা হয়েছে কিন্তু কোনও ভাবে সফল হইনি। আপনার সুবিধামতো একটা সময় বলুন, আপনার সাথে যোগাযোগ করে আমরা কথা বলে নেব।’

গেল সোমবার ঋতুপর্ণা সেনগুপ্ত বিমান না ধরতে পেরে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া জানিয়েছিলেন। টলিগঞ্জের এই জানিয়েছিলেন, কয়েক মিনিট দেরি করে যাওয়ায় তার বোর্ডিং গেট বন্ধ করে দেওয়া হয়। তাকে বিমানে উঠতে দেওয়া হয়নি। ৪০ মিনিট ধরে তর্ক-বিতর্ক এমনকি কান্নাকাটি করার পরেও কলকাতা বিমানবন্দর থেকে তাঁকে ছাড়াই উড়ে যায় আহমেদাবাদের বিমান। সেখানে শ্যুটিং ছিল তাঁর। বেশ অসুবিধায় পড়তে হয়েছিল।

বৃহস্পতিবার ঋতুপর্ণা ইন্ডিগোর টুইটের ছবিটি পোস্ট করে লেখেন, ‘ক্ষমা চাওয়ার জন্য ধন্যবাদ। কিন্তু বিমান ছাড়ার ২৫ মিনিট হওয়ার আগেই বোর্ডিং গেট বন্ধ করে দেওয়া উচিত নয়। তাতে যাত্রীদের পাশাপাশি সমস্যায় পড়তে হয় সংস্থাকেও।

বিমানে উঠতে দেওয়া হয়নি বলে আমাকে আরও দু’টি বিমান ধরে কাজে পৌঁছতে হয়। তার মধ্যে একটি কাজে উপস্থিত থাকতে পারিনি আমি। আশা করি, এমন ঘটনা বারবার হবে না। কেবল আমার জন্য নয়, সহ-নাগরিকদের সুবিধার্থেই এই অনুরোধ করছি।’

এসএইচ-০৭/৩১/২২ (বিনোদন ডেস্ক)

পূর্বসূরিদের পরিণতির মুখোমুখি ইমরান খান!

পাকিস্তানের ৭৪ বছরের ইতিহাসে কোনো প্রধানমন্ত্রীই তার মেয়াদকাল পূর্ণ করে যেতে পারেননি। এদের মধ্যে কেউ বরখাস্ত হন, আবার কেউ ইস্তফা দিতে বাধ্য হন।

দেশটির বর্তমান প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের বিরুদ্ধে অনাস্থা প্রস্তাব এনেছে বিরোধীরা। ঘোরতর এ বিপদের দিনে একে একে সহযোগীরা তাকে ছেড়ে যাচ্ছেন। হাত মেলাচ্ছেন সরকারের পদত্যাগ ও পুনর্নির্বাচনের দাবিতে গড়ে ওঠা বিরোধী জোট পাকিস্তান ডেমোক্রেটিক মুভমেন্টের (পিডিএম) সঙ্গে।

সর্বশেষ ইমরান খানের দল পাকিস্তান তেহরিক-ই-ইনসাফের (পিটিআই) জোটসঙ্গী মুত্তাহিদা কওমি মুভমেন্ট পাকিস্তান (এমকিউএম-পি) যোগ দিয়েছে পিডিএমের অন্যতম দল পাকিস্তান পিপলস পার্টির (পিপিপি) সঙ্গে। এরই মধ্যে প্রধানমন্ত্রীর বিরুদ্ধে অনাস্থা প্রস্তাবে পার্লামেন্টে ভোট দিতে চুক্তিও করেছে দল দুটি।

অর্থনৈতিক অব্যবস্থাপনা ও ভুল পররাষ্ট্রনীতির অভিযোগ তুলে গত সোমবার (২৮ মার্চ) পার্লামেন্টের নিম্নকক্ষ জাতীয় পরিষদে অনাস্থা প্রস্তাব উত্থাপন করেন বিরোধী নেতারা। এরপর বৃহস্পতিবার (৩১ মার্চ) বিকেল ৪টা পর্যন্ত পরিষদের অধিবেশন মুলতবি ঘোষণা করেন স্পিকার আসাদ কায়সার।

পাকিস্তান সংবিধান অনুযায়ী, জাতীয় পরিষদে অনাস্থা প্রস্তাব পেশ করা হলে এর অন্তত তিন দিন পর এবং সাত দিনের মধ্যে ভোটাভুটির আয়োজন করার বাধ্যবাধকতা রয়েছে। একাধিক সূত্র বলছে, আগামী সোমবার অনাস্থা ভোট হতে পারে।

পাকিস্তানের জাতীয় পরিষদে মোট আসন ৩৪২টি। ইমরান খানকে ক্ষমতাচ্যুত করতে অনাস্থা প্রস্তাবের পক্ষে ১৭২টি ভোট প্রয়োজন। এখন পর্যন্ত বিরোধী জোটে রয়েছেন ১৭৬ জন আইনপ্রণেতা। এর মধ্যে পিএমএল- এনের ৮৪ জন, পিপিপির ৫৬ জন, মুত্তাহিদা মজলিশ-ই-আমলের ১৫ জন, বেলুচিস্তান ন্যাশনাল পার্টির চারজন, আওয়ামী ন্যাশনাল পার্টির একজন, বেলুচিস্তান আওয়ামী পার্টির চারজন, পাকিস্তান মুসলিম লিগ-কিউয়ের একজন, জামহুরি ওয়াতান পার্টির একজন, এমকিউএম-পির সাতজন ও স্বতন্ত্র তিনজন রয়েছেন। অপরদিকে ইমরান খান সরকারের পক্ষে রয়েছেন ১৬৬ আইনপ্রণেতা।

এর বাইরে জাতীয় পরিষদে ইমরানের দলের বেশ কয়েকজন আইনপ্রণেতাও অনাস্থা প্রস্তাবের পক্ষে ভোট দিতে পারেন বলে গুঞ্জন শোনা যাচ্ছে। তাই ভোটের দিন দলীয় আইনপ্রণেতাদের জাতীয় পরিষদের অধিবেশনে অংশ নিতে নিষেধ করেছেন ইমরান খান।

ইমরান খান ২০১৮ সালে পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পান। তার সরকারের মেয়াদ রয়েছে ২০২৩ সালের আগস্ট পর্যন্ত। এ অনাস্থা ভোট ইমরানের বিপক্ষে গেলেও পাকিস্তানের সংবিধান অনুযায়ী, পার্লামেন্ট ভেঙে দেওয়া হবে না।

আগামী আগস্ট পর্যন্ত সরকার চালিয়ে নিতে জাতীয় পরিষদের আইনপ্রণেতাদের ভোটে নতুন প্রধানমন্ত্রী নির্বাচন করা হবে। প্রধানমন্ত্রী নির্বাচনের জন্য পরিষদের সব দলই প্রার্থী দিতে পারবে। নতুন প্রধানমন্ত্রী তার ক্ষমতাবলে যেকোনো সময় সাধারণ নির্বাচনের ঘোষণা দিতে পারবেন। অপরদিকে ভোটে যদি কোনো প্রার্থী সংখ্যাগরিষ্ঠতা না পান, সে ক্ষেত্রেও পরিষদ ভেঙে দিয়ে সাধারণ নির্বাচনের আয়োজন করা হবে।

পাকিস্তানের বর্তমান প্রেক্ষাপটে ইমরান খান ক্ষমতায় থাকছেন কি না তা নিয়ে চলছে চুলচেরা বিশ্লেষণ।

ইমরান খানের আগে বেনজির ভুট্টো, নওয়াজ শরিফ, সওকত আজিজরা গদি হারিয়েছেন। পাকিস্তানে এখন পর্যন্ত ১৮ জন প্রধানমন্ত্রী গদিতে বসেছেন। এদের মধ্যে ছিলেন কেয়ারটেকার সরকার। কিন্তু কেউ ৫ বছর টেকেননি। কাউকে সরতে হয়েছে সেনাবাহিনীর চাপে, কেউ সরেছেন আদালতের নির্দেশে। ইমরান খান হারলে তিনি বেনজির ভুট্টো, সওকত আজিজের দলে অন্তর্ভুক্ত হবেন।

পাকিস্তানের যেসব প্রধানমন্ত্রী মেয়াদ শেষ করতে পারেননি
লিয়াকত আলি খান

খাজা নাজিমুদ্দিন চৌধুরী

মোহাম্মদ আলী বগুড়া

মুহাম্মদ আলী

হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দী

ইব্রাহীম ইসমাঈল

ফিরোজ খান নুন

নুরুল আমিন

জুলফিকার আলী ভুট্টো

মুহাম্মদ খান জুনেজু

বেনজীর ভুট্টো

নওয়াজ শরীফ

জাফরুল্লাহ খান জামালি

সুজাত হোসাইন

শওকত আজিজ

সৈয়দ ইউসুফ রাজা গিলানী

পারভেজ আশরাফ

শহীদ খান আব্বাসী

এসএইচ-০৬/৩১/২২ (আন্তর্জাতিক ডেস্ক)